ইসলাম ডেস্ক

কোরবানির মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি, সান্নিধ্য, নৈকট্য ও তাকওয়া অর্জন। কেননা সামাজিক নিয়ম হলো, যার জন্য উপহার দেওয়া হয়, তিনি সেটা ভোগ করেন। কিন্তু কোরবানি ও আল্লাহর ওয়াস্তে সকল উৎসর্গের ক্ষেত্রে অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে যার জন্য উৎসর্গ করা হয় তিনি ছুঁয়েও দেখেন না।
বরং কোরবানিদাতা নিজেই তা খেয়ে থাকেন এবং আত্মীয়-স্বজন ও গরিবদের মাঝে বণ্টন করে থাকেন। আর সে বণ্টনও হয়ে থাকে ইসলামের বিধানমতে। সুতরাং কোরবানির মূল উদ্দেশ্য হলো—আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও নৈকট্য লাভ করা।
তাকওয়া অর্জনের জন্য কায়মনোবাক্যে, একাগ্রতার সঙ্গে, খাঁটি মনে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য হতে হবে কোরবানি। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, কখনোই পৌঁছাবে না আল্লাহর নিকট পশুর গোশত ও রক্ত, তবে পৌঁছাবে, তাকওয়া বা পরহেজগারি। (সুরা হজ: ৩৭)
বর্তমান সমাজে একটি চলমান বিষয় রয়েছে। তা হলো মানুষে কি বলবে, আমাদের সন্তান কোথায় যাবে, লোকজন গোশত খাবে আর আমাদের সন্তানেরা চেয়ে চেয়ে দেখবে—এটা হতে পারে না। এ জন্য অনেকে কোরবানি দিয়ে থাকেন।
বর্তমানে অনুষ্ঠান সর্বস্ব, লৌকিকতা ও প্রদর্শনের ইচ্ছা সমাজের ওপর জেঁকে বসেছে। অথচ ইসলাম এমন লৌকিকতা শিরক বলে ঘোষণা দিয়েছে। যেমন রাসুল (সা.) বলেন, ছোট থেকে ছোট লৌকিকতাও শিরক। তাই লৌকিকতাকে বর্জন করা একান্ত জরুরি।
যার ওপর কোরবানি ওয়াজিব
কোরবানি ইসলামের বিভিন্ন আহকাম থেকে একটি হুকুম বা আল্লাহর নির্দেশ। যেমন আল্লাহ বলেন, সুতরাং তুমি নিজ প্রতিপালকের (সন্তুষ্টি অর্জনের) জন্য নামাজ পড় ও কোরবানি দাও। (সুরা কাউসার: ৩)। নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি না করে, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২৩)
তবে এই কোরবানি সবার ওপর ওয়াজিব নয়। যে ব্যক্তির মাঝে নিম্নলিখিত পাঁচটি শর্ত বা গুণাবলি পাওয়া যাবে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে—
কোরবানিদাতার জন্য করণীয়
কোরবানিদাতার জন্য আরও কিছু করণীয় বিষয় রয়েছে। যা তার জন্য সওয়াব ও লাভজনক হবে। আর তা হলো ঈদুল আজহার চাঁদ ওঠার পর থেকে কোরবানির পশু জবেহ করার পূর্ব পর্যন্ত চুল ও নখ কাটা যাবে না।
উম্মে সুলাইম (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যার জন্য কোরবানির পশু থাকবে যা সে কোরবানি দেবে—জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার পর কোরবানির পশু জবেহ করার পূর্ব পর্যন্ত সে যেন চুল ও নখ না কাটে। (সুনানে আবু দাউদ: ২৭৯১)
কোন কোন প্রাণী কোরবানি দেওয়া যায়
আল্লাহর জমিনে অগণিত জলজ ও স্থলজ প্রাণী রয়েছে। এর মাঝে বড় থেকে বড় এবং ছোট থেকে ছোট প্রাণীও বিদ্যমান। এর মধ্যে আল্লাহ তাআলা নিম্নলিখিত ছয় প্রকারের প্রাণী কোরবানির জন্য মনোনীত করেছেন—
উল্লিখিত ছোট তিন জাতের পশু কোরবানি দেওয়া যাবে। তবে শর্ত হলো যে—এদের বয়স কমপক্ষে এক বছর পূর্ণ হতে হবে। এর চেয়ে কম বয়সী হলে কোরবানি বৈধ হবে না। তবে ভেড়ার ক্ষেত্রে যদি ছয় মাস বয়সী ভেড়া, এক বছর বয়সী ভেড়ার মতো মোটাতাজা দেখায়—তাহলে তার দ্বারা কোরবানি গ্রহণযোগ্য হবে।
উল্লিখিত মাঝারি দুই জাতের পশু কোরবানি দেওয়া যাবে। তবে শর্ত হলো—এদের বয়স কমপক্ষে দুই বছর পূর্ণ হতে হবে। এর চেয়ে কম বয়সী গরু মহিষ দ্বারা কোরবানি বৈধ হবে না।
অগণিত বড় প্রাণীসমূহ থেকে আল্লাহ তায়ালা উটকে কোরবানির জন্য বৈধতা দিয়েছেন। তাই বলে যেকোনো উট কোরবানি দেওয়া যাবে না। যে উটের বয়স কমপক্ষে পাঁচ বছর বা তার চেয়ে বেশি হবে তার দ্বারা কোরবানি দেওয়া যাবে।
শরিকানা কোরবানির বিধান
আল্লাহ তায়ালা ইসলামি বিধিবিধান সহজ করে দিয়েছেন—যাতে করে মানুষ সাধ্যমতো আমল করতে পারে। কোরবানির বিষয়টিও আল্লাহ তেমনি সহজ করে দিয়েছেন। কেউ বড় পশু (উট) কোরবানি দিতে না পারলে মাঝারি পশু (গরু/মহিষ) কোরবানি দেবে। মাঝারি পশু দিতে না পারলে, ছোট পশু (ছাগল/ভেড়া/দুম্বা) কোরবানি দেবে।
কারও যদি মন চায় যে, সে বড় বা মাঝারি পশু কোরবানি দেবে, কিন্তু সাধ অনুযায়ী সাধ্য নেই। তাহলে সাত ব্যক্তি শরিকানা হিসেবে বড় বা মাঝারি একটি পশু কোরবানি দিতে পারবে।
জাবের (রা.) বলেন, আমরা হুদায়বিয়া নামক স্থানে নবী করিম (সা.) এর সঙ্গে একটি উট সাতজনের পক্ষ থেকে এবং একটি গরু সাতজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করেছি। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১৩২)
কোরবানি পশুর শারীরিক শর্তাবলি
কোরবানির জন্য নির্বাচিত পশুর মাঝে কিছু গুণাবলি থাকতে হবে এবং কিছু ত্রুটিমুক্ত হতে হবে।
উল্লেখ থাকে যে, কোরবানির পশু পুরুষ বা স্ত্রী—যে কোনোটি হতে পারে। ষাঁড় বা বলদ, পাঁঠা বা খাসি হলে কোনো দোষ নেই।
কোরবানির গোশত বণ্টন
ইসলামি বিধি-বিধান মতে কোরবানির সমুদয় গোশত কোরবানিদাতা খেতে পারবে। আবার ইচ্ছা করলে সমুদয় গোশত দান করেও দিতে পারবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে উত্তম হলো গোশত তিন ভাগে ভাগ করা।
তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—কোরবানির গোশত বিক্রি করা বৈধ নয়। তবে কেউ যদি বিক্রি করেন তাহলে তার মূল্য ফিতরার মতো অসহায়দের মাঝে বণ্টন করতে হবে। তবে গোশত যাদের মাঝে বিতরণ করা হয় তারা বিক্রি করলে দোষ নেই।
আরও একটি বিষয় হলো—কোরবানির গোশত যেন কোনোভাবেই বিনিময় বা পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া না হয়। যেমন, যারা কোরবানির গোশত কাটবে তাদের যেন বিনিময়ে গোশত দেওয়া না হয়। যদি দিতেই হয় তাহলে বিনিময়ে টাকা দেবে।
এ ক্ষেত্রে আমরা আরও একটি ভুল করে থাকি তা হলো, আমরা শ্রমিককে অর্থ ও খাবার বিনিময়ে কাজে নিয়ে থাকি। এ ক্ষেত্রে তাকে কোরবানির গোশত খেতে দিলে সঙ্গে অন্য তরকারি কিংবা অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে। অন্যথায় শ্রমের বিনিময়ে তাকে গোশত খাওয়ানো হবে যা বৈধ হবে না।
কোরবানির পশুর চামড়ার বিধান
কোরবানির পশুর চামড়া সম্পর্কে ইসলামের বিধান হলো—এ চামড়া দাবাগাত বা প্রক্রিয়াজাত করে পাক করে নিয়ে নিজে ব্যবহার করতে পারবে। উত্তম হলো চামড়া বা তার মূল্য গরিবদের দিয়ে দেওয়া।
আরও উত্তম হলো, যে সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনাথ, এতিম, অসহায় ও গরিব শিক্ষার্থীদের ফ্রি খাওয়ানো হয়—সেখানে দান করা। এতে একদিকে দানের সওয়াব অপরদিকে সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব বা দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যাবে।
লৌকিকতা বর্জন করে কোরবানি থেকে যেন আমরা প্রকৃত তাকওয়া অর্জন করতে পারি এটাই হোক প্রত্যাশা।
লেখক: মাহমুদুল হাসান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

কোরবানির মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি, সান্নিধ্য, নৈকট্য ও তাকওয়া অর্জন। কেননা সামাজিক নিয়ম হলো, যার জন্য উপহার দেওয়া হয়, তিনি সেটা ভোগ করেন। কিন্তু কোরবানি ও আল্লাহর ওয়াস্তে সকল উৎসর্গের ক্ষেত্রে অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে যার জন্য উৎসর্গ করা হয় তিনি ছুঁয়েও দেখেন না।
বরং কোরবানিদাতা নিজেই তা খেয়ে থাকেন এবং আত্মীয়-স্বজন ও গরিবদের মাঝে বণ্টন করে থাকেন। আর সে বণ্টনও হয়ে থাকে ইসলামের বিধানমতে। সুতরাং কোরবানির মূল উদ্দেশ্য হলো—আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও নৈকট্য লাভ করা।
তাকওয়া অর্জনের জন্য কায়মনোবাক্যে, একাগ্রতার সঙ্গে, খাঁটি মনে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য হতে হবে কোরবানি। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, কখনোই পৌঁছাবে না আল্লাহর নিকট পশুর গোশত ও রক্ত, তবে পৌঁছাবে, তাকওয়া বা পরহেজগারি। (সুরা হজ: ৩৭)
বর্তমান সমাজে একটি চলমান বিষয় রয়েছে। তা হলো মানুষে কি বলবে, আমাদের সন্তান কোথায় যাবে, লোকজন গোশত খাবে আর আমাদের সন্তানেরা চেয়ে চেয়ে দেখবে—এটা হতে পারে না। এ জন্য অনেকে কোরবানি দিয়ে থাকেন।
বর্তমানে অনুষ্ঠান সর্বস্ব, লৌকিকতা ও প্রদর্শনের ইচ্ছা সমাজের ওপর জেঁকে বসেছে। অথচ ইসলাম এমন লৌকিকতা শিরক বলে ঘোষণা দিয়েছে। যেমন রাসুল (সা.) বলেন, ছোট থেকে ছোট লৌকিকতাও শিরক। তাই লৌকিকতাকে বর্জন করা একান্ত জরুরি।
যার ওপর কোরবানি ওয়াজিব
কোরবানি ইসলামের বিভিন্ন আহকাম থেকে একটি হুকুম বা আল্লাহর নির্দেশ। যেমন আল্লাহ বলেন, সুতরাং তুমি নিজ প্রতিপালকের (সন্তুষ্টি অর্জনের) জন্য নামাজ পড় ও কোরবানি দাও। (সুরা কাউসার: ৩)। নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি না করে, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২৩)
তবে এই কোরবানি সবার ওপর ওয়াজিব নয়। যে ব্যক্তির মাঝে নিম্নলিখিত পাঁচটি শর্ত বা গুণাবলি পাওয়া যাবে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে—
কোরবানিদাতার জন্য করণীয়
কোরবানিদাতার জন্য আরও কিছু করণীয় বিষয় রয়েছে। যা তার জন্য সওয়াব ও লাভজনক হবে। আর তা হলো ঈদুল আজহার চাঁদ ওঠার পর থেকে কোরবানির পশু জবেহ করার পূর্ব পর্যন্ত চুল ও নখ কাটা যাবে না।
উম্মে সুলাইম (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যার জন্য কোরবানির পশু থাকবে যা সে কোরবানি দেবে—জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার পর কোরবানির পশু জবেহ করার পূর্ব পর্যন্ত সে যেন চুল ও নখ না কাটে। (সুনানে আবু দাউদ: ২৭৯১)
কোন কোন প্রাণী কোরবানি দেওয়া যায়
আল্লাহর জমিনে অগণিত জলজ ও স্থলজ প্রাণী রয়েছে। এর মাঝে বড় থেকে বড় এবং ছোট থেকে ছোট প্রাণীও বিদ্যমান। এর মধ্যে আল্লাহ তাআলা নিম্নলিখিত ছয় প্রকারের প্রাণী কোরবানির জন্য মনোনীত করেছেন—
উল্লিখিত ছোট তিন জাতের পশু কোরবানি দেওয়া যাবে। তবে শর্ত হলো যে—এদের বয়স কমপক্ষে এক বছর পূর্ণ হতে হবে। এর চেয়ে কম বয়সী হলে কোরবানি বৈধ হবে না। তবে ভেড়ার ক্ষেত্রে যদি ছয় মাস বয়সী ভেড়া, এক বছর বয়সী ভেড়ার মতো মোটাতাজা দেখায়—তাহলে তার দ্বারা কোরবানি গ্রহণযোগ্য হবে।
উল্লিখিত মাঝারি দুই জাতের পশু কোরবানি দেওয়া যাবে। তবে শর্ত হলো—এদের বয়স কমপক্ষে দুই বছর পূর্ণ হতে হবে। এর চেয়ে কম বয়সী গরু মহিষ দ্বারা কোরবানি বৈধ হবে না।
অগণিত বড় প্রাণীসমূহ থেকে আল্লাহ তায়ালা উটকে কোরবানির জন্য বৈধতা দিয়েছেন। তাই বলে যেকোনো উট কোরবানি দেওয়া যাবে না। যে উটের বয়স কমপক্ষে পাঁচ বছর বা তার চেয়ে বেশি হবে তার দ্বারা কোরবানি দেওয়া যাবে।
শরিকানা কোরবানির বিধান
আল্লাহ তায়ালা ইসলামি বিধিবিধান সহজ করে দিয়েছেন—যাতে করে মানুষ সাধ্যমতো আমল করতে পারে। কোরবানির বিষয়টিও আল্লাহ তেমনি সহজ করে দিয়েছেন। কেউ বড় পশু (উট) কোরবানি দিতে না পারলে মাঝারি পশু (গরু/মহিষ) কোরবানি দেবে। মাঝারি পশু দিতে না পারলে, ছোট পশু (ছাগল/ভেড়া/দুম্বা) কোরবানি দেবে।
কারও যদি মন চায় যে, সে বড় বা মাঝারি পশু কোরবানি দেবে, কিন্তু সাধ অনুযায়ী সাধ্য নেই। তাহলে সাত ব্যক্তি শরিকানা হিসেবে বড় বা মাঝারি একটি পশু কোরবানি দিতে পারবে।
জাবের (রা.) বলেন, আমরা হুদায়বিয়া নামক স্থানে নবী করিম (সা.) এর সঙ্গে একটি উট সাতজনের পক্ষ থেকে এবং একটি গরু সাতজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করেছি। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১৩২)
কোরবানি পশুর শারীরিক শর্তাবলি
কোরবানির জন্য নির্বাচিত পশুর মাঝে কিছু গুণাবলি থাকতে হবে এবং কিছু ত্রুটিমুক্ত হতে হবে।
উল্লেখ থাকে যে, কোরবানির পশু পুরুষ বা স্ত্রী—যে কোনোটি হতে পারে। ষাঁড় বা বলদ, পাঁঠা বা খাসি হলে কোনো দোষ নেই।
কোরবানির গোশত বণ্টন
ইসলামি বিধি-বিধান মতে কোরবানির সমুদয় গোশত কোরবানিদাতা খেতে পারবে। আবার ইচ্ছা করলে সমুদয় গোশত দান করেও দিতে পারবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে উত্তম হলো গোশত তিন ভাগে ভাগ করা।
তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—কোরবানির গোশত বিক্রি করা বৈধ নয়। তবে কেউ যদি বিক্রি করেন তাহলে তার মূল্য ফিতরার মতো অসহায়দের মাঝে বণ্টন করতে হবে। তবে গোশত যাদের মাঝে বিতরণ করা হয় তারা বিক্রি করলে দোষ নেই।
আরও একটি বিষয় হলো—কোরবানির গোশত যেন কোনোভাবেই বিনিময় বা পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া না হয়। যেমন, যারা কোরবানির গোশত কাটবে তাদের যেন বিনিময়ে গোশত দেওয়া না হয়। যদি দিতেই হয় তাহলে বিনিময়ে টাকা দেবে।
এ ক্ষেত্রে আমরা আরও একটি ভুল করে থাকি তা হলো, আমরা শ্রমিককে অর্থ ও খাবার বিনিময়ে কাজে নিয়ে থাকি। এ ক্ষেত্রে তাকে কোরবানির গোশত খেতে দিলে সঙ্গে অন্য তরকারি কিংবা অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে। অন্যথায় শ্রমের বিনিময়ে তাকে গোশত খাওয়ানো হবে যা বৈধ হবে না।
কোরবানির পশুর চামড়ার বিধান
কোরবানির পশুর চামড়া সম্পর্কে ইসলামের বিধান হলো—এ চামড়া দাবাগাত বা প্রক্রিয়াজাত করে পাক করে নিয়ে নিজে ব্যবহার করতে পারবে। উত্তম হলো চামড়া বা তার মূল্য গরিবদের দিয়ে দেওয়া।
আরও উত্তম হলো, যে সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনাথ, এতিম, অসহায় ও গরিব শিক্ষার্থীদের ফ্রি খাওয়ানো হয়—সেখানে দান করা। এতে একদিকে দানের সওয়াব অপরদিকে সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব বা দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যাবে।
লৌকিকতা বর্জন করে কোরবানি থেকে যেন আমরা প্রকৃত তাকওয়া অর্জন করতে পারি এটাই হোক প্রত্যাশা।
লেখক: মাহমুদুল হাসান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
ইসলাম ডেস্ক

কোরবানির মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি, সান্নিধ্য, নৈকট্য ও তাকওয়া অর্জন। কেননা সামাজিক নিয়ম হলো, যার জন্য উপহার দেওয়া হয়, তিনি সেটা ভোগ করেন। কিন্তু কোরবানি ও আল্লাহর ওয়াস্তে সকল উৎসর্গের ক্ষেত্রে অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে যার জন্য উৎসর্গ করা হয় তিনি ছুঁয়েও দেখেন না।
বরং কোরবানিদাতা নিজেই তা খেয়ে থাকেন এবং আত্মীয়-স্বজন ও গরিবদের মাঝে বণ্টন করে থাকেন। আর সে বণ্টনও হয়ে থাকে ইসলামের বিধানমতে। সুতরাং কোরবানির মূল উদ্দেশ্য হলো—আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও নৈকট্য লাভ করা।
তাকওয়া অর্জনের জন্য কায়মনোবাক্যে, একাগ্রতার সঙ্গে, খাঁটি মনে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য হতে হবে কোরবানি। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, কখনোই পৌঁছাবে না আল্লাহর নিকট পশুর গোশত ও রক্ত, তবে পৌঁছাবে, তাকওয়া বা পরহেজগারি। (সুরা হজ: ৩৭)
বর্তমান সমাজে একটি চলমান বিষয় রয়েছে। তা হলো মানুষে কি বলবে, আমাদের সন্তান কোথায় যাবে, লোকজন গোশত খাবে আর আমাদের সন্তানেরা চেয়ে চেয়ে দেখবে—এটা হতে পারে না। এ জন্য অনেকে কোরবানি দিয়ে থাকেন।
বর্তমানে অনুষ্ঠান সর্বস্ব, লৌকিকতা ও প্রদর্শনের ইচ্ছা সমাজের ওপর জেঁকে বসেছে। অথচ ইসলাম এমন লৌকিকতা শিরক বলে ঘোষণা দিয়েছে। যেমন রাসুল (সা.) বলেন, ছোট থেকে ছোট লৌকিকতাও শিরক। তাই লৌকিকতাকে বর্জন করা একান্ত জরুরি।
যার ওপর কোরবানি ওয়াজিব
কোরবানি ইসলামের বিভিন্ন আহকাম থেকে একটি হুকুম বা আল্লাহর নির্দেশ। যেমন আল্লাহ বলেন, সুতরাং তুমি নিজ প্রতিপালকের (সন্তুষ্টি অর্জনের) জন্য নামাজ পড় ও কোরবানি দাও। (সুরা কাউসার: ৩)। নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি না করে, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২৩)
তবে এই কোরবানি সবার ওপর ওয়াজিব নয়। যে ব্যক্তির মাঝে নিম্নলিখিত পাঁচটি শর্ত বা গুণাবলি পাওয়া যাবে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে—
কোরবানিদাতার জন্য করণীয়
কোরবানিদাতার জন্য আরও কিছু করণীয় বিষয় রয়েছে। যা তার জন্য সওয়াব ও লাভজনক হবে। আর তা হলো ঈদুল আজহার চাঁদ ওঠার পর থেকে কোরবানির পশু জবেহ করার পূর্ব পর্যন্ত চুল ও নখ কাটা যাবে না।
উম্মে সুলাইম (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যার জন্য কোরবানির পশু থাকবে যা সে কোরবানি দেবে—জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার পর কোরবানির পশু জবেহ করার পূর্ব পর্যন্ত সে যেন চুল ও নখ না কাটে। (সুনানে আবু দাউদ: ২৭৯১)
কোন কোন প্রাণী কোরবানি দেওয়া যায়
আল্লাহর জমিনে অগণিত জলজ ও স্থলজ প্রাণী রয়েছে। এর মাঝে বড় থেকে বড় এবং ছোট থেকে ছোট প্রাণীও বিদ্যমান। এর মধ্যে আল্লাহ তাআলা নিম্নলিখিত ছয় প্রকারের প্রাণী কোরবানির জন্য মনোনীত করেছেন—
উল্লিখিত ছোট তিন জাতের পশু কোরবানি দেওয়া যাবে। তবে শর্ত হলো যে—এদের বয়স কমপক্ষে এক বছর পূর্ণ হতে হবে। এর চেয়ে কম বয়সী হলে কোরবানি বৈধ হবে না। তবে ভেড়ার ক্ষেত্রে যদি ছয় মাস বয়সী ভেড়া, এক বছর বয়সী ভেড়ার মতো মোটাতাজা দেখায়—তাহলে তার দ্বারা কোরবানি গ্রহণযোগ্য হবে।
উল্লিখিত মাঝারি দুই জাতের পশু কোরবানি দেওয়া যাবে। তবে শর্ত হলো—এদের বয়স কমপক্ষে দুই বছর পূর্ণ হতে হবে। এর চেয়ে কম বয়সী গরু মহিষ দ্বারা কোরবানি বৈধ হবে না।
অগণিত বড় প্রাণীসমূহ থেকে আল্লাহ তায়ালা উটকে কোরবানির জন্য বৈধতা দিয়েছেন। তাই বলে যেকোনো উট কোরবানি দেওয়া যাবে না। যে উটের বয়স কমপক্ষে পাঁচ বছর বা তার চেয়ে বেশি হবে তার দ্বারা কোরবানি দেওয়া যাবে।
শরিকানা কোরবানির বিধান
আল্লাহ তায়ালা ইসলামি বিধিবিধান সহজ করে দিয়েছেন—যাতে করে মানুষ সাধ্যমতো আমল করতে পারে। কোরবানির বিষয়টিও আল্লাহ তেমনি সহজ করে দিয়েছেন। কেউ বড় পশু (উট) কোরবানি দিতে না পারলে মাঝারি পশু (গরু/মহিষ) কোরবানি দেবে। মাঝারি পশু দিতে না পারলে, ছোট পশু (ছাগল/ভেড়া/দুম্বা) কোরবানি দেবে।
কারও যদি মন চায় যে, সে বড় বা মাঝারি পশু কোরবানি দেবে, কিন্তু সাধ অনুযায়ী সাধ্য নেই। তাহলে সাত ব্যক্তি শরিকানা হিসেবে বড় বা মাঝারি একটি পশু কোরবানি দিতে পারবে।
জাবের (রা.) বলেন, আমরা হুদায়বিয়া নামক স্থানে নবী করিম (সা.) এর সঙ্গে একটি উট সাতজনের পক্ষ থেকে এবং একটি গরু সাতজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করেছি। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১৩২)
কোরবানি পশুর শারীরিক শর্তাবলি
কোরবানির জন্য নির্বাচিত পশুর মাঝে কিছু গুণাবলি থাকতে হবে এবং কিছু ত্রুটিমুক্ত হতে হবে।
উল্লেখ থাকে যে, কোরবানির পশু পুরুষ বা স্ত্রী—যে কোনোটি হতে পারে। ষাঁড় বা বলদ, পাঁঠা বা খাসি হলে কোনো দোষ নেই।
কোরবানির গোশত বণ্টন
ইসলামি বিধি-বিধান মতে কোরবানির সমুদয় গোশত কোরবানিদাতা খেতে পারবে। আবার ইচ্ছা করলে সমুদয় গোশত দান করেও দিতে পারবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে উত্তম হলো গোশত তিন ভাগে ভাগ করা।
তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—কোরবানির গোশত বিক্রি করা বৈধ নয়। তবে কেউ যদি বিক্রি করেন তাহলে তার মূল্য ফিতরার মতো অসহায়দের মাঝে বণ্টন করতে হবে। তবে গোশত যাদের মাঝে বিতরণ করা হয় তারা বিক্রি করলে দোষ নেই।
আরও একটি বিষয় হলো—কোরবানির গোশত যেন কোনোভাবেই বিনিময় বা পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া না হয়। যেমন, যারা কোরবানির গোশত কাটবে তাদের যেন বিনিময়ে গোশত দেওয়া না হয়। যদি দিতেই হয় তাহলে বিনিময়ে টাকা দেবে।
এ ক্ষেত্রে আমরা আরও একটি ভুল করে থাকি তা হলো, আমরা শ্রমিককে অর্থ ও খাবার বিনিময়ে কাজে নিয়ে থাকি। এ ক্ষেত্রে তাকে কোরবানির গোশত খেতে দিলে সঙ্গে অন্য তরকারি কিংবা অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে। অন্যথায় শ্রমের বিনিময়ে তাকে গোশত খাওয়ানো হবে যা বৈধ হবে না।
কোরবানির পশুর চামড়ার বিধান
কোরবানির পশুর চামড়া সম্পর্কে ইসলামের বিধান হলো—এ চামড়া দাবাগাত বা প্রক্রিয়াজাত করে পাক করে নিয়ে নিজে ব্যবহার করতে পারবে। উত্তম হলো চামড়া বা তার মূল্য গরিবদের দিয়ে দেওয়া।
আরও উত্তম হলো, যে সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনাথ, এতিম, অসহায় ও গরিব শিক্ষার্থীদের ফ্রি খাওয়ানো হয়—সেখানে দান করা। এতে একদিকে দানের সওয়াব অপরদিকে সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব বা দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যাবে।
লৌকিকতা বর্জন করে কোরবানি থেকে যেন আমরা প্রকৃত তাকওয়া অর্জন করতে পারি এটাই হোক প্রত্যাশা।
লেখক: মাহমুদুল হাসান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

কোরবানির মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি, সান্নিধ্য, নৈকট্য ও তাকওয়া অর্জন। কেননা সামাজিক নিয়ম হলো, যার জন্য উপহার দেওয়া হয়, তিনি সেটা ভোগ করেন। কিন্তু কোরবানি ও আল্লাহর ওয়াস্তে সকল উৎসর্গের ক্ষেত্রে অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে যার জন্য উৎসর্গ করা হয় তিনি ছুঁয়েও দেখেন না।
বরং কোরবানিদাতা নিজেই তা খেয়ে থাকেন এবং আত্মীয়-স্বজন ও গরিবদের মাঝে বণ্টন করে থাকেন। আর সে বণ্টনও হয়ে থাকে ইসলামের বিধানমতে। সুতরাং কোরবানির মূল উদ্দেশ্য হলো—আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও নৈকট্য লাভ করা।
তাকওয়া অর্জনের জন্য কায়মনোবাক্যে, একাগ্রতার সঙ্গে, খাঁটি মনে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য হতে হবে কোরবানি। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, কখনোই পৌঁছাবে না আল্লাহর নিকট পশুর গোশত ও রক্ত, তবে পৌঁছাবে, তাকওয়া বা পরহেজগারি। (সুরা হজ: ৩৭)
বর্তমান সমাজে একটি চলমান বিষয় রয়েছে। তা হলো মানুষে কি বলবে, আমাদের সন্তান কোথায় যাবে, লোকজন গোশত খাবে আর আমাদের সন্তানেরা চেয়ে চেয়ে দেখবে—এটা হতে পারে না। এ জন্য অনেকে কোরবানি দিয়ে থাকেন।
বর্তমানে অনুষ্ঠান সর্বস্ব, লৌকিকতা ও প্রদর্শনের ইচ্ছা সমাজের ওপর জেঁকে বসেছে। অথচ ইসলাম এমন লৌকিকতা শিরক বলে ঘোষণা দিয়েছে। যেমন রাসুল (সা.) বলেন, ছোট থেকে ছোট লৌকিকতাও শিরক। তাই লৌকিকতাকে বর্জন করা একান্ত জরুরি।
যার ওপর কোরবানি ওয়াজিব
কোরবানি ইসলামের বিভিন্ন আহকাম থেকে একটি হুকুম বা আল্লাহর নির্দেশ। যেমন আল্লাহ বলেন, সুতরাং তুমি নিজ প্রতিপালকের (সন্তুষ্টি অর্জনের) জন্য নামাজ পড় ও কোরবানি দাও। (সুরা কাউসার: ৩)। নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি না করে, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২৩)
তবে এই কোরবানি সবার ওপর ওয়াজিব নয়। যে ব্যক্তির মাঝে নিম্নলিখিত পাঁচটি শর্ত বা গুণাবলি পাওয়া যাবে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে—
কোরবানিদাতার জন্য করণীয়
কোরবানিদাতার জন্য আরও কিছু করণীয় বিষয় রয়েছে। যা তার জন্য সওয়াব ও লাভজনক হবে। আর তা হলো ঈদুল আজহার চাঁদ ওঠার পর থেকে কোরবানির পশু জবেহ করার পূর্ব পর্যন্ত চুল ও নখ কাটা যাবে না।
উম্মে সুলাইম (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যার জন্য কোরবানির পশু থাকবে যা সে কোরবানি দেবে—জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার পর কোরবানির পশু জবেহ করার পূর্ব পর্যন্ত সে যেন চুল ও নখ না কাটে। (সুনানে আবু দাউদ: ২৭৯১)
কোন কোন প্রাণী কোরবানি দেওয়া যায়
আল্লাহর জমিনে অগণিত জলজ ও স্থলজ প্রাণী রয়েছে। এর মাঝে বড় থেকে বড় এবং ছোট থেকে ছোট প্রাণীও বিদ্যমান। এর মধ্যে আল্লাহ তাআলা নিম্নলিখিত ছয় প্রকারের প্রাণী কোরবানির জন্য মনোনীত করেছেন—
উল্লিখিত ছোট তিন জাতের পশু কোরবানি দেওয়া যাবে। তবে শর্ত হলো যে—এদের বয়স কমপক্ষে এক বছর পূর্ণ হতে হবে। এর চেয়ে কম বয়সী হলে কোরবানি বৈধ হবে না। তবে ভেড়ার ক্ষেত্রে যদি ছয় মাস বয়সী ভেড়া, এক বছর বয়সী ভেড়ার মতো মোটাতাজা দেখায়—তাহলে তার দ্বারা কোরবানি গ্রহণযোগ্য হবে।
উল্লিখিত মাঝারি দুই জাতের পশু কোরবানি দেওয়া যাবে। তবে শর্ত হলো—এদের বয়স কমপক্ষে দুই বছর পূর্ণ হতে হবে। এর চেয়ে কম বয়সী গরু মহিষ দ্বারা কোরবানি বৈধ হবে না।
অগণিত বড় প্রাণীসমূহ থেকে আল্লাহ তায়ালা উটকে কোরবানির জন্য বৈধতা দিয়েছেন। তাই বলে যেকোনো উট কোরবানি দেওয়া যাবে না। যে উটের বয়স কমপক্ষে পাঁচ বছর বা তার চেয়ে বেশি হবে তার দ্বারা কোরবানি দেওয়া যাবে।
শরিকানা কোরবানির বিধান
আল্লাহ তায়ালা ইসলামি বিধিবিধান সহজ করে দিয়েছেন—যাতে করে মানুষ সাধ্যমতো আমল করতে পারে। কোরবানির বিষয়টিও আল্লাহ তেমনি সহজ করে দিয়েছেন। কেউ বড় পশু (উট) কোরবানি দিতে না পারলে মাঝারি পশু (গরু/মহিষ) কোরবানি দেবে। মাঝারি পশু দিতে না পারলে, ছোট পশু (ছাগল/ভেড়া/দুম্বা) কোরবানি দেবে।
কারও যদি মন চায় যে, সে বড় বা মাঝারি পশু কোরবানি দেবে, কিন্তু সাধ অনুযায়ী সাধ্য নেই। তাহলে সাত ব্যক্তি শরিকানা হিসেবে বড় বা মাঝারি একটি পশু কোরবানি দিতে পারবে।
জাবের (রা.) বলেন, আমরা হুদায়বিয়া নামক স্থানে নবী করিম (সা.) এর সঙ্গে একটি উট সাতজনের পক্ষ থেকে এবং একটি গরু সাতজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করেছি। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১৩২)
কোরবানি পশুর শারীরিক শর্তাবলি
কোরবানির জন্য নির্বাচিত পশুর মাঝে কিছু গুণাবলি থাকতে হবে এবং কিছু ত্রুটিমুক্ত হতে হবে।
উল্লেখ থাকে যে, কোরবানির পশু পুরুষ বা স্ত্রী—যে কোনোটি হতে পারে। ষাঁড় বা বলদ, পাঁঠা বা খাসি হলে কোনো দোষ নেই।
কোরবানির গোশত বণ্টন
ইসলামি বিধি-বিধান মতে কোরবানির সমুদয় গোশত কোরবানিদাতা খেতে পারবে। আবার ইচ্ছা করলে সমুদয় গোশত দান করেও দিতে পারবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে উত্তম হলো গোশত তিন ভাগে ভাগ করা।
তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—কোরবানির গোশত বিক্রি করা বৈধ নয়। তবে কেউ যদি বিক্রি করেন তাহলে তার মূল্য ফিতরার মতো অসহায়দের মাঝে বণ্টন করতে হবে। তবে গোশত যাদের মাঝে বিতরণ করা হয় তারা বিক্রি করলে দোষ নেই।
আরও একটি বিষয় হলো—কোরবানির গোশত যেন কোনোভাবেই বিনিময় বা পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া না হয়। যেমন, যারা কোরবানির গোশত কাটবে তাদের যেন বিনিময়ে গোশত দেওয়া না হয়। যদি দিতেই হয় তাহলে বিনিময়ে টাকা দেবে।
এ ক্ষেত্রে আমরা আরও একটি ভুল করে থাকি তা হলো, আমরা শ্রমিককে অর্থ ও খাবার বিনিময়ে কাজে নিয়ে থাকি। এ ক্ষেত্রে তাকে কোরবানির গোশত খেতে দিলে সঙ্গে অন্য তরকারি কিংবা অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে। অন্যথায় শ্রমের বিনিময়ে তাকে গোশত খাওয়ানো হবে যা বৈধ হবে না।
কোরবানির পশুর চামড়ার বিধান
কোরবানির পশুর চামড়া সম্পর্কে ইসলামের বিধান হলো—এ চামড়া দাবাগাত বা প্রক্রিয়াজাত করে পাক করে নিয়ে নিজে ব্যবহার করতে পারবে। উত্তম হলো চামড়া বা তার মূল্য গরিবদের দিয়ে দেওয়া।
আরও উত্তম হলো, যে সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনাথ, এতিম, অসহায় ও গরিব শিক্ষার্থীদের ফ্রি খাওয়ানো হয়—সেখানে দান করা। এতে একদিকে দানের সওয়াব অপরদিকে সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব বা দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যাবে।
লৌকিকতা বর্জন করে কোরবানি থেকে যেন আমরা প্রকৃত তাকওয়া অর্জন করতে পারি এটাই হোক প্রত্যাশা।
লেখক: মাহমুদুল হাসান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩৮ মিনিট আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

কোরবানির মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি, সান্নিধ্য, নৈকট্য ও তাকওয়া অর্জন। কেননা সামাজিক নিয়ম হলো, যার জন্য উপহার দেওয়া হয়, তিনি সেটা ভোগ করেন। কিন্তু কোরবানি ও আল্লাহর ওয়াস্তে সকল উৎসর্গের ক্ষেত্রে অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে যার জন্য উৎসর্গ করা হয় তিনি ছুঁয়েও দেখেন না।
০৪ জুন ২০২৫
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

কোরবানির মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি, সান্নিধ্য, নৈকট্য ও তাকওয়া অর্জন। কেননা সামাজিক নিয়ম হলো, যার জন্য উপহার দেওয়া হয়, তিনি সেটা ভোগ করেন। কিন্তু কোরবানি ও আল্লাহর ওয়াস্তে সকল উৎসর্গের ক্ষেত্রে অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে যার জন্য উৎসর্গ করা হয় তিনি ছুঁয়েও দেখেন না।
০৪ জুন ২০২৫
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩৮ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

কোরবানির মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি, সান্নিধ্য, নৈকট্য ও তাকওয়া অর্জন। কেননা সামাজিক নিয়ম হলো, যার জন্য উপহার দেওয়া হয়, তিনি সেটা ভোগ করেন। কিন্তু কোরবানি ও আল্লাহর ওয়াস্তে সকল উৎসর্গের ক্ষেত্রে অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে যার জন্য উৎসর্গ করা হয় তিনি ছুঁয়েও দেখেন না।
০৪ জুন ২০২৫
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩৮ মিনিট আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

কোরবানির মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি, সান্নিধ্য, নৈকট্য ও তাকওয়া অর্জন। কেননা সামাজিক নিয়ম হলো, যার জন্য উপহার দেওয়া হয়, তিনি সেটা ভোগ করেন। কিন্তু কোরবানি ও আল্লাহর ওয়াস্তে সকল উৎসর্গের ক্ষেত্রে অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে যার জন্য উৎসর্গ করা হয় তিনি ছুঁয়েও দেখেন না।
০৪ জুন ২০২৫
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩৮ মিনিট আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে