সাখাওয়াত ফাহাদ

তরুণদের সম্মিলিত শক্তিকে একই প্ল্যাটফর্মে আনার লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) একীভূতকরণের আলোচনা শুরু হয়েছে সম্প্রতি। কিন্তু সেই আলোচনা থেকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি দল দুটি। মূলত এক হওয়ার পর দলের নাম কী হবে, মূল নেতৃত্বে কে থাকবেন, আর উভয় দলের প্রথম সারির নেতাদের পদ-পদবি বণ্টন কেমন হবে—এসব নিয়েই ঝুলে আছে একীভূতকরণের উদ্যোগ। এ ছাড়া গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন দেশের বাইরে থাকায় আলোচনায় গতি নেই বলে জানিয়েছেন দল দুটির নেতারা।
আখতার হোসেন বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। অন্যদিকে নুরুল হক নুর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন। এদের মধ্যে আখতার আগামীকাল দেশে ফেরার কথা রয়েছে, তবে নুর চিকিৎসা শেষে কবে দেশে ফিরবেন, তা এখনো নিশ্চিত নয়। এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটার কারণে (শীর্ষনেতারা বিদেশে থাকায়) আলোচনায় একটা দীর্ঘসূত্রতা এসেছে। কারণ, একটা দলের প্রধান এবং একটা দলের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি যখন নানা প্রয়োজনে বিদেশে থাকেন, আলোচনায় একটা ইফেক্ট পড়ে।’ একীভূতকরণের প্রক্রিয়া যৌক্তিক জায়গায় নেওয়ার জন্য এখনো আলাপ আলোচনা চলছে বলেও জানান সামান্তা। তিনি বলেন, ‘আশা করি, কিছু দিনের মধ্যে আমরা একটা চূড়ান্ত ফল দেখতে পাব।’
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘আলোচনা চলছিল, কিন্তু নুরুল হক নুর সিঙ্গাপুরে এবং আখতার তো জাতিসংঘে। তারা এলে এ বিষয়ে আলোচনা আগাবে।’ তিনি বলেন, ‘নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এর কিছুই চূড়ান্ত না।’
নেতারা জানিয়েছেন, তরুণদের সম্মিলিত শক্তিকে একই প্ল্যাটফর্মে আনার ইচ্ছা নেতা-কর্মীদের মধ্যে থাকলেও একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদি। তাই উভয় দলের শীর্ষ থেকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে এ বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। দল দুটির ইতিমধ্যে দেশের থানা পর্যায় পর্যন্ত কমিটি বিস্তৃত। একীভূত করতে হলে থানা পর্যায় পর্যন্ত সব কমিটিকেও একীভূত করতে হবে। তাই দলের অভ্যন্তরেও প্রক্রিয়াটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন আছে।
জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বলেন, ‘একীভূত হওয়া, নেতৃত্ব নিয়ে প্রাথমিক আলাপের পর ভিপি (নুরুল হক নুর) দেশের বাইরে গিয়েছেন। তিনি দেশে এলে আবারও আলোচনা হতে পারে।’
এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে একীভূত হওয়া দলে কার্যকরী সভাপতি করার প্রস্তাব উঠেছে। একই সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ দলটির অন্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে গণঅধিকারের নেতারা বলেছেন, ‘আমাদের প্রস্তাব ছিল, একীভূত হলে দলের নতুন নাম অথবা গণঅধিকার পরিষদ থাকবে। কিন্তু আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে যাওয়ার আগে এনসিপি নেতারা বলতে শুরু করেছেন, আমরা এনসিপিতে একীভূত হচ্ছি। এতে তৃণমূলে ভুল বার্তা গেছে। এ কারণে আলোচনায় কিছুটা ভাটা পড়েছে।’
দুই দলের নেতারাই জানান একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে দুই দল থেকে আসছে নানা প্রস্তাব ও শর্ত। এনসিপির নেতারা দলের নাম এনসিপিই থাকবে বলে প্রস্তাব দিয়েছেন। অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা দলের নতুন নাম অথবা গণঅধিকার পরিষদ রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন। শীর্ষ নেতাদের পদ দেওয়ার বিষয়েও এখনো মতৈক্যে পৌঁছাতে পারেনি দল দুটো। এ বিষয়ে উভয় দলের নেতারা জানিয়েছেন, নেতৃত্বের বিষয়েও প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে দুই দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে। সে ক্ষেত্রে নেতৃত্বের বিভিন্ন কাঠামোর বিষয়েও আলোচনা করেছেন তাঁরা। দলে একাধিক সভাপতির কথাও আলোচনায় এসেছে।
সভাপতি ও কার্যকরী সভাপতির আলোচনা প্রসঙ্গে সামান্তা শারমীন বলেন, ‘একটা দলে দুজন সভাপতি তো থাকে না। একটা দলে একজনই প্রধান থাকেন। সেক্ষেত্রে সভাপতি নাহিদ ইসলামই থাকবেন। এটা আমরা বলতে পারি। কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি যে আরেকটি দল যখন আসছে, তখন তাদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিকে কীভাবে আমাদের মধ্যে সম্মানজনক জায়গা করে দেওয়া যায়, সেটা নিয়ে আমরা ভাবছি। সুনির্দিষ্ট পোস্ট পদবি, কী হবে—এটা এখনই চূড়ান্তভাবে বলা যাচ্ছে না।’
নাম পরিবর্তনের আলোচনা প্রসঙ্গে সামান্তা বলেন, ‘এনসিপির নাম পরিবর্তনের বিষয়ে তাঁরা বলছেন। কিন্তু এনসিপি নামটা এমন কোনো জায়গা থেকে ঠিক করা হয়নি, যেটা পরিবর্তনযোগ্য। কারণ আমরা তো নাগরিক অধিকারের কথা বলি। সেই জায়গা থেকে আমরা সিটিজেন পার্টি গঠন করেছি। সেই জায়গা থেকে নাম পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। আমার কাছে মনে হয়, আমাদের সদস্যসচিব আখতার হোসেন দেশে আসার পর আমরা সার্বিক বিষয়ে একটা দিকনির্দেশনা পেতে পারি।’
একীভূতকরণের সার্বিক আলোচনা প্রসঙ্গে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘আলোচনাটা একটা পর্যায়ে আসছে। বাকিটা নুরুল হক নুর দেশে এলে চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনাটা হবে। তাঁকে ছাড়া তো সবকিছু ঠিকঠাক করে ফেলতে পারি না।’
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। এখন ঝুলেই আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মূল নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা আসলে যা হয়েছে, তাতে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই।’

তরুণদের সম্মিলিত শক্তিকে একই প্ল্যাটফর্মে আনার লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) একীভূতকরণের আলোচনা শুরু হয়েছে সম্প্রতি। কিন্তু সেই আলোচনা থেকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি দল দুটি। মূলত এক হওয়ার পর দলের নাম কী হবে, মূল নেতৃত্বে কে থাকবেন, আর উভয় দলের প্রথম সারির নেতাদের পদ-পদবি বণ্টন কেমন হবে—এসব নিয়েই ঝুলে আছে একীভূতকরণের উদ্যোগ। এ ছাড়া গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন দেশের বাইরে থাকায় আলোচনায় গতি নেই বলে জানিয়েছেন দল দুটির নেতারা।
আখতার হোসেন বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। অন্যদিকে নুরুল হক নুর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন। এদের মধ্যে আখতার আগামীকাল দেশে ফেরার কথা রয়েছে, তবে নুর চিকিৎসা শেষে কবে দেশে ফিরবেন, তা এখনো নিশ্চিত নয়। এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটার কারণে (শীর্ষনেতারা বিদেশে থাকায়) আলোচনায় একটা দীর্ঘসূত্রতা এসেছে। কারণ, একটা দলের প্রধান এবং একটা দলের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি যখন নানা প্রয়োজনে বিদেশে থাকেন, আলোচনায় একটা ইফেক্ট পড়ে।’ একীভূতকরণের প্রক্রিয়া যৌক্তিক জায়গায় নেওয়ার জন্য এখনো আলাপ আলোচনা চলছে বলেও জানান সামান্তা। তিনি বলেন, ‘আশা করি, কিছু দিনের মধ্যে আমরা একটা চূড়ান্ত ফল দেখতে পাব।’
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘আলোচনা চলছিল, কিন্তু নুরুল হক নুর সিঙ্গাপুরে এবং আখতার তো জাতিসংঘে। তারা এলে এ বিষয়ে আলোচনা আগাবে।’ তিনি বলেন, ‘নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এর কিছুই চূড়ান্ত না।’
নেতারা জানিয়েছেন, তরুণদের সম্মিলিত শক্তিকে একই প্ল্যাটফর্মে আনার ইচ্ছা নেতা-কর্মীদের মধ্যে থাকলেও একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদি। তাই উভয় দলের শীর্ষ থেকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে এ বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। দল দুটির ইতিমধ্যে দেশের থানা পর্যায় পর্যন্ত কমিটি বিস্তৃত। একীভূত করতে হলে থানা পর্যায় পর্যন্ত সব কমিটিকেও একীভূত করতে হবে। তাই দলের অভ্যন্তরেও প্রক্রিয়াটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন আছে।
জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বলেন, ‘একীভূত হওয়া, নেতৃত্ব নিয়ে প্রাথমিক আলাপের পর ভিপি (নুরুল হক নুর) দেশের বাইরে গিয়েছেন। তিনি দেশে এলে আবারও আলোচনা হতে পারে।’
এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে একীভূত হওয়া দলে কার্যকরী সভাপতি করার প্রস্তাব উঠেছে। একই সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ দলটির অন্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে গণঅধিকারের নেতারা বলেছেন, ‘আমাদের প্রস্তাব ছিল, একীভূত হলে দলের নতুন নাম অথবা গণঅধিকার পরিষদ থাকবে। কিন্তু আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে যাওয়ার আগে এনসিপি নেতারা বলতে শুরু করেছেন, আমরা এনসিপিতে একীভূত হচ্ছি। এতে তৃণমূলে ভুল বার্তা গেছে। এ কারণে আলোচনায় কিছুটা ভাটা পড়েছে।’
দুই দলের নেতারাই জানান একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে দুই দল থেকে আসছে নানা প্রস্তাব ও শর্ত। এনসিপির নেতারা দলের নাম এনসিপিই থাকবে বলে প্রস্তাব দিয়েছেন। অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা দলের নতুন নাম অথবা গণঅধিকার পরিষদ রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন। শীর্ষ নেতাদের পদ দেওয়ার বিষয়েও এখনো মতৈক্যে পৌঁছাতে পারেনি দল দুটো। এ বিষয়ে উভয় দলের নেতারা জানিয়েছেন, নেতৃত্বের বিষয়েও প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে দুই দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে। সে ক্ষেত্রে নেতৃত্বের বিভিন্ন কাঠামোর বিষয়েও আলোচনা করেছেন তাঁরা। দলে একাধিক সভাপতির কথাও আলোচনায় এসেছে।
সভাপতি ও কার্যকরী সভাপতির আলোচনা প্রসঙ্গে সামান্তা শারমীন বলেন, ‘একটা দলে দুজন সভাপতি তো থাকে না। একটা দলে একজনই প্রধান থাকেন। সেক্ষেত্রে সভাপতি নাহিদ ইসলামই থাকবেন। এটা আমরা বলতে পারি। কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি যে আরেকটি দল যখন আসছে, তখন তাদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিকে কীভাবে আমাদের মধ্যে সম্মানজনক জায়গা করে দেওয়া যায়, সেটা নিয়ে আমরা ভাবছি। সুনির্দিষ্ট পোস্ট পদবি, কী হবে—এটা এখনই চূড়ান্তভাবে বলা যাচ্ছে না।’
নাম পরিবর্তনের আলোচনা প্রসঙ্গে সামান্তা বলেন, ‘এনসিপির নাম পরিবর্তনের বিষয়ে তাঁরা বলছেন। কিন্তু এনসিপি নামটা এমন কোনো জায়গা থেকে ঠিক করা হয়নি, যেটা পরিবর্তনযোগ্য। কারণ আমরা তো নাগরিক অধিকারের কথা বলি। সেই জায়গা থেকে আমরা সিটিজেন পার্টি গঠন করেছি। সেই জায়গা থেকে নাম পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। আমার কাছে মনে হয়, আমাদের সদস্যসচিব আখতার হোসেন দেশে আসার পর আমরা সার্বিক বিষয়ে একটা দিকনির্দেশনা পেতে পারি।’
একীভূতকরণের সার্বিক আলোচনা প্রসঙ্গে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘আলোচনাটা একটা পর্যায়ে আসছে। বাকিটা নুরুল হক নুর দেশে এলে চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনাটা হবে। তাঁকে ছাড়া তো সবকিছু ঠিকঠাক করে ফেলতে পারি না।’
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। এখন ঝুলেই আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মূল নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা আসলে যা হয়েছে, তাতে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই।’

এনসিপির নেতারা জানান, ধাপে ধাপে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে এনসিপি। প্রথম ধাপে ১০০ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর জোটসঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাকি আসনগুলোতে প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। চলতি মাসেই সব আসনে প্রার্থীর নাম প্রকাশ করতে চায় দলটি।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডেলিগেশন অব দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল। আজ মঙ্গলবার গুলশানে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ মাত্র কিছুদিন আগে সিন্দাবাদের দৈত্যের মতো ঘাড়ে চেপে বসা একটা নিপীড়নকারী, একটা খুনি, একটা ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করেছে। সেই জনগণ কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেবে না। কোনো ষড়যন্ত্র এই জনগণকে পরাজিত করতে পারেনি এবং পারবে না।’
৬ ঘণ্টা আগে
তিনি আরও লেখেন, টিআইবির জরিপেও দেখা গেছে ২০০২ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে, মানুষ নিজেরাই বলেছে—দুর্নীতি কমেছে, এটা কোনো গল্প নয়, এটা তখনকার সংস্কারের প্রমাণ।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আজ মঙ্গলবার আংশিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
রাজধানীর বাংলামোটরে অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ সন্ধ্যার পর প্রাথমিকভাবে ১০০টি সংসদীয় আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার।
সারোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের প্রায় ১০০ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত। আগামীকাল বুধবারের মধ্যে আমরা এই আসনগুলোর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করব।’
এনসিপির নেতারা জানান, ধাপে ধাপে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে এনসিপি। প্রথম ধাপে ১০০ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর জোটসঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাকি আসনগুলোতে প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। চলতি মাসেই সব আসনে প্রার্থীর নাম প্রকাশ করতে চায় দলটি।
গত ৬ নভেম্বর দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করে এনসিপি; চলে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। এ সময় ১ হাজার ৪৮৪টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১ আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন আছে। সদস্যসচিব আখতার হোসেন রংপুর-৪, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ঢাকা-১৮ থেকে প্রার্থী হতে পারেন বলে দলের কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে।
এ ছাড়া এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়-১, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ কুমিল্লা-৪, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ নোয়াখালী-৬, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ভোলা-১, আরিফুল ইসলাম আদিব ঢাকা-১৪, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা ঢাকা-৯ ও যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার নরসিংদী-২ আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঢাকা-১২ অথবা ১০ আসন এবং মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে এনসিপির প্রার্থী হতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে।

এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আজ মঙ্গলবার আংশিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
রাজধানীর বাংলামোটরে অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ সন্ধ্যার পর প্রাথমিকভাবে ১০০টি সংসদীয় আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার।
সারোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের প্রায় ১০০ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত। আগামীকাল বুধবারের মধ্যে আমরা এই আসনগুলোর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করব।’
এনসিপির নেতারা জানান, ধাপে ধাপে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে এনসিপি। প্রথম ধাপে ১০০ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর জোটসঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাকি আসনগুলোতে প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। চলতি মাসেই সব আসনে প্রার্থীর নাম প্রকাশ করতে চায় দলটি।
গত ৬ নভেম্বর দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করে এনসিপি; চলে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। এ সময় ১ হাজার ৪৮৪টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১ আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন আছে। সদস্যসচিব আখতার হোসেন রংপুর-৪, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ঢাকা-১৮ থেকে প্রার্থী হতে পারেন বলে দলের কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে।
এ ছাড়া এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়-১, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ কুমিল্লা-৪, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ নোয়াখালী-৬, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ভোলা-১, আরিফুল ইসলাম আদিব ঢাকা-১৪, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা ঢাকা-৯ ও যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার নরসিংদী-২ আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঢাকা-১২ অথবা ১০ আসন এবং মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে এনসিপির প্রার্থী হতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে।

তরুণদের সম্মিলিত শক্তিকে একই প্ল্যাটফর্মে আনার লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) একীভূতকরণের আলোচনা শুরু হয়েছে সম্প্রতি। কিন্তু সেই আলোচনা থেকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি দল দুটি। মূলত এক হওয়ার পর দলের নাম কী হবে, মূল নেতৃত্বে কে থাকবেন, আর উভয় দলের প্রথম সারি
০১ অক্টোবর ২০২৫
জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডেলিগেশন অব দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল। আজ মঙ্গলবার গুলশানে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ মাত্র কিছুদিন আগে সিন্দাবাদের দৈত্যের মতো ঘাড়ে চেপে বসা একটা নিপীড়নকারী, একটা খুনি, একটা ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করেছে। সেই জনগণ কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেবে না। কোনো ষড়যন্ত্র এই জনগণকে পরাজিত করতে পারেনি এবং পারবে না।’
৬ ঘণ্টা আগে
তিনি আরও লেখেন, টিআইবির জরিপেও দেখা গেছে ২০০২ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে, মানুষ নিজেরাই বলেছে—দুর্নীতি কমেছে, এটা কোনো গল্প নয়, এটা তখনকার সংস্কারের প্রমাণ।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডেলিগেশন অব দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল। আজ মঙ্গলবার গুলশানে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই বৈঠকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে জি এম কাদের বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তাদের কর্মকাণ্ডে নিজেরাই প্রমাণ করে দিয়েছে যে তারা নিরপেক্ষ নয় এবং তাদের নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশনকেও নিরপেক্ষ ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে না। জাতীয় পার্টি দেশের একটি বৃহৎ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করলেও আমাদের নির্বাচন-সংক্রান্ত আলোচনার আহ্বান জানায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে সব দলের সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরি হয় নাই এবং সারা দেশে সবার অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয় নাই বলে জাতীয় পার্টি মনে করে।’
বৈঠকে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অন্যদের মধ্যে ছিলেন পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মেজর (অব.) মো. মাহফুজুর রহমান।
ডেলিগেশন অব দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) সেবাস্তিয়ান রিগার-ব্রাউন ও রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্য, প্রেস ও তথ্য বিভাগের প্রধান ডেপুটি হেড অব ডেলিগেশন বাইবা জারিনা।

জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডেলিগেশন অব দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল। আজ মঙ্গলবার গুলশানে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই বৈঠকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে জি এম কাদের বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তাদের কর্মকাণ্ডে নিজেরাই প্রমাণ করে দিয়েছে যে তারা নিরপেক্ষ নয় এবং তাদের নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশনকেও নিরপেক্ষ ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে না। জাতীয় পার্টি দেশের একটি বৃহৎ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করলেও আমাদের নির্বাচন-সংক্রান্ত আলোচনার আহ্বান জানায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে সব দলের সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরি হয় নাই এবং সারা দেশে সবার অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয় নাই বলে জাতীয় পার্টি মনে করে।’
বৈঠকে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অন্যদের মধ্যে ছিলেন পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মেজর (অব.) মো. মাহফুজুর রহমান।
ডেলিগেশন অব দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) সেবাস্তিয়ান রিগার-ব্রাউন ও রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্য, প্রেস ও তথ্য বিভাগের প্রধান ডেপুটি হেড অব ডেলিগেশন বাইবা জারিনা।

তরুণদের সম্মিলিত শক্তিকে একই প্ল্যাটফর্মে আনার লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) একীভূতকরণের আলোচনা শুরু হয়েছে সম্প্রতি। কিন্তু সেই আলোচনা থেকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি দল দুটি। মূলত এক হওয়ার পর দলের নাম কী হবে, মূল নেতৃত্বে কে থাকবেন, আর উভয় দলের প্রথম সারি
০১ অক্টোবর ২০২৫
এনসিপির নেতারা জানান, ধাপে ধাপে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে এনসিপি। প্রথম ধাপে ১০০ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর জোটসঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাকি আসনগুলোতে প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। চলতি মাসেই সব আসনে প্রার্থীর নাম প্রকাশ করতে চায় দলটি।
৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ মাত্র কিছুদিন আগে সিন্দাবাদের দৈত্যের মতো ঘাড়ে চেপে বসা একটা নিপীড়নকারী, একটা খুনি, একটা ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করেছে। সেই জনগণ কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেবে না। কোনো ষড়যন্ত্র এই জনগণকে পরাজিত করতে পারেনি এবং পারবে না।’
৬ ঘণ্টা আগে
তিনি আরও লেখেন, টিআইবির জরিপেও দেখা গেছে ২০০২ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে, মানুষ নিজেরাই বলেছে—দুর্নীতি কমেছে, এটা কোনো গল্প নয়, এটা তখনকার সংস্কারের প্রমাণ।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে পরিচালিত জরিপের ফলাফল নিয়ে কোনো কোনো দল হতাশ হয়ে ষড়যন্ত্র করতে পারে। তবে নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ হতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রথম আলোর উদ্যোগের পরিচালিত একটি জরিপের উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজকে একটা জরিপের রিপোর্ট বের হয়েছে। সেখানে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, বেশি আসন এই নির্বাচনে কে পাবে? কোন দল? শতকরা ৬৬ ভাগ উত্তরদাতা বলেছে বিএনপি। আর শতকরা ২৬ ভাগ উত্তরদাতা বলেছে জামায়াতে ইসলামী। পার্থক্য হলো ৪৪ ভাগ। আর অন্যান্য যারা তারা তো অনেক অনেক কম আর কি? এমনকি অনেক উল্লেখযোগ্য দল তারা শতকরা এক ভাগও না আর কি? এর চেয়েও কম। এতে হতাশ হয়ে নিরাশ হয়ে কেউ ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিতেই পারে। কিন্তু জনগণ তাদের মন স্থির করে ফেলেছে। তারাই ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দেবে না। এটা মনে রাখতে হবে।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতন ও একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ-সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা... এই এক দফার আমরা অর্জন করেছি। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে বাকি অংশটুকু পূরণ করার জন্যই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ মাত্র কিছুদিন আগে সিন্দাবাদের দৈত্যের মতো ঘাড়ে চেপে বসা একটা নিপীড়নকারী, একটা খুনি, একটা ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করেছে। সেই জনগণ কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেবে না। কোনো ষড়যন্ত্র এই জনগণকে পরাজিত করতে পারেনি এবং পারবে না।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে পরিচালিত জরিপের ফলাফল নিয়ে কোনো কোনো দল হতাশ হয়ে ষড়যন্ত্র করতে পারে। তবে নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ হতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রথম আলোর উদ্যোগের পরিচালিত একটি জরিপের উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজকে একটা জরিপের রিপোর্ট বের হয়েছে। সেখানে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, বেশি আসন এই নির্বাচনে কে পাবে? কোন দল? শতকরা ৬৬ ভাগ উত্তরদাতা বলেছে বিএনপি। আর শতকরা ২৬ ভাগ উত্তরদাতা বলেছে জামায়াতে ইসলামী। পার্থক্য হলো ৪৪ ভাগ। আর অন্যান্য যারা তারা তো অনেক অনেক কম আর কি? এমনকি অনেক উল্লেখযোগ্য দল তারা শতকরা এক ভাগও না আর কি? এর চেয়েও কম। এতে হতাশ হয়ে নিরাশ হয়ে কেউ ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিতেই পারে। কিন্তু জনগণ তাদের মন স্থির করে ফেলেছে। তারাই ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দেবে না। এটা মনে রাখতে হবে।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতন ও একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ-সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা... এই এক দফার আমরা অর্জন করেছি। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে বাকি অংশটুকু পূরণ করার জন্যই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ মাত্র কিছুদিন আগে সিন্দাবাদের দৈত্যের মতো ঘাড়ে চেপে বসা একটা নিপীড়নকারী, একটা খুনি, একটা ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করেছে। সেই জনগণ কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেবে না। কোনো ষড়যন্ত্র এই জনগণকে পরাজিত করতে পারেনি এবং পারবে না।’

তরুণদের সম্মিলিত শক্তিকে একই প্ল্যাটফর্মে আনার লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) একীভূতকরণের আলোচনা শুরু হয়েছে সম্প্রতি। কিন্তু সেই আলোচনা থেকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি দল দুটি। মূলত এক হওয়ার পর দলের নাম কী হবে, মূল নেতৃত্বে কে থাকবেন, আর উভয় দলের প্রথম সারি
০১ অক্টোবর ২০২৫
এনসিপির নেতারা জানান, ধাপে ধাপে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে এনসিপি। প্রথম ধাপে ১০০ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর জোটসঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাকি আসনগুলোতে প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। চলতি মাসেই সব আসনে প্রার্থীর নাম প্রকাশ করতে চায় দলটি।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডেলিগেশন অব দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল। আজ মঙ্গলবার গুলশানে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি আরও লেখেন, টিআইবির জরিপেও দেখা গেছে ২০০২ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে, মানুষ নিজেরাই বলেছে—দুর্নীতি কমেছে, এটা কোনো গল্প নয়, এটা তখনকার সংস্কারের প্রমাণ।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণ দায়িত্ব দিলে বিএনপি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।
আজ মঙ্গলবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এসব কথা লিখেছেন।
তারেক রহমান লিখেছেন, ‘বহু বছর অব্যবস্থাপনার পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই অবশ্যই কঠিন হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসই প্রমাণ করে, যখন সৎ নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও জনগণের সমর্থন একসাথে আসে, তখন পরিবর্তন অসম্ভব নয়। জনগণ যদি দায়িত্ব দেয়—বিএনপি আবারও সেই লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।’
দুর্নীতি বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দিচ্ছে উল্লেখ করে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘দুর্নীতি কীভাবে বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দিচ্ছে—তা বুঝতে দূরে যাওয়ার দরকার নেই। মেধার ভিত্তিতে চাকরি খুঁজতে বের হওয়া একজন গ্র্যাজুয়েটের সঙ্গে কথা বললেই বুঝবেন। মাসের পর মাস ধরে একটি সাধারণ সরকারি সেবা পেতে হিমশিম খাওয়া কৃষকের দিকে তাকান। হাসপাতালে গিয়ে এক তরুণের পরিবার কীভাবে ভোগান্তিতে পড়ে, সেটা শুনুন। অথবা ব্যবসা বাঁচিয়ে রাখতে ঘুষ দিতে বাধ্য হওয়া উদ্যোক্তাদের ভোগান্তি দেখুন।’
তিনি লিখেছেন, ‘খাবারের দাম কেন বাড়ে, স্কুলে ভালো পড়াশোনা কেন মেলে না, রাস্তায় কেন নিরাপত্তা নেই—সবকিছুর পেছনে সেই একই কারণ: দুর্নীতি। এটা লাখো মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে দমবন্ধ করে ফেলেছে।’
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিএনপির শাসনামলে হয়েছিল বলে পোস্টে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই নতুন নয়, এটা বহু যুগের আলোচনার বিষয়। আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস আমাদের সেই লড়াইয়ের কথা মনে করিয়ে দেয়, আর মনে করিয়ে দেয় সেই সময়টাও, যখন বাংলাদেশ সত্যিকারের অগ্রগতি করেছিল। আর সেই সময়টা এসেছে মূলত বিএনপির আমলে।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরানো, পরিচ্ছন্ন সরকারি সেবা আর অর্থনীতিকে মুক্ত করার কাজে হাত দিয়েছিলেন—যা অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার কমিয়ে দিয়েছিল।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আমলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপ ও অগ্রগতির বিষয় ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরেন তারেক রহমান।
তিনি লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সময়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানে আধুনিকায়ন শুরু হয়; নতুন ক্রয় নীতিমালা, কঠোর আর্থিক আইন, শক্তিশালী অডিট ব্যবস্থা, আর পরিষ্কার নজরদারি। সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ ছিল ২০০৪ সালে ‘দুদক’ গঠন; একটি স্বাধীন কমিশন, যেখানে সরকার চাইলে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিশ্বব্যাংক, এডিবি সবাই বলেছিল—এটা বাংলাদেশের জবাবদিহিতার বড় অগ্রগতি।’
তিনি আরও লেখেন, টিআইবির জরিপেও দেখা গেছে ২০০২ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। মানুষ নিজেরাই বলেছে, দুর্নীতি কমেছে। এটা কোনো গল্প নয়, এটা তখনকার সংস্কারের প্রমাণ।
বিএনপি গর্ব করতে পারে কিছু বড় পরিবর্তনের জন্য:
১. শক্তিশালী অর্থ ব্যবস্থাপনা: বাজেট নিয়ন্ত্রণ, অডিট, ব্যাংকিং ও মানি লন্ডারিং-বিরোধী আইন।
২. স্বচ্ছ ক্রয়নীতি: প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র, নিয়মের মধ্যে সরকারি ক্রয়—যা পরবর্তীতে দেশের সবচেয়ে বড় স্বচ্ছতার আইনের ভিত্তি তৈরি করে।
৩. উন্মুক্ত বাজার: টেলিকম, মিডিয়া, বিমান পরিবহন; যেখানে প্রতিযোগিতা বাড়ায় দুর্নীতি কমে, সাধারণ মানুষের সুযোগ বাড়ে।
৪. ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ: প্রশাসন কম জটিল, কম ইচ্ছাধীন, বেশি মানুষের কাছে জবাবদিহিতা।
তাই কথাটা স্পষ্ট—দুর্নীতি কমানোর ক্ষেত্রে ধারাবাহিক রেকর্ড একমাত্র বিএনপিরই আছে।
আগামী দিনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ আরও শক্তভাবে চালাতে বিএনপির পরিকল্পনা:
১. প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা: আদালত, দুদক, নির্বাচন কমিশন, সরকারি সেবা; কেউই যেন রাজনৈতিক চাপের মধ্যে না থাকে।
২. পুরোপুরি স্বচ্ছতা: উন্মুক্ত দরপত্র ব্যবস্থা, সম্পদ বিবরণী, রিয়েল টাইম অডিট, শক্তিশালী তথ্য অধিকার আইন।
৩. বিচার ও আইনশৃঙ্খলা সংস্কার: পেশাদার পুলিশিং, দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি, ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ।
৪. ই-গভর্ন্যান্স: লাইসেন্স, জমি, পেমেন্ট; সব অনলাইনে এনে ঘুষের সুযোগ কমানো (বিশ্বমান অনুযায়ী ৩০-৬০% দুর্নীতি কমতে পারে)।
৫. হুইসেলব্লোয়ার সুরক্ষা: অনিয়ম ফাঁস করতে যারা সাহস দেখায়, তাদের নিরাপত্তা প্রদান।
৬. নৈতিক শিক্ষা: স্কুল-কলেজ থেকেই সততার চর্চা পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা।
৭. শক্তিশালী আর্থিক নজরদারি: ডিজিটাল ব্যয় ট্র্যাকিং ও স্বাধীন অডিট, সংসদের কঠোর তদারকি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণ দায়িত্ব দিলে বিএনপি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।
আজ মঙ্গলবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এসব কথা লিখেছেন।
তারেক রহমান লিখেছেন, ‘বহু বছর অব্যবস্থাপনার পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই অবশ্যই কঠিন হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসই প্রমাণ করে, যখন সৎ নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও জনগণের সমর্থন একসাথে আসে, তখন পরিবর্তন অসম্ভব নয়। জনগণ যদি দায়িত্ব দেয়—বিএনপি আবারও সেই লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।’
দুর্নীতি বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দিচ্ছে উল্লেখ করে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘দুর্নীতি কীভাবে বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দিচ্ছে—তা বুঝতে দূরে যাওয়ার দরকার নেই। মেধার ভিত্তিতে চাকরি খুঁজতে বের হওয়া একজন গ্র্যাজুয়েটের সঙ্গে কথা বললেই বুঝবেন। মাসের পর মাস ধরে একটি সাধারণ সরকারি সেবা পেতে হিমশিম খাওয়া কৃষকের দিকে তাকান। হাসপাতালে গিয়ে এক তরুণের পরিবার কীভাবে ভোগান্তিতে পড়ে, সেটা শুনুন। অথবা ব্যবসা বাঁচিয়ে রাখতে ঘুষ দিতে বাধ্য হওয়া উদ্যোক্তাদের ভোগান্তি দেখুন।’
তিনি লিখেছেন, ‘খাবারের দাম কেন বাড়ে, স্কুলে ভালো পড়াশোনা কেন মেলে না, রাস্তায় কেন নিরাপত্তা নেই—সবকিছুর পেছনে সেই একই কারণ: দুর্নীতি। এটা লাখো মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে দমবন্ধ করে ফেলেছে।’
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিএনপির শাসনামলে হয়েছিল বলে পোস্টে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই নতুন নয়, এটা বহু যুগের আলোচনার বিষয়। আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস আমাদের সেই লড়াইয়ের কথা মনে করিয়ে দেয়, আর মনে করিয়ে দেয় সেই সময়টাও, যখন বাংলাদেশ সত্যিকারের অগ্রগতি করেছিল। আর সেই সময়টা এসেছে মূলত বিএনপির আমলে।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরানো, পরিচ্ছন্ন সরকারি সেবা আর অর্থনীতিকে মুক্ত করার কাজে হাত দিয়েছিলেন—যা অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার কমিয়ে দিয়েছিল।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আমলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপ ও অগ্রগতির বিষয় ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরেন তারেক রহমান।
তিনি লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সময়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানে আধুনিকায়ন শুরু হয়; নতুন ক্রয় নীতিমালা, কঠোর আর্থিক আইন, শক্তিশালী অডিট ব্যবস্থা, আর পরিষ্কার নজরদারি। সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ ছিল ২০০৪ সালে ‘দুদক’ গঠন; একটি স্বাধীন কমিশন, যেখানে সরকার চাইলে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিশ্বব্যাংক, এডিবি সবাই বলেছিল—এটা বাংলাদেশের জবাবদিহিতার বড় অগ্রগতি।’
তিনি আরও লেখেন, টিআইবির জরিপেও দেখা গেছে ২০০২ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। মানুষ নিজেরাই বলেছে, দুর্নীতি কমেছে। এটা কোনো গল্প নয়, এটা তখনকার সংস্কারের প্রমাণ।
বিএনপি গর্ব করতে পারে কিছু বড় পরিবর্তনের জন্য:
১. শক্তিশালী অর্থ ব্যবস্থাপনা: বাজেট নিয়ন্ত্রণ, অডিট, ব্যাংকিং ও মানি লন্ডারিং-বিরোধী আইন।
২. স্বচ্ছ ক্রয়নীতি: প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র, নিয়মের মধ্যে সরকারি ক্রয়—যা পরবর্তীতে দেশের সবচেয়ে বড় স্বচ্ছতার আইনের ভিত্তি তৈরি করে।
৩. উন্মুক্ত বাজার: টেলিকম, মিডিয়া, বিমান পরিবহন; যেখানে প্রতিযোগিতা বাড়ায় দুর্নীতি কমে, সাধারণ মানুষের সুযোগ বাড়ে।
৪. ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ: প্রশাসন কম জটিল, কম ইচ্ছাধীন, বেশি মানুষের কাছে জবাবদিহিতা।
তাই কথাটা স্পষ্ট—দুর্নীতি কমানোর ক্ষেত্রে ধারাবাহিক রেকর্ড একমাত্র বিএনপিরই আছে।
আগামী দিনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ আরও শক্তভাবে চালাতে বিএনপির পরিকল্পনা:
১. প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা: আদালত, দুদক, নির্বাচন কমিশন, সরকারি সেবা; কেউই যেন রাজনৈতিক চাপের মধ্যে না থাকে।
২. পুরোপুরি স্বচ্ছতা: উন্মুক্ত দরপত্র ব্যবস্থা, সম্পদ বিবরণী, রিয়েল টাইম অডিট, শক্তিশালী তথ্য অধিকার আইন।
৩. বিচার ও আইনশৃঙ্খলা সংস্কার: পেশাদার পুলিশিং, দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি, ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ।
৪. ই-গভর্ন্যান্স: লাইসেন্স, জমি, পেমেন্ট; সব অনলাইনে এনে ঘুষের সুযোগ কমানো (বিশ্বমান অনুযায়ী ৩০-৬০% দুর্নীতি কমতে পারে)।
৫. হুইসেলব্লোয়ার সুরক্ষা: অনিয়ম ফাঁস করতে যারা সাহস দেখায়, তাদের নিরাপত্তা প্রদান।
৬. নৈতিক শিক্ষা: স্কুল-কলেজ থেকেই সততার চর্চা পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা।
৭. শক্তিশালী আর্থিক নজরদারি: ডিজিটাল ব্যয় ট্র্যাকিং ও স্বাধীন অডিট, সংসদের কঠোর তদারকি।

তরুণদের সম্মিলিত শক্তিকে একই প্ল্যাটফর্মে আনার লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) একীভূতকরণের আলোচনা শুরু হয়েছে সম্প্রতি। কিন্তু সেই আলোচনা থেকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি দল দুটি। মূলত এক হওয়ার পর দলের নাম কী হবে, মূল নেতৃত্বে কে থাকবেন, আর উভয় দলের প্রথম সারি
০১ অক্টোবর ২০২৫
এনসিপির নেতারা জানান, ধাপে ধাপে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে এনসিপি। প্রথম ধাপে ১০০ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর জোটসঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাকি আসনগুলোতে প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। চলতি মাসেই সব আসনে প্রার্থীর নাম প্রকাশ করতে চায় দলটি।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডেলিগেশন অব দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল। আজ মঙ্গলবার গুলশানে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ মাত্র কিছুদিন আগে সিন্দাবাদের দৈত্যের মতো ঘাড়ে চেপে বসা একটা নিপীড়নকারী, একটা খুনি, একটা ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করেছে। সেই জনগণ কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেবে না। কোনো ষড়যন্ত্র এই জনগণকে পরাজিত করতে পারেনি এবং পারবে না।’
৬ ঘণ্টা আগে