Ajker Patrika

সুযোগ পেয়েই যেভাবে কাঁপাচ্ছেন ফখর-শামি

আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২: ০৫
সুযোগ পেয়েই যেভাবে কাঁপাচ্ছেন ফখর-শামি

বড় মঞ্চের খেলোয়াড়েরা শুধু সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন। ঠিক যেমন মাছরাঙা কোনো মাছ শিকারের অপেক্ষায় ধৈর্য ধরে থাকে। সুযোগ পাওয়ামাত্র নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে সফলতা অর্জন করে।

এবারের বিশ্বকাপে মোহাম্মদ শামি ও ফখর জামানের গল্পটা তেমনি। বিশ্বকাপে দুজনই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। যখনই সুযোগ আসবে তা লুফে নেবেন। সেই সুযোগ পেয়ে দুজনই এখন বিশ্বকাপ কাঁপাচ্ছেন। পেছনে ফিরে তাকানোর এখন কোনো সময় নেই তাঁদের। 

বিশ্বকাপে সমান ৩ ম্যাচেই নিজেদের আরেকবার প্রমাণ করেছেন শামি-ফখর। কেন তাঁদের বড় মঞ্চের খেলোয়াড় বলা হয়? ভারতীয় ক্রিকেটে মেধাবী ব্যাটারের অভাব নেই। এত এত দুর্দান্ত সব ব্যাটার যে একাদশ সাজাতে গিয়ে মধুর সমস্যায় পড়তে হয় কোচ ও অধিনায়ককে। সেদিক থেকে বোলারদের নিয়ে এমন সমস্যায় কমই পড়তে হয়।

তবে কয়েক বছর ধরে ভারতের বোলিং লাইন আপও দুর্দান্ত শক্তিশালী হয়েছে। কাকে রেখে কাকে খেলাবে সেই চিন্তাই প্রতি ম্যাচে করতে হয় ভারতীয় ম্যানেজমেন্টকে। জাসপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, ভুবনেশ্বর কুমার, মোহাম্মদ শামিদের মতো দুর্দান্ত পেসার রয়েছে। এবারে বিশ্বকাপে ভুবি সুযোগ না পাওয়ায় লড়াইটা তাই বাকি তিনজনের মধ্যে হচ্ছে।

সেই লড়াইয়ে শুরুতে একাদশের বাইরে ছিলেন শামি। দলীয় কম্বিনেশনের কারণেই তাঁকে বাইরে থাকতে হয়েছে। কেননা, একজন পেসারের অভাব দারুণভাবে কয়েক বছর ধরেই পূরণ করে দিয়ে আসছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে ভারতীয় অলরাউন্ডার চোটে পড়লে কপাল খুলে শামির। অটো চয়েস বুমরা ও সিরাজের সঙ্গে জুটি বাঁধার সুযোগ পান নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। 

সুযোগ পেয়ে সতীর্থদের এখন টেক্কা দিচ্ছেন শামি। প্রথম ম্যাচেই ৫ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডার মুড়িয়ে দেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে ১ উইকেট কম পেলেও তাঁর বোলিং তোপে মুখ থুবড়ে পড়ে ইংল্যান্ড। ২৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২৯ রানেই শেষ হয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ইনিংস।

তৃতীয় ম্যাচে আবার আগের দুই পারফরম্যান্সকেই ছাড়িয়ে যান শামি। আগুনে বোলিং করে লঙ্কাকাণ্ড বাঁধিয়ে দেন তিনি। খুনে মেজাজে বোলিং করে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দেন তিনি। মাত্র ৫৫ রানে অলআউট হয় ১৯৯৬ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা। এ দিন রেকর্ডও গড়েছেন শামি। ভারতের হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৪৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড। ১৪ ম্যাচে জহির খান ও জাভাগাল শ্রীনাথের ৪৪ উইকেট ছাড়িয়ে যান ভারতীয় পেসার। ওয়ানডেতে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ বার ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তিও গড়েছেন তিনি। সঙ্গে বিশ্বকাপে মিচেল স্টার্কের তিনবার ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন।

শামির দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতও ছুটছে দুর্দান্ত গতিতে। ৩ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে বোলারদের শীর্ষ উইকেটের তালিকায় ছয়ে আছেন। তাঁর চেয়ে প্রত্যেকে কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ ম্যাচ বেশি খেলেছে। ৭ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি অ্যাডাম জাম্পা। ভারতীয়দের মধ্যে শামি দ্বিতীয়। তাঁর ওপরে ৭ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে শীর্ষে বুমরা। 

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি উদ্‌যাপন করছেন ফখরঅন্যদিকে বিশ্বকাপের শুরুতেই অবশ্য সুযোগ পেয়েছিলেন ফখর। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। মাত্র ১২ রান করে যেন এশিয়া কাপের ব্যর্থতাকেই স্মরণ করে দিচ্ছিলেন পাকিস্তানি ওপেনার। পরে আর কোনো সুযোগ না পেয়ে একাদশে জায়গাও হারালেন। তাই বলে একেবারে শেষ হয়েছেন এমনটা নয়। তার প্রমাণ দ্বিতীয়বার সুযোগ পেয়েই দেখালেন। 

দল যখন একের পর এক হারে হতাশ, সেমিফাইনালে খেলার ভাগ্য যখন সুতোয় ঝুলছে, ঠিক তখনই পাকিস্তানের ভাগ্যকে নিজেদের পক্ষে আনার সুযোগ করে দিচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮১ রানের ইনিংস খেলে যেন জানান দিচ্ছিলেন বড় কিছুর। সেটা পরের ম্যাচেই দেখিয়েছেন। সাকিব আল হাসানদের ৭ উইকেটে হারানোর ম্যাচে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। ম্যাচসেরা ইনিংসে দলকে শেষ চারে টিকিয়ে রেখেছেন।

গতকালের ম্যাচে তো বড় পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। ফখরের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের কারণেই সেটি উত্তরাতে পেরেছে ১৯৯২ বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তা না হলে বিশ্বকাপ যাত্রার ভাগ্য কালকেই ঠিক হয়ে যেত। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে ৪০২ রান করতে হতো পাকিস্তানকে। চার শ রান তাড়া করে জেতার কোনো নজির নেই বিশ্বকাপে। রেকর্ড রান তাড়া করতে তাই শুরু থেকেই বিধ্বংসী ইনিংস প্রয়োজন পাকিস্তানের। কিন্তু উল্টো ৬ রানেই উইকেট হারিয়ে বসে তারা।

তবে শুরু থেকেই সহজাত ব্যাটিং করে যান ফখর। তাঁকে অবশ্য ভালো সঙ্গ দিয়েছেন অধিনায়ক বাবর আজমও। প্রিয় চার–ছক্কা মারায় মত্ত হন তিনি। তাঁর খুনে ব্যাটিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন কিউই বোলাররা। ৬৩ বলে সেঞ্চুরি করে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান এখন তিনি। অপরাজিত ১২৬ রানের ইনিংসে ৮ চার ও ১১ ছক্কা হাঁকিয়েছেন। ১১ ছক্কায় রেকর্ড গড়েছেন বাঁহাতি ব্যাটার। পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডেতে এক ইনিংসে শহীদ আফ্রিদির মারা ছক্কার কীর্তি স্পর্শ করেছেন। 

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত মাত্র ৩ ম্যাচ খেলেছেন ফখর। তিন ম্যাচেই এবারের বিশ্বকাপে ছক্কা মারার তালিকায় শীর্ষ তিনে ওঠে এসেছেন। মোট ১৮ ছক্কা মেরেছেন তিনি। তাঁর আগে যৌথভাবে আছেন রোহিত শর্মা ও ডেভিড ওয়ার্নার। ৭ ম্যাচে ২০ ছক্কা হাঁকিয়েছেন দুজনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিপিএলে আমিরের কাছে ইবাদতের চাওয়া অনেক বেশি

ক্রীড়া ডেস্ক    
অনুশীলনে মোহাম্মদ আমির। ছবি: সিলেট টাইটান্সের ফেসবুক পেজ
অনুশীলনে মোহাম্মদ আমির। ছবি: সিলেট টাইটান্সের ফেসবুক পেজ

২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সিলেট টাইটান্স যে কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার ভিড়িয়েছে মোহাম্মদ আমির তাদের মধ্যে অন্যতম। এই সংস্করণে বাঁ হাতি পেসারের অভিজ্ঞতা দারুণ। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর কাছ থেকে প্রত্যাশা অনেক বেশি সিলেটের আরেক পেসার ইবাদত হোসেনের।

নিলামের আগেই আমিরের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করেছিল সিলেট। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ৩৪৮ ম্যাচ খেলেছেন এই পেসার। ৩৪১ ইনিংসে বল হাতে নিয়েছেন ৪০৯ উইকেট। ইকোনমি ৭.৩৩। এছাড়া পাকিস্তানের হয়ে ৬২ টি-টোয়েন্টির ৬১ ইনিংসে ৭১ উইকেট নিয়েছেন আমির। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের পাশাপাশি তাঁর অভিজ্ঞতাও দলের জন্য কাজে আসবে বলে মনে করেন ইবাদত।

বিপিএল খেলতে গতকাল রাতে সিলেট শিবিরে যোগ দিয়েছেন আমির। আজ তাঁকে দলীয় অনুশীলনে দেখা গেছে। আমিরকে নিয়ে ইবাদত বলেন, ‘আমরা আমিরের কাছ থেকে নেয়ার চেয়ে তাঁর আমাদের দলকে দেয়ার অনেক কিছু আছে। তাঁর অভিজ্ঞতা অনেক। টি-টোয়েন্টিতে ৪০০ ’র বেশি উইকেট পেয়েছেন। তিনি যেন সেই অভিজ্ঞতাটা যাতে এই টিমের হয়ে কাজে লাগাতে পারেন। আশা করি বিপিএলে আমির নিজের সেরাটা দেবেন।’

নিজেদের দল নিয়ে সন্তুষ্ট ইবাদত, ‘দেশি এবং বিদেশি মিলিয়ে আমাদের দলটা ভালো হয়েছে। সিনিয়র এবং জুনিয়র মিলিয়ে খুব ভালো একটা কম্বিনেশন আছে আমাদের দলে। আমার কাছে মনে হয় বোলিং এবং ব্যাটিং প্রায় সমান। এমন না যে ৬০-৪০, আমার কাছে মনে হয় ৫০-৫০।’

আমির থাকায় বোলিং বিভাগকে কিছুটা এগিয়ে রাখছেন ইবাদত, ‘আমার মনে হয় বোলিংটা একটু বেশি ভালো। যেহেতু আমির ভাই আছেন। এছাড়া আমি, খালেদ, শহিদুল, রেজাউর, সবাই পারফর্মার এখানে। আমাদের দলটা আলহামদুলিল্লাহ খুবই ভালো আছে। সবাই যদি মাঠে ভালো পারফর্ম করতে পারে তাহলে ইনশাআল্লাহ চ্যাম্পিয়ন হব।’

বিপিএল শিরোপা জিততে বদ্ধপরিকর সিলেট। ইবাদত বলেন, ‘আমাদের এবারের থিমই হচ্ছে-‘এবার কিন্তু অইজিবো’ (এবার কিন্তু হয়ে যাবে)। এর মানে, আমাদের টিমের একটা পজিটিভ ভাইব। এটা শোনার পর মনে হয় এই বছর আমরা চ্যাম্পিয়ন হব ইনশাআল্লাহ। এই থিমটা নিয়েই আমরা এগোচ্ছি। আল্লাহ যদি সাহায্য করেন, আমরা এবার চ্যাম্পিয়ন হব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পজিশন নয়, বিপিএলে অঙ্কনের ভাবনায় পারফরম্যান্স

ক্রীড়া ডেস্ক    
নোয়াখালীর হয়ে এবার বিপিএল খেলবেন অঙ্কন। ছবি: সংগৃহীত
নোয়াখালীর হয়ে এবার বিপিএল খেলবেন অঙ্কন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে সব সময় পজিশনকে প্রাধান্য দেওয়া হয় না। দলের প্রয়োজনে ব্যাটারদের পজিশনে পরিবর্তন আনে ম্যানেজমেন্ট। তবে বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন না মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে পূর্ণ মনোযোগ দিচ্ছেন তিনি।

২০২৬ বিপিএলে অঙ্কনের ঠিকানা নোয়াখালী এক্সপ্রেস। নবাগত ফ্র্যাঞ্চাইজিটিতে আছেন হাসান মাহমুদ, সৌম্য সরকার, জনসন চার্লস, কুশল মেন্ডিস, জাকের আলী, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, হাবিবুর রহমান সোহানদের মতো বেশকিছু দেশি পরিচিত মুখ। বিদেশি কোটাতেও তাদের সংগ্রহ দারুণ। স্কোয়াডে ভিড়িয়েছে জনসন চার্লস, কুশল মেন্ডিস,  মোহাম্মদ নবী, হায়দার আলীদের মতো তারকাদের। এমন একটি স্কোয়াড নিয়ে শিরোপা জেতার স্বপ্ন দেখছেন অঙ্কন।

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ই ভালো ক্রিকেট খেলে জাতীয় দলে জায়গা পেতে চায়। আমারও তেমন লক্ষ্য আছে। আমি দলের হয়ে যেখানে যে পজিশনে সুযোগ পাই যেন অবদান রাখতে পারি। আমার কাছে মনে হয় যে আমি যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি অবশ্যই ইনশাআল্লাহ ভালো সুযোগ আসবে।’

দলের স্বার্থে যেকোনো পজিশনে ব্যাট হাতে নামতে প্রস্তুত অঙ্কন, ‘আমরা যাঁরা মিডল অর্ডার, লোয়ার অর্ডারে খেলি যে কারোর পজিশন চেঞ্জ হতে পারে। তার কারণে আমরা আগে থেকেই যদি সেট করে রাখি যে আমি এই পজিশনে খেলব সেটা হবে না। আমাদের কথা হচ্ছে যে আমরা কোন পজিশনে কখন কে কোথায় আসলে নামবে, কে কোথায় কার কি প্ল্যান ওই অনুযায়ী খেলবে।’

নবীর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দলের জন্য দারুণ সহায়ক হবে বলে মনে করেন অঙ্কন, ‘অনেক কাজে লাগবে (মোহাম্মদ নবীর অভিজ্ঞতা)। সে অনেক বছর ধরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলছে, বিপিএলও অনেক বছর খেলছে। আশা করছি যে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারবো দল হিসেবে।’

বিপিএলে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে অঙ্কন বলেন, ‘সবাই চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। আমরা শুরু থেকে দল হিসেবে কতটা গুছানো ক্রিকেট খেলতে পারছি, কতটা সবাই পারফরম্যান্স করতে পারছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকটা ম্যাচ ভালো খেলাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মোহামেডানের বিপক্ষে ড্র করে জটিল সমীকরণে কিংস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ০৭
মোহামেডান ও কিংসের দ্বৈরথ শেষ হয়েছে গোলশূন্য ড্রয়ে। ছবি: বাফুফে
মোহামেডান ও কিংসের দ্বৈরথ শেষ হয়েছে গোলশূন্য ড্রয়ে। ছবি: বাফুফে

মাঠের লড়াইয়ে উত্তাপ ছড়ায়নি, স্কোরবোর্ডে তাই এর প্রতিফলন দেখা গেল । ফেডারেশন কাপের বহুল প্রতিক্ষিত ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও বসুন্ধরা কিংসের দ্বৈরথ শেষ হয়েছে গোলশূন্য ড্রয়ে। এই অমীমাংসিত ফলাফলে মোহামেডান তাদের সেমিফাইনালের পথ অনেকটা পরিষ্কার করলেও, গ্রুপের মারপ্যাঁচে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস।

মঙ্গলবার কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুই দল। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল কিংস। মোহামেডান ডিফেন্সের ভুলে বল পেয়েছিলেন ইমানুয়েল সানডে, কিন্তু রাকিবের নেওয়া শট গোলরক্ষক সুজন রুখে দেন। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে রাকিব হোসেন বল জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি।

দ্বিতীয়ার্ধের ৬১ মিনিটে মুজাফ্ফরভের দুর্দান্ত ফ্রি-কিক রুখে দিয়ে কিংসকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো।

ম্যাচের একদম শেষ দিকে মোহামেডানের স্যামুয়েল বোয়াটেং নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি করলেও তপু বর্মনের ব্লকিংয়ে গোলবঞ্চিত হয় আলফাজ আহমেদের শিষ্যরা।

পুরো ম্যাচেই ফিনিশিংয়ের অভাব স্পষ্ট ছিল। কিংসের নাবিব নেওয়াজ জীবন ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিম বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেন। ফলে গত লিগ ম্যাচে হারের প্রতিশোধ নেওয়ার মোহামেডানের লক্ষ্য যেমন অপূর্ণ থাকল, তেমনি কিংসকেও মাঠ ছাড়তে হলো এক পয়েন্টের আক্ষেপ নিয়ে।

৩ ম্যাচে এক জয় ও দুই ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে আছে। অন্যদিকে, ২ ম্যাচে মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চার নম্বরে থাকা কিংসের জন্য পরবর্তী ম্যাচগুলো এখন অগ্নিপরীক্ষার সমান।

গ্রুপের বর্তমান সমীকরণ অনুযায়ী, প্লে অফে উঠতে হলে কিংসকে তাদের পরবর্তী ম্যাচগুলোতে বড় ব্যবধানে জয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। অন্যথায় ফেডারেশন কাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়ার একটি ক্ষীণ শঙ্কা জেগে রইল কিংসের তাবুতে। যদিও খুব একটা চিন্তিত নন কিংস কোচ মারিও গোমেস, ‘এই ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ, আগের ম্যাচে হেরে এসেছিলাম। তাই হার না মানাটা জরুরি ছিল। আমরা ভালো খেলেছি, শুধু গোলটাই দরকার ছিল—এইটুকুই। অবশ্যই (প্লে অফে খেলার সুযোগ) আছে। এখন আমরা বিশ্রাম নেব।’

লিগে কিছুদিন আগে কিংসের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল মোহামেডান। দলের খেলায় তাই উন্নতি খুঁজে পেয়েছেন সাদা কালো কোচ আলফাজ আহমেদ, ‘সব মিলিয়ে দল ভালো খেলছে এবং আমরা জয়ের জন্যই মাঠে নেমেছিলাম। তারপরও এটা খেলা, প্রতিপক্ষ দল শক্তিশালী। অবশ্যই তাদের সমীহ করতে হবে। গ্রুপে আমাদের আরেকটি ম্যাচ আছে। ওই ম্যাচ আমরা যদি জিততে পারি তাহলে আমরা কোয়ালিফাই করব এবং সেই ম্যাচের প্রত্যাশায় আমরা থাকছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এক ওভারে ৫ উইকেট নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার ক্রিকেটারের বিশ্ব রেকর্ড

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪১
এক ওভারে ৫ উইকেট নিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার পেসার গেদে প্রিয়ান্দানা। ছবি: ক্রিকইনফো
এক ওভারে ৫ উইকেট নিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার পেসার গেদে প্রিয়ান্দানা। ছবি: ক্রিকইনফো

গেদে প্রিয়ান্দানা নামটা ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে ‘অচেনা’ হওয়াটাই স্বাভাবিক। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৬৩ ম্যাচ খেলেও আলোচনায় আসার মতো কিছু যে ছিল না এত দিন। ২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়ার জার্সিতে খেলার তিন বছর পর আজ তিনি এলেন লাইমলাইটে। এক ওভারে ৫ উইকেট নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন ইন্দোনেশিয়ার এই ক্রিকেটার।

বালিতে আজ শুরু হয়েছে ইন্দোনেশিয়া-কম্বোডিয়া ৮ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। উদয়না ক্রিকেট মাঠে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে নিয়েছেন ৫ উইকেট। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম বোলার হিসেবে অবিশ্বাস্য এই কীর্তি গড়েন তিনি। টস হেরে আগে ব্যাটিং করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান তোলে ইন্দোনেশিয়া। ১৬৮ রানের লক্ষ্যে নামা কম্বোডিয়ার স্কোর ১৫ ওভার শেষে হয়ে যায় ৫ উইকেটে ১০৬ রান। ইনিংসের ১৬তম ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে এসেই সবকিছু ওলটপালট করে দেন তিনি। প্রথম তিন বলে কম্বোডিয়ার তিন ব্যাটার শাহ আবরার হোসেন, নির্মলজিৎ সিং ও চ্যানথুন রথনক—এই তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক করলেন প্রিয়ান্দানা।

হ্যাটট্রিক করেই থেমে যাননি প্রিয়ান্দানা। ১৬তম ওভারের চতুর্থ বলে দিয়েছেন ডট। পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে কম্বোডিয়ার আরও দুই ব্যাটার মংদারা সক ও পেল ভেনাককে ফিরিয়ে ৫ উইকেট পূর্ণ করেছেন প্রিয়ান্দানা। সেই ওভারে মাত্র ১ রান খরচ করেন প্রিয়ান্দানা। ইন্দোনেশিয়ার পেসার এই রান দিয়েছেন ওয়াইডে। প্রিয়ান্দানা ৫ উইকেট নিয়ে ১৬ ওভারে ১০৭ রানে গুটিয়ে যায় কম্বোডিয়া।

ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে ৫ উইকেট নেওয়ার ঘটনা এর আগে দুবার হয়েছে। ২০১৩-১৪ মৌসুমে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি কাপে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ইউসিবি-বিসিবি একাদশের হয়ে ১ ওভারে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন আল আমিন। অপর কীর্তি ভারতের পেসার অভিমন্যু মিঠুনের। ২০১৯-২০ মৌসুমের সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফির সেমিফাইনালে হরিয়ানার বিপক্ষে ১ ওভারে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন কর্ণাটকের মিঠুন।

এক ওভারে ৫ উইকেট নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেও ম্যাচসেরার পুরস্কার প্রিয়ান্দানা পাননি। কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ৬০ রানের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার ওপেনার ধার্ম কেসুমা। ৬৮ বলে ৮ চার ও ৬ ছক্কায় ১১০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। প্রিয়ান্দানা ওপেনিংয়ে নেমে ১১ বলে ৬ রান করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত