Ajker Patrika

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের বৈঠক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের বৈঠক

দেশের চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। আজ সোমবার বেলা দেড়টার দিকে পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ পাঁচ সদস্যদের প্রতিনিধিদল ডিএমপি কার্যালয়ে কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে।

বৈঠক শেষে নুরুল হক নুর সাংবাদিকদের বলেন, সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পতিত আওয়ামী লীগের অনেকেই দেশব্যাপী অপকর্ম করছে। নির্বাচন হয়ে গেলে সব সমস্যার সমাধান হবে, এমনটি নয়। বর্তমান সরকারের জনসমর্থন অনেক থাকলেও তারা তা কাজে লাগাতে পারেনি।

নুরুল হক বলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিনে বের হয়ে আবারও রাজত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। ডিএমপি পুরোপুরি সক্রিয় না হলে দেশের অবস্থা আরও খারাপ হবে। পতিত সরকারের অনেকে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের গ্রেপ্তার না করতে পারলে তারাও সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পারে। বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাতারে যাচ্ছে, এটা অনেকে প্রমাণ করতে চাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে দেশি-বিদেশি এজেন্সি বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাচ্ছে। এই বিদেশি অপতৎপরতা মোকাবিলায় পুলিশকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান জানান, দেশের চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে ডিএমপি কমিশনার তাঁদের ডেকেছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য কথা বলবেন ডিএমপি কমিশনার। এর অংশ হিসেবে সোমবার গণঅধিকার পরিষদ এসেছে। পর্যায়ক্রমে অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাইমা রহমানের সেলফিতে যে বই নিয়ে আলোচনায় মেতেছে নেটিজেনরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ২৩
জাইমা রহমানের সেলফিতে দেখা যাচ্ছে ‘দ্য পেঙ্গুইন বুক অব বেঙ্গলি শর্ট স্টোরিজ’ বইটি। ছবি: ফেসবুক
জাইমা রহমানের সেলফিতে দেখা যাচ্ছে ‘দ্য পেঙ্গুইন বুক অব বেঙ্গলি শর্ট স্টোরিজ’ বইটি। ছবি: ফেসবুক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ ১৭ বছর পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে তাঁর কন্যা জাইমা রহমানের একটি সেলফি। সেই ছবিতে জাইমা রহমানের হাতে থাকা একটি বইকে কেন্দ্র করে নেটিজেনদের মধ্যে নানা আলোচনা দেখা যাচ্ছে।

জাইমা রহমানের শেয়ার করা সেই সেলফিতে দেখা যায় তিনি ‘দ্য পেঙ্গুইন বুক অব বেঙ্গলি শর্ট স্টোরিজ’ বইটি বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজে তাঁর আসনের পাশেই রেখেছেন। বইটি সম্পাদনা করেছেন ভারতীয় অনুবাদক অনুরাভা সিনহা।

পেঙ্গুইন মূলত একটি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বিশ্ববিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা। কিন্তু ব্যবসায়িক ও ভৌগোলিক কারণে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য তারা ভারত থেকে বই মুদ্রণ ও সরবরাহ করে থাকে।

আলোচিত এই সংকলনটি মূলত বাংলা সাহিত্যের এক শতাব্দীর সেরা ছোটগল্পগুলোর ইংরেজি অনুবাদ। সংকলনটিতে ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ের পরিক্রমা উঠে এসেছে। এতে স্থান পেয়েছে ভূমি যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, দেশভাগ এবং সামাজিক বাস্তবতার নিখুঁত চিত্র।

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের হাত ধরে বাংলায় ছোটগল্পের আগমন ঘটেছিল এবং বাঙালি লেখকেরা দ্রুতই এই শিল্পরূপটিকে আপন করে নিয়েছিলেন। বিংশ শতাব্দীর মধ্যে অসংখ্য সাহিত্য পত্রিকা ও সাময়িকীর প্রসারের ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই গল্পগুলো পরম আগ্রহে পড়তে শুরু করে।

লেখকেরা তাঁদের সময়ের অস্থিরতাকে ধারণ করে এক প্রচণ্ড প্রাণশক্তি নিয়ে শব্দের এই ক্ষুধার প্রতি সাড়া দিয়েছিলেন। এই গল্পগুলোতে ভূমি যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, বর্ণপ্রথা, ধর্মীয় সংঘাত, পিতৃতন্ত্র, দেশভাগ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট উঠে এসেছে। এই পরিবর্তনশীল ভৌগোলিক সীমানার মাঝে লেখকরাও অন্তর্মুখী হয়েছেন, নতুন সাহিত্যশৈলী উদ্ভাবন করেছেন এবং সামাজিক বাস্তববাদ, রাজনৈতিক কথাসাহিত্য ও অন্তরঙ্গ পারিবারিক আখ্যানের সম্ভাবনাকে প্রসারিত করেছেন।

লন্ডন থেকে আসার পথে জাইমা রহমানের সঙ্গী ছিল বইটি। ছবি: সংগৃহীত

ইংরেজিতে প্রথমবারের মতো এই সংকলনটি এক শতাব্দীর অসাধারণ সব গল্পকে একত্রিত করেছে। গোপনে মাছ খাওয়া এক নারী থেকে শুরু করে এক বয়স্ক ফুটবলারের দুঃখ, মধ্যবিত্ত ইউনিয়ন প্রতিনিধির উদ্বেগ থেকে পরশপাথর খুঁজে পাওয়া এক আইনজীবী—এটি এমন এক সংগ্রহ যা জীবনের সমস্ত প্রতিকূলতা ও আনন্দকে শিল্পে রূপ দেওয়ার মহিমা প্রচার করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানকে স্বাগত জানালেন জামায়াত আমির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১৭
তারেক রহমানকে স্বাগত জানালেন জামায়াত আমির

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া পোস্টে স্বাগতবার্তা দেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে শফিকুর রহমান লিখেছেন, ‘জনাব তারেক রহমান, সপরিবারে সুস্বাগতম!’

তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। প্রথমেই তিনি ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে পূর্বাচলের ৩০০ ফুটের সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যাচ্ছেন তারেক রহমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাসায় পৌঁছেছেন ডা. জুবাইদা ও জাইমা রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান তাদের গুলশানের বাসায় পৌঁছেছেন। আজ বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে গুলশানের উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা। দুপুর সোয়া ১টার দিকে তাদের বহনকারী গাড়িটি গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাসায় পৌঁছায়।

বিমানবন্দরে নেমে দলীয় নেতাকর্মী এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর লাল-সবুজ রঙের বাসে চড়ে সংবর্ধনা মঞ্চের উদ্দেশে রওনা দেন তারেক রহমান।

তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমান এবং মেয়ে জাইমা রহমান বিমানবন্দর থেকে পুলিশ ও সিএসএফ প্রটোকলে বাসায় উদ্দেশে রওনা হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন: বিমানবন্দর সড়কে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা, গণপরিবহনশূন্য মহাসড়ক

নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা)
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৩৪
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিমানবন্দর সড়কে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মহাসড়কটিতে যান চলাচল শূন্য করা হয়েছে। সরেজমিনে রাজধানীর হাউজ বিল্ডিং থেকে বিমানবন্দর হয়ে খিলক্ষেতের ৩০০ ফুট সড়ক পর্যন্ত আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এমন দৃশ্য দেখা যায়।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশসহ সাদাপোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকতে দেখা যায়।

এদিকে তারেক রহমানের নিরাপত্তার স্বার্থে বিমানবন্দর-৩০০ ফুট সড়কে গণপরিবহন চলাচল তো দূরের কথা, কোনো মোটরসাইকেলও চলাচল করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার জসীমউদ্‌দীন সড়কে রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। তাদের সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‍্যাব।

এ ছাড়া বিমানবন্দরসহ এর আশপাশ এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়। শুধু বিমানবন্দরেই নয়, বিমানবন্দর-৩০০ ফুট সড়কে কয়েক হাত পরপরই রয়েছেন সেনাবাহিনী ও পুলিশের সশস্ত্র সদস্যরা। রয়েছেন বিবিজি ও র‍্যাবের সদস্যরাও।

জসীমউদ্‌দীনে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, তারেক রহমানের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সড়কটিতে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। যাঁরা সংবর্ধনাস্থলে যাচ্ছেন, তাঁরা সবাই হেঁটে যাচ্ছেন।

সড়কে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মকর্তারা জানান, গণপরিবহন তো দূরের কথা, মোটরসাইকেলও সড়কে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। যাঁরা মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা হয়েছেন, তাঁদের ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। না হলে অন্যত্র মোটরসাইকেল রেখে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডন থেকে প্রথম সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাঁকে বহনকারী বিমান। সেখান থেকে বিমানে করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। পরে ৩০০ ফুট সড়কের সংবর্ধনা মঞ্চে যোগ দেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত