ইসলাম ডেস্ক

যেকোনো নির্মাণের জন্য একটি নিখুঁত মডেল বা নকশা অপরিহার্য। এটি যেমন বস্তুগত নির্মাণের ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি মানুষের জীবন গড়ার মতো সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও তা আরও বেশি জরুরি। জীবনের পথে সঠিক দিশা পেতে এবং নিজেকে একজন সুশীল ও উৎকর্ষমণ্ডিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি পূর্ণাঙ্গ মডেলের অনুসরণ অপরিহার্য।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন সেই সর্বাঙ্গসুন্দর ও নিখুঁত মডেল, যাঁকে আল্লাহ তাআলা মানবজাতির জন্য প্রেরণা ও আদর্শ হিসেবে পাঠিয়েছেন। তাঁর জীবনচরিত শুধু ধর্মীয় বিষয় নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বাহ্যিক সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে অন্তর্জগতের পরিশুদ্ধি পর্যন্ত; সবকিছুতে তাঁর আদর্শ অনুসরণীয়। তাঁর জীবনী পাঠ করলে আমরা দেখতে পাই, কীভাবে একজন মানুষ সর্বোচ্চ পর্যায়ের সত্যবাদিতা, সাহস, কোমলতা, ন্যায়পরায়ণতা ও সহনশীলতার অধিকারী হতে পারেন। সমাজে আমরা প্রায়ই আচার-আচরণে অশিষ্টতা ও ভারসাম্যহীনতা দেখতে পাই। এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে নবীজির সিরাত আমাদের পথ দেখায়। তাঁর কথায় ছিল স্পষ্টতা ও মধুরতা, আর ব্যবহারে ছিল শিষ্টাচার ও মর্যাদা। তিনি মানুষকে শেখান, কীভাবে একজন আদর্শ পেশাজীবী হতে হয় এবং কীভাবে জীবনের সব দায়িত্ব সচেতনভাবে পালন করতে হয়।
জীবনে যখন দুঃখ, কষ্ট ও প্রতিকূলতা আসে, তখন তাঁর জীবনচরিত থেকে আমরা পাই অটুট মনোবল ও আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থার শিক্ষা। তাঁর জীবনেও অসংখ্য বিপদ এসেছিল, কিন্তু তিনি ধৈর্য ও দৃঢ়তার সঙ্গে সব মোকাবিলা করেছেন। তাঁর আদর্শ থেকে আমরা শিখি, কীভাবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রেখে এগিয়ে যেতে হয়।
মহানবী (সা.)-এর সিরাত শুধু একটি ইতিহাস নয়, বরং একটি জীবন্ত আদর্শ। তাঁর শিক্ষা অনুসরণের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে আলোকিত করতে পারে। কারণ, কোরআনের ভাষায়, ‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকাল ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্য রাসুলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ সুতরাং, নিজেদের জীবনকে পরিপূর্ণ করতে হলে সিরাত পাঠের কোনো বিকল্প নেই।

যেকোনো নির্মাণের জন্য একটি নিখুঁত মডেল বা নকশা অপরিহার্য। এটি যেমন বস্তুগত নির্মাণের ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি মানুষের জীবন গড়ার মতো সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও তা আরও বেশি জরুরি। জীবনের পথে সঠিক দিশা পেতে এবং নিজেকে একজন সুশীল ও উৎকর্ষমণ্ডিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি পূর্ণাঙ্গ মডেলের অনুসরণ অপরিহার্য।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন সেই সর্বাঙ্গসুন্দর ও নিখুঁত মডেল, যাঁকে আল্লাহ তাআলা মানবজাতির জন্য প্রেরণা ও আদর্শ হিসেবে পাঠিয়েছেন। তাঁর জীবনচরিত শুধু ধর্মীয় বিষয় নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বাহ্যিক সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে অন্তর্জগতের পরিশুদ্ধি পর্যন্ত; সবকিছুতে তাঁর আদর্শ অনুসরণীয়। তাঁর জীবনী পাঠ করলে আমরা দেখতে পাই, কীভাবে একজন মানুষ সর্বোচ্চ পর্যায়ের সত্যবাদিতা, সাহস, কোমলতা, ন্যায়পরায়ণতা ও সহনশীলতার অধিকারী হতে পারেন। সমাজে আমরা প্রায়ই আচার-আচরণে অশিষ্টতা ও ভারসাম্যহীনতা দেখতে পাই। এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে নবীজির সিরাত আমাদের পথ দেখায়। তাঁর কথায় ছিল স্পষ্টতা ও মধুরতা, আর ব্যবহারে ছিল শিষ্টাচার ও মর্যাদা। তিনি মানুষকে শেখান, কীভাবে একজন আদর্শ পেশাজীবী হতে হয় এবং কীভাবে জীবনের সব দায়িত্ব সচেতনভাবে পালন করতে হয়।
জীবনে যখন দুঃখ, কষ্ট ও প্রতিকূলতা আসে, তখন তাঁর জীবনচরিত থেকে আমরা পাই অটুট মনোবল ও আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থার শিক্ষা। তাঁর জীবনেও অসংখ্য বিপদ এসেছিল, কিন্তু তিনি ধৈর্য ও দৃঢ়তার সঙ্গে সব মোকাবিলা করেছেন। তাঁর আদর্শ থেকে আমরা শিখি, কীভাবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রেখে এগিয়ে যেতে হয়।
মহানবী (সা.)-এর সিরাত শুধু একটি ইতিহাস নয়, বরং একটি জীবন্ত আদর্শ। তাঁর শিক্ষা অনুসরণের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে আলোকিত করতে পারে। কারণ, কোরআনের ভাষায়, ‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকাল ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্য রাসুলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ সুতরাং, নিজেদের জীবনকে পরিপূর্ণ করতে হলে সিরাত পাঠের কোনো বিকল্প নেই।
ইসলাম ডেস্ক

যেকোনো নির্মাণের জন্য একটি নিখুঁত মডেল বা নকশা অপরিহার্য। এটি যেমন বস্তুগত নির্মাণের ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি মানুষের জীবন গড়ার মতো সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও তা আরও বেশি জরুরি। জীবনের পথে সঠিক দিশা পেতে এবং নিজেকে একজন সুশীল ও উৎকর্ষমণ্ডিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি পূর্ণাঙ্গ মডেলের অনুসরণ অপরিহার্য।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন সেই সর্বাঙ্গসুন্দর ও নিখুঁত মডেল, যাঁকে আল্লাহ তাআলা মানবজাতির জন্য প্রেরণা ও আদর্শ হিসেবে পাঠিয়েছেন। তাঁর জীবনচরিত শুধু ধর্মীয় বিষয় নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বাহ্যিক সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে অন্তর্জগতের পরিশুদ্ধি পর্যন্ত; সবকিছুতে তাঁর আদর্শ অনুসরণীয়। তাঁর জীবনী পাঠ করলে আমরা দেখতে পাই, কীভাবে একজন মানুষ সর্বোচ্চ পর্যায়ের সত্যবাদিতা, সাহস, কোমলতা, ন্যায়পরায়ণতা ও সহনশীলতার অধিকারী হতে পারেন। সমাজে আমরা প্রায়ই আচার-আচরণে অশিষ্টতা ও ভারসাম্যহীনতা দেখতে পাই। এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে নবীজির সিরাত আমাদের পথ দেখায়। তাঁর কথায় ছিল স্পষ্টতা ও মধুরতা, আর ব্যবহারে ছিল শিষ্টাচার ও মর্যাদা। তিনি মানুষকে শেখান, কীভাবে একজন আদর্শ পেশাজীবী হতে হয় এবং কীভাবে জীবনের সব দায়িত্ব সচেতনভাবে পালন করতে হয়।
জীবনে যখন দুঃখ, কষ্ট ও প্রতিকূলতা আসে, তখন তাঁর জীবনচরিত থেকে আমরা পাই অটুট মনোবল ও আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থার শিক্ষা। তাঁর জীবনেও অসংখ্য বিপদ এসেছিল, কিন্তু তিনি ধৈর্য ও দৃঢ়তার সঙ্গে সব মোকাবিলা করেছেন। তাঁর আদর্শ থেকে আমরা শিখি, কীভাবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রেখে এগিয়ে যেতে হয়।
মহানবী (সা.)-এর সিরাত শুধু একটি ইতিহাস নয়, বরং একটি জীবন্ত আদর্শ। তাঁর শিক্ষা অনুসরণের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে আলোকিত করতে পারে। কারণ, কোরআনের ভাষায়, ‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকাল ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্য রাসুলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ সুতরাং, নিজেদের জীবনকে পরিপূর্ণ করতে হলে সিরাত পাঠের কোনো বিকল্প নেই।

