
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) চীন কোনো ঋণ ছাড় করেনি এবং নতুন ঋণের কোনো প্রতিশ্রুতিও দেয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানায়, একই সময়ে ভারত, জাপান ও রাশিয়াও নতুন বিনিয়োগ বা ঋণের প্রতিশ্রুতি দেয়নি।

পুরোনো ঋণ শোধের চাপ আরও জোরদার হলেও চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাসে চলমান প্রকল্পে উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণছাড় নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে। এর বিপরীতে একই সময়ে নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি বেড়েছে যেন উল্টো হাওয়ার মতো; যেন সাবধানতার সঙ্গে এগোচ্ছে তারা।

অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও সুশাসন জোরদারে বাংলাদেশকে ১০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের ‘ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট’। এ লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ ও ওপেক ফান্ডের মধ্যে একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিতে বাংলাদেশের

বিদেশি ঋণ শোধের অঙ্ক প্রথমবারের মতো ৩০০ কোটি ডলার ছাড়াল। বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল মিলিয়ে বাংলাদেশকে প্রায় ৩৩৬ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে।