Ajker Patrika

দেশের পরিস্থিতি জাহান্নামের চেয়েও খারাপ: রব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের পরিস্থিতি জাহান্নামের চেয়েও খারাপ: রব

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি জাহান্নামের চেয়েও খারাপ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব। আজ শুক্রবার রাজধানীর তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 

আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘আমি স্যুটকেসে কাপড়-চোপড় আর ওষুধ নিয়ে এসেছি। জেলখানায় নিয়ে যাবেন? ফখরুলকে নিয়ে গেছেন, আব্বাসকে নিয়ে গেছেন। হাজারো নেতা-কর্মীকে জেলখানায় নিয়েছেন। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি জাহান্নামের চেয়েও খারাপ।’ 

আ স ম আব্দুর রব আরও বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে হাত ভেঙে দেবে। আগুন লাগিয়ে দেবে। এটা কী? কোন ধরনের আচরণ? কোন ধরনের মন্তব্য? বিএনপির পার্টি অফিস নয় শুধু, একটা রাষ্ট্রের ভৌগোলিক সীমার মধ্যে যেকোনো অফিস ভেঙে ফেলা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে গুলি করে নাগরিক হত্যা করাতো দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকেই ঠেলে দেওয়া।’ 

পুলিশ সরকারি দলের নির্দেশে দলীয় কর্মীর মতো আচরণ করছে উল্লেখ করে রব বলেন, ‘তাঁরা জনগণকে আইন ভঙ্গ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে। সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না। তাঁরা অন্য কাউকে ক্ষমতায় আসতে দেবে না। তাঁরা নির্বাচনে বিশ্বাস করে না।’ 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আজকে আমাদের ভিন্ন কর্মসূচি ছিল। বিএনপি অফিস যেভাবে ক্রাইম জোন ঘোষণা করে আটকে দিয়েছে, সবাই একসঙ্গে বিএনপি অফিসে দেখতে যেতে চেয়েছি। সরকার স্বৈরাচারী কায়দায় বিএনপি অফিসকে ক্রাইম জোন বলে রাস্তাঘাট বন্ধ করে রেখেছে।’ 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতা মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গতকাল রাতে পুলিশ কমিশনার ও বিএনপির নেতাদের মধ্যে সমাবেশের স্থান নির্ধারণের আলোচনায় মনে হয়েছিল, বিরাজমান সমস্যা সমাধানের দিকে যাচ্ছে। হঠাৎ করে গ্রেপ্তারের ঘটনায় পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হলো। রাস্তার মোড়ে মোড়ে আওয়ামী পান্ডারা পুলিশের সহায়তা নিয়ে অবস্থান করছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না।’ 

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। পুলিশ ও দলীয় গুন্ডাবাহিনীকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। নিজেরা ককটেল ফাটিয়ে বিরোধী দলের ওপর দোষ দিচ্ছে।’ 

সংবাদ সম্মেলনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি মহাভুল করছেন। আপনার পিতা যে ভুল করেছিলেন তাঁর জন্য তাঁকে জীবন দিতে হয়েছে। আপনিও সেই পথে হাঁটছেন। ভুল পথ থেকে সরে না এলে আপনার বিপদ আছে। সংলাপ না করে সংঘাতে যাচ্ছেন। এটা বহুদলীয় গণতন্ত্র হতে পারে না।’ 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান প্রমুখ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এভারকেয়ার থেকে গুলশান বাসভবনের পথে তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বের হয়েছেন তারেক রহমান। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বের হয়েছেন তারেক রহমান। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁর মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বের হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে বের হন তারেক রহমান। তাঁর গাড়িবহর গুলশান বাসভবনের পথে রওনা হয়েছে।

বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে তিনি হাসপাতাল এলাকায় আসেন। পরে ৫টা ৫৪ মিনিটে তিনি হাসপাতালে প্রবেশ করেন। এর আগে, ৫টা ১০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান তারেক রহমানের সহধর্মিণী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।

তারেক রহমান হাসপাতালে প্রবেশের পর নেতাকর্মীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় নেতাকর্মীদের মাঝে বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা দেখা গেছে।

হাসপাতালে তারেক রহমান খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মায়ের শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ খোঁজখবর নেন এবং প্রায় দেড় ঘণ্টা হাসপাতালে অবস্থান করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকা-১৫ আসনে মনোনয়নপত্র নিলেন জামায়াত আমির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।

আজ বৃহস্পতিবার জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুর রহমান মুসা, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য জিয়াউল হাসান প্রমুখ।

মনোনয়নপত্র উত্তোলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আবদুল হালিম বলেন, ‘২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংগ্রামী আমির ও মানবিক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষে আমরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি—আলহামদুলিল্লাহ। আমরা চাই আগামী নির্বাচন হোক একটি প্রতিযোগিতামূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচন।’

আবদুল হালিম আরও বলেন, ‘তরুণদের প্রত্যয়দীপ্ত স্লোগান, “বুকের মধ্যে অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর”—এই অনুপ্রেরণার ধারক শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ, শহীদ আবরার ফাহাদ ও সর্বশেষ শহীদ জুলাইয়ের বীরযোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদি আধিপত্যবাদী শক্তির ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে যে আত্মত্যাগ করেছেন, আমরা সব জুলাই যোদ্ধাদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

আবদুল হালিম বলেন, ‘দুর্নীতিমুক্ত, ইনসাফ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা দেশবাসীর দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি; যাতে আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সকল দল ও মতের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এভারকেয়ার হাসপাতালে তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ৪৭
বিকেল ৫টা ৫৪ মিনিটে তারেক রহমান এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রবেশ করেন। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
বিকেল ৫টা ৫৪ মিনিটে তারেক রহমান এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রবেশ করেন। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁর মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ৫৪ মিনিটে তিনি হাসপাতালে প্রবেশ করেন।

এর আগে, ৫টা ১০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান তারেক রহমানের সহধর্মিণী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।

হাসপাতালে প্রবেশের সময় তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদসহ দলের শীর্ষ নেতারা। এ সময় উপস্থিত জনতা ও নেতা-কর্মীরা স্লোগানে তাঁকে স্বাগত জানান। তারেক রহমান নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মঞ্চে আলিশান আসন ছেড়ে প্লাস্টিকের চেয়ারে তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ১৭
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফুট সড়কে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নিজের জন্য নির্ধারিত বিশেষ আসন সরিয়ে তিনি একটি সাধারণ প্লাস্টিকের চেয়ারে বসেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবর্ধনাস্থলে পৌঁছালে মঞ্চে এই দৃশ্য দেখা যায়। বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি ভিডিওতেও তা দেখা যায়।

বেলা ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে তারেক রহমান সংবর্ধনাস্থলে পৌঁছান। মঞ্চে ওঠার পর তিনি উপস্থিত জ্যেষ্ঠ নেতা ও জোট শরিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। মঞ্চে সারি সারি চেয়ার পাতা ছিল এবং প্রটোকল অনুযায়ী প্রতিটি চেয়ারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম লেখা ছিল। মঞ্চের ঠিক মাঝখানে তারেক রহমানের জন্য রাখা ছিল বিশেষ নকশার একটি আলিশান চেয়ার।

তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

হাজারো নেতা–কর্মীর উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানানোর পর তারেক রহমান নিজের আসনে বসতে এগিয়ে যান। তবে নির্ধারিত বিশেষ চেয়ারটি দেখে সেটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। পরে আয়োজকেরা মঞ্চের পেছন থেকে একটি সাধারণ হাতলওয়ালা প্লাস্টিকের চেয়ার এনে দিলে সেখানেই তিনি বসেন। কয়েক মিনিট পরই তিনি তাঁর বক্তব্য শুরু করেন।

সমাবেশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তারেক রহমান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিংয়ের অমর বাণী স্মরণ করে বলেন, ‘আই হ্যাভ আ প্ল্যান।’ তিনি দেশের মানুষের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরে বলেন, এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সবার সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন।

প্রায় ১৬ মিনিট বক্তব্য দেওয়ার পর তারেক রহমান বিএনপি চেয়ারপারসন ও তাঁর মা বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। বিমানবন্দর থেকে যে জাতীয় পতাকার রঙে সাজানো বাসে করে তিনি পূর্বাচলের সংবর্ধনা মঞ্চে এসেছিলেন, সেই বাসেই তিনি হাসপাতালের পথে যাত্রা করেন। বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে বাসটি এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত