Ajker Patrika

কাব্যিক এক ফাইনালের অপেক্ষায় উইম্বলডন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৫, ১৪: ৩৯
উইম্বলডনে পুরুষ এককের ফাইনালে মুখোমুখি আলকারাস ও সিনার (বাঁয়ে)। ফাইল ছবি
উইম্বলডনে পুরুষ এককের ফাইনালে মুখোমুখি আলকারাস ও সিনার (বাঁয়ে)। ফাইল ছবি

উইম্বলডন, ফাইনাল আর আলকারাস—শব্দ তিনটির কথা মনে পড়লেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ২০২৩ সালের সেন্টার কোর্টের ফাইনাল। পাঁচ সেটের কাব্যিক সেই ফাইনালের শেষ সেটে এমনই দুর্দান্ত এইস, দর্শনীয় ড্রপ শট খেলেছিলেন যে তা তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না প্রতিপক্ষ সার্বিয়ান জোকোভিচের। জোকোর অসহায়ত্বের বিপরীতে স্প্যানিশ তারকার উচ্ছ্বসিত পারফরম্যান্সের পর বিশ্ব টেনিসে ‘আলকা-রাজ’ দেখেছিলেন ক্রিকেট পণ্ডিতরা। আলকারাসকে তাঁরা বলেছিলেন, সেন্টার কোর্টের নতুন রাজা।

আলকারাসই যে উইম্বলডনের ‘নতুন রাজা’ সেটি পরেরবারও প্রমাণ করেছিলেন, সেই একই প্রতিপক্ষ নোভাক জোকোভিচকে হারিয়ে। ‘বড় তিন’-এর শেষ প্রতিনিধি সেই জোকোভিচ এখন অতীত। আজ যখন আরেকটি উইম্বলডনের পুরুষ এককের ফাইনাল, তখন আলকারাসের চ্যালেঞ্জার তাঁরই প্রজন্মের ইয়ানিক সিনার।

ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালেও যাঁরা মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেই ফাইনালে আলকারাস তাঁর ‘খেল’ দেখিয়েছেন তৃতীয় সেট থেকে। প্রথম দুই সেটে পিছিয়ে পড়েছিলেন। সবাই যখন ধরেই নিয়েছিলেন এই ফাইনালে হারই নিয়তি আলকারাসের, তখনই ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। শেষ, কাব্যিক সেই লড়াই জয়ে, যেটিকে তিনি জীবনের ‘সেরা ম্যাচ’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। রোলাঁ গারোর সেই ম্যাচ যাঁরা দেখেছিলেন, আজকের ফাইনালে তাঁরা এগিয়ে রাখবেন আলকারাসকেই। কিন্তু আলকারাস বলছেন, ‘সত্যি বলতে, ফ্রেঞ্চ ওপেনে সেই জয়ের পর মানসিকভাবে আমি এগিয়ে আছি, এটা ভাবি না আমি। সিনার এমন একজন খেলোয়াড়, যে প্রতিটি হার থেকে শেখে, প্রতিটি ম্যাচ থেকে শেখে এবং পরের ম্যাচে আরও ভালো হয়ে ফিরে আসে। আমি নিশ্চিত, এবারও সে ভালোভাবে প্রস্তুত।’

প্রস্তুত বলেই তো তিনি সেমিফাইনালে হারিয়ে দিয়েছেন নোভাক জোকোভিচকে, প্রথমবারের মতো উঠেছেন উইম্বলডনের ফাইনালে। পরশুর ৬-৩,৬-৩, ৬-৪ গেমের জয়টি ছিল জোকোভিচের বিপক্ষে সিনারের টানা পঞ্চম জয়। জোকোকে টানা পাঁচ ম্যাচে হারানোর কৃতিত্ব আছে আর একজনের, রাফায়েল নাদালের।

আজকের ফাইনালের আগেও অবশ্য টানা পাঁচবার কালোস আলকারাস হারিয়েছেন সিনারকে। যদিও মোট ১২ সাক্ষাতের ৪ টিতে জিতেছেন সিনারও। কিন্তু ফর্ম বিবেচনায় এগিয়ে আলকারাসই।

গত এপ্রিলে বার্সেলোনা ওপেনের ফাইনালে হোলগার রুনের কাছে হারের পর স্প্যানিশ তারকা টানা ২৪ ম্যাচের জয়ের ধারায়। তবে ২২ বছর বয়সী আলকারাসকে এই মুহূর্তে থামাতে পারে শুধু একজনই; তিনি ২৩ বছর বয়সী সিনার। এই বিশ্বাস কি আলকারাসেরও নয়! স্প্যানিশ তারকা ফাইনাল নিয়ে বললেন, ‘নিঃসন্দেহে এটি দারুণ একটি ফাইনাল হতে যাচ্ছে।’ আর দারুণ সে ফাইনাল শেষে তাঁদের ব্যক্তি দ্বৈরথও নতুন উচ্চতায় উঠবে বলে বিশ্বাস আলকারাসের, ‘আমরা এখনো তরুণ। আগামী ৫ কিংবা ১০ বছর এভাবেই খেলে যেতে পারব এবং আমাদের দ্বৈরথ আগের তারকাদের মতোই হয়ে উঠবে।’

কেন জিতবেন আলকারাস

অবিশ্বাস্য গতিতে কোর্টজুড়ে বিচরণ। আক্রমণ ঠেকাতে ঠেকাতেই আক্রমণে যাওয়া। ভলি, লব, পাওয়ার হিট তো আছেই, তাঁর ড্রপ শট যেকোনো পরিস্থিতিতে বেকায়দায় ফেলতে পারে প্রতিপক্ষকে। আছে হার না মানার ইস্পাতসম মানসিকতা।

কেন জিতবেন সিনার

দ্রুতগতির ভয়ংকর ব্যাকহ্যান্ড। বিশেষ করে ক্রস-কোর্ট ব্যাকহ্যান্ড বেকায়দায় ফেলতে পারে আলকারাসকে। সিনার এই সময়ের সেরা রিটার্নারও। লম্বা র‍্যালিতে ধারাবাহিকভাবে গভীর শট খেলার দক্ষতা। আনফোর্স এররও খুব কম করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তানের বিপক্ষে এলোমেলো ব্যাটিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৯
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি

গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে যখন ম্যাচ শুরু হয়, তখন দৈর্ঘ্য ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে।

পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ২৪ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারই দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। রিফাত বেগ ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেছেন ১৪ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর আরেক সঙ্গী জাওয়াদ আবরার করেছেন ৯ রান। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক তামিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৪৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (তামিম-কালাম)। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আব্দুল সুবহান। ২৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তামিমের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। বড় শট খেলতে গিয়েই আকাশে বল তুলে দেন আবরার-শেখ পারভেজ জীবনরা। পাকিস্তানি ফিল্ডাররা সেই ক্যাচগুলো তালুবন্দী করেছেন। ২৬.৩ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে তামিমের বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেয়েদের বিসিএলে রোমাঞ্চের এক দিন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি

মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।

টানটান উত্তেজনার পর শেষ বলে মীমাংসা হয়েছে সেন্ট্রাল জোন এবং ইস্ট জোনের ম্যাচ। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ১ রানে জিতেছে সেন্ট্রাল জোন। তাদের করা ১৫৬ রানের জবাবে ১৫৫ রানে থামে ইস্ট জোন। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের সামনে ১২ রানের সমীকরণ ছিল। জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার করা সে ওভারে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি ইস্ট জোনের দুই ব্যাটার ফাহিমা খাতুন ও মুরশিদা খাতুন।

প্রথম ৪ বলে সমান রান দেন সুমনা। তাঁর করা পঞ্চম বল থেকে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ফাহিমা। জেতার জন্য শেষ বলে করতে হতো ৪ রান। এ যাত্রায় ২ রানের বেশি নিতে পারেননি ফাহিমা। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেন্ট্রাল জোন। এর আগে দোলা ও নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে চড়ে এই পুঁজি পায় তারা। ৫৫ বলে ১৩ চারে ৮৫ রান করেন দোলা। জ্যোতির অবদান ৪৬ রান।

একই ভেন্যুতে সাউথ জোনকে ৪ রানে হারিয়েছে নর্থ জোন। মোস্তারির ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৩১ রানের সংগ্রহ পায় তারা। শারমিন সুলতানার অবদান ৩৭ রান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি সাউথ জোন। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে তাদের করতে হতো ১৩ রান। উইকেটে লতা মন্ডল ও সুলতানা খাতুনের মতো দুই সেট ব্যাটার থাকায় জেতার স্বপ্ন বুনছিল সাউথ জোন।

সানজিদা আক্তার মেঘলার প্রথম বলে চার মেরে দারুণ শুরু করেন সুলতানা। দ্বিতীয় বলে নেন ২ রান। শেষ ৪ বলে তাদের সামনে সমীকরণ ছিল ৭ রানের। এমন সময়ই ছন্দপতন। তৃতীয় বলে রান আউট হন ১৬ বলে ২৬ রান করা সুলতানা। পরের বলে মারুফা আক্তারকে ফেরান মেঘলা। পঞ্চম বলে ২ রান নেন আয়শা আক্তার। শেষ বলে তাঁকেও আউট করেন মেঘলা। শেষ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেঘলা। ৪ ওভারে ২২ রান দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইরানে ম্যাচ না খেলে দুই বছর নিষিদ্ধ ভারতের মোহনবাগান

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত

সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা কমিটি পরশু মোহনবাগানকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে। ২০২৭-২৮ মৌসুম পর্যন্ত কোনো এশিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ ৭২৯ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এই ১ লাখ ডলারের মধ্যে ৫০ হাজার ডলারের (৬১ লাখ টাকা) জরিমানার শাস্তিটা মূলত সেপ্টেম্বরে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে। এএফসি ও ইরানি ক্লাব সেপাহান এসসি’র যে ক্ষতিপূরণ হয়েছে, সেক্ষেত্রে আরও বেশি ৫০৭২৯ ডলার দিতে হবে বলে এএফসির নির্দেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৬২ লাখ টাকা।

সেপাহানের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচ খেলতে ইরানে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু ইরানে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও চিকিৎসা বিমা কভারেজের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিল মোহনবাগান। এএফসি এরপর তাদের সব ম্যাচ বাতিল করেছে। এএফসির দ্বিতীয় স্তরের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কোনো ধরনের ভর্তুকিও পাবে না ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব।

মোহনবাগান ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সেপাহান এসসির বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছিল সিএএস। গত বছর ইরানের আরেক ক্লাব ট্র্যাকটর এসসির বিপক্ষে খেলেনি মোহনবাগান। ট্র্যাকটর এসসি-মোহনবাগান ম্যাচটি ইরানেই হওয়ার কথা ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৫ গোলের থ্রিলারে রহমতগঞ্জের জয়, অঘটনের শিকার আবাহনী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নাটকীয় জয় পেয়েছে রহমতগঞ্জ। ছবি: ফাইল ছবি
নাটকীয় জয় পেয়েছে রহমতগঞ্জ। ছবি: ফাইল ছবি

জয়ের খুব কাছেই ছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ৮২ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে থাকে তারা। কিন্তু এরপর রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি শুধু ম্যাচই ছিনিয়ে নেয়নি, মাঠ ছেড়েছে ৩-২ গোলের রোমাঞ্চকর এক জয়। বাংলাদেশ ফুটবল লিগে আবাহনী লিমিটেড রয়েছে সেই হতাশার বৃত্তেই। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ তাদের বিপক্ষে ২-২ গোলের নাটকীয় ড্রয়ে অঘটনের জন্ম দিয়েছে নবাগত পিডব্লিউডি স্পোর্টস ক্লাব।

মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ম্যাচের অনেকটা জুড়েই বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকে। কিন্তু গোলের খাতায় ব্রাদার্সের এগিয়ে যেতে সময় লাগে ১৫ মিনিট। সানিশ শ্রেষ্ঠার পাস থেকে জাল কাঁপান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্কোস রুদওয়েরে। এরপরই সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে রহমতগঞ্জ। লক্ষ্য অবশ্য খুঁজে পাচ্ছিল না।

বিরতির পর পুরান ঢাকার ক্লাবটি আবারও পিছিয়ে যায়। ৭৫ মিনিটে অঞ্জন বিস্তার কর্নার থেকে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দিদিয়ের ব্রোসু। এমন ধাক্কার পরও মনোবল হারায়নি রহমতগঞ্জ। হারাতে দেননি অধিনায়ক সলোমন কিং। ৭ মিনিটের ব্যবধানে বদলে ফেলেন পুরো ম্যাচের দৃশ্যপট। প্রথমে ৮২ মিনিটে পেনাল্টি আদায় করে সেটি গোলে রূপ দেন এই গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড। ৮৭ মিনিটে লং থ্রো থেকে আসা বল তিন হেডে আশ্রয় নেয় ব্রাদার্সের জালে। শেষ হেডটি ছিল সলোমনের।

সমতায় ফিরে এসে রহমতগঞ্জ এগিয়ে যেতে সময় নেয় আর দুই মিনিট। এবার ডানপ্রান্ত দিয়ে সলোমনের দেওয়া পাসে গোলটি করেন ক্লেমেন্ত আদু। রহমতগঞ্জের জয় আর ঠেকানোর কোনো সুযোগই পায়নি। অবশ্য হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সলোমন। কিন্তু যোগ করা সময়ে তাঁর পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন ব্রাদার্স গোলরক্ষক শান্ত কুমার রায়।

এই জয়ে ৭ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠে এসেছে রহমতগঞ্জ। ৭ পয়েন্ট নিয়ে আটে নেমেছে ব্রাদার্স। অবশ্য আবাহনী জিতলে বরং এক ধাপ ওপরেই থাকত তারা। জেতার পথে থাকা আবাহনীর পথ হারিয়ে ম্যাচের শুরু আর শেষেই।

কুমিল্লায় ১০ মিনিটে পিডব্লিউডি এগিয়ে যায় মিনহাজুল স্বাধীনের গোলে। বিরতির পর ৫৩ মিনিটে ধুঁকতে থাকা আবাহনীকে সমতায় ফেরান আল আমিন। পেছন থেকে সেই গোলে অবদান রাখেন শেখ মোরসালিন। ৭৪ মিনিটে পিডব্লিউর ডিফেন্ডার আল আমিনের কাছ থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টো আরও বিপদ ডেকে আনেন। বল ঠেলে দেন মোরসালিনের পায়ে। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে ডান কোনা দিয়ে জালে পাঠান মোরসালিন।

সেই গোলে ভর করে আবাহনীর জয় ছিল অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু রক্ষণের ভুলে মাশুল দিতে হলো আবারও। যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে বল ক্লিয়ার করতে আবাহনীর ডিফেন্ডারের উড়িয়ে মারা শটে ভলিতে পরিণত করেন আবু সাইদ। পিডব্লিউডিও মাঠ ছাড়ে ১ পয়েন্ট নিয়ে। ৭ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সাতে আছে তারা। চারে থাকা আবাহনীর সংগ্রহ ৯ পয়েন্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত