মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

আধুনিক মনোবিজ্ঞান জানায়, বাবা-মেয়ের সম্পর্ক তাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। বাবাকে দেখে মেয়ে শেখে—কোন ধরনের পুরুষের সঙ্গে তার সম্পর্কে জড়ানো উচিত। পুরুষেরা নারীদের থেকে কেমন আচরণ পছন্দ বা অপছন্দ করে, সুখ ও দুঃখের সময় কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং পরিবারের লোকজন থেকে কেমন প্রতিক্রিয়া আশা করে—এসব বিষয় মেয়েরা বাবাকে দেখে শেখে এবং ভবিষ্যতে তার জীবনে আসা অন্যান্য পুরুষের ব্যাপারে তা প্রয়োগ করে। অন্যদিকে, বাবা মেয়ের জন্য ভদ্রতা, ধৈর্য, স্নেহ ও দায়িত্ববোধ আয়ত্ত করেন। মেয়ের জন্য যথাসাধ্য একজন ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেন, যা পরিবার ও সমাজের অন্যদের সঙ্গে তাঁর আচরণে প্রভাব ফেলে। মেয়ের সহজাত যত্নশীলতা থেকেও বাবা শিক্ষা গ্রহণ করেন। তবে বাবা যদি পিতৃত্বের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করেন, মেয়ের সামনে ভদ্রতা, ধৈর্য ও স্নেহ প্রদর্শন না করেন, তাহলে মেয়ের জীবনে, বিশেষ করে স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে তার আচরণে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। (সাইকোলজি টুডে)
অন্য সব বিষয়ের মতো বাবা-মেয়ের সম্পর্কের বিষয়েও মহানবী (সা.) মানুষের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বিশেষ করে কন্যা ফাতিমার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে সিরাত গবেষকগণ বাবা-মেয়ের সুন্দরতম সম্পর্ক বলে অভিহিত করেছেন। এখানে মহানবী (সা.) ও ফাতিমা (রা.)-এর সম্পর্ক বিষয়ে কয়েকটি হাদিস তুলে ধরা হলো—
এক. ফাতিমা (রা.) রাসুল (সা.)-কে বড্ড বেশি ভালোবাসতেন। তাঁর ভালোবাসা নিছক কন্যাসুলভ ছিল না, বরং তাতে ছিল মাতৃত্বের ছাপ। এ জন্য তাঁকে বলা হতো ‘উম্মু আবিহা’ তথা নিজ বাবার মা। জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়ে শিশুকন্যা ফাতিমা যেন মাতৃত্বের মমতা দিয়ে রাসুলকে আগলে রেখেছিলেন। নবুওয়তের সূচনালগ্নে একদিন রাসুল (সা.) কাবা প্রান্তরে নামাজ আদায় করছিলেন, এমন সময় কুখ্যাত পৌত্তলিক উকবা ইবনে আবি মুআইত এসে সিজদারত রাসুলের ঘাড়ের ওপর উটের নাড়িভুঁড়ি তুলে দিল। ফলে তিনি সিজদা থেকে উঠতে পারছিলেন না। কুরাইশ পৌত্তলিক গোষ্ঠীর ভয়ে কেউ তাঁকে সাহায্য করার সাহস পাচ্ছিল না। কিন্তু ৯ বছরের শিশুকন্যা ফাতিমা শত্রুদের ভয়কে জয় করে বাবার কাছে ছুটে যান এবং ঘাড় থেকে উটের নাড়িভুঁড়ি সরিয়ে দেন। এরপর অগ্নিঝরা কণ্ঠে এমন নিকৃষ্ট কর্মের নিন্দা জানান। তাঁর সাহসিকতা ও বাবার প্রতি এমন ভালোবাসা দেখে উপস্থিত সবাই হতবাক হয়ে যায়। (হায়াতুস সাহাবা)
দুই. মৃত্যুর কিছুদিন আগে রাসুল (সা.) ফাতিমাকে কানে কানে বললেন, ‘তোমার বাবা এই পৃথিবীতে আর থাকবেন না।’ এ কথা শুনে ফাতিমা ডুকরে কেঁদে উঠলেন। তখনই নবীজি বললেন, ‘তবে আমার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তুমিই সবার আগে মৃত্যুবরণ করে আমার সঙ্গে মিলিত হবে।’ তখন আনন্দে ফাতিমার মুখ হাসিতে ভরে উঠল। (কানজুল উম্মাল) কল্পনা করুন, যে কন্যার কাছে বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যুবরণ করে বাবার সঙ্গে মিলিত হওয়া আনন্দের, তিনি তাঁর বাবাকে কতটা ভালোবাসেন।
তিন. রাসুল (সা.) ফাতিমাকে খুবই ভালোবাসতেন। কন্যার প্রতি পিতার কী রকম স্নেহ-ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ থাকা উচিত, ফাতিমাকে ভালোবাসার মাধ্যমে রাসুল (সা.) তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। আয়িশা (রা.) বলেন, ফাতিমা যখন রাসুলের ঘরে আসতেন, রাসুল (সা.) তাঁকে বরণ করতে দরজার দিকে ছুটে যেতেন। এরপর তাঁর হাত ধরে চুমু দিতেন এবং নিজের আসনে বসাতেন। (আবু দাউদ) রাসুল (সা.) বলতেন, ‘ফাতিমা আমার কলিজার টুকরা। তাঁকে কেউ অসন্তুষ্ট করলে সে যেন আমাকেই অসন্তুষ্ট করল।’ (বুখারি)
চার. মেয়ের প্রতি ভালোবাসা যেন মেয়েকে বিপথগামী করতে না পারে, সে বিষয়ে মহানবী (সা.) সতর্ক ছিলেন। মেয়েকে তিনি বলতেন, কেবল নবীর কন্যা হওয়ার কারণে পরকালে মুক্তি পাওয়া যাবে না। সেখানে মুক্তির একমাত্র উপায় হবে আমল ও তাকওয়া। (বুখারি) আরেক হাদিসে বলেছেন, ‘আল্লাহর কসম, মুহাম্মদের মেয়ে ফাতিমাও যদি চুরি করে, তাহলে আমি তার হাত কেটে দেব।’ (বুখারি)
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক

আধুনিক মনোবিজ্ঞান জানায়, বাবা-মেয়ের সম্পর্ক তাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। বাবাকে দেখে মেয়ে শেখে—কোন ধরনের পুরুষের সঙ্গে তার সম্পর্কে জড়ানো উচিত। পুরুষেরা নারীদের থেকে কেমন আচরণ পছন্দ বা অপছন্দ করে, সুখ ও দুঃখের সময় কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং পরিবারের লোকজন থেকে কেমন প্রতিক্রিয়া আশা করে—এসব বিষয় মেয়েরা বাবাকে দেখে শেখে এবং ভবিষ্যতে তার জীবনে আসা অন্যান্য পুরুষের ব্যাপারে তা প্রয়োগ করে। অন্যদিকে, বাবা মেয়ের জন্য ভদ্রতা, ধৈর্য, স্নেহ ও দায়িত্ববোধ আয়ত্ত করেন। মেয়ের জন্য যথাসাধ্য একজন ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেন, যা পরিবার ও সমাজের অন্যদের সঙ্গে তাঁর আচরণে প্রভাব ফেলে। মেয়ের সহজাত যত্নশীলতা থেকেও বাবা শিক্ষা গ্রহণ করেন। তবে বাবা যদি পিতৃত্বের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করেন, মেয়ের সামনে ভদ্রতা, ধৈর্য ও স্নেহ প্রদর্শন না করেন, তাহলে মেয়ের জীবনে, বিশেষ করে স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে তার আচরণে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। (সাইকোলজি টুডে)
অন্য সব বিষয়ের মতো বাবা-মেয়ের সম্পর্কের বিষয়েও মহানবী (সা.) মানুষের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বিশেষ করে কন্যা ফাতিমার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে সিরাত গবেষকগণ বাবা-মেয়ের সুন্দরতম সম্পর্ক বলে অভিহিত করেছেন। এখানে মহানবী (সা.) ও ফাতিমা (রা.)-এর সম্পর্ক বিষয়ে কয়েকটি হাদিস তুলে ধরা হলো—
এক. ফাতিমা (রা.) রাসুল (সা.)-কে বড্ড বেশি ভালোবাসতেন। তাঁর ভালোবাসা নিছক কন্যাসুলভ ছিল না, বরং তাতে ছিল মাতৃত্বের ছাপ। এ জন্য তাঁকে বলা হতো ‘উম্মু আবিহা’ তথা নিজ বাবার মা। জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়ে শিশুকন্যা ফাতিমা যেন মাতৃত্বের মমতা দিয়ে রাসুলকে আগলে রেখেছিলেন। নবুওয়তের সূচনালগ্নে একদিন রাসুল (সা.) কাবা প্রান্তরে নামাজ আদায় করছিলেন, এমন সময় কুখ্যাত পৌত্তলিক উকবা ইবনে আবি মুআইত এসে সিজদারত রাসুলের ঘাড়ের ওপর উটের নাড়িভুঁড়ি তুলে দিল। ফলে তিনি সিজদা থেকে উঠতে পারছিলেন না। কুরাইশ পৌত্তলিক গোষ্ঠীর ভয়ে কেউ তাঁকে সাহায্য করার সাহস পাচ্ছিল না। কিন্তু ৯ বছরের শিশুকন্যা ফাতিমা শত্রুদের ভয়কে জয় করে বাবার কাছে ছুটে যান এবং ঘাড় থেকে উটের নাড়িভুঁড়ি সরিয়ে দেন। এরপর অগ্নিঝরা কণ্ঠে এমন নিকৃষ্ট কর্মের নিন্দা জানান। তাঁর সাহসিকতা ও বাবার প্রতি এমন ভালোবাসা দেখে উপস্থিত সবাই হতবাক হয়ে যায়। (হায়াতুস সাহাবা)
দুই. মৃত্যুর কিছুদিন আগে রাসুল (সা.) ফাতিমাকে কানে কানে বললেন, ‘তোমার বাবা এই পৃথিবীতে আর থাকবেন না।’ এ কথা শুনে ফাতিমা ডুকরে কেঁদে উঠলেন। তখনই নবীজি বললেন, ‘তবে আমার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তুমিই সবার আগে মৃত্যুবরণ করে আমার সঙ্গে মিলিত হবে।’ তখন আনন্দে ফাতিমার মুখ হাসিতে ভরে উঠল। (কানজুল উম্মাল) কল্পনা করুন, যে কন্যার কাছে বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যুবরণ করে বাবার সঙ্গে মিলিত হওয়া আনন্দের, তিনি তাঁর বাবাকে কতটা ভালোবাসেন।
তিন. রাসুল (সা.) ফাতিমাকে খুবই ভালোবাসতেন। কন্যার প্রতি পিতার কী রকম স্নেহ-ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ থাকা উচিত, ফাতিমাকে ভালোবাসার মাধ্যমে রাসুল (সা.) তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। আয়িশা (রা.) বলেন, ফাতিমা যখন রাসুলের ঘরে আসতেন, রাসুল (সা.) তাঁকে বরণ করতে দরজার দিকে ছুটে যেতেন। এরপর তাঁর হাত ধরে চুমু দিতেন এবং নিজের আসনে বসাতেন। (আবু দাউদ) রাসুল (সা.) বলতেন, ‘ফাতিমা আমার কলিজার টুকরা। তাঁকে কেউ অসন্তুষ্ট করলে সে যেন আমাকেই অসন্তুষ্ট করল।’ (বুখারি)
চার. মেয়ের প্রতি ভালোবাসা যেন মেয়েকে বিপথগামী করতে না পারে, সে বিষয়ে মহানবী (সা.) সতর্ক ছিলেন। মেয়েকে তিনি বলতেন, কেবল নবীর কন্যা হওয়ার কারণে পরকালে মুক্তি পাওয়া যাবে না। সেখানে মুক্তির একমাত্র উপায় হবে আমল ও তাকওয়া। (বুখারি) আরেক হাদিসে বলেছেন, ‘আল্লাহর কসম, মুহাম্মদের মেয়ে ফাতিমাও যদি চুরি করে, তাহলে আমি তার হাত কেটে দেব।’ (বুখারি)
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৭ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১০ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১১ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

আধুনিক মনোবিজ্ঞান জানায়, বাবা-মেয়ের সম্পর্ক তাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। বাবাকে দেখে মেয়ে শেখে—কোন ধরনের পুরুষের সঙ্গে তার সম্পর্কে জড়ানো উচিত। পুরুষেরা নারীদের থেকে কেমন আচরণ পছন্দ বা অপছন্দ করে, সুখ ও দুঃখের সময় কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং পরিবারের লোকজন থেকে কেমন প্রতিক্রিয়া আ
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১০ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১১ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

আধুনিক মনোবিজ্ঞান জানায়, বাবা-মেয়ের সম্পর্ক তাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। বাবাকে দেখে মেয়ে শেখে—কোন ধরনের পুরুষের সঙ্গে তার সম্পর্কে জড়ানো উচিত। পুরুষেরা নারীদের থেকে কেমন আচরণ পছন্দ বা অপছন্দ করে, সুখ ও দুঃখের সময় কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং পরিবারের লোকজন থেকে কেমন প্রতিক্রিয়া আ
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৭ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১১ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আধুনিক মনোবিজ্ঞান জানায়, বাবা-মেয়ের সম্পর্ক তাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। বাবাকে দেখে মেয়ে শেখে—কোন ধরনের পুরুষের সঙ্গে তার সম্পর্কে জড়ানো উচিত। পুরুষেরা নারীদের থেকে কেমন আচরণ পছন্দ বা অপছন্দ করে, সুখ ও দুঃখের সময় কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং পরিবারের লোকজন থেকে কেমন প্রতিক্রিয়া আ
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৭ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১০ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

আধুনিক মনোবিজ্ঞান জানায়, বাবা-মেয়ের সম্পর্ক তাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। বাবাকে দেখে মেয়ে শেখে—কোন ধরনের পুরুষের সঙ্গে তার সম্পর্কে জড়ানো উচিত। পুরুষেরা নারীদের থেকে কেমন আচরণ পছন্দ বা অপছন্দ করে, সুখ ও দুঃখের সময় কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং পরিবারের লোকজন থেকে কেমন প্রতিক্রিয়া আ
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৭ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১০ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১১ ঘণ্টা আগে