ইসলাম ডেস্ক

কোরবানির মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি, সান্নিধ্য, নৈকট্য ও তাকওয়া অর্জন। কেননা সামাজিক নিয়ম হলো, যার জন্য উপহার দেওয়া হয়, তিনি সেটা ভোগ করেন। কিন্তু কোরবানি ও আল্লাহর ওয়াস্তে সকল উৎসর্গের ক্ষেত্রে অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে যার জন্য উৎসর্গ করা হয় তিনি ছুঁয়েও দেখেন না।
বরং কোরবানিদাতা নিজেই তা খেয়ে থাকেন এবং আত্মীয়-স্বজন ও গরিবদের মাঝে বণ্টন করে থাকেন। আর সে বণ্টনও হয়ে থাকে ইসলামের বিধানমতে। সুতরাং কোরবানির মূল উদ্দেশ্য হলো—আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও নৈকট্য লাভ করা।
তাকওয়া অর্জনের জন্য কায়মনোবাক্যে, একাগ্রতার সঙ্গে, খাঁটি মনে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য হতে হবে কোরবানি। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, কখনোই পৌঁছাবে না আল্লাহর নিকট পশুর গোশত ও রক্ত, তবে পৌঁছাবে, তাকওয়া বা পরহেজগারি। (সুরা হজ: ৩৭)
বর্তমান সমাজে একটি চলমান বিষয় রয়েছে। তা হলো মানুষে কি বলবে, আমাদের সন্তান কোথায় যাবে, লোকজন গোশত খাবে আর আমাদের সন্তানেরা চেয়ে চেয়ে দেখবে—এটা হতে পারে না। এ জন্য অনেকে কোরবানি দিয়ে থাকেন।
বর্তমানে অনুষ্ঠান সর্বস্ব, লৌকিকতা ও প্রদর্শনের ইচ্ছা সমাজের ওপর জেঁকে বসেছে। অথচ ইসলাম এমন লৌকিকতা শিরক বলে ঘোষণা দিয়েছে। যেমন রাসুল (সা.) বলেন, ছোট থেকে ছোট লৌকিকতাও শিরক। তাই লৌকিকতাকে বর্জন করা একান্ত জরুরি।
যার ওপর কোরবানি ওয়াজিব
কোরবানি ইসলামের বিভিন্ন আহকাম থেকে একটি হুকুম বা আল্লাহর নির্দেশ। যেমন আল্লাহ বলেন, সুতরাং তুমি নিজ প্রতিপালকের (সন্তুষ্টি অর্জনের) জন্য নামাজ পড় ও কোরবানি দাও। (সুরা কাউসার: ৩)। নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি না করে, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২৩)
তবে এই কোরবানি সবার ওপর ওয়াজিব নয়। যে ব্যক্তির মাঝে নিম্নলিখিত পাঁচটি শর্ত বা গুণাবলি পাওয়া যাবে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে—
কোরবানিদাতার জন্য করণীয়
কোরবানিদাতার জন্য আরও কিছু করণীয় বিষয় রয়েছে। যা তার জন্য সওয়াব ও লাভজনক হবে। আর তা হলো ঈদুল আজহার চাঁদ ওঠার পর থেকে কোরবানির পশু জবেহ করার পূর্ব পর্যন্ত চুল ও নখ কাটা যাবে না।
উম্মে সুলাইম (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যার জন্য কোরবানির পশু থাকবে যা সে কোরবানি দেবে—জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার পর কোরবানির পশু জবেহ করার পূর্ব পর্যন্ত সে যেন চুল ও নখ না কাটে। (সুনানে আবু দাউদ: ২৭৯১)
কোন কোন প্রাণী কোরবানি দেওয়া যায়
আল্লাহর জমিনে অগণিত জলজ ও স্থলজ প্রাণী রয়েছে। এর মাঝে বড় থেকে বড় এবং ছোট থেকে ছোট প্রাণীও বিদ্যমান। এর মধ্যে আল্লাহ তাআলা নিম্নলিখিত ছয় প্রকারের প্রাণী কোরবানির জন্য মনোনীত করেছেন—
উল্লিখিত ছোট তিন জাতের পশু কোরবানি দেওয়া যাবে। তবে শর্ত হলো যে—এদের বয়স কমপক্ষে এক বছর পূর্ণ হতে হবে। এর চেয়ে কম বয়সী হলে কোরবানি বৈধ হবে না। তবে ভেড়ার ক্ষেত্রে যদি ছয় মাস বয়সী ভেড়া, এক বছর বয়সী ভেড়ার মতো মোটাতাজা দেখায়—তাহলে তার দ্বারা কোরবানি গ্রহণযোগ্য হবে।
উল্লিখিত মাঝারি দুই জাতের পশু কোরবানি দেওয়া যাবে। তবে শর্ত হলো—এদের বয়স কমপক্ষে দুই বছর পূর্ণ হতে হবে। এর চেয়ে কম বয়সী গরু মহিষ দ্বারা কোরবানি বৈধ হবে না।
অগণিত বড় প্রাণীসমূহ থেকে আল্লাহ তায়ালা উটকে কোরবানির জন্য বৈধতা দিয়েছেন। তাই বলে যেকোনো উট কোরবানি দেওয়া যাবে না। যে উটের বয়স কমপক্ষে পাঁচ বছর বা তার চেয়ে বেশি হবে তার দ্বারা কোরবানি দেওয়া যাবে।
শরিকানা কোরবানির বিধান
আল্লাহ তায়ালা ইসলামি বিধিবিধান সহজ করে দিয়েছেন—যাতে করে মানুষ সাধ্যমতো আমল করতে পারে। কোরবানির বিষয়টিও আল্লাহ তেমনি সহজ করে দিয়েছেন। কেউ বড় পশু (উট) কোরবানি দিতে না পারলে মাঝারি পশু (গরু/মহিষ) কোরবানি দেবে। মাঝারি পশু দিতে না পারলে, ছোট পশু (ছাগল/ভেড়া/দুম্বা) কোরবানি দেবে।
কারও যদি মন চায় যে, সে বড় বা মাঝারি পশু কোরবানি দেবে, কিন্তু সাধ অনুযায়ী সাধ্য নেই। তাহলে সাত ব্যক্তি শরিকানা হিসেবে বড় বা মাঝারি একটি পশু কোরবানি দিতে পারবে।
জাবের (রা.) বলেন, আমরা হুদায়বিয়া নামক স্থানে নবী করিম (সা.) এর সঙ্গে একটি উট সাতজনের পক্ষ থেকে এবং একটি গরু সাতজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করেছি। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১৩২)
কোরবানি পশুর শারীরিক শর্তাবলি
কোরবানির জন্য নির্বাচিত পশুর মাঝে কিছু গুণাবলি থাকতে হবে এবং কিছু ত্রুটিমুক্ত হতে হবে।
উল্লেখ থাকে যে, কোরবানির পশু পুরুষ বা স্ত্রী—যে কোনোটি হতে পারে। ষাঁড় বা বলদ, পাঁঠা বা খাসি হলে কোনো দোষ নেই।
কোরবানির গোশত বণ্টন
ইসলামি বিধি-বিধান মতে কোরবানির সমুদয় গোশত কোরবানিদাতা খেতে পারবে। আবার ইচ্ছা করলে সমুদয় গোশত দান করেও দিতে পারবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে উত্তম হলো গোশত তিন ভাগে ভাগ করা।
তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—কোরবানির গোশত বিক্রি করা বৈধ নয়। তবে কেউ যদি বিক্রি করেন তাহলে তার মূল্য ফিতরার মতো অসহায়দের মাঝে বণ্টন করতে হবে। তবে গোশত যাদের মাঝে বিতরণ করা হয় তারা বিক্রি করলে দোষ নেই।
আরও একটি বিষয় হলো—কোরবানির গোশত যেন কোনোভাবেই বিনিময় বা পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া না হয়। যেমন, যারা কোরবানির গোশত কাটবে তাদের যেন বিনিময়ে গোশত দেওয়া না হয়। যদি দিতেই হয় তাহলে বিনিময়ে টাকা দেবে।
এ ক্ষেত্রে আমরা আরও একটি ভুল করে থাকি তা হলো, আমরা শ্রমিককে অর্থ ও খাবার বিনিময়ে কাজে নিয়ে থাকি। এ ক্ষেত্রে তাকে কোরবানির গোশত খেতে দিলে সঙ্গে অন্য তরকারি কিংবা অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে। অন্যথায় শ্রমের বিনিময়ে তাকে গোশত খাওয়ানো হবে যা বৈধ হবে না।
কোরবানির পশুর চামড়ার বিধান
কোরবানির পশুর চামড়া সম্পর্কে ইসলামের বিধান হলো—এ চামড়া দাবাগাত বা প্রক্রিয়াজাত করে পাক করে নিয়ে নিজে ব্যবহার করতে পারবে। উত্তম হলো চামড়া বা তার মূল্য গরিবদের দিয়ে দেওয়া।
আরও উত্তম হলো, যে সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনাথ, এতিম, অসহায় ও গরিব শিক্ষার্থীদের ফ্রি খাওয়ানো হয়—সেখানে দান করা। এতে একদিকে দানের সওয়াব অপরদিকে সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব বা দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যাবে।
লৌকিকতা বর্জন করে কোরবানি থেকে যেন আমরা প্রকৃত তাকওয়া অর্জন করতে পারি এটাই হোক প্রত্যাশা।
লেখক: মাহমুদুল হাসান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

কোরবানির মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি, সান্নিধ্য, নৈকট্য ও তাকওয়া অর্জন। কেননা সামাজিক নিয়ম হলো, যার জন্য উপহার দেওয়া হয়, তিনি সেটা ভোগ করেন। কিন্তু কোরবানি ও আল্লাহর ওয়াস্তে সকল উৎসর্গের ক্ষেত্রে অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে যার জন্য উৎসর্গ করা হয় তিনি ছুঁয়েও দেখেন না।
বরং কোরবানিদাতা নিজেই তা খেয়ে থাকেন এবং আত্মীয়-স্বজন ও গরিবদের মাঝে বণ্টন করে থাকেন। আর সে বণ্টনও হয়ে থাকে ইসলামের বিধানমতে। সুতরাং কোরবানির মূল উদ্দেশ্য হলো—আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও নৈকট্য লাভ করা।
তাকওয়া অর্জনের জন্য কায়মনোবাক্যে, একাগ্রতার সঙ্গে, খাঁটি মনে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য হতে হবে কোরবানি। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, কখনোই পৌঁছাবে না আল্লাহর নিকট পশুর গোশত ও রক্ত, তবে পৌঁছাবে, তাকওয়া বা পরহেজগারি। (সুরা হজ: ৩৭)
বর্তমান সমাজে একটি চলমান বিষয় রয়েছে। তা হলো মানুষে কি বলবে, আমাদের সন্তান কোথায় যাবে, লোকজন গোশত খাবে আর আমাদের সন্তানেরা চেয়ে চেয়ে দেখবে—এটা হতে পারে না। এ জন্য অনেকে কোরবানি দিয়ে থাকেন।
বর্তমানে অনুষ্ঠান সর্বস্ব, লৌকিকতা ও প্রদর্শনের ইচ্ছা সমাজের ওপর জেঁকে বসেছে। অথচ ইসলাম এমন লৌকিকতা শিরক বলে ঘোষণা দিয়েছে। যেমন রাসুল (সা.) বলেন, ছোট থেকে ছোট লৌকিকতাও শিরক। তাই লৌকিকতাকে বর্জন করা একান্ত জরুরি।
যার ওপর কোরবানি ওয়াজিব
কোরবানি ইসলামের বিভিন্ন আহকাম থেকে একটি হুকুম বা আল্লাহর নির্দেশ। যেমন আল্লাহ বলেন, সুতরাং তুমি নিজ প্রতিপালকের (সন্তুষ্টি অর্জনের) জন্য নামাজ পড় ও কোরবানি দাও। (সুরা কাউসার: ৩)। নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি না করে, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২৩)
তবে এই কোরবানি সবার ওপর ওয়াজিব নয়। যে ব্যক্তির মাঝে নিম্নলিখিত পাঁচটি শর্ত বা গুণাবলি পাওয়া যাবে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে—
কোরবানিদাতার জন্য করণীয়
কোরবানিদাতার জন্য আরও কিছু করণীয় বিষয় রয়েছে। যা তার জন্য সওয়াব ও লাভজনক হবে। আর তা হলো ঈদুল আজহার চাঁদ ওঠার পর থেকে কোরবানির পশু জবেহ করার পূর্ব পর্যন্ত চুল ও নখ কাটা যাবে না।
উম্মে সুলাইম (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যার জন্য কোরবানির পশু থাকবে যা সে কোরবানি দেবে—জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার পর কোরবানির পশু জবেহ করার পূর্ব পর্যন্ত সে যেন চুল ও নখ না কাটে। (সুনানে আবু দাউদ: ২৭৯১)
কোন কোন প্রাণী কোরবানি দেওয়া যায়
আল্লাহর জমিনে অগণিত জলজ ও স্থলজ প্রাণী রয়েছে। এর মাঝে বড় থেকে বড় এবং ছোট থেকে ছোট প্রাণীও বিদ্যমান। এর মধ্যে আল্লাহ তাআলা নিম্নলিখিত ছয় প্রকারের প্রাণী কোরবানির জন্য মনোনীত করেছেন—
উল্লিখিত ছোট তিন জাতের পশু কোরবানি দেওয়া যাবে। তবে শর্ত হলো যে—এদের বয়স কমপক্ষে এক বছর পূর্ণ হতে হবে। এর চেয়ে কম বয়সী হলে কোরবানি বৈধ হবে না। তবে ভেড়ার ক্ষেত্রে যদি ছয় মাস বয়সী ভেড়া, এক বছর বয়সী ভেড়ার মতো মোটাতাজা দেখায়—তাহলে তার দ্বারা কোরবানি গ্রহণযোগ্য হবে।
উল্লিখিত মাঝারি দুই জাতের পশু কোরবানি দেওয়া যাবে। তবে শর্ত হলো—এদের বয়স কমপক্ষে দুই বছর পূর্ণ হতে হবে। এর চেয়ে কম বয়সী গরু মহিষ দ্বারা কোরবানি বৈধ হবে না।
অগণিত বড় প্রাণীসমূহ থেকে আল্লাহ তায়ালা উটকে কোরবানির জন্য বৈধতা দিয়েছেন। তাই বলে যেকোনো উট কোরবানি দেওয়া যাবে না। যে উটের বয়স কমপক্ষে পাঁচ বছর বা তার চেয়ে বেশি হবে তার দ্বারা কোরবানি দেওয়া যাবে।
শরিকানা কোরবানির বিধান
আল্লাহ তায়ালা ইসলামি বিধিবিধান সহজ করে দিয়েছেন—যাতে করে মানুষ সাধ্যমতো আমল করতে পারে। কোরবানির বিষয়টিও আল্লাহ তেমনি সহজ করে দিয়েছেন। কেউ বড় পশু (উট) কোরবানি দিতে না পারলে মাঝারি পশু (গরু/মহিষ) কোরবানি দেবে। মাঝারি পশু দিতে না পারলে, ছোট পশু (ছাগল/ভেড়া/দুম্বা) কোরবানি দেবে।
কারও যদি মন চায় যে, সে বড় বা মাঝারি পশু কোরবানি দেবে, কিন্তু সাধ অনুযায়ী সাধ্য নেই। তাহলে সাত ব্যক্তি শরিকানা হিসেবে বড় বা মাঝারি একটি পশু কোরবানি দিতে পারবে।
জাবের (রা.) বলেন, আমরা হুদায়বিয়া নামক স্থানে নবী করিম (সা.) এর সঙ্গে একটি উট সাতজনের পক্ষ থেকে এবং একটি গরু সাতজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করেছি। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১৩২)
কোরবানি পশুর শারীরিক শর্তাবলি
কোরবানির জন্য নির্বাচিত পশুর মাঝে কিছু গুণাবলি থাকতে হবে এবং কিছু ত্রুটিমুক্ত হতে হবে।
উল্লেখ থাকে যে, কোরবানির পশু পুরুষ বা স্ত্রী—যে কোনোটি হতে পারে। ষাঁড় বা বলদ, পাঁঠা বা খাসি হলে কোনো দোষ নেই।
কোরবানির গোশত বণ্টন
ইসলামি বিধি-বিধান মতে কোরবানির সমুদয় গোশত কোরবানিদাতা খেতে পারবে। আবার ইচ্ছা করলে সমুদয় গোশত দান করেও দিতে পারবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে উত্তম হলো গোশত তিন ভাগে ভাগ করা।
তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—কোরবানির গোশত বিক্রি করা বৈধ নয়। তবে কেউ যদি বিক্রি করেন তাহলে তার মূল্য ফিতরার মতো অসহায়দের মাঝে বণ্টন করতে হবে। তবে গোশত যাদের মাঝে বিতরণ করা হয় তারা বিক্রি করলে দোষ নেই।
আরও একটি বিষয় হলো—কোরবানির গোশত যেন কোনোভাবেই বিনিময় বা পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া না হয়। যেমন, যারা কোরবানির গোশত কাটবে তাদের যেন বিনিময়ে গোশত দেওয়া না হয়। যদি দিতেই হয় তাহলে বিনিময়ে টাকা দেবে।
এ ক্ষেত্রে আমরা আরও একটি ভুল করে থাকি তা হলো, আমরা শ্রমিককে অর্থ ও খাবার বিনিময়ে কাজে নিয়ে থাকি। এ ক্ষেত্রে তাকে কোরবানির গোশত খেতে দিলে সঙ্গে অন্য তরকারি কিংবা অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে। অন্যথায় শ্রমের বিনিময়ে তাকে গোশত খাওয়ানো হবে যা বৈধ হবে না।
কোরবানির পশুর চামড়ার বিধান
কোরবানির পশুর চামড়া সম্পর্কে ইসলামের বিধান হলো—এ চামড়া দাবাগাত বা প্রক্রিয়াজাত করে পাক করে নিয়ে নিজে ব্যবহার করতে পারবে। উত্তম হলো চামড়া বা তার মূল্য গরিবদের দিয়ে দেওয়া।
আরও উত্তম হলো, যে সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনাথ, এতিম, অসহায় ও গরিব শিক্ষার্থীদের ফ্রি খাওয়ানো হয়—সেখানে দান করা। এতে একদিকে দানের সওয়াব অপরদিকে সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব বা দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যাবে।
লৌকিকতা বর্জন করে কোরবানি থেকে যেন আমরা প্রকৃত তাকওয়া অর্জন করতে পারি এটাই হোক প্রত্যাশা।
লেখক: মাহমুদুল হাসান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১৬ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে
একটি সম্ভ্রান্ত আলেম পরিবারের সন্তান থেকে শুরু করে রাজপথের আপসহীন বক্তা—শরিফ ওসমান হাদির শিকড় প্রোথিত ছিল ধর্মীয় শিক্ষার গভীরে। ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার খাসমহল এলাকায় এক সম্ভ্রান্ত আলেম পরিবারে তাঁর জন্ম। তাঁর বাবা প্রয়াত মাওলানা আব্দুল হাদি ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ মাদ্রাসাশিক্ষক।
১৫ ঘণ্টা আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)
ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।
শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।
শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।
শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)
ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।
শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।
শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।
শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

কোরবানির মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি, সান্নিধ্য, নৈকট্য ও তাকওয়া অর্জন। কেননা সামাজিক নিয়ম হলো, যার জন্য উপহার দেওয়া হয়, তিনি সেটা ভোগ করেন। কিন্তু কোরবানি ও আল্লাহর ওয়াস্তে সকল উৎসর্গের ক্ষেত্রে অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে যার জন্য উৎসর্গ করা হয় তিনি ছুঁয়েও দেখেন না।
০৪ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে
একটি সম্ভ্রান্ত আলেম পরিবারের সন্তান থেকে শুরু করে রাজপথের আপসহীন বক্তা—শরিফ ওসমান হাদির শিকড় প্রোথিত ছিল ধর্মীয় শিক্ষার গভীরে। ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার খাসমহল এলাকায় এক সম্ভ্রান্ত আলেম পরিবারে তাঁর জন্ম। তাঁর বাবা প্রয়াত মাওলানা আব্দুল হাদি ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ মাদ্রাসাশিক্ষক।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৪ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৭ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৪ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৭ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

কোরবানির মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি, সান্নিধ্য, নৈকট্য ও তাকওয়া অর্জন। কেননা সামাজিক নিয়ম হলো, যার জন্য উপহার দেওয়া হয়, তিনি সেটা ভোগ করেন। কিন্তু কোরবানি ও আল্লাহর ওয়াস্তে সকল উৎসর্গের ক্ষেত্রে অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে যার জন্য উৎসর্গ করা হয় তিনি ছুঁয়েও দেখেন না।
০৪ জুন ২০২৫
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১৬ মিনিট আগে
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে
একটি সম্ভ্রান্ত আলেম পরিবারের সন্তান থেকে শুরু করে রাজপথের আপসহীন বক্তা—শরিফ ওসমান হাদির শিকড় প্রোথিত ছিল ধর্মীয় শিক্ষার গভীরে। ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার খাসমহল এলাকায় এক সম্ভ্রান্ত আলেম পরিবারে তাঁর জন্ম। তাঁর বাবা প্রয়াত মাওলানা আব্দুল হাদি ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ মাদ্রাসাশিক্ষক।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ড বাংলাদেশ (এনটিকিউবি) পরিচালিত তৃতীয় শ্রেণির ১৯তম সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের পরিচালক মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন।
দেশের মোট ১ হাজার ১২টি কেন্দ্রে গত ২৯ নভেম্বর দেশব্যাপী একযোগে এই সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়ে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। এতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৩ হাজার ৫৩২ এবং পাসের হার ৯০ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন বলেন, ‘দেশব্যাপী তরুণ আলেমদের কাছে অনুরোধ করছি, একটি নীরব সাধনায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। তা হচ্ছে প্রতিটি গ্রামে-পাড়া-মহল্লায় নূরানি মাদ্রাসা, নূরানি স্কুল, নূরানি মক্তব ও ইসলামিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের প্রতিটি সন্তানের কাছে দ্বীন শেখাকে সহজ থেকে সহজতর করতে হবে।’
পরীক্ষা বাস্তবায়ন কমিটির মহাসচিব ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন বলেন, ‘শিশুরা কাঁচা মাটির মতো। তাদের যেভাবে গড়ে তুলবেন, তারা সেভাবেই গড়ে উঠবে। আমরা দ্বীন ধর্ম ও মাতৃভূমির ভালোবাসায় সন্তানদের গড়ে তুলি। সুনাগরিক ও দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে কাজ করে নূরানী বোর্ড।’
এদিকে অনুষ্ঠানে তরুণদের জন্য ‘শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) স্কলারশিপ’-এরও ঘোষণা দেওয়া হয়। ১০ লাখ টাকা সমমূল্যের এই স্কলারশিপ পাবেন ১০০ তরুণ। মনোনীত ১০০ তরুণ ১০ হাজার টাকা সমমূল্যের নূরানি মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কোর্সটি বিনা মূল্যে করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবু বকর, মাওলানা তারেক হুসাইনসহ নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ডের কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীলেরা।
প্রসঙ্গত, শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) প্রতিষ্ঠিত এই বোর্ডটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলেও শিশু শিক্ষায় অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে এই ধারার হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সারা দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ড বাংলাদেশ (এনটিকিউবি) পরিচালিত তৃতীয় শ্রেণির ১৯তম সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের পরিচালক মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন।
দেশের মোট ১ হাজার ১২টি কেন্দ্রে গত ২৯ নভেম্বর দেশব্যাপী একযোগে এই সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়ে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। এতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৩ হাজার ৫৩২ এবং পাসের হার ৯০ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন বলেন, ‘দেশব্যাপী তরুণ আলেমদের কাছে অনুরোধ করছি, একটি নীরব সাধনায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। তা হচ্ছে প্রতিটি গ্রামে-পাড়া-মহল্লায় নূরানি মাদ্রাসা, নূরানি স্কুল, নূরানি মক্তব ও ইসলামিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের প্রতিটি সন্তানের কাছে দ্বীন শেখাকে সহজ থেকে সহজতর করতে হবে।’
পরীক্ষা বাস্তবায়ন কমিটির মহাসচিব ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন বলেন, ‘শিশুরা কাঁচা মাটির মতো। তাদের যেভাবে গড়ে তুলবেন, তারা সেভাবেই গড়ে উঠবে। আমরা দ্বীন ধর্ম ও মাতৃভূমির ভালোবাসায় সন্তানদের গড়ে তুলি। সুনাগরিক ও দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে কাজ করে নূরানী বোর্ড।’
এদিকে অনুষ্ঠানে তরুণদের জন্য ‘শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) স্কলারশিপ’-এরও ঘোষণা দেওয়া হয়। ১০ লাখ টাকা সমমূল্যের এই স্কলারশিপ পাবেন ১০০ তরুণ। মনোনীত ১০০ তরুণ ১০ হাজার টাকা সমমূল্যের নূরানি মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কোর্সটি বিনা মূল্যে করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবু বকর, মাওলানা তারেক হুসাইনসহ নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ডের কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীলেরা।
প্রসঙ্গত, শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) প্রতিষ্ঠিত এই বোর্ডটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলেও শিশু শিক্ষায় অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে এই ধারার হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সারা দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

কোরবানির মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি, সান্নিধ্য, নৈকট্য ও তাকওয়া অর্জন। কেননা সামাজিক নিয়ম হলো, যার জন্য উপহার দেওয়া হয়, তিনি সেটা ভোগ করেন। কিন্তু কোরবানি ও আল্লাহর ওয়াস্তে সকল উৎসর্গের ক্ষেত্রে অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে যার জন্য উৎসর্গ করা হয় তিনি ছুঁয়েও দেখেন না।
০৪ জুন ২০২৫
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১৬ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
একটি সম্ভ্রান্ত আলেম পরিবারের সন্তান থেকে শুরু করে রাজপথের আপসহীন বক্তা—শরিফ ওসমান হাদির শিকড় প্রোথিত ছিল ধর্মীয় শিক্ষার গভীরে। ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার খাসমহল এলাকায় এক সম্ভ্রান্ত আলেম পরিবারে তাঁর জন্ম। তাঁর বাবা প্রয়াত মাওলানা আব্দুল হাদি ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ মাদ্রাসাশিক্ষক।
১৫ ঘণ্টা আগেকাউসার লাবীব

একটি সম্ভ্রান্ত আলেম পরিবারের সন্তান থেকে শুরু করে রাজপথের আপসহীন বক্তা—শরিফ ওসমান হাদির শিকড় প্রোথিত ছিল ধর্মীয় শিক্ষার গভীরে। ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার খাসমহল এলাকায় এক সম্ভ্রান্ত আলেম পরিবারে তাঁর জন্ম। তাঁর বাবা প্রয়াত মাওলানা আব্দুল হাদি ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ মাদ্রাসাশিক্ষক। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে ওসমান হাদি ছিলেন সবার ছোট। পরিবারের প্রত্যেক সদস্য আলেম বা দ্বীনি শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত, যা ওসমান হাদির চিন্তা ও চরিত্রে এনেছিল দৃঢ় নৈতিক ভিত্তি।
তাঁর বড় ভাই মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক বরিশালের ঐতিহ্যবাহী শরফুদ্দীন আহমেদ সেন্টু জামে মসজিদের খতিব; মেজো ভাই মাওলানা ওমর ফারুক একজন ব্যবসায়ী। তাঁর তিন ভগ্নিপতিও মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ও ইমামতির সঙ্গে যুক্ত, যাঁরা স্থানীয় পর্যায়ে অত্যন্ত সম্মানিত।
ওসমান হাদির শিক্ষাজীবনের শুরু ঝালকাঠির বিখ্যাত এন এস কামিল মাদ্রাসায়। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছিলেন তুখোড় মেধাবী এবং অসাধারণ বক্তা। অন্যায়ের প্রতিবাদ করার স্পৃহা তাঁর মধ্যে কাজ করত শৈশব থেকেই। এক সাক্ষাৎকারে তিনি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে তাঁর প্রিয় মাদ্রাসার স্মৃতিচারণা করেছিলেন।
ওসমান হাদি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমাকে এটা যদি কেউ জিজ্ঞেস করে—আল্লাহ যদি আমাকে আবারও দুনিয়ায় পাঠায়, আমি কয়টা জিনিস চাইব। আমি প্রথমেই বলব—ইন্টার পর্যন্ত যে মাদ্রাসাটায় পড়েছি, সেই মাদ্রাসায় আবার আমি পড়তে চাইব। বাংলাদেশে এটা কেউ চিন্তাও করতে পারবে না যে মাদ্রাসায় রবীন্দ্রনাথের নাটক মঞ্চস্থ হয়। আমি যখন চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি; তখন ঝালকাঠি থেকে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে অনেকবার বিতর্ক, আবৃত্তি, বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে এসেছি এবং স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা মিলিয়ে আমি অনেকবার ফার্স্ট হয়েছি।’
ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘এটা শুধু আমি না, ওই প্রতিষ্ঠানের আমার অনেক ছোট ভাই, বন্ধু জাতীয় পর্যায়ের এমন প্রচুর পুরস্কার পেত। আমাদের এমনভাবে কালচারাল নার্সিং হতো—রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত, জারি, ভাটিয়ালি আমরা গাইতাম। যেহেতু মাদ্রাসা, তাই একমাত্র নৃত্যটা হতো না।’
মাদ্রাসার গণ্ডি পেরিয়ে ওসমান হাদি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে (২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষ)। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনেও তিনি মেধার স্বাক্ষর রাখেন। জীবনসংগ্রামে টিকে থাকতে তিনি প্রাইভেট পড়িয়েছেন, সাইফুর’সসহ বিভিন্ন নামী প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন। সর্বশেষ তিনি ইউনিভার্সিটি অব স্কলারসে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা তাঁকে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তাঁর সাহসী ভূমিকা এবং পরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে টক শো ও সভা-সমাবেশে তাঁর যুক্তিপূর্ণ ও ঝাঁজালো বক্তব্য তাঁকে অনেক তরুণের আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংক এলাকায় রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত তাঁকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হলেও মৃত্যুর কাছে হার মানেন তিনি। ১৮ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১০টায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার মাত্র এক মাস আগে নভেম্বর মাসে ওসমান হাদি নিজের জীবনের ঝুঁকির কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন। দেশি-বিদেশি অসংখ্য নম্বর থেকে আসা প্রাণনাশের হুমকির কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেছিলেন—‘জীবননাশের আশঙ্কা সত্ত্বেও ইনসাফের লড়াই থেকে আমি পিছিয়ে যাব না।’

একটি সম্ভ্রান্ত আলেম পরিবারের সন্তান থেকে শুরু করে রাজপথের আপসহীন বক্তা—শরিফ ওসমান হাদির শিকড় প্রোথিত ছিল ধর্মীয় শিক্ষার গভীরে। ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার খাসমহল এলাকায় এক সম্ভ্রান্ত আলেম পরিবারে তাঁর জন্ম। তাঁর বাবা প্রয়াত মাওলানা আব্দুল হাদি ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ মাদ্রাসাশিক্ষক। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে ওসমান হাদি ছিলেন সবার ছোট। পরিবারের প্রত্যেক সদস্য আলেম বা দ্বীনি শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত, যা ওসমান হাদির চিন্তা ও চরিত্রে এনেছিল দৃঢ় নৈতিক ভিত্তি।
তাঁর বড় ভাই মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক বরিশালের ঐতিহ্যবাহী শরফুদ্দীন আহমেদ সেন্টু জামে মসজিদের খতিব; মেজো ভাই মাওলানা ওমর ফারুক একজন ব্যবসায়ী। তাঁর তিন ভগ্নিপতিও মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ও ইমামতির সঙ্গে যুক্ত, যাঁরা স্থানীয় পর্যায়ে অত্যন্ত সম্মানিত।
ওসমান হাদির শিক্ষাজীবনের শুরু ঝালকাঠির বিখ্যাত এন এস কামিল মাদ্রাসায়। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছিলেন তুখোড় মেধাবী এবং অসাধারণ বক্তা। অন্যায়ের প্রতিবাদ করার স্পৃহা তাঁর মধ্যে কাজ করত শৈশব থেকেই। এক সাক্ষাৎকারে তিনি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে তাঁর প্রিয় মাদ্রাসার স্মৃতিচারণা করেছিলেন।
ওসমান হাদি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমাকে এটা যদি কেউ জিজ্ঞেস করে—আল্লাহ যদি আমাকে আবারও দুনিয়ায় পাঠায়, আমি কয়টা জিনিস চাইব। আমি প্রথমেই বলব—ইন্টার পর্যন্ত যে মাদ্রাসাটায় পড়েছি, সেই মাদ্রাসায় আবার আমি পড়তে চাইব। বাংলাদেশে এটা কেউ চিন্তাও করতে পারবে না যে মাদ্রাসায় রবীন্দ্রনাথের নাটক মঞ্চস্থ হয়। আমি যখন চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি; তখন ঝালকাঠি থেকে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে অনেকবার বিতর্ক, আবৃত্তি, বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে এসেছি এবং স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা মিলিয়ে আমি অনেকবার ফার্স্ট হয়েছি।’
ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘এটা শুধু আমি না, ওই প্রতিষ্ঠানের আমার অনেক ছোট ভাই, বন্ধু জাতীয় পর্যায়ের এমন প্রচুর পুরস্কার পেত। আমাদের এমনভাবে কালচারাল নার্সিং হতো—রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত, জারি, ভাটিয়ালি আমরা গাইতাম। যেহেতু মাদ্রাসা, তাই একমাত্র নৃত্যটা হতো না।’
মাদ্রাসার গণ্ডি পেরিয়ে ওসমান হাদি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে (২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষ)। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনেও তিনি মেধার স্বাক্ষর রাখেন। জীবনসংগ্রামে টিকে থাকতে তিনি প্রাইভেট পড়িয়েছেন, সাইফুর’সসহ বিভিন্ন নামী প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন। সর্বশেষ তিনি ইউনিভার্সিটি অব স্কলারসে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা তাঁকে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তাঁর সাহসী ভূমিকা এবং পরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে টক শো ও সভা-সমাবেশে তাঁর যুক্তিপূর্ণ ও ঝাঁজালো বক্তব্য তাঁকে অনেক তরুণের আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংক এলাকায় রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত তাঁকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হলেও মৃত্যুর কাছে হার মানেন তিনি। ১৮ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১০টায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার মাত্র এক মাস আগে নভেম্বর মাসে ওসমান হাদি নিজের জীবনের ঝুঁকির কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন। দেশি-বিদেশি অসংখ্য নম্বর থেকে আসা প্রাণনাশের হুমকির কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেছিলেন—‘জীবননাশের আশঙ্কা সত্ত্বেও ইনসাফের লড়াই থেকে আমি পিছিয়ে যাব না।’

কোরবানির মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি, সান্নিধ্য, নৈকট্য ও তাকওয়া অর্জন। কেননা সামাজিক নিয়ম হলো, যার জন্য উপহার দেওয়া হয়, তিনি সেটা ভোগ করেন। কিন্তু কোরবানি ও আল্লাহর ওয়াস্তে সকল উৎসর্গের ক্ষেত্রে অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে যার জন্য উৎসর্গ করা হয় তিনি ছুঁয়েও দেখেন না।
০৪ জুন ২০২৫
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১৬ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে