Ajker Patrika

বিদেশে ২ হাজার ৩২৫ কোটি টাকার ব্যবসা থাকলেও তথ্য দেননি এক মন্ত্রী: টিআইবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০: ২২
বিদেশে ২ হাজার ৩২৫ কোটি টাকার ব্যবসা থাকলেও তথ্য দেননি এক মন্ত্রী: টিআইবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ প্রার্থীই ব্যবসায়ী। এর মধ্যে বিদেশে এক মন্ত্রীর ২ হাজার ৩২৫ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। ওই মন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীর নামে সেখানে ছয়টি রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই মন্ত্রী হলফনামায় সে তথ্য উল্লেখ করেননি।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কার্যালয়ে আয়োজিত ‘নির্বাচনী হলফনামার তথ্যচিত্র: জনগণকে কী বার্তা দিচ্ছে’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

টিআইবির তথ্য অনুযায়ী, বিগত ১৫ বছরের ব্যবধানে ব্যবসায়ী প্রার্থীদের অংশগ্রহণের হার বেড়েছে ২১ শতাংশ। আইন ও কৃষিকাজকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন যথাক্রমে ৯ এবং ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ প্রার্থী। এরপরেই রয়েছেন চাকরিজীবী ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ, শিক্ষক ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। রাজনীতিকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন মাত্র ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রার্থী।

শুধু ব্যবসায়ী প্রার্থী নয়, বেড়েছে বছরে ১ কোটি টাকা আয় করেন এমন প্রার্থীর সংখ্যাও। এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ১৬৪ প্রার্থী বছরে কোটি টাকা আয় করেন। কোটি টাকার কম আয় করেন এমন প্রার্থীর সংখ্যা ৬৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।

এবার প্রায় ২৭ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি (অস্থাবর সম্পদ মূল্যের ভিত্তিতে)। এবার নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি কোটিপতি প্রার্থী রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে। দলটির ৮৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ প্রার্থীই কোটিপতি। যেখানে একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোটিপতি প্রার্থীর অনুপাত ছিল ৮৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মোট ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থীর মধ্যে কোটিপতি রয়েছেন ৫৭১ জন।

হলফনামার তথ্য অনুসারে, এবার নির্বাচনে ১৮ জন প্রার্থীর শত কোটির ওপরে টাকার সম্পদ রয়েছে। এই তালিকায় শীর্ষ পাঁচে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ–১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া–১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এ কে একরামুজ্জামান, ঢাকা–১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালমান ফজলুর রহমান, কুমিল্লা–৮ আসনের আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন ও কুমিল্লা–৩ আসনের ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন।

পাঁচ বছরের ব্যবধানে আয় বেড়েছে এমন শীর্ষ পাঁচ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে রয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান, শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি।

এবারের নির্বাচনে অংশ নেওয়া অনেক প্রার্থীর দায়দেনা ও ঋণ রয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক ঋণ রয়েছে ১১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা এবং ব্যক্তিগত ও অন্যান্য ঋণ রয়েছে ৪ হাজার ২১৪ কোটি টাকা।

নির্বাচনী হলফনামার বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া আয় ও সম্পদ এবং ঋণ ও দায় বিবরণী কতটা সঠিক এবং আয় ও সম্পদ কতটা বৈধ উপায়ে অর্জিত তা যাচাই করা হয়নি। আবার সম্পদের অর্জনকালীন যে মূল্য হলফনামায় দেখানো হয়েছে তা নিয়েও বড় রকমের প্রশ্ন রয়েছে। এ ছাড়া প্রার্থীরা নিজেদের অর্জিত সম্পদ কতটা দেখিয়েছেন? পুরোটা দেখিয়েছেন কি না? কিংবা দেশে বা বিদেশে সম্পদ ধারণের তথ্য গোপন করেছেন কি না তা নিয়েও প্রশ্ন করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।’

ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘টিআইবির প্রাপ্ত নির্ভরযোগ্য তথ্য অনুযায়ী, সরকারের মন্ত্রিসভার অন্তত একজন সদস্যের নিজ নামে বিদেশে একাধিক কোম্পানি থাকার প্রমাণ রয়েছে, যার প্রতিফলন হলফনামায় নেই। মন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীর মালিকানাধীন ছয়টি কোম্পানি এখনো বিদেশে সক্রিয়ভাবে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা পরিচালনা করছে। যেসব কোম্পানির মোট সম্পদ মূল্য প্রায় ১৬ দশমিক ৬৪ কোটি পাউন্ড বা ২ হাজার ৩২৫ কোটি টাকার বেশি। ওই মন্ত্রী তাঁর হলফনামায় বিদেশে থাকা সম্পদের ব্যাপারে তথ্য দেননি।’

এ সময় টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলেন, ‘আমরা আসলে দুইটা সমাজ তৈরি করছি। যার মধ্যে একটা সমাজ অনেক সম্পদশালী, আরেকটা সমাজ দিন এনে দিন খায় অবস্থার মধ্যে আছে। অনেক সময় সেটাও জুটছে না। এ রকম একটা পরিস্থিতি দেশে বিরাজ করছে। মন্ত্রী-এমপিদের যে হারে সম্পদ বাড়ছে সেটা দেখে অনেক সময় নিজের কাছেই অবাস্তব মনে হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এখন সম্পদের বৈষম্য থাকাটাই নিউ–নরমাল হয়ে গেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া প্রার্থীদের হলফনামার চিত্র তুলে ধরেন গবেষণা দলের প্রধান মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, দ্বাদশ নির্বাচনে ১ হাজার ৮৯৬ জন অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ১৮ শতাংশ। যার সংখ্যা ৩৪৭ জন। আর দলীয় প্রার্থী ৮২ শতাংশ। বিগত চার নির্বাচনের তুলনায় এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। নবম সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল ১৪০ জন, দশমে ১০৫ জন, একাদশে ১৩৪ জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নোয়াবের শোক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নোয়াবের শোক

দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এ. কে. আজাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর সংগ্রাম সকল গোষ্ঠী ও মতের ঊর্ধ্বে। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও দলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আবারও বাড়ল পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় আবারও বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানায়, পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়সীমা শেষবারের মতো বাড়িয়ে ৫ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইসি জানায়, আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ১০ লাখ ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে।

এর আগে, ২৪ ডিসেম্বর ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছিলেন, পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল, তা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর এক দিন আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। তিনি যে তিনটি আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন, সেগুলোতে নতুন করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

গতকাল সোমবার ছিল নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার পক্ষে বগুড়া–৭, দিনাজপুর–৩ ও ফেনী–১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এই তিন আসনেই বিএনপির পক্ষ থেকে একজন করে ‘বিকল্প প্রার্থী’ রাখা হয়েছে, যাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা জিয়া শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর এই প্রয়াণের পর প্রশ্ন উঠেছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী ওই তিন আসনে নতুন করে নির্বাচনের সময়সূচি বা তফসিল ঘোষণা করতে হবে কি না।

জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা আছে, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি এমন কোনো ‘বৈধভাবে মনোনীত’ প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট আসনে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হয়। তবে বর্তমান ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন বলে মনে করছে ইসি।

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবদুর রহমানেল মাছউদ গণমাধ্যমকে জানান, মনোনয়নপত্র জমা দিলেই কেউ বৈধ প্রার্থী হয়ে যান না। বাছাইপ্রক্রিয়ায় টিকে যাওয়ার পর চূড়ান্তভাবে প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃত হন। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে, ফলে আইনিভাবে তিনি এখনো ‘বৈধ প্রার্থী’ হিসেবে বিবেচিত হননি। তাঁর মৃত্যুর কারণে সংশ্লিষ্ট তিন আসনে মনোনয়নপত্রটি স্থগিত থাকবে।

ইসি কমিশনার আরও উল্লেখ করেন, যেহেতু ওই তিনটি আসনেই বিএনপির বিকল্প প্রার্থী রয়েছে, তাই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। প্রতীক বরাদ্দের আগে দল থেকে যাঁর নামে চিঠি দেওয়া হবে, তিনিই দলীয় প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হবেন।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনী তফসিলে কোনো পরিবর্তন আনার সুযোগ বা প্রয়োজন নেই। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ওই আসনগুলোতে বাছাই ও ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির বিকল্প প্রার্থীরাই এখন ওই আসনগুলোতে দলের হাল ধরবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে শেখ হাসিনার দায় আছে: আসিফ নজরুল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৬
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা প্রহসনমূলক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ব্যক্তিগতভাবে তিনি করেন, খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের দায় রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আইন উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘উনাকে একটা প্রহসনমূলক রায়ে জেলখানায় পাঠিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়াকে যে মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, এটা যে প্রহসনের একটা রায় ছিল, এটা যে একটা সম্পূর্ণ সাজানো রায় ছিল, এটা আমাদের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল ও রিভিউয়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিলেট ডিভিশনের রায়ের মধ্যে বারবার বলা হয়েছে যে, বেগম জিয়াকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ রংলি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জিঘাংসাপ্রসূতভাবে উনাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।’

আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘উনাকে জেলখানায় বিভিন্ন সময় যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল, উনাকে আমরা হয়তো এত তাড়াতাড়ি হারাতাম না, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বেগম জিয়ার এই মৃত্যুর পেছনে ফ্যাসিস্ট যে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা এবং উনার যে সরকার আছে, অবশ্যই তাঁর দায় রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত