Ajker Patrika

২০০ বছর আগে কারাবন্দি ইমামের হাতে লেখা কোরআন আজও অক্ষত 

আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২৩, ১৮: ৫২
২০০ বছর আগে কারাবন্দি ইমামের হাতে লেখা কোরআন আজও অক্ষত 

দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০ বছর আগে এক ইন্দোনেশিয়ান ইমাম একটি কোরআন শরীফ হাতে লিখেছিলেন। সেই কোরআনের কপিটি আজও অক্ষত রয়েছে। কেপটাউনের মুসল্লিরা ঐতিহাসিক বো কাপ জেলার একটি মসজিদে সেই কোরআনের কপটি সংরক্ষণ করেছেন। 

১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে আউয়াল মসজিদ সংস্কারের সময় একটি কাগজের ব্যাগের মধ্য এই কোরআনটি পাওয়া গিয়েছিল। 

গবেষকদের ধারণা, ইমাম আবদুল্লাহ ইবনে কাদি আবদুস সালাম, যিনি তুয়ান গুরু নামে পরিচিত। তিনি ১৭৮০ সালে ইন্দোনেশিয়ার তিডোর দ্বীপ থেকে রাজনৈতিক বন্দী হিসাবে কেপটাউনে আসেন ডাচ উপনিবেশকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগদানের জন্য। এই সময়েই তিনি কুরআনটি লিখেছিলেন। 

এ বিষয়ে আউয়াল মসজিদ কমিটির সদস্য ক্যাসিয়াম আবদুল্লাহ বিবিসিকে বলেন, কোরআনটি অত্যন্ত ধুলোবালিযুক্ত ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছাদের খুপড়ি ঘরে কেউ ছিল না। নির্মাণকালে তুয়ান গুরুর লেখা ধর্মীয় গ্রন্থের একটি বাক্সও পাওয়া গিয়েছিল।’ 

অসংখ্য আলগা পৃষ্ঠা সংবলিত কোরানটি আশ্চর্যজনকভাবে ভালো অবস্থায় ছিল। শুধু প্রথম কয়েক পৃষ্ঠার কিনারা ছিন্নভিন্ন ছিল। 

আরবি ক্যালিগ্রাফিতে লিখতে কালো এবং লাল কালি ব্যবহার করা হয়েছিল। এসব লেখা এখনো সুস্পষ্ট। 

১৬৯৪ সাল থেকে মূল্যবান এ নিদর্শনটি সংরক্ষণ করা স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ে জন্য বেশ বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এর মধ্য অন্যতম ছিল, কুরআনের ৬ হাজারেরও বেশি আয়াত ক্রমানুসারে রাখা। 

এই কাজটি করেছিলেন কেপটাউনের মুসলিম বিচারিক পরিষদের প্রধান আইনবিদ প্রয়াত মাওলানা ত্বহা করণ। বেশ কয়েকজন স্থানীয় আলেমও এতে সহযোগিতা করেছিলেন। বাঁধাইসহ পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে তিন বছর সময় লেগেছিল। 

তখন থেকেই কুরআনটি আউয়াল মসজিদে প্রদর্শন করা হয়। ১৭৯৪ সালে তুয়ান গুরু মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা এখন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম মসজিদ হিসাবে বিবেচিত। 

অমূল্য এই কোরআনটি চুরি করার চেষ্টা করা হয়েছে তিনবার। ফলে ১০ বছর আগে মসজিদ কমিটি কোরআনটিকে আগুন ও বুলেট নিরোধক করেছে। 

তুয়ান গুরুর জীবনীকার শফিক মর্টন বিশ্বাস করেন, তুয়ান গুরু সম্ভবত রবেন দ্বীপে বন্দী থাকাকালে পাঁচটি কপির মধ্যে প্রথমটি লিখতে শুরু করেছিলেন। এই দ্বীপেই বর্ণবাদ বিরোধী বিশ্বনেতা নেলসন ম্যান্ডেলাও ১৯৬০ থেকে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত বন্দী ছিলেন। 

দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০ বছর আগে এক ইন্দোনেশিয়ান ইমামের হাতে লেখা কোরআন শরীফএই অনুলিপিগুলোর বেশিরভাগই ৮০ থেকে ৯০ বছর বয়সের মধ্যে তুয়ান গুরু লিখেছিলেন বলে মনে করা হয়। আরবি প্রথম ভাষা না হওয়া সত্ত্বেও কোরআন লেখায় তাঁকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। 

মর্টনের মতে, টুয়ান গুরুকে দুইবার রবেন দ্বীপে জেলে পাঠানো হয়েছিল। প্রথম ১৭৮০ থেকে ১৭৮১ সাল। যখন তার বয়স ছিল ৬৯ বছর। এরপর আবার ১৭৮৬ থেকে ১৭৯১ সাল পর্যন্ত তাঁকে কারাবাসে পাঠানো হয়। 

মর্টন বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, বন্দি ক্রীতদাসদের উজ্জীবিত করতেই তিনি কুরআন লিখেছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন কুরআনের অনুলিপি লিখতে পারলে লোকদের শিক্ষিত করতে পারবেন এবং সমাজে তাঁরা মর্যাদা পাবেন। 

‘‘আপনি যদি আর্কাইভগুলিতে যান তাহলে দেখবেন, ডাচরা যে কাগজ ব্যবহার করত, সেই কাগজের সঙ্গে তুয়ান গুরুর লেখা কোরানের কাগজের মিল রয়েছে। আর তিনি নিজেই বাঁশ থেকে কলম তৈরি করতেন এবং কালো এবং লাল কালি ঔপনিবেশিক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিয়েছিলেন।’ ’

তুয়ান গুরুর হাতে লেখা কুরআনের পাঁচটি কপির মধ্যে তিনটি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি আউয়াল মসজিদে ও বাকি দুটি তার প্রপৌত্রের পরিবারের কাছে রয়েছে। 

আউয়াল মসজিদের কোরানটি থেকে প্রায় ১০০ প্রতিলিপি তৈরি করা হয়েছে। এপ্রিলে এসবের মধ্যে একটি জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের লাইব্রেরিতে হস্তান্তর করা হয়েছিল। আর কয়েকটি পরিদর্শনকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

২০১৯ সালের মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার মুসলিম রাজনৈতিক দল আল জামাআহর নেতা গনিফ হেনড্রিকস সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ নেওয়ার সময় একটি প্রতিলিপি ব্যবহার করেছিলেন। 

ডাচরা ধারণাই করতে পারেননি যেই তুয়ান গুরুকে তাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকায় নির্বাসিত করেছিল তিনি সেখানে ইসলাম প্রচারের অনুঘটক হবেন। কেপটাউনে এখন আনুমানিক ৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন মুসলমান রয়েছে। 

বিবিসি অবলম্বনে

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রস্রাবের চাপ নিয়ে নামাজ আদায়ের বিধান

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৫৭
নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। ছবি: সংগৃহীত
নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। ছবি: সংগৃহীত

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—

চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।

হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)

নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৫ মিনিট
ফজর০৫: ১৬ মিনিট০৬: ৩৬ মিনিট
জোহর১১: ৫৮ মিনিট০৩: ৪০ মিনিট
আসর০৩: ৪১ মিনিট০৫: ১৬ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৮ মিনিট০৬: ৩৭ মিনিট
এশা০৬: ৩৮ মিনিট০৫: ১৫ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক আজ

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১১
ছবি: বাসস
ছবি: বাসস

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতকালে মুমিনের আত্মিক শিক্ষা ও নৈতিক দায়িত্ব

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭: ৫০
শীতকালে মুমিনের আত্মিক শিক্ষা ও নৈতিক দায়িত্ব

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)

ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।

শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।

শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।

শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত