ইসলাম ডেস্ক

দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনের নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জগুলো মানুষের মনে চাপ ও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। হতাশা, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অস্থিরতা এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম তাই আত্মার পরিশুদ্ধির পাশাপাশি মনের সুরক্ষার জন্যও কার্যকরী দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।
কোরআন ও হাদিসের আলোকে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার কিছু বিষয় নিচে আলোচনা করা হলো:
১. আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও স্মরণ: মানসিক প্রশান্তির মূল ভিত্তি হলো আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। যখন মানুষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে জীবনের সব ভালো-মন্দ আল্লাহর হাতে, তখন সে জাগতিক ভয় ও চাপ থেকে মুক্তি পায়। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘জেনে রেখো, আল্লাহর স্মরণ দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি পায়।’ (সুরা রাদ: ২৮)
তাই নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত, জিকির ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম।
২. ধৈর্য ও শোকর: ইসলাম মানুষকে শিখিয়েছে, কষ্টকে বোঝা হিসেবে না দেখে, ইমানের পরীক্ষা হিসেবে দেখা উচিত এবং এসময় ধৈর্যধারণ করা উচিত। কারণ, ধৈর্য এবং কৃতজ্ঞতা (শোকর) মানসিক স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মুমিন ব্যক্তি যদি নিয়ামত লাভ করে, তবে সে শুকরিয়া আদায় করে...। আর যদি সে কোনো সংকটে পতিত হয়, তবে ধৈর্য ধারণ করে। আর তা তার জন্য কল্যাণকর।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৯৯৯)
এছাড়া কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা সান্ত্বনা দিয়ে বলেছেন, ‘নিশ্চয় কষ্টের সাথেই স্বস্তি রয়েছে।’ (সুরা ইনশিরাহ: ৫)
৩. নামাজের মাধ্যমে প্রশান্তি: দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কেবল একটি ফরজ ইবাদত নয়, এটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিরতি। এটি জাগতিক ব্যস্ততা থেকে আমাদের মনোযোগ সরিয়ে নিয়ে মনকে শান্ত ও স্থির করে।
হাদিসে এসেছে, যখনই রাসুল (সা.) কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতেন, তখন তিনি বিলাল (রা.)-কে বলতেন—‘হে বিলাল, নামাজের ব্যবস্থা করো। এর মাধ্যমে আমি স্বস্তি লাভ করি।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৮৫)
৪. সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখা: মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য নিঃসঙ্গতা ক্ষতিকর। এজন্য ইসলাম আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনেও উৎসাহিত করা হয়েছে।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমার শরীরেরও তোমার ওপর অধিকার রয়েছে।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৯৬৮)
পর্যাপ্ত ঘুম, পরিমিত খাদ্য এবং শারীরিক ব্যায়াম মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করে। খেয়াল করলে দেখা যাবে, এখানে শারীরিক ব্যায়ামটি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মাধ্যমেই সম্পাদিত হয়ে যায়।
৫. প্রয়োজনে চিকিৎসা গ্রহণ: মানসিক অসুস্থতাও শারীরিক অসুস্থতার মতোই একটি রোগ। এর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া তাওয়াক্কুলের (আল্লাহর ওপর ভরসা) পরিপন্থী নয়।
কারণ, নবীজি (সা.) বলেন, আল্লাহ এমন কোনো রোগ দেননি, যার প্রতিষেধক তিনি সৃষ্টি করেননি। (সহিহ্ বুখারি: ৫৬৭৮)
সুতরাং, দুশ্চিন্তা বা হতাশা তীব্র হলে চিকিৎসা গ্রহণ করা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ এবং কাম্য।
ইসলামি জীবনধারা মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতি শেখায়। আল্লাহর স্মরণ, বিপদে ধৈর্যধারণ করা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিকার গ্রহণ করার মাধ্যমেই একজন মুমিন এই দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনে মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনের নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জগুলো মানুষের মনে চাপ ও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। হতাশা, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অস্থিরতা এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম তাই আত্মার পরিশুদ্ধির পাশাপাশি মনের সুরক্ষার জন্যও কার্যকরী দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।
কোরআন ও হাদিসের আলোকে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার কিছু বিষয় নিচে আলোচনা করা হলো:
১. আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও স্মরণ: মানসিক প্রশান্তির মূল ভিত্তি হলো আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। যখন মানুষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে জীবনের সব ভালো-মন্দ আল্লাহর হাতে, তখন সে জাগতিক ভয় ও চাপ থেকে মুক্তি পায়। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘জেনে রেখো, আল্লাহর স্মরণ দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি পায়।’ (সুরা রাদ: ২৮)
তাই নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত, জিকির ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম।
২. ধৈর্য ও শোকর: ইসলাম মানুষকে শিখিয়েছে, কষ্টকে বোঝা হিসেবে না দেখে, ইমানের পরীক্ষা হিসেবে দেখা উচিত এবং এসময় ধৈর্যধারণ করা উচিত। কারণ, ধৈর্য এবং কৃতজ্ঞতা (শোকর) মানসিক স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মুমিন ব্যক্তি যদি নিয়ামত লাভ করে, তবে সে শুকরিয়া আদায় করে...। আর যদি সে কোনো সংকটে পতিত হয়, তবে ধৈর্য ধারণ করে। আর তা তার জন্য কল্যাণকর।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৯৯৯)
এছাড়া কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা সান্ত্বনা দিয়ে বলেছেন, ‘নিশ্চয় কষ্টের সাথেই স্বস্তি রয়েছে।’ (সুরা ইনশিরাহ: ৫)
৩. নামাজের মাধ্যমে প্রশান্তি: দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কেবল একটি ফরজ ইবাদত নয়, এটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিরতি। এটি জাগতিক ব্যস্ততা থেকে আমাদের মনোযোগ সরিয়ে নিয়ে মনকে শান্ত ও স্থির করে।
হাদিসে এসেছে, যখনই রাসুল (সা.) কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতেন, তখন তিনি বিলাল (রা.)-কে বলতেন—‘হে বিলাল, নামাজের ব্যবস্থা করো। এর মাধ্যমে আমি স্বস্তি লাভ করি।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৮৫)
৪. সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখা: মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য নিঃসঙ্গতা ক্ষতিকর। এজন্য ইসলাম আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনেও উৎসাহিত করা হয়েছে।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমার শরীরেরও তোমার ওপর অধিকার রয়েছে।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৯৬৮)
পর্যাপ্ত ঘুম, পরিমিত খাদ্য এবং শারীরিক ব্যায়াম মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করে। খেয়াল করলে দেখা যাবে, এখানে শারীরিক ব্যায়ামটি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মাধ্যমেই সম্পাদিত হয়ে যায়।
৫. প্রয়োজনে চিকিৎসা গ্রহণ: মানসিক অসুস্থতাও শারীরিক অসুস্থতার মতোই একটি রোগ। এর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া তাওয়াক্কুলের (আল্লাহর ওপর ভরসা) পরিপন্থী নয়।
কারণ, নবীজি (সা.) বলেন, আল্লাহ এমন কোনো রোগ দেননি, যার প্রতিষেধক তিনি সৃষ্টি করেননি। (সহিহ্ বুখারি: ৫৬৭৮)
সুতরাং, দুশ্চিন্তা বা হতাশা তীব্র হলে চিকিৎসা গ্রহণ করা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ এবং কাম্য।
ইসলামি জীবনধারা মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতি শেখায়। আল্লাহর স্মরণ, বিপদে ধৈর্যধারণ করা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিকার গ্রহণ করার মাধ্যমেই একজন মুমিন এই দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনে মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৫ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৮ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৯ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনের নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জগুলো মানুষের মনে চাপ ও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। হতাশা, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অস্থিরতা এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম তাই আত্মার পরিশুদ্ধির পাশাপাশি মনের সুরক্ষার জন্যও কার্যকরী দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৮ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৯ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনের নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জগুলো মানুষের মনে চাপ ও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। হতাশা, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অস্থিরতা এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম তাই আত্মার পরিশুদ্ধির পাশাপাশি মনের সুরক্ষার জন্যও কার্যকরী দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৫ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৯ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনের নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জগুলো মানুষের মনে চাপ ও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। হতাশা, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অস্থিরতা এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম তাই আত্মার পরিশুদ্ধির পাশাপাশি মনের সুরক্ষার জন্যও কার্যকরী দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৫ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৮ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনের নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জগুলো মানুষের মনে চাপ ও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। হতাশা, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অস্থিরতা এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম তাই আত্মার পরিশুদ্ধির পাশাপাশি মনের সুরক্ষার জন্যও কার্যকরী দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৫ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৮ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৯ ঘণ্টা আগে