নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ১ হাজার ৯৪৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৬১ জন প্রার্থী এসএসসির গণ্ডি পার হননি।
আজ (বৃহস্পতিবার) অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সুজনের তথ্যে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সর্বমোট ১ হাজার ৯৪৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬৩২ জনের (৩২ দশমিক ৪৯ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর, ৫১৪ জনের (২৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ) স্নাতক, ২৫৭ জনের (১৩ দশমিক ২১ শতাংশ) এইচএসসি এবং ১৫০ জনের (৭ দশমিক ৭১ শতাংশ) এসএসসি পাস।
প্রার্থীদের মধ্যে এসএসসির নিচে রয়েছেন ১২৩ জন (৬ দশমিক ৩২ শতাংশ) এবং নিরক্ষর ও স্বশিক্ষিত রয়েছেন ২৩৮ জন (১২ দশমিক ২৪ শতাংশ)। অর্থাৎ মোট ৩৬১ প্রার্থী এসএসসির গণ্ডি পার হননি।
এছাড়া ৩১ জন (১ দশমিক ৫৯ শতাংশ) প্রার্থী শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরই পূরণ করেননি। শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘর পূরণ না করা প্রসঙ্গে ইসির যুগ্ম সচিব মো. আবদুল বাতেন বলেন, ‘হলফনামায় ছোটখাটো কোনো ভুল থাকলে অনেক সময় তা সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয়। আর আমলে নেওয়ার মতো হলে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বাছাইয়ের সময় সেই মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন। এখন যারা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন তাঁরা সবাই বৈধ প্রার্থী। কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে কারও কোনো অভিযোগ থাকলে তিনি আদালতে যেতে পারেন।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বমোট ২৬৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১২৩ জনের (৪৬ দশমিক ৪২ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর, ১০২ জনের (৩৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ) স্নাতক, ২৬ জনের (৯ দশমিক ৮১ শতাংশ) এইচএসসি এবং ৬ জনের (২ দশমিক ২৬ শতাংশ) এসএসসি পাস। প্রার্থীদের মধ্যে এসএসসির নিচে রয়েছেন ৩ জন (১ দশমিক ১৩ শতাংশ) এবং নিরক্ষর ও স্বশিক্ষিত রয়েছেন ৫ জন (১ দশমিক ৮৯ শতাংশ)।
জাতীয় পার্টির সর্বমোট ২৬২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬১ জনের (২৩ দশমিক ২৮ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর, ৮১ জনের (৩০ দশমিক ৯২ শতাংশ) স্নাতক, ৪২ জনের (১৬ শতাংশ) এইচএসসি এবং ২৯ জনের (১১ শতাংশ) এসএসসি পাস। প্রার্থীদের মধ্যে এসএসসির নিচে রয়েছেন ১২ জন (৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ) এবং নিরক্ষর ও স্বশিক্ষিত আছেন ৩৫ জন (১২ দশমিক ৩৬ শতাংশ)। দুইজন (দশমিক ৭৬ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘর পূরণ করেননি।
সুজন বলছে, এই নির্বাচনের অভিনবত্ব হলো আওয়ামী স্বতন্ত্র বা আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থী। যার মধ্যে আছেন বর্তমান মন্ত্রসভার সদস্য, জাতীয় সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী অনেক নেতা। সে কারণে এই নির্বাচনে যিনি জয়লাভ করবেন, তিনিই সরকারের লোক। যেই জয়ী হোক তাতে সরকারের কোনো ক্ষতি নেই। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আবহ সৃষ্টি করা হয়েছে কৃত্রিমভাবে। যে জাতীয় পার্টি পূর্বে ঘোষণা দিয়েছিল যে এই নির্বাচনে তারা বাংলাদেশ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে হারিয়ে দিয়ে সরকার গঠন করবে, তারাই আওয়ামী লীগের কাছে আসন প্রার্থনা করে ২৬টি আসন খয়রাত হিসেবে পেয়েছে। এই সব বিষয় বিবেচনায় নিলে, এই নির্বাচনকে প্রকৃত অর্থেই নির্বাচন বলা যায় না। আইনগতভাবে বৈধতা পেলেও এই নির্বাচন মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে মনে হয় না। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীর হলফনামা বাছাইয়ে শিথিলতার অভিযোগ উঠেছে।
পরিবারতন্ত্রের প্রভাব নিয়ে সুজন বলছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায় যে, এবারের নির্বাচনে ৪৬টি আসনের পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ এবং আত্মীয়তার সূত্রে আবদ্ধ পরিবারের সদস্যরা প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে ১৭টি পরিবারের সদস্যরা ৩৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অবশিষ্ট ১১টি আসনে আওয়ামী লীগের নেতাদের সন্তানেরা প্রথমবারের মতো নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। এসব পরিবারে বর্তমানে ২৩ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র দৃঢ়ভাবে জেঁকে বসেছে। ফলে দলের জন্য আত্মোৎসর্গকারী নেতাদের যথাযথ মূল্যায়ন হচ্ছে না। এতেকরে ত্যাগী নেতা–কর্মীরা ধীরে ধীরে রাজনীতিতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে।
সুজন মনে করে, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনী রাজনীতি একই আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। যখনই জাতীয় নির্বাচন সামনে আসে, তখনই দেশ এক সাংঘর্ষিক অবস্থার দিকে চলে যায়। ভাবতে অবাক লাগে যে জাতি গর্বের সঙ্গে উচ্চারণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক-আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্র গঠনের জন্য আমরা জাতিগতভাবে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের পর অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা লাভ করেছি; সেই গর্বিত জাতি গণতন্ত্রের একটি অপরিহার্য ও গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একমত হতে পারে না। তবে রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা প্রশ্নটি অবহেলার দৃষ্টিতে দেখার কোনো সুযোগ নেই।’

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ১ হাজার ৯৪৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৬১ জন প্রার্থী এসএসসির গণ্ডি পার হননি।
আজ (বৃহস্পতিবার) অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সুজনের তথ্যে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সর্বমোট ১ হাজার ৯৪৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬৩২ জনের (৩২ দশমিক ৪৯ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর, ৫১৪ জনের (২৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ) স্নাতক, ২৫৭ জনের (১৩ দশমিক ২১ শতাংশ) এইচএসসি এবং ১৫০ জনের (৭ দশমিক ৭১ শতাংশ) এসএসসি পাস।
প্রার্থীদের মধ্যে এসএসসির নিচে রয়েছেন ১২৩ জন (৬ দশমিক ৩২ শতাংশ) এবং নিরক্ষর ও স্বশিক্ষিত রয়েছেন ২৩৮ জন (১২ দশমিক ২৪ শতাংশ)। অর্থাৎ মোট ৩৬১ প্রার্থী এসএসসির গণ্ডি পার হননি।
এছাড়া ৩১ জন (১ দশমিক ৫৯ শতাংশ) প্রার্থী শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরই পূরণ করেননি। শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘর পূরণ না করা প্রসঙ্গে ইসির যুগ্ম সচিব মো. আবদুল বাতেন বলেন, ‘হলফনামায় ছোটখাটো কোনো ভুল থাকলে অনেক সময় তা সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয়। আর আমলে নেওয়ার মতো হলে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বাছাইয়ের সময় সেই মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন। এখন যারা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন তাঁরা সবাই বৈধ প্রার্থী। কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে কারও কোনো অভিযোগ থাকলে তিনি আদালতে যেতে পারেন।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বমোট ২৬৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১২৩ জনের (৪৬ দশমিক ৪২ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর, ১০২ জনের (৩৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ) স্নাতক, ২৬ জনের (৯ দশমিক ৮১ শতাংশ) এইচএসসি এবং ৬ জনের (২ দশমিক ২৬ শতাংশ) এসএসসি পাস। প্রার্থীদের মধ্যে এসএসসির নিচে রয়েছেন ৩ জন (১ দশমিক ১৩ শতাংশ) এবং নিরক্ষর ও স্বশিক্ষিত রয়েছেন ৫ জন (১ দশমিক ৮৯ শতাংশ)।
জাতীয় পার্টির সর্বমোট ২৬২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬১ জনের (২৩ দশমিক ২৮ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর, ৮১ জনের (৩০ দশমিক ৯২ শতাংশ) স্নাতক, ৪২ জনের (১৬ শতাংশ) এইচএসসি এবং ২৯ জনের (১১ শতাংশ) এসএসসি পাস। প্রার্থীদের মধ্যে এসএসসির নিচে রয়েছেন ১২ জন (৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ) এবং নিরক্ষর ও স্বশিক্ষিত আছেন ৩৫ জন (১২ দশমিক ৩৬ শতাংশ)। দুইজন (দশমিক ৭৬ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘর পূরণ করেননি।
সুজন বলছে, এই নির্বাচনের অভিনবত্ব হলো আওয়ামী স্বতন্ত্র বা আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থী। যার মধ্যে আছেন বর্তমান মন্ত্রসভার সদস্য, জাতীয় সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী অনেক নেতা। সে কারণে এই নির্বাচনে যিনি জয়লাভ করবেন, তিনিই সরকারের লোক। যেই জয়ী হোক তাতে সরকারের কোনো ক্ষতি নেই। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আবহ সৃষ্টি করা হয়েছে কৃত্রিমভাবে। যে জাতীয় পার্টি পূর্বে ঘোষণা দিয়েছিল যে এই নির্বাচনে তারা বাংলাদেশ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে হারিয়ে দিয়ে সরকার গঠন করবে, তারাই আওয়ামী লীগের কাছে আসন প্রার্থনা করে ২৬টি আসন খয়রাত হিসেবে পেয়েছে। এই সব বিষয় বিবেচনায় নিলে, এই নির্বাচনকে প্রকৃত অর্থেই নির্বাচন বলা যায় না। আইনগতভাবে বৈধতা পেলেও এই নির্বাচন মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে মনে হয় না। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীর হলফনামা বাছাইয়ে শিথিলতার অভিযোগ উঠেছে।
পরিবারতন্ত্রের প্রভাব নিয়ে সুজন বলছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায় যে, এবারের নির্বাচনে ৪৬টি আসনের পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ এবং আত্মীয়তার সূত্রে আবদ্ধ পরিবারের সদস্যরা প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে ১৭টি পরিবারের সদস্যরা ৩৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অবশিষ্ট ১১টি আসনে আওয়ামী লীগের নেতাদের সন্তানেরা প্রথমবারের মতো নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। এসব পরিবারে বর্তমানে ২৩ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র দৃঢ়ভাবে জেঁকে বসেছে। ফলে দলের জন্য আত্মোৎসর্গকারী নেতাদের যথাযথ মূল্যায়ন হচ্ছে না। এতেকরে ত্যাগী নেতা–কর্মীরা ধীরে ধীরে রাজনীতিতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে।
সুজন মনে করে, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনী রাজনীতি একই আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। যখনই জাতীয় নির্বাচন সামনে আসে, তখনই দেশ এক সাংঘর্ষিক অবস্থার দিকে চলে যায়। ভাবতে অবাক লাগে যে জাতি গর্বের সঙ্গে উচ্চারণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক-আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্র গঠনের জন্য আমরা জাতিগতভাবে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের পর অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা লাভ করেছি; সেই গর্বিত জাতি গণতন্ত্রের একটি অপরিহার্য ও গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একমত হতে পারে না। তবে রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা প্রশ্নটি অবহেলার দৃষ্টিতে দেখার কোনো সুযোগ নেই।’

আসন ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ নিষ্পত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার প্রথম দিনের বৈঠকে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটকে একটি করে আসনে ছাড়ের ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ১২ দলীয় জোটকে আরেকটি আসন ছাড় দেওয়া নিয়েও আলোচনা আছে। এই দুই জোটের...
৭ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হয়েছেন দুই সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী। তাঁরা হলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের
১২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেবে জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জাপা)। আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। তফসিল ঘোষণার ছয় দিন পর আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে দলটি।
১২ ঘণ্টা আগে
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে অবিলম্বে বিনা শর্তে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে)। আজ বুধবার একটি বিবৃতিতে সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠনটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে অন্তর্বর্তী....
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ নিষ্পত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার প্রথম দিনের বৈঠকে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটকে একটি করে আসনে ছাড়ের ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ১২ দলীয় জোটকে আরেকটি আসন ছাড় দেওয়া নিয়েও আলোচনা আছে। এই দুই জোটের অন্য দলগুলোকে বিএনপির পক্ষ থেকে ভিন্নভাবে মূল্যায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বিকেলে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অংশ নেন।
সূত্র বলছে, ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার এবং জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে আসন দেওয়ার ব্যাপারে সবুজসংকেত দেওয়া হয়েছে, যার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে ২০ ডিসেম্বর।
এদিকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ৬ দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ ও গণফোরামের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার আসন ভাগাভাগি নিয়ে বৈঠকে বসবে বিএনপি। আগামীকাল শুক্রবার জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। সবশেষে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি।
১২ দলীয় জোট ও সমমনা জোটের বৈঠক সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ-৫, কুষ্টিয়া-২ আসনসহ কয়েকটি আসনে প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে দুই জোটের মিত্ররা। বিএনপির হাইকমান্ড তাদের আশ্বস্ত করেছে, এই বিষয়গুলো ইতিবাচকভাবে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া আগামী দিনে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব দলকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের দাবি তুলেছেন মিত্র জোটের নেতারা। তাঁদের দাবি, জাতীয় সরকারে যেন সব দলকেই মূল্যায়ন করা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে দুই জোটের নেতাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, তাঁদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে। যাঁদের মনোনয়ন দিয়ে মূল্যায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না, তাঁদের সংসদের উচ্চকক্ষে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। গণতন্ত্র ও দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আমরা আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরেছি। তারা দীর্ঘ দিনের মিত্র হিসেবে সর্বোচ্চ মূল্যায়নের চেষ্টা করার কথা জানিয়েছেন।’
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা ৯টা আসন চেয়েছি। বিএনপির পক্ষে সমমনা জোটকে আসন দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। আর যাঁদের এবার মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাঁদের ক্ষমতায় গেলে যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।’

আসন ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ নিষ্পত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার প্রথম দিনের বৈঠকে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটকে একটি করে আসনে ছাড়ের ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ১২ দলীয় জোটকে আরেকটি আসন ছাড় দেওয়া নিয়েও আলোচনা আছে। এই দুই জোটের অন্য দলগুলোকে বিএনপির পক্ষ থেকে ভিন্নভাবে মূল্যায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বিকেলে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অংশ নেন।
সূত্র বলছে, ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার এবং জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে আসন দেওয়ার ব্যাপারে সবুজসংকেত দেওয়া হয়েছে, যার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে ২০ ডিসেম্বর।
এদিকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ৬ দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ ও গণফোরামের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার আসন ভাগাভাগি নিয়ে বৈঠকে বসবে বিএনপি। আগামীকাল শুক্রবার জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। সবশেষে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি।
১২ দলীয় জোট ও সমমনা জোটের বৈঠক সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ-৫, কুষ্টিয়া-২ আসনসহ কয়েকটি আসনে প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে দুই জোটের মিত্ররা। বিএনপির হাইকমান্ড তাদের আশ্বস্ত করেছে, এই বিষয়গুলো ইতিবাচকভাবে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া আগামী দিনে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব দলকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের দাবি তুলেছেন মিত্র জোটের নেতারা। তাঁদের দাবি, জাতীয় সরকারে যেন সব দলকেই মূল্যায়ন করা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে দুই জোটের নেতাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, তাঁদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে। যাঁদের মনোনয়ন দিয়ে মূল্যায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না, তাঁদের সংসদের উচ্চকক্ষে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। গণতন্ত্র ও দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আমরা আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরেছি। তারা দীর্ঘ দিনের মিত্র হিসেবে সর্বোচ্চ মূল্যায়নের চেষ্টা করার কথা জানিয়েছেন।’
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা ৯টা আসন চেয়েছি। বিএনপির পক্ষে সমমনা জোটকে আসন দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। আর যাঁদের এবার মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাঁদের ক্ষমতায় গেলে যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।’

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ১ হাজার ৯৪৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৬১ জন প্রার্থী এসএসসির গণ্ডি পার হননি
০৪ জানুয়ারি ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হয়েছেন দুই সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী। তাঁরা হলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের
১২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেবে জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জাপা)। আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। তফসিল ঘোষণার ছয় দিন পর আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে দলটি।
১২ ঘণ্টা আগে
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে অবিলম্বে বিনা শর্তে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে)। আজ বুধবার একটি বিবৃতিতে সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠনটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে অন্তর্বর্তী....
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হয়েছেন দুই সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী। তাঁরা হলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের প্রার্থী আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
আজ বুধবার তাঁরা আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হন।
এলাকার কর্মী ও সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সার্বিক বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) পদক্ষেপ এবং নিজের নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা।
সিগমা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
সিইসিকে দেওয়া লিখিত অভিযোগে কাজী রেহা কবির সিগমা বলেন, ‘আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন পক্ষপাতমুক্ত, সুষ্ঠু ও সবার জন্য নির্বিঘ্ন করা অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের অঙ্গীকার ও প্রত্য়য়। কিন্তু এসব প্রশ্নবিদ্ধ ও বাধাগ্রস্ত করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে অবিলম্বে জড়িত ও দায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার আবেদন করছি।’
কাজী রেহা কবির সিগমা বলেন, ‘আমি কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার প্রত্যয় জানিয়ে নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছি। ইতিমধ্যে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছি। গণসংযোগের কাজে অনেক কর্মী-সমর্থক তৎপর হয়েছে। কিন্তু আমার আইনানুগ গণসংযোগের কাজে ত্রাস সৃষ্টি করে আমার কাজ দুরূহ করার কল্পে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার পুলিশ কর্তৃপক্ষ ন্যক্কারজনকভাবে তৎপর হয়েছে।’
রেহা কবির সিগমা সিইসিকে বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১টায় তারা এক নিরপরাধ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে ভুয়া মামলায় কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠায়। আমার কর্মীদের আতঙ্কগ্রস্ত করা হয়েছে। যার ফলে নির্বাচনী কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।’
কবির সিগমা আরও বলেন, ‘আমার কর্মী মো. কিয়ামত আলী (৫০) একজন নিরীহ জনপ্রিয় লোক। তার নামে কোনো মামলা বা অভিযোগ ছিল না। তাকে ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বরে করা একটি মামলায় আসামি দেখানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ওই মামলায় আমার কর্মী মো. কিয়ামত আলী এজাহারভুক্ত আসামি নয়। কিয়ামত আলীর বাড়ি অষ্টগ্রাম থানা হতে মাত্র ১০ মিনিটের হাঁটার পথ দূরত্বে হলেও গত এক বছরে কোনো কারণে কখনো পুলিশ কিয়ামতের খোঁজ করেনি। কিয়ামতের সঙ্গে নিয়মিত দেখা হলেও কিছু জিজ্ঞাসা করেনি। এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, শুধু আমার কর্মীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির জন্যই অষ্টগ্রাম থানা-পুলিশ কোনো বিশেষ স্বার্থ হাসিল করার জন্য এ কাজ করেছে।’
সিগমা অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করে আসন্ন নির্বাচন প্রশ্নাতীত ও সুষ্ঠু করার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সিইসিকে অনুরোধ জানান।
পরে রেহা কবির সিগমা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলিশ ভীতি সৃষ্টি করছে। আমার কর্মী ও আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই ইসি ও প্রশাসনের কাছে সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছি।’
এদিকে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের প্রার্থী আসাদুজ্জামান ফুয়াদ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
প্রার্থী নিরাপত্তার শঙ্কা নিয়ে ইসিতে আসছেন—এ বিষয়ে কমিশন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে—জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যারিস্টার ফুয়াদ এসেছিলেন। তাঁর অভিযোগ হচ্ছে, পুলিশ তাঁকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে না। আমরা সার্বিকভাবে সব প্রার্থীর নিরাপত্তার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি।
সব প্রার্থী বিজয়ী হতে পারবেন না। জনগণ যাঁকে বেশি ভোট দেবেন, তিনিই বিজয়ী হবেন।’ তাই সচিব সব প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকদের আচরণ বিধিমালা মেনে চলার আহ্বান জানান ইসি সচিব।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হয়েছেন দুই সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী। তাঁরা হলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের প্রার্থী আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
আজ বুধবার তাঁরা আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হন।
এলাকার কর্মী ও সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সার্বিক বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) পদক্ষেপ এবং নিজের নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা।
সিগমা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
সিইসিকে দেওয়া লিখিত অভিযোগে কাজী রেহা কবির সিগমা বলেন, ‘আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন পক্ষপাতমুক্ত, সুষ্ঠু ও সবার জন্য নির্বিঘ্ন করা অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের অঙ্গীকার ও প্রত্য়য়। কিন্তু এসব প্রশ্নবিদ্ধ ও বাধাগ্রস্ত করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে অবিলম্বে জড়িত ও দায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার আবেদন করছি।’
কাজী রেহা কবির সিগমা বলেন, ‘আমি কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার প্রত্যয় জানিয়ে নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছি। ইতিমধ্যে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছি। গণসংযোগের কাজে অনেক কর্মী-সমর্থক তৎপর হয়েছে। কিন্তু আমার আইনানুগ গণসংযোগের কাজে ত্রাস সৃষ্টি করে আমার কাজ দুরূহ করার কল্পে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার পুলিশ কর্তৃপক্ষ ন্যক্কারজনকভাবে তৎপর হয়েছে।’
রেহা কবির সিগমা সিইসিকে বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১টায় তারা এক নিরপরাধ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে ভুয়া মামলায় কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠায়। আমার কর্মীদের আতঙ্কগ্রস্ত করা হয়েছে। যার ফলে নির্বাচনী কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।’
কবির সিগমা আরও বলেন, ‘আমার কর্মী মো. কিয়ামত আলী (৫০) একজন নিরীহ জনপ্রিয় লোক। তার নামে কোনো মামলা বা অভিযোগ ছিল না। তাকে ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বরে করা একটি মামলায় আসামি দেখানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ওই মামলায় আমার কর্মী মো. কিয়ামত আলী এজাহারভুক্ত আসামি নয়। কিয়ামত আলীর বাড়ি অষ্টগ্রাম থানা হতে মাত্র ১০ মিনিটের হাঁটার পথ দূরত্বে হলেও গত এক বছরে কোনো কারণে কখনো পুলিশ কিয়ামতের খোঁজ করেনি। কিয়ামতের সঙ্গে নিয়মিত দেখা হলেও কিছু জিজ্ঞাসা করেনি। এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, শুধু আমার কর্মীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির জন্যই অষ্টগ্রাম থানা-পুলিশ কোনো বিশেষ স্বার্থ হাসিল করার জন্য এ কাজ করেছে।’
সিগমা অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করে আসন্ন নির্বাচন প্রশ্নাতীত ও সুষ্ঠু করার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সিইসিকে অনুরোধ জানান।
পরে রেহা কবির সিগমা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলিশ ভীতি সৃষ্টি করছে। আমার কর্মী ও আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই ইসি ও প্রশাসনের কাছে সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছি।’
এদিকে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের প্রার্থী আসাদুজ্জামান ফুয়াদ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
প্রার্থী নিরাপত্তার শঙ্কা নিয়ে ইসিতে আসছেন—এ বিষয়ে কমিশন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে—জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যারিস্টার ফুয়াদ এসেছিলেন। তাঁর অভিযোগ হচ্ছে, পুলিশ তাঁকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে না। আমরা সার্বিকভাবে সব প্রার্থীর নিরাপত্তার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি।
সব প্রার্থী বিজয়ী হতে পারবেন না। জনগণ যাঁকে বেশি ভোট দেবেন, তিনিই বিজয়ী হবেন।’ তাই সচিব সব প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকদের আচরণ বিধিমালা মেনে চলার আহ্বান জানান ইসি সচিব।

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ১ হাজার ৯৪৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৬১ জন প্রার্থী এসএসসির গণ্ডি পার হননি
০৪ জানুয়ারি ২০২৪
আসন ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ নিষ্পত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার প্রথম দিনের বৈঠকে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটকে একটি করে আসনে ছাড়ের ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ১২ দলীয় জোটকে আরেকটি আসন ছাড় দেওয়া নিয়েও আলোচনা আছে। এই দুই জোটের...
৭ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেবে জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জাপা)। আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। তফসিল ঘোষণার ছয় দিন পর আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে দলটি।
১২ ঘণ্টা আগে
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে অবিলম্বে বিনা শর্তে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে)। আজ বুধবার একটি বিবৃতিতে সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠনটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে অন্তর্বর্তী....
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেবে জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জাপা)। আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। তফসিল ঘোষণার ছয় দিন পর আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে দলটি। নেতারা জানিয়েছেন, মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
দল থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাকে দলে ফিরিয়ে নিয়েছে জাপা। আজ কেন্দ্রীয় কমিটির সভার মঞ্চে দলীয় চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের পাশে ছিলেন তিনি। ২০০১ সালের নির্বাচনে রংপুর-৬ আসনে শেখ হাসিনাকে হারিয়ে চমক দেখানো নুর মোহাম্মদ মণ্ডলকেও দলে ফিরিয়ে নিয়েছে জাপা। তিনি ২০০৮ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন। পরে যোগ দেন আওয়ামী লীগে।
নৌকা প্রতীকে উপজেলা চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন রংপুর-৬ আসনের তৎকালীন এমপি ও আওয়ামী লীগ আমলের স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত নুর মণ্ডল। জাপা সূত্র জানিয়েছে, দলছুট অন্য নেতাদেরও ফেরানোর চেষ্টা চলছে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিএনপিবিহীন একতরফা নির্বাচনে অংশ নিয়ে জাপা ৩৪ আসন পেয়ে প্রধান বিরোধী দল হয়েছিল। যোগ দিয়েছিল সরকারেও। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলটিকে ২৬ আসনে ছাড় দেয় আওয়ামী লীগ। সেই নির্বাচনেও ২২ আসন পেয়ে বিরোধী দল হয় জাপা। বিএনপিবিহীন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনেও দলটিকে ২৬ আসন ছাড় দেয় আওয়ামী লীগ। ১১ আসন পেয়ে তৃতীয়বারের মতো বিরোধী দল হয় জাপা।
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে সরকারের সুরে কথা বলে গৃহপালিত বিরোধী দলের তকমা পাওয়া জাপা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর চাপে পড়েছে। অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্ব দলটিকে ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দেওয়ার পর সরকার, নির্বাচন কমিশন ও সংস্কার কমিশনগুলো বৈঠকে ডাকছে না দলটিকে। একাধিকবার জাপা কার্যালয়ে হামলাও হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আজ দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাও হয়েছে অনেকটা গোপনে। ডাকা হয়নি কমিটির অধিকাংশ সদস্যকে। জাপা মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট কিছু নেতাকে ডাকা হয়েছিল বৈঠকে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি হিসেবে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখব। যদি লেভেল প্লেয়িং থাকে, জাপা বরাবরের মতোই নির্বাচনে অংশ নেবে।
আজ জাপা কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, আট বিভাগের জন্য পৃথক বুথে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ভিড় ছিল না। দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম বিক্রি হবে। এরপর মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থী বাছাই করবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেবে জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জাপা)। আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। তফসিল ঘোষণার ছয় দিন পর আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে দলটি। নেতারা জানিয়েছেন, মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
দল থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাকে দলে ফিরিয়ে নিয়েছে জাপা। আজ কেন্দ্রীয় কমিটির সভার মঞ্চে দলীয় চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের পাশে ছিলেন তিনি। ২০০১ সালের নির্বাচনে রংপুর-৬ আসনে শেখ হাসিনাকে হারিয়ে চমক দেখানো নুর মোহাম্মদ মণ্ডলকেও দলে ফিরিয়ে নিয়েছে জাপা। তিনি ২০০৮ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন। পরে যোগ দেন আওয়ামী লীগে।
নৌকা প্রতীকে উপজেলা চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন রংপুর-৬ আসনের তৎকালীন এমপি ও আওয়ামী লীগ আমলের স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত নুর মণ্ডল। জাপা সূত্র জানিয়েছে, দলছুট অন্য নেতাদেরও ফেরানোর চেষ্টা চলছে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিএনপিবিহীন একতরফা নির্বাচনে অংশ নিয়ে জাপা ৩৪ আসন পেয়ে প্রধান বিরোধী দল হয়েছিল। যোগ দিয়েছিল সরকারেও। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলটিকে ২৬ আসনে ছাড় দেয় আওয়ামী লীগ। সেই নির্বাচনেও ২২ আসন পেয়ে বিরোধী দল হয় জাপা। বিএনপিবিহীন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনেও দলটিকে ২৬ আসন ছাড় দেয় আওয়ামী লীগ। ১১ আসন পেয়ে তৃতীয়বারের মতো বিরোধী দল হয় জাপা।
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে সরকারের সুরে কথা বলে গৃহপালিত বিরোধী দলের তকমা পাওয়া জাপা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর চাপে পড়েছে। অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্ব দলটিকে ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দেওয়ার পর সরকার, নির্বাচন কমিশন ও সংস্কার কমিশনগুলো বৈঠকে ডাকছে না দলটিকে। একাধিকবার জাপা কার্যালয়ে হামলাও হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আজ দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাও হয়েছে অনেকটা গোপনে। ডাকা হয়নি কমিটির অধিকাংশ সদস্যকে। জাপা মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট কিছু নেতাকে ডাকা হয়েছিল বৈঠকে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি হিসেবে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখব। যদি লেভেল প্লেয়িং থাকে, জাপা বরাবরের মতোই নির্বাচনে অংশ নেবে।
আজ জাপা কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, আট বিভাগের জন্য পৃথক বুথে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ভিড় ছিল না। দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম বিক্রি হবে। এরপর মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থী বাছাই করবে।

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ১ হাজার ৯৪৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৬১ জন প্রার্থী এসএসসির গণ্ডি পার হননি
০৪ জানুয়ারি ২০২৪
আসন ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ নিষ্পত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার প্রথম দিনের বৈঠকে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটকে একটি করে আসনে ছাড়ের ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ১২ দলীয় জোটকে আরেকটি আসন ছাড় দেওয়া নিয়েও আলোচনা আছে। এই দুই জোটের...
৭ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হয়েছেন দুই সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী। তাঁরা হলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের
১২ ঘণ্টা আগে
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে অবিলম্বে বিনা শর্তে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে)। আজ বুধবার একটি বিবৃতিতে সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠনটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে অন্তর্বর্তী....
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে অবিলম্বে বিনা শর্তে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে)। আজ বুধবার একটি বিবৃতিতে সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠনটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানায়।
সিপিজে বলে, ‘জাতীয় নির্বাচনের মাত্র কয়েকমাস আগে এভাবে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করা গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার নিয়ে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে এবং সরকারের সমালোচনা করায় গণমাধ্যমের সদস্যদের লক্ষ্যবস্তু করার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে।’
আনিস আলমগীর আজকের কাগজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে টেলিভিশন টকশো ও সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন সময় সরকারের নানা কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যের সমালোচনা করে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে তাকে।
সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গত ১৪ই ডিসেম্বর আটক করে ঢাকার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে জুলাই রেভ্যুলশনারি অ্যালায়েন্স নামের একটি সংগঠনের একজন সংগঠন থানায় আনিস আলমগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ জমা দেন।
পরে সেই অভিযোগ সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হিসেবে নিয়ে আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাকে বর্তমানে পাঁচ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁর এই গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছে টিআইবি, আইন ও সালিশ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে অবিলম্বে বিনা শর্তে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে)। আজ বুধবার একটি বিবৃতিতে সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠনটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানায়।
সিপিজে বলে, ‘জাতীয় নির্বাচনের মাত্র কয়েকমাস আগে এভাবে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করা গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার নিয়ে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে এবং সরকারের সমালোচনা করায় গণমাধ্যমের সদস্যদের লক্ষ্যবস্তু করার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে।’
আনিস আলমগীর আজকের কাগজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে টেলিভিশন টকশো ও সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন সময় সরকারের নানা কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যের সমালোচনা করে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে তাকে।
সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গত ১৪ই ডিসেম্বর আটক করে ঢাকার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে জুলাই রেভ্যুলশনারি অ্যালায়েন্স নামের একটি সংগঠনের একজন সংগঠন থানায় আনিস আলমগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ জমা দেন।
পরে সেই অভিযোগ সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হিসেবে নিয়ে আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাকে বর্তমানে পাঁচ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁর এই গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছে টিআইবি, আইন ও সালিশ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ১ হাজার ৯৪৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৬১ জন প্রার্থী এসএসসির গণ্ডি পার হননি
০৪ জানুয়ারি ২০২৪
আসন ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ নিষ্পত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার প্রথম দিনের বৈঠকে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটকে একটি করে আসনে ছাড়ের ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ১২ দলীয় জোটকে আরেকটি আসন ছাড় দেওয়া নিয়েও আলোচনা আছে। এই দুই জোটের...
৭ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হয়েছেন দুই সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী। তাঁরা হলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের
১২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেবে জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জাপা)। আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। তফসিল ঘোষণার ছয় দিন পর আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে দলটি।
১২ ঘণ্টা আগে