
আমিনুল হক সাবেক অধিনায়ক, দেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক। খেলোয়াড়ি পরিচয় ছাপিয়ে আমিনুল হকের রাজনৈতিক পরিচয়টাই এখন বেশি সামনে আসছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি এরই মধ্যে ঢাকা-১৬ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী। পরশু সকালে মিরপুরে তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আমিনুল হক ফিরে দেখলেন ৫ আগস্ট-পরবর্তী ক্রীড়াঙ্গন, তুলে ধরলেন নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার হেড অব স্পোর্টস রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: গত বছরের ৫ আগস্টের পর ক্রীড়াঙ্গনের সংস্কার নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
আমিনুল হক: ৫ আগস্টের পর আশা করেছিলাম, নতুন ধারার মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শতভাগ রাজনীতিকরণ, দলীয়করণ থেকে মুক্ত করে একটি সুন্দর পরিবেশের মাধ্যমে যাঁরা মাঠের ক্রীড়া সংগঠক, যাঁরা দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিলেন, সেই মানুষগুলো ক্রীড়াঙ্গনের দায়িত্ব নিয়ে নতুনভাবে ঢেলে সাজাবেন। স্বৈরাচার সরকার ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি সেক্টরে দলীয়করণ করেছে, রাজনীতিকরণ করেছে। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে আমরা আশা করেছিলাম, ক্রীড়াঙ্গনটা নতুনভাবে ঢেলে সাজাব। আমার সঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টার কথাও হয়েছিল। আপনারা জানেন, তিনি সার্চ কমিটি করেছেন। যে অ্যাডহক কমিটিগুলো করা হয়েছে, ক্রীড়া পরিষদে নিজস্ব একটা সেটআপ তৈরি করে সারা দেশের যে জেলা, বিভাগীয় অ্যাডহক কমিটিগুলো করা হয়েছে, সেখানে তিনি শতভাগ তাঁর নিজের মতো করার চেষ্টা করেছেন। তিনি যদি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতেন, তাহলে মাঠের যাঁরা ক্রীড়া সংগঠক, যাঁরা যোগ্য ছিলেন, তাঁরা উঠে আসতেন। কিন্তু তিনি যখন পক্ষপাতের দিকে চলে গেছেন, তখন আসলে ক্রীড়াঙ্গনের সেই নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছে। গত এক বছরের মূল্যায়ন যদি বলেন, খুব বেশি পরিবর্তন আমাদের চোখে পড়েনি; বরং ক্রিকেট বোর্ডের যে নির্বাচনটা আমরা দেখলাম, একেবারে নিজের মতো করে করার চেষ্টা করেছেন এবং তিনি এখানে কাউকে কোনো সুযোগ দেননি। তিনি একদম অগণতান্ত্রিকভাবে ক্রিকেট বোর্ডটা নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। এটা আসলে আমরা একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে বাংলাদেশের যাঁরা ক্রীড়া সংগঠক রয়েছেন, ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ক্রীড়া সংগঠক যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা কখনোই এটাকে ভালোভাবে নেননি।
প্রশ্ন: বিএনপি ক্ষমতায় এলে তামিম ইকবালকে কীভাবে কাজে লাগাতে চান?
আমিনুল: বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শতভাগ দলীয়করণমুক্ত, রাজনীতিকরণমুক্ত রাখতে চাই। এটা আজ বলছি। ভবিষ্যতেও বলব একই কথা। সে ক্ষেত্রে তামিম ইকবাল যে আমাদের বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছে, বিষয়টি এ রকম নয়। এখানে তামিম ইকবালসহ যাঁরা কাজ করেছেন বা ভবিষ্যতে ক্রিকেট বোর্ডে আসতে চান, আমরা চেয়েছি যাতে বিষয়টা অবাধ, সুষ্ঠু হয়। যাতে একেবারে নিরপেক্ষভাবে ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনটা হয়। সেই চিন্তা থেকে একজন ক্রিকেটার হিসেবে যেহেতু তামিম ইকবাল একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার এবং তাঁর সঙ্গে আমাদের বুলবুল ভাই থেকে শুরু করে যাঁরাই ছিলেন, আমরা চেয়েছি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্রিকেট বোর্ডটা গঠিত হোক। কিন্তু এটাকে একটি মহল রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যেটা আমরা আসলে কখনোই আশা করিনি। ভবিষ্যতে ক্রিকেট বোর্ড কীভাবে গঠিত হবে বা বর্তমানে যেহেতু ক্রিকেট বোর্ড গঠিত হয়েছে, সেটা আসলে আমরা ভবিষ্যতের ওপরই ছেড়ে দেব। ক্রিকেট বোর্ড যেহেতু চার বছরের জন্য। কিন্তু এখানে অনেক প্রশ্ন আছে। ক্রিকেট বোর্ডের এই নির্বাচন ঘিরে মামলাও রয়েছে কিছু। এগুলো চলবে আইন অনুযায়ী। আমরা সেটার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে চাই।
প্রশ্ন: বিএনপি যদি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে, ক্রীড়াঙ্গনের কোথায় দ্রুত পরিবর্তন আনতে চাইবেন?
আমিনুল: প্রথম পরিবর্তনটা করতে চাই স্কুল পর্যায়ে। আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণি থেকে খেলাধুলাকে বাধ্যতামূলক করতে চাই। সেটা বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রমের অন্তর্ভুক্ত করব। খেলাধুলা একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে সারা দেশে আমরা মাঠগুলো সংরক্ষণ করতে চাই। আমাদের ‘নতুন কুঁড়ি’ নামের কর্মসূচি শুরু করব। সেই নতুন কুঁড়ির মাধ্যমে আমাদের প্রত্যেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় যারা রয়েছে, তাদের ভবিষ্যতে সরকারিভাবে খেলাধুলা, পড়াশোনা—সব দায়দায়িত্ব নেব। খেলাকে কেউ কিন্তু এখন পর্যন্ত পেশা হিসেবে বেছে নেয়নি। আমরা সেই জায়গা নিয়েও কাজ করতে চাই; যাতে ভবিষ্যতে একজন ফুটবলার নিজেকে ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে। একেবারে তৃণমূল থেকে ভবিষ্যতে যেন খেলাকে পেশা হিসেবে নিতে পারে, সেই পেশার নিশ্চয়তা আমরা দিতে চাই।
প্রশ্ন: বিএনপি ক্ষমতায় এলে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আপনাদের অবস্থান কী হবে? তাঁকে কি দেশে খেলার সুযোগ দেওয়া হবে?
আমিনুল: একজন সাবেক জাতীয় ফুটবলার, সাবেক জাতীয় অধিনায়ক হিসেবে যেটা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করেছি, আমাকে প্রতি মুহূর্তে মামলা-হামলায় জর্জরিত করেছে। শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছি। আমাকে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে। রক্তাক্ত হয়েছি। এই ধরনের পরিস্থিতি যেন কোনোভাবে খেলোয়াড়ের সঙ্গে না হয়, এটা আমি কখনোই চাই না এবং সমর্থনও করি না। একজন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হচ্ছে, ভিন্নমত থাকতে পারে। আমি আমার মতামত দিয়ে আমার কাজ যদি সফলভাবে শেষ করতে পারি, এটা আমার যোগ্যতা অনুযায়ী করব। কিন্তু ভিন্নমতের কারণে যে আমার ওপরে বা অন্য কারও ওপরে জুলুম-নির্যাতন হবে, সেটাকে কখনোই সমর্থন করি না এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো জুলুম নির্যাতন হবে না। আপনি যে বিষয়টি বলছেন, তা হচ্ছে, যেহেতু সাকিবের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে মামলা হয়েছে, সেটা কিন্তু অবৈধ সরকারের ৩০০ জনের একজন এমপি হওয়ায় সাকিবের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে যখন ওই স্বৈরাচার সরকার মানুষকে যেভাবে হত্যা করেছে, যেভাবে গুম করেছে, এটার দায়ভার ৩০০ জনের একজনকে নিতে হবে। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। তবে এটার সিদ্ধান্ত রাষ্ট্র নেবে।
প্রশ্ন: অনেক জটিল বিষয়ে কথা হলো, এবার ফুটবলে আসি। বাংলাদেশের ফুটবলে হামজা আসার পর যে আশা তৈরি হয়েছে, সেটা শুধুই জাতীয় দলকেন্দ্রিক। ক্লাব ফুটবল আঁধারেই আছে।
আমিনুল: হামজা চৌধুরী, শমিত শোম বা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যে খেলোয়াড়েরা রয়েছে, তাদের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশের ফুটবলে একটা জাগরণ তৈরি হয়েছে। সেই জাগরণকে অবশ্যই আমরা ইতিবাচকভাবে নিচ্ছি এবং এই হাইপটা ধরে রাখতে পারলে আমাদের বাংলাদেশ ফুটবল অনেক এগিয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে তৃণমূল পর্যায়। তৃণমূল পর্যায় মানে আমাদের তেমন কোনো খেলা কিন্তু গত এক বছরে দৃশ্যমান দেখিনি। আমাদের ঘরোয়া ফুটবলের সেই জৌলুশ কিন্তু আমরা এখনো দেখিনি। শুধু দু-চারটি ক্লাবের ওপর বাংলাদেশের ফুটবল নির্ভর করে না। আমাদের উপজেলা বা জেলা পর্যায়ের যে ফুটবল খেলা দরকার কিংবা যে ধরনের লিগ দরকার, আমরা যখন খেলেছি শেরেবাংলা কাপ, সোহরাওয়ার্দী কাপের মাধ্যমে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অনেক ভালো ভালো ফুটবলার বের হয়ে আসত। এই পাইপলাইনটা কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ। এখন হামজা চৌধুরীকে কেন্দ্র করে বা বাংলাদেশের ফুটবল জাতীয় পর্যায়ে হয়তো এগিয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের যে বিকল্প দরকার, তৃণমূল পর্যায় থেকে যে শুরু করা দরকার বা যে স্কুল ফুটবল শুরু করা দরকার, এই জায়গাগুলোতে আমরা অনেকাংশে পিছিয়ে আছি। এটা কখনোই রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। সময় দিতে হবে। পরিকল্পনা করতে হবে। পেশাদারি মনোভাব আনতে হবে সব পর্যায়ে। শুধু খেলোয়াড়েরা পেশাদারি আচরণ করবে আর কর্মকর্তারা করবেন না, তা হলে তো হবে না। মাঠের সংকট নিয়েও আমাদের কাজ করতে হবে। সেটা অবশ্যই সরকারি পর্যায় থেকে হওয়া উচিত এবং পাশাপাশি আমাদের ক্লাব পর্যায়গুলো ক্লাবের যে সুযোগ-সুবিধা দরকার, আসলে তা অপ্রতুল। সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়, হামজা চৌধুরীকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ফুটবলে নবজাগরণ তৈরি হয়েছে। এটা ধরে রেখে আমরা যদি তৃণমূল পর্যায়ে এগিয়ে আসতে পারি এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা যায়, তাহলে হয়তো ভালো কিছু করতে পারব।
প্রশ্ন: কদিন পর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ, বাংলাদেশ কি পারবে হারাতে?
আমিনুল: ভারতের ফুটবল আর বাংলাদেশের ফুটবলে কিন্তু খুব বেশি পার্থক্য নেই। হামজা চৌধুরীর আসার কারণে বাংলাদেশের ফুটবলে এবং খেলোয়াড়দের ভেতরে একটি নতুন উন্মাদনা বা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। সেই আত্মবিশ্বাসের জায়গা থেকে বলি, যেহেতু আমাদের ঘরের মাঠে খেলা, আমরা যদি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারি, তাহলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।
প্রশ্ন: গত বছরের ৫ আগস্টের পর ক্রীড়াঙ্গনের সংস্কার নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
আমিনুল হক: ৫ আগস্টের পর আশা করেছিলাম, নতুন ধারার মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শতভাগ রাজনীতিকরণ, দলীয়করণ থেকে মুক্ত করে একটি সুন্দর পরিবেশের মাধ্যমে যাঁরা মাঠের ক্রীড়া সংগঠক, যাঁরা দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিলেন, সেই মানুষগুলো ক্রীড়াঙ্গনের দায়িত্ব নিয়ে নতুনভাবে ঢেলে সাজাবেন। স্বৈরাচার সরকার ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি সেক্টরে দলীয়করণ করেছে, রাজনীতিকরণ করেছে। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে আমরা আশা করেছিলাম, ক্রীড়াঙ্গনটা নতুনভাবে ঢেলে সাজাব। আমার সঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টার কথাও হয়েছিল। আপনারা জানেন, তিনি সার্চ কমিটি করেছেন। যে অ্যাডহক কমিটিগুলো করা হয়েছে, ক্রীড়া পরিষদে নিজস্ব একটা সেটআপ তৈরি করে সারা দেশের যে জেলা, বিভাগীয় অ্যাডহক কমিটিগুলো করা হয়েছে, সেখানে তিনি শতভাগ তাঁর নিজের মতো করার চেষ্টা করেছেন। তিনি যদি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতেন, তাহলে মাঠের যাঁরা ক্রীড়া সংগঠক, যাঁরা যোগ্য ছিলেন, তাঁরা উঠে আসতেন। কিন্তু তিনি যখন পক্ষপাতের দিকে চলে গেছেন, তখন আসলে ক্রীড়াঙ্গনের সেই নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছে। গত এক বছরের মূল্যায়ন যদি বলেন, খুব বেশি পরিবর্তন আমাদের চোখে পড়েনি; বরং ক্রিকেট বোর্ডের যে নির্বাচনটা আমরা দেখলাম, একেবারে নিজের মতো করে করার চেষ্টা করেছেন এবং তিনি এখানে কাউকে কোনো সুযোগ দেননি। তিনি একদম অগণতান্ত্রিকভাবে ক্রিকেট বোর্ডটা নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। এটা আসলে আমরা একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে বাংলাদেশের যাঁরা ক্রীড়া সংগঠক রয়েছেন, ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ক্রীড়া সংগঠক যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা কখনোই এটাকে ভালোভাবে নেননি।
প্রশ্ন: বিএনপি ক্ষমতায় এলে তামিম ইকবালকে কীভাবে কাজে লাগাতে চান?
আমিনুল: বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শতভাগ দলীয়করণমুক্ত, রাজনীতিকরণমুক্ত রাখতে চাই। এটা আজ বলছি। ভবিষ্যতেও বলব একই কথা। সে ক্ষেত্রে তামিম ইকবাল যে আমাদের বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছে, বিষয়টি এ রকম নয়। এখানে তামিম ইকবালসহ যাঁরা কাজ করেছেন বা ভবিষ্যতে ক্রিকেট বোর্ডে আসতে চান, আমরা চেয়েছি যাতে বিষয়টা অবাধ, সুষ্ঠু হয়। যাতে একেবারে নিরপেক্ষভাবে ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনটা হয়। সেই চিন্তা থেকে একজন ক্রিকেটার হিসেবে যেহেতু তামিম ইকবাল একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার এবং তাঁর সঙ্গে আমাদের বুলবুল ভাই থেকে শুরু করে যাঁরাই ছিলেন, আমরা চেয়েছি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্রিকেট বোর্ডটা গঠিত হোক। কিন্তু এটাকে একটি মহল রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যেটা আমরা আসলে কখনোই আশা করিনি। ভবিষ্যতে ক্রিকেট বোর্ড কীভাবে গঠিত হবে বা বর্তমানে যেহেতু ক্রিকেট বোর্ড গঠিত হয়েছে, সেটা আসলে আমরা ভবিষ্যতের ওপরই ছেড়ে দেব। ক্রিকেট বোর্ড যেহেতু চার বছরের জন্য। কিন্তু এখানে অনেক প্রশ্ন আছে। ক্রিকেট বোর্ডের এই নির্বাচন ঘিরে মামলাও রয়েছে কিছু। এগুলো চলবে আইন অনুযায়ী। আমরা সেটার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে চাই।
প্রশ্ন: বিএনপি যদি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে, ক্রীড়াঙ্গনের কোথায় দ্রুত পরিবর্তন আনতে চাইবেন?
আমিনুল: প্রথম পরিবর্তনটা করতে চাই স্কুল পর্যায়ে। আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণি থেকে খেলাধুলাকে বাধ্যতামূলক করতে চাই। সেটা বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রমের অন্তর্ভুক্ত করব। খেলাধুলা একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে সারা দেশে আমরা মাঠগুলো সংরক্ষণ করতে চাই। আমাদের ‘নতুন কুঁড়ি’ নামের কর্মসূচি শুরু করব। সেই নতুন কুঁড়ির মাধ্যমে আমাদের প্রত্যেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় যারা রয়েছে, তাদের ভবিষ্যতে সরকারিভাবে খেলাধুলা, পড়াশোনা—সব দায়দায়িত্ব নেব। খেলাকে কেউ কিন্তু এখন পর্যন্ত পেশা হিসেবে বেছে নেয়নি। আমরা সেই জায়গা নিয়েও কাজ করতে চাই; যাতে ভবিষ্যতে একজন ফুটবলার নিজেকে ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে। একেবারে তৃণমূল থেকে ভবিষ্যতে যেন খেলাকে পেশা হিসেবে নিতে পারে, সেই পেশার নিশ্চয়তা আমরা দিতে চাই।
প্রশ্ন: বিএনপি ক্ষমতায় এলে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আপনাদের অবস্থান কী হবে? তাঁকে কি দেশে খেলার সুযোগ দেওয়া হবে?
আমিনুল: একজন সাবেক জাতীয় ফুটবলার, সাবেক জাতীয় অধিনায়ক হিসেবে যেটা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করেছি, আমাকে প্রতি মুহূর্তে মামলা-হামলায় জর্জরিত করেছে। শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছি। আমাকে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে। রক্তাক্ত হয়েছি। এই ধরনের পরিস্থিতি যেন কোনোভাবে খেলোয়াড়ের সঙ্গে না হয়, এটা আমি কখনোই চাই না এবং সমর্থনও করি না। একজন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হচ্ছে, ভিন্নমত থাকতে পারে। আমি আমার মতামত দিয়ে আমার কাজ যদি সফলভাবে শেষ করতে পারি, এটা আমার যোগ্যতা অনুযায়ী করব। কিন্তু ভিন্নমতের কারণে যে আমার ওপরে বা অন্য কারও ওপরে জুলুম-নির্যাতন হবে, সেটাকে কখনোই সমর্থন করি না এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো জুলুম নির্যাতন হবে না। আপনি যে বিষয়টি বলছেন, তা হচ্ছে, যেহেতু সাকিবের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে মামলা হয়েছে, সেটা কিন্তু অবৈধ সরকারের ৩০০ জনের একজন এমপি হওয়ায় সাকিবের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে যখন ওই স্বৈরাচার সরকার মানুষকে যেভাবে হত্যা করেছে, যেভাবে গুম করেছে, এটার দায়ভার ৩০০ জনের একজনকে নিতে হবে। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। তবে এটার সিদ্ধান্ত রাষ্ট্র নেবে।
প্রশ্ন: অনেক জটিল বিষয়ে কথা হলো, এবার ফুটবলে আসি। বাংলাদেশের ফুটবলে হামজা আসার পর যে আশা তৈরি হয়েছে, সেটা শুধুই জাতীয় দলকেন্দ্রিক। ক্লাব ফুটবল আঁধারেই আছে।
আমিনুল: হামজা চৌধুরী, শমিত শোম বা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যে খেলোয়াড়েরা রয়েছে, তাদের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশের ফুটবলে একটা জাগরণ তৈরি হয়েছে। সেই জাগরণকে অবশ্যই আমরা ইতিবাচকভাবে নিচ্ছি এবং এই হাইপটা ধরে রাখতে পারলে আমাদের বাংলাদেশ ফুটবল অনেক এগিয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে তৃণমূল পর্যায়। তৃণমূল পর্যায় মানে আমাদের তেমন কোনো খেলা কিন্তু গত এক বছরে দৃশ্যমান দেখিনি। আমাদের ঘরোয়া ফুটবলের সেই জৌলুশ কিন্তু আমরা এখনো দেখিনি। শুধু দু-চারটি ক্লাবের ওপর বাংলাদেশের ফুটবল নির্ভর করে না। আমাদের উপজেলা বা জেলা পর্যায়ের যে ফুটবল খেলা দরকার কিংবা যে ধরনের লিগ দরকার, আমরা যখন খেলেছি শেরেবাংলা কাপ, সোহরাওয়ার্দী কাপের মাধ্যমে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অনেক ভালো ভালো ফুটবলার বের হয়ে আসত। এই পাইপলাইনটা কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ। এখন হামজা চৌধুরীকে কেন্দ্র করে বা বাংলাদেশের ফুটবল জাতীয় পর্যায়ে হয়তো এগিয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের যে বিকল্প দরকার, তৃণমূল পর্যায় থেকে যে শুরু করা দরকার বা যে স্কুল ফুটবল শুরু করা দরকার, এই জায়গাগুলোতে আমরা অনেকাংশে পিছিয়ে আছি। এটা কখনোই রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। সময় দিতে হবে। পরিকল্পনা করতে হবে। পেশাদারি মনোভাব আনতে হবে সব পর্যায়ে। শুধু খেলোয়াড়েরা পেশাদারি আচরণ করবে আর কর্মকর্তারা করবেন না, তা হলে তো হবে না। মাঠের সংকট নিয়েও আমাদের কাজ করতে হবে। সেটা অবশ্যই সরকারি পর্যায় থেকে হওয়া উচিত এবং পাশাপাশি আমাদের ক্লাব পর্যায়গুলো ক্লাবের যে সুযোগ-সুবিধা দরকার, আসলে তা অপ্রতুল। সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়, হামজা চৌধুরীকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ফুটবলে নবজাগরণ তৈরি হয়েছে। এটা ধরে রেখে আমরা যদি তৃণমূল পর্যায়ে এগিয়ে আসতে পারি এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা যায়, তাহলে হয়তো ভালো কিছু করতে পারব।
প্রশ্ন: কদিন পর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ, বাংলাদেশ কি পারবে হারাতে?
আমিনুল: ভারতের ফুটবল আর বাংলাদেশের ফুটবলে কিন্তু খুব বেশি পার্থক্য নেই। হামজা চৌধুরীর আসার কারণে বাংলাদেশের ফুটবলে এবং খেলোয়াড়দের ভেতরে একটি নতুন উন্মাদনা বা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। সেই আত্মবিশ্বাসের জায়গা থেকে বলি, যেহেতু আমাদের ঘরের মাঠে খেলা, আমরা যদি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারি, তাহলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।

আমিনুল হক সাবেক অধিনায়ক, দেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক। খেলোয়াড়ি পরিচয় ছাপিয়ে আমিনুল হকের রাজনৈতিক পরিচয়টাই এখন বেশি সামনে আসছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি এরই মধ্যে ঢাকা-১৬ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী। পরশু সকালে মিরপুরে তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আমিনুল হক ফিরে দেখলেন ৫ আগস্ট-পরবর্তী ক্রীড়াঙ্গন, তুলে ধরলেন নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার হেড অব স্পোর্টস রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: গত বছরের ৫ আগস্টের পর ক্রীড়াঙ্গনের সংস্কার নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
আমিনুল হক: ৫ আগস্টের পর আশা করেছিলাম, নতুন ধারার মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শতভাগ রাজনীতিকরণ, দলীয়করণ থেকে মুক্ত করে একটি সুন্দর পরিবেশের মাধ্যমে যাঁরা মাঠের ক্রীড়া সংগঠক, যাঁরা দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিলেন, সেই মানুষগুলো ক্রীড়াঙ্গনের দায়িত্ব নিয়ে নতুনভাবে ঢেলে সাজাবেন। স্বৈরাচার সরকার ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি সেক্টরে দলীয়করণ করেছে, রাজনীতিকরণ করেছে। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে আমরা আশা করেছিলাম, ক্রীড়াঙ্গনটা নতুনভাবে ঢেলে সাজাব। আমার সঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টার কথাও হয়েছিল। আপনারা জানেন, তিনি সার্চ কমিটি করেছেন। যে অ্যাডহক কমিটিগুলো করা হয়েছে, ক্রীড়া পরিষদে নিজস্ব একটা সেটআপ তৈরি করে সারা দেশের যে জেলা, বিভাগীয় অ্যাডহক কমিটিগুলো করা হয়েছে, সেখানে তিনি শতভাগ তাঁর নিজের মতো করার চেষ্টা করেছেন। তিনি যদি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতেন, তাহলে মাঠের যাঁরা ক্রীড়া সংগঠক, যাঁরা যোগ্য ছিলেন, তাঁরা উঠে আসতেন। কিন্তু তিনি যখন পক্ষপাতের দিকে চলে গেছেন, তখন আসলে ক্রীড়াঙ্গনের সেই নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছে। গত এক বছরের মূল্যায়ন যদি বলেন, খুব বেশি পরিবর্তন আমাদের চোখে পড়েনি; বরং ক্রিকেট বোর্ডের যে নির্বাচনটা আমরা দেখলাম, একেবারে নিজের মতো করে করার চেষ্টা করেছেন এবং তিনি এখানে কাউকে কোনো সুযোগ দেননি। তিনি একদম অগণতান্ত্রিকভাবে ক্রিকেট বোর্ডটা নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। এটা আসলে আমরা একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে বাংলাদেশের যাঁরা ক্রীড়া সংগঠক রয়েছেন, ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ক্রীড়া সংগঠক যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা কখনোই এটাকে ভালোভাবে নেননি।
প্রশ্ন: বিএনপি ক্ষমতায় এলে তামিম ইকবালকে কীভাবে কাজে লাগাতে চান?
আমিনুল: বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শতভাগ দলীয়করণমুক্ত, রাজনীতিকরণমুক্ত রাখতে চাই। এটা আজ বলছি। ভবিষ্যতেও বলব একই কথা। সে ক্ষেত্রে তামিম ইকবাল যে আমাদের বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছে, বিষয়টি এ রকম নয়। এখানে তামিম ইকবালসহ যাঁরা কাজ করেছেন বা ভবিষ্যতে ক্রিকেট বোর্ডে আসতে চান, আমরা চেয়েছি যাতে বিষয়টা অবাধ, সুষ্ঠু হয়। যাতে একেবারে নিরপেক্ষভাবে ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনটা হয়। সেই চিন্তা থেকে একজন ক্রিকেটার হিসেবে যেহেতু তামিম ইকবাল একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার এবং তাঁর সঙ্গে আমাদের বুলবুল ভাই থেকে শুরু করে যাঁরাই ছিলেন, আমরা চেয়েছি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্রিকেট বোর্ডটা গঠিত হোক। কিন্তু এটাকে একটি মহল রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যেটা আমরা আসলে কখনোই আশা করিনি। ভবিষ্যতে ক্রিকেট বোর্ড কীভাবে গঠিত হবে বা বর্তমানে যেহেতু ক্রিকেট বোর্ড গঠিত হয়েছে, সেটা আসলে আমরা ভবিষ্যতের ওপরই ছেড়ে দেব। ক্রিকেট বোর্ড যেহেতু চার বছরের জন্য। কিন্তু এখানে অনেক প্রশ্ন আছে। ক্রিকেট বোর্ডের এই নির্বাচন ঘিরে মামলাও রয়েছে কিছু। এগুলো চলবে আইন অনুযায়ী। আমরা সেটার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে চাই।
প্রশ্ন: বিএনপি যদি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে, ক্রীড়াঙ্গনের কোথায় দ্রুত পরিবর্তন আনতে চাইবেন?
আমিনুল: প্রথম পরিবর্তনটা করতে চাই স্কুল পর্যায়ে। আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণি থেকে খেলাধুলাকে বাধ্যতামূলক করতে চাই। সেটা বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রমের অন্তর্ভুক্ত করব। খেলাধুলা একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে সারা দেশে আমরা মাঠগুলো সংরক্ষণ করতে চাই। আমাদের ‘নতুন কুঁড়ি’ নামের কর্মসূচি শুরু করব। সেই নতুন কুঁড়ির মাধ্যমে আমাদের প্রত্যেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় যারা রয়েছে, তাদের ভবিষ্যতে সরকারিভাবে খেলাধুলা, পড়াশোনা—সব দায়দায়িত্ব নেব। খেলাকে কেউ কিন্তু এখন পর্যন্ত পেশা হিসেবে বেছে নেয়নি। আমরা সেই জায়গা নিয়েও কাজ করতে চাই; যাতে ভবিষ্যতে একজন ফুটবলার নিজেকে ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে। একেবারে তৃণমূল থেকে ভবিষ্যতে যেন খেলাকে পেশা হিসেবে নিতে পারে, সেই পেশার নিশ্চয়তা আমরা দিতে চাই।
প্রশ্ন: বিএনপি ক্ষমতায় এলে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আপনাদের অবস্থান কী হবে? তাঁকে কি দেশে খেলার সুযোগ দেওয়া হবে?
আমিনুল: একজন সাবেক জাতীয় ফুটবলার, সাবেক জাতীয় অধিনায়ক হিসেবে যেটা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করেছি, আমাকে প্রতি মুহূর্তে মামলা-হামলায় জর্জরিত করেছে। শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছি। আমাকে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে। রক্তাক্ত হয়েছি। এই ধরনের পরিস্থিতি যেন কোনোভাবে খেলোয়াড়ের সঙ্গে না হয়, এটা আমি কখনোই চাই না এবং সমর্থনও করি না। একজন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হচ্ছে, ভিন্নমত থাকতে পারে। আমি আমার মতামত দিয়ে আমার কাজ যদি সফলভাবে শেষ করতে পারি, এটা আমার যোগ্যতা অনুযায়ী করব। কিন্তু ভিন্নমতের কারণে যে আমার ওপরে বা অন্য কারও ওপরে জুলুম-নির্যাতন হবে, সেটাকে কখনোই সমর্থন করি না এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো জুলুম নির্যাতন হবে না। আপনি যে বিষয়টি বলছেন, তা হচ্ছে, যেহেতু সাকিবের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে মামলা হয়েছে, সেটা কিন্তু অবৈধ সরকারের ৩০০ জনের একজন এমপি হওয়ায় সাকিবের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে যখন ওই স্বৈরাচার সরকার মানুষকে যেভাবে হত্যা করেছে, যেভাবে গুম করেছে, এটার দায়ভার ৩০০ জনের একজনকে নিতে হবে। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। তবে এটার সিদ্ধান্ত রাষ্ট্র নেবে।
প্রশ্ন: অনেক জটিল বিষয়ে কথা হলো, এবার ফুটবলে আসি। বাংলাদেশের ফুটবলে হামজা আসার পর যে আশা তৈরি হয়েছে, সেটা শুধুই জাতীয় দলকেন্দ্রিক। ক্লাব ফুটবল আঁধারেই আছে।
আমিনুল: হামজা চৌধুরী, শমিত শোম বা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যে খেলোয়াড়েরা রয়েছে, তাদের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশের ফুটবলে একটা জাগরণ তৈরি হয়েছে। সেই জাগরণকে অবশ্যই আমরা ইতিবাচকভাবে নিচ্ছি এবং এই হাইপটা ধরে রাখতে পারলে আমাদের বাংলাদেশ ফুটবল অনেক এগিয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে তৃণমূল পর্যায়। তৃণমূল পর্যায় মানে আমাদের তেমন কোনো খেলা কিন্তু গত এক বছরে দৃশ্যমান দেখিনি। আমাদের ঘরোয়া ফুটবলের সেই জৌলুশ কিন্তু আমরা এখনো দেখিনি। শুধু দু-চারটি ক্লাবের ওপর বাংলাদেশের ফুটবল নির্ভর করে না। আমাদের উপজেলা বা জেলা পর্যায়ের যে ফুটবল খেলা দরকার কিংবা যে ধরনের লিগ দরকার, আমরা যখন খেলেছি শেরেবাংলা কাপ, সোহরাওয়ার্দী কাপের মাধ্যমে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অনেক ভালো ভালো ফুটবলার বের হয়ে আসত। এই পাইপলাইনটা কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ। এখন হামজা চৌধুরীকে কেন্দ্র করে বা বাংলাদেশের ফুটবল জাতীয় পর্যায়ে হয়তো এগিয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের যে বিকল্প দরকার, তৃণমূল পর্যায় থেকে যে শুরু করা দরকার বা যে স্কুল ফুটবল শুরু করা দরকার, এই জায়গাগুলোতে আমরা অনেকাংশে পিছিয়ে আছি। এটা কখনোই রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। সময় দিতে হবে। পরিকল্পনা করতে হবে। পেশাদারি মনোভাব আনতে হবে সব পর্যায়ে। শুধু খেলোয়াড়েরা পেশাদারি আচরণ করবে আর কর্মকর্তারা করবেন না, তা হলে তো হবে না। মাঠের সংকট নিয়েও আমাদের কাজ করতে হবে। সেটা অবশ্যই সরকারি পর্যায় থেকে হওয়া উচিত এবং পাশাপাশি আমাদের ক্লাব পর্যায়গুলো ক্লাবের যে সুযোগ-সুবিধা দরকার, আসলে তা অপ্রতুল। সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়, হামজা চৌধুরীকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ফুটবলে নবজাগরণ তৈরি হয়েছে। এটা ধরে রেখে আমরা যদি তৃণমূল পর্যায়ে এগিয়ে আসতে পারি এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা যায়, তাহলে হয়তো ভালো কিছু করতে পারব।
প্রশ্ন: কদিন পর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ, বাংলাদেশ কি পারবে হারাতে?
আমিনুল: ভারতের ফুটবল আর বাংলাদেশের ফুটবলে কিন্তু খুব বেশি পার্থক্য নেই। হামজা চৌধুরীর আসার কারণে বাংলাদেশের ফুটবলে এবং খেলোয়াড়দের ভেতরে একটি নতুন উন্মাদনা বা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। সেই আত্মবিশ্বাসের জায়গা থেকে বলি, যেহেতু আমাদের ঘরের মাঠে খেলা, আমরা যদি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারি, তাহলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।
প্রশ্ন: গত বছরের ৫ আগস্টের পর ক্রীড়াঙ্গনের সংস্কার নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
আমিনুল হক: ৫ আগস্টের পর আশা করেছিলাম, নতুন ধারার মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শতভাগ রাজনীতিকরণ, দলীয়করণ থেকে মুক্ত করে একটি সুন্দর পরিবেশের মাধ্যমে যাঁরা মাঠের ক্রীড়া সংগঠক, যাঁরা দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিলেন, সেই মানুষগুলো ক্রীড়াঙ্গনের দায়িত্ব নিয়ে নতুনভাবে ঢেলে সাজাবেন। স্বৈরাচার সরকার ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি সেক্টরে দলীয়করণ করেছে, রাজনীতিকরণ করেছে। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে আমরা আশা করেছিলাম, ক্রীড়াঙ্গনটা নতুনভাবে ঢেলে সাজাব। আমার সঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টার কথাও হয়েছিল। আপনারা জানেন, তিনি সার্চ কমিটি করেছেন। যে অ্যাডহক কমিটিগুলো করা হয়েছে, ক্রীড়া পরিষদে নিজস্ব একটা সেটআপ তৈরি করে সারা দেশের যে জেলা, বিভাগীয় অ্যাডহক কমিটিগুলো করা হয়েছে, সেখানে তিনি শতভাগ তাঁর নিজের মতো করার চেষ্টা করেছেন। তিনি যদি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতেন, তাহলে মাঠের যাঁরা ক্রীড়া সংগঠক, যাঁরা যোগ্য ছিলেন, তাঁরা উঠে আসতেন। কিন্তু তিনি যখন পক্ষপাতের দিকে চলে গেছেন, তখন আসলে ক্রীড়াঙ্গনের সেই নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছে। গত এক বছরের মূল্যায়ন যদি বলেন, খুব বেশি পরিবর্তন আমাদের চোখে পড়েনি; বরং ক্রিকেট বোর্ডের যে নির্বাচনটা আমরা দেখলাম, একেবারে নিজের মতো করে করার চেষ্টা করেছেন এবং তিনি এখানে কাউকে কোনো সুযোগ দেননি। তিনি একদম অগণতান্ত্রিকভাবে ক্রিকেট বোর্ডটা নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। এটা আসলে আমরা একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে বাংলাদেশের যাঁরা ক্রীড়া সংগঠক রয়েছেন, ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ক্রীড়া সংগঠক যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা কখনোই এটাকে ভালোভাবে নেননি।
প্রশ্ন: বিএনপি ক্ষমতায় এলে তামিম ইকবালকে কীভাবে কাজে লাগাতে চান?
আমিনুল: বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শতভাগ দলীয়করণমুক্ত, রাজনীতিকরণমুক্ত রাখতে চাই। এটা আজ বলছি। ভবিষ্যতেও বলব একই কথা। সে ক্ষেত্রে তামিম ইকবাল যে আমাদের বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছে, বিষয়টি এ রকম নয়। এখানে তামিম ইকবালসহ যাঁরা কাজ করেছেন বা ভবিষ্যতে ক্রিকেট বোর্ডে আসতে চান, আমরা চেয়েছি যাতে বিষয়টা অবাধ, সুষ্ঠু হয়। যাতে একেবারে নিরপেক্ষভাবে ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনটা হয়। সেই চিন্তা থেকে একজন ক্রিকেটার হিসেবে যেহেতু তামিম ইকবাল একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার এবং তাঁর সঙ্গে আমাদের বুলবুল ভাই থেকে শুরু করে যাঁরাই ছিলেন, আমরা চেয়েছি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্রিকেট বোর্ডটা গঠিত হোক। কিন্তু এটাকে একটি মহল রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যেটা আমরা আসলে কখনোই আশা করিনি। ভবিষ্যতে ক্রিকেট বোর্ড কীভাবে গঠিত হবে বা বর্তমানে যেহেতু ক্রিকেট বোর্ড গঠিত হয়েছে, সেটা আসলে আমরা ভবিষ্যতের ওপরই ছেড়ে দেব। ক্রিকেট বোর্ড যেহেতু চার বছরের জন্য। কিন্তু এখানে অনেক প্রশ্ন আছে। ক্রিকেট বোর্ডের এই নির্বাচন ঘিরে মামলাও রয়েছে কিছু। এগুলো চলবে আইন অনুযায়ী। আমরা সেটার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে চাই।
প্রশ্ন: বিএনপি যদি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে, ক্রীড়াঙ্গনের কোথায় দ্রুত পরিবর্তন আনতে চাইবেন?
আমিনুল: প্রথম পরিবর্তনটা করতে চাই স্কুল পর্যায়ে। আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণি থেকে খেলাধুলাকে বাধ্যতামূলক করতে চাই। সেটা বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রমের অন্তর্ভুক্ত করব। খেলাধুলা একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে সারা দেশে আমরা মাঠগুলো সংরক্ষণ করতে চাই। আমাদের ‘নতুন কুঁড়ি’ নামের কর্মসূচি শুরু করব। সেই নতুন কুঁড়ির মাধ্যমে আমাদের প্রত্যেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় যারা রয়েছে, তাদের ভবিষ্যতে সরকারিভাবে খেলাধুলা, পড়াশোনা—সব দায়দায়িত্ব নেব। খেলাকে কেউ কিন্তু এখন পর্যন্ত পেশা হিসেবে বেছে নেয়নি। আমরা সেই জায়গা নিয়েও কাজ করতে চাই; যাতে ভবিষ্যতে একজন ফুটবলার নিজেকে ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে। একেবারে তৃণমূল থেকে ভবিষ্যতে যেন খেলাকে পেশা হিসেবে নিতে পারে, সেই পেশার নিশ্চয়তা আমরা দিতে চাই।
প্রশ্ন: বিএনপি ক্ষমতায় এলে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আপনাদের অবস্থান কী হবে? তাঁকে কি দেশে খেলার সুযোগ দেওয়া হবে?
আমিনুল: একজন সাবেক জাতীয় ফুটবলার, সাবেক জাতীয় অধিনায়ক হিসেবে যেটা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করেছি, আমাকে প্রতি মুহূর্তে মামলা-হামলায় জর্জরিত করেছে। শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছি। আমাকে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে। রক্তাক্ত হয়েছি। এই ধরনের পরিস্থিতি যেন কোনোভাবে খেলোয়াড়ের সঙ্গে না হয়, এটা আমি কখনোই চাই না এবং সমর্থনও করি না। একজন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হচ্ছে, ভিন্নমত থাকতে পারে। আমি আমার মতামত দিয়ে আমার কাজ যদি সফলভাবে শেষ করতে পারি, এটা আমার যোগ্যতা অনুযায়ী করব। কিন্তু ভিন্নমতের কারণে যে আমার ওপরে বা অন্য কারও ওপরে জুলুম-নির্যাতন হবে, সেটাকে কখনোই সমর্থন করি না এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো জুলুম নির্যাতন হবে না। আপনি যে বিষয়টি বলছেন, তা হচ্ছে, যেহেতু সাকিবের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে মামলা হয়েছে, সেটা কিন্তু অবৈধ সরকারের ৩০০ জনের একজন এমপি হওয়ায় সাকিবের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে যখন ওই স্বৈরাচার সরকার মানুষকে যেভাবে হত্যা করেছে, যেভাবে গুম করেছে, এটার দায়ভার ৩০০ জনের একজনকে নিতে হবে। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। তবে এটার সিদ্ধান্ত রাষ্ট্র নেবে।
প্রশ্ন: অনেক জটিল বিষয়ে কথা হলো, এবার ফুটবলে আসি। বাংলাদেশের ফুটবলে হামজা আসার পর যে আশা তৈরি হয়েছে, সেটা শুধুই জাতীয় দলকেন্দ্রিক। ক্লাব ফুটবল আঁধারেই আছে।
আমিনুল: হামজা চৌধুরী, শমিত শোম বা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যে খেলোয়াড়েরা রয়েছে, তাদের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশের ফুটবলে একটা জাগরণ তৈরি হয়েছে। সেই জাগরণকে অবশ্যই আমরা ইতিবাচকভাবে নিচ্ছি এবং এই হাইপটা ধরে রাখতে পারলে আমাদের বাংলাদেশ ফুটবল অনেক এগিয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে তৃণমূল পর্যায়। তৃণমূল পর্যায় মানে আমাদের তেমন কোনো খেলা কিন্তু গত এক বছরে দৃশ্যমান দেখিনি। আমাদের ঘরোয়া ফুটবলের সেই জৌলুশ কিন্তু আমরা এখনো দেখিনি। শুধু দু-চারটি ক্লাবের ওপর বাংলাদেশের ফুটবল নির্ভর করে না। আমাদের উপজেলা বা জেলা পর্যায়ের যে ফুটবল খেলা দরকার কিংবা যে ধরনের লিগ দরকার, আমরা যখন খেলেছি শেরেবাংলা কাপ, সোহরাওয়ার্দী কাপের মাধ্যমে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অনেক ভালো ভালো ফুটবলার বের হয়ে আসত। এই পাইপলাইনটা কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ। এখন হামজা চৌধুরীকে কেন্দ্র করে বা বাংলাদেশের ফুটবল জাতীয় পর্যায়ে হয়তো এগিয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের যে বিকল্প দরকার, তৃণমূল পর্যায় থেকে যে শুরু করা দরকার বা যে স্কুল ফুটবল শুরু করা দরকার, এই জায়গাগুলোতে আমরা অনেকাংশে পিছিয়ে আছি। এটা কখনোই রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। সময় দিতে হবে। পরিকল্পনা করতে হবে। পেশাদারি মনোভাব আনতে হবে সব পর্যায়ে। শুধু খেলোয়াড়েরা পেশাদারি আচরণ করবে আর কর্মকর্তারা করবেন না, তা হলে তো হবে না। মাঠের সংকট নিয়েও আমাদের কাজ করতে হবে। সেটা অবশ্যই সরকারি পর্যায় থেকে হওয়া উচিত এবং পাশাপাশি আমাদের ক্লাব পর্যায়গুলো ক্লাবের যে সুযোগ-সুবিধা দরকার, আসলে তা অপ্রতুল। সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়, হামজা চৌধুরীকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ফুটবলে নবজাগরণ তৈরি হয়েছে। এটা ধরে রেখে আমরা যদি তৃণমূল পর্যায়ে এগিয়ে আসতে পারি এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা যায়, তাহলে হয়তো ভালো কিছু করতে পারব।
প্রশ্ন: কদিন পর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ, বাংলাদেশ কি পারবে হারাতে?
আমিনুল: ভারতের ফুটবল আর বাংলাদেশের ফুটবলে কিন্তু খুব বেশি পার্থক্য নেই। হামজা চৌধুরীর আসার কারণে বাংলাদেশের ফুটবলে এবং খেলোয়াড়দের ভেতরে একটি নতুন উন্মাদনা বা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। সেই আত্মবিশ্বাসের জায়গা থেকে বলি, যেহেতু আমাদের ঘরের মাঠে খেলা, আমরা যদি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারি, তাহলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।

হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ড্যামিয়েন মার্টিন। কুইন্সল্যান্ডের একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার বর্তমানে কোমায় রয়েছেন।
৮ মিনিট আগে
ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পর হঠাৎ সাকিব আল হাসানের ছন্দপতন। ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে গত রাতে ব্যাটিং কিংবা বোলিং, কোথাও তিনি নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। প্লে অফের ম্যাচটিতে তাঁর দল এমআই এমিরেটস হেরেছে ৪৫ রানের বিশাল ব্যবধানে।
১ ঘণ্টা আগে
পেস বোলিং পরামর্শক হিসেবে লাসিথ মালিঙ্গাকে নিয়োগ দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পেসারদের উন্নতির কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। এক বিবৃবিতে এসএলসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আজকের ম্যাচ দুটি স্থগিত করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্থগিত ম্যাচ দুটি আগামীকাল আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। সে সূচিতে আবারও পরিবর্তন আনল কর্তৃপক্ষ।
১৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ড্যামিয়েন মার্টিন। কুইন্সল্যান্ডের একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার বর্তমানে কোমায় রয়েছেন।
মার্টিনের শারীরিক অসুস্থতার খবর জানাজানি হয় গতকাল সন্ধ্যায়। ক্রিকইনফো আজ মার্টিনের হাসপাতালে ভর্তির খবর প্রকাশ করেছে। ৫৪ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ার এই ক্রিকেটারকে বিশেষ এক ওষুধ প্রয়োগ করে কৃত্রিমভাবে কোমায় রাখা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘চ্যানেল নাইন’-এর প্রতিবেদনে জানা গেছে, বক্সিং ডেতে (২৬ ডিসেম্বর) বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন মার্টিন। শোয়ার পরপরই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অস্ট্রেলিয়ার ২০০৩ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁর মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড আজ মার্টিনের অসুস্থতা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। অস্ট্রেলিয়ার এই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত মার্টিনের এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডকে ঘিরে রাখা সুরক্ষামূলক ঝিল্লির ব্যথাই এ রোগের লক্ষণ। কুইন্সল্যান্ডের গোল্ড কোস্ট হাসপাতালের মুখপাত্র আজ সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে বলেছেন, ‘গোল্ড কোস্ট বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে এখন গুরুতর অবস্থায় মার্টিন।’ অস্ট্রেলিয়ার ২০০৩ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার যেন দ্রুত সেরে ওঠেন, সেই প্রার্থনায় সামাজিক মাধ্যমে আজ পোস্ট দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক বাঁহাতি স্পিনার ড্যারেন লেম্যান নিজের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘মার্টিনের জন্য অনেক ভালোবাসা। শক্ত থাক যোদ্ধা। দ্রুত যেন সেরে ওঠ, সেই প্রার্থনা রইল।’
মার্টিনকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে না করেছেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘নিউজ কর্প’কে গিলক্রিস্ট বলেন, ‘মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত মার্টিনের উন্নত চিকিৎসা চলছে। তার (মার্টিন) জীবনসঙ্গিনী আমান্দা ও তার পরিবার জানে অসংখ্য মানুষ তার জন্য প্রার্থনা করছেন।’ খুব দ্রুত কোমা থেকে মার্টিন বের হয়ে আসবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। বর্তমানে তাঁর অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ১৯৯২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ৬৭ টেস্ট, ২০৮ ওয়ানডে ও ৪ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মার্টিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে ২৭৯ ম্যাচে ৪২.৯২ গড়ে করেছেন ৯৮৭২ রান। তিন সংস্করণ মিলে ১৮ সেঞ্চুরি ও ৬১ ফিফটি করেছেন। ১৯৯৯, ২০০৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছেন তিনি। ২০০৬ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপাও জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা ক্রিকেটার। ১৮ সেঞ্চুরির মধ্যে টেস্টে করেছেন ১৩ সেঞ্চুরি। ওয়ানডেতে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন পাঁচবার।

হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ড্যামিয়েন মার্টিন। কুইন্সল্যান্ডের একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার বর্তমানে কোমায় রয়েছেন।
মার্টিনের শারীরিক অসুস্থতার খবর জানাজানি হয় গতকাল সন্ধ্যায়। ক্রিকইনফো আজ মার্টিনের হাসপাতালে ভর্তির খবর প্রকাশ করেছে। ৫৪ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ার এই ক্রিকেটারকে বিশেষ এক ওষুধ প্রয়োগ করে কৃত্রিমভাবে কোমায় রাখা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘চ্যানেল নাইন’-এর প্রতিবেদনে জানা গেছে, বক্সিং ডেতে (২৬ ডিসেম্বর) বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন মার্টিন। শোয়ার পরপরই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অস্ট্রেলিয়ার ২০০৩ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁর মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড আজ মার্টিনের অসুস্থতা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। অস্ট্রেলিয়ার এই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত মার্টিনের এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডকে ঘিরে রাখা সুরক্ষামূলক ঝিল্লির ব্যথাই এ রোগের লক্ষণ। কুইন্সল্যান্ডের গোল্ড কোস্ট হাসপাতালের মুখপাত্র আজ সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে বলেছেন, ‘গোল্ড কোস্ট বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে এখন গুরুতর অবস্থায় মার্টিন।’ অস্ট্রেলিয়ার ২০০৩ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার যেন দ্রুত সেরে ওঠেন, সেই প্রার্থনায় সামাজিক মাধ্যমে আজ পোস্ট দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক বাঁহাতি স্পিনার ড্যারেন লেম্যান নিজের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘মার্টিনের জন্য অনেক ভালোবাসা। শক্ত থাক যোদ্ধা। দ্রুত যেন সেরে ওঠ, সেই প্রার্থনা রইল।’
মার্টিনকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে না করেছেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘নিউজ কর্প’কে গিলক্রিস্ট বলেন, ‘মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত মার্টিনের উন্নত চিকিৎসা চলছে। তার (মার্টিন) জীবনসঙ্গিনী আমান্দা ও তার পরিবার জানে অসংখ্য মানুষ তার জন্য প্রার্থনা করছেন।’ খুব দ্রুত কোমা থেকে মার্টিন বের হয়ে আসবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। বর্তমানে তাঁর অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ১৯৯২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ৬৭ টেস্ট, ২০৮ ওয়ানডে ও ৪ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মার্টিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে ২৭৯ ম্যাচে ৪২.৯২ গড়ে করেছেন ৯৮৭২ রান। তিন সংস্করণ মিলে ১৮ সেঞ্চুরি ও ৬১ ফিফটি করেছেন। ১৯৯৯, ২০০৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছেন তিনি। ২০০৬ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপাও জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা ক্রিকেটার। ১৮ সেঞ্চুরির মধ্যে টেস্টে করেছেন ১৩ সেঞ্চুরি। ওয়ানডেতে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন পাঁচবার।

৫ আগস্টের পর আশা করেছিলাম, নতুন ধারার মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শতভাগ রাজনীতিকরণ, দলীয়করণ থেকে মুক্ত করে একটি সুন্দর পরিবেশের মাধ্যমে যাঁরা মাঠের ক্রীড়া সংগঠক, যাঁরা দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিলেন, সেই মানুষগুলো ক্রীড়াঙ্গনের দায়িত্ব নিয়ে নতুনভাবে ঢেলে সাজাবেন। স্বৈরাচার সরকার ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি সেক্টরে
০৫ নভেম্বর ২০২৫
ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পর হঠাৎ সাকিব আল হাসানের ছন্দপতন। ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে গত রাতে ব্যাটিং কিংবা বোলিং, কোথাও তিনি নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। প্লে অফের ম্যাচটিতে তাঁর দল এমআই এমিরেটস হেরেছে ৪৫ রানের বিশাল ব্যবধানে।
১ ঘণ্টা আগে
পেস বোলিং পরামর্শক হিসেবে লাসিথ মালিঙ্গাকে নিয়োগ দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পেসারদের উন্নতির কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। এক বিবৃবিতে এসএলসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আজকের ম্যাচ দুটি স্থগিত করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্থগিত ম্যাচ দুটি আগামীকাল আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। সে সূচিতে আবারও পরিবর্তন আনল কর্তৃপক্ষ।
১৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পর হঠাৎ সাকিব আল হাসানের ছন্দপতন। ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে গত রাতে ব্যাটিং কিংবা বোলিং, কোথাও তিনি নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। প্লে অফের ম্যাচটিতে তাঁর দল এমআই এমিরেটস হেরেছে ৪৫ রানের বিশাল ব্যবধানে।
আইএল টি-টোয়েন্টির প্রথম কোয়ালিফায়ারে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ালিফায়ারে গত রাতে মুখোমুখি হয়েছে ডেজার্ট ভাইপার্স-এমআই এমিরেটস। এই ম্যাচের জয়ী দল সরাসরি ফাইনালের ‘ভিআইপি টিকিট’ পেয়ে যেত। এমআই এমিরেটসকে ৪৫ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে ডেজার্ট ভাইপার্স। এমআই এমিরেটসের অলরাউন্ডার সাকিব এক অঙ্কের রান করে আউট হয়েছেন। এক ওভার বোলিং করেও তেমন সুবিধা করতে পারেননি।
২৩৪ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ২৭ রানেই ভেঙে যায় এমআই এমিরেটসের উদ্বোধনী জুটি। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে আন্দ্রে ফ্লেচারকে (৪) ফিরিয়েছেন ডেজার্টের পেসার খুজাইমা তানভীর। ফ্লেচার মূলত ফজলহক ফারুকির পরিবর্তে ব্যাটিং করতে নেমেছেন। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৩ বলে ৮১ রানের জুটি গড়েন টম ব্যান্টন ও মোহাম্মদ ওয়াসিম। ১১তম ওভারের তৃতীয় বলে ওয়াসিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন নাসিম শাহ। ওয়াসিম ৩২ বলে ৫ চারে ৪১ রান করে বিদায় নিয়েছেন।
ওয়াসিম বিদায় নেওয়ার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা এমআই এমিরেটস ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৮ রানে থেমে যায়। সতীর্থদের কাছ থেকে তেমন সাপোর্ট না পাওয়ায় ব্যান্টনের ঝড় বৃথা গেছে। ২৭ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৬৩ রান। আট নম্বরে নামা সাকিব ৬ বলে ১ চারে করেন ৮ রান। ডেজার্ট ভাইপার্সের উসমান তারিক ৪ ওভারে ৩৩ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। তাঁর সতীর্থ আন্দ্রিস গাউস হয়েছেন ম্যাচসেরা। ৫৮ বলে ৭ চার ও ৯ ছক্কায় ১২০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন তিনি। তাঁর ঝোড়ো ইনিংসের সুবাদে টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া ডেজার্ট ভাইপার্স ২০ ওভারে ১ উইকেটে ২৩৩ রান করেছে। সাকিব এক ওভার বোলিং করে ১০ রান খরচ করেও কোনো উইকেট পাননি।
হেরে গেলেও অবশ্য ফাইনালে ওঠার আরেকটি সুযোগ পাচ্ছে এমআই এমিরেটস। ২ জানুয়ারি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলবে সাকিবের দল। সেই ম্যাচে এমআই এমিরেটসের প্রতিপক্ষ হবে এলিমিনেটরের জয়ী দল। আগামীকাল দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এলিমিনেটরে মুখোমুখি হবে আবুধাবি নাইট রাইডার্স-দুবাই ক্যাপিটালস। এই ম্যাচের পরাজিত দলের টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যাবে এখানেই।

ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পর হঠাৎ সাকিব আল হাসানের ছন্দপতন। ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে গত রাতে ব্যাটিং কিংবা বোলিং, কোথাও তিনি নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। প্লে অফের ম্যাচটিতে তাঁর দল এমআই এমিরেটস হেরেছে ৪৫ রানের বিশাল ব্যবধানে।
আইএল টি-টোয়েন্টির প্রথম কোয়ালিফায়ারে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ালিফায়ারে গত রাতে মুখোমুখি হয়েছে ডেজার্ট ভাইপার্স-এমআই এমিরেটস। এই ম্যাচের জয়ী দল সরাসরি ফাইনালের ‘ভিআইপি টিকিট’ পেয়ে যেত। এমআই এমিরেটসকে ৪৫ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে ডেজার্ট ভাইপার্স। এমআই এমিরেটসের অলরাউন্ডার সাকিব এক অঙ্কের রান করে আউট হয়েছেন। এক ওভার বোলিং করেও তেমন সুবিধা করতে পারেননি।
২৩৪ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ২৭ রানেই ভেঙে যায় এমআই এমিরেটসের উদ্বোধনী জুটি। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে আন্দ্রে ফ্লেচারকে (৪) ফিরিয়েছেন ডেজার্টের পেসার খুজাইমা তানভীর। ফ্লেচার মূলত ফজলহক ফারুকির পরিবর্তে ব্যাটিং করতে নেমেছেন। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৩ বলে ৮১ রানের জুটি গড়েন টম ব্যান্টন ও মোহাম্মদ ওয়াসিম। ১১তম ওভারের তৃতীয় বলে ওয়াসিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন নাসিম শাহ। ওয়াসিম ৩২ বলে ৫ চারে ৪১ রান করে বিদায় নিয়েছেন।
ওয়াসিম বিদায় নেওয়ার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা এমআই এমিরেটস ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৮ রানে থেমে যায়। সতীর্থদের কাছ থেকে তেমন সাপোর্ট না পাওয়ায় ব্যান্টনের ঝড় বৃথা গেছে। ২৭ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৬৩ রান। আট নম্বরে নামা সাকিব ৬ বলে ১ চারে করেন ৮ রান। ডেজার্ট ভাইপার্সের উসমান তারিক ৪ ওভারে ৩৩ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। তাঁর সতীর্থ আন্দ্রিস গাউস হয়েছেন ম্যাচসেরা। ৫৮ বলে ৭ চার ও ৯ ছক্কায় ১২০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন তিনি। তাঁর ঝোড়ো ইনিংসের সুবাদে টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া ডেজার্ট ভাইপার্স ২০ ওভারে ১ উইকেটে ২৩৩ রান করেছে। সাকিব এক ওভার বোলিং করে ১০ রান খরচ করেও কোনো উইকেট পাননি।
হেরে গেলেও অবশ্য ফাইনালে ওঠার আরেকটি সুযোগ পাচ্ছে এমআই এমিরেটস। ২ জানুয়ারি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলবে সাকিবের দল। সেই ম্যাচে এমআই এমিরেটসের প্রতিপক্ষ হবে এলিমিনেটরের জয়ী দল। আগামীকাল দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এলিমিনেটরে মুখোমুখি হবে আবুধাবি নাইট রাইডার্স-দুবাই ক্যাপিটালস। এই ম্যাচের পরাজিত দলের টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যাবে এখানেই।

৫ আগস্টের পর আশা করেছিলাম, নতুন ধারার মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শতভাগ রাজনীতিকরণ, দলীয়করণ থেকে মুক্ত করে একটি সুন্দর পরিবেশের মাধ্যমে যাঁরা মাঠের ক্রীড়া সংগঠক, যাঁরা দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিলেন, সেই মানুষগুলো ক্রীড়াঙ্গনের দায়িত্ব নিয়ে নতুনভাবে ঢেলে সাজাবেন। স্বৈরাচার সরকার ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি সেক্টরে
০৫ নভেম্বর ২০২৫
হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ড্যামিয়েন মার্টিন। কুইন্সল্যান্ডের একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার বর্তমানে কোমায় রয়েছেন।
৮ মিনিট আগে
পেস বোলিং পরামর্শক হিসেবে লাসিথ মালিঙ্গাকে নিয়োগ দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পেসারদের উন্নতির কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। এক বিবৃবিতে এসএলসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আজকের ম্যাচ দুটি স্থগিত করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্থগিত ম্যাচ দুটি আগামীকাল আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। সে সূচিতে আবারও পরিবর্তন আনল কর্তৃপক্ষ।
১৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

পেস বোলিং পরামর্শক হিসেবে লাসিথ মালিঙ্গাকে নিয়োগ দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পেসারদের উন্নতির কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। এক বিবৃবিতে এসএলসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরবর্তী পর্ব শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে সংক্ষিপ্ত ওভারের বিশ্বকাপের আয়োজক শ্রীলঙ্কা। বিশ্বমঞ্চে ভালো করতে নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। তারই অংশ হিসেবে স্বল্প মেয়াদে মালিঙ্গাকে নিয়োগ দিয়েছে এসএলসি। এই মেয়াদ কার্যকর হবে ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে ২৫ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত। এমনটাই জানিয়েছে এসএলসি।
চুক্তির সময়টুকুতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় থাকা পেসারদের নিয়ে কাজ করবেন মালিঙ্গা। ডেথ ওভার বোলিংয়ের জন্য ক্রিকেট বিশ্বে বেশ নাম করেছিলেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সাবেক ক্রিকেটারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় শ্রীলঙ্কা।
২০০৬ সালের জুনে শ্রীলঙ্কার হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় মালিঙ্গার। দেশের হয়ে এই সংস্করণে নিজের শেষ ম্যাচটি খেলেছেন ২০২০ সালের মার্চে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তার আগে ৮৪ ম্যাচের ৮৩ ইনিংসে নিয়েছেন ১০৭ উইকেট। সব মিলিয়ে এই সংস্করণে ২৮৯ ম্যাচ বল করে ঝুলিতে পুরেছেন ৩৯০ উইকেট। ইকোনমি রানরেট ৭.০৭। শ্রীলঙ্কার ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন মালিঙ্গা।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও দুর্দান্ত সময় পার করেছেন মালিঙ্গা। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ১২২ ম্যাচে নিয়েছেন ১৭০ উইকেট। বর্তমানে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটির বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘বি’–তে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে ও ওমান। ৮ ফেব্রুয়ারি নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে লঙ্গানরা। প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড।

পেস বোলিং পরামর্শক হিসেবে লাসিথ মালিঙ্গাকে নিয়োগ দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পেসারদের উন্নতির কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। এক বিবৃবিতে এসএলসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরবর্তী পর্ব শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে সংক্ষিপ্ত ওভারের বিশ্বকাপের আয়োজক শ্রীলঙ্কা। বিশ্বমঞ্চে ভালো করতে নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। তারই অংশ হিসেবে স্বল্প মেয়াদে মালিঙ্গাকে নিয়োগ দিয়েছে এসএলসি। এই মেয়াদ কার্যকর হবে ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে ২৫ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত। এমনটাই জানিয়েছে এসএলসি।
চুক্তির সময়টুকুতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় থাকা পেসারদের নিয়ে কাজ করবেন মালিঙ্গা। ডেথ ওভার বোলিংয়ের জন্য ক্রিকেট বিশ্বে বেশ নাম করেছিলেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সাবেক ক্রিকেটারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় শ্রীলঙ্কা।
২০০৬ সালের জুনে শ্রীলঙ্কার হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় মালিঙ্গার। দেশের হয়ে এই সংস্করণে নিজের শেষ ম্যাচটি খেলেছেন ২০২০ সালের মার্চে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তার আগে ৮৪ ম্যাচের ৮৩ ইনিংসে নিয়েছেন ১০৭ উইকেট। সব মিলিয়ে এই সংস্করণে ২৮৯ ম্যাচ বল করে ঝুলিতে পুরেছেন ৩৯০ উইকেট। ইকোনমি রানরেট ৭.০৭। শ্রীলঙ্কার ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন মালিঙ্গা।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও দুর্দান্ত সময় পার করেছেন মালিঙ্গা। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ১২২ ম্যাচে নিয়েছেন ১৭০ উইকেট। বর্তমানে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটির বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘বি’–তে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে ও ওমান। ৮ ফেব্রুয়ারি নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে লঙ্গানরা। প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড।

৫ আগস্টের পর আশা করেছিলাম, নতুন ধারার মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শতভাগ রাজনীতিকরণ, দলীয়করণ থেকে মুক্ত করে একটি সুন্দর পরিবেশের মাধ্যমে যাঁরা মাঠের ক্রীড়া সংগঠক, যাঁরা দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিলেন, সেই মানুষগুলো ক্রীড়াঙ্গনের দায়িত্ব নিয়ে নতুনভাবে ঢেলে সাজাবেন। স্বৈরাচার সরকার ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি সেক্টরে
০৫ নভেম্বর ২০২৫
হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ড্যামিয়েন মার্টিন। কুইন্সল্যান্ডের একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার বর্তমানে কোমায় রয়েছেন।
৮ মিনিট আগে
ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পর হঠাৎ সাকিব আল হাসানের ছন্দপতন। ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে গত রাতে ব্যাটিং কিংবা বোলিং, কোথাও তিনি নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। প্লে অফের ম্যাচটিতে তাঁর দল এমআই এমিরেটস হেরেছে ৪৫ রানের বিশাল ব্যবধানে।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আজকের ম্যাচ দুটি স্থগিত করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্থগিত ম্যাচ দুটি আগামীকাল আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। সে সূচিতে আবারও পরিবর্তন আনল কর্তৃপক্ষ।
১৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আজকের ম্যাচ দুটি স্থগিত করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্থগিত ম্যাচ দুটি আগামীকাল আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। সে সূচিতে আবারও পরিবর্তন আনল কর্তৃপক্ষ।
আজ দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট টাইটানসের বিপক্ষে মাঠে নামার কথা ছিল চট্টগ্রামর রয়্যালসের। দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে মাঠে নামার কথা ছিল রংপুর রাইডার্সের। দ্বিতীয়বারের মতো সূচিতে পরিবর্তন এনে এই ম্যাচ দুটি ৪ জানুয়ারি আয়োজন করবে গভর্নিং কাউন্সিল। তার আগে ১ ও ২ জানুয়ারির ম্যাচগুলো পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী মাঠে গড়াবে। এক বিবৃতিতে বিসিবি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আজকের দুটি ম্যাচ গ্যালারিতে বসে দেখার জন্য যাঁরা টিকিট কিনেছিলেন, তাঁদের জন্যও আছে সুখবর। স্থগিত হওয়া ম্যাচের টিকিট দিয়েই আগামীকাল মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন দর্শকেরা। আজকের পত্রিকাকে বিসিবির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানাতে গিয়ে এক বার্তায় বিসিবি লিখেছে, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড গভীরভাবে শোকাহত। বিসিবি কৃতজ্ঞতার সাথে এই দেশের ক্রিকেটের অগ্রগতিতে তাঁর অবদান স্বীকার করছে। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়নে অসামান্য সহযোগিতা করেছেন, ক্রিকেটের অবকাঠামোগত উন্নতি ও দেশব্যাপী খেলাধুলার প্রসারে রেখেছেন উল্লেখযোগ্য। ক্রিকেট আজ যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তার পথ প্রশস্ত করতে সাহায্য করেছে বেগম খালেদা জিয়ার দূরদৃষ্টি ও উৎসাহ। বিসিবি এই বিরাট ক্ষতিতে সমগ্র দেশের সাথে গভীর শোক ও দুঃখে শামিল হচ্ছে এবং আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। তাঁর আত্মার চির শান্তির জন্য আমাদের দোয়া।’
খালেদা জিয়ার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমার কিছু স্মৃতি আছে। আইসিসি ট্রফিতে ১৯৯৭ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। আমাদের সংবর্ধনা দিয়েছিলেন মিন্টু রোডে। আমি সহ-অধিনায়ক ছিলাম তখন। বক্তৃতার একপর্যায়ে আমি একটা ভুল বক্তৃতা দিয়েছিলাম। সেখানে বলেছিলাম যে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলাম। এটাই শেষ আইসিসি ট্রফি ছিল।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আজকের ম্যাচ দুটি স্থগিত করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্থগিত ম্যাচ দুটি আগামীকাল আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। সে সূচিতে আবারও পরিবর্তন আনল কর্তৃপক্ষ।
আজ দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট টাইটানসের বিপক্ষে মাঠে নামার কথা ছিল চট্টগ্রামর রয়্যালসের। দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে মাঠে নামার কথা ছিল রংপুর রাইডার্সের। দ্বিতীয়বারের মতো সূচিতে পরিবর্তন এনে এই ম্যাচ দুটি ৪ জানুয়ারি আয়োজন করবে গভর্নিং কাউন্সিল। তার আগে ১ ও ২ জানুয়ারির ম্যাচগুলো পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী মাঠে গড়াবে। এক বিবৃতিতে বিসিবি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আজকের দুটি ম্যাচ গ্যালারিতে বসে দেখার জন্য যাঁরা টিকিট কিনেছিলেন, তাঁদের জন্যও আছে সুখবর। স্থগিত হওয়া ম্যাচের টিকিট দিয়েই আগামীকাল মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন দর্শকেরা। আজকের পত্রিকাকে বিসিবির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানাতে গিয়ে এক বার্তায় বিসিবি লিখেছে, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড গভীরভাবে শোকাহত। বিসিবি কৃতজ্ঞতার সাথে এই দেশের ক্রিকেটের অগ্রগতিতে তাঁর অবদান স্বীকার করছে। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়নে অসামান্য সহযোগিতা করেছেন, ক্রিকেটের অবকাঠামোগত উন্নতি ও দেশব্যাপী খেলাধুলার প্রসারে রেখেছেন উল্লেখযোগ্য। ক্রিকেট আজ যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তার পথ প্রশস্ত করতে সাহায্য করেছে বেগম খালেদা জিয়ার দূরদৃষ্টি ও উৎসাহ। বিসিবি এই বিরাট ক্ষতিতে সমগ্র দেশের সাথে গভীর শোক ও দুঃখে শামিল হচ্ছে এবং আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। তাঁর আত্মার চির শান্তির জন্য আমাদের দোয়া।’
খালেদা জিয়ার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমার কিছু স্মৃতি আছে। আইসিসি ট্রফিতে ১৯৯৭ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। আমাদের সংবর্ধনা দিয়েছিলেন মিন্টু রোডে। আমি সহ-অধিনায়ক ছিলাম তখন। বক্তৃতার একপর্যায়ে আমি একটা ভুল বক্তৃতা দিয়েছিলাম। সেখানে বলেছিলাম যে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলাম। এটাই শেষ আইসিসি ট্রফি ছিল।’

৫ আগস্টের পর আশা করেছিলাম, নতুন ধারার মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শতভাগ রাজনীতিকরণ, দলীয়করণ থেকে মুক্ত করে একটি সুন্দর পরিবেশের মাধ্যমে যাঁরা মাঠের ক্রীড়া সংগঠক, যাঁরা দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিলেন, সেই মানুষগুলো ক্রীড়াঙ্গনের দায়িত্ব নিয়ে নতুনভাবে ঢেলে সাজাবেন। স্বৈরাচার সরকার ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি সেক্টরে
০৫ নভেম্বর ২০২৫
হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ড্যামিয়েন মার্টিন। কুইন্সল্যান্ডের একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার বর্তমানে কোমায় রয়েছেন।
৮ মিনিট আগে
ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পর হঠাৎ সাকিব আল হাসানের ছন্দপতন। ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে গত রাতে ব্যাটিং কিংবা বোলিং, কোথাও তিনি নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। প্লে অফের ম্যাচটিতে তাঁর দল এমআই এমিরেটস হেরেছে ৪৫ রানের বিশাল ব্যবধানে।
১ ঘণ্টা আগে
পেস বোলিং পরামর্শক হিসেবে লাসিথ মালিঙ্গাকে নিয়োগ দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পেসারদের উন্নতির কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। এক বিবৃবিতে এসএলসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
১৩ ঘণ্টা আগে