
শুক্রবার সকালে মিরপুরে মেহেদী হাসান মিরাজের বাসায় যখন এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, তিনি তখন তৈরি হচ্ছেন কলম্বোর ফ্লাইট ধরার। শরীরে জ্বর, তবু তাঁর ইতিবাচক অভিব্যক্তি। যেকোনো পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকাই মিরাজের বড় গুণ। রওনা দেওয়ার আগে দেওয়া বাংলাদেশ দলের নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের সাক্ষাৎজুড়ে থাকল নতুন দায়িত্বের প্রসঙ্গ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: আপনার কি মোটেও কোনো আশা ছিল যে এই শ্রীলঙ্কা সফরের আগে নির্দিষ্ট একটা সংস্করণে অধিনায়ক হবেন? লিডারশিপ গ্রুপে কিছুদিন ধরে যদিও ছিলেন।
মেহেদী হাসান মিরাজ: না। (নাজমুল হোসেন) শান্তই তো ছিল এর আগে। সত্যি বলতে, সেভাবে চিন্তা করিনি (অধিনায়কত্ব নিয়ে)। হঠাৎ এ রকম হয়েছে। যাঁরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাঁরা আরও ভালো বলতে পারবেন যে বিষয়টা কীভাবে চিন্তা করেছেন। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চেষ্টা করব বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু অর্জন করতে। আশা করি, আমরা ভালো একটা অবস্থান তৈরি করতে পারব (ওয়ানডেতে)।
প্রশ্ন: শান্তর কাছ থেকে অধিনায়কত্বের ব্যাটন আপনার হাতে এসেছে। অধিনায়ক হওয়ার পর তাঁর কাছ থেকে বিশেষ কোনো বার্তা পেয়েছেন?
মিরাজ: হ্যাঁ। ওর (শান্ত) সঙ্গে তো সব সময় কথা হয়েছে। আমরা তো কাল (অধিনায়কত্ব ঘোষণার দিন) একসঙ্গেই ছিলাম। সে খুবই ভালো কথা বলেছে। আমরা তো ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে খেলছি। আমাদের কাছে এসবে কিছু যায়-আসে না, সে অধিনায়ক থাকুক কিংবা আমি। দিন শেষে সবাই দেশের জন্য খেলি। দেশের হয়ে পারফর্ম করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। সে যখন নেতৃত্ব দিয়েছে, সবাই সহায়তা করেছি। পারফর্ম করে বলুন বা যেভাবে হোক, তাকে সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কাল (অধিনায়কত্ব ঘোষণার দিন) এসব বিষয়ে অনেক কথা হয়েছে। বাংলাদেশ দলকে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে আমাদের। দলের অধিনায়ক কে, তাতে কিছু যায়-আসে না।
প্রশ্ন: অনেক অধিনায়কের অধীনে খেলেছেন। মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছ থেকে কী কী শিখেছেন?
মিরাজ: মাশরাফি ভাইয়ের অধীনেই আমার ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল, ২০১৭ সালে। শ্রীলঙ্কাতেই। মাশরাফি ভাইয়ের কাছে অনেক কিছু শিখেছি; বিশেষ করে তাঁর নেতৃত্ব, ম্যান ম্যানেজমেন্ট, দল যেভাবে সামলান—অনেক ভালো ছিল। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে উজ্জীবিত করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
প্রশ্ন: সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বের কী ভালো লাগত?
মিরাজ: সাকিব ভাই মাঠের ভেতরে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। মানসিকভাবে অনেক শক্ত। শক্ত সিদ্ধান্ত নিতেন।
প্রশ্ন: অধিনায়ক তামিম ইকবাল?
মিরাজ: তামিম ভাই যখন অধিনায়ক ছিলেন, তখন অনেক ওয়ানডে সিরিজ জিতেছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জয়লাভ করেছি। ইংল্যান্ডকে হারিয়েছি দেশের মাঠে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছি। তিনি যখন অধিনায়কত্ব করেছেন, প্রত্যেক ক্রিকেটারের ওপর তাঁর বিশ্বাসের জায়গাটা ভালো ছিল। যখন বোলিং করতাম, সব সময় একটা কথা বলতেন, তু্ই দলের মূল বোলার। তোকে উইকেট নিতে হবে। ব্যাটার ডানহাতি হোক বা বাঁহাতি, তোকে সেভাবেই কাজে লাগাব। ওই আত্মবিশ্বাসটা সব সময় আমাকে দিতেন। সেই অনুযায়ী আমি অনেক ভালো করেছি।
প্রশ্ন: সাকিবের সঙ্গে পিএসএলে একই দলে খেলেছেন। জাতীয় দল নিয়ে কী ভাবনার কথা শুনলেন তাঁর কাছে?
মিরাজ: তাঁর (সাকিব) প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এটা তো সবাই জানি। আর আমরা যখন একসঙ্গে লাহোর কালান্দার্সে খেলেছি, অনেক দিন পর দেখা হয়েছে। কথা বলেছি। একসঙ্গে ছিলাম। তিনি হয়তো ওয়ানডে খেলতে চান। দেশের হয়ে আরও কিছুদিন ক্রিকেট খেলতে চান। সেটাই বলেছিলেন।
প্রশ্ন: বিশেষ কোনো পরামর্শ সাকিবের কাছ থেকে পেয়েছেন, যেহেতু বাংলাদেশ গত কিছুদিনে ধারাবাহিক খারাপ খেলছে।
মিরাজ: একটা কথা বলেছেন যে সবার এক হয়ে ক্রিকেট খেলতে হবে। সবাই এক হয়ে খেললে বাংলাদেশ ভালো করবে। আমাদের দলের হয়তো সাময়িক খারাপ যাচ্ছে; কিন্তু আমাদের দল অনেক ভালো এবং আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াব।
প্রশ্ন: অধিনায়ক হয়ে প্রথম পরিবর্তনটা কোথায় করতে চান?
মিরাজ: রাতারাতি তো সবকিছু পরিবর্তন করা যাবে না। ছোট ছোট বিষয় পরিবর্তন করলে খুব ভালো হবে। আমাদের এক-দুজন পারফর্ম করলে দল ভালো করবে না। আমার লক্ষ্য থাকবে, সবাইকে নিয়ে দল হিসেবে যেন পারফর্ম করতে পারি। দলে যেন সবার অবদান থাকে। হয়তো ছোট হতে পারে; কিন্তু সবার অবদান কাম্য।
প্রশ্ন: মে মাসের আইসিসির বার্ষিক র্যাঙ্কিংয়ে (ওয়ানডেতে) দশে নেমে গেছে বাংলাদেশ। এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী?
মিরাজ: ২০২৩ সালে পরে আমরা কয়টা ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছি? টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বেশি খেলেছি। ১২টা টেস্ট খেলেছি। টি-টোয়েন্টিও খেলা হয়েছে। গত বিশ্বকাপের পরে ছয়টা ওয়ানডে খেলেছি। আমরা ১৫-২০ ওয়ানডে এক বছরে খেলতে পারলে অবস্থানটা ভালো জায়গায় থাকত। এটা একটা কারণ হতে পারে যে অনেক দিন পরপর ওয়ানডে খেলা ছিল। এর আগে আমাদের যখন ফল এসেছে, ধারাবাহিকভাবে ওয়ানডে ম্যাচ ছিল। এখানে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। যেহেতু আমাদের লক্ষ্য বিশ্বকাপ, বিশ্বকাপের আগে অনেক ওয়ানডে ম্যাচ আছে। যদি নিয়মিত খেলা হয় এবং আমরা পারফর্ম করতে পারি, একটা সিরিজের পর যদি বেশি বিরতি না হয়, তাহলে খেলোয়াড়েরা মনে হয় মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারবে।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবল নিয়ে নতুন করে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। একজন ক্রিকেটার হিসেবে বিষয়টা কীভাবে দেখেন?
মিরাজ: আমাদের মধ্যে এসব বিষয়ে আলাপ হয় না। এগুলো নিয়ে চিন্তিতও নই। আমরা একটা সেক্টর, ফুটবল অন্য সেক্টর। আমাদের চিন্তাভাবনা থাকে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার। আমরা সেভাবে তুলনা করি না। ফুটবল খেলা বলুন বা ক্রিকেট—সবাই খেলাপ্রেমী। যাঁরা ফুটবল দেখতে গেছেন, তাঁরা ক্রিকেটও দেখতে আসেন। এই দর্শকেরাই কিন্তু আসেন। তাঁরা আসেন বাংলাদেশের টানে। কিছু মানুষ তুলনা করেন। এটা তাঁরা কীভাবে করেন, আমি জানি না। হয়তো সামাজিক মাধ্যমেই করেন। তবে বেশির ভাগ মানুষ মনে হয় না এমনটা (তুলনা) করেন।
প্রশ্ন: পূর্ণ মেয়াদে অধিনায়কত্বের শুরুতে শ্রীলঙ্কা সিরিজ। এবার শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জেতা কি সম্ভব?
মিরাজ: অসম্ভব বলে কিছু নেই। আমাদের দল যথেষ্ট ভালো মনে হয়। যদি এক হয়ে খেলতে পারি, আমাদের একটা-দু্ইটা মোমেন্টাম দরকার। একটা-দুইটা ম্যাচ জিতলে সবার মধ্যে আত্মবিশ্বাস চলে আসবে।
প্রশ্ন: এক বছরের মেয়াদে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। নিজেকে প্রমাণের জন্য যথেষ্ট কি না?
মিরাজ: যত দীর্ঘ মেয়াদে হবে, অধিনায়কের জন্য তত ভালো। যতটুকু সময় দেওয়া হয়েছে, চেষ্টা করব কাজে লাগাতে; ভালো ফল এনে দিতে। তারপর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন, যাঁরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজ করেন। আমার কাজ হলো মাঠে পারফর্ম করা, দলের সেরাটা বের করে আনা।
প্রশ্ন: অধিনায়ক হিসেবে কী স্বপ্ন দেখেন?
মিরাজ: সবারই তো স্বপ্ন থাকে ভালো কিছু করার। আর অধিনায়ক হিসেবে আমার অবশ্যই একটা স্বপ্ন আছে। বাংলাদেশকে একটা বড় শিরোপা এনে দিতে পারলে এটাই বড় অর্জন হবে।
প্রশ্ন: আপনার কি মোটেও কোনো আশা ছিল যে এই শ্রীলঙ্কা সফরের আগে নির্দিষ্ট একটা সংস্করণে অধিনায়ক হবেন? লিডারশিপ গ্রুপে কিছুদিন ধরে যদিও ছিলেন।
মেহেদী হাসান মিরাজ: না। (নাজমুল হোসেন) শান্তই তো ছিল এর আগে। সত্যি বলতে, সেভাবে চিন্তা করিনি (অধিনায়কত্ব নিয়ে)। হঠাৎ এ রকম হয়েছে। যাঁরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাঁরা আরও ভালো বলতে পারবেন যে বিষয়টা কীভাবে চিন্তা করেছেন। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চেষ্টা করব বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু অর্জন করতে। আশা করি, আমরা ভালো একটা অবস্থান তৈরি করতে পারব (ওয়ানডেতে)।
প্রশ্ন: শান্তর কাছ থেকে অধিনায়কত্বের ব্যাটন আপনার হাতে এসেছে। অধিনায়ক হওয়ার পর তাঁর কাছ থেকে বিশেষ কোনো বার্তা পেয়েছেন?
মিরাজ: হ্যাঁ। ওর (শান্ত) সঙ্গে তো সব সময় কথা হয়েছে। আমরা তো কাল (অধিনায়কত্ব ঘোষণার দিন) একসঙ্গেই ছিলাম। সে খুবই ভালো কথা বলেছে। আমরা তো ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে খেলছি। আমাদের কাছে এসবে কিছু যায়-আসে না, সে অধিনায়ক থাকুক কিংবা আমি। দিন শেষে সবাই দেশের জন্য খেলি। দেশের হয়ে পারফর্ম করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। সে যখন নেতৃত্ব দিয়েছে, সবাই সহায়তা করেছি। পারফর্ম করে বলুন বা যেভাবে হোক, তাকে সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কাল (অধিনায়কত্ব ঘোষণার দিন) এসব বিষয়ে অনেক কথা হয়েছে। বাংলাদেশ দলকে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে আমাদের। দলের অধিনায়ক কে, তাতে কিছু যায়-আসে না।
প্রশ্ন: অনেক অধিনায়কের অধীনে খেলেছেন। মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছ থেকে কী কী শিখেছেন?
মিরাজ: মাশরাফি ভাইয়ের অধীনেই আমার ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল, ২০১৭ সালে। শ্রীলঙ্কাতেই। মাশরাফি ভাইয়ের কাছে অনেক কিছু শিখেছি; বিশেষ করে তাঁর নেতৃত্ব, ম্যান ম্যানেজমেন্ট, দল যেভাবে সামলান—অনেক ভালো ছিল। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে উজ্জীবিত করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
প্রশ্ন: সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বের কী ভালো লাগত?
মিরাজ: সাকিব ভাই মাঠের ভেতরে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। মানসিকভাবে অনেক শক্ত। শক্ত সিদ্ধান্ত নিতেন।
প্রশ্ন: অধিনায়ক তামিম ইকবাল?
মিরাজ: তামিম ভাই যখন অধিনায়ক ছিলেন, তখন অনেক ওয়ানডে সিরিজ জিতেছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জয়লাভ করেছি। ইংল্যান্ডকে হারিয়েছি দেশের মাঠে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছি। তিনি যখন অধিনায়কত্ব করেছেন, প্রত্যেক ক্রিকেটারের ওপর তাঁর বিশ্বাসের জায়গাটা ভালো ছিল। যখন বোলিং করতাম, সব সময় একটা কথা বলতেন, তু্ই দলের মূল বোলার। তোকে উইকেট নিতে হবে। ব্যাটার ডানহাতি হোক বা বাঁহাতি, তোকে সেভাবেই কাজে লাগাব। ওই আত্মবিশ্বাসটা সব সময় আমাকে দিতেন। সেই অনুযায়ী আমি অনেক ভালো করেছি।
প্রশ্ন: সাকিবের সঙ্গে পিএসএলে একই দলে খেলেছেন। জাতীয় দল নিয়ে কী ভাবনার কথা শুনলেন তাঁর কাছে?
মিরাজ: তাঁর (সাকিব) প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এটা তো সবাই জানি। আর আমরা যখন একসঙ্গে লাহোর কালান্দার্সে খেলেছি, অনেক দিন পর দেখা হয়েছে। কথা বলেছি। একসঙ্গে ছিলাম। তিনি হয়তো ওয়ানডে খেলতে চান। দেশের হয়ে আরও কিছুদিন ক্রিকেট খেলতে চান। সেটাই বলেছিলেন।
প্রশ্ন: বিশেষ কোনো পরামর্শ সাকিবের কাছ থেকে পেয়েছেন, যেহেতু বাংলাদেশ গত কিছুদিনে ধারাবাহিক খারাপ খেলছে।
মিরাজ: একটা কথা বলেছেন যে সবার এক হয়ে ক্রিকেট খেলতে হবে। সবাই এক হয়ে খেললে বাংলাদেশ ভালো করবে। আমাদের দলের হয়তো সাময়িক খারাপ যাচ্ছে; কিন্তু আমাদের দল অনেক ভালো এবং আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াব।
প্রশ্ন: অধিনায়ক হয়ে প্রথম পরিবর্তনটা কোথায় করতে চান?
মিরাজ: রাতারাতি তো সবকিছু পরিবর্তন করা যাবে না। ছোট ছোট বিষয় পরিবর্তন করলে খুব ভালো হবে। আমাদের এক-দুজন পারফর্ম করলে দল ভালো করবে না। আমার লক্ষ্য থাকবে, সবাইকে নিয়ে দল হিসেবে যেন পারফর্ম করতে পারি। দলে যেন সবার অবদান থাকে। হয়তো ছোট হতে পারে; কিন্তু সবার অবদান কাম্য।
প্রশ্ন: মে মাসের আইসিসির বার্ষিক র্যাঙ্কিংয়ে (ওয়ানডেতে) দশে নেমে গেছে বাংলাদেশ। এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী?
মিরাজ: ২০২৩ সালে পরে আমরা কয়টা ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছি? টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বেশি খেলেছি। ১২টা টেস্ট খেলেছি। টি-টোয়েন্টিও খেলা হয়েছে। গত বিশ্বকাপের পরে ছয়টা ওয়ানডে খেলেছি। আমরা ১৫-২০ ওয়ানডে এক বছরে খেলতে পারলে অবস্থানটা ভালো জায়গায় থাকত। এটা একটা কারণ হতে পারে যে অনেক দিন পরপর ওয়ানডে খেলা ছিল। এর আগে আমাদের যখন ফল এসেছে, ধারাবাহিকভাবে ওয়ানডে ম্যাচ ছিল। এখানে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। যেহেতু আমাদের লক্ষ্য বিশ্বকাপ, বিশ্বকাপের আগে অনেক ওয়ানডে ম্যাচ আছে। যদি নিয়মিত খেলা হয় এবং আমরা পারফর্ম করতে পারি, একটা সিরিজের পর যদি বেশি বিরতি না হয়, তাহলে খেলোয়াড়েরা মনে হয় মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারবে।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবল নিয়ে নতুন করে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। একজন ক্রিকেটার হিসেবে বিষয়টা কীভাবে দেখেন?
মিরাজ: আমাদের মধ্যে এসব বিষয়ে আলাপ হয় না। এগুলো নিয়ে চিন্তিতও নই। আমরা একটা সেক্টর, ফুটবল অন্য সেক্টর। আমাদের চিন্তাভাবনা থাকে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার। আমরা সেভাবে তুলনা করি না। ফুটবল খেলা বলুন বা ক্রিকেট—সবাই খেলাপ্রেমী। যাঁরা ফুটবল দেখতে গেছেন, তাঁরা ক্রিকেটও দেখতে আসেন। এই দর্শকেরাই কিন্তু আসেন। তাঁরা আসেন বাংলাদেশের টানে। কিছু মানুষ তুলনা করেন। এটা তাঁরা কীভাবে করেন, আমি জানি না। হয়তো সামাজিক মাধ্যমেই করেন। তবে বেশির ভাগ মানুষ মনে হয় না এমনটা (তুলনা) করেন।
প্রশ্ন: পূর্ণ মেয়াদে অধিনায়কত্বের শুরুতে শ্রীলঙ্কা সিরিজ। এবার শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জেতা কি সম্ভব?
মিরাজ: অসম্ভব বলে কিছু নেই। আমাদের দল যথেষ্ট ভালো মনে হয়। যদি এক হয়ে খেলতে পারি, আমাদের একটা-দু্ইটা মোমেন্টাম দরকার। একটা-দুইটা ম্যাচ জিতলে সবার মধ্যে আত্মবিশ্বাস চলে আসবে।
প্রশ্ন: এক বছরের মেয়াদে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। নিজেকে প্রমাণের জন্য যথেষ্ট কি না?
মিরাজ: যত দীর্ঘ মেয়াদে হবে, অধিনায়কের জন্য তত ভালো। যতটুকু সময় দেওয়া হয়েছে, চেষ্টা করব কাজে লাগাতে; ভালো ফল এনে দিতে। তারপর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন, যাঁরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজ করেন। আমার কাজ হলো মাঠে পারফর্ম করা, দলের সেরাটা বের করে আনা।
প্রশ্ন: অধিনায়ক হিসেবে কী স্বপ্ন দেখেন?
মিরাজ: সবারই তো স্বপ্ন থাকে ভালো কিছু করার। আর অধিনায়ক হিসেবে আমার অবশ্যই একটা স্বপ্ন আছে। বাংলাদেশকে একটা বড় শিরোপা এনে দিতে পারলে এটাই বড় অর্জন হবে।

শুক্রবার সকালে মিরপুরে মেহেদী হাসান মিরাজের বাসায় যখন এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, তিনি তখন তৈরি হচ্ছেন কলম্বোর ফ্লাইট ধরার। শরীরে জ্বর, তবু তাঁর ইতিবাচক অভিব্যক্তি। যেকোনো পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকাই মিরাজের বড় গুণ। রওনা দেওয়ার আগে দেওয়া বাংলাদেশ দলের নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের সাক্ষাৎজুড়ে থাকল নতুন দায়িত্বের প্রসঙ্গ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: আপনার কি মোটেও কোনো আশা ছিল যে এই শ্রীলঙ্কা সফরের আগে নির্দিষ্ট একটা সংস্করণে অধিনায়ক হবেন? লিডারশিপ গ্রুপে কিছুদিন ধরে যদিও ছিলেন।
মেহেদী হাসান মিরাজ: না। (নাজমুল হোসেন) শান্তই তো ছিল এর আগে। সত্যি বলতে, সেভাবে চিন্তা করিনি (অধিনায়কত্ব নিয়ে)। হঠাৎ এ রকম হয়েছে। যাঁরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাঁরা আরও ভালো বলতে পারবেন যে বিষয়টা কীভাবে চিন্তা করেছেন। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চেষ্টা করব বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু অর্জন করতে। আশা করি, আমরা ভালো একটা অবস্থান তৈরি করতে পারব (ওয়ানডেতে)।
প্রশ্ন: শান্তর কাছ থেকে অধিনায়কত্বের ব্যাটন আপনার হাতে এসেছে। অধিনায়ক হওয়ার পর তাঁর কাছ থেকে বিশেষ কোনো বার্তা পেয়েছেন?
মিরাজ: হ্যাঁ। ওর (শান্ত) সঙ্গে তো সব সময় কথা হয়েছে। আমরা তো কাল (অধিনায়কত্ব ঘোষণার দিন) একসঙ্গেই ছিলাম। সে খুবই ভালো কথা বলেছে। আমরা তো ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে খেলছি। আমাদের কাছে এসবে কিছু যায়-আসে না, সে অধিনায়ক থাকুক কিংবা আমি। দিন শেষে সবাই দেশের জন্য খেলি। দেশের হয়ে পারফর্ম করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। সে যখন নেতৃত্ব দিয়েছে, সবাই সহায়তা করেছি। পারফর্ম করে বলুন বা যেভাবে হোক, তাকে সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কাল (অধিনায়কত্ব ঘোষণার দিন) এসব বিষয়ে অনেক কথা হয়েছে। বাংলাদেশ দলকে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে আমাদের। দলের অধিনায়ক কে, তাতে কিছু যায়-আসে না।
প্রশ্ন: অনেক অধিনায়কের অধীনে খেলেছেন। মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছ থেকে কী কী শিখেছেন?
মিরাজ: মাশরাফি ভাইয়ের অধীনেই আমার ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল, ২০১৭ সালে। শ্রীলঙ্কাতেই। মাশরাফি ভাইয়ের কাছে অনেক কিছু শিখেছি; বিশেষ করে তাঁর নেতৃত্ব, ম্যান ম্যানেজমেন্ট, দল যেভাবে সামলান—অনেক ভালো ছিল। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে উজ্জীবিত করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
প্রশ্ন: সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বের কী ভালো লাগত?
মিরাজ: সাকিব ভাই মাঠের ভেতরে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। মানসিকভাবে অনেক শক্ত। শক্ত সিদ্ধান্ত নিতেন।
প্রশ্ন: অধিনায়ক তামিম ইকবাল?
মিরাজ: তামিম ভাই যখন অধিনায়ক ছিলেন, তখন অনেক ওয়ানডে সিরিজ জিতেছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জয়লাভ করেছি। ইংল্যান্ডকে হারিয়েছি দেশের মাঠে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছি। তিনি যখন অধিনায়কত্ব করেছেন, প্রত্যেক ক্রিকেটারের ওপর তাঁর বিশ্বাসের জায়গাটা ভালো ছিল। যখন বোলিং করতাম, সব সময় একটা কথা বলতেন, তু্ই দলের মূল বোলার। তোকে উইকেট নিতে হবে। ব্যাটার ডানহাতি হোক বা বাঁহাতি, তোকে সেভাবেই কাজে লাগাব। ওই আত্মবিশ্বাসটা সব সময় আমাকে দিতেন। সেই অনুযায়ী আমি অনেক ভালো করেছি।
প্রশ্ন: সাকিবের সঙ্গে পিএসএলে একই দলে খেলেছেন। জাতীয় দল নিয়ে কী ভাবনার কথা শুনলেন তাঁর কাছে?
মিরাজ: তাঁর (সাকিব) প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এটা তো সবাই জানি। আর আমরা যখন একসঙ্গে লাহোর কালান্দার্সে খেলেছি, অনেক দিন পর দেখা হয়েছে। কথা বলেছি। একসঙ্গে ছিলাম। তিনি হয়তো ওয়ানডে খেলতে চান। দেশের হয়ে আরও কিছুদিন ক্রিকেট খেলতে চান। সেটাই বলেছিলেন।
প্রশ্ন: বিশেষ কোনো পরামর্শ সাকিবের কাছ থেকে পেয়েছেন, যেহেতু বাংলাদেশ গত কিছুদিনে ধারাবাহিক খারাপ খেলছে।
মিরাজ: একটা কথা বলেছেন যে সবার এক হয়ে ক্রিকেট খেলতে হবে। সবাই এক হয়ে খেললে বাংলাদেশ ভালো করবে। আমাদের দলের হয়তো সাময়িক খারাপ যাচ্ছে; কিন্তু আমাদের দল অনেক ভালো এবং আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াব।
প্রশ্ন: অধিনায়ক হয়ে প্রথম পরিবর্তনটা কোথায় করতে চান?
মিরাজ: রাতারাতি তো সবকিছু পরিবর্তন করা যাবে না। ছোট ছোট বিষয় পরিবর্তন করলে খুব ভালো হবে। আমাদের এক-দুজন পারফর্ম করলে দল ভালো করবে না। আমার লক্ষ্য থাকবে, সবাইকে নিয়ে দল হিসেবে যেন পারফর্ম করতে পারি। দলে যেন সবার অবদান থাকে। হয়তো ছোট হতে পারে; কিন্তু সবার অবদান কাম্য।
প্রশ্ন: মে মাসের আইসিসির বার্ষিক র্যাঙ্কিংয়ে (ওয়ানডেতে) দশে নেমে গেছে বাংলাদেশ। এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী?
মিরাজ: ২০২৩ সালে পরে আমরা কয়টা ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছি? টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বেশি খেলেছি। ১২টা টেস্ট খেলেছি। টি-টোয়েন্টিও খেলা হয়েছে। গত বিশ্বকাপের পরে ছয়টা ওয়ানডে খেলেছি। আমরা ১৫-২০ ওয়ানডে এক বছরে খেলতে পারলে অবস্থানটা ভালো জায়গায় থাকত। এটা একটা কারণ হতে পারে যে অনেক দিন পরপর ওয়ানডে খেলা ছিল। এর আগে আমাদের যখন ফল এসেছে, ধারাবাহিকভাবে ওয়ানডে ম্যাচ ছিল। এখানে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। যেহেতু আমাদের লক্ষ্য বিশ্বকাপ, বিশ্বকাপের আগে অনেক ওয়ানডে ম্যাচ আছে। যদি নিয়মিত খেলা হয় এবং আমরা পারফর্ম করতে পারি, একটা সিরিজের পর যদি বেশি বিরতি না হয়, তাহলে খেলোয়াড়েরা মনে হয় মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারবে।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবল নিয়ে নতুন করে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। একজন ক্রিকেটার হিসেবে বিষয়টা কীভাবে দেখেন?
মিরাজ: আমাদের মধ্যে এসব বিষয়ে আলাপ হয় না। এগুলো নিয়ে চিন্তিতও নই। আমরা একটা সেক্টর, ফুটবল অন্য সেক্টর। আমাদের চিন্তাভাবনা থাকে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার। আমরা সেভাবে তুলনা করি না। ফুটবল খেলা বলুন বা ক্রিকেট—সবাই খেলাপ্রেমী। যাঁরা ফুটবল দেখতে গেছেন, তাঁরা ক্রিকেটও দেখতে আসেন। এই দর্শকেরাই কিন্তু আসেন। তাঁরা আসেন বাংলাদেশের টানে। কিছু মানুষ তুলনা করেন। এটা তাঁরা কীভাবে করেন, আমি জানি না। হয়তো সামাজিক মাধ্যমেই করেন। তবে বেশির ভাগ মানুষ মনে হয় না এমনটা (তুলনা) করেন।
প্রশ্ন: পূর্ণ মেয়াদে অধিনায়কত্বের শুরুতে শ্রীলঙ্কা সিরিজ। এবার শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জেতা কি সম্ভব?
মিরাজ: অসম্ভব বলে কিছু নেই। আমাদের দল যথেষ্ট ভালো মনে হয়। যদি এক হয়ে খেলতে পারি, আমাদের একটা-দু্ইটা মোমেন্টাম দরকার। একটা-দুইটা ম্যাচ জিতলে সবার মধ্যে আত্মবিশ্বাস চলে আসবে।
প্রশ্ন: এক বছরের মেয়াদে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। নিজেকে প্রমাণের জন্য যথেষ্ট কি না?
মিরাজ: যত দীর্ঘ মেয়াদে হবে, অধিনায়কের জন্য তত ভালো। যতটুকু সময় দেওয়া হয়েছে, চেষ্টা করব কাজে লাগাতে; ভালো ফল এনে দিতে। তারপর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন, যাঁরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজ করেন। আমার কাজ হলো মাঠে পারফর্ম করা, দলের সেরাটা বের করে আনা।
প্রশ্ন: অধিনায়ক হিসেবে কী স্বপ্ন দেখেন?
মিরাজ: সবারই তো স্বপ্ন থাকে ভালো কিছু করার। আর অধিনায়ক হিসেবে আমার অবশ্যই একটা স্বপ্ন আছে। বাংলাদেশকে একটা বড় শিরোপা এনে দিতে পারলে এটাই বড় অর্জন হবে।
প্রশ্ন: আপনার কি মোটেও কোনো আশা ছিল যে এই শ্রীলঙ্কা সফরের আগে নির্দিষ্ট একটা সংস্করণে অধিনায়ক হবেন? লিডারশিপ গ্রুপে কিছুদিন ধরে যদিও ছিলেন।
মেহেদী হাসান মিরাজ: না। (নাজমুল হোসেন) শান্তই তো ছিল এর আগে। সত্যি বলতে, সেভাবে চিন্তা করিনি (অধিনায়কত্ব নিয়ে)। হঠাৎ এ রকম হয়েছে। যাঁরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাঁরা আরও ভালো বলতে পারবেন যে বিষয়টা কীভাবে চিন্তা করেছেন। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চেষ্টা করব বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু অর্জন করতে। আশা করি, আমরা ভালো একটা অবস্থান তৈরি করতে পারব (ওয়ানডেতে)।
প্রশ্ন: শান্তর কাছ থেকে অধিনায়কত্বের ব্যাটন আপনার হাতে এসেছে। অধিনায়ক হওয়ার পর তাঁর কাছ থেকে বিশেষ কোনো বার্তা পেয়েছেন?
মিরাজ: হ্যাঁ। ওর (শান্ত) সঙ্গে তো সব সময় কথা হয়েছে। আমরা তো কাল (অধিনায়কত্ব ঘোষণার দিন) একসঙ্গেই ছিলাম। সে খুবই ভালো কথা বলেছে। আমরা তো ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে খেলছি। আমাদের কাছে এসবে কিছু যায়-আসে না, সে অধিনায়ক থাকুক কিংবা আমি। দিন শেষে সবাই দেশের জন্য খেলি। দেশের হয়ে পারফর্ম করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। সে যখন নেতৃত্ব দিয়েছে, সবাই সহায়তা করেছি। পারফর্ম করে বলুন বা যেভাবে হোক, তাকে সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কাল (অধিনায়কত্ব ঘোষণার দিন) এসব বিষয়ে অনেক কথা হয়েছে। বাংলাদেশ দলকে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে আমাদের। দলের অধিনায়ক কে, তাতে কিছু যায়-আসে না।
প্রশ্ন: অনেক অধিনায়কের অধীনে খেলেছেন। মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছ থেকে কী কী শিখেছেন?
মিরাজ: মাশরাফি ভাইয়ের অধীনেই আমার ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল, ২০১৭ সালে। শ্রীলঙ্কাতেই। মাশরাফি ভাইয়ের কাছে অনেক কিছু শিখেছি; বিশেষ করে তাঁর নেতৃত্ব, ম্যান ম্যানেজমেন্ট, দল যেভাবে সামলান—অনেক ভালো ছিল। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে উজ্জীবিত করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
প্রশ্ন: সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বের কী ভালো লাগত?
মিরাজ: সাকিব ভাই মাঠের ভেতরে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। মানসিকভাবে অনেক শক্ত। শক্ত সিদ্ধান্ত নিতেন।
প্রশ্ন: অধিনায়ক তামিম ইকবাল?
মিরাজ: তামিম ভাই যখন অধিনায়ক ছিলেন, তখন অনেক ওয়ানডে সিরিজ জিতেছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জয়লাভ করেছি। ইংল্যান্ডকে হারিয়েছি দেশের মাঠে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছি। তিনি যখন অধিনায়কত্ব করেছেন, প্রত্যেক ক্রিকেটারের ওপর তাঁর বিশ্বাসের জায়গাটা ভালো ছিল। যখন বোলিং করতাম, সব সময় একটা কথা বলতেন, তু্ই দলের মূল বোলার। তোকে উইকেট নিতে হবে। ব্যাটার ডানহাতি হোক বা বাঁহাতি, তোকে সেভাবেই কাজে লাগাব। ওই আত্মবিশ্বাসটা সব সময় আমাকে দিতেন। সেই অনুযায়ী আমি অনেক ভালো করেছি।
প্রশ্ন: সাকিবের সঙ্গে পিএসএলে একই দলে খেলেছেন। জাতীয় দল নিয়ে কী ভাবনার কথা শুনলেন তাঁর কাছে?
মিরাজ: তাঁর (সাকিব) প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এটা তো সবাই জানি। আর আমরা যখন একসঙ্গে লাহোর কালান্দার্সে খেলেছি, অনেক দিন পর দেখা হয়েছে। কথা বলেছি। একসঙ্গে ছিলাম। তিনি হয়তো ওয়ানডে খেলতে চান। দেশের হয়ে আরও কিছুদিন ক্রিকেট খেলতে চান। সেটাই বলেছিলেন।
প্রশ্ন: বিশেষ কোনো পরামর্শ সাকিবের কাছ থেকে পেয়েছেন, যেহেতু বাংলাদেশ গত কিছুদিনে ধারাবাহিক খারাপ খেলছে।
মিরাজ: একটা কথা বলেছেন যে সবার এক হয়ে ক্রিকেট খেলতে হবে। সবাই এক হয়ে খেললে বাংলাদেশ ভালো করবে। আমাদের দলের হয়তো সাময়িক খারাপ যাচ্ছে; কিন্তু আমাদের দল অনেক ভালো এবং আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াব।
প্রশ্ন: অধিনায়ক হয়ে প্রথম পরিবর্তনটা কোথায় করতে চান?
মিরাজ: রাতারাতি তো সবকিছু পরিবর্তন করা যাবে না। ছোট ছোট বিষয় পরিবর্তন করলে খুব ভালো হবে। আমাদের এক-দুজন পারফর্ম করলে দল ভালো করবে না। আমার লক্ষ্য থাকবে, সবাইকে নিয়ে দল হিসেবে যেন পারফর্ম করতে পারি। দলে যেন সবার অবদান থাকে। হয়তো ছোট হতে পারে; কিন্তু সবার অবদান কাম্য।
প্রশ্ন: মে মাসের আইসিসির বার্ষিক র্যাঙ্কিংয়ে (ওয়ানডেতে) দশে নেমে গেছে বাংলাদেশ। এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী?
মিরাজ: ২০২৩ সালে পরে আমরা কয়টা ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছি? টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বেশি খেলেছি। ১২টা টেস্ট খেলেছি। টি-টোয়েন্টিও খেলা হয়েছে। গত বিশ্বকাপের পরে ছয়টা ওয়ানডে খেলেছি। আমরা ১৫-২০ ওয়ানডে এক বছরে খেলতে পারলে অবস্থানটা ভালো জায়গায় থাকত। এটা একটা কারণ হতে পারে যে অনেক দিন পরপর ওয়ানডে খেলা ছিল। এর আগে আমাদের যখন ফল এসেছে, ধারাবাহিকভাবে ওয়ানডে ম্যাচ ছিল। এখানে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। যেহেতু আমাদের লক্ষ্য বিশ্বকাপ, বিশ্বকাপের আগে অনেক ওয়ানডে ম্যাচ আছে। যদি নিয়মিত খেলা হয় এবং আমরা পারফর্ম করতে পারি, একটা সিরিজের পর যদি বেশি বিরতি না হয়, তাহলে খেলোয়াড়েরা মনে হয় মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারবে।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবল নিয়ে নতুন করে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। একজন ক্রিকেটার হিসেবে বিষয়টা কীভাবে দেখেন?
মিরাজ: আমাদের মধ্যে এসব বিষয়ে আলাপ হয় না। এগুলো নিয়ে চিন্তিতও নই। আমরা একটা সেক্টর, ফুটবল অন্য সেক্টর। আমাদের চিন্তাভাবনা থাকে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার। আমরা সেভাবে তুলনা করি না। ফুটবল খেলা বলুন বা ক্রিকেট—সবাই খেলাপ্রেমী। যাঁরা ফুটবল দেখতে গেছেন, তাঁরা ক্রিকেটও দেখতে আসেন। এই দর্শকেরাই কিন্তু আসেন। তাঁরা আসেন বাংলাদেশের টানে। কিছু মানুষ তুলনা করেন। এটা তাঁরা কীভাবে করেন, আমি জানি না। হয়তো সামাজিক মাধ্যমেই করেন। তবে বেশির ভাগ মানুষ মনে হয় না এমনটা (তুলনা) করেন।
প্রশ্ন: পূর্ণ মেয়াদে অধিনায়কত্বের শুরুতে শ্রীলঙ্কা সিরিজ। এবার শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জেতা কি সম্ভব?
মিরাজ: অসম্ভব বলে কিছু নেই। আমাদের দল যথেষ্ট ভালো মনে হয়। যদি এক হয়ে খেলতে পারি, আমাদের একটা-দু্ইটা মোমেন্টাম দরকার। একটা-দুইটা ম্যাচ জিতলে সবার মধ্যে আত্মবিশ্বাস চলে আসবে।
প্রশ্ন: এক বছরের মেয়াদে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। নিজেকে প্রমাণের জন্য যথেষ্ট কি না?
মিরাজ: যত দীর্ঘ মেয়াদে হবে, অধিনায়কের জন্য তত ভালো। যতটুকু সময় দেওয়া হয়েছে, চেষ্টা করব কাজে লাগাতে; ভালো ফল এনে দিতে। তারপর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন, যাঁরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজ করেন। আমার কাজ হলো মাঠে পারফর্ম করা, দলের সেরাটা বের করে আনা।
প্রশ্ন: অধিনায়ক হিসেবে কী স্বপ্ন দেখেন?
মিরাজ: সবারই তো স্বপ্ন থাকে ভালো কিছু করার। আর অধিনায়ক হিসেবে আমার অবশ্যই একটা স্বপ্ন আছে। বাংলাদেশকে একটা বড় শিরোপা এনে দিতে পারলে এটাই বড় অর্জন হবে।

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
ইচ্ছা থাকলেও আরও একটি বিশ্বকাপ মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি যে হাতে নেই, সেটা ভালোভাবেই জানেন মেসি। কিছুদিন আগে আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী জানিয়েছিলেন, শরীর সুস্থ থাকলে ও ফর্ম থাকলে কেবল ২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আশা করি, আমি বিশ্বকাপ খেলতে পারব। আগেই বলেছি যে, আমি আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। বিশ্বকাপ খেলতে না পারা আমার জন্য সবচেয়ে খারাপ হবে। তেমনটা হলে আমি মাঠে বসে দলের খেলা উপভোগ করব।’
লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে গত সাড়ে চার বছরে একটি বিশ্বকাপের পাশাপাশি দুটি কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। দলের এমন সাফল্যে কোচের ভূমিকার কথা অকপটে স্বীকার করলেন মেসি, ‘বিশ্বকাপ সবার জন্য, যেকোনো দেশের জন্য বিশেষ; বিশেষ করে আমাদের জন্য। কারণ, আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে এটা উপভোগ করি। সত্যি কথা হলো, আমাদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে। বছরের পর বছর ধরে এটা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, লিওনেল স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আকাঙ্ক্ষা ও উত্তেজনা অনেকটাই বেড়ে গেছে।’
নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মেসি, ‘প্রত্যেকেরই দারুণ মানসিকতা আছে। আমাদের এই দলে অনেক বিজয়ী আছে। যাদের শক্তিশালী মানসিকতা আছে, যারা আরও জিততে চায়। জয়ের ইচ্ছাটা প্রশিক্ষণে ও ম্যাচে দেখা যায়। আমাদের দলটি অসাধারণ। আমরা ভালোভাবে একত্রে কাজ করি। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরাটা ঢেলে দেয়। এটাই এই দলের একটি বিশাল শক্তি।’

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
ইচ্ছা থাকলেও আরও একটি বিশ্বকাপ মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি যে হাতে নেই, সেটা ভালোভাবেই জানেন মেসি। কিছুদিন আগে আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী জানিয়েছিলেন, শরীর সুস্থ থাকলে ও ফর্ম থাকলে কেবল ২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আশা করি, আমি বিশ্বকাপ খেলতে পারব। আগেই বলেছি যে, আমি আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। বিশ্বকাপ খেলতে না পারা আমার জন্য সবচেয়ে খারাপ হবে। তেমনটা হলে আমি মাঠে বসে দলের খেলা উপভোগ করব।’
লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে গত সাড়ে চার বছরে একটি বিশ্বকাপের পাশাপাশি দুটি কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। দলের এমন সাফল্যে কোচের ভূমিকার কথা অকপটে স্বীকার করলেন মেসি, ‘বিশ্বকাপ সবার জন্য, যেকোনো দেশের জন্য বিশেষ; বিশেষ করে আমাদের জন্য। কারণ, আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে এটা উপভোগ করি। সত্যি কথা হলো, আমাদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে। বছরের পর বছর ধরে এটা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, লিওনেল স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আকাঙ্ক্ষা ও উত্তেজনা অনেকটাই বেড়ে গেছে।’
নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মেসি, ‘প্রত্যেকেরই দারুণ মানসিকতা আছে। আমাদের এই দলে অনেক বিজয়ী আছে। যাদের শক্তিশালী মানসিকতা আছে, যারা আরও জিততে চায়। জয়ের ইচ্ছাটা প্রশিক্ষণে ও ম্যাচে দেখা যায়। আমাদের দলটি অসাধারণ। আমরা ভালোভাবে একত্রে কাজ করি। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরাটা ঢেলে দেয়। এটাই এই দলের একটি বিশাল শক্তি।’

শুক্রবার সকালে মিরপুরে মেহেদী হাসান মিরাজের বাসায় যখন এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, তিনি তখন তৈরি হচ্ছেন কলম্বোর ফ্লাইট ধরার। শরীরে জ্বর, তবু তাঁর ইতিবাচক অভিব্যক্তি। যেকোনো পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকাই মিরাজের বড় গুণ। রওনা দেওয়ার আগে দেওয়া বাংলাদেশ দলের নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের সাক্ষাৎজুড়ে থাকল নতুন...
১৬ জুন ২০২৫
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
বয়কট থেকে সরে এসে দুজনকে ড্র অনুষ্ঠানে পাঠাবে ইরান। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী আহমাদ ডনজামালি সংবাদ সংস্থা ইরনাকে জানিয়েছেন, ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাকবেন ইরানের প্রধান কোচ আমির গালেনোই। তাঁর সঙ্গী হবেন ইরান ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফআইআরআই) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ওমিদ জামালি–প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাঁদের দুজনের সঙ্গে কয়েকজন প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকতে পারেন।
গত আগস্টে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে ড্র হবে। নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে ড্রয়ে উপস্থিত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের ৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে ভিসা পেয়েছেন মাত্র চারজন।
ভিসা না পাওয়ার তালিকায় আছেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি মেহেদী তাজ। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় গত জুনে ১২ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় আছে ইরান। তবে অলিম্পিক ও বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের কথা ভেবে কোচ, অ্যাথলেট ও নির্বাহীদের এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে কানাডা ও মেক্সিকো। গত মার্চ মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ইরান। সপ্তমবারের মতো দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে অংশ নেবে এশিয়ার দেশটি। আগের ছয় আসরে একবারও নকআউট পর্বে পা রাখতে পারেনি তারা। কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ইরান। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে দলটিকে হারিয়েছিল তারা। বিশ্বমঞ্চে সেটাই তাদের একমাত্র জয়।

প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
বয়কট থেকে সরে এসে দুজনকে ড্র অনুষ্ঠানে পাঠাবে ইরান। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী আহমাদ ডনজামালি সংবাদ সংস্থা ইরনাকে জানিয়েছেন, ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাকবেন ইরানের প্রধান কোচ আমির গালেনোই। তাঁর সঙ্গী হবেন ইরান ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফআইআরআই) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ওমিদ জামালি–প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাঁদের দুজনের সঙ্গে কয়েকজন প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকতে পারেন।
গত আগস্টে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে ড্র হবে। নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে ড্রয়ে উপস্থিত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের ৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে ভিসা পেয়েছেন মাত্র চারজন।
ভিসা না পাওয়ার তালিকায় আছেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি মেহেদী তাজ। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় গত জুনে ১২ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় আছে ইরান। তবে অলিম্পিক ও বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের কথা ভেবে কোচ, অ্যাথলেট ও নির্বাহীদের এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে কানাডা ও মেক্সিকো। গত মার্চ মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ইরান। সপ্তমবারের মতো দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে অংশ নেবে এশিয়ার দেশটি। আগের ছয় আসরে একবারও নকআউট পর্বে পা রাখতে পারেনি তারা। কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ইরান। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে দলটিকে হারিয়েছিল তারা। বিশ্বমঞ্চে সেটাই তাদের একমাত্র জয়।

শুক্রবার সকালে মিরপুরে মেহেদী হাসান মিরাজের বাসায় যখন এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, তিনি তখন তৈরি হচ্ছেন কলম্বোর ফ্লাইট ধরার। শরীরে জ্বর, তবু তাঁর ইতিবাচক অভিব্যক্তি। যেকোনো পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকাই মিরাজের বড় গুণ। রওনা দেওয়ার আগে দেওয়া বাংলাদেশ দলের নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের সাক্ষাৎজুড়ে থাকল নতুন...
১৬ জুন ২০২৫
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতাধীন জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ সাংবাদিকদের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘বাফুফেকে উন্নতমানের ইউরোপীয় পর্যায়ের কোচ আনা এবং নারী খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধি—এই দুইটা খাতের জন্য আসলে কোথা থেকে অর্থের জোগাড় করা যায়, সেটা ভাবছি। হয় আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নেব অথবা যে ফান্ড আছে, সেখান থেকে সোর্স করে বাফুফেকে একটা ফান্ড দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
তাহলে কি হাভিয়ের কাবরেরার পরিবর্তে আসতে যাচ্ছেন নতুন কেউ? উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা বাফুফের সিদ্ধান্ত। তবে ভালো কোচ আনতে গেলে একটা আর্থিক ব্যাপার আছে। আপনারা জানেন যে, ইউরোপের বড় বড় দলগুলো কোচদের যে টাকা দেয়, সেটা হয়তো আমাদের পুরো বাফুফের বার্ষিক বাজেটের সমান। আমরা এখনই ওই পর্যায়ে যেতে পারব না। তবে উন্নতমানের কোচ আনার ক্ষেত্রে অর্থ যেন একটা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই জায়গা থেকে আমরা একটা সহযোগিতা করার বা একটা ফান্ড তাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতাধীন জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ সাংবাদিকদের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘বাফুফেকে উন্নতমানের ইউরোপীয় পর্যায়ের কোচ আনা এবং নারী খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধি—এই দুইটা খাতের জন্য আসলে কোথা থেকে অর্থের জোগাড় করা যায়, সেটা ভাবছি। হয় আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নেব অথবা যে ফান্ড আছে, সেখান থেকে সোর্স করে বাফুফেকে একটা ফান্ড দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
তাহলে কি হাভিয়ের কাবরেরার পরিবর্তে আসতে যাচ্ছেন নতুন কেউ? উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা বাফুফের সিদ্ধান্ত। তবে ভালো কোচ আনতে গেলে একটা আর্থিক ব্যাপার আছে। আপনারা জানেন যে, ইউরোপের বড় বড় দলগুলো কোচদের যে টাকা দেয়, সেটা হয়তো আমাদের পুরো বাফুফের বার্ষিক বাজেটের সমান। আমরা এখনই ওই পর্যায়ে যেতে পারব না। তবে উন্নতমানের কোচ আনার ক্ষেত্রে অর্থ যেন একটা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই জায়গা থেকে আমরা একটা সহযোগিতা করার বা একটা ফান্ড তাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

শুক্রবার সকালে মিরপুরে মেহেদী হাসান মিরাজের বাসায় যখন এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, তিনি তখন তৈরি হচ্ছেন কলম্বোর ফ্লাইট ধরার। শরীরে জ্বর, তবু তাঁর ইতিবাচক অভিব্যক্তি। যেকোনো পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকাই মিরাজের বড় গুণ। রওনা দেওয়ার আগে দেওয়া বাংলাদেশ দলের নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের সাক্ষাৎজুড়ে থাকল নতুন...
১৬ জুন ২০২৫
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। এই অবসরে আজ রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে গেলেন লিটন দাস। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে এল বাংলাদেশ দল-প্রসঙ্গ। সেখানে লিটন জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে নন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে প্রস্তুতির দারুণ এক মঞ্চ হিসেবে বিপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দেশের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারলে নতুন করে জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ার সুযোগ মেলে অনেক ক্রিকেটারের। গত এক বছরে জাতীয় দলে নেই কিন্তু বিপিএলে ভালো করে ফেলল, এমন কোনো ক্রিকেটারের সুযোগ কি মিলবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে? লিটন হতাশ করছেন না। বিপিএলে ভালো করলে দরজা খোলাই থাকবে বলে মনে করেন তিনি। তবে জাতীয় দলে টানা খেলার মধ্যে থাকা ক্রিকেটারদের প্রাধান্যই বেশি তাঁর কাছে।
লিটন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যাঁরা অনেকদিন ধরে এই সংস্করণে খেলে আসছে তাঁদের প্রাধান্যই বেশি। এই দলে যে বাড়তি কোনো খেলোয়াড় ঢুকবে না বিষয়টা তাও না। কিন্তু যাঁরা এতদিন ধরে এই সংস্করণে খেলছে, ভালো করছে, আমার কাছে মনে হয় অভিজ্ঞতা তাঁদেরই বেশি। তবু বিপিএল বাংলাদেশের অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট। যদি কোনো খেলোয়াড় ভালো করে, সেক্ষেত্রে নির্বাচক বা কোচ যদি মনে করে যে আমাদের ওই খেলোয়াড়কে দরকার তাহলে কেন নয়? বাংলাদেশের সবার জন্যই জায়গাটা খোলা আছে।’
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির শেষ মঞ্চ হওয়ায় বিপিএলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ভালো খেলার তাগিদ দিলেন লিটন, ‘অনেক দিন ধরেই তো এই খেলোয়াড়েরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলছে। আমার মনে হয় চলতি বছর আমরা ১৮–১৯ জন খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি সংস্করণে খেলেছি। দল তো হয়ই ১৫-১৬ জনের। আমার মনে হয় যেসব খেলোয়াড় দলে ছিল, তারা পারফর্ম করেছে। তারা বিশ্বকাপ খেলার দাবিদার। নিকট অতীতে আমাদের মিডলঅর্ডার নিয়ে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমি সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না। কারণ আমাদের দুই-একটা খেলোয়াড় রানে ফিরেছে। এখন আমরা যদি বিপিএলে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, খেলোয়াড়দের যে মানসিকতা থাকবে, বিশ্বকাপে সেটা কাজে দেবে।’

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। এই অবসরে আজ রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে গেলেন লিটন দাস। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে এল বাংলাদেশ দল-প্রসঙ্গ। সেখানে লিটন জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে নন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে প্রস্তুতির দারুণ এক মঞ্চ হিসেবে বিপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দেশের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারলে নতুন করে জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ার সুযোগ মেলে অনেক ক্রিকেটারের। গত এক বছরে জাতীয় দলে নেই কিন্তু বিপিএলে ভালো করে ফেলল, এমন কোনো ক্রিকেটারের সুযোগ কি মিলবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে? লিটন হতাশ করছেন না। বিপিএলে ভালো করলে দরজা খোলাই থাকবে বলে মনে করেন তিনি। তবে জাতীয় দলে টানা খেলার মধ্যে থাকা ক্রিকেটারদের প্রাধান্যই বেশি তাঁর কাছে।
লিটন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যাঁরা অনেকদিন ধরে এই সংস্করণে খেলে আসছে তাঁদের প্রাধান্যই বেশি। এই দলে যে বাড়তি কোনো খেলোয়াড় ঢুকবে না বিষয়টা তাও না। কিন্তু যাঁরা এতদিন ধরে এই সংস্করণে খেলছে, ভালো করছে, আমার কাছে মনে হয় অভিজ্ঞতা তাঁদেরই বেশি। তবু বিপিএল বাংলাদেশের অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট। যদি কোনো খেলোয়াড় ভালো করে, সেক্ষেত্রে নির্বাচক বা কোচ যদি মনে করে যে আমাদের ওই খেলোয়াড়কে দরকার তাহলে কেন নয়? বাংলাদেশের সবার জন্যই জায়গাটা খোলা আছে।’
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির শেষ মঞ্চ হওয়ায় বিপিএলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ভালো খেলার তাগিদ দিলেন লিটন, ‘অনেক দিন ধরেই তো এই খেলোয়াড়েরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলছে। আমার মনে হয় চলতি বছর আমরা ১৮–১৯ জন খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি সংস্করণে খেলেছি। দল তো হয়ই ১৫-১৬ জনের। আমার মনে হয় যেসব খেলোয়াড় দলে ছিল, তারা পারফর্ম করেছে। তারা বিশ্বকাপ খেলার দাবিদার। নিকট অতীতে আমাদের মিডলঅর্ডার নিয়ে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমি সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না। কারণ আমাদের দুই-একটা খেলোয়াড় রানে ফিরেছে। এখন আমরা যদি বিপিএলে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, খেলোয়াড়দের যে মানসিকতা থাকবে, বিশ্বকাপে সেটা কাজে দেবে।’

শুক্রবার সকালে মিরপুরে মেহেদী হাসান মিরাজের বাসায় যখন এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, তিনি তখন তৈরি হচ্ছেন কলম্বোর ফ্লাইট ধরার। শরীরে জ্বর, তবু তাঁর ইতিবাচক অভিব্যক্তি। যেকোনো পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকাই মিরাজের বড় গুণ। রওনা দেওয়ার আগে দেওয়া বাংলাদেশ দলের নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের সাক্ষাৎজুড়ে থাকল নতুন...
১৬ জুন ২০২৫
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১৩ ঘণ্টা আগে