Ajker Patrika

সঙ্গী বাছুন এসব লক্ষণ দেখে

অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া 
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৫, ২১: ৫৫
সঙ্গীর মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন থাকুন। প্রতীকী ছবিতে মডেল: তনয় ও অদিতি
সঙ্গীর মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন থাকুন। প্রতীকী ছবিতে মডেল: তনয় ও অদিতি

‘আগে তো বুঝি নাই, সে এমন!’ আমাদের চারপাশে প্রায়শই এ ধরনের কথা শোনা যায়। যখন কেউ এসব কথা বলে, বুঝতে হবে সময়টা পেরিয়ে গেছে বেশ খানিক। কিন্তু তাতেই কি সব শেষ? না। বিষয়টি তেমন নয়। যাঁর সঙ্গে জীবন কাটাবেন, তাঁকে বুঝে নেওয়া শিখতে হবে। সেভাবে তাঁর সঙ্গে নিজের আচরণের প্যারামিটার নির্ধারণ করতে হবে। সম্ভব হলে আপনার সঙ্গীর এসব লক্ষণ আগে বুঝে নিন।

‘কোভার্ট নার্সিসিজম’ বলে একটি বিষয় আছে মনোবিদ্যার জগতে। কোভার্ট নার্সিসিস্টরা সেই জগতে অনেকটা ছুপা রুস্তম। তাদের সহজে ধরতে পারা কঠিন। একে দুর্বল নার্সিসিজমও বলে। কারণ, কোভার্ট নার্সিসিস্ট মানুষ অনেকটাই অন্তর্মুখী। তাদের নিজস্ব নিরাপত্তাহীনতা আছে। তারা নিজেদের গুরুত্ব চাইবার প্রবণতাকে ঢেকে রাখতে পারে। পক্ষান্তরে তারা অনেক বেশি অন্যের কাছ থেকে মনোযোগে চায়। এমনকি দেখা গেছে, বহুদিন ধরে সম্পর্কে থাকার পরেও এদের বোঝা যায় না। সে কারণে এরা খানিকটা বেশি বিপজ্জনক। ফলে এদের সামাল দেওয়া কঠিন। কারণ, এরা চট করে রাগ প্রকাশ করে না। এরা চিৎকার-চেঁচামেচি বা প্রকাশ্যে বিবাদ না করেও বেশি প্রতিশোধ নিতে পারে। এ ধরনের মানুষ তাদের সত্যিকারের অনুভূতি গোপন রাখতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের লক্ষ্য বাকি সব নার্সিসিস্টের মতো। ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে, এরা মনে করে না যে এরা কিছু ভুল করছে।

কোভার্ট নার্সিসিজমে ভোগা মানুষদের বড় প্রবণতা হলো প্যাসিভ অ্যাগ্রেশন। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোভার্ট নার্সিসিজমে ভোগা মানুষদের বড় প্রবণতা হলো প্যাসিভ অ্যাগ্রেশন। ছবি: আজকের পত্রিকা

এদের মধ্যে আরেকটি প্রবণতা থাকে। যেটিকে বলা হয় প্যাসিভ অ্যাগ্রেশন। অর্থাৎ এরা সরাসরি আপনাকে রাগ দেখাবে না। কিন্তু আচরণে ঠিকই বুঝিয়ে দেবে। আর এটাকে তারা ম্যানিপুলেশন করার জন্য অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে।

প্যাসিভ অ্যাগ্রেশনমূলক আচরণের মধ্যে আছে

  • আপনার অজান্তেই এরা আপনার প্রতি নাশকতামূলক আচরণ করবে। অন্যদের কাছে নিজেকে প্রমাণ করবে, সে আপনার জন্যই আগাতে পারছে না। কিন্তু সত্যিকারের ঘটনাটা আলাদা।
  • সচেতনভাবে আপনাকে নিয়ে উপহাস অথবা বিদ্রূপাত্মক মন্তব্য করবে। এর প্রত্যুত্তরে আপনি যখন রেগে যাবেন, তখন বলবে, আপনি ভীষণ সেনসিটিভ এবং এত সংবেদনশীল হন যে আপনার সঙ্গে সাধারণ রসিকতাও করা যায় না।
  • খুব আলগোছে এমনভাবে আপনার ঘাড়ে দোষ চাপাবে যে আপনি নিজেই তার প্রতি আপনার আচরণের জন্য অপরাধবোধে ভুগবেন।
  • আপনার কোনো কাজ যদি তাকে করে দিতে হয়, তবে সেটাতে সে ঢিলেমি করবে।

নার্সিসিজম কী

‘নার্সিসিজম’ বলতে প্রচলিত অর্থে আত্মকেন্দ্রিক, আত্মরতি, আত্মমুগ্ধতা, আত্মমগ্নতা ইত্যাদি নানা ধরনের বাংলা শব্দ ব্যবহৃত হতে পারে। কারও কারও ব্যক্তিত্বে নার্সিসিস্টিক প্রবণতা ও বৈশিষ্ট্য থাকে। ক্ষেত্রবিশেষে এই প্রবণতা মারাত্মক পর্যায়ে গেলে সেটা ব্যক্তিত্বের ব্যাধিতে অর্থাৎ নার্সিসিস্টিক পারসোনালিটি ডিসঅর্ডারে পরিণত হয়। যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের সম্পর্কে অবাস্তব ধারণা পোষণ করেন। যেমন মনে করেন, তিনি অতিরিক্ত গুরুত্ব ও প্রশংসার দাবিদার কিংবা সবাই তার কথা শুনতে বাধ্য ইত্যাদি। এ প্রবণতা মানুষের আন্তসম্পর্ক ও প্রাত্যহিক জীবনযাপনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

‘ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল ম্যানুয়াল অব মেন্টাল ডিসঅর্ডার’ পঞ্চম এডিশনে (ডিএসএম-৫) এই ব্যক্তিত্বের ব্যাধিকে ক্লাস্টার বি শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। এর বিভিন্ন ধরন আছে। কোভার্ট নার্সিসিস্ট তার মধ্যে একটি।

যেসব কারণে মানুষ কোভার্ট নার্সিসিস্ট হয়

  • জেনেটিক কারণ
  • শৈশবের কোনো মনোসামাজিক ক্ষত
  • পারিবারিক পরিবেশ এবং লালন পালনের ধরন
  • ব্যক্তিত্ব ও স্বভাব
  • নিউরোবায়োলজি
সঙ্গী নির্বাচনে অবশ্যই তার মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় রাখুন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সঙ্গী নির্বাচনে অবশ্যই তার মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় রাখুন। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিসে একজন কোভার্ট নার্সিসিস্ট উদ্দীপ্ত হয়

  • কেউ তাকে গুরুত্ব না দিলে
  • নিজে অসম্মানিত বোধ করলে
  • ইগোতে আঘাত লাগলে
  • লজ্জা অনুভব করলে
  • নিজের চেয়ে উচ্চ মর্যাদার লোকেরা আশপাশে থাকলে
  • অন্যদের থেকে কোনো কিছু কম পেলে
  • ঈর্ষা
  • আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাব

একজন কোভার্ট নার্সিসিস্ট জানে, কীভাবে অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হয়। এ জন্য হুলুস্থুল না করে ঠান্ডা মাথায় নিজের দিকে অন্যের মনোযোগ টেনে নিতে চেষ্টা করে।

কীভাবে বুঝবেন, আপনার সঙ্গী কোভার্ট নার্সিসিস্ট

কোভার্ট নার্সিসিস্টদের কথাবার্তায় কিছু লক্ষণ পাওয়া যায়। যেমন—

  • নিজের ভুল বা অপরাধ করার জন্য অন্যকে দায়ী করা
  • অন্য কেউ যে তাঁর কাছে ঋণী, সেটা বারবার মনে করিয়ে দেওয়া
  • নিজেকে শ্রেষ্ঠ মনে করা এবং সেটা প্রচার করা
  • অন্যকে নিয়ে উপহাস করা

এরা অন্যের কাছ থেকে প্রশংসা আদায়ের জন্য বিভিন্নভাবে অন্যকে লজ্জা দেয়। ফলে আপনি যখন প্রত্যুত্তর দিতে যাবেন, তখন তারা আত্মরক্ষার বর্মের মধ্যে ঢুকে যাবে। এমনভাবে তাদের যুক্তি উপস্থাপন করতে থাকে যে মনে হবে সব দোষ অন্যের।

কোভার্ট নার্সিসিস্টদের বৈশিষ্ট্য

  • অন্যের প্রতি সহানুভূতিবিহীন, অসংবেদনশীল
  • অন্যের কাছ থেকে প্রশংসা ও গুরুত্ব দাবি করে
  • সবকিছু কুক্ষিগত করে রাখার একটি প্রবণতা থাকে
  • ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য অন্যদের ব্যবহার করে

কোভার্ট নার্সিসিস্ট দাম্পত্য বা রোমান্টিক সম্পর্ক কেমন

  • জীবনসঙ্গীর অনুভূতি, আচরণ ও চাহিদার প্রতি সহানুভূতিশীল থাকবে না। কিন্তু বাইরে দেখাবে অন্যটা।
  • আন্তসম্পর্কগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে অন্যদের লজ্জা ও অনুশোচনায় ভুগতে বাধ্য করবে।
  • আশা করবে অন্যরা তার যত্ন করবে, সমস্যার সমাধান করবে। কিন্তু সে জীবনসঙ্গীর সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবে না।
  • সে জানবে যে তার কোন কোন আচরণে জীবনসঙ্গী বিরক্ত হচ্ছে। জেনেও সেই কাজগুলো বারবার করবে।
  • এরা জীবনসঙ্গীর দুর্বল জায়গা বিষয়গুলোর সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে।
  • মানুষের সামনে এরা চমৎকার, দয়ালু ও সহযোগিতার মনোভাবে পূর্ণ। নিজেদের তারা অতি উচ্চমাত্রার নৈতিকতাসম্পন্ন, ধীর, স্থির, শান্ত ও জনপ্রিয় মানুষ প্রমাণ করার জন্য ব্যস্ত থাকবে। এমনকি আপনার কাছের মানুষগুলোকেও তারা বিভ্রান্ত করবে।
  • সোজা ভাষায়, এরা ঘরে এক, বাইরে আরেক! মুখে এক, মনে আরেক।

যেভাবে সামাল দেবেন কোভার্ট নার্সিসিস্ট সঙ্গীকে

  • তাদের ম্যানিপুলেটিভ আচরণকে ব্যক্তিগতভাবে নেওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, এটা তাদের বৈশিষ্ট্য। তারা কীভাবে, কোন প্যাটার্নে আপনার সঙ্গে ম্যানিপুলেশন করে, সেটা চিহ্নিত করুন।
  • আপনাকে ও আপনার পরিচিতজনদের কাছে আপনাকে নিয়ে কীভাবে বিভ্রান্তি তৈরি করে, সেটা চিহ্নিত করুন।
  • আপনার কোন কোন ভয় বা লজ্জাকে সে ব্যবহার করে, সেগুলো চিহ্নিত করুন। এবার এই ভয় ও লজ্জার অস্ত্রটিও নিজের হাতে নিয়ে নিন।
  • কোন কোন জায়গায় তারা আপনার অস্তিত্বকে অস্বীকার করে, সেই জায়গাগুলো চিহ্নিত করুন।
  • অন্যের সামনে আপনার আচরণ বদলে ফেলুন, যেগুলোকে সে ব্যবহার করত আপনার বিরুদ্ধে।
  • এরা সবকিছুতে যেন আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
  • এদের সঙ্গে আচরণের নির্দিষ্ট সীমারেখা নির্ধারণ করুন।
  • এদের সঙ্গে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে, চোখে চোখ রেখে কথা বলুন। অন্যের প্রত্যয়ী দৃষ্টি এরা সহ্য করতে পারে না।

লেখক: চিকিৎসক ও কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, বাংলাদেশ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

বিএনপির সময় গণমাধ্যম তুলনামূলক বেশি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল: প্রথম আলো সম্পাদক

‘আমি ওর সঙ্গে এক মিনিট কথা বলতে চাই, শুধু এক মিনিট’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রেস্তোরাঁ নয়, বাড়িতেই তৈরি করুন ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
শীতের সকালে কিংবা সন্ধ্যার নাশতায় রেস্তোরাঁয় না গিয়ে কীভাবে বাড়িতেই তাদের মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই তৈরি করা যায়। ছবি: ফ্রিপিক
শীতের সকালে কিংবা সন্ধ্যার নাশতায় রেস্তোরাঁয় না গিয়ে কীভাবে বাড়িতেই তাদের মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই তৈরি করা যায়। ছবি: ফ্রিপিক

শীতকালে ভাজাপোড়া খেতে মন চায়। কেন এ ধরনের খাবারের প্রবণতা বাড়ে, তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে। সেসব থাক। আমরা বরং দেখে নিই, এই শীতের সকালে কিংবা সন্ধ্যার নাশতায় রেস্তোরাঁয় না গিয়ে কীভাবে বাড়িতেই তাদের মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই তৈরি করা যায়।

চিকেন ফ্রাই এখন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় খাবার। শহরগুলোতে গলির মোড়ে মোড়ে চিকেন ফ্রাইয়ের দোকান হয়ে গেছে। অর্থাৎ হাত বাড়ালেই এখন সুস্বাদু আর ক্রিস্পি মুরগি ভাজা পাওয়া যায়। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে বাড়িতেই রেস্তোরাঁর মতো চিকেন ফ্রাই করে নিতে পারেন।

মনে রাখতে হবে, রেস্তোরাঁর মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই বানাতে হলে মাংস ম্যারিনেট করা, ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, বিস্কুটের গুঁড়া বা কর্নফ্লেক্সের মিশ্রণ সঠিক কোটিং এবং ডুবো তেলে ভাজার কৌশল জানা গুরুত্বপূর্ণ। এতে আদা-রসুনবাটা, সয়া সস, গোলমরিচ এবং ডিম ও ময়দার মিশ্রণ ব্যবহার করে ম্যারিনেট ও কোটিং করলে ভেতরে জুসি আর বাইরে মুচমুচে চিকেন ফ্রাই তৈরি হয়।

উপকরণ

মুরগি ছোট টুকরো করে কাটা ৫০০ গ্রাম, ম্যারিনেটের জন্য আদা ও রসুনবাটা, লবণ, গোলমরিচের গুঁড়া, সয়া সস, অল্প মরিচ গুঁড়া, সামান্য ভিনেগার বা লেবুর রস, দই, কোটিংয়ের জন্য ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, বিস্কুটের গুঁড়া বা ব্রেডক্রাম্বস, ডিম, সামান্য বেকিং পাউডার এবং ভাজার জন্য তেল।

উপকরণের এই বিষয়গুলো মোটামুটি আমরা সবাই জানি। এবার এগুলো ঠিকভাবে মেরিনেট করে নিন। এখানে কিছু বিষয় খেয়াল করার আছে। এগুলোর মধ্যে আছে মাংস রেস্টে রাখা। প্রতিটি ধাপে মাংস কিছুক্ষণ করে রেস্টে রাখলে ফল ভালো হবে।

মেয়োনিজ বা কেচাপ ডিপিং সস দিয়ে সাজিয়ে চিকেন ফ্রাই পরিবেশন করুন। ছবি: ফ্রিপিক
মেয়োনিজ বা কেচাপ ডিপিং সস দিয়ে সাজিয়ে চিকেন ফ্রাই পরিবেশন করুন। ছবি: ফ্রিপিক

ম্যারিনেশন প্রণালি

মুরগির টুকরোগুলো আদা-রসুনবাটা, লবণ, গোলমরিচ, সয়া সস, মরিচ গুঁড়া, ভিনেগার বা লেবুর রস ও দই দিয়ে ভালো করে মেখে কমপক্ষে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। সম্ভব হলে ফ্রিজে রাখুন। এখানে একটি বিষয় বলে রাখা ভালো। অনেকে মনে করেন, মাংস ভালো করে মেখে এক রাত ফ্রিজে বা ঠান্ডা জায়গায় রাখলে ভাজার পর ফল ভালো পাওয়া যায়। সেটা মেনেও চেষ্টা করে দেখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সন্ধ্যায় মেরিনেট করে রাতভর রেখে দিন।

টিপস

  • মুরগি ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে নিন।
  • একটি বাটিতে দুধ, ভিনেগার ও লবণ মিশিয়ে মুরগির মাংস ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এতে মাংস নরম হবে।

ব্যাটার তৈরি

ভাজার আগে ব্যাটার তৈরি করে নিন। এ জন্য একটি বাটিতে ডিম ফেটিয়ে নিন। আরেকটি বাটিতে ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার এবং সামান্য লবণ ও গোলমরিচ মিশিয়ে রাখুন। চাইলে এতে অল্প বিস্কুটের গুঁড়া বা কর্নফ্লেক্স গুঁড়াও যোগ করতে পারেন। আরও ক্রিস্পি চাইলে চালের গুঁড়া যোগ করতে পারেন।

সেদ্ধ কিংবা সঁতে করা শীতের সবজির সঙ্গেও চিকেন ফ্রাই খাওয়া যেতে পারে। ছবি: ফ্রিপিক
সেদ্ধ কিংবা সঁতে করা শীতের সবজির সঙ্গেও চিকেন ফ্রাই খাওয়া যেতে পারে। ছবি: ফ্রিপিক

কোটিং

ম্যারিনেট করা মুরগির টুকরোগুলো প্রথমে ময়দার মিশ্রণে গড়িয়ে নিয়ে অতিরিক্ত ময়দা ঝেড়ে ফেলুন। এরপর ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে নিন। সবশেষে বিস্কুটের গুঁড়া বা ব্রেডক্রাম্বসের মিশ্রণে ভালো করে কোট করুন।

টিপস

ভেজা মিশ্রণ: আলাদা বাটিতে শুকনা মিশ্রণের অর্ধেক নিয়ে বরফ ঠান্ডা পানি দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন।

ডবল ডিপিং পদ্ধতি: প্রথমে মুরগি শুকনা মিশ্রণে, তারপর ভেজা পেস্টে, আবার শুকনা মিশ্রণে কোট করুন।

ভাজা

যেকোনো ধরনের ভাজার মতো চিকেন ফ্রাই করতে তাপমাত্রার পরিমাপটা বোঝা জরুরি। একটি কড়াইতে ডুবো তেল মাঝারি আঁচে তেল গরম করুন। তেলের তাপমাত্রা ৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে ভালো হয়।

তেল গরম হলে কোটিং করে রাখা মুরগির মাংসের টুকরোগুলো সাবধানে তেলে ছাড়ুন এবং সোনালি-বাদামি ও মুচমুচে হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এখানে কয়েকটি টিপস জেনে নিন।

  • কড়াইতে একবারে বেশি টুকরো দেবেন না। তাতে চিকেন নরম হয়ে যেতে পারে।
  • ভাজার সময় কোটিং খসে পড়ছে কি না, খেয়াল করুন। কোটিং খসে পড়ছে মানে মুরগি শুকনো ছিল না এবং কোটিং সেট হওয়ার সময় দেননি।
  • বাইরে পুড়ে গেছে, কিন্তু ভেতরে কাঁচা থাকলে বুঝতে হবে, তাপমাত্রা বেশি হয়েছে। তাপ কমিয়ে মিডিয়াম তাপে ভাজুন।
  • ভাজা হয়ে গেলে তেল ঝরানোর জন্য একটি তারের র‍্যাকে তুলে রাখুন।

পরিবেশন

  • মেয়োনিজ বা কেচাপ ডিপিং সস
  • ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা কোলস্ল
  • লেমন ওয়েজ
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

বিএনপির সময় গণমাধ্যম তুলনামূলক বেশি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল: প্রথম আলো সম্পাদক

‘আমি ওর সঙ্গে এক মিনিট কথা বলতে চাই, শুধু এক মিনিট’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পৌষের হাওয়া লেগে ফাটছে গোড়ালি? সমাধান আছে ঘরেই

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
সাধারণত যাঁদের বয়স ত্রিশ বা তার বেশি, তাঁরা গোড়ালি ফাটার সমস্যায় বেশি ভোগেন। ছবি: পেক্সেলস
সাধারণত যাঁদের বয়স ত্রিশ বা তার বেশি, তাঁরা গোড়ালি ফাটার সমস্যায় বেশি ভোগেন। ছবি: পেক্সেলস

শীতের দিনে ত্বকের সাধারণ সমস্যার একটি হলো ফাটা গোড়ালি। সাধারণত যাঁদের বয়স ত্রিশ বা তার বেশি, তাঁরা ত্বকের অতিরিক্ত মরা কোষ ও ফাটা গোড়ালির সমস্যায় বেশি ভোগেন। ফলে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগেই হয়তো পারলার থেকে পেডিকিউর করে এসেছেন, কিন্তু সপ্তাহ পার হতে না হতেই আবার পায়ের গোড়ালির ত্বক পুরু হয়ে শক্ত হয়ে গেছে, খানিকটা ফেটেও যেতে পারে। তাই সাবধান হতে হবে আগে থেকে। এই শীতে ফাটা গোড়ালির সমস্যা এড়াতে হলে নিয়মিত যত্নের বাইরে কোনো দাওয়াই নেই। ফাটা গোড়ালি সারানোর জন্য বিশেষ লোশন বা ক্রিমের খোঁজ না করে ভরসা রাখতে পারেন কিছু ঘরোয়া টোটকায়। এসব উপাদান নিয়মিত ব্যবহারে সুফল মিলবে।

ময়শ্চারাইজেশন আসল চিকিৎসা

গোড়ালি শুষ্ক হয়ে এলেই ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। ছবি: পেক্সেলস
গোড়ালি শুষ্ক হয়ে এলেই ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। ছবি: পেক্সেলস

ত্বক ও গোড়ালি ফাটার মূল কারণ শুষ্কতা। শীতের হাওয়া লেগে আমাদের ত্বক আর্দ্রতা হারায় দ্রুত। তাই ত্বকের হাইড্রেশনে জোর দিলে ফাটা গোড়ালি থেকে মুক্তি মিলবে সহজে। এর জন্য গোড়ালি শুষ্ক হয়ে এলেই ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। সম্ভব হলে কয়েক লেয়ারে ময়শ্চারাইজার মেখে তারপর সুতির মোজা পরুন। এই যেমন প্রথমে গ্লিসারিন, তারপর অলিভ অয়েল এবং সবশেষে পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে ১০ মিনিট অপেক্ষার পর সুতি মোজা পরুন। তাতে পায়ের ত্বক কোমল থাকবে আর গোড়ালি ফাটাও রোধ করা যাবে। এই কাজে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ হিল বামে ভরসা রাখতে পারেন।

ফুট স্ক্রাব জরুরি

ফাটা গোড়ালির ত্বক অপেক্ষাকৃত বেশি শুষ্ক ও পুরু হয়। ফলে হাঁটার সময় বেশি চাপ পড়লে গোড়ালি আরও ফাটে। তাই নিয়মিত ফুট স্ক্রাব করতে হবে। তাহলে গোড়ালি ফাটার সমস্যা ধীরে ধীরে কমবে। ফুট স্ক্রাব করতে এক কাপ লবণ, এক কাপ চিনি, দুই টেবিল চামচ মধু, সামান্য নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে স্ক্রাব করুন। ম্যাসাজ শেষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে পা ধুয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া আধা কাপ লবণ, এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ৪ থেকে ৫ ফোঁটা পিপারমিন্ট অয়েল একটি কাচের পাত্রে একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে রেখে দিন। এই স্ক্রাব সপ্তাহে দুদিন পায়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানিতে পা ধুয়ে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

২০ মিনিটের পুটবাথ

প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে সরাসরি গোসলে না ঢুকে একটি বাটিতে হালকা গরম পানি নিয়ে তাতে হালকা কোনো বডি ওয়াশ ও অল্প পরিমাণ লবণ মিশিয়ে নিন। এই পানিতে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েলও যোগ করতে পারেন। এবার এতে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে গোড়ালির ত্বক কিছুটা নরম হয়ে আসবে। তারপর ঝামা, লুফা বা ফুট স্ক্রাবার দিয়ে গোড়ালি ঘষে নিন। তারপর গোসল সেরে পায়ে ভারী ময়শ্চারাইজার লাগান। সবশেষে পায়ে মোজা পরতে ভুলবেন না যেন!

বিশেষ ভাবে ফোচানো পানিতে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। ছবি: পেক্সেলস
বিশেষ ভাবে ফোচানো পানিতে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। ছবি: পেক্সেলস

ক্ষতি সারাবে টি ট্রি অয়েল

অ্য়ান্টিমাইক্রোবিয়াল টি ট্রি অয়েল গোড়ালি ফাটা সারাতে খুব কার্যকর। তবে সরাসরি টি ট্রি অয়েল ত্বকে ব্যবহার করবেন না। এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে তারপর ত্বকে ব্যবহার করুন। এ ক্ষেত্রে পরিমাণটা বোঝা জরুরি। একটি কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ অলিভ অয়েল নিন। তাতে ৬ থেকে ৭ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার হালকা গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখার পর এই মিশ্রণ দিয়ে ভালো করে ফুট ম্যাসাজ করে ফেলুন। এই ঘরোয়া টোটকাতে ফাটা গোড়ালি ধীরে ধীরে ভালো হয়ে উঠবে।

প্রাকৃতিক সমাধান হতে পারে মধু

অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণসমৃদ্ধ মধু যেকোনো ত্বকের ক্ষত ও ফেটে যাওয়া অংশ সারিয়ে তুলতে সাহায্য় করে; পাশাপাশি ত্বক আর্দ্র ও মসৃণ রাখতেও সহায়ক। তাই ফাটা গোড়ালি সারাতে বাড়তি কিছু করতে না চাইলে মধুর ওপর ভরসা রাখতে পারেন। সিনেমা দেখতে বসার আগে পায়ের গোড়ালিতে মধু মেখে তারপর টিভির সামনে পা এলিয়ে বসুন। ২ থেকে ৩ ঘণ্টায় খুব ভালো কাজ করবে এই মধু। নিয়মিত করলে ফাটা গোড়ালি সেরে উঠবে খুব দ্রুত।

সূত্র: বি বিউটিফুল, নেটমেডস ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

বিএনপির সময় গণমাধ্যম তুলনামূলক বেশি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল: প্রথম আলো সম্পাদক

‘আমি ওর সঙ্গে এক মিনিট কথা বলতে চাই, শুধু এক মিনিট’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতে সব ধরনের চুলের জন্য ৫টি সেরা প্রাকৃতিক কন্ডিশনার

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।

শীতকাল আমাদের জন্য উদ্‌যাপনের ঋতু হলেও চুলের জন্য আতঙ্কের। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলে নির্জীব ভাব আসার পাশাপাশি আগা ফাটার সমস্যাও বাড়তে থাকে। তাই এই ঋতুতে চুলের ডিপ কন্ডিশনিং রীতিনীতি মেনে চলা অপরিহার্য। তবে রোজ শ্যাম্পু করার পর বোতলজাত যে কন্ডিশনার আমরা ব্যবহার করি; সেগুলোর ব্যবহার করলেই যে চুল কোমল, সুন্দর ও মসৃণ থাকবে, এ কথা ভাবাটা বোকামি। চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করেও চুলে ব্যবহার করতে হবে। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। দেখে নিন, কী কী ঘরোয়ার উপকরণ দিয়ে চুলের জন্য ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করবেন।

পাকা কলার প্যাক

কলা খুব ভালো ময়শ্চারাইজিং উপাদান। এটি শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যাওয়া চুল নিরাময়ে সহায়ক। কলা ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। ফলে এটি মাথার ত্বক ও চুলে গভীরভাবে পুষ্টি জোগায়। কেবল একটি পাকা কলা বেটে তার সঙ্গে মধু, ডিম ও সামান্য দুধ মিশিয়ে নিন। এরপর এই পেস্ট মাথার ত্বক এবং পুরো চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর ভালো কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল সুন্দর করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এই প্যাক ব্যবহারে চুল খুব দ্রুত ঝলমলে হয়।

দইয়ের জাদুকরি প্যাক

দই মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, চুল মসৃণ করে মাথার ত্বকে চুলকানি দূর করতে সহায়তা করে। ছবি: পেক্সেলস
দই মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, চুল মসৃণ করে মাথার ত্বকে চুলকানি দূর করতে সহায়তা করে। ছবি: পেক্সেলস

প্রচুর প্রোটিন ও ল্যাকটিক অ্যাসিডে ভরা দই আমাদের চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, চুল মসৃণ করে মাথার ত্বকে চুলকানি দূর করতেও সহায়ক। টক দই, কলা, মধু ও জলপাই তেল দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। সবশেষে ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে এটিকে বলা যেতে পারে জাদুকরি প্যাক। তবে যাঁদের ঠান্ডা লাগে, তাঁরা ৩০ মিনিটের পরিবর্তে ১০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে নিতে পারেন।

চুলের তরতাজা ভাব ফেরাবে অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরা মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং চুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। একটি পাত্রে ৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ আপনার চুলে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু করে চুলে রেগুলার কন্ডিশনার মাখুন। নিজেই টের পাবেন চুলের তরতাজা ভাব। সপ্তাহে দুবার এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।

অ্যালোভেরা জেল চুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। ছবি: পেক্সেলস
অ্যালোভেরা জেল চুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। ছবি: পেক্সেলস

তৈলাক্ত চুলের সেরা কন্ডিশনার আপেল সিডার ভিনেগার

আপেল সিডার ভিনেগার অ্যাসিটিক অ্যাসিডের একটি ভালো উৎস। এটি তৈলাক্ত মাথার ত্বক, খুশকি এবং কুঁকড়ে যাওয়া চুলের জন্য চমৎকার সমাধান। এটি মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এর জন্য চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এক মগ পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মাথার ত্বক ও চুলে ঢেলে দিন। ৫ মিনিট ধরে আপনার মাথার ত্বক ম্যাসাজ করুন। হালকা করে চুল আবার শ্যাম্পু করে এরপর কন্ডিশনার মাখুন। সবশেষে সুন্দর করে চুল ধুয়ে নিন।

সহজ সমাধান নারকেল তেল

আমরা সবাই নারকেল তেলের বিস্ময়কর গুণাবলির কথা শুনে বড় হয়েছি। এই তেল যে চুলের যত্নে জাদুকরি উপাদান—এ কথা একেবারে মিথ্য়া নয়। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে চুল করে তোলে নরম ও মসৃণ। নারকেল তেল দিয়ে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার তৈরি করতে, ১ টেবিল চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার সময় এটি লাগান। ২০ মিনিট রেখে দিন এবং তারপর হালকা গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

বিএনপির সময় গণমাধ্যম তুলনামূলক বেশি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল: প্রথম আলো সম্পাদক

‘আমি ওর সঙ্গে এক মিনিট কথা বলতে চাই, শুধু এক মিনিট’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৬
আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

মেষ

সঞ্চয় করার দক্ষতা নিয়ে আজ লোকে আপনার প্রশংসা করবে। তবে সাবধান! কিপটেমি আর সঞ্চয়ের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। বন্ধুদের ট্রিট দেওয়ার সময় হুট করে ‘মানিব্যাগ ভুলে রেখে এসেছি’ বা ‘আমার নেট কাজ করছে না’ বলার পুরোনো কৌশলটি আজ বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যেতে পারে। পরিবারে শান্তি বজায় থাকবে, যদি আপনি রিমোটের দখল ছেড়ে দেন। মানিব্যাগে সব সময় কিছু খুচরা টাকা রাখুন, ইজ্জত বাঁচতে পারে।

বৃষ

স্ত্রী বা পরিবারের কারোর মধুর ব্যবহারে আজ আপনি মুগ্ধ হতে পারেন, তবে এর পেছনে কোনো দামি শাড়ি, গয়না বা অনলাইন শপিংয়ের আবদার লুকিয়ে আছে কি না, তা ‘শার্লক হোমস’ স্টাইলে যাচাই করে নিন। সঞ্চয়ের জন্য দিনটি ভালো, কিন্তু লটারি জেতার আশায় অফিসের কলিগের কাছে ধার চাইবেন না। আবেগের চেয়ে আজ পেটভরা খাবারকে বেশি গুরুত্ব দিন। মিষ্টি কথায় ভুলে যাওয়ার আগে ব্যাংকের ব্যালেন্স চেক করুন।

মিথুন

মনের কথা বাড়ির লোককে বলে ফেলার জন্য আজ দারুণ দিন। তবে অফিসের বসের নামে কোনো ‘গোপন ছড়া’ বা ‘নিকনেম’ আবার ভুল করে বাড়ির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠিয়ে দেবেন না! পুরোনো অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে আবেগময় হয়ে পড়তে পারেন, সঙ্গে গামছা বা টিস্যু বক্স রাখুন। মেসেজ পাঠানোর আগে ‘রিসিভার’ কে, তা দুবার চেক করুন।

কর্কট

কারও কাছ থেকে আজ ধার নেবেন না, আর কাউকে দেবেনও না। কারণ, আজ যাকে টাকা দেবেন, তাকে খুঁজে পেতে ভবিষ্যতে আপনাকে ইন্টারপোল নিয়োগ করতে হতে পারে। সন্ধ্যার পর শরীর বেশ সতেজ থাকবে, চাইলে এক কাপ কড়া চা নিয়ে পাড়ার মোড়ে আড্ডা জমাতে পারেন। তবে পলিটিকস নিয়ে জ্ঞান দিতে যাবেন না। টাকা চাইলে ‘মানিব্যাগটা ধুতে দিয়েছি’ বলে এড়িয়ে যান।

সিংহ

বড় কোনো অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা আছে। তবে সেই টাকা হাতে আসার আগেই অনলাইনে আইফোন বা দামি গ্যাজেটের রিভিউ দেখা শুরু করবেন না। অতিরিক্ত রাগ আপনার কর্মক্ষেত্রে ক্ষতি করতে পারে। বসের ঝাড়ি খেয়েও আজ ‘মোনালিসা হাসি’ বজায় রাখার চেষ্টা করুন, এতে বস কনফিউজড হয়ে ঝাড়ি থামিয়ে দেবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাসার প্র্যাকটিস করুন।

কন্যা

বাড়িতে যদি অবিবাহিত কেউ থাকে, তবে আজ তার বিয়ের আলোচনা তুঙ্গে উঠতে পারে। বিয়ের মেনুতে বিরিয়ানি থাকবে কি না, তা নিয়ে আজ থেকেই তর্ক শুরু হতে পারে। খাওয়ার অভ্যাসে বদল আনুন; রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়ার আগে বিক্রেতার হাত ধোয়া কি না, তা একটু জুম করে দেখে নিন। প্রবীণদের কথা শুনুন, মাঝেমধ্যে তারা ইন্টারনেটের চেয়েও ভালো সমাধান দেন! ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলবেন, পেটের অবস্থা ভালো নয়।

তুলা

হয়তো ভালো মনেই কাউকে উপদেশ দেবেন, কিন্তু লোকে সেটাকে পার্সোনাল অ্যাটাক হিসেবে ধরে নেবে। আজ আপনার মিষ্টি কথা মানুষের কানে ‘নিমপাতার জুস’ মনে হতে পারে। অফিসে আপনার নামে কেউ কানকথা দিতে পারে, কিন্তু উল্টো তাদের মিষ্টি খাইয়ে কনফিউজ করে দিন। চুপ থাকাই আজ আপনার সেরা অস্ত্র।

বৃশ্চিক

পাড়ার দুই খালা বা চাচির ঝগড়ায় বিচার করতে যাবেন না। অন্যের ঝামেলা মেটাতে গিয়ে নিজেই ‘ভিলেন’ হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রল হতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে যুক্তিসংগত কথা বলুন। আজ আপনার কোনো পুরোনো শখ (যেমন গিটার বাজানো বা বাথরুমে গান গাওয়া) আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। অন্যের ব্যাপারে বাঁ হাত ঢোকাবেন না।

ধনু

আজ আপনার মধ্যে আধুনিক চিন্তা কাজ করবে। অফিসের কাজে এআই ব্যবহার করে বসকে চমকে দিতে পারেন; তবে সাবধান, যেন ধরা না পড়েন! সৃজনশীল কাজে সাফল্য আসবে। ভ্রমণে যাওয়ার আগে ব্যাগে ছাতা নিতে ভুলবেন না। কারণ, আবহাওয়া অফিস রোদ বললেও আজ বৃষ্টির সঙ্গে আপনার মোলাকাত হতে পারে। ল্যাপটপ চার্জ দিয়ে রাখুন।

মকর

আপনার পকেটে আজ অদৃশ্য ফুটো হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে শপিং মলে গেলে ক্রেডিট কার্ডটি বাসায় ফেলে যান। বিরোধীরা আজ আপনার ছোট কোনো ব্যাকরণগত ভুলকেও বড় করে দেখাতে পারে। তাই কথা বলার আগে মুখে ‘কাল্পনিক ফিল্টার’ ব্যবহার করুন। ‘সুলভ মূল্যে’ লেখা বোর্ড দেখলে উল্টো দিকে হাঁটুন।

কুম্ভ

দিনটি আপনার জন্য বেশ শুভ। নতুন কারোর সঙ্গে দেখা হতে পারে যে আপনার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে (সেটা বিমা কোম্পানি বা এমএলএম মার্কেটিংয়ের লোকও হতে পারে, সাবধান!)। রাতে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যদি না মশার দল আপনার কানে গান গাওয়ার কনসার্ট আয়োজন করে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের লোকদের থেকে দূরে থাকুন।

মীন

আজ সারা দিন অফিসের বা বাড়ির কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকবেন যে নিজের আয়নায় মুখ দেখার সময় পাবেন না। তবে এই ব্যস্ততার শেষে একটা মিষ্টি ক্লান্তি আসবে। সন্তানের বায়না মেটাতে গিয়ে পকেটে টান পড়তে পারে। শরীরের প্রতি যত্ন নিন, লিফট থাকতে সিঁড়ি দিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে যাবেন না। দুপুরের খাবারটা ঠিক সময়ে খেয়ে নিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

বিএনপির সময় গণমাধ্যম তুলনামূলক বেশি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল: প্রথম আলো সম্পাদক

‘আমি ওর সঙ্গে এক মিনিট কথা বলতে চাই, শুধু এক মিনিট’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত