Ajker Patrika

‘আরও বেশি বেশি ছক্কা মারতে চাই’

আহমেদ রিয়াদ, সিলেট থেকে
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮: ১৯
আরও বেশি বেশি ছক্কা মারতে চান অ্যারন জোন্স। ছবি: সৌজন্য
আরও বেশি বেশি ছক্কা মারতে চান অ্যারন জোন্স। ছবি: সৌজন্য

সিলেটের প্রথম ম্যাচটা খেলা হয়নি তাঁর। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই চিনিয়েছেন নিজেকে। পরশু রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে দলকে জেতাতে না পারলেও ১৯ বলে ২০০.০০ স্ট্রাইকরেটে করেছেন অপরাজিত ৩৮। এমন মারকুটে ব্যাটিং দিয়েই গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করেছিলেন তিনি। সে টুর্নামেন্টের সূচনা ম্যাচে কানাডার ১৯৪ রান চেজ করতে ব্যাট হাতে যুক্তরাষ্ট্র দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনিই। ২৩৫.০০ স্ট্রাইকরেটে করেছিলেন অপরাজিত ৯৪, হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। পাওয়ার শট খেলায় পারদর্শী জোন্স কি এবারের বিপিএলে নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন!

উত্তরটা সময়ের হাতেই। তবে আশাবাদী জোন্স। বিপিএলে মাঠে নামার ম্যাচেই দারুণ কিছু শট করে তৃপ্ত আমেরিকান এই ক্রিকেটার বললেন, ‘প্রথম ম্যাচ দল জিততে পারেনি। দলের অংশ হওয়ায় আমার কাছে এটা হতাশার। তবে নিজের খেলাটা আমি উপভোগ করেছি।’ এরপরই বললেন আসল কথাটা, ‘সামনে আরও ভালো খেলতে চাই।’

বাংলাদেশে এসে ভালোই লাগছে জোন্সের। মানুষ যে এত ক্রিকেট পাগল হতে পারে, বাংলাদেশে না এলে তাঁর দেখাই হতো না! সিলেটের মাঠ এবং এই মাঠে ক্রিকেটপ্রেমীদের উচ্ছ্বাস মুগ্ধ করেছে ৩০ বছর বয়সী এই ব্যাটারকে, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট-ভক্তরা খুবই উৎসাহী। তারা আন্তরিকভাবেই আমাদের সমর্থন করে এবং ভালো খেলায় অনুপ্রাণিত করে। তাদের সামনে খেলা সত্যিই এক বিশেষ ব্যাপার।’

সিলেট স্ট্রাইকার্সের ড্রেসিংরুমও তিনি উপভোগ করছেন বলে জানালেন জোন্স, ‘সিলেট স্ট্রাইকার্সে খেলা দারুণ ব্যাপার। সিলেট দল যেন একটা পরিবার। খেলোয়াড়বান্ধব ম্যানেজমেন্ট। সবকিছু উপভোগ করছি।’

তবে উপভোগটা আরও ভালো হতো, দল যদি থাকত জয়ের ধারায়। প্রথম দুই ম্যাচের দুটিতেই হেরেছে সিলেট। পরের ম্যাচগুলোয় সিলেট ভালো করবে বলেও আশাবাদী জোন্স।

পরশু ১৯ বলের ৩৮ রানের ক্যামিওতে ৪টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। ছক্কা মারতে পেশিশক্তির ব্যবহার করেন তিনি। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪ ছক্কা মেরেছিলেন তিনি। ওই প্রতিযোগিতায় ৬ ম্যাচ শেষ সবচেয়ে বেশি ছক্কা ছিল তাঁরই। এত সহজভাবে কীভাবে বড় বড় ছক্কা হাঁকান তিনি? জোন্সের উত্তর, ‘ছক্কা মারাটা আমি বেশ উপভোগ করি। বড় শট খেলাটা আমার খেলার ধরনেরই অংশ বলতে পারেন।’

যে বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিশ্বে তাঁকে পরিচিতি এনে দিয়েছে, সেই টুর্নামেন্টের স্মৃতি সময় পেলেই রোমন্থন করেন জোন্স। বললেন, ‘বিশ্বকাপে খেলা শুধু একটি সুযোগ নয়, বরং বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিশেষ এক উপলক্ষও। নিজেকে মেলে ধরতে আমি সুযোগটা কাজে লাগিয়েছি।’ মনে রেখেছেন প্রথম ম্যাচের ইনিংসটাও, ‘৯০ মতো রান (৯৪) করেছিলাম। সেই পারফরম্যান্স আমাকে দ্রুত পরিচিতি এনে দেয় এবং আরও বড় সুযোগের দিকে নিয়ে যায়।’ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে ওঠাটাও যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের জন্য বড় অর্জন বলেও জানান তিনি।

বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরেছেন, বিপিএলের মঞ্চেও তাই নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন—এমনটাই বিশ্বাস জোন্সের। বললেন, ‘আমি আরও বেশি বেশি ছক্কা মারতে চাই এবং সিলেট স্ট্রাইকার্সকে জেতাতে চাই।’তাঁর এই চাওয়াটা সিলেট স্ট্রাইকার্সেরও চাওয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রংপুরের কাছে এবার উড়ে গেল চট্টগ্রাম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
৫ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রাম রয়্যালসকে গুটিয়ে দিয়েছেন ফাহিম আশরাফ। ছবি: ফেসবুক
৫ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রাম রয়্যালসকে গুটিয়ে দিয়েছেন ফাহিম আশরাফ। ছবি: ফেসবুক

এর চেয়ে দাপুটে শুরু আর কী হতে পারত রংপুর রাইডার্সের জন্য। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ রংপুর রাইডার্সের কাছে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—কোনো বিভাগেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি চট্টগ্রাম।

সিলেটে পরশু ১২তম বিপিএল শুরুর দিন নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ৬৫ রানের দাপুটে জয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস। ‍+৩.২৫০ নেট রানরেট নিয়ে অনেকটা এগিয়ে থেকে আজ চট্টগ্রাম খেলতে নামে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে। তবে রংপুরের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ম্যাচ অর্ধেকটা হেরে বসে চট্টগ্রাম। ১০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩০ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জিতেছে রংপুর।

১০৩ রানের লক্ষ্যে নেমে অনেকটা রয়েসয়ে শুরু করে রংপুর। প্রথম ৮ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৭ রান করে ফেলে দলটি। এরপর থেকেই গিয়ার বদলানো শুরু করে রংপুর। নবম ওভারে মাহমুদুল হাসান জয়কে পিটিয়ে ২৪ রান নেন রংপুরের দুই ওপেনার লিটন দাস ও দাভিদ মালান। একটা সময় মনে হচ্ছিল লিটন-মালান ফিফটি করে রংপুরকে ১০ উইকেটের রেকর্ড জয় এনে দেবেন। কিন্তু মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ সেটা হতে দেননি। ১৩তম ওভারের প্রথম ও পঞ্চম বলে লিটন-হৃদয়কে ফিরিয়েছেন মুগ্ধ। লিটন ৩১ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। হৃদয় ১ রান করে আউট হয়েছেন।

লিটন না পারলেও মালান ফিফটি করেছেন। বিপিএল ক্যারিয়ারে এটা মালানের ৯ম ফিফটি। ৪৮ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় তিনি করেছেন ৫১ রান। ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মালানকে ফিরিয়েছেন জয়। একই ওভারের শেষ বলে জয়কে ছক্কা মেরে তুলির শেষ আঁচড় দিয়েছেন খুশদিল শাহ।

সিলেটে আজ টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। আগে ব্যাটিং পাওয়া চট্টগ্রাম রয়্যালসের স্কোর হয়ে এক পর্যায়ে ছিল ৪.৪ ওভারে ১ উইকেটে ৪৫ রান। তবে পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে নাঈম শেখকে বোল্ড করে চট্টগ্রামের ইনিংসে ভাঙনের সূচনা করেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২০ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় নাঈম করেন । ৫৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭.৫ ওভারে ১০২ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রামের মিডল অর্ডার থেকে টেল এন্ডার দ্রুত গুটিয়ে দেওয়ার কাজটা সেরেছেন ফাহিম আশরাফ। মাহফিজুল ইসলাম, মাসুদ গুরবাজ, শেখ মেহেদী হাসান, আবু হায়দার রনি. শরীফুল ইসলাম—এই পাঁচ ব্যাটারকে ফিরিয়ে রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়েছেন ফাহিম আশরাফ। তাসকিন আহমেদ, থিসারা পেরেরা, ফাহিম—বিপিএল ইতিহাসে এই তিন বোলার ইনিংসে একাধিকবার ৫ উইকেট নিয়েছেন ফাহিম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিসিএলে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি পেয়েছেন মোস্তারি

কারিমুল ইসলাম, ঢাকা
সবশেষ বিসিএলে চার ফিফটিতে ২৫৯ রান করেছেন মোস্তারি। ছবি: বিসিবি
সবশেষ বিসিএলে চার ফিফটিতে ২৫৯ রান করেছেন মোস্তারি। ছবি: বিসিবি

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের ক্যাম্প শুরু হবে কদিন পর। আপাতত কোনো ব্যস্ততা না থাকায় বাকি সতীর্থদের মতো সোবহানা মোস্তারির সময়টাও কাটছে নিজের মতো করেই; অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে। সদ্য শেষ হওয়া মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) নির্ভার ব্যাটিংয়ে দারুণ সফল উত্তরাঞ্চলের অধিনায়ক। রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবার ওপরে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন এই ব্যাটার। সবশেষ টি-টোয়েন্টি নারী বিসিএল তাঁকে দিয়েছে দুহাত ভরে।

চার দল নিয়ে অনুষ্ঠিত মেয়েদের বিসিএলে মোস্তারির নেতৃত্বে শিরোপা জিতেছে উত্তরাঞ্চল। এর আগেও বিভিন্ন সময় ঘরোয়া লিগে অধিনায়কত্বের ভার ছিল ২৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের কাঁধে। কখনো অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে পারেননি। অবশেষে ফুরিয়েছে সে অপেক্ষা। বিসিএলে অধিনায়কত্বের মতো ব্যাট হাতেও নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকেই। ৬ ম্যাচের ৫ ইনিংসে ১২৬.৩৪ স্ট্রাইকরেটে করেছেন সর্বোচ্চ ২৫৯ রান। এই পরিসংখ্যানই সাক্ষ্য দিচ্ছে, বিসিএলটা কেমন গেছে মোস্তারির।

পঞ্চম রাউন্ড শেষে উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের সংগ্রহ ছিল সমান ৮ পয়েন্ট। শেষ রাউন্ড তাই দুই দলের জন্য অলিখিত ফাইনাল হয়ে দাঁড়ায়। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ন্যূনতম লড়াই করতে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির মধ্যাঞ্চল। তাদের ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরে উত্তরাঞ্চল। সে ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামার দরকার হয়নি মোস্তারির।

চ্যাম্পিয়ন হলেও বিসিএলে উত্তরাঞ্চলের শুরুটা ছিল হার দিয়ে। সকালের সূর্য যে সব সময় বাকি দিনের পূর্বাভাস দেয় না, সেটাই যেন মনে করিয়ে দিয়েছে তারা। দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে শিরোপা নিজেদের করে নেয় দলটি। এটা সম্ভব হয়েছে মোস্তারির চওড়া ব্যাটের কল্যাণে। মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে শেষ রাউন্ডের আগে পাওয়া চারটি জয়েই টানা ফিফটি হাঁকান মোস্তারি। সবগুলো ম্যাচেই জিতেছেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। মোস্তারি নিজেই বিসিএলে এমন পারফরম্যান্স আশা করেননি।

ব্যাট হাতে ওয়ানডে বিশ্বকাপটাও ভালোই গেছে এই ব্যাটারের। করেন ১৯১ রান। ছবি: সংগৃহীত
ব্যাট হাতে ওয়ানডে বিশ্বকাপটাও ভালোই গেছে এই ব্যাটারের। করেন ১৯১ রান। ছবি: সংগৃহীত

বিসিএলে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে আজকের পত্রিকাকে মোস্তারি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচ খেলার পর আমি হাঁটুর ইনজুরিতে পড়ি। এরপর খেলা চালিয়ে যাব কিনা সেটা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। পরে সতীর্থরা সাহস দেওয়ায় আমি খেলা চালিয়ে গেছি। আমি এই বিসিএল থেকে যা আশা করেছিলাম তার থেকেও বেশি পেয়েছি। আমার জন্য ম্যাচ জেতানোটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যেটা আমি মাঠে থেকেই করতে পেরেছি।’

অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা জেতায় একটু বেশিই খুশি মোস্তারি, ‘৩-৪ বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করছি। সব সময় ইচ্ছা ছিল অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা জেতার। সেটা হচ্ছিল না। তাই আমার প্রথম ইচ্ছা ছিল অধিনায়ক হিসেবে বিসিএলে শিরোপা জেতার। আর ব্যাটিংয়ের কথা যদি বলেন, বিসিএল শুরুর করার আগে আমি আসলে চিন্তা করতে পারিনি যে এতটা দুর্দান্ত হবে।’

বিসিএলের দারুণ ব্যাটিং এবং অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা সামনের দিনগুলোতে কাজে লাগাতে চান মোস্তারি, ‘একজন ব্যাটার কখনো কখনো অফফর্মে চলে যায়। আমি বিসিএলে এমন পারফরম্যান্সের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো নাও খেলতে পারি। পরের সিরিজে ভালো রানখরাতেও ভুগতে পারি। কিন্তু বিসিএল থেকে আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সেটা আমার জন্য সত্যিই অন্যরকম। অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পেরেছি। এটা কোনো এক মসয় ঠিকই আমার জন্য কাজে দেবে।’

আগামী মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের খেলা। নিশ্চয় মোস্তারি চাইবেন দলের জন্য ভালো কিছু করতে। ছবি: ক্রিকবাজ
আগামী মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের খেলা। নিশ্চয় মোস্তারি চাইবেন দলের জন্য ভালো কিছু করতে। ছবি: ক্রিকবাজ

সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুটি ফিফটিতে ১৯১ রান করেন মোস্তারি। বিশ্বমঞ্চের ফর্ম বিসিএলে বাড়তি সাহস জুগিয়েছে এই ব্যাটারকে। তিনি বলেন, ‘সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে যে সাহস নিয়ে ব্যাটিং করেছি সেটা আমাকে বিসিএলে আমার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। যেহেতু বিসিএল ২০ ওভারের টুর্নামেন্ট ছিল, তাই পরবর্তীতে আমাদের যে খেলাগুলো আছে, যেমন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব বা বিশ্বকাপের মূল পর্বে এভাবে ব্যাটিং করার চেষ্টা করব।’

২০১৮ সালের মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেন মোস্তারি। এই প্রতিভাবান ক্রিকেটারের ওপর প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। সে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছিলেন না। তবে সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকেই সেরা ছন্দে আছেন। ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে দুটি ফিফটিতে করেন ১৯১ রান। বিশ্বকাপকে তাই নিজের ক্যারিয়ারের জন্য টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে করেন মোস্তারি। বিশ্বকাপের ফর্ম কাজে লাগিয়ে বিসিএলে বাজিমাত করেছেন তিনি।

মোস্তারি বলেন, ‘আমার অভিজ্ঞতার কথা যদি বলি ওয়ানডে বিশ্বকাপটা টার্নিং পয়েন্ট হয়ে থাকবে। যদিও সেটা ৫০ ওভারের খেলা ছিল। আর সবশেষ বিসিএলে আমরা টি-টোয়েন্টি খেলছি। দুইটার সঙ্গে পার্থক্য করা যাবে না। কিন্তু ব্যাটিংয়ের অভিজ্ঞতার দিক থেকে বলা হলে–যেমন পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করা, উইকেটে টিকে যাওয়া, কিছু বিষয় বোঝার দিক থেকে ওয়ানডে বিশ্বকাপটা আমার জন্য টার্নিং পয়েন্ট।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আগুনে বোলিংয়ে তাসকিনদের রেকর্ডে ভাগ বসালেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৩৬
৫ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রাম রয়্যালসকে গুটিয়ে দিয়েছেন ফাহিম আশরাফ। ছবি: ফেসবুক
৫ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রাম রয়্যালসকে গুটিয়ে দিয়েছেন ফাহিম আশরাফ। ছবি: ফেসবুক

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গতকাল পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে ডাক পেয়েছিলেন ফাহিম আশরাফ। ঠিক তার পরের দিনই জ্বলে উঠলেন পাকিস্তানি এই পেসার। তাঁর আগুনে বোলিংয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল চট্টগ্রাম রয়্যালস। ৫ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানি পেসারের নাম উঠে গেল বিপিএলের এক রেকর্ড বইয়ে।

বিপিএলে এক ইনিংসে একাধিকবার ৫ উইকেট নেওয়া তৃতীয় পেসার হয়ে গেলেন ফাহিম আশরাফ। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ চট্টগ্রাম রয়্যালসের বিপক্ষে ৩.৫ ওভারে ১৭ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। এবার ফাহিম ৫ উইকেট নিয়েছেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। এর আগে এ বছরের জানুয়ারিতে ফরচুন বরিশালের হয়ে এমন কীর্তি গড়েছিলেন পাকিস্তানি তারকা অলরাউন্ডার। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৩.১ ওভারে ৫ রানে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। ফাহিমের আগে তাসকিন আহমেদ, থিসারা পেরেরার বিপিএলে এক ইনিংসে দুইবার পাঁচ উইকেট নিয়েছেন।

তাসকিন, পেরেরাও এমন কীর্তি গড়েন দুটি আলাদা দলের হয়ে। এ বছরের জানুয়ারিতে মিরপুরে দুর্বার রাজশাহীর হয়ে ৪ ওভারে ১৯ রানে নিয়েছেন ৭ উইকেট। ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাঁর এই বোলিং বিপিএল ইতিহাসেই সেরা। এর আগে ২০১৬ বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তাসকিন। সেবার তাঁর প্রতিপক্ষ ছিল রাজশাহী কিংস। থিসারা পেরেরা ২০১৫ ও ২০১৯ সালে রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা প্লাটুনের হয়ে ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। ২০১৫ সালে পেরেরা খেলেছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে। ২০১৯ সালে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

সিলেটে আজ টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। আগে ব্যাটিং পাওয়া চট্টগ্রাম রয়্যালসের স্কোর হয়ে এক পর্যায়ে ছিল ৪.৪ ওভারে ১ উইকেটে ৪৫ রান। তবে পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে নাঈম শেখকে বোল্ড করে চট্টগ্রামের ইনিংসে ভাঙনের সূচনা করেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২০ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় নাঈম করেন ৩৯ রান। ৫৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭.৫ ওভারে ১০২ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম। মিডল অর্ডার থেকে টেল এন্ডার দ্রুত গুটিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেন ফাহিম আশরাফ। মাহফিজুল ইসলাম, মাসুদ গুরবাজ, শেখ মেহেদী হাসান, আবু হায়দার রনি. শরীফুল ইসলাম—এই পাঁচ ব্যাটারকে ফিরিয়ে রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়েছেন ফাহিম আশরাফ।

বিপিএলে এক ইনিংসে একাধিকবার ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি
নামইনিংসে ৫ উইকেট কতবারদল
ফাহিম আশরাফফরচুন বরিশাল, রংপুর রাইডার্স
তাসকিন আহমেদদুর্বার রাজশাহী, চিটাগং ভাইকিংস
থিসারা পেরেরারংপুর রাইডার্স, ঢাকা প্লাটুন
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কাকে সবচেয়ে বেশি ভয় পান শোয়েব

ক্রীড়া ডেস্ক    
মায়ের সঙ্গে সাবেক পাকিস্তানি গতি তারকা। ছবি: সংগৃহীত
মায়ের সঙ্গে সাবেক পাকিস্তানি গতি তারকা। ছবি: সংগৃহীত

খেলোয়াড়ি জীবনে শোয়েব আখতার ছিলেন প্রতিপক্ষ দলের জন্য মূর্তিমান আতঙ্কের আরেক নাম। তাঁর গতিময় বোলিং সামলাতে হিমশিম খেতে হতো বাঘা বাঘা ব্যাটারদের। এমন কথাও প্রচলিত আছে, সাবেক পেসারের সামনে ব্যাট করতে পা কাঁপতো অনেকের। শোয়েবের গতি সামাল দিতে না পেরে মাঠেই বড় ধরনের আঘাত পাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে অনেকবার।

যাঁকে নিয়ে ব্যাটারদের এত ভয় ছিল, সেই শোয়েব আখতারও একজনকে ভীষণ ভয় পেতেন। তিনি সাবেক পেসারের মা হামিদা আওয়ান। ভয় পাওয়ার পাশাপাশি মাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন শোয়েব। তাই সব সময় মায়ের হুকুম মেনে চলতেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান হামিদা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন শোয়েব।

আরও আগেই ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন শোয়েব। বিদায় বললেও ক্রিকেট থেকে দূরে নেই তিনি। কখনো টিভি চ্যানেলে বিশ্লেষক আবার কখনো পরামর্শ হিসেবে কাজ করতে দেখা যায় তাঁকে। পাশাপাশি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ক্রিকেট নিয়ে সমসাময়িক আলোচনা-সমালোচনা করেন। এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টরের দায়িত্ব পালন করছেন শোয়েব। ক্যাপিটালস শিবিরে যোগ দেওয়ার পর এক প্রশ্নোত্তর পর্বে হাজির হন শোয়েব। সেখানেই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রয়াত মায়ের স্মৃতিচারণ করেন তিনি।

শোয়েব বলেন, ‘আমি আমার মাকে সবচেয়ে বেশি ভয় পেতাম। আমি তাকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতাম এবং সবচেয়ে বেশি ভয়ও পেতাম। যখনই তিনি আমাকে কিছু করতে বলতেন, কখনোই না বলতে পারতাম না। তাই সবসময় তাঁর কথা শুনতাম এবং নিশ্চিত করতাম যে কখনো যেন মাকে না বলতে না হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি সবসময় তাঁর কথা শুনেছি। মাকে যতটা ভয় পেতাম, তার চেয়েও বেশি ভয় পাই আল্লাহকে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত