Ajker Patrika

শিক্ষক নিয়োগে ৪৯তম বিশেষ বিসিএস: প্রস্তুতির কিছু কৌশল

ক্যারিয়ার ডেস্ক
আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৫, ১১: ৪১
৪১তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক মো. হুমায়ুন আহমেদ। ছবি: লেখক
৪১তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক মো. হুমায়ুন আহমেদ। ছবি: লেখক

৪৯তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তুতি নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এই বিসিএসে ৬৮৩ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনলাইন আবেদন এবং ফি জমা শুরু হয়েছে গত ২২ জুলাই থেকে। শেষ হবে আগামী ২২ আগস্ট (সন্ধ্যা ৬ টায়)। পিএসসি জানিয়েছে, আগামী অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ টাইপ) অনুষ্ঠিত হতে পারে। সময় হাতে কম, তাই এ স্বল্প সময়ে যেসব বিষয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনায় প্রস্তুতি নেওয়া যায়, সেসব নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ৪১তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক মো. হুমায়ুন আহমেদ

সিলেবাস, নম্বর-বণ্টন ও পরীক্ষার ভাষা

পিএসসির ওয়েবসাইটে ৪৯তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন, যোগ্যতা, পরীক্ষার ধরন ইত্যাদি সুস্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ডাউনলোড করে দেখে নিতে হবে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে সরকারি সাধারণ কলেজগুলোর জন্য ২৭টি বিষয়ে ৬৫৩ জন এবং সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের জন্য ৯টি বিষয়ে ৩০ জনসহ সর্বমোট ৬৮৩টি শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।

লিখিত পরীক্ষায় (এমসিকিউ টাইপ) সাধারণ বিষয়গুলো (বাংলা ২০, ইংরেজি ২০, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ২০, গণিত ১০, মানসিক দক্ষতা ১০) থেকে ১০০ নম্বর ও বিষয়ভিত্তিক ১০০ নম্বর মিলিয়ে মোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। উত্তীর্ণদের ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা হবে। (এমসিকিউ টাইপ) লিখিত বলতে এমসিকিউ পরীক্ষা বোঝানো হয়েছে।

পিএসসির ওয়েবসাইট থেকে বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস প্রিন্ট করে নিন ও কয়েকবার পড়ুন। জেনারেল বিষয়ের প্রশ্ন অন্যান্য পরীক্ষার মতোই হবে। পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নগুলো বাংলা না ইংরেজিতে হবে, বিজ্ঞপ্তিতে এমন কোনো নির্দেশনা নেই। ধরে নেওয়া যায় বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষাও বাংলাতেই হবে।

সাধারণ বিষয়গুলো নিয়ে বলার কিছু নেই। এ ব্যাপারে সবারই কমবেশি ধারণা রয়েছে। অতীতে এমন বিশেষ বিসিএস খুব বেশি হয়নি। তাই বিষয়ভিত্তিক ১০০ নম্বরের (এমসিকিউ টাইপ) লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য (কিছু বিষয় বাদে) বাজারে আপাতত তেমন কোনো বই নেই (অল্প কিছুদিনে কিছু বই আসবে)। নিজে কৌশলী হয়ে প্রয়োজনীয় ম্যাটারিয়াল জোগাড় করে পড়তে পারলে কম সময়েও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন সম্ভব হবে।

পদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে (সব বিষয়) প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে

১. সিলেবাস ধরে নিজ বিষয়ের উচ্চ মাধ্যমিকের (এইচএসসি) বই থেকে এমসিকিউ প্রশ্নগুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।

২. নিজ বিষয়ের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সব প্রশ্ন বুঝে বুঝে সমাধান করতে হবে।

৩. সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নগুলো সমাধান করতে হবে।

৪. নিজ বিষয়ের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ব্যাংক সমাধান করতে হবে।

৫. নিয়োগ ও ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন বই ও বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

৬. প্রকাশিত সিলেবাস অনুসারে অনার্সে পঠিত মৌলিক বইগুলোর প্রতিটি অধ্যায় পড়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের নোট নিতে হবে। অনার্সে যারা ইংরেজি মিডিয়ামে পড়েছে তাদের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভার্সনের সংশ্লিষ্ট বই যথেষ্ট সহায়ক হবে।

৭. সময় বাঁচাতে কোন টপিক কোন বইয়ের কোন পৃষ্ঠা থেকে পড়েছেন সেটি সিলেবাসের টপিকের পাশে লিখে রাখুন। তাহলে কম সময়ে টপিক খুঁজে পেতে সুবিধা হবে। প্রতিটি বিষয় পড়ার পর সংক্ষিপ্ত নোট রাখতে হবে যেন পরীক্ষার আগে কম সময়ে রিভিশন দেওয়া যায়।

সাধারণ সতর্কতা

১. পরীক্ষা যেহেতু অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে, সেহেতু এত কম সময়ে কোচিংয়ে (অনলাইন/অফলাইন) পেছনে না দৌড়ে নিজে নিজে প্রস্তুতি নেওয়া ভালো। এতে অর্থ ও সময় দুটোই সাশ্রয় হবে। তুলনামূলক বেশি পড়া যাবে।

২. সাধারণ ১০০ নম্বর যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বিষয়ভিত্তিক ১০০ নম্বরও গুরুত্বপূর্ণ। একটাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে অন্যটাকে গুরুত্বহীন করে ফেলা যাবে না।

৩. সাম্প্রতিক তথ্য নিয়ে বেশি সময় ব্যয় করা যাবে না। সাম্প্রতিকের জন্য চাকরির প্রস্তুতিমূলক ফেসবুক গ্রুপগুলোতে শেয়ারকৃত তথ্যের স্ক্রিনশট নিয়ে রাখতে হবে। মাঝে মাঝে সেগুলা দেখলেই হবে।

৪. ঢালাওভাবে সবকিছু না পড়ে কম গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো বাদ দিয়ে পড়তে হবে। যে বিষয়ের তথ্য পরিবর্তন হবে না (যেমন-বাংলা, ইংরেজি, গণিত ইত্যাদি) সেগুলো বেশি সময় দিয়ে পড়া ভালো।

৫. নানা জনের নানা পরামর্শ না নিয়ে যেকোনো একজনের কথা শুনুন ও পালনের চেষ্টা করুন।

৬. পরীক্ষা দিলে পাস করব কি করব না এই দ্বিধায় না থেকে দিন ভাগ করে পড়াশোনা করা।

৭. ‘আসুন মেসেঞ্জার গ্রুপে পড়ি’, ‘হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পড়ি’—এসব না করে নিজের মতো করে পড়া।

৮. তথ্যের বিশুদ্ধতা যাচাই পূর্বক অনলাইন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তা নিতে হবে।

সিভিল সার্ভিসে যোগদানের এমন সুবর্ণ সুযোগ বারবার আসে না। অভিযোগ, অনুযোগ, অজুহাত বাদ দিয়ে সময় নষ্ট না করে সময়টাকে কাজে লাগান। চেষ্টা করুন। সময় কম হলেও আপনার পরিশ্রম প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জনে সহায়ক হবে।

শুভকামনা রইল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাক্ষাৎকার

উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি চাকরির সুযোগ আছে জাপানে

আমিমুল এহসান খান। ছবি: সংগৃহীত

জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন আমিমুল এহসান খান। সম্প্রতি তিনি ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’-এ বিশ্বের ৫০ তরুণের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন। বর্তমানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড হিসেবে কাজ করছেন অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ নামের একটি বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে। এ ছাড়া জাপানের এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্ক কোম্পানিতে মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জাপানে উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শিক্ষা, চাকরি ও ক্যারিয়ার বিভাগের ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক খান

আব্দুর রাজ্জাক খান

টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

এককথায় দুর্দান্ত এবং বৈচিত্র্যময়। প্রথম দুই বছর করোনা মহামারির কারণে অনলাইনে ক্লাস করতে হয়েছে। তবে বাকি সময়ে বিশ্বের নানা প্রান্তের সহপাঠীদের সঙ্গে মিশে সংস্কৃতির আদান-প্রদান করার সুযোগ পেয়েছি।

উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা জাপানকে কেন বেছে নিচ্ছেন?

নিরাপত্তা ও উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা জাপান উচ্চশিক্ষার জন্য আকর্ষণীয়। এখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বমানের। আর শৃঙ্খলাপরায়ণ সমাজব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত উন্নয়নে সহায়ক। অর্থনৈতিকভাবে জাপান স্নাতক থেকে পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রচুর বৃত্তি দেয়। মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। এখানে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ বেশি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, জাপানি ভাষা জানা থাকলে জীবনযাপন ও কর্মজীবনে সফল হওয়া অনেক সহজ হয়।

জাপান ও বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য কেমন দেখছেন?

জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা মূলত গবেষণাকেন্দ্রিক, প্রয়োগমুখী এবং লক্ষ্যভিত্তিক। এখানে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, শিক্ষার্থীর মতামত, নিয়মিত প্রেজেন্টেশন এবং গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক উন্মুক্ত, প্রশ্ন করা এবং আলোচনায় অংশ নিতে উৎসাহিত করা হয়। বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থা এখনো অনেক ক্ষেত্রে মুখস্থনির্ভর এবং গতানুগতিক। তবে শিক্ষার্থীদের শেখার আগ্রহ অসীম। জাপানে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, আত্মযত্ন এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই জীবনমুখী শিক্ষা শৃঙ্খলাপরায়ণ সমাজ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এভাবে জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা দেশের প্রচলিত ব্যবস্থার থেকে ভিন্নতা সৃষ্টি করে।

জাপানের ভর্তিপ্রক্রিয়া কেমন এবং কতটা সময় লাগে?

জাপানে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া কিছুটা সময়সাপেক্ষ। সাধারণত এটি ৬-৭ মাস সময় নেয়। প্রথমে শিক্ষার্থীকে পছন্দের মেজর ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানে পার্টটাইম কাজের সুযোগের একটা বিষয় রয়েছে। পরবর্তী ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন করতে হয়।

সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথিপত্র ডাকযোগে পাঠাতে হয়। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে সাক্ষাৎকার নেয়, আবার কিছুতে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়। অফার লেটার এবং বৃত্তি নিশ্চিত হলে এক বছরের টিউশন ফিসহ অন্যান্য ফি অগ্রিম পরিশোধ করতে হয়। এরপর সার্টিফিকেট অব এলিজিবিলিটির (সিওই) জন্য আবেদন করতে হয়। এতে প্রায় আড়াই মাস সময় নেয়। সিওই হাতে পাওয়ার পরই ভিসার জন্য আবেদন করতে এবং জাপানে যাত্রা করা সম্ভব হয়।

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কী ধরনের বৃত্তি আছে, নির্বাচনের মাপকাঠি কী?

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য জাপানে বৃত্তির সুযোগ ব্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ পর্যন্ত টিউশন ফি ছাড় দিতে পারে। এ ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাও বৃত্তি দেয়। যেমন: অনেক শিক্ষার্থী জেএএসএসও থেকে মাসিক ৪৮ হাজার ইয়েন অনুদান পান। এই বৃত্তির জন্য নির্বাচন সাধারণত হলিস্টিক বা সামগ্রিক পদ্ধতিতে হয়। এখানে শুধু একাডেমিক ফল বা ভাষার স্কোর দেখা হয় না; বরং সহশিক্ষা কার্যক্রম, ব্যক্তিগত প্রবন্ধ ও শিক্ষার্থীর সামগ্রিক প্রোফাইল গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাবর্ষের বাইরের কার্যক্রম এবং বহুমুখী প্রতিভাও সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলে।

জাপানে পড়তে গেলে আর্থিক প্রমাণ বা স্পনসরশিপের প্রক্রিয়া কেমন?

জাপানে উচ্চশিক্ষার জন্য ভিসা ও ভর্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো, আর্থিক প্রমাণ বা স্পনসরশিপ। আবেদনকারীর কাছে প্রমাণ দেখাতে হবে, তিনি পড়াশোনা ও জীবনযাত্রার খরচ বহন করতে সক্ষম। স্পনসর হতে পারেন মা-বাবা, চাচা-মামা, খালা-ফুফু বা একাধিক ব্যক্তি। তাঁদের অর্থের উৎস এবং সম্পর্ক যথাযথ নথিপত্রের মাধ্যমে দেখাতে হয়। সাধারণত প্রাথমিকভাবে প্রায় ১৫ লাখ টাকা বা সমমানের অর্থ দেখাতে হয়।

জাপানে একই সঙ্গে পড়াশোনা ও কাজ করা কি সম্ভব?

হ্যাঁ, সম্ভব। তবে এটি অনুমোদিত হতে হবে। শিক্ষার্থীদের প্রথমে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি নিতে হয়। এই অনুমতির অধীনে সাধারণ সেমিস্টারে শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২৮ ঘণ্টা পার্টটাইম কাজ করতে পারেন। সেমিস্টার বিরতির সময় এ সময়সীমা বেড়ে সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা পূর্ণ সময়ের কাজের অনুমতি পাওয়া যায়। নিয়ম মেনে চললে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা এবং ব্যক্তিগত খরচ উভয়ই সামলাতে পারেন।

পড়াশোনার জন্য কী কী ডকুমেন্ট প্রয়োজন?

এসএসসি ও এইচএসসির মূল সনদপত্র এবং মার্কশিট বা ট্রান্সক্রিপ্ট প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া আইইএলটিএস বা ডুয়োলিংগোর মতো ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্রও লাগবে। ব্যক্তিগত নথিপত্রের মধ্যে অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট এবং আর্থিক নিশ্চয়তাকারীর পাসপোর্ট থাকতে হবে। আপনার প্রোফাইল শক্তিশালী করতে এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রমের সনদপত্রও জমা দিতে পারেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এগুলো নোটারাইজড কপি হিসেবে জমা দিতে হয়।

পড়াশোনা শেষে জাপানে চাকরির সুযোগ কেমন?

জাপানে পড়াশোনা শেষে চাকরির সুযোগ অনেক। দেশে দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকের ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশি গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র আইটি সেক্টর; অটোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং; রিক্রুটমেন্ট; ই-কমার্স; আইটি সাপোর্ট; ওভারসিজ সেলস। ভালো চাকরি ও দ্রুত উন্নতির জন্য জাপানি ভাষা দক্ষতা অপরিহার্য। এটি কর্মক্ষেত্রে যোগাযোগ এবং সংস্কৃতি বোঝার চাবিকাঠি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

স্পারসোর একটি পদের মৌখিক পরীক্ষার সূচি প্রকাশ

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের (স্পারসো) টেকনিশিয়ান-১ বা সায়েন্টিফিক অ্যাসিস্ট্যান্ট পদের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, ১০ ডিসেম্বর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ৯ জন প্রার্থী অংশ নেবেন।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাহমুদুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উল্লিখিত পদে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন। ১০ ডিসেম্বর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত স্পারসোর অফিসে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে।

মৌখিক পরীক্ষার সময় সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, নাগরিকত্ব, চারিত্রিক ও সব ধরনের প্রশিক্ষণের সনদ, পূরণ করা আবেদনপত্র, প্রবেশপত্রসহ সব কাগজপত্রের ১ সেট সত্যায়িত ফটোকপি এবং সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি দাখিল করতে হবে।

এ ছাড়া, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটায় আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সনদ মৌখিক পরীক্ষার সময় উপস্থাপন করতে হবে। উল্লিখিত প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার শুরুর ৩০ মিনিট আগে স্পারসোতে উপস্থিত থাকতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কর্মী নেবে এনআরবিসি ব্যাংক, আবেদন শেষ ২০ ডিসেম্বর

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি। বাণিজ্যিক ব্যাংকটিতে ম্যানেজার অপারেশন পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

পদের নাম: ম্যানেজার অপারেশন।

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।

অন্যান্য যোগ্যতা: শাখা পরিচালনা, সাধারণ ব্যাংকিং, নগদ ও টেলার অপারেশন, ক্লিয়ারিং, অ্যাকাউন্ট পরিষেবায় দক্ষতা।

অভিজ্ঞতা: ২–৮ বছর।

চাকরির ধরন: পূর্ণকালীন।

কর্মক্ষেত্র: অফিসে।

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় ধরনের প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা: উল্লেখ নেই।

কর্মস্থল: যেকোনো স্থানে।

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।

সুযোগ–সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী বেতন ছাড়াও আরও বিভিন্ন সুযোগ–সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রোডাকশন বিভাগে কর্মী নেবে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস

চাকরি ডেস্ক 
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৭
পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস
পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির প্রোডাকশন বিভাগে এক্সিকিউটিভ পদে একাধিক লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: এক্সিকিউটিভ, (প্রোডাকশন)।

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: ফার্মেসিতে স্নাতকোত্তর (এম. ফার্ম) ডিগ্রি।

অন্যান্য যোগ্যতা: এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল দক্ষতা। ফার্মাসিউটিক্যালস সম্পর্কিত মৌলিক জ্ঞান।

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ১ বছর,তবে অভিজ্ঞতা না থাকলেও আবেদন করতে পারবেন আগ্রহীরা।

চাকরির ধরন: ফুলটাইম।

কর্মক্ষেত্র: অফিসে।

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

কর্মস্থল: গাজীপুর (টঙ্গী)।

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।

সুযোগ–সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, বছরে ৩টি উৎসব বোনাস, আর্ন লিভ এনক্যাশমেন্ট, লিভ ফেয়ার সহায়তা, লাভ বোনাস, সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন, পিক অ্যান্ড ড্রপ সুবিধা, গ্রুপ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ভর্তুকিযুক্ত দুপুরের খাবারের সুবিধা রয়েছে।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত