Ajker Patrika

‘ভিআইপি রুম না পেয়ে’ হোটেল বারে ভাঙচুর, যুবদলের পদ হারালেন মনির হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৫, ২২: ৫৪
যুবদল নেতা মনির হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
যুবদল নেতা মনির হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মহাখালীর একটি হোটেলে ভিআইপি রুম ভাড়া না পেয়ে বারে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠার পর ঢাকা মহানগর উত্তর বনানী থানার যুবদলের আহ্বায়ক পদ হারালেন মনির হোসেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করেছে সংগঠন। জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী নানা অনাচারের কারণে মনির হোসেনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতিমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের তাঁদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গেছে, শাড়ি পরা এক নারী হোটেলটির সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নিচে নামছেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে এক ব্যক্তি ওই নারীর পথ রোধ করে শরীরে আঘাত করছেন। তাঁর হামলায় ওই নারী মেঝেতে পড়ে যান।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, ওই নারী যখন নিচে নামছিলেন তখন সিঁড়িতে তাঁর পেছনে আরেক নারীও দৌড়ে নামার চেষ্টা করছিলেন। তাঁকে পেছন থেকে ধাওয়া করছিলেন কয়েকজন। একজন তাঁকে ধরে নিচে ফেলে দেন। এরপর হামলাকারীরা সবাই মিলে মেঝেতে পড়ে যাওয়া দুই নারীকে আক্রমণ করেন। ভিডিওতে তখন ৮ থেকে ১০ জনকে দেখা যায়।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, যখন ওই দুই নারীর ওপর আক্রমণ করা হচ্ছিল তখন তাঁরা চিৎকার করছিলেন। দীর্ঘক্ষণ চিৎকারের সময় শুরুতে যাঁরা আক্রমণ করছিলেন তাঁদের কেউ কেউ ভিডিওটির সীমানার বাইরে চলে যান। আবার নতুন করে কয়েকজনকে সেখানে ঢুকতে দেখা যায়। এ সময় হোটেলটিতে ভাঙচুরের শব্দও পাওয়া যায়।

এর আগে নিজ ফেসবুক পেজে মনির হোসেনের অপকর্মের ভিডিও ফুটেজসহ এক পোস্ট করেন সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।

সেখানে জুলকারনাইন সায়ের লেখেন, ‘গত ৩০ জুন ২০২৫, রাত ৮টা ৫ মিনিটের দিকে বনানী থানা যুবদলের আহবায়ক মনির খান মহাখালীর জাকারিয়া হোটেল-রেষ্টুরেন্ট অ্যান্ড বারে এসে একটি ভিআইপি রুম ভাড়া নিতে চান। এ সময় সব ভিআইপি কক্ষে অতিথি থাকায় মনির খানকে রুম দেওয়া সম্ভব হয়নি।

পরবর্তীতে মনির, জাকারিয়া হোটেলের বারে বসে খাবার ও মদ্যপান করেন এবং খাবারের শেষে স্থানীয় নেতা পরিচয় দিয়ে বিলে ডিসকাউন্ট দাবি করেন, হোটেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ডিসকাউন্ট দিয়ে বিল দেয়। বিল পরিশোধের পর, তাঁকে ভিআইপি রুম না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে জাকারিয়া হোটেল এবং বারের স্টাফদের দেখে নেওয়ার হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়।

এই ঘটনার ধারাবাহিকতায়, গত ১ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে, লিটন চৌধুরী নাহিদ যিনি মনির খানের ঘনিষ্ট বলে জানা যায়, তিনি জাকারিয়া হোটেল এবং বারে আগমন করেন এবং পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক, একটি গ্লাস হাতে নিয়ে ফ্লোরে ছুড়ে ভেঙে ফেলেন এবং বারের স্টাফদের বলেন যে, ‘মনির ভাই তোদের হোটেলে আসছিল, তোরা মনির ভাইকে ভিআইপি কেবিন না দিয়ে অসম্মান করেছিস, আমরা মনির ভাইয়ের লোক, তোরা মনির ভাইকে চিনে রাখবি’, এই বলে পুরো বার ও রেস্টুরেন্টটিতে ভাঙচুর করে (যা ভিডিওতে দেখবেন) কর্মচারীদের এলোপাতাড়ি মারপিট করে তাদের হাতে, পায়ে, বুকে, পিঠে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।

পরবর্তীতে জাকারিয়া হোটেল এবং বারের স্টাফদের এই মর্মে হুমকি দেওয়া হয় যে, যদি এই বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করাহয়, তাহলে তারা তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেবে এবং স্টাফদের আরও মারধর করবে।’

সায়ের আরও লেখেন, ‘এই ঘটনার সত্যতা জানতে আমি মনির খানকে ফোন করি এবং এ বিষয়ে জানতে চাই। তিনি বলেন, ৩০ জুন তিনি জাকারিয়া হোটেলে অ্যান্ড বারে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে রুম না দেওয়া মনক্ষুণ্ন হন এবং স্টাফদের গালমন্দ করে সেখান থেকে বের হয়ে যান। তিনি আমাকে জানান, তিনি এই ঘটনায় বেশ অনুতপ্ত বোধ করছেন। মনির খান দাবি করেন, ১ জুলাই এর ঘটনার বিষয়ে তিনি অবগত নন, কে বা কারা এমন করেছে সেটা তাঁর জানা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আত্মসমর্পণ করে দুই মামলায় জামিন পেলেন এনসিপির আখতার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আখতার হোসেন। ফাইল ছবি
আখতার হোসেন। ফাইল ছবি

হত্যাচেষ্টা, বেআইনি সমাবেশ, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানার পৃথক দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ ও জশিতা ইসলাম তাঁকে জামিন দেন।

আখতার হোসেনের আইনজীবী মো. মুজাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেছেন, ‘২০২১ সালে পৃথক দুই থানার মামলায় এনসিপির নেতা আখতার হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে পৃথক দুই আদালত দুই মামলায় তাঁকে জামিন দেন।’

এ বিষয়ে আখতার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে আমার বিরুদ্ধে মোট ছয়টি মামলা করা হয়েছিল। এর মধ্যে চারটিতে অব্যাহতি পেয়েছি। অন্য দুটিতে আজকে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছি।’

মামলা দুটির অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শাহবাগ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়। অন্যান্য থানায় আরও তিনটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে চারটি মামলায় তিনি আগেই অব্যাহতি পেয়েছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জামায়াত-এনসিপির প্রার্থী হওয়ার চেয়ে লং স্ট্যান্ডিং পজিশন ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ: মাহফুজ আলম

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ০৮
অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: ফেসবুক
অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: ফেসবুক

জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যকার নতুন রাজনৈতিক জোট ও আসন সমঝোতা নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, জামায়াত-এনসিপি জোটের প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব থাকলেও তিনি তা গ্রহণ করছেন না।

তাঁর মতে, কোনো নির্দিষ্ট আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি নীতি ও আদর্শ (লং স্ট্যান্ডিং পজিশন) ধরে রাখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

মাহফুজ আলম তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, নাগরিক কমিটি ও এনসিপি মূলত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির নেতাদের মাধ্যমে সংগঠিত হয়েছিল। এই সহযোদ্ধাদের তিনি বিভিন্ন সময় পলিসিগত সহযোগিতা দিলেও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তিনি এনসিপির অংশ হচ্ছেন না।

‘আমার রাজনৈতিক অবস্থান’ শীর্ষক মাহফুজ আলমের ফেসবুক পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে দেওয়া হলো

আমার রাজনৈতিক অবস্থান

১. নাগরিক কমিটি ও এনসিপি জুলাইয়ের সম্মুখসারির নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছিল। এ দুটি সংগঠনে আমার জুলাই সহযোদ্ধারা থাকায় গত দেড় বছর আমি চাহিবামাত্র তাদেরকে পরামর্শ, নির্দেশনা এবং পলিসিগত জায়গায় সহযোগিতা করেছি।

২. আমার অবস্থান স্পষ্ট। নূতন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক লড়াই, সামাজিক ফ্যাসিবাদ মোকাবেলা, রিকন্সিলিয়েশন, দায়-দরদের সমাজ সহ- অনেক কথাই আমি বলেছি। যেগুলো আমার জুলাই সহযোদ্ধারা উক্ত দুটি সংগঠন থেকে বারবার বলেছেন। কিন্তু, তারা এগুলো ধারণ করতেন? এনসিপিকে একটা বিগ জুলাই আম্ব্রেলা আকারে স্বতন্ত্র উপায়ে দাঁড় করানোর জন্য আমি সকল চেষ্টাই করেছি। কিন্তু, অনেক কারণেই সেটা সম্ভব হয়নি।

. বিদ্যমান বাস্তবতায় আমার জুলাই সহযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান, স্নেহ এবং বন্ধুত্ব মুছে যাবে না। কিন্তু, আমি এ এনসিপির অংশ হচ্ছি না। আমাকে জামায়াত-এনসিপি জোট থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়নি, এটা সত্য নয়। কিন্তু ঢাকার কোন একটা আসনে জামায়াত-এনসিপি জোটের প্রার্থী হওয়ার চাইতে আমার লং স্টান্ডিং পজিশন ধরে রাখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

৪. ইতিহাসের এ চলতি পর্বে বাংলাদেশ একটা শীতল যুদ্ধে আছে। এ পর্বে কোন পক্ষ না নিয়ে নিজেদের বক্তব্য ও নীতিতে অটল থাকাই শ্রেয়। বিকল্প তরুণ/ জুলাই শক্তির সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বরং, আমি গত দেড় বছরে যা বলেছি, যে নীতিতে বিশ্বাস রেখেছি, তা অব্যাহত রাখব। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সকল উপায়ে। If you care to join me, you are most welcome.

নূতন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত সম্ভব ও বাস্তব। বিকল্প ও মধ্যপন্থী তরুণ/ জুলাই শক্তির উত্থান অত্যাসন্ন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন নাহিদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীসহ ৮ ইসলামপন্থী দলের সঙ্গে একজোট হয়ে এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার ব্যাখ্যা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

আজ রোববার রাত সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে দলের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে এবং আধিপত্যবাদী কোনো শক্তি আমাদের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী অগ্রযাত্রাকে যাতে ঠেকাতে না পারে, এজন্য বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন। সেই জায়গা থেকে আমরা জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের যে সমমনা ৮ দল রয়েছে, তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি এবং তাদের যে নির্বাচনী সমঝোতা, জাতীয় নাগরিক পার্টি তাতে সম্মত হয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং এই সমমনা দলের সঙ্গে আমরা একত্রে নির্বাচন করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এর আগে আজ বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ যখন জাতীয় জীবনের এক কঠিন বাঁকে এসে দাঁড়িয়েছে, সে সময় দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য, দুর্নীতিমুক্ত ইনসাফের বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে এত দিন আট দল কাজ করে আসছে। তার সঙ্গে আরও দুটি দল সম্পৃক্ত হয়েছে। কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি ও এনসিপি। আট দল একসঙ্গে ছিল। আর দুটি দল তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা-১৭ ও বগুড়া-৬ আসনের মনোনয়নপত্রে তারেক রহমানের সই

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৫০
মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করেন তারেক রহমান। ছবি: বিএনপি
মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করেন তারেক রহমান। ছবি: বিএনপি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ ও বগুড়া-৬ আসনে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট দুই আসনের দলীয় সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে তিনি মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করেন। এ সময় উপস্থিত নেতারা তারেক রহমানকে শুভেচ্ছা জানান এবং নির্বাচনী প্রস্তুতি ও সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী হতে আজ ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে তারেক রহমানের তরফে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার। এর আগে তারেক রহমানের তরফে বগুড়া-৬ (সদর) আসনেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।

এদিকে, আজ ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) রুহুল আমিন মল্লিক জানান, তারেক রহমানকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। সে হিসেবে গুলশান এলাকার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনে ভোটার হিসেবে তারেক রহমানের নাম নিবন্ধন করা হয়েছে।

এর আগে, গতকাল শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গিয়ে ভোটার নিবন্ধনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে গিয়ে আঙুলের ছাপ, আইরিশের প্রতিচ্ছবি ও বায়োমেট্রিক তথ্য দেন। পরে ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে এক দিনের মধ্যেই তাঁর নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত বৃহস্পতিবার দেশে ফেরা তারেক রহমান সেদিন সংবর্ধনা ও বক্তৃতা শেষে মা খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। পরদিন তিনি তাঁর বাবা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর গতকাল ভোটার হওয়ার আনুষ্ঠানিকতা সারার পাশাপাশি ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদি, ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোসহ বেশ কয়েকটি কবর জিয়ারত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত