
ভূমির কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া প্রতারণামূলকভাবে কর্তন করা বা কোনোভাবে দলিলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরিবর্তন করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩’–এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই আইনে অপরাধের সহযোগী হিসেবে ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা যাবে।
সোমবার (১৯ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘খসড়া আইনে ভূমির কতগুলো অপরাধকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেসব অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে, যাতে করে নাগরিকেরা নিজ-নিজ মালিকানাধীন ভূমির নিরবচ্ছিন্ন ভোগদখল প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করতে পারেন। ভূমিবিষয়ক প্রতারণা ও জালিয়াতির ক্ষেত্রগুলো সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং প্রতিরোধ, দমন ও প্রয়োজনে প্রতিকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারি এবং সর্বসাধারণের ব্যবহার্য ভূমি সম্পর্কিত অপরাধগুলো প্রতিরোধ ও দমনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভূমি সম্পর্কিত বিরোধ আদালতের বাইরে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার সুযোগ আইনে রাখা হয়েছে।’
নতুন আইনে শাস্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যের মালিকানাধীন ভূমি নিজের মালিকানাধীন হিসেবে প্রকাশ করা, কোনো ভূমি সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য গোপন করে তা অন্য ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর বা সমর্পণ, নিজ মালিকানাধীন ভূমির অতিরিক্ত ভূমি বা অন্যের মালিকানাধীন ভূমি জেনেশুনে অন্য ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর বা সমর্পণ, কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তি বলে ভান করে বা জ্ঞাতসারে এক ব্যক্তিকে অপর ব্যক্তিরূপে প্রতিস্থাপিত করে কিংবা কোনো ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে যে ব্যক্তি সেই ব্যক্তি থেকে ভিন্ন কোনো ব্যক্তি বলে পরিচয় দিয়ে সম্পত্তি হস্তান্তর বা সমর্পণ—এসব কাজ করলে সাত বছর কারাদণ্ড হতে পারে।’
জালিয়াতি সংক্রান্ত বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়েছে, মিথ্যা দলিল বা কোনো মিথ্যা দলিলের অংশবিশেষ প্রস্তুতকরণ, কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া অসাধু বা প্রতারণামূলকভাবে কর্তন করে বা অন্য কোনোভাবে তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরিবর্তন করা ইত্যাদি অপরাধে সর্বনিম্ন দুই বছর ও সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড হতে পারে। ভূমি অবৈধ দখল করলে দুই বছর, সরকারি স্বার্থযুক্ত এবং জনসাধারণের ব্যবহার্য ভূমি অবৈধভাবে ভরাট, শ্রেণি পরিবর্তন ইত্যাদি করলে দুই বছর কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান আইনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আইন প্রয়োগে বাধা দেওয়া বা এমন কর্মকাণ্ডে সহায়তা ও প্ররোচনা দিলে দুই বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
ভূমি সংক্রান্ত নানা অপরাধের ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা জড়িত থাকেন। এ বিষয়ে আইনে কিছু বলা আছে কি না-জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ওই জন্যই ওই অংশটুকু যোগ করা হয়েছে। যদি সহযোগী হিসেবে কাউকে পাওয়া যায় একই পরিমাণ শাস্তি তিনিও পাবেন। এখানে আলাদা করা হয়নি কাউকে। এখানে বলা হয়নি সরকারি কর্মকর্তা হলে তিনি শাস্তি পাবেন না। বলা হচ্ছে, এ কাজ যদি কারও সহযোগিতা নিয়ে করা হয় সেখানে যদি তাঁর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তাহলে তিনিও ওই একই অপরাধে দণ্ডিত হবেন একই মাত্রায়।’
ফসলি জমি থেকেও বালু তোলা যাবে না
বৈঠকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগে যেসব এলাকা থেকে মাটি বা বালু তোলা নিষিদ্ধ ছিল, তার মধ্যে ফসলি জমি অন্তভুক্ত ছিল না। এখন ফসলি জমিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে কোনো ফসলি জমি থেকেও মাটি ও বালু উত্তোলন করা যাবে না। নদী পথের নাব্যতা বিনষ্ট করতে পারে, এ রকম হুমকি থাকলে সেখান থেকেও বালু বা মাটি তোলা যাবে না। এ ছাড়া এখন অবৈধভাবে বালু বা মাটি তোলার যন্ত্র জব্দ করা যাবে। আর বালু পরিবহনের কারণে কোনো রাস্তা বা স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা পরিশোধ করবেন ইজাদারেরা। আর ইজারা কার্যক্রম অনলাইনে হবে।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা তদারকিতে আইন
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও ওষুধের ব্যাপারে তদারকি করতে ‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০২১ সালের ৩১ মে আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর আজকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমাদের একটি হোমিওপ্যাথি বোর্ড আছে, সেটি প্রতিস্থাপন করে একটা কাউন্সিল গঠন করা হবে। সেই কাউন্সিল পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এই কাউন্সিল হোমিওপ্যাথি সংক্রান্ত চিকিৎসাসেবা ও ওষুধের ব্যাপারে তদারকি করবে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ডিসিপ্লিনে আনার জন্য এই আইন করা হয়েছে। আদালত বলেছেন, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকেরা নামের আগে ‘ডাক্তার’লিখতে পারবেন না। এ বিষয়ে আইনে কিছু আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেটা কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয়
বৈঠকে লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২৩ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এটি হলে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে ৫৭টি। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত দেশে ১১৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভা শরীয়তপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে নতুন দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ জন্য দুটি আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। এর মধ্যে শরীয়তপুরের বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শরীয়তপুর’। আর ঠাকুরগাঁওয়ের বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম হবে ‘ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়’।

ভূমির কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া প্রতারণামূলকভাবে কর্তন করা বা কোনোভাবে দলিলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরিবর্তন করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩’–এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই আইনে অপরাধের সহযোগী হিসেবে ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা যাবে।
সোমবার (১৯ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘খসড়া আইনে ভূমির কতগুলো অপরাধকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেসব অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে, যাতে করে নাগরিকেরা নিজ-নিজ মালিকানাধীন ভূমির নিরবচ্ছিন্ন ভোগদখল প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করতে পারেন। ভূমিবিষয়ক প্রতারণা ও জালিয়াতির ক্ষেত্রগুলো সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং প্রতিরোধ, দমন ও প্রয়োজনে প্রতিকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারি এবং সর্বসাধারণের ব্যবহার্য ভূমি সম্পর্কিত অপরাধগুলো প্রতিরোধ ও দমনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভূমি সম্পর্কিত বিরোধ আদালতের বাইরে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার সুযোগ আইনে রাখা হয়েছে।’
নতুন আইনে শাস্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যের মালিকানাধীন ভূমি নিজের মালিকানাধীন হিসেবে প্রকাশ করা, কোনো ভূমি সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য গোপন করে তা অন্য ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর বা সমর্পণ, নিজ মালিকানাধীন ভূমির অতিরিক্ত ভূমি বা অন্যের মালিকানাধীন ভূমি জেনেশুনে অন্য ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর বা সমর্পণ, কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তি বলে ভান করে বা জ্ঞাতসারে এক ব্যক্তিকে অপর ব্যক্তিরূপে প্রতিস্থাপিত করে কিংবা কোনো ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে যে ব্যক্তি সেই ব্যক্তি থেকে ভিন্ন কোনো ব্যক্তি বলে পরিচয় দিয়ে সম্পত্তি হস্তান্তর বা সমর্পণ—এসব কাজ করলে সাত বছর কারাদণ্ড হতে পারে।’
জালিয়াতি সংক্রান্ত বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়েছে, মিথ্যা দলিল বা কোনো মিথ্যা দলিলের অংশবিশেষ প্রস্তুতকরণ, কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া অসাধু বা প্রতারণামূলকভাবে কর্তন করে বা অন্য কোনোভাবে তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরিবর্তন করা ইত্যাদি অপরাধে সর্বনিম্ন দুই বছর ও সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড হতে পারে। ভূমি অবৈধ দখল করলে দুই বছর, সরকারি স্বার্থযুক্ত এবং জনসাধারণের ব্যবহার্য ভূমি অবৈধভাবে ভরাট, শ্রেণি পরিবর্তন ইত্যাদি করলে দুই বছর কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান আইনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আইন প্রয়োগে বাধা দেওয়া বা এমন কর্মকাণ্ডে সহায়তা ও প্ররোচনা দিলে দুই বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
ভূমি সংক্রান্ত নানা অপরাধের ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা জড়িত থাকেন। এ বিষয়ে আইনে কিছু বলা আছে কি না-জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ওই জন্যই ওই অংশটুকু যোগ করা হয়েছে। যদি সহযোগী হিসেবে কাউকে পাওয়া যায় একই পরিমাণ শাস্তি তিনিও পাবেন। এখানে আলাদা করা হয়নি কাউকে। এখানে বলা হয়নি সরকারি কর্মকর্তা হলে তিনি শাস্তি পাবেন না। বলা হচ্ছে, এ কাজ যদি কারও সহযোগিতা নিয়ে করা হয় সেখানে যদি তাঁর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তাহলে তিনিও ওই একই অপরাধে দণ্ডিত হবেন একই মাত্রায়।’
ফসলি জমি থেকেও বালু তোলা যাবে না
বৈঠকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগে যেসব এলাকা থেকে মাটি বা বালু তোলা নিষিদ্ধ ছিল, তার মধ্যে ফসলি জমি অন্তভুক্ত ছিল না। এখন ফসলি জমিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে কোনো ফসলি জমি থেকেও মাটি ও বালু উত্তোলন করা যাবে না। নদী পথের নাব্যতা বিনষ্ট করতে পারে, এ রকম হুমকি থাকলে সেখান থেকেও বালু বা মাটি তোলা যাবে না। এ ছাড়া এখন অবৈধভাবে বালু বা মাটি তোলার যন্ত্র জব্দ করা যাবে। আর বালু পরিবহনের কারণে কোনো রাস্তা বা স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা পরিশোধ করবেন ইজাদারেরা। আর ইজারা কার্যক্রম অনলাইনে হবে।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা তদারকিতে আইন
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও ওষুধের ব্যাপারে তদারকি করতে ‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০২১ সালের ৩১ মে আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর আজকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমাদের একটি হোমিওপ্যাথি বোর্ড আছে, সেটি প্রতিস্থাপন করে একটা কাউন্সিল গঠন করা হবে। সেই কাউন্সিল পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এই কাউন্সিল হোমিওপ্যাথি সংক্রান্ত চিকিৎসাসেবা ও ওষুধের ব্যাপারে তদারকি করবে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ডিসিপ্লিনে আনার জন্য এই আইন করা হয়েছে। আদালত বলেছেন, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকেরা নামের আগে ‘ডাক্তার’লিখতে পারবেন না। এ বিষয়ে আইনে কিছু আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেটা কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয়
বৈঠকে লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২৩ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এটি হলে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে ৫৭টি। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত দেশে ১১৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভা শরীয়তপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে নতুন দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ জন্য দুটি আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। এর মধ্যে শরীয়তপুরের বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শরীয়তপুর’। আর ঠাকুরগাঁওয়ের বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম হবে ‘ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়’।

ভূমির কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া প্রতারণামূলকভাবে কর্তন করা বা কোনোভাবে দলিলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরিবর্তন করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩’–এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই আইনে অপরাধের সহযোগী হিসেবে ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা যাবে।
সোমবার (১৯ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘খসড়া আইনে ভূমির কতগুলো অপরাধকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেসব অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে, যাতে করে নাগরিকেরা নিজ-নিজ মালিকানাধীন ভূমির নিরবচ্ছিন্ন ভোগদখল প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করতে পারেন। ভূমিবিষয়ক প্রতারণা ও জালিয়াতির ক্ষেত্রগুলো সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং প্রতিরোধ, দমন ও প্রয়োজনে প্রতিকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারি এবং সর্বসাধারণের ব্যবহার্য ভূমি সম্পর্কিত অপরাধগুলো প্রতিরোধ ও দমনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভূমি সম্পর্কিত বিরোধ আদালতের বাইরে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার সুযোগ আইনে রাখা হয়েছে।’
নতুন আইনে শাস্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যের মালিকানাধীন ভূমি নিজের মালিকানাধীন হিসেবে প্রকাশ করা, কোনো ভূমি সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য গোপন করে তা অন্য ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর বা সমর্পণ, নিজ মালিকানাধীন ভূমির অতিরিক্ত ভূমি বা অন্যের মালিকানাধীন ভূমি জেনেশুনে অন্য ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর বা সমর্পণ, কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তি বলে ভান করে বা জ্ঞাতসারে এক ব্যক্তিকে অপর ব্যক্তিরূপে প্রতিস্থাপিত করে কিংবা কোনো ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে যে ব্যক্তি সেই ব্যক্তি থেকে ভিন্ন কোনো ব্যক্তি বলে পরিচয় দিয়ে সম্পত্তি হস্তান্তর বা সমর্পণ—এসব কাজ করলে সাত বছর কারাদণ্ড হতে পারে।’
