মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে বিভিন্ন মহল পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থা কার্যকর করার দাবি জানালেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তা অনিশ্চিত। কারণ, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনেরই কয়েকজন সদস্য এতে আস্থা পাচ্ছেন না। ফলে শুরুতে পোস্টাল ব্যালট কার্যকরে কমিশনের আগ্রহ থাকলেও এখন ভাটা পড়েছে।
সংস্কার কমিশনের পোস্টাল ব্যালট কার্যকর নিয়ে সংশয়ে থাকা সদস্যদের আশঙ্কা, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মতো পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থাও নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে পারে। পোস্টাল ব্যালট কার্যকর না হলে বিভিন্ন দেশে থাকা প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী ভোটারের পাশাপাশি নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা, কারাবন্দী এবং জীবিকার কারণে নিজ নির্বাচনী এলাকার বাইরে অবস্থান করা ভোটাররা আগামী নির্বাচনেও ভোট দিতে পারবেন না। সংস্কার কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের বিষয়ে অনলাইনে বৈঠকে অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের আবেদন আহ্বান করে তেমন সাড়া পায়নি কমিশন।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, পোস্টাল ব্যালট কার্যকরের বিষয়টি নিয়ে তাঁরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
কমিশনের একটি সূত্র জানায়, পোস্টাল ব্যালট কীভাবে কার্যকর করা যায়, সে বিষয়ে কমিশন সুপারিশ করতে পারে।
প্রবাসীদের ভোটের অধিকার নিশ্চিতে বিভিন্ন সময়ে পোস্টাল ব্যালট কার্যকরের দাবি ওঠে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কাছেও বিভিন্ন মহল প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারও এ বিষয়ে তাদের সদিচ্ছার কথা জানিয়েছে। ৩ অক্টোবর সরকার গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও শুরুতে পোস্টাল ব্যালট কার্যকরের বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বিভিন্ন জটিলতার কারণে সেই আগ্রহে ক্রমেই ভাটা পড়েছে।
সংস্কার কমিশনের সূত্র বলেছে, পোস্টাল ব্যালট কার্যকর করতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সব মহলের আস্থা। কিন্তু এই আস্থা অর্জন নিয়েই সবচেয়ে বেশি জটিলতা তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, ইভিএমে ভোটে যেখানে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের আস্থা কম, সেখানে পোস্টাল ব্যালট বা ই-ভোটিংয়ে মানুষের আস্থা কতটুকু পাওয়া যাবে, তা নিয়ে কমিশনের সদস্যদের মধ্যেই সংশয় রয়েছে। তাঁরা মনে করছেন, ভরসা কম থাকায় পোস্টাল ব্যালট কার্যকর করতে গেলে নির্বাচনই বিতর্কিত হওয়ার শঙ্কা থাকবে।
বিদ্যমান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, বাংলাদেশি ভোটাররা দুভাবে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। একটি হচ্ছে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে সরাসরি ভোট দেওয়া, অন্যটি পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়া। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ১৫ দিনের মধ্যে ভোটারকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ব্যালট পেপারের জন্য আবেদন করতে হয়। প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর ডাকঘরের মাধ্যমে ব্যালট পেপার আবেদনকারী ভোটারের কাছে পৌঁছানো হয়। তিনি ভোট দিয়ে সিলগালা করে ব্যালট ডাকঘরের মাধ্যমে ৎনির্বাচনের দিন ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠান। এই প্রক্রিয়া বেশ সময়সাপেক্ষ বলে তা কার্যকর নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, জটিলতার কারণে পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থার বিকল্প বা এর পাশাপাশি কী ব্যবস্থা চালু করা যায়, তা নিয়ে কিছুটা ভেবেছিল কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। ওই কমিশন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০১৪ সালের শেষ দিকে অনলাইনে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করার কথা ভেবেছিল, যাতে সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভোট দিতে পারেন। তবে ওই ভাবনা পরে আর আলোর মুখ দেখেনি।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিদেশেই প্রবাসীদের ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা চেয়ে তৎকালীন আইনমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। এর অনুলিপি তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছেও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এটি বাস্তবায়ন হয়নি।
জানা গেছে, কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থা সংস্কার ও কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছিল। তাঁরা পোস্টাল ব্যালটের ব্যালট অনলাইনে দিতে আরপিও ও বিধি সংশোধনের কাজেও হাত দিয়েছিলেন। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, নাগরিকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় প্রতীক বরাদ্দের পর অনলাইনে একটি নির্দিষ্ট নম্বর দিয়ে একজনের জন্য একটি ব্যালট পেপার দেওয়া হবে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট ভোটার একবারই ওই ব্যালট ডাউনলোডের পর প্রিন্ট করে পছন্দের প্রতীকে টিক চিহ্ন দিতে পারবেন। পরে সেটি ডাকঘরের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন। কিন্তু নূরুল হুদা কমিশনের পর দায়িত্বে আসা সদ্য বিদায়ী কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন এ উদ্যোগের বিষয়ে অগ্রসর হয়নি।
সূত্র বলেছে, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের বিষয়ে মতামত দিতে অনলাইন সভায় অংশ নিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি ১৪ নভেম্বর সংস্কার কমিশনের ফেসবুক পেজে আহ্বান জানানো হয়। ২০ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়। এতে তেমন সাড়া না পেয়ে ২১ নভেম্বর আবারও একই আহ্বান করা হয়। প্রবাসীদের তেমন সাড়া না পাওয়ায় অনলাইন সভাটি এখনো হয়নি।
পোস্টাল ব্যালট বাস্তবায়নের বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং (ই-ভোটিং) ও ব্লকচেইন বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ সাদেক ফেরদৌস। প্রবাসীদের সঙ্গে অনলাইন বৈঠকের বিষয়ে ৯ ডিসেম্বর তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, সভায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে থাকা ৯০ জনের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি নিবন্ধন করেছেন। প্রতিটি দেশ থেকে এক বা দুজনকে বৈঠকে বক্তব্য দিতে সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা থাকবে।
বর্তমানে সাদেক ফেরদৌস বিদেশে থাকায় ওই সভার বিষয়ে তাঁর কাছ থেকে সর্বশেষ তথ্য জানা যায়নি। তিনি জানুয়ারিতে দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে বিভিন্ন মহল পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থা কার্যকর করার দাবি জানালেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তা অনিশ্চিত। কারণ, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনেরই কয়েকজন সদস্য এতে আস্থা পাচ্ছেন না। ফলে শুরুতে পোস্টাল ব্যালট কার্যকরে কমিশনের আগ্রহ থাকলেও এখন ভাটা পড়েছে।
সংস্কার কমিশনের পোস্টাল ব্যালট কার্যকর নিয়ে সংশয়ে থাকা সদস্যদের আশঙ্কা, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মতো পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থাও নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে পারে। পোস্টাল ব্যালট কার্যকর না হলে বিভিন্ন দেশে থাকা প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী ভোটারের পাশাপাশি নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা, কারাবন্দী এবং জীবিকার কারণে নিজ নির্বাচনী এলাকার বাইরে অবস্থান করা ভোটাররা আগামী নির্বাচনেও ভোট দিতে পারবেন না। সংস্কার কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের বিষয়ে অনলাইনে বৈঠকে অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের আবেদন আহ্বান করে তেমন সাড়া পায়নি কমিশন।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, পোস্টাল ব্যালট কার্যকরের বিষয়টি নিয়ে তাঁরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
কমিশনের একটি সূত্র জানায়, পোস্টাল ব্যালট কীভাবে কার্যকর করা যায়, সে বিষয়ে কমিশন সুপারিশ করতে পারে।
প্রবাসীদের ভোটের অধিকার নিশ্চিতে বিভিন্ন সময়ে পোস্টাল ব্যালট কার্যকরের দাবি ওঠে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কাছেও বিভিন্ন মহল প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারও এ বিষয়ে তাদের সদিচ্ছার কথা জানিয়েছে। ৩ অক্টোবর সরকার গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও শুরুতে পোস্টাল ব্যালট কার্যকরের বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বিভিন্ন জটিলতার কারণে সেই আগ্রহে ক্রমেই ভাটা পড়েছে।
সংস্কার কমিশনের সূত্র বলেছে, পোস্টাল ব্যালট কার্যকর করতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সব মহলের আস্থা। কিন্তু এই আস্থা অর্জন নিয়েই সবচেয়ে বেশি জটিলতা তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, ইভিএমে ভোটে যেখানে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের আস্থা কম, সেখানে পোস্টাল ব্যালট বা ই-ভোটিংয়ে মানুষের আস্থা কতটুকু পাওয়া যাবে, তা নিয়ে কমিশনের সদস্যদের মধ্যেই সংশয় রয়েছে। তাঁরা মনে করছেন, ভরসা কম থাকায় পোস্টাল ব্যালট কার্যকর করতে গেলে নির্বাচনই বিতর্কিত হওয়ার শঙ্কা থাকবে।
বিদ্যমান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, বাংলাদেশি ভোটাররা দুভাবে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। একটি হচ্ছে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে সরাসরি ভোট দেওয়া, অন্যটি পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়া। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ১৫ দিনের মধ্যে ভোটারকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ব্যালট পেপারের জন্য আবেদন করতে হয়। প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর ডাকঘরের মাধ্যমে ব্যালট পেপার আবেদনকারী ভোটারের কাছে পৌঁছানো হয়। তিনি ভোট দিয়ে সিলগালা করে ব্যালট ডাকঘরের মাধ্যমে ৎনির্বাচনের দিন ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠান। এই প্রক্রিয়া বেশ সময়সাপেক্ষ বলে তা কার্যকর নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, জটিলতার কারণে পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থার বিকল্প বা এর পাশাপাশি কী ব্যবস্থা চালু করা যায়, তা নিয়ে কিছুটা ভেবেছিল কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। ওই কমিশন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০১৪ সালের শেষ দিকে অনলাইনে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করার কথা ভেবেছিল, যাতে সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভোট দিতে পারেন। তবে ওই ভাবনা পরে আর আলোর মুখ দেখেনি।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিদেশেই প্রবাসীদের ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা চেয়ে তৎকালীন আইনমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। এর অনুলিপি তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছেও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এটি বাস্তবায়ন হয়নি।
জানা গেছে, কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থা সংস্কার ও কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছিল। তাঁরা পোস্টাল ব্যালটের ব্যালট অনলাইনে দিতে আরপিও ও বিধি সংশোধনের কাজেও হাত দিয়েছিলেন। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, নাগরিকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় প্রতীক বরাদ্দের পর অনলাইনে একটি নির্দিষ্ট নম্বর দিয়ে একজনের জন্য একটি ব্যালট পেপার দেওয়া হবে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট ভোটার একবারই ওই ব্যালট ডাউনলোডের পর প্রিন্ট করে পছন্দের প্রতীকে টিক চিহ্ন দিতে পারবেন। পরে সেটি ডাকঘরের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন। কিন্তু নূরুল হুদা কমিশনের পর দায়িত্বে আসা সদ্য বিদায়ী কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন এ উদ্যোগের বিষয়ে অগ্রসর হয়নি।
সূত্র বলেছে, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের বিষয়ে মতামত দিতে অনলাইন সভায় অংশ নিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি ১৪ নভেম্বর সংস্কার কমিশনের ফেসবুক পেজে আহ্বান জানানো হয়। ২০ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়। এতে তেমন সাড়া না পেয়ে ২১ নভেম্বর আবারও একই আহ্বান করা হয়। প্রবাসীদের তেমন সাড়া না পাওয়ায় অনলাইন সভাটি এখনো হয়নি।
পোস্টাল ব্যালট বাস্তবায়নের বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং (ই-ভোটিং) ও ব্লকচেইন বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ সাদেক ফেরদৌস। প্রবাসীদের সঙ্গে অনলাইন বৈঠকের বিষয়ে ৯ ডিসেম্বর তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, সভায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে থাকা ৯০ জনের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি নিবন্ধন করেছেন। প্রতিটি দেশ থেকে এক বা দুজনকে বৈঠকে বক্তব্য দিতে সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা থাকবে।
বর্তমানে সাদেক ফেরদৌস বিদেশে থাকায় ওই সভার বিষয়ে তাঁর কাছ থেকে সর্বশেষ তথ্য জানা যায়নি। তিনি জানুয়ারিতে দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।
মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে বিভিন্ন মহল পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থা কার্যকর করার দাবি জানালেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তা অনিশ্চিত। কারণ, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনেরই কয়েকজন সদস্য এতে আস্থা পাচ্ছেন না। ফলে শুরুতে পোস্টাল ব্যালট কার্যকরে কমিশনের আগ্রহ থাকলেও এখন ভাটা পড়েছে।
সংস্কার কমিশনের পোস্টাল ব্যালট কার্যকর নিয়ে সংশয়ে থাকা সদস্যদের আশঙ্কা, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মতো পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থাও নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে পারে। পোস্টাল ব্যালট কার্যকর না হলে বিভিন্ন দেশে থাকা প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী ভোটারের পাশাপাশি নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা, কারাবন্দী এবং জীবিকার কারণে নিজ নির্বাচনী এলাকার বাইরে অবস্থান করা ভোটাররা আগামী নির্বাচনেও ভোট দিতে পারবেন না। সংস্কার কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের বিষয়ে অনলাইনে বৈঠকে অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের আবেদন আহ্বান করে তেমন সাড়া পায়নি কমিশন।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, পোস্টাল ব্যালট কার্যকরের বিষয়টি নিয়ে তাঁরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
কমিশনের একটি সূত্র জানায়, পোস্টাল ব্যালট কীভাবে কার্যকর করা যায়, সে বিষয়ে কমিশন সুপারিশ করতে পারে।
প্রবাসীদের ভোটের অধিকার নিশ্চিতে বিভিন্ন সময়ে পোস্টাল ব্যালট কার্যকরের দাবি ওঠে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কাছেও বিভিন্ন মহল প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারও এ বিষয়ে তাদের সদিচ্ছার কথা জানিয়েছে। ৩ অক্টোবর সরকার গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও শুরুতে পোস্টাল ব্যালট কার্যকরের বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বিভিন্ন জটিলতার কারণে সেই আগ্রহে ক্রমেই ভাটা পড়েছে।
সংস্কার কমিশনের সূত্র বলেছে, পোস্টাল ব্যালট কার্যকর করতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সব মহলের আস্থা। কিন্তু এই আস্থা অর্জন নিয়েই সবচেয়ে বেশি জটিলতা তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, ইভিএমে ভোটে যেখানে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের আস্থা কম, সেখানে পোস্টাল ব্যালট বা ই-ভোটিংয়ে মানুষের আস্থা কতটুকু পাওয়া যাবে, তা নিয়ে কমিশনের সদস্যদের মধ্যেই সংশয় রয়েছে। তাঁরা মনে করছেন, ভরসা কম থাকায় পোস্টাল ব্যালট কার্যকর করতে গেলে নির্বাচনই বিতর্কিত হওয়ার শঙ্কা থাকবে।
বিদ্যমান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, বাংলাদেশি ভোটাররা দুভাবে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। একটি হচ্ছে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে সরাসরি ভোট দেওয়া, অন্যটি পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়া। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ১৫ দিনের মধ্যে ভোটারকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ব্যালট পেপারের জন্য আবেদন করতে হয়। প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর ডাকঘরের মাধ্যমে ব্যালট পেপার আবেদনকারী ভোটারের কাছে পৌঁছানো হয়। তিনি ভোট দিয়ে সিলগালা করে ব্যালট ডাকঘরের মাধ্যমে ৎনির্বাচনের দিন ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠান। এই প্রক্রিয়া বেশ সময়সাপেক্ষ বলে তা কার্যকর নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, জটিলতার কারণে পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থার বিকল্প বা এর পাশাপাশি কী ব্যবস্থা চালু করা যায়, তা নিয়ে কিছুটা ভেবেছিল কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। ওই কমিশন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০১৪ সালের শেষ দিকে অনলাইনে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করার কথা ভেবেছিল, যাতে সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভোট দিতে পারেন। তবে ওই ভাবনা পরে আর আলোর মুখ দেখেনি।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিদেশেই প্রবাসীদের ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা চেয়ে তৎকালীন আইনমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। এর অনুলিপি তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছেও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এটি বাস্তবায়ন হয়নি।
জানা গেছে, কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থা সংস্কার ও কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছিল। তাঁরা পোস্টাল ব্যালটের ব্যালট অনলাইনে দিতে আরপিও ও বিধি সংশোধনের কাজেও হাত দিয়েছিলেন। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, নাগরিকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় প্রতীক বরাদ্দের পর অনলাইনে একটি নির্দিষ্ট নম্বর দিয়ে একজনের জন্য একটি ব্যালট পেপার দেওয়া হবে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট ভোটার একবারই ওই ব্যালট ডাউনলোডের পর প্রিন্ট করে পছন্দের প্রতীকে টিক চিহ্ন দিতে পারবেন। পরে সেটি ডাকঘরের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন। কিন্তু নূরুল হুদা কমিশনের পর দায়িত্বে আসা সদ্য বিদায়ী কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন এ উদ্যোগের বিষয়ে অগ্রসর হয়নি।
সূত্র বলেছে, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের বিষয়ে মতামত দিতে অনলাইন সভায় অংশ নিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি ১৪ নভেম্বর সংস্কার কমিশনের ফেসবুক পেজে আহ্বান জানানো হয়। ২০ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়। এতে তেমন সাড়া না পেয়ে ২১ নভেম্বর আবারও একই আহ্বান করা হয়। প্রবাসীদের তেমন সাড়া না পাওয়ায় অনলাইন সভাটি এখনো হয়নি।
পোস্টাল ব্যালট বাস্তবায়নের বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং (ই-ভোটিং) ও ব্লকচেইন বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ সাদেক ফেরদৌস। প্রবাসীদের সঙ্গে অনলাইন বৈঠকের বিষয়ে ৯ ডিসেম্বর তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, সভায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে থাকা ৯০ জনের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি নিবন্ধন করেছেন। প্রতিটি দেশ থেকে এক বা দুজনকে বৈঠকে বক্তব্য দিতে সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা থাকবে।
বর্তমানে সাদেক ফেরদৌস বিদেশে থাকায় ওই সভার বিষয়ে তাঁর কাছ থেকে সর্বশেষ তথ্য জানা যায়নি। তিনি জানুয়ারিতে দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে বিভিন্ন মহল পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থা কার্যকর করার দাবি জানালেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তা অনিশ্চিত। কারণ, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনেরই কয়েকজন সদস্য এতে আস্থা পাচ্ছেন না। ফলে শুরুতে পোস্টাল ব্যালট কার্যকরে কমিশনের আগ্রহ থাকলেও এখন ভাটা পড়েছে।
সংস্কার কমিশনের পোস্টাল ব্যালট কার্যকর নিয়ে সংশয়ে থাকা সদস্যদের আশঙ্কা, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মতো পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থাও নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে পারে। পোস্টাল ব্যালট কার্যকর না হলে বিভিন্ন দেশে থাকা প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী ভোটারের পাশাপাশি নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা, কারাবন্দী এবং জীবিকার কারণে নিজ নির্বাচনী এলাকার বাইরে অবস্থান করা ভোটাররা আগামী নির্বাচনেও ভোট দিতে পারবেন না। সংস্কার কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের বিষয়ে অনলাইনে বৈঠকে অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের আবেদন আহ্বান করে তেমন সাড়া পায়নি কমিশন।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, পোস্টাল ব্যালট কার্যকরের বিষয়টি নিয়ে তাঁরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
কমিশনের একটি সূত্র জানায়, পোস্টাল ব্যালট কীভাবে কার্যকর করা যায়, সে বিষয়ে কমিশন সুপারিশ করতে পারে।
প্রবাসীদের ভোটের অধিকার নিশ্চিতে বিভিন্ন সময়ে পোস্টাল ব্যালট কার্যকরের দাবি ওঠে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কাছেও বিভিন্ন মহল প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারও এ বিষয়ে তাদের সদিচ্ছার কথা জানিয়েছে। ৩ অক্টোবর সরকার গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও শুরুতে পোস্টাল ব্যালট কার্যকরের বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বিভিন্ন জটিলতার কারণে সেই আগ্রহে ক্রমেই ভাটা পড়েছে।
সংস্কার কমিশনের সূত্র বলেছে, পোস্টাল ব্যালট কার্যকর করতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সব মহলের আস্থা। কিন্তু এই আস্থা অর্জন নিয়েই সবচেয়ে বেশি জটিলতা তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, ইভিএমে ভোটে যেখানে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের আস্থা কম, সেখানে পোস্টাল ব্যালট বা ই-ভোটিংয়ে মানুষের আস্থা কতটুকু পাওয়া যাবে, তা নিয়ে কমিশনের সদস্যদের মধ্যেই সংশয় রয়েছে। তাঁরা মনে করছেন, ভরসা কম থাকায় পোস্টাল ব্যালট কার্যকর করতে গেলে নির্বাচনই বিতর্কিত হওয়ার শঙ্কা থাকবে।
বিদ্যমান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, বাংলাদেশি ভোটাররা দুভাবে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। একটি হচ্ছে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে সরাসরি ভোট দেওয়া, অন্যটি পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়া। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ১৫ দিনের মধ্যে ভোটারকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ব্যালট পেপারের জন্য আবেদন করতে হয়। প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর ডাকঘরের মাধ্যমে ব্যালট পেপার আবেদনকারী ভোটারের কাছে পৌঁছানো হয়। তিনি ভোট দিয়ে সিলগালা করে ব্যালট ডাকঘরের মাধ্যমে ৎনির্বাচনের দিন ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠান। এই প্রক্রিয়া বেশ সময়সাপেক্ষ বলে তা কার্যকর নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, জটিলতার কারণে পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থার বিকল্প বা এর পাশাপাশি কী ব্যবস্থা চালু করা যায়, তা নিয়ে কিছুটা ভেবেছিল কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। ওই কমিশন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০১৪ সালের শেষ দিকে অনলাইনে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করার কথা ভেবেছিল, যাতে সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভোট দিতে পারেন। তবে ওই ভাবনা পরে আর আলোর মুখ দেখেনি।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিদেশেই প্রবাসীদের ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা চেয়ে তৎকালীন আইনমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। এর অনুলিপি তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছেও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এটি বাস্তবায়ন হয়নি।
জানা গেছে, কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থা সংস্কার ও কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছিল। তাঁরা পোস্টাল ব্যালটের ব্যালট অনলাইনে দিতে আরপিও ও বিধি সংশোধনের কাজেও হাত দিয়েছিলেন। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, নাগরিকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় প্রতীক বরাদ্দের পর অনলাইনে একটি নির্দিষ্ট নম্বর দিয়ে একজনের জন্য একটি ব্যালট পেপার দেওয়া হবে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট ভোটার একবারই ওই ব্যালট ডাউনলোডের পর প্রিন্ট করে পছন্দের প্রতীকে টিক চিহ্ন দিতে পারবেন। পরে সেটি ডাকঘরের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন। কিন্তু নূরুল হুদা কমিশনের পর দায়িত্বে আসা সদ্য বিদায়ী কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন এ উদ্যোগের বিষয়ে অগ্রসর হয়নি।
সূত্র বলেছে, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের বিষয়ে মতামত দিতে অনলাইন সভায় অংশ নিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি ১৪ নভেম্বর সংস্কার কমিশনের ফেসবুক পেজে আহ্বান জানানো হয়। ২০ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়। এতে তেমন সাড়া না পেয়ে ২১ নভেম্বর আবারও একই আহ্বান করা হয়। প্রবাসীদের তেমন সাড়া না পাওয়ায় অনলাইন সভাটি এখনো হয়নি।
পোস্টাল ব্যালট বাস্তবায়নের বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং (ই-ভোটিং) ও ব্লকচেইন বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ সাদেক ফেরদৌস। প্রবাসীদের সঙ্গে অনলাইন বৈঠকের বিষয়ে ৯ ডিসেম্বর তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, সভায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে থাকা ৯০ জনের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি নিবন্ধন করেছেন। প্রতিটি দেশ থেকে এক বা দুজনকে বৈঠকে বক্তব্য দিতে সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা থাকবে।
বর্তমানে সাদেক ফেরদৌস বিদেশে থাকায় ওই সভার বিষয়ে তাঁর কাছ থেকে সর্বশেষ তথ্য জানা যায়নি। তিনি জানুয়ারিতে দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
২১ মিনিট আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব ধরনের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাইবার
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ বিআইডব্লিউটিএর জারি করা এক বিশেষ নৌ চলাচল বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রাপথে রয়েছে, সেসবসহ অন্য সব নৌযানকে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বিধিমালা, ১৯৭৬ অনুসরণ করে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চার যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ বিআইডব্লিউটিএর জারি করা এক বিশেষ নৌ চলাচল বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রাপথে রয়েছে, সেসবসহ অন্য সব নৌযানকে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বিধিমালা, ১৯৭৬ অনুসরণ করে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চার যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে বিভিন্ন মহল পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থা কার্যকর করার দাবি জানালেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তা অনিশ্চিত। কারণ, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনেরই কয়েকজন সদস্য এতে আস্থা পাচ্ছেন না। ফলে শুরুতে পোস্টাল ব্যালট কার্যকরে কমিশনের আগ্রহ থাকলেও এখন ভাটা পড়েছে।
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব ধরনের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাইবার
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

৪১তম বিসিএস ব্যাচে নিয়োগ পাওয়া ছয় শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি) চাকরি থেকে অপসারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অপসারণ করা এএসপিরা হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, মাহমুদুল হক, মো. ইসহাক হোসেন, মো. মশিউর রহমান, মুহাম্মদ রাকিব আনোয়ার ও সাঈদ করিম মুগ্ধ।
আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
বিধিতে বলা আছে, শিক্ষানবিশ মেয়াদ চলাকালে কেউ সংশ্লিষ্ট চাকরিতে বহাল থাকার অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হলে সরকারি কর্ম কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ না করেই সরাসরি নিয়োগ অবসান করতে পারবে সরকার।

৪১তম বিসিএস ব্যাচে নিয়োগ পাওয়া ছয় শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি) চাকরি থেকে অপসারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অপসারণ করা এএসপিরা হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, মাহমুদুল হক, মো. ইসহাক হোসেন, মো. মশিউর রহমান, মুহাম্মদ রাকিব আনোয়ার ও সাঈদ করিম মুগ্ধ।
আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
বিধিতে বলা আছে, শিক্ষানবিশ মেয়াদ চলাকালে কেউ সংশ্লিষ্ট চাকরিতে বহাল থাকার অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হলে সরকারি কর্ম কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ না করেই সরাসরি নিয়োগ অবসান করতে পারবে সরকার।

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে বিভিন্ন মহল পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থা কার্যকর করার দাবি জানালেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তা অনিশ্চিত। কারণ, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনেরই কয়েকজন সদস্য এতে আস্থা পাচ্ছেন না। ফলে শুরুতে পোস্টাল ব্যালট কার্যকরে কমিশনের আগ্রহ থাকলেও এখন ভাটা পড়েছে।
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
২১ মিনিট আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব ধরনের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাইবার
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তিনি বিকেলে সাংবাদিকদের এই বিবৃতির কথা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্য আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তাঁর মন্তব্য বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন নয়। বাংলাদেশ সরকারের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে এমন কোনো বিভ্রান্তিকর, অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বর্ণনা বাংলাদেশ সরকার স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে।’
বিচ্ছিন্ন কিছু অপরাধমূলক ঘটনাকে পরিকল্পিতভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়ন হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। এতে আরও বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশবিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে দিতে সেটার অপব্যবহার করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু মহলে বাছাই করা ও পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে অতিরঞ্জিত ও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে সাধারণ ভারতীয় জনগণকে বাংলাদেশ, ভারতের বাংলাদেশি কূটনৈতিক মিশন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যে ব্যক্তির উদাহরণ দিয়েছেন, তিনি ছিলেন তালিকাভুক্ত অপরাধী। চাঁদাবাজির সময় তাঁর মুসলিম সহযোগীর সঙ্গে থাকা অবস্থায় তাঁর দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু ঘটে, যাঁকে পরে গ্রেপ্তার করা হয়। এই অপরাধমূলক ঘটনাকে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা বাস্তবসম্মত নয়, বরং বিভ্রান্তিকর।
বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ভারতের বিভিন্ন মহলকে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে, যা সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক ও পারস্পরিক আস্থার চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে।
আরও পড়ুন:

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তিনি বিকেলে সাংবাদিকদের এই বিবৃতির কথা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্য আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তাঁর মন্তব্য বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন নয়। বাংলাদেশ সরকারের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে এমন কোনো বিভ্রান্তিকর, অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বর্ণনা বাংলাদেশ সরকার স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে।’
বিচ্ছিন্ন কিছু অপরাধমূলক ঘটনাকে পরিকল্পিতভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়ন হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। এতে আরও বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশবিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে দিতে সেটার অপব্যবহার করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু মহলে বাছাই করা ও পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে অতিরঞ্জিত ও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে সাধারণ ভারতীয় জনগণকে বাংলাদেশ, ভারতের বাংলাদেশি কূটনৈতিক মিশন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যে ব্যক্তির উদাহরণ দিয়েছেন, তিনি ছিলেন তালিকাভুক্ত অপরাধী। চাঁদাবাজির সময় তাঁর মুসলিম সহযোগীর সঙ্গে থাকা অবস্থায় তাঁর দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু ঘটে, যাঁকে পরে গ্রেপ্তার করা হয়। এই অপরাধমূলক ঘটনাকে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা বাস্তবসম্মত নয়, বরং বিভ্রান্তিকর।
বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ভারতের বিভিন্ন মহলকে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে, যা সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক ও পারস্পরিক আস্থার চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে।
আরও পড়ুন:

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে বিভিন্ন মহল পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থা কার্যকর করার দাবি জানালেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তা অনিশ্চিত। কারণ, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনেরই কয়েকজন সদস্য এতে আস্থা পাচ্ছেন না। ফলে শুরুতে পোস্টাল ব্যালট কার্যকরে কমিশনের আগ্রহ থাকলেও এখন ভাটা পড়েছে।
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
২১ মিনিট আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব ধরনের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাইবার
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব ধরনের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং সব ধরনের সাইবার অপরাধকে কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে হবে।’
ড. ইউনূস বলেন, সরকার সব ধরনের নাগরিক সেবাকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে অনেক সেবা দেশে ও বিদেশে অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে। এসব সেবাকে সুরক্ষিত ও নির্বিঘ্ন রাখতে হলে সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করা জরুরি। নাগরিক সেবার খাতগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
ড. ইউনূস আরও বলেন, সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিসহ যেসব প্রতিষ্ঠান সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা নেবে, তাদের নিয়মিত সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার হালনাগাদ করতে হবে। পাশাপাশি এসব ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত জনবলকে আরও দক্ষ করে তুলতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট জনবলকে একটি রেটিং পদ্ধতির আওতায় আনতে হবে, যাতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাইবার সুরক্ষাসহ প্রকৃত মূল্যায়ন সহজ হয়। ফিন্যান্সিয়াল সেক্টরে কোনো অপরাধ করে যেন কেউ পার পেয়ে না যায়—সে বিষয়েও জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে বিচার বিভাগের পাশাপাশি কার্যকর ভূমিকা রাখার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ইতিমধ্যে ৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আরও কিছু প্রতিষ্ঠান এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন তিনি।
এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গুজব, মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশনসহ অন্যান্য সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি এবং বিটিআরসির মধ্যকার সমন্বয়সাধনের বিষয়ে জোর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরের সাইবার নিরাপত্তা আরও দৃঢ় করতে ইতিমধ্যে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং আরও কিছু কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ছাড়া তিনি সেক্টরাল সার্ট (সিইআরটি) গঠনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের সদস্যসচিব ও জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সির মহাপরিচালক ড. মো. তৈয়বুর রহমান পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে এজেন্সির কার্যক্রম, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনাসহ সাইবার পরিমণ্ডলে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও পরবর্তী প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রণীত ‘সাইবার ইনসিডেন্ট রিপোর্টিং অ্যান্ড রেস্পনস সিস্টেম’-এর বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
২১ মে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রণয়নের পর এই সংশোধিত অধ্যাদেশের অধীনে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত ২৬ আগস্ট জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিল গঠিত হয়। ২৫ সদস্যের এই কাউন্সিলের নেতৃত্বে রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব ধরনের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং সব ধরনের সাইবার অপরাধকে কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে হবে।’
ড. ইউনূস বলেন, সরকার সব ধরনের নাগরিক সেবাকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে অনেক সেবা দেশে ও বিদেশে অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে। এসব সেবাকে সুরক্ষিত ও নির্বিঘ্ন রাখতে হলে সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করা জরুরি। নাগরিক সেবার খাতগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
ড. ইউনূস আরও বলেন, সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিসহ যেসব প্রতিষ্ঠান সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা নেবে, তাদের নিয়মিত সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার হালনাগাদ করতে হবে। পাশাপাশি এসব ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত জনবলকে আরও দক্ষ করে তুলতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট জনবলকে একটি রেটিং পদ্ধতির আওতায় আনতে হবে, যাতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাইবার সুরক্ষাসহ প্রকৃত মূল্যায়ন সহজ হয়। ফিন্যান্সিয়াল সেক্টরে কোনো অপরাধ করে যেন কেউ পার পেয়ে না যায়—সে বিষয়েও জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে বিচার বিভাগের পাশাপাশি কার্যকর ভূমিকা রাখার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ইতিমধ্যে ৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আরও কিছু প্রতিষ্ঠান এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন তিনি।
এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গুজব, মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশনসহ অন্যান্য সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি এবং বিটিআরসির মধ্যকার সমন্বয়সাধনের বিষয়ে জোর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরের সাইবার নিরাপত্তা আরও দৃঢ় করতে ইতিমধ্যে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং আরও কিছু কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ছাড়া তিনি সেক্টরাল সার্ট (সিইআরটি) গঠনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের সদস্যসচিব ও জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সির মহাপরিচালক ড. মো. তৈয়বুর রহমান পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে এজেন্সির কার্যক্রম, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনাসহ সাইবার পরিমণ্ডলে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও পরবর্তী প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রণীত ‘সাইবার ইনসিডেন্ট রিপোর্টিং অ্যান্ড রেস্পনস সিস্টেম’-এর বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
২১ মে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রণয়নের পর এই সংশোধিত অধ্যাদেশের অধীনে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত ২৬ আগস্ট জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিল গঠিত হয়। ২৫ সদস্যের এই কাউন্সিলের নেতৃত্বে রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে বিভিন্ন মহল পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থা কার্যকর করার দাবি জানালেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তা অনিশ্চিত। কারণ, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনেরই কয়েকজন সদস্য এতে আস্থা পাচ্ছেন না। ফলে শুরুতে পোস্টাল ব্যালট কার্যকরে কমিশনের আগ্রহ থাকলেও এখন ভাটা পড়েছে।
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
২১ মিনিট আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
১ ঘণ্টা আগে