যেকোনো নির্মাণের জন্য একটি নিখুঁত মডেল বা নকশা অপরিহার্য। এটি যেমন বস্তুগত নির্মাণের ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি মানুষের জীবন গড়ার মতো সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও তা আরও বেশি জরুরি। জীবনের পথে সঠিক দিশা পেতে এবং নিজেকে একজন সুশীল ও উৎকর্ষমণ্ডিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি পূর্ণাঙ্গ মডেলের অনুসরণ অপরিহার্য।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন সেই সর্বাঙ্গসুন্দর ও নিখুঁত মডেল, যাঁকে আল্লাহ তাআলা মানবজাতির জন্য প্রেরণা ও আদর্শ হিসেবে পাঠিয়েছেন। তাঁর জীবনচরিত শুধু ধর্মীয় বিষয় নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বাহ্যিক সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে অন্তর্জগতের পরিশুদ্ধি পর্যন্ত; সবকিছুতে তাঁর আদর্শ অনুসরণীয়। তাঁর জীবনী পাঠ করলে আমরা দেখতে পাই, কীভাবে একজন মানুষ সর্বোচ্চ পর্যায়ের সত্যবাদিতা, সাহস, কোমলতা, ন্যায়পরায়ণতা ও সহনশীলতার অধিকারী হতে পারেন। সমাজে আমরা প্রায়ই আচার-আচরণে অশিষ্টতা ও ভারসাম্যহীনতা দেখতে পাই। এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে নবীজির সিরাত আমাদের পথ দেখায়। তাঁর কথায় ছিল স্পষ্টতা ও মধুরতা, আর ব্যবহারে ছিল শিষ্টাচার ও মর্যাদা। তিনি মানুষকে শেখান, কীভাবে একজন আদর্শ পেশাজীবী হতে হয় এবং কীভাবে জীবনের সব দায়িত্ব সচেতনভাবে পালন করতে হয়।
জীবনে যখন দুঃখ, কষ্ট ও প্রতিকূলতা আসে, তখন তাঁর জীবনচরিত থেকে আমরা পাই অটুট মনোবল ও আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থার শিক্ষা। তাঁর জীবনেও অসংখ্য বিপদ এসেছিল, কিন্তু তিনি ধৈর্য ও দৃঢ়তার সঙ্গে সব মোকাবিলা করেছেন। তাঁর আদর্শ থেকে আমরা শিখি, কীভাবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রেখে এগিয়ে যেতে হয়।
মহানবী (সা.)-এর সিরাত শুধু একটি ইতিহাস নয়, বরং একটি জীবন্ত আদর্শ। তাঁর শিক্ষা অনুসরণের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে আলোকিত করতে পারে। কারণ, কোরআনের ভাষায়, ‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকাল ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্য রাসুলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ সুতরাং, নিজেদের জীবনকে পরিপূর্ণ করতে হলে সিরাত পাঠের কোনো বিকল্প নেই।

বিজয় মানুষের চিরন্তন স্বপ্ন। এই শব্দের মধ্যে আছে পরিশ্রমের দীপ্তি, ত্যাগের চিহ্ন ও আনন্দের সূর্যোদয়। ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে, বিজয় মানে আত্মতৃপ্তি নয়, বরং বিনয়; উল্লাস নয়, কৃতজ্ঞতা; প্রতিশোধ নয়, ক্ষমা। বিজয় ইসলামে একধরনের আত্মশুদ্ধি, যেখানে মানুষ আল্লাহর...
১ ঘণ্টা আগে
আপনার প্রশ্নটি খুবই বাস্তবসম্মত এবং দৈনন্দিন জীবনে বহুবার সম্মুখীন হওয়া একটি বিষয়। ইসলামে সালাম হলো শান্তির অভিবাদন, যা মুসলমানদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য, ভালোবাসা ও ইমান বৃদ্ধি করে। সালাম দেওয়া সুন্নত হলেও এর জবাব দেওয়া ওয়াজিব। এই প্রেক্ষাপটে...
১ ঘণ্টা আগে
দেশপ্রেমের টানে জাতির জন্য যুগে যুগে বীর সেনানীরা আত্মোৎসর্গের খাতায় নাম লিখিয়েছেন; একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধেও তাই ঘটেছিল। সমাজের শিক্ষিত শ্রেণি থেকে শুরু করে দিনমজুর, কৃষক-শ্রমিক, সবাই শ্রেণি-বৈষম্য ভেদাভেদ ভুলে অংশ নিয়েছিলেন এই স্বাধীনতাসংগ্রামে।
২ ঘণ্টা আগে
স্বাধীনতা চাওয়া কোনো অপরাধ হতে পারে না। শোষণ, নির্যাতন ও জুলুমের প্রতিবাদ করা কোনো ভুল নয়। কিন্তু স্বাধীনতা চাওয়ার ‘অপরাধে’ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা করেছে। মা, বোন, শিশু কেউই রেহাই পায়নি।
২ ঘণ্টা আগেমুনীরুল ইসলাম

বিজয় মানুষের চিরন্তন স্বপ্ন। এই শব্দের মধ্যে আছে পরিশ্রমের দীপ্তি, ত্যাগের চিহ্ন ও আনন্দের সূর্যোদয়। ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে, বিজয় মানে আত্মতৃপ্তি নয়, বরং বিনয়; উল্লাস নয়, কৃতজ্ঞতা; প্রতিশোধ নয়, ক্ষমা। বিজয় ইসলামে একধরনের আত্মশুদ্ধি, যেখানে মানুষ আল্লাহর সামনে নত হয়ে বলে, ‘আলহামদুলিল্লাহ—সকল প্রশংসা আল্লাহর।’
ইসলামে বিজয়ের ধারণা
মানবসমাজে বিজয়ের অর্থ সাধারণত ক্ষমতা, প্রভাব, জয় বা আধিপত্য। কিন্তু ইসলামে বিজয় হলো আল্লাহর সাহায্যের প্রকাশ। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বিজয় তো শুধু আল্লাহর পক্ষ থেকেই।’ (সুরা আনফাল: ১০)। অর্থাৎ মুসলমান বিশ্বাস করে, যখন সে জয়লাভ করে, তখন তা নিজের বীরত্বের নয়, বরং আল্লাহর ইচ্ছা ও রহমতের ফল। সুতরাং ইসলামে বিজয় কখনো অহংকারে শেষ হয় না; বরং শুরু হয় কৃতজ্ঞতায়।
বিজয়ের প্রকৃত অর্থ ইসলামে দুটি স্তরে প্রকাশিত—১. বাহ্যিক বিজয়; যেমন যুদ্ধক্ষেত্র, ন্যায় প্রতিষ্ঠা, অন্যায়ের পরাজয়। ২. অভ্যন্তরীণ বিজয়; যেমন আত্মসংযম, নফসের ওপর জয়, পাপ থেকে বিরত থাকা। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আমরা ছোট জিহাদ থেকে ফিরে এলাম, এখন বড় জিহাদ শুরু হলো নিজের নফসের বিরুদ্ধে।’ অর্থাৎ সত্যিকারের বিজয় হলো, নিজের ভেতরের অন্ধকারকে পরাজিত করা।
মহানবী (সা.)-এর বিজয় উদ্যাপনের রীতি
ইসলামে বিজয় উদ্যাপনের সর্বোত্তম দৃষ্টান্ত মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে প্রতিফলিত হয়েছে। ইতিহাসে একাধিক যুদ্ধ ও শান্তিচুক্তির মাধ্যমে তিনি আল্লাহর সাহায্যে বিজয় অর্জন করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই তাঁর আচরণ ছিল অনন্য।
ক. ফাতহে মক্কা—বিনয়ের মহাগাথা: হিজরি অষ্টম সনে মক্কা বিজয়ের মুহূর্তে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) যখন শহরে প্রবেশ করলেন, তাঁর মাথা উটের কুঁজে নত ছিল। তিনি কোনো সোনার আসনে বসে প্রবেশ করেননি, বরং বলেছিলেন, ‘আজ প্রতিশোধের দিন নয়; আজ ক্ষমার দিন।’ এই বাক্য ইতিহাসে মানবিকতার এক অমর দলিল হয়ে আছে। শত্রুরা যারা তাঁকে তাড়িয়ে দিয়েছিল, তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল, আজ তারা সবাই তাঁর করুণার কারণে মুক্ত। মহানবী (সা.) ঘোষণা করলেন, ‘তোমরা সবাই মুক্ত।’ বিজয়ের এই দিন ছিল না রক্তের উল্লাসে ভরা; বরং ছিল ক্ষমা, কৃতজ্ঞতা ও আল্লাহর প্রশংসায় পূর্ণ।
খ. বদর ও হুনাইন যুদ্ধের শিক্ষা: বদর ছিল ইসলামের প্রথম সামরিক বিজয়। মহানবী (সা.) সেদিন সারা রাত আল্লাহর দরবারে দোয়া করেছেন, কেঁদেছেন, নামাজে দীর্ঘ কিয়াম করেছেন। তিনি জানতেন, এই বিজয় তাঁর নয়, এটি আল্লাহর অনুগ্রহ।
হুনাইন যুদ্ধে মুসলমানেরা সংখ্যায় বেশি ছিল, কিন্তু কিছু সময়ের জন্য তারা আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে পড়েছিল। কোরআনে আল্লাহ সতর্ক করলেন, ‘যখন তোমরা নিজেদের সংখ্যায় গর্ব করেছিলে, তখন তা তোমাদের কোনো উপকারে আসেনি।’ (সুরা তওবা: ২৫)। এই আয়াত মুসলমানদের মনে করিয়ে দেয়, অহংকার বিজয়কে পরাজয়ে রূপ দিতে পারে।
ইসলামের ইতিহাসে বিজয় উদ্যাপনের উদাহরণ
ক. সালাহউদ্দিন আইয়ুবির জেরুজালেম জয়: ক্রুসেডারদের থেকে জেরুজালেম পুনরুদ্ধারের পর সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবি শহরে প্রবেশ করলেন; সেখানে ছিল না কোনো যুদ্ধডঙ্কা, ছিল না কোনো প্রতিহিংসা। তিনি গির্জাগুলো রক্ষা করলেন, খ্রিষ্টানদের নিরাপত্তা দিলেন এবং প্রথমেই মসজিদুল আকসায় প্রবেশ করে নফল নামাজ আদায় করলেন। তাঁর মুখে ছিল একটিই কথা, ‘এই বিজয় আমাদের নয়, আল্লাহর।’
খ. তারিক বিন জিয়াদের স্পেন বিজয়: স্পেনে প্রবেশের আগে তারিক বিন জিয়াদ তাঁর সৈন্যদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘পেছনে সমুদ্র, সামনে শত্রু। আমরা একমাত্র আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল।’ বিজয়ের পর তিনি মসজিদ নির্মাণ করেন, শিক্ষার প্রসার ঘটান, দাস মুক্ত করেন। কোনো রাজকীয় উৎসব নয়, বরং ছিল ইবাদতের উৎসব।
গ. সুলতান মাহমুদ গজনবির হিন্দুস্তান জয়: সুলতান মাহমুদ গজনবি প্রতিবার বিজয়ের পর নিজেকে ‘আল্লাহর এক দাস’ বলতেন, কখনো ‘সম্রাট’ উপাধি নেননি। যুদ্ধলব্ধ সম্পদ তিনি মসজিদ, মাদ্রাসা ও দরিদ্রদের মাঝে বণ্টন করতেন।
বিজয়ের পর সমাজের দায়িত্ব
ইসলামে বিজয়ের পর সমাজে ন্যায়, শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজয় তখনই অর্থবহ, যখন তা দুর্বলদের মুক্তি দেয়, নির্যাতিতদের আশ্রয় দেয়। বিজয় যদি অন্যায় টিকিয়ে রাখে, অত্যাচার বাঁচিয়ে রাখে, তবে তা বিজয় নয়। ইসলামে বিজয় মানে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা, অন্যায়ের অবসান।
আজকের যুগে বিজয় মানে মিডিয়া কভারেজ, আতশবাজি, মিছিল, গান-বাদ্য ও নৃত্যের আসর। অনেক মুসলমানও পশ্চিমা ধাঁচে উৎসব পালন করে। কিন্তু এসব আচরণ ইসলামি সংস্কৃতির পরিপন্থী। ইসলাম শিক্ষা দেয়, বিজয়ের পর যত বড় আনন্দ, তত বড় দায়িত্ব। বিজয়ের পর যদি কেউ গরিবদের খাওয়ায়, নামাজে দীর্ঘ সিজদায় যায়, কোরআন পাঠ করে, দোয়া করে; তবেই সে ইসলামি বিজয় উদ্যাপন করেছে। আজ মুসলমানদের বিজয় শুধু যুদ্ধক্ষেত্রে নয়; তা হতে পারে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে, শিক্ষায়, বিজ্ঞানে, নৈতিকতায়, মানবসেবায়।
ইসলামে বিজয় মানে উৎসব নয়, আত্মসমর্পণ। এটি এক আধ্যাত্মিক উপলব্ধি, যেখানে মানুষ নিজের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে, আল্লাহর অনুগ্রহে মাথা নত করে। যে মুহূর্তে মহানবী (সা.) মক্কা জয় করলেন, তখন তাঁর চারপাশে ছিল হাজারো সৈন্য, তবু তাঁর চোখে ছিল অশ্রু, ঠোঁটে ছিল কৃতজ্ঞতার তাসবিহ। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিজয় সেদিন উদ্যাপিত হয়েছিল এক নীরব সিজদায়। আজও যে মুসলমান বিজয়ের পর সিজদায় পড়ে যায়, গরিবকে খাওয়ায়, ক্ষমা করে, অহংকার ত্যাগ করে; সেই মানুষই সত্যিকারের বিজয়ী।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম; পরিচালক, সম্পাদনা কেন্দ্র

বিজয় মানুষের চিরন্তন স্বপ্ন। এই শব্দের মধ্যে আছে পরিশ্রমের দীপ্তি, ত্যাগের চিহ্ন ও আনন্দের সূর্যোদয়। ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে, বিজয় মানে আত্মতৃপ্তি নয়, বরং বিনয়; উল্লাস নয়, কৃতজ্ঞতা; প্রতিশোধ নয়, ক্ষমা। বিজয় ইসলামে একধরনের আত্মশুদ্ধি, যেখানে মানুষ আল্লাহর সামনে নত হয়ে বলে, ‘আলহামদুলিল্লাহ—সকল প্রশংসা আল্লাহর।’
ইসলামে বিজয়ের ধারণা
মানবসমাজে বিজয়ের অর্থ সাধারণত ক্ষমতা, প্রভাব, জয় বা আধিপত্য। কিন্তু ইসলামে বিজয় হলো আল্লাহর সাহায্যের প্রকাশ। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বিজয় তো শুধু আল্লাহর পক্ষ থেকেই।’ (সুরা আনফাল: ১০)। অর্থাৎ মুসলমান বিশ্বাস করে, যখন সে জয়লাভ করে, তখন তা নিজের বীরত্বের নয়, বরং আল্লাহর ইচ্ছা ও রহমতের ফল। সুতরাং ইসলামে বিজয় কখনো অহংকারে শেষ হয় না; বরং শুরু হয় কৃতজ্ঞতায়।
বিজয়ের প্রকৃত অর্থ ইসলামে দুটি স্তরে প্রকাশিত—১. বাহ্যিক বিজয়; যেমন যুদ্ধক্ষেত্র, ন্যায় প্রতিষ্ঠা, অন্যায়ের পরাজয়। ২. অভ্যন্তরীণ বিজয়; যেমন আত্মসংযম, নফসের ওপর জয়, পাপ থেকে বিরত থাকা। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আমরা ছোট জিহাদ থেকে ফিরে এলাম, এখন বড় জিহাদ শুরু হলো নিজের নফসের বিরুদ্ধে।’ অর্থাৎ সত্যিকারের বিজয় হলো, নিজের ভেতরের অন্ধকারকে পরাজিত করা।
মহানবী (সা.)-এর বিজয় উদ্যাপনের রীতি
ইসলামে বিজয় উদ্যাপনের সর্বোত্তম দৃষ্টান্ত মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে প্রতিফলিত হয়েছে। ইতিহাসে একাধিক যুদ্ধ ও শান্তিচুক্তির মাধ্যমে তিনি আল্লাহর সাহায্যে বিজয় অর্জন করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই তাঁর আচরণ ছিল অনন্য।
ক. ফাতহে মক্কা—বিনয়ের মহাগাথা: হিজরি অষ্টম সনে মক্কা বিজয়ের মুহূর্তে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) যখন শহরে প্রবেশ করলেন, তাঁর মাথা উটের কুঁজে নত ছিল। তিনি কোনো সোনার আসনে বসে প্রবেশ করেননি, বরং বলেছিলেন, ‘আজ প্রতিশোধের দিন নয়; আজ ক্ষমার দিন।’ এই বাক্য ইতিহাসে মানবিকতার এক অমর দলিল হয়ে আছে। শত্রুরা যারা তাঁকে তাড়িয়ে দিয়েছিল, তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল, আজ তারা সবাই তাঁর করুণার কারণে মুক্ত। মহানবী (সা.) ঘোষণা করলেন, ‘তোমরা সবাই মুক্ত।’ বিজয়ের এই দিন ছিল না রক্তের উল্লাসে ভরা; বরং ছিল ক্ষমা, কৃতজ্ঞতা ও আল্লাহর প্রশংসায় পূর্ণ।
খ. বদর ও হুনাইন যুদ্ধের শিক্ষা: বদর ছিল ইসলামের প্রথম সামরিক বিজয়। মহানবী (সা.) সেদিন সারা রাত আল্লাহর দরবারে দোয়া করেছেন, কেঁদেছেন, নামাজে দীর্ঘ কিয়াম করেছেন। তিনি জানতেন, এই বিজয় তাঁর নয়, এটি আল্লাহর অনুগ্রহ।
হুনাইন যুদ্ধে মুসলমানেরা সংখ্যায় বেশি ছিল, কিন্তু কিছু সময়ের জন্য তারা আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে পড়েছিল। কোরআনে আল্লাহ সতর্ক করলেন, ‘যখন তোমরা নিজেদের সংখ্যায় গর্ব করেছিলে, তখন তা তোমাদের কোনো উপকারে আসেনি।’ (সুরা তওবা: ২৫)। এই আয়াত মুসলমানদের মনে করিয়ে দেয়, অহংকার বিজয়কে পরাজয়ে রূপ দিতে পারে।
ইসলামের ইতিহাসে বিজয় উদ্যাপনের উদাহরণ
ক. সালাহউদ্দিন আইয়ুবির জেরুজালেম জয়: ক্রুসেডারদের থেকে জেরুজালেম পুনরুদ্ধারের পর সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবি শহরে প্রবেশ করলেন; সেখানে ছিল না কোনো যুদ্ধডঙ্কা, ছিল না কোনো প্রতিহিংসা। তিনি গির্জাগুলো রক্ষা করলেন, খ্রিষ্টানদের নিরাপত্তা দিলেন এবং প্রথমেই মসজিদুল আকসায় প্রবেশ করে নফল নামাজ আদায় করলেন। তাঁর মুখে ছিল একটিই কথা, ‘এই বিজয় আমাদের নয়, আল্লাহর।’
খ. তারিক বিন জিয়াদের স্পেন বিজয়: স্পেনে প্রবেশের আগে তারিক বিন জিয়াদ তাঁর সৈন্যদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘পেছনে সমুদ্র, সামনে শত্রু। আমরা একমাত্র আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল।’ বিজয়ের পর তিনি মসজিদ নির্মাণ করেন, শিক্ষার প্রসার ঘটান, দাস মুক্ত করেন। কোনো রাজকীয় উৎসব নয়, বরং ছিল ইবাদতের উৎসব।
গ. সুলতান মাহমুদ গজনবির হিন্দুস্তান জয়: সুলতান মাহমুদ গজনবি প্রতিবার বিজয়ের পর নিজেকে ‘আল্লাহর এক দাস’ বলতেন, কখনো ‘সম্রাট’ উপাধি নেননি। যুদ্ধলব্ধ সম্পদ তিনি মসজিদ, মাদ্রাসা ও দরিদ্রদের মাঝে বণ্টন করতেন।
বিজয়ের পর সমাজের দায়িত্ব
ইসলামে বিজয়ের পর সমাজে ন্যায়, শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজয় তখনই অর্থবহ, যখন তা দুর্বলদের মুক্তি দেয়, নির্যাতিতদের আশ্রয় দেয়। বিজয় যদি অন্যায় টিকিয়ে রাখে, অত্যাচার বাঁচিয়ে রাখে, তবে তা বিজয় নয়। ইসলামে বিজয় মানে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা, অন্যায়ের অবসান।
আজকের যুগে বিজয় মানে মিডিয়া কভারেজ, আতশবাজি, মিছিল, গান-বাদ্য ও নৃত্যের আসর। অনেক মুসলমানও পশ্চিমা ধাঁচে উৎসব পালন করে। কিন্তু এসব আচরণ ইসলামি সংস্কৃতির পরিপন্থী। ইসলাম শিক্ষা দেয়, বিজয়ের পর যত বড় আনন্দ, তত বড় দায়িত্ব। বিজয়ের পর যদি কেউ গরিবদের খাওয়ায়, নামাজে দীর্ঘ সিজদায় যায়, কোরআন পাঠ করে, দোয়া করে; তবেই সে ইসলামি বিজয় উদ্যাপন করেছে। আজ মুসলমানদের বিজয় শুধু যুদ্ধক্ষেত্রে নয়; তা হতে পারে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে, শিক্ষায়, বিজ্ঞানে, নৈতিকতায়, মানবসেবায়।
ইসলামে বিজয় মানে উৎসব নয়, আত্মসমর্পণ। এটি এক আধ্যাত্মিক উপলব্ধি, যেখানে মানুষ নিজের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে, আল্লাহর অনুগ্রহে মাথা নত করে। যে মুহূর্তে মহানবী (সা.) মক্কা জয় করলেন, তখন তাঁর চারপাশে ছিল হাজারো সৈন্য, তবু তাঁর চোখে ছিল অশ্রু, ঠোঁটে ছিল কৃতজ্ঞতার তাসবিহ। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিজয় সেদিন উদ্যাপিত হয়েছিল এক নীরব সিজদায়। আজও যে মুসলমান বিজয়ের পর সিজদায় পড়ে যায়, গরিবকে খাওয়ায়, ক্ষমা করে, অহংকার ত্যাগ করে; সেই মানুষই সত্যিকারের বিজয়ী।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম; পরিচালক, সম্পাদনা কেন্দ্র

যেকোনো নির্মাণের জন্য একটি নিখুঁত মডেল বা নকশা অপরিহার্য। এটি যেমন বস্তুগত নির্মাণের ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি মানুষের জীবন গড়ার মতো সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও তা আরও বেশি জরুরি। জীবনের পথে সঠিক দিশা পেতে এবং নিজেকে একজন সুশীল ও উৎকর্ষমণ্ডিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি পূর্ণাঙ্গ মডেলের অনুসরণ...
১ দিন আগে
আপনার প্রশ্নটি খুবই বাস্তবসম্মত এবং দৈনন্দিন জীবনে বহুবার সম্মুখীন হওয়া একটি বিষয়। ইসলামে সালাম হলো শান্তির অভিবাদন, যা মুসলমানদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য, ভালোবাসা ও ইমান বৃদ্ধি করে। সালাম দেওয়া সুন্নত হলেও এর জবাব দেওয়া ওয়াজিব। এই প্রেক্ষাপটে...
১ ঘণ্টা আগে
দেশপ্রেমের টানে জাতির জন্য যুগে যুগে বীর সেনানীরা আত্মোৎসর্গের খাতায় নাম লিখিয়েছেন; একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধেও তাই ঘটেছিল। সমাজের শিক্ষিত শ্রেণি থেকে শুরু করে দিনমজুর, কৃষক-শ্রমিক, সবাই শ্রেণি-বৈষম্য ভেদাভেদ ভুলে অংশ নিয়েছিলেন এই স্বাধীনতাসংগ্রামে।
২ ঘণ্টা আগে
স্বাধীনতা চাওয়া কোনো অপরাধ হতে পারে না। শোষণ, নির্যাতন ও জুলুমের প্রতিবাদ করা কোনো ভুল নয়। কিন্তু স্বাধীনতা চাওয়ার ‘অপরাধে’ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা করেছে। মা, বোন, শিশু কেউই রেহাই পায়নি।
২ ঘণ্টা আগেমুফতি শাব্বির আহমদ

প্রশ্ন: কারও সঙ্গে দেখা হলে অনেক সময় দেখা যায়, দুজনেই একসঙ্গে সালাম দিয়ে ফেলি? এ ক্ষেত্রে কার সালাম গ্রহণ করা হবে এবং কে উত্তর দেবে? এ বিষয়ে ইসলামের বিধান জানালে উপকৃত হবো।
কৌশিক ইসলাম, ধানমন্ডি, ঢাকা।
উত্তর: আপনার প্রশ্নটি খুবই বাস্তবসম্মত এবং দৈনন্দিন জীবনে বহুবার সম্মুখীন হওয়া একটি বিষয়। ইসলামে সালাম হলো শান্তির অভিবাদন, যা মুসলমানদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য, ভালোবাসা ও ইমান বৃদ্ধি করে। সালাম দেওয়া সুন্নত হলেও এর জবাব দেওয়া ওয়াজিব। এই প্রেক্ষাপটে, দুজন ব্যক্তি যদি একই সময়ে একে অপরকে সালাম দেন, তাহলে ইসলামি শরিয়তে এর সমাধান নিম্নরূপ:
১. যদি দুজন একসঙ্গে সালাম দেন: যদি দুজন ব্যক্তি প্রায় একই মুহূর্তে বা একসঙ্গে একে অপরকে সালাম দেন (অর্থাৎ আগে-পরে হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট না হয়), তবে ইসলামি আইন ও ফিকাহ শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রত্যেকের ওপর একে অপরের সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব বা আবশ্যক হবে। অর্থাৎ যেহেতু উভয়ই প্রাথমিক অবস্থায় সালাম দিয়েছেন, তাই প্রত্যেকেই তাঁর সঙ্গীর সালামের জবাব দেওয়ার দায়িত্ব বহন করবেন। প্রত্যেকেই তাঁর সঙ্গীর সালামের উত্তর ‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম, ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ’ বলে দেবেন। এটি সালামের ওয়াজিব হক আদায় করার সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়।
২. যদি সালাম আগে-পরে হয়ে যায়: যদি দেখা যায় যে, সালাম দেওয়ার ক্ষেত্রে সামান্য আগে-পরে হয়ে গেছে (যদিও মনে হচ্ছে একসঙ্গে দেওয়া হয়েছে), তাহলে বিধানটি ভিন্ন হবে। এ ক্ষেত্রে পরবর্তী সালামটি পূর্ববর্তী সালামের জবাব হিসেবে গণ্য হবে। উদাহরণস্বরূপ, ব্যক্তি ‘ক’ প্রথমে সালাম দিলেন এবং মুহূর্তের মধ্যে ব্যক্তি ‘খ’ও সালাম দিলেন। এক্ষেত্রে ‘খ’-এর দেওয়া সালামটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘ক’-এর সালামের জবাব হিসেবে ধর্তব্য হয়ে যাবে। তাই এই দ্বিতীয় ক্ষেত্রে (আগে-পরে হলে) পরবর্তী সময়ে কারও জন্যই পুনরায় জবাব দেওয়া আবশ্যক হবে না।
তবে প্রথম ক্ষেত্রে যদি নিশ্চিতভাবে বোঝা যায় যে দুজনই প্রায় একযোগে দিয়েছেন, তখন প্রত্যেকে উত্তর দেওয়া উত্তম ও ওয়াজিব।
গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা
সালামের এই গুরুত্বপূর্ণ আমলটির ক্ষেত্রে আরও কিছু বিষয় মনে রাখা ভালো:
সুতরাং, আপনার প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়—একসঙ্গে দুজনই সালাম দিলে প্রত্যেককেই তাঁর সঙ্গীর সালামের জবাব দিতে হবে, যেন সালামের ওয়াজিব হক আদায় হয়।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি শাব্বির আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক

প্রশ্ন: কারও সঙ্গে দেখা হলে অনেক সময় দেখা যায়, দুজনেই একসঙ্গে সালাম দিয়ে ফেলি? এ ক্ষেত্রে কার সালাম গ্রহণ করা হবে এবং কে উত্তর দেবে? এ বিষয়ে ইসলামের বিধান জানালে উপকৃত হবো।
কৌশিক ইসলাম, ধানমন্ডি, ঢাকা।
উত্তর: আপনার প্রশ্নটি খুবই বাস্তবসম্মত এবং দৈনন্দিন জীবনে বহুবার সম্মুখীন হওয়া একটি বিষয়। ইসলামে সালাম হলো শান্তির অভিবাদন, যা মুসলমানদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য, ভালোবাসা ও ইমান বৃদ্ধি করে। সালাম দেওয়া সুন্নত হলেও এর জবাব দেওয়া ওয়াজিব। এই প্রেক্ষাপটে, দুজন ব্যক্তি যদি একই সময়ে একে অপরকে সালাম দেন, তাহলে ইসলামি শরিয়তে এর সমাধান নিম্নরূপ:
১. যদি দুজন একসঙ্গে সালাম দেন: যদি দুজন ব্যক্তি প্রায় একই মুহূর্তে বা একসঙ্গে একে অপরকে সালাম দেন (অর্থাৎ আগে-পরে হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট না হয়), তবে ইসলামি আইন ও ফিকাহ শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রত্যেকের ওপর একে অপরের সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব বা আবশ্যক হবে। অর্থাৎ যেহেতু উভয়ই প্রাথমিক অবস্থায় সালাম দিয়েছেন, তাই প্রত্যেকেই তাঁর সঙ্গীর সালামের জবাব দেওয়ার দায়িত্ব বহন করবেন। প্রত্যেকেই তাঁর সঙ্গীর সালামের উত্তর ‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম, ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ’ বলে দেবেন। এটি সালামের ওয়াজিব হক আদায় করার সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়।
২. যদি সালাম আগে-পরে হয়ে যায়: যদি দেখা যায় যে, সালাম দেওয়ার ক্ষেত্রে সামান্য আগে-পরে হয়ে গেছে (যদিও মনে হচ্ছে একসঙ্গে দেওয়া হয়েছে), তাহলে বিধানটি ভিন্ন হবে। এ ক্ষেত্রে পরবর্তী সালামটি পূর্ববর্তী সালামের জবাব হিসেবে গণ্য হবে। উদাহরণস্বরূপ, ব্যক্তি ‘ক’ প্রথমে সালাম দিলেন এবং মুহূর্তের মধ্যে ব্যক্তি ‘খ’ও সালাম দিলেন। এক্ষেত্রে ‘খ’-এর দেওয়া সালামটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘ক’-এর সালামের জবাব হিসেবে ধর্তব্য হয়ে যাবে। তাই এই দ্বিতীয় ক্ষেত্রে (আগে-পরে হলে) পরবর্তী সময়ে কারও জন্যই পুনরায় জবাব দেওয়া আবশ্যক হবে না।
তবে প্রথম ক্ষেত্রে যদি নিশ্চিতভাবে বোঝা যায় যে দুজনই প্রায় একযোগে দিয়েছেন, তখন প্রত্যেকে উত্তর দেওয়া উত্তম ও ওয়াজিব।
গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা
সালামের এই গুরুত্বপূর্ণ আমলটির ক্ষেত্রে আরও কিছু বিষয় মনে রাখা ভালো:
সুতরাং, আপনার প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়—একসঙ্গে দুজনই সালাম দিলে প্রত্যেককেই তাঁর সঙ্গীর সালামের জবাব দিতে হবে, যেন সালামের ওয়াজিব হক আদায় হয়।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি শাব্বির আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক

যেকোনো নির্মাণের জন্য একটি নিখুঁত মডেল বা নকশা অপরিহার্য। এটি যেমন বস্তুগত নির্মাণের ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি মানুষের জীবন গড়ার মতো সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও তা আরও বেশি জরুরি। জীবনের পথে সঠিক দিশা পেতে এবং নিজেকে একজন সুশীল ও উৎকর্ষমণ্ডিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি পূর্ণাঙ্গ মডেলের অনুসরণ...
১ দিন আগে
বিজয় মানুষের চিরন্তন স্বপ্ন। এই শব্দের মধ্যে আছে পরিশ্রমের দীপ্তি, ত্যাগের চিহ্ন ও আনন্দের সূর্যোদয়। ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে, বিজয় মানে আত্মতৃপ্তি নয়, বরং বিনয়; উল্লাস নয়, কৃতজ্ঞতা; প্রতিশোধ নয়, ক্ষমা। বিজয় ইসলামে একধরনের আত্মশুদ্ধি, যেখানে মানুষ আল্লাহর...
১ ঘণ্টা আগে
দেশপ্রেমের টানে জাতির জন্য যুগে যুগে বীর সেনানীরা আত্মোৎসর্গের খাতায় নাম লিখিয়েছেন; একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধেও তাই ঘটেছিল। সমাজের শিক্ষিত শ্রেণি থেকে শুরু করে দিনমজুর, কৃষক-শ্রমিক, সবাই শ্রেণি-বৈষম্য ভেদাভেদ ভুলে অংশ নিয়েছিলেন এই স্বাধীনতাসংগ্রামে।
২ ঘণ্টা আগে
স্বাধীনতা চাওয়া কোনো অপরাধ হতে পারে না। শোষণ, নির্যাতন ও জুলুমের প্রতিবাদ করা কোনো ভুল নয়। কিন্তু স্বাধীনতা চাওয়ার ‘অপরাধে’ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা করেছে। মা, বোন, শিশু কেউই রেহাই পায়নি।
২ ঘণ্টা আগেজুবায়ের বিন মামুন

দেশপ্রেমের টানে জাতির জন্য যুগে যুগে বীর সেনানীরা আত্মোৎসর্গের খাতায় নাম লিখিয়েছেন; একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধেও তাই ঘটেছিল। সমাজের শিক্ষিত শ্রেণি থেকে শুরু করে দিনমজুর, কৃষক-শ্রমিক, সবাই শ্রেণি-বৈষম্য ভেদাভেদ ভুলে অংশ নিয়েছিলেন এই স্বাধীনতাসংগ্রামে। এ ক্ষেত্রে দেশের আলেম সমাজের ভূমিকাও ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাঁরাও একটি স্বাধীন সার্বভৌম মানচিত্র অর্জনের সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছেন।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
এ দেশের নির্যাতিত-নিপীড়িত, মেহনতি মানুষের মুক্তির দিশারি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসে তিনি এক অনবদ্য অবদান রেখেছিলেন। তিনি ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের সয়াধানগড়া পল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন। মওলানা ভাসানী সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি ছিলেন, যেটি ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে গঠিত হয়। দেশবরেণ্য এই নেতা ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ
সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার তারুটিয়া (রশিদাবাদ) গ্রামে ১৯০০ সালে জন্মগ্রহণ করেন মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ। তিনি একাধারে অসহযোগ আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, শিক্ষা আন্দোলন, গণ-অভ্যুত্থান এবং একাত্তরের মুক্তি সংগ্রামসহ জাতির প্রতিটি দুর্যোগে আপসহীন নির্ভীক সিপাহির ন্যায় ভূমিকা রেখেছিলেন। এই নেতা ১৯৮৬ সালের ২০ আগস্ট পরপারে পাড়ি জমান।

মাওলানা উবায়দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী ও মাওলানা আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী (রহ.)
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন দুই ভাই মাওলানা উবায়দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী ও মাওলানা আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী (রহ.)। একাত্তরের সংগ্রামমুখর দিনগুলোতে তাঁরা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কোরআনভিত্তিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। তাঁরা ‘ইসলামের দৃষ্টিতে ছয় দফা’ বই লিখেও বিতরণ করেন।

মাওলানা অলিউর রহমান
১৯৩২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের আসাম প্রদেশের সিলেট জেলার মইয়ারচর গ্রামে জন্ম হয় মাওলানা অলিউর রহমানের। তিনি পূর্বপাকিস্তানের একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক, অনুবাদক ও তাফসিরকারক ছিলেন। উলামা পার্টির এই প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সময় আলবদর বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছিলেন।

মাওলানা শামসুল হুদা পাঁচবাগী
শামসুল হুদা পাঁচবাগী (রহ.) ১৮৯৭ সালে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের মাইজবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি স্বাধীন বঙ্গদেশ আন্দোলন এবং জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি বঙ্গীয় ও পূর্বপাকিস্তান আইনসভার সদস্যও ছিলেন। ষাটের দশকে তিনি রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে নারীদের রক্ষায় কাজ করেছেন। এ ছাড়া যুদ্ধের সময়ে তিনি সংখ্যালঘুদের রক্ষায়ও কাজ করেছেন। তিনি ১৯৭১ সালে অনেক মানুষকে আশ্রয় ও খাদ্য দিয়েছিলেন। তিনি যুবকদের স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। মাওলানা শামসুল হুদা পাঁচবাগী ১৯৮৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
এ ছাড়া আরও অসংখ্য আলেম মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং নানাভাবে সহযোগিতা করেন।
তথ্যঋণ: শাকের হোসাইন শিবলি রচিত ‘আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে।’

দেশপ্রেমের টানে জাতির জন্য যুগে যুগে বীর সেনানীরা আত্মোৎসর্গের খাতায় নাম লিখিয়েছেন; একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধেও তাই ঘটেছিল। সমাজের শিক্ষিত শ্রেণি থেকে শুরু করে দিনমজুর, কৃষক-শ্রমিক, সবাই শ্রেণি-বৈষম্য ভেদাভেদ ভুলে অংশ নিয়েছিলেন এই স্বাধীনতাসংগ্রামে। এ ক্ষেত্রে দেশের আলেম সমাজের ভূমিকাও ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাঁরাও একটি স্বাধীন সার্বভৌম মানচিত্র অর্জনের সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছেন।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
এ দেশের নির্যাতিত-নিপীড়িত, মেহনতি মানুষের মুক্তির দিশারি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসে তিনি এক অনবদ্য অবদান রেখেছিলেন। তিনি ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের সয়াধানগড়া পল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন। মওলানা ভাসানী সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি ছিলেন, যেটি ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে গঠিত হয়। দেশবরেণ্য এই নেতা ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ
সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার তারুটিয়া (রশিদাবাদ) গ্রামে ১৯০০ সালে জন্মগ্রহণ করেন মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ। তিনি একাধারে অসহযোগ আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, শিক্ষা আন্দোলন, গণ-অভ্যুত্থান এবং একাত্তরের মুক্তি সংগ্রামসহ জাতির প্রতিটি দুর্যোগে আপসহীন নির্ভীক সিপাহির ন্যায় ভূমিকা রেখেছিলেন। এই নেতা ১৯৮৬ সালের ২০ আগস্ট পরপারে পাড়ি জমান।

মাওলানা উবায়দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী ও মাওলানা আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী (রহ.)
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন দুই ভাই মাওলানা উবায়দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী ও মাওলানা আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী (রহ.)। একাত্তরের সংগ্রামমুখর দিনগুলোতে তাঁরা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কোরআনভিত্তিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। তাঁরা ‘ইসলামের দৃষ্টিতে ছয় দফা’ বই লিখেও বিতরণ করেন।

মাওলানা অলিউর রহমান
১৯৩২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের আসাম প্রদেশের সিলেট জেলার মইয়ারচর গ্রামে জন্ম হয় মাওলানা অলিউর রহমানের। তিনি পূর্বপাকিস্তানের একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক, অনুবাদক ও তাফসিরকারক ছিলেন। উলামা পার্টির এই প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সময় আলবদর বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছিলেন।

মাওলানা শামসুল হুদা পাঁচবাগী
শামসুল হুদা পাঁচবাগী (রহ.) ১৮৯৭ সালে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের মাইজবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি স্বাধীন বঙ্গদেশ আন্দোলন এবং জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি বঙ্গীয় ও পূর্বপাকিস্তান আইনসভার সদস্যও ছিলেন। ষাটের দশকে তিনি রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে নারীদের রক্ষায় কাজ করেছেন। এ ছাড়া যুদ্ধের সময়ে তিনি সংখ্যালঘুদের রক্ষায়ও কাজ করেছেন। তিনি ১৯৭১ সালে অনেক মানুষকে আশ্রয় ও খাদ্য দিয়েছিলেন। তিনি যুবকদের স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। মাওলানা শামসুল হুদা পাঁচবাগী ১৯৮৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
এ ছাড়া আরও অসংখ্য আলেম মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং নানাভাবে সহযোগিতা করেন।
তথ্যঋণ: শাকের হোসাইন শিবলি রচিত ‘আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে।’

যেকোনো নির্মাণের জন্য একটি নিখুঁত মডেল বা নকশা অপরিহার্য। এটি যেমন বস্তুগত নির্মাণের ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি মানুষের জীবন গড়ার মতো সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও তা আরও বেশি জরুরি। জীবনের পথে সঠিক দিশা পেতে এবং নিজেকে একজন সুশীল ও উৎকর্ষমণ্ডিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি পূর্ণাঙ্গ মডেলের অনুসরণ...
১ দিন আগে
বিজয় মানুষের চিরন্তন স্বপ্ন। এই শব্দের মধ্যে আছে পরিশ্রমের দীপ্তি, ত্যাগের চিহ্ন ও আনন্দের সূর্যোদয়। ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে, বিজয় মানে আত্মতৃপ্তি নয়, বরং বিনয়; উল্লাস নয়, কৃতজ্ঞতা; প্রতিশোধ নয়, ক্ষমা। বিজয় ইসলামে একধরনের আত্মশুদ্ধি, যেখানে মানুষ আল্লাহর...
১ ঘণ্টা আগে
আপনার প্রশ্নটি খুবই বাস্তবসম্মত এবং দৈনন্দিন জীবনে বহুবার সম্মুখীন হওয়া একটি বিষয়। ইসলামে সালাম হলো শান্তির অভিবাদন, যা মুসলমানদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য, ভালোবাসা ও ইমান বৃদ্ধি করে। সালাম দেওয়া সুন্নত হলেও এর জবাব দেওয়া ওয়াজিব। এই প্রেক্ষাপটে...
১ ঘণ্টা আগে
স্বাধীনতা চাওয়া কোনো অপরাধ হতে পারে না। শোষণ, নির্যাতন ও জুলুমের প্রতিবাদ করা কোনো ভুল নয়। কিন্তু স্বাধীনতা চাওয়ার ‘অপরাধে’ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা করেছে। মা, বোন, শিশু কেউই রেহাই পায়নি।
২ ঘণ্টা আগেমুহাম্মদ শফিকুর রহমান

স্বাধীনতা চাওয়া কোনো অপরাধ হতে পারে না। শোষণ, নির্যাতন ও জুলুমের প্রতিবাদ করা কোনো ভুল নয়। কিন্তু স্বাধীনতা চাওয়ার ‘অপরাধে’ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা করেছে। মা, বোন, শিশু কেউই রেহাই পায়নি। বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে; নির্বিচারে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন অসংখ্য মা-বোন। মানব ইতিহাসে এমন নিকৃষ্ট ঘটনা বিরল।
নরহত্যা ও জুলুমের ভয়াবহতা
ইসলামের দৃষ্টিতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড চরমভাবে নিন্দনীয়। নিরপরাধ মানুষ হত্যার মতো পাপ আর হয় না। নরহত্যাকারীদের স্থায়ী আবাস হলো জাহান্নাম।
আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘নরহত্যা বা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে হত্যা করল; আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানবগোষ্ঠীর প্রাণ রক্ষা করল।’ (সুরা মায়িদা: ৩২)
আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এই কাজের ভয়াবহতা সম্পর্কে বলেছেন, ‘দুনিয়া ধ্বংস করে দেওয়ার চেয়েও আল্লাহর কাছে ঘৃণিত কাজ হলো মানুষ হত্যা করা।’ (জামে তিরমিজি)। অন্য এক হাদিসে এসেছে, ‘যদি আসমান-জমিনের সব অধিবাসী একজন মুসলমানকে অবৈধভাবে হত্যা করার জন্য একমত পোষণ করে, তবে আল্লাহ সবাইকে অবশ্যই জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।’ (মুসনাদে আহমদ)
মজলুমের স্বাধীনতাযুদ্ধ
মুক্তিযুদ্ধে বিজয় মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিরাট দান ও অশেষ নেয়ামত। হাকিমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলি থানভি (রহ.)-এর খলিফা হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বলেন, ‘এটা হচ্ছে জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের যুদ্ধ। পাকিস্তানিরা হচ্ছে জালেম আর আমরা বাঙালিরা হচ্ছি মজলুম।’
ইসলাম স্বাধীনতাযুদ্ধকে সমর্থন দেয়; দাসত্ব ও গোলামিকে নয়। সে কারণে আলেম-ওলামাদের অনেকেই পাকিস্তানি শাসকদের জুলুম-নির্যাতনের প্রতিবাদ করেছেন। অনেকে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তাঁদের এই অবস্থান কোরআন ও হাদিস-সমর্থিত।
শুধু পাকিস্তানি হানাদারেরাই নয়, এ দেশীয় যারা তাদের সহযোগিতা করেছে, তারাও সমান অপরাধী এবং নরহত্যার দোষে দোষী। নিরপরাধ বাঙালির ওপর যারা জুলুম চালিয়েছে, তাদের জন্য মহা আজাবের সতর্কবার্তা রয়েছে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘জালিমরা যা করছে, সে সম্পর্কে তোমরা আল্লাহকে উদাসীন ভেবো না। তিনি তাদের ছাড় দিয়ে যাচ্ছেন ওই দিন পর্যন্ত, যেদিন চোখগুলো সব আতঙ্কে বড় বড় হয়ে যাবে।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪৩)। অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘জালিমদের কোনো বন্ধু নেই এবং সুপারিশকারীও নেই, যার সুপারিশ গ্রাহ্য হবে। (সুরা মুমিন: ১৮)
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন মুয়াজ (রা.)-কে ইয়েমেনে পাঠান এবং তাকে বলেন, ‘মজলুমের ফরিয়াদকে ভয় করবে। কেননা তার ফরিয়াদ এবং আল্লাহর মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৪৪৮)। অন্য এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জুলুম কিয়ামতের দিন অন্ধকার হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৪৪৭)
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আমাদের করণীয়
মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান এবং স্বাধীনতার মহান কারিগর। তাঁদের জন্য আন্তরিকতার সঙ্গে দোয়া করা, তাঁদের ত্যাগ ও আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখা, তাঁদের সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের পাশাপাশি আমাদের সবার কর্তব্য।

স্বাধীনতা চাওয়া কোনো অপরাধ হতে পারে না। শোষণ, নির্যাতন ও জুলুমের প্রতিবাদ করা কোনো ভুল নয়। কিন্তু স্বাধীনতা চাওয়ার ‘অপরাধে’ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা করেছে। মা, বোন, শিশু কেউই রেহাই পায়নি। বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে; নির্বিচারে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন অসংখ্য মা-বোন। মানব ইতিহাসে এমন নিকৃষ্ট ঘটনা বিরল।
নরহত্যা ও জুলুমের ভয়াবহতা
ইসলামের দৃষ্টিতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড চরমভাবে নিন্দনীয়। নিরপরাধ মানুষ হত্যার মতো পাপ আর হয় না। নরহত্যাকারীদের স্থায়ী আবাস হলো জাহান্নাম।
আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘নরহত্যা বা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে হত্যা করল; আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানবগোষ্ঠীর প্রাণ রক্ষা করল।’ (সুরা মায়িদা: ৩২)
আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এই কাজের ভয়াবহতা সম্পর্কে বলেছেন, ‘দুনিয়া ধ্বংস করে দেওয়ার চেয়েও আল্লাহর কাছে ঘৃণিত কাজ হলো মানুষ হত্যা করা।’ (জামে তিরমিজি)। অন্য এক হাদিসে এসেছে, ‘যদি আসমান-জমিনের সব অধিবাসী একজন মুসলমানকে অবৈধভাবে হত্যা করার জন্য একমত পোষণ করে, তবে আল্লাহ সবাইকে অবশ্যই জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।’ (মুসনাদে আহমদ)
মজলুমের স্বাধীনতাযুদ্ধ
মুক্তিযুদ্ধে বিজয় মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিরাট দান ও অশেষ নেয়ামত। হাকিমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলি থানভি (রহ.)-এর খলিফা হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বলেন, ‘এটা হচ্ছে জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের যুদ্ধ। পাকিস্তানিরা হচ্ছে জালেম আর আমরা বাঙালিরা হচ্ছি মজলুম।’
ইসলাম স্বাধীনতাযুদ্ধকে সমর্থন দেয়; দাসত্ব ও গোলামিকে নয়। সে কারণে আলেম-ওলামাদের অনেকেই পাকিস্তানি শাসকদের জুলুম-নির্যাতনের প্রতিবাদ করেছেন। অনেকে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তাঁদের এই অবস্থান কোরআন ও হাদিস-সমর্থিত।
শুধু পাকিস্তানি হানাদারেরাই নয়, এ দেশীয় যারা তাদের সহযোগিতা করেছে, তারাও সমান অপরাধী এবং নরহত্যার দোষে দোষী। নিরপরাধ বাঙালির ওপর যারা জুলুম চালিয়েছে, তাদের জন্য মহা আজাবের সতর্কবার্তা রয়েছে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘জালিমরা যা করছে, সে সম্পর্কে তোমরা আল্লাহকে উদাসীন ভেবো না। তিনি তাদের ছাড় দিয়ে যাচ্ছেন ওই দিন পর্যন্ত, যেদিন চোখগুলো সব আতঙ্কে বড় বড় হয়ে যাবে।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪৩)। অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘জালিমদের কোনো বন্ধু নেই এবং সুপারিশকারীও নেই, যার সুপারিশ গ্রাহ্য হবে। (সুরা মুমিন: ১৮)
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন মুয়াজ (রা.)-কে ইয়েমেনে পাঠান এবং তাকে বলেন, ‘মজলুমের ফরিয়াদকে ভয় করবে। কেননা তার ফরিয়াদ এবং আল্লাহর মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৪৪৮)। অন্য এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জুলুম কিয়ামতের দিন অন্ধকার হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৪৪৭)
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আমাদের করণীয়
মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান এবং স্বাধীনতার মহান কারিগর। তাঁদের জন্য আন্তরিকতার সঙ্গে দোয়া করা, তাঁদের ত্যাগ ও আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখা, তাঁদের সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের পাশাপাশি আমাদের সবার কর্তব্য।

যেকোনো নির্মাণের জন্য একটি নিখুঁত মডেল বা নকশা অপরিহার্য। এটি যেমন বস্তুগত নির্মাণের ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি মানুষের জীবন গড়ার মতো সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও তা আরও বেশি জরুরি। জীবনের পথে সঠিক দিশা পেতে এবং নিজেকে একজন সুশীল ও উৎকর্ষমণ্ডিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি পূর্ণাঙ্গ মডেলের অনুসরণ...
১ দিন আগে
বিজয় মানুষের চিরন্তন স্বপ্ন। এই শব্দের মধ্যে আছে পরিশ্রমের দীপ্তি, ত্যাগের চিহ্ন ও আনন্দের সূর্যোদয়। ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে, বিজয় মানে আত্মতৃপ্তি নয়, বরং বিনয়; উল্লাস নয়, কৃতজ্ঞতা; প্রতিশোধ নয়, ক্ষমা। বিজয় ইসলামে একধরনের আত্মশুদ্ধি, যেখানে মানুষ আল্লাহর...
১ ঘণ্টা আগে
আপনার প্রশ্নটি খুবই বাস্তবসম্মত এবং দৈনন্দিন জীবনে বহুবার সম্মুখীন হওয়া একটি বিষয়। ইসলামে সালাম হলো শান্তির অভিবাদন, যা মুসলমানদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য, ভালোবাসা ও ইমান বৃদ্ধি করে। সালাম দেওয়া সুন্নত হলেও এর জবাব দেওয়া ওয়াজিব। এই প্রেক্ষাপটে...
১ ঘণ্টা আগে
দেশপ্রেমের টানে জাতির জন্য যুগে যুগে বীর সেনানীরা আত্মোৎসর্গের খাতায় নাম লিখিয়েছেন; একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধেও তাই ঘটেছিল। সমাজের শিক্ষিত শ্রেণি থেকে শুরু করে দিনমজুর, কৃষক-শ্রমিক, সবাই শ্রেণি-বৈষম্য ভেদাভেদ ভুলে অংশ নিয়েছিলেন এই স্বাধীনতাসংগ্রামে।
২ ঘণ্টা আগে