জালিয়াতি সংক্রান্ত বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়েছে, মিথ্যা দলিল বা কোনো মিথ্যা দলিলের অংশবিশেষ প্রস্তুতকরণ, কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া অসাধু বা প্রতারণামূলকভাবে কর্তন করে বা অন্য কোনোভাবে তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরিবর্তন করা ইত্যাদি অপরাধে সর্বনিম্ন দুই বছর ও সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড হতে পারে। ভূমি অবৈধ দখল করলে দুই বছর, সরকারি স্বার্থযুক্ত এবং জনসাধারণের ব্যবহার্য ভূমি অবৈধভাবে ভরাট, শ্রেণি পরিবর্তন ইত্যাদি করলে দুই বছর কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান আইনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আইন প্রয়োগে বাধা দেওয়া বা এমন কর্মকাণ্ডে সহায়তা ও প্ররোচনা দিলে দুই বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
ভূমি সংক্রান্ত নানা অপরাধের ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা জড়িত থাকেন। এ বিষয়ে আইনে কিছু বলা আছে কি না-জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ওই জন্যই ওই অংশটুকু যোগ করা হয়েছে। যদি সহযোগী হিসেবে কাউকে পাওয়া যায় একই পরিমাণ শাস্তি তিনিও পাবেন। এখানে আলাদা করা হয়নি কাউকে। এখানে বলা হয়নি সরকারি কর্মকর্তা হলে তিনি শাস্তি পাবেন না। বলা হচ্ছে, এ কাজ যদি কারও সহযোগিতা নিয়ে করা হয় সেখানে যদি তাঁর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তাহলে তিনিও ওই একই অপরাধে দণ্ডিত হবেন একই মাত্রায়।’
ফসলি জমি থেকেও বালু তোলা যাবে না
বৈঠকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগে যেসব এলাকা থেকে মাটি বা বালু তোলা নিষিদ্ধ ছিল, তার মধ্যে ফসলি জমি অন্তভুক্ত ছিল না। এখন ফসলি জমিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে কোনো ফসলি জমি থেকেও মাটি ও বালু উত্তোলন করা যাবে না। নদী পথের নাব্যতা বিনষ্ট করতে পারে, এ রকম হুমকি থাকলে সেখান থেকেও বালু বা মাটি তোলা যাবে না। এ ছাড়া এখন অবৈধভাবে বালু বা মাটি তোলার যন্ত্র জব্দ করা যাবে। আর বালু পরিবহনের কারণে কোনো রাস্তা বা স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা পরিশোধ করবেন ইজাদারেরা। আর ইজারা কার্যক্রম অনলাইনে হবে।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা তদারকিতে আইন
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও ওষুধের ব্যাপারে তদারকি করতে ‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০২১ সালের ৩১ মে আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর আজকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমাদের একটি হোমিওপ্যাথি বোর্ড আছে, সেটি প্রতিস্থাপন করে একটা কাউন্সিল গঠন করা হবে। সেই কাউন্সিল পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এই কাউন্সিল হোমিওপ্যাথি সংক্রান্ত চিকিৎসাসেবা ও ওষুধের ব্যাপারে তদারকি করবে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ডিসিপ্লিনে আনার জন্য এই আইন করা হয়েছে। আদালত বলেছেন, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকেরা নামের আগে ‘ডাক্তার’লিখতে পারবেন না। এ বিষয়ে আইনে কিছু আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেটা কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয়
বৈঠকে লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২৩ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এটি হলে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে ৫৭টি। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত দেশে ১১৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভা শরীয়তপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে নতুন দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ জন্য দুটি আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। এর মধ্যে শরীয়তপুরের বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শরীয়তপুর’। আর ঠাকুরগাঁওয়ের বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম হবে ‘ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়’।

ভূমির কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া প্রতারণামূলকভাবে কর্তন করা বা কোনোভাবে দলিলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরিবর্তন করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩’–এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই আইনে অপরাধের সহযোগী হিসেবে ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা যাবে।
সোমবার (১৯ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘খসড়া আইনে ভূমির কতগুলো অপরাধকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেসব অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে, যাতে করে নাগরিকেরা নিজ-নিজ মালিকানাধীন ভূমির নিরবচ্ছিন্ন ভোগদখল প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করতে পারেন। ভূমিবিষয়ক প্রতারণা ও জালিয়াতির ক্ষেত্রগুলো সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং প্রতিরোধ, দমন ও প্রয়োজনে প্রতিকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারি এবং সর্বসাধারণের ব্যবহার্য ভূমি সম্পর্কিত অপরাধগুলো প্রতিরোধ ও দমনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভূমি সম্পর্কিত বিরোধ আদালতের বাইরে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার সুযোগ আইনে রাখা হয়েছে।’
নতুন আইনে শাস্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যের মালিকানাধীন ভূমি নিজের মালিকানাধীন হিসেবে প্রকাশ করা, কোনো ভূমি সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য গোপন করে তা অন্য ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর বা সমর্পণ, নিজ মালিকানাধীন ভূমির অতিরিক্ত ভূমি বা অন্যের মালিকানাধীন ভূমি জেনেশুনে অন্য ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর বা সমর্পণ, কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তি বলে ভান করে বা জ্ঞাতসারে এক ব্যক্তিকে অপর ব্যক্তিরূপে প্রতিস্থাপিত করে কিংবা কোনো ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে যে ব্যক্তি সেই ব্যক্তি থেকে ভিন্ন কোনো ব্যক্তি বলে পরিচয় দিয়ে সম্পত্তি হস্তান্তর বা সমর্পণ—এসব কাজ করলে সাত বছর কারাদণ্ড হতে পারে।’
জালিয়াতি সংক্রান্ত বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়েছে, মিথ্যা দলিল বা কোনো মিথ্যা দলিলের অংশবিশেষ প্রস্তুতকরণ, কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া অসাধু বা প্রতারণামূলকভাবে কর্তন করে বা অন্য কোনোভাবে তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরিবর্তন করা ইত্যাদি অপরাধে সর্বনিম্ন দুই বছর ও সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড হতে পারে। ভূমি অবৈধ দখল করলে দুই বছর, সরকারি স্বার্থযুক্ত এবং জনসাধারণের ব্যবহার্য ভূমি অবৈধভাবে ভরাট, শ্রেণি পরিবর্তন ইত্যাদি করলে দুই বছর কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান আইনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আইন প্রয়োগে বাধা দেওয়া বা এমন কর্মকাণ্ডে সহায়তা ও প্ররোচনা দিলে দুই বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
ভূমি সংক্রান্ত নানা অপরাধের ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা জড়িত থাকেন। এ বিষয়ে আইনে কিছু বলা আছে কি না-জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ওই জন্যই ওই অংশটুকু যোগ করা হয়েছে। যদি সহযোগী হিসেবে কাউকে পাওয়া যায় একই পরিমাণ শাস্তি তিনিও পাবেন। এখানে আলাদা করা হয়নি কাউকে। এখানে বলা হয়নি সরকারি কর্মকর্তা হলে তিনি শাস্তি পাবেন না। বলা হচ্ছে, এ কাজ যদি কারও সহযোগিতা নিয়ে করা হয় সেখানে যদি তাঁর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তাহলে তিনিও ওই একই অপরাধে দণ্ডিত হবেন একই মাত্রায়।’
ফসলি জমি থেকেও বালু তোলা যাবে না
বৈঠকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগে যেসব এলাকা থেকে মাটি বা বালু তোলা নিষিদ্ধ ছিল, তার মধ্যে ফসলি জমি অন্তভুক্ত ছিল না। এখন ফসলি জমিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে কোনো ফসলি জমি থেকেও মাটি ও বালু উত্তোলন করা যাবে না। নদী পথের নাব্যতা বিনষ্ট করতে পারে, এ রকম হুমকি থাকলে সেখান থেকেও বালু বা মাটি তোলা যাবে না। এ ছাড়া এখন অবৈধভাবে বালু বা মাটি তোলার যন্ত্র জব্দ করা যাবে। আর বালু পরিবহনের কারণে কোনো রাস্তা বা স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা পরিশোধ করবেন ইজাদারেরা। আর ইজারা কার্যক্রম অনলাইনে হবে।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা তদারকিতে আইন
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও ওষুধের ব্যাপারে তদারকি করতে ‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০২১ সালের ৩১ মে আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর আজকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমাদের একটি হোমিওপ্যাথি বোর্ড আছে, সেটি প্রতিস্থাপন করে একটা কাউন্সিল গঠন করা হবে। সেই কাউন্সিল পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এই কাউন্সিল হোমিওপ্যাথি সংক্রান্ত চিকিৎসাসেবা ও ওষুধের ব্যাপারে তদারকি করবে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ডিসিপ্লিনে আনার জন্য এই আইন করা হয়েছে। আদালত বলেছেন, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকেরা নামের আগে ‘ডাক্তার’লিখতে পারবেন না। এ বিষয়ে আইনে কিছু আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেটা কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয়
বৈঠকে লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২৩ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এটি হলে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে ৫৭টি। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত দেশে ১১৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভা শরীয়তপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে নতুন দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ জন্য দুটি আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। এর মধ্যে শরীয়তপুরের বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শরীয়তপুর’। আর ঠাকুরগাঁওয়ের বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম হবে ‘ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়’।

২০১১ সালে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের স্মরণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়কটি ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’ নামে নামকরণ করেছে। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে উক্ত সড়কের নামফলকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাটি স্মরণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচনের আগে ফিরে আসতেই পলাতকেরা এই চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, তারা চায় নির্বাচনের আগেই তাদের ফিরে আসা নিশ্চিত করতে। নানা ভঙ্গিতে
৩ ঘণ্টা আগে
ভোট দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গাড়ির চাকা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে এই চাকা কাউকে চুরি করতে না দেওয়ার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকারে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এমনটি বলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে হতে যাওয়া গণভোটে দেশবাসীকে হ্যাঁ বা না ভোটের মাধ্যমে সংস্কারের পক্ষে বা বিপক্ষে মতামত দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এই আহ্বান জানান।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০১১ সালে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের স্মরণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়কটি ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’ নামে নামকরণ করেছে। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে উক্ত সড়কের নামফলকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
সড়কের নামফলক উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের আঠারো কোটি মানুষ সীমান্ত হত্যা বন্ধ চায়। আমাদের বোন ফেলানী কাঁটাতারে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রাণ দিয়েছিল। তার ওপর সংঘটিত নিষ্ঠুরতা প্রতিদিন আমাদের মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যই এই সড়কের নামকরণ। একই সঙ্গে আমরা বিশ্বের বিবেকের কাছে তুলে ধরতে চাই যে, সীমান্ত হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ এখনও বাংলাদেশের সীমান্তে ঘটছে। এই কারণেই বর্তমান সরকার সব ধরনের সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে বিজয় দিবসে ফেলানীর নামে এই সড়কের উদ্বোধন করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে নিজেদের সম্মান বজায় রাখার প্রতীক ও প্রতিবাদ হিসেবেই ফেলানীর নামে এই সড়কের (গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়ক) নামকরণ করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিবেশী দেশসহ বিশ্বের যে কোনো দেশের সঙ্গে কথা বলার সময় আমরা আমাদের মানবিক মর্যাদা ও সম্মান বজায় রেখেই কথা বলবো। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সেই মানবিক মর্যাদার শিক্ষাই দেয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ‘ফেলানী হত্যাকাণ্ড নিছক একটি হত্যাকাণ্ড নয়; এটি একটি সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পূর্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জে. মঈন উদ্দীন, ডিএনসিসি সচিব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এস এম শফিকুর রহমানসহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

২০১১ সালে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের স্মরণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়কটি ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’ নামে নামকরণ করেছে। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে উক্ত সড়কের নামফলকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
সড়কের নামফলক উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের আঠারো কোটি মানুষ সীমান্ত হত্যা বন্ধ চায়। আমাদের বোন ফেলানী কাঁটাতারে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রাণ দিয়েছিল। তার ওপর সংঘটিত নিষ্ঠুরতা প্রতিদিন আমাদের মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যই এই সড়কের নামকরণ। একই সঙ্গে আমরা বিশ্বের বিবেকের কাছে তুলে ধরতে চাই যে, সীমান্ত হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ এখনও বাংলাদেশের সীমান্তে ঘটছে। এই কারণেই বর্তমান সরকার সব ধরনের সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে বিজয় দিবসে ফেলানীর নামে এই সড়কের উদ্বোধন করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে নিজেদের সম্মান বজায় রাখার প্রতীক ও প্রতিবাদ হিসেবেই ফেলানীর নামে এই সড়কের (গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়ক) নামকরণ করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিবেশী দেশসহ বিশ্বের যে কোনো দেশের সঙ্গে কথা বলার সময় আমরা আমাদের মানবিক মর্যাদা ও সম্মান বজায় রেখেই কথা বলবো। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সেই মানবিক মর্যাদার শিক্ষাই দেয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ‘ফেলানী হত্যাকাণ্ড নিছক একটি হত্যাকাণ্ড নয়; এটি একটি সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পূর্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জে. মঈন উদ্দীন, ডিএনসিসি সচিব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এস এম শফিকুর রহমানসহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

ভূমির কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া প্রতারণামূলকভাবে কর্তন করা বা কোনোভাবে দলিলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরিবর্তন করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩’–এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই আইনে অপরাধের সহযোগী হিসেবে ভূমি অফিসে
২০ জুন ২০২৩
মহান বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাটি স্মরণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচনের আগে ফিরে আসতেই পলাতকেরা এই চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, তারা চায় নির্বাচনের আগেই তাদের ফিরে আসা নিশ্চিত করতে। নানা ভঙ্গিতে
৩ ঘণ্টা আগে
ভোট দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গাড়ির চাকা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে এই চাকা কাউকে চুরি করতে না দেওয়ার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকারে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এমনটি বলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে হতে যাওয়া গণভোটে দেশবাসীকে হ্যাঁ বা না ভোটের মাধ্যমে সংস্কারের পক্ষে বা বিপক্ষে মতামত দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এই আহ্বান জানান।
৩ ঘণ্টা আগেজাতির উদ্দেশে ভাষণ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহান বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাটি স্মরণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচনের আগে ফিরে আসতেই পলাতকেরা এই চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, তারা চায় নির্বাচনের আগেই তাদের ফিরে আসা নিশ্চিত করতে। নানা ভঙ্গিতে এটা তারা করবে। এই চোরাগোপ্তা খুন করার উদ্যোগ তার একটা রূপ। আরও কঠিনতর পরিকল্পনা নিয়ে তাদের প্রস্তুতি আছে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় তিনি এ ভাষণ দেওয়া শুরু করেন।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের সামনে আজ উপস্থিত হয়েছি অত্যন্ত ব্যথিত হৃদয়ে। এই আনন্দের দিনে গভীর বেদনার সঙ্গে জানাচ্ছি, জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সম্প্রতি যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা শুধু একজন ব্যক্তির ওপর আঘাত নয়—এটি বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত, আমাদের গণতান্ত্রিক পথচলার ওপর আঘাত।
‘শরিফ ওসমান হাদি বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তাঁর চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। আপনারা তাঁর জন্য মহান আল্লাহ তাআলার কাছে অন্তরের অন্তস্থল থেকে দোয়া করুন।
‘সরকার এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা গেছে। আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই—যারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত, তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই—পরাজিত শক্তি ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের এই অপচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দেওয়া হবে। ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাস ঘটিয়ে বা রক্ত ঝরিয়ে এই দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।
‘আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাই—সংযম বজায় রাখুন। অপপ্রচার বা গুজবে কান দেবেন না। ফ্যাসিস্ট টেররিস্টরা, যারা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়, আমরা অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের মোকাবিলা করব। তাদের ফাঁদে পা দেব না। পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি এ দেশের পবিত্র মাটিতে আর কোনো দিন ফিরে আসবে না।’
পরাজিত শক্তির কাছে চোরাগোপ্তা খুনের চেয়ে আরও কঠিনতর পরিকল্পনা আছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের তরুণদের রক্ষা করুন। তাহলে আমরা সবাই এবং আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি রক্ষা পাবে। যারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তারা বুঝে গেছে, তরুণ যোদ্ধারা তাদের পুনরুত্থানের পক্ষে ভীষণ রকম বাধা। এই অস্ত্রহীন, ভীতিহীন, ব্যক্তিগত স্বার্থ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ উদাসীন দৈনন্দিন এই চেহারার ছেলেমেয়েদের নিয়ে তাদের সাংঘাতিক ভীতি। তাদের লক্ষ্য হলো, নির্বাচন আসার আগেই পথের এই বাধাগুলো সরিয়ে ফেলা—নিজেদের রাজত্ব আবার কায়েম করা। তাদের বন্ধুরা যত দিন তাদের সঙ্গে আছে, তত দিন তারা এই স্বপ্ন দেখবে। নির্বাচন হয়ে গেলে তাদের বন্ধুরা সমর্থন জোগাতে বেকায়দায় পড়বে। সেজন্যই তো এত তাড়াহুড়া। তারা চায় নির্বাচনের আগেই তাদের ফিরে আসা নিশ্চিত করতে। নানা ভঙ্গিতে এটা তারা করবে। এই চোরাগোপ্তা খুন করার উদ্যোগ তার একটা রূপ। আরও কঠিনতর পরিকল্পনা নিয়ে তাদের প্রস্তুতি আছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের সবাইকে জোর গলায় বলতে হবে—আমরা তরুণদের রক্ষা করব। এখানে পুরোনো আমলের দাসত্ব মেনে যারা আছে, তাদেরকে দাসত্ব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করে আমরা সবাই মিলে দেশের ওপর আমাদের পরিপূর্ণ দখল প্রতিষ্ঠিত করব। নির্বাচনের আর বাকি মাত্র দুই মাস। আমরা তাদের ওপর নজর রাখব এবং বাকি দিনের প্রতিটি দিন উৎসবমুখর করে রাখব। যেহেতু আমাদের কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের মনে কোনো ভয়ডর নেই, তাই তারা নির্বাচনের আগের দুই মাসের প্রতিটি মুহূর্তকে উৎসবমুখর করে রাখবে। সব রকমের হিংসা, কোন্দল থেকে দেশকে বাঁচিয়ে রাখবে।’

মহান বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাটি স্মরণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচনের আগে ফিরে আসতেই পলাতকেরা এই চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, তারা চায় নির্বাচনের আগেই তাদের ফিরে আসা নিশ্চিত করতে। নানা ভঙ্গিতে এটা তারা করবে। এই চোরাগোপ্তা খুন করার উদ্যোগ তার একটা রূপ। আরও কঠিনতর পরিকল্পনা নিয়ে তাদের প্রস্তুতি আছে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় তিনি এ ভাষণ দেওয়া শুরু করেন।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের সামনে আজ উপস্থিত হয়েছি অত্যন্ত ব্যথিত হৃদয়ে। এই আনন্দের দিনে গভীর বেদনার সঙ্গে জানাচ্ছি, জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সম্প্রতি যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা শুধু একজন ব্যক্তির ওপর আঘাত নয়—এটি বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত, আমাদের গণতান্ত্রিক পথচলার ওপর আঘাত।
‘শরিফ ওসমান হাদি বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তাঁর চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। আপনারা তাঁর জন্য মহান আল্লাহ তাআলার কাছে অন্তরের অন্তস্থল থেকে দোয়া করুন।
‘সরকার এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা গেছে। আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই—যারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত, তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই—পরাজিত শক্তি ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের এই অপচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দেওয়া হবে। ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাস ঘটিয়ে বা রক্ত ঝরিয়ে এই দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।
‘আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাই—সংযম বজায় রাখুন। অপপ্রচার বা গুজবে কান দেবেন না। ফ্যাসিস্ট টেররিস্টরা, যারা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়, আমরা অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের মোকাবিলা করব। তাদের ফাঁদে পা দেব না। পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি এ দেশের পবিত্র মাটিতে আর কোনো দিন ফিরে আসবে না।’
পরাজিত শক্তির কাছে চোরাগোপ্তা খুনের চেয়ে আরও কঠিনতর পরিকল্পনা আছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের তরুণদের রক্ষা করুন। তাহলে আমরা সবাই এবং আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি রক্ষা পাবে। যারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তারা বুঝে গেছে, তরুণ যোদ্ধারা তাদের পুনরুত্থানের পক্ষে ভীষণ রকম বাধা। এই অস্ত্রহীন, ভীতিহীন, ব্যক্তিগত স্বার্থ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ উদাসীন দৈনন্দিন এই চেহারার ছেলেমেয়েদের নিয়ে তাদের সাংঘাতিক ভীতি। তাদের লক্ষ্য হলো, নির্বাচন আসার আগেই পথের এই বাধাগুলো সরিয়ে ফেলা—নিজেদের রাজত্ব আবার কায়েম করা। তাদের বন্ধুরা যত দিন তাদের সঙ্গে আছে, তত দিন তারা এই স্বপ্ন দেখবে। নির্বাচন হয়ে গেলে তাদের বন্ধুরা সমর্থন জোগাতে বেকায়দায় পড়বে। সেজন্যই তো এত তাড়াহুড়া। তারা চায় নির্বাচনের আগেই তাদের ফিরে আসা নিশ্চিত করতে। নানা ভঙ্গিতে এটা তারা করবে। এই চোরাগোপ্তা খুন করার উদ্যোগ তার একটা রূপ। আরও কঠিনতর পরিকল্পনা নিয়ে তাদের প্রস্তুতি আছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের সবাইকে জোর গলায় বলতে হবে—আমরা তরুণদের রক্ষা করব। এখানে পুরোনো আমলের দাসত্ব মেনে যারা আছে, তাদেরকে দাসত্ব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করে আমরা সবাই মিলে দেশের ওপর আমাদের পরিপূর্ণ দখল প্রতিষ্ঠিত করব। নির্বাচনের আর বাকি মাত্র দুই মাস। আমরা তাদের ওপর নজর রাখব এবং বাকি দিনের প্রতিটি দিন উৎসবমুখর করে রাখব। যেহেতু আমাদের কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের মনে কোনো ভয়ডর নেই, তাই তারা নির্বাচনের আগের দুই মাসের প্রতিটি মুহূর্তকে উৎসবমুখর করে রাখবে। সব রকমের হিংসা, কোন্দল থেকে দেশকে বাঁচিয়ে রাখবে।’

ভূমির কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া প্রতারণামূলকভাবে কর্তন করা বা কোনোভাবে দলিলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরিবর্তন করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩’–এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই আইনে অপরাধের সহযোগী হিসেবে ভূমি অফিসে
২০ জুন ২০২৩
২০১১ সালে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের স্মরণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়কটি ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’ নামে নামকরণ করেছে। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে উক্ত সড়কের নামফলকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
ভোট দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গাড়ির চাকা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে এই চাকা কাউকে চুরি করতে না দেওয়ার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকারে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এমনটি বলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে হতে যাওয়া গণভোটে দেশবাসীকে হ্যাঁ বা না ভোটের মাধ্যমে সংস্কারের পক্ষে বা বিপক্ষে মতামত দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এই আহ্বান জানান।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভোট দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গাড়ির চাকা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে এই চাকা কাউকে চুরি করতে না দেওয়ার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকারে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এমনটি বলেন।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মনে রাখবেন, ভোট রক্ষা করা দেশ রক্ষা করার সমান দায়িত্ব। ভোট রক্ষা করুন। দেশকে রক্ষা করুন। ভোট দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গাড়ির চাকা। এই চাকা কাউকে চুরি করতে দেবেন না।
‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে প্রশাসনকে আরও কার্যকর, নিরপেক্ষ ও নির্বাচনী পরিবেশের উপযোগী করতে সরকার মাঠ প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনে বেশ কিছু রদবদল করেছে। এই পরিবর্তনগুলো কারও প্রতি অনুরাগ বা বিরাগ প্রসূত নয়। এগুলো করা হয়েছে দক্ষতা, যোগ্যতা এবং পেশাগত সক্ষমতার ভিত্তিতে।
‘আমাদের লক্ষ্য একটাই—দেশের প্রতিটি ভোটার যেন ভোট দিতে পারেন নিরাপদ পরিবেশে, ভয়মুক্ত মনে এবং সর্বোচ্চ স্বাধীনতায়। নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে আরও কোনো পদক্ষেপ প্রয়োজন—তা কমিশন অবশ্যই গ্রহণ করবে।’
প্রিয় দেশবাসী, ‘জুলাই সনদ জাতির ভবিষ্যৎ পথযাত্রায় একটি ঐতিহাসিক দলিল। এই সনদে আমরা যে সংস্কারমালা প্রস্তাব করেছি—রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, প্রশাসনিক জবাবদিহি, দুর্নীতি হ্রাস, অর্থনৈতিক পুনর্গঠন এবং সমাজে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা—এসব বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন জনগণের সুস্পষ্ট মতামত। কারণ, একটি জাতীয় রূপান্তর কখনোই একক নেতৃত্ব বা একটি প্রশাসনের মাধ্যমে টেকসই হয় না; জনগণকেই চূড়ান্ত সম্মতি দিতে হয়।
‘এই কারণেই আমরা গণভোটের আয়োজন করেছি—যাতে দেশের ভবিষ্যৎ সংস্কার দিশা নির্ধারণে জনগণ সরাসরি সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। এই গণভোট হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক। এখানে আপনাদের প্রতিটি ভোট আগামী দিনের রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করবে।
‘এবারের নির্বাচনটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, একই দিনে এবার দুটি ভোট। একটি সংসদ সদস্য নির্বাচনের ভোট। আরেকটি গণভোট—যার প্রভাব হবে শতবর্ষব্যাপী। কাজেই অবশ্যই ভোট দিন। ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন।
‘এর মাধ্যমে আপনারা জানান, আপনারা কি জুলাই সনদের সংস্কার কাঠামোকে এগিয়ে নিতে চান কি না। আপনাদের ভোটই নির্ধারণ করবে রাষ্ট্র কোন পথে অগ্রসর হবে, প্রশাসন কোন কাঠামোয় পুনর্গঠিত হবে এবং নতুন বাংলাদেশ কেমন রূপ পাবে।’
প্রিয় দেশবাসী, ‘আপনারা জানেন, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় আমাদের প্রবাসী ভাইবোনেরা কী তৎপরতার সঙ্গে এগিয়ে এসেছিলেন। ফ্যাসিবাদের মসনদ গুঁড়িয়ে দিতে তাঁরা অভূতপূর্ব ভূমিকা রেখেছেন। প্রবাসীদের এই ভূমিকা শুধু জুলাইয়েই নয়, আমরা দেখেছি ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ও। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, আমাদের এই প্রবাসী ভাইবোনেরা কখনোই ভোটাধিকার পাননি।
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সক্রিয় উদ্যোগের ফলে প্রথমবারের মতো লাখ লাখ প্রবাসী এবার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে যাচ্ছেন।
‘এর ফলে প্রবাসীরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরাও আনন্দিত। একই সঙ্গে অনেক প্রবাসী নানা জটিলতায় এই উদ্যোগে শামিল হতে না পেরে ব্যথিতও। আপনাদের আবেগের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা রেখে বলছি—এবারের যে ধারা শুরু হলো, তা ভবিষ্যতে থামবে না। আগামীতে আপনারাও এই প্রক্রিয়ায় শামিল হতে পারবেন।’

ভোট দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গাড়ির চাকা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে এই চাকা কাউকে চুরি করতে না দেওয়ার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকারে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এমনটি বলেন।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মনে রাখবেন, ভোট রক্ষা করা দেশ রক্ষা করার সমান দায়িত্ব। ভোট রক্ষা করুন। দেশকে রক্ষা করুন। ভোট দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গাড়ির চাকা। এই চাকা কাউকে চুরি করতে দেবেন না।
‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে প্রশাসনকে আরও কার্যকর, নিরপেক্ষ ও নির্বাচনী পরিবেশের উপযোগী করতে সরকার মাঠ প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনে বেশ কিছু রদবদল করেছে। এই পরিবর্তনগুলো কারও প্রতি অনুরাগ বা বিরাগ প্রসূত নয়। এগুলো করা হয়েছে দক্ষতা, যোগ্যতা এবং পেশাগত সক্ষমতার ভিত্তিতে।
‘আমাদের লক্ষ্য একটাই—দেশের প্রতিটি ভোটার যেন ভোট দিতে পারেন নিরাপদ পরিবেশে, ভয়মুক্ত মনে এবং সর্বোচ্চ স্বাধীনতায়। নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে আরও কোনো পদক্ষেপ প্রয়োজন—তা কমিশন অবশ্যই গ্রহণ করবে।’
প্রিয় দেশবাসী, ‘জুলাই সনদ জাতির ভবিষ্যৎ পথযাত্রায় একটি ঐতিহাসিক দলিল। এই সনদে আমরা যে সংস্কারমালা প্রস্তাব করেছি—রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, প্রশাসনিক জবাবদিহি, দুর্নীতি হ্রাস, অর্থনৈতিক পুনর্গঠন এবং সমাজে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা—এসব বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন জনগণের সুস্পষ্ট মতামত। কারণ, একটি জাতীয় রূপান্তর কখনোই একক নেতৃত্ব বা একটি প্রশাসনের মাধ্যমে টেকসই হয় না; জনগণকেই চূড়ান্ত সম্মতি দিতে হয়।
‘এই কারণেই আমরা গণভোটের আয়োজন করেছি—যাতে দেশের ভবিষ্যৎ সংস্কার দিশা নির্ধারণে জনগণ সরাসরি সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। এই গণভোট হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক। এখানে আপনাদের প্রতিটি ভোট আগামী দিনের রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করবে।
‘এবারের নির্বাচনটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, একই দিনে এবার দুটি ভোট। একটি সংসদ সদস্য নির্বাচনের ভোট। আরেকটি গণভোট—যার প্রভাব হবে শতবর্ষব্যাপী। কাজেই অবশ্যই ভোট দিন। ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন।
‘এর মাধ্যমে আপনারা জানান, আপনারা কি জুলাই সনদের সংস্কার কাঠামোকে এগিয়ে নিতে চান কি না। আপনাদের ভোটই নির্ধারণ করবে রাষ্ট্র কোন পথে অগ্রসর হবে, প্রশাসন কোন কাঠামোয় পুনর্গঠিত হবে এবং নতুন বাংলাদেশ কেমন রূপ পাবে।’
প্রিয় দেশবাসী, ‘আপনারা জানেন, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় আমাদের প্রবাসী ভাইবোনেরা কী তৎপরতার সঙ্গে এগিয়ে এসেছিলেন। ফ্যাসিবাদের মসনদ গুঁড়িয়ে দিতে তাঁরা অভূতপূর্ব ভূমিকা রেখেছেন। প্রবাসীদের এই ভূমিকা শুধু জুলাইয়েই নয়, আমরা দেখেছি ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ও। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, আমাদের এই প্রবাসী ভাইবোনেরা কখনোই ভোটাধিকার পাননি।
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সক্রিয় উদ্যোগের ফলে প্রথমবারের মতো লাখ লাখ প্রবাসী এবার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে যাচ্ছেন।
‘এর ফলে প্রবাসীরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরাও আনন্দিত। একই সঙ্গে অনেক প্রবাসী নানা জটিলতায় এই উদ্যোগে শামিল হতে না পেরে ব্যথিতও। আপনাদের আবেগের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা রেখে বলছি—এবারের যে ধারা শুরু হলো, তা ভবিষ্যতে থামবে না। আগামীতে আপনারাও এই প্রক্রিয়ায় শামিল হতে পারবেন।’

ভূমির কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া প্রতারণামূলকভাবে কর্তন করা বা কোনোভাবে দলিলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরিবর্তন করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩’–এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই আইনে অপরাধের সহযোগী হিসেবে ভূমি অফিসে
২০ জুন ২০২৩
২০১১ সালে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের স্মরণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়কটি ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’ নামে নামকরণ করেছে। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে উক্ত সড়কের নামফলকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাটি স্মরণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচনের আগে ফিরে আসতেই পলাতকেরা এই চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, তারা চায় নির্বাচনের আগেই তাদের ফিরে আসা নিশ্চিত করতে। নানা ভঙ্গিতে
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে হতে যাওয়া গণভোটে দেশবাসীকে হ্যাঁ বা না ভোটের মাধ্যমে সংস্কারের পক্ষে বা বিপক্ষে মতামত দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এই আহ্বান জানান।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে হতে যাওয়া গণভোটে দেশবাসীকে হ্যাঁ বা না ভোটের মাধ্যমে সংস্কারের পক্ষে বা বিপক্ষে মতামত দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এই আহ্বান জানান।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রিয় দেশবাসী, ইতিমধ্যে বেশ কিছু প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত সংস্কার সম্পন্ন করা হয়েছে। কয়েক ডজন পুরোনো আইন সংশোধন করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সংস্কারের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ। মৌলিক সাংবিধানিক সংস্কার নিশ্চিত করার জন্য এটি আদেশ আকারে জারি হয়েছে।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে এখন নাগরিকদের অনুমোদন নেওয়ার পালা। তাই আগামী নির্বাচনে আপনাদের সিদ্ধান্ত অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ। গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথরেখা এখান থেকেই সূচিত হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনের সময় একই সঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই গণভোটে আপনারা হ্যাঁ/না ভোটের মাধ্যমে সংস্কারের পক্ষে বা বিপক্ষে মতামত দিন।
নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
প্রিয় দেশবাসী, এবারের নির্বাচন ও গণভোট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথরেখা নির্ধারণের এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমরা কোন ধরনের রাষ্ট্র প্রত্যাশা করি, তা নির্ভর করবে গণভোটের ফলাফলের ওপর। এই ভোটের মাধ্যমে ঠিক হবে নতুন বাংলাদেশের চরিত্র, কাঠামো ও অগ্রযাত্রার গতিপথ।
আমরা চাই এই নির্বাচন হোক সত্যিকার অর্থে উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ এবং সর্বোপরি সুষ্ঠু। নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা, প্রশাসনিক প্রস্তুতি, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং পর্যবেক্ষণের প্রতিটি ধাপকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
একটি বিষয় বারবার মনে করিয়ে দিতে চাই—নতুন বাংলাদেশ গঠনের দায়িত্ব আমাদের সবার। আপনাদের মূল্যবান ভোটই আমাদের রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। তাই ভোটকে শুধুই কাগজে একটি সিল মারার আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে দেখবেন না; বরং এটি হবে নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে আপনার সক্রিয় অংশগ্রহণ, গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা এবং দেশকে এগিয়ে নিতে সরাসরি অবদান। দেশের মালিকানা আপনাদের হাতে, আর সে মালিকানারই স্বাক্ষর আপনার ভোট।
এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও পবিত্রতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা অপরিসীম। আমি দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি উন্মুক্ত আহ্বান জানাচ্ছি—আপনারা একে অপরকে প্রতিযোগী হিসেবে দেখবেন, কখনো শত্রু হিসেবে দেখবেন না। নির্বাচনের মাঠে এমন একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করুন, যাতে দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন।
যারা ভোট বাক্স ডাকাতি করবে তারা দেশের মানুষের স্বাধীনতা হরণকারী। তারা নাগরিকদের দুশমন। তাদের থেকে নাগরিকদের রক্ষা করা আমাদের সবার অবশ্য কর্তব্য। ভোট জনগণের ভবিষ্যৎ রচনার অক্ষর।
ভোট বাক্সে ভোট জমা দিতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ আর রচনা করা যাবে না। আপনার ভোট আপনি সযত্নে ভোট বাক্সে দিয়ে আসুন। কেউ বাধা সৃষ্টি করলে তাকে সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিহত করুন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নিন।
ভোটের ওপর নির্ভর করছে আপনার-আমার সবার ভবিষ্যৎ। আপনার-আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ। যোগ্য লোককে ভোট দিন। জাতির ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে হতে যাওয়া গণভোটে দেশবাসীকে হ্যাঁ বা না ভোটের মাধ্যমে সংস্কারের পক্ষে বা বিপক্ষে মতামত দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এই আহ্বান জানান।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রিয় দেশবাসী, ইতিমধ্যে বেশ কিছু প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত সংস্কার সম্পন্ন করা হয়েছে। কয়েক ডজন পুরোনো আইন সংশোধন করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সংস্কারের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ। মৌলিক সাংবিধানিক সংস্কার নিশ্চিত করার জন্য এটি আদেশ আকারে জারি হয়েছে।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে এখন নাগরিকদের অনুমোদন নেওয়ার পালা। তাই আগামী নির্বাচনে আপনাদের সিদ্ধান্ত অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ। গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথরেখা এখান থেকেই সূচিত হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনের সময় একই সঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই গণভোটে আপনারা হ্যাঁ/না ভোটের মাধ্যমে সংস্কারের পক্ষে বা বিপক্ষে মতামত দিন।
নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
প্রিয় দেশবাসী, এবারের নির্বাচন ও গণভোট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথরেখা নির্ধারণের এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমরা কোন ধরনের রাষ্ট্র প্রত্যাশা করি, তা নির্ভর করবে গণভোটের ফলাফলের ওপর। এই ভোটের মাধ্যমে ঠিক হবে নতুন বাংলাদেশের চরিত্র, কাঠামো ও অগ্রযাত্রার গতিপথ।
আমরা চাই এই নির্বাচন হোক সত্যিকার অর্থে উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ এবং সর্বোপরি সুষ্ঠু। নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা, প্রশাসনিক প্রস্তুতি, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং পর্যবেক্ষণের প্রতিটি ধাপকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
একটি বিষয় বারবার মনে করিয়ে দিতে চাই—নতুন বাংলাদেশ গঠনের দায়িত্ব আমাদের সবার। আপনাদের মূল্যবান ভোটই আমাদের রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। তাই ভোটকে শুধুই কাগজে একটি সিল মারার আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে দেখবেন না; বরং এটি হবে নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে আপনার সক্রিয় অংশগ্রহণ, গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা এবং দেশকে এগিয়ে নিতে সরাসরি অবদান। দেশের মালিকানা আপনাদের হাতে, আর সে মালিকানারই স্বাক্ষর আপনার ভোট।
এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও পবিত্রতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা অপরিসীম। আমি দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি উন্মুক্ত আহ্বান জানাচ্ছি—আপনারা একে অপরকে প্রতিযোগী হিসেবে দেখবেন, কখনো শত্রু হিসেবে দেখবেন না। নির্বাচনের মাঠে এমন একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করুন, যাতে দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন।
যারা ভোট বাক্স ডাকাতি করবে তারা দেশের মানুষের স্বাধীনতা হরণকারী। তারা নাগরিকদের দুশমন। তাদের থেকে নাগরিকদের রক্ষা করা আমাদের সবার অবশ্য কর্তব্য। ভোট জনগণের ভবিষ্যৎ রচনার অক্ষর।
ভোট বাক্সে ভোট জমা দিতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ আর রচনা করা যাবে না। আপনার ভোট আপনি সযত্নে ভোট বাক্সে দিয়ে আসুন। কেউ বাধা সৃষ্টি করলে তাকে সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিহত করুন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নিন।
ভোটের ওপর নির্ভর করছে আপনার-আমার সবার ভবিষ্যৎ। আপনার-আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ। যোগ্য লোককে ভোট দিন। জাতির ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন।

ভূমির কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া প্রতারণামূলকভাবে কর্তন করা বা কোনোভাবে দলিলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরিবর্তন করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩’–এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই আইনে অপরাধের সহযোগী হিসেবে ভূমি অফিসে
২০ জুন ২০২৩
২০১১ সালে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের স্মরণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়কটি ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’ নামে নামকরণ করেছে। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে উক্ত সড়কের নামফলকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাটি স্মরণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচনের আগে ফিরে আসতেই পলাতকেরা এই চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, তারা চায় নির্বাচনের আগেই তাদের ফিরে আসা নিশ্চিত করতে। নানা ভঙ্গিতে
৩ ঘণ্টা আগে
ভোট দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গাড়ির চাকা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে এই চাকা কাউকে চুরি করতে না দেওয়ার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকারে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এমনটি বলেন।
৩ ঘণ্টা আগে