Ajker Patrika

সুযোগ পেয়েই যেভাবে কাঁপাচ্ছেন ফখর-শামি

আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২: ০৫
সুযোগ পেয়েই যেভাবে কাঁপাচ্ছেন ফখর-শামি

বড় মঞ্চের খেলোয়াড়েরা শুধু সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন। ঠিক যেমন মাছরাঙা কোনো মাছ শিকারের অপেক্ষায় ধৈর্য ধরে থাকে। সুযোগ পাওয়ামাত্র নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে সফলতা অর্জন করে।

এবারের বিশ্বকাপে মোহাম্মদ শামি ও ফখর জামানের গল্পটা তেমনি। বিশ্বকাপে দুজনই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। যখনই সুযোগ আসবে তা লুফে নেবেন। সেই সুযোগ পেয়ে দুজনই এখন বিশ্বকাপ কাঁপাচ্ছেন। পেছনে ফিরে তাকানোর এখন কোনো সময় নেই তাঁদের। 

বিশ্বকাপে সমান ৩ ম্যাচেই নিজেদের আরেকবার প্রমাণ করেছেন শামি-ফখর। কেন তাঁদের বড় মঞ্চের খেলোয়াড় বলা হয়? ভারতীয় ক্রিকেটে মেধাবী ব্যাটারের অভাব নেই। এত এত দুর্দান্ত সব ব্যাটার যে একাদশ সাজাতে গিয়ে মধুর সমস্যায় পড়তে হয় কোচ ও অধিনায়ককে। সেদিক থেকে বোলারদের নিয়ে এমন সমস্যায় কমই পড়তে হয়।

তবে কয়েক বছর ধরে ভারতের বোলিং লাইন আপও দুর্দান্ত শক্তিশালী হয়েছে। কাকে রেখে কাকে খেলাবে সেই চিন্তাই প্রতি ম্যাচে করতে হয় ভারতীয় ম্যানেজমেন্টকে। জাসপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, ভুবনেশ্বর কুমার, মোহাম্মদ শামিদের মতো দুর্দান্ত পেসার রয়েছে। এবারে বিশ্বকাপে ভুবি সুযোগ না পাওয়ায় লড়াইটা তাই বাকি তিনজনের মধ্যে হচ্ছে।

সেই লড়াইয়ে শুরুতে একাদশের বাইরে ছিলেন শামি। দলীয় কম্বিনেশনের কারণেই তাঁকে বাইরে থাকতে হয়েছে। কেননা, একজন পেসারের অভাব দারুণভাবে কয়েক বছর ধরেই পূরণ করে দিয়ে আসছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে ভারতীয় অলরাউন্ডার চোটে পড়লে কপাল খুলে শামির। অটো চয়েস বুমরা ও সিরাজের সঙ্গে জুটি বাঁধার সুযোগ পান নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। 

সুযোগ পেয়ে সতীর্থদের এখন টেক্কা দিচ্ছেন শামি। প্রথম ম্যাচেই ৫ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডার মুড়িয়ে দেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে ১ উইকেট কম পেলেও তাঁর বোলিং তোপে মুখ থুবড়ে পড়ে ইংল্যান্ড। ২৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২৯ রানেই শেষ হয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ইনিংস।

তৃতীয় ম্যাচে আবার আগের দুই পারফরম্যান্সকেই ছাড়িয়ে যান শামি। আগুনে বোলিং করে লঙ্কাকাণ্ড বাঁধিয়ে দেন তিনি। খুনে মেজাজে বোলিং করে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দেন তিনি। মাত্র ৫৫ রানে অলআউট হয় ১৯৯৬ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা। এ দিন রেকর্ডও গড়েছেন শামি। ভারতের হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৪৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড। ১৪ ম্যাচে জহির খান ও জাভাগাল শ্রীনাথের ৪৪ উইকেট ছাড়িয়ে যান ভারতীয় পেসার। ওয়ানডেতে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ বার ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তিও গড়েছেন তিনি। সঙ্গে বিশ্বকাপে মিচেল স্টার্কের তিনবার ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন।

শামির দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতও ছুটছে দুর্দান্ত গতিতে। ৩ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে বোলারদের শীর্ষ উইকেটের তালিকায় ছয়ে আছেন। তাঁর চেয়ে প্রত্যেকে কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ ম্যাচ বেশি খেলেছে। ৭ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি অ্যাডাম জাম্পা। ভারতীয়দের মধ্যে শামি দ্বিতীয়। তাঁর ওপরে ৭ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে শীর্ষে বুমরা। 

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি উদ্‌যাপন করছেন ফখরঅন্যদিকে বিশ্বকাপের শুরুতেই অবশ্য সুযোগ পেয়েছিলেন ফখর। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। মাত্র ১২ রান করে যেন এশিয়া কাপের ব্যর্থতাকেই স্মরণ করে দিচ্ছিলেন পাকিস্তানি ওপেনার। পরে আর কোনো সুযোগ না পেয়ে একাদশে জায়গাও হারালেন। তাই বলে একেবারে শেষ হয়েছেন এমনটা নয়। তার প্রমাণ দ্বিতীয়বার সুযোগ পেয়েই দেখালেন। 

দল যখন একের পর এক হারে হতাশ, সেমিফাইনালে খেলার ভাগ্য যখন সুতোয় ঝুলছে, ঠিক তখনই পাকিস্তানের ভাগ্যকে নিজেদের পক্ষে আনার সুযোগ করে দিচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮১ রানের ইনিংস খেলে যেন জানান দিচ্ছিলেন বড় কিছুর। সেটা পরের ম্যাচেই দেখিয়েছেন। সাকিব আল হাসানদের ৭ উইকেটে হারানোর ম্যাচে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। ম্যাচসেরা ইনিংসে দলকে শেষ চারে টিকিয়ে রেখেছেন।

গতকালের ম্যাচে তো বড় পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। ফখরের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের কারণেই সেটি উত্তরাতে পেরেছে ১৯৯২ বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তা না হলে বিশ্বকাপ যাত্রার ভাগ্য কালকেই ঠিক হয়ে যেত। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে ৪০২ রান করতে হতো পাকিস্তানকে। চার শ রান তাড়া করে জেতার কোনো নজির নেই বিশ্বকাপে। রেকর্ড রান তাড়া করতে তাই শুরু থেকেই বিধ্বংসী ইনিংস প্রয়োজন পাকিস্তানের। কিন্তু উল্টো ৬ রানেই উইকেট হারিয়ে বসে তারা।

তবে শুরু থেকেই সহজাত ব্যাটিং করে যান ফখর। তাঁকে অবশ্য ভালো সঙ্গ দিয়েছেন অধিনায়ক বাবর আজমও। প্রিয় চার–ছক্কা মারায় মত্ত হন তিনি। তাঁর খুনে ব্যাটিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন কিউই বোলাররা। ৬৩ বলে সেঞ্চুরি করে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান এখন তিনি। অপরাজিত ১২৬ রানের ইনিংসে ৮ চার ও ১১ ছক্কা হাঁকিয়েছেন। ১১ ছক্কায় রেকর্ড গড়েছেন বাঁহাতি ব্যাটার। পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডেতে এক ইনিংসে শহীদ আফ্রিদির মারা ছক্কার কীর্তি স্পর্শ করেছেন। 

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত মাত্র ৩ ম্যাচ খেলেছেন ফখর। তিন ম্যাচেই এবারের বিশ্বকাপে ছক্কা মারার তালিকায় শীর্ষ তিনে ওঠে এসেছেন। মোট ১৮ ছক্কা মেরেছেন তিনি। তাঁর আগে যৌথভাবে আছেন রোহিত শর্মা ও ডেভিড ওয়ার্নার। ৭ ম্যাচে ২০ ছক্কা হাঁকিয়েছেন দুজনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আর্জেন্টিনা-স্পেনের ‘ফিনালিসিমা’ কবে, কখন, কোথায়

ক্রীড়া ডেস্ক    
প্রথমবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন মেসি-ইয়ামাল। ছবি: সংগৃহীত
প্রথমবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন মেসি-ইয়ামাল। ছবি: সংগৃহীত

কিছুদিন আগেও বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠানে ম্যাচটি নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। সেই অনিশ্চয়তা কাটিয়ে অবশেষে আজ ফিনালিসিমার সূচি নির্ধারণ করেছে দুই মহাদেশীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফা ও কনমেবল।

আগামী বছরের ২৭ মার্চ হবে ফিনালিসিমা। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় ম্যাচটিতে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে লড়বে স্পেন। বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় শুরু হবে ম্যাচ। এই স্টেডিয়ামেই ২০২২ সালে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা।

দীর্ঘদিন হিমাগারে থাকা ইউরো ও কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফিরে আসে ২০২২ সালে। সেবার ইতালিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। ২০২৪ সালেও কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখে তারা। একই বছর ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো জেতে স্পেন।

এর আগে প্রতিযোগিতাটি ‘আরতেমিও ফ্রাঙ্কি কাপ’ নামে পরিচিত ছিল। ১৯৮৫ সালে উরুগুয়েকে হারিয়ে প্রথম শিরোপা জেতে ফ্রান্স আর ১৯৯৩ সালে ডেনমার্ককে টাইব্রেকারে হারিয়ে ট্রফি জেতে আর্জেন্টিনা। এবারের লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ লিওনেল মেসি ও লামিনে ইয়ামাল। সব ঠিক থাকলে প্রথমবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন তারা।

স্পেন ও আর্জেন্টিনা এনিয় ১৪ বার মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে দুই দলই সমানভাবে ৬টি ম্যাচ জিতেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১৪ জানুয়ারি ঢাকায় আসছে ফিফা বিশ্বকাপের ট্রফি

ক্রীড়া ডেস্ক    
ঢাকায় বিশ্বকাপের মূল ট্রফি দেখার সুযোগ পাবেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকায় বিশ্বকাপের মূল ট্রফি দেখার সুযোগ পাবেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। ছবি: সংগৃহীত

আর মাস ছয়েক পরই শুরু হবে ফিফা বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা ও মেক্সিকোয় অনুষ্ঠেয় এই বিশ্বকাপ শুরুর আগেই টুর্নামেন্টের উত্তাপ ছড়াতে বাংলাদেশ সফরে আসছে বিশ্বকাপ ট্রফি। কোকো-কোলার উদ্যোগে আসছে ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় এসে পৌঁছবে বিশ্বকাপের মূল ট্রফিটি।

গতকাল কোকাকোলার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়েছে, ‘কোকা-কোলার উদ্যোগে আয়োজিত ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি ট্যুরের অংশ হিসেবে আগামী ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় পৌঁছাবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা ফুটবলের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত পুরস্কার—মূল ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি স্বচক্ষে দেখার সুযোগ পাবেন।’

বিশ্ব ভ্রমণে ৩০টি দেশ, ১৫০ দিনে ৭৫টি স্থানে হাজির হবে বিশ্বকাপ ট্রফির মূল ট্রফি। যা স্থানীয় মানুষের জন্য নিয়ে আসবে অনন্য এক অভিজ্ঞতা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশ্বকাপে প্রস্তুতি ম্যাচে প্রতিপক্ষ কারা, জানাল বিসিবি

ক্রীড়া ডেস্ক    
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ছবি: ক্রিকইনফো
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ছবি: ক্রিকইনফো

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে দুই মাসও বাকি নেই। ৭ ফেব্রুয়ারি ভারত-শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে শুরু হচ্ছে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) মূল ম্যাচের সূচি দিলেও প্রস্তুতি পর্বের সূচি ঘোষণা করেনি। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়ে দিয়েছে, কোন কোন দলের বিপক্ষে খেলে লিটন দাস-তানজিদ হাসান তামিমরা বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেবেন।

মিরপুরে আজ সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও শাহরিয়াল নাফীস।
মিরপুরে আজ সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও শাহরিয়াল নাফীস।

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না থাকায় যে যাঁর মতো সময়টা উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছেন। নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাসরা পরিবার নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেছেন। ২৬ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে তাঁদের ব্যস্ত সময়। সিলেট পর্বে ১২তম বিপিএল শুরু হয়ে শেষটা হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ২৩ জানুয়ারি হবে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল। বিপিএল শেষ না হতেই লিটন, তানজিদ, তাসকিন আহমেদদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে বিশ্বকাপে। মূল পর্বে নামার আগে ঘরের মাঠে ক্যাম্প করবেন লিটনরা। আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেছেন, ‘‘বিপিএল শেষে দুই-তিন দিনের ছোট একটা ক্যাম্প হবে। এরপর ২৮ জানুয়ারি বেঙ্গালুরুতে যাবে দল। সেখানে নামিবিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব আমরা।’

৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্বকাপের প্রথম দিনেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তার আগে বিপিএল থাকলেও মূলত বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই প্রস্তুতি নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ফাহিম। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান বলেন, ‘প্রস্তুতিটা আমরা খুব হিসেব করে নিচ্ছি। বিপিএলে যেসব দলের ম্যাচ আগে শেষ হয়ে যাবে, তাদের নিয়ে আগেভাগেই কাজ শুরু হবে। যারা শেষ চারে উঠতে পারবে না, কিন্তু জাতীয় দলের সম্ভাব্য খেলোয়াড়—তাদের আগেভাগেই প্রস্তুতির আওতায় নিয়ে আনতে চাই আমরা।’

বিপিএল শেষেই যেহেতু বিশ্বকাপের জন্য লিটন-তানজিদদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, সেজন্য তাঁদের ধকল কমাতে বিশেষ ব্যবস্থা করেছে বিসিবি। মিরপুরে আজ সাংবাদিকদের বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীস বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে একজন ট্রেনার পুরো বিপিএল দেখভাল করবেন। জাতীয় দলে নিয়মিত ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট হবে জিপিএসের মাধ্যমে। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে যদি কোনো ক্রিকেটার রেড জোনে থাকে, সেই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে। সেই ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আম্পায়ারদের কাছে ব্যাখ্যা চাইছেন স্টেইন

ক্রীড়া ডেস্ক    
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ারদের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ডেল স্টেইন। ছবি: ক্রিকইনফো
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ারদের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ডেল স্টেইন। ছবি: ক্রিকইনফো

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত হওয়ার পর চলছে নানা আলাপ-আলোচনা। সামাজিক মাধ্যমে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) ধুয়ে দিয়েছেন ভক্ত-সমর্থকেরা। নেটিজেনদের অনেকে টিকিটের টাকাও ফেরত চেয়েছেন। ডেল স্টেইন এই ম্যাচের দায়িত্বে থাকা আম্পায়ারদের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বাংলাদেশ সময় গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে লক্ষ্ণৌর অটল বিহারি বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে বারবার ম্যাচের পর্যবেক্ষণের সময় বদলানো হয়। ছয় দফা মাঠ পর্যবেক্ষণ করেও ইতিবাচক কিছু না পাওয়ায় রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

এই ম্যাচে মাঠের আম্পায়ার ছিলেন কেএন অনন্তপদ্মনবন, রোহান পন্ডিত এবং তৃতীয় ও চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন বীরেন্দর শর্মা ও জয়ারামান মদনগোপাল। ম্যাচ শেষে জিওস্টারে ডেল স্টেইন বলেন, ‘কোনো এক আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে পারলে ভালো লাগত। মাঝেমধ্যে শোনা গেছে, তাঁরা রাত ৮টা ৩০ মিনিটে মাঠ পর্যবেক্ষণ করবেন। কিন্তু আমি জানি না কোন নিয়ম নিয়ে তাঁরা ভাবছিলেন। তারা কী ভাবছিলেন আর কী মূল্যায়ন করছিলেন, সেটা জানতে খুব ইচ্ছে করছে। যদি তাঁরা বারবার সামনে দিয়ে হেঁটে যান, তাহলে এই ব্যাপারে স্পষ্ট ব্যাখ্যা অবশ্যই জানতে চাইবেন।ক্রিকেটার হিসেবে আপনাকে শুধু খেলতে হবে। সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে খেলতে পারলে ভালো লাগত। কিন্তু কিছু নিয়মকানুন তো অবশ্যই আছে। এটা আমার জানা নেই।’

ম্যাচ কর্মকর্তারাও মাঠ পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে খেলা চালানোর মতো অবস্থা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানসহ উপমহাদেশে এখন চলছে শীতকাল। ঘন কুয়াশা তাই বলে অপ্রত্যাশিত নয়। কিন্তু গতকাল লক্ষ্ণৌর বায়ুর গুণগত সূচক (একিউআই) ৪০০-এর বেশি ছিল বলে চারদিক ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল। অটল বিহারী বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে হার্দিক পান্ডিয়াসহ অনেক ক্রিকেটারকেই মাস্ক পরে ঘুরতে দেখা গেছে। একটা পর্যায়ে ভারতীয় দল ড্রেসিংরুমের ভেতরেই নিজেদের আবদ্ধ করে রাখে। বাজে আবহাওয়ার মধ্যেও ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হচ্ছিল না দেখে অসন্তুষ্ট ছিলেন রবিন উথাপ্পা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের টস করাই সম্ভব হয়নি।

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এখন ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ভারত। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে সিরিজের পঞ্চম টি-টোয়েন্টি। এর আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ভারত জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। টেস্টে স্বাগতিকদের ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে প্রোটিয়ারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত