তাওহীদ আদনান ইয়াকুব

সারহিন্দ। ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অন্তর্গত শান্ত ও নিরিবিলি একটি শহর। মোগল সাম্রাজ্যের ইতিহাসে এর ছিল গভীর প্রভাব। এখানে গ্রথিত রয়েছে এমন মহারত্ন, যা শুধু উপমহাদেশই নয়, বরং সমগ্র ইসলামি দুনিয়ার আকর্ষণ। এ মাটিতেই জন্মেছিলেন ইমামে রব্বানি মুজাদ্দিদে আলফে সানি, হজরত শায়েখ আহমাদ সারহিন্দি (রহ.), যিনি সূচনা করেছিলেন ইসলামের ইতিহাসে এক নবজাগরণের। ১৬ শতকের শেষভাগে, যখন সম্রাট আকবর প্রণীত অযৌক্তিক রীতিনীতিসংবলিত দ্বীনে এলাহি নামক বিকৃত ধর্ম মুসলমানদের দিগ্ভ্রান্ত করে তুলেছিল, তখন শায়েখ আহমাদ সারহিন্দি (রহ.) দৃঢ় মনোবল, তীক্ষ্ণ লেখনী ও গভীর আধ্যাত্মিক শক্তি দিয়ে মানুষকে ফিরিয়ে আনেন তাওহিদের পথে। এই অসামান্য অবদানের কারণেই ইতিহাসে তাঁকে স্মরণ করা হয় মুজাদ্দিদে আলফে সানি তথা দ্বিতীয় সহস্রাব্দের সংস্কারক হিসেবে। তাঁর চিরনিদ্রার ঠিকানাও এই সারহিন্দের জমিন।
সারহিন্দ শহরের প্রধান সড়ক থেকে কিছুটা ভেতরের দিকে এগোলেই চোখে পড়ে মুজাদ্দিদে আলফে সানির দরগাহ কমপ্লেক্স। এই দরগাহ কমপ্লেক্স নিছক কোনো দরগাহই নয়, বরং তা ইতিহাস ও আধ্যাত্মিকতার মিশেলে গড়ে ওঠা এক মিলনমেলাও বটে। ভেতরে যেতে পা বাড়ালেই প্রথমে পেরোতে হয় সুবিশাল এক ফটক। ফটক ভেদ করে সামনে এগোলে অনুভূত হয় নিমেষেই শহরের কোলাহল যেন মিলিয়ে গেল অদ্ভুত কোনো এক প্রশান্তিতে। সাদা মার্বেলের মসৃণ পথ, সবুজ গাছপালায় ঘেরা আঙিনা আর মাকবারা অংশে মাথার ওপর ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকা ধবধবে সাদা গম্বুজ—সব মিলিয়ে এক মনোরম পরিবেশ।
দরগাহের আঙিনায় দাঁড়ালে মনে হয় যেন যুগের পর যুগ আল্লাহর ওলিদের বরকতি নুরের আবহে আলোকিত এক প্রাঙ্গণ। রাতের বেলা খোলা আকাশের মিটিমিটি তারকাগুলো দরগাহের আঙিনায় আলো বিলিয়ে যায় অনবরত। এখানটায় অবস্থানকালে অনুভূত হয় অন্তরের ক্লান্তি যেন মিলিয়ে যাচ্ছে স্বর্গীয় স্নিগ্ধতায় আর হৃদয়ে নেমে আসতে থাকে এক অদ্ভুত প্রশান্তি। দরগাহের ভেতরের অংশে গিয়ে দাঁড়ালে পাওয়া যায় কোরআন তিলাওয়াতের মনোমুগ্ধকর ধ্বনি; যা শুনে আগন্তুকদের হৃদয়ে জেগে ওঠে গভীর শ্রদ্ধা ও আবেগ। পশ্চিম দিকে একটু এগোলে নজরে পড়ে সেই সুমধুর ধ্বনির উৎস কোরআনি মারকাজ। দেখা মেলে কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা নিতে শিশুদের ছুটে আসা। ছোট ছোট শিশুর কোরআন বুকে ছুটে আসার দৃশ্য আগন্তুকদের মুগ্ধ করে।
পূর্ব দিকের প্রাঙ্গণে অবস্থিত সুবিশাল লঙ্গরখানা আগন্তুকদের জন্য এক ভিন্ন আকর্ষণ। প্রতিদিন শত শত মানুষের আহার মেলে এই লঙ্গরখানায়। রান্না হয় রুটি, খিচুড়ি, ডাল, সবজি ও গোশতের বাহারি পদ। কেউ থালাবাসন মাজছে তো কেউ পরিবেশন করছে খাবার। যদিও মামুলি খাবার তবে পরিতৃপ্তিদায়ক। ধনী ও গরিব এবং মুসলিম ও অমুসলিম সবাই এক সারিতে বসে গ্রহণ করছে আহার। কারও মাঝেই নেই কোনো ভেদাভেদ।
দরগাহ কমপ্লেক্সের অপর প্রান্তেই দাঁড়িয়ে আছে এক সুবিশাল গুরুদুয়ারা, যা শিখ ধর্মের মানুষের কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থাপনা। দুই ধর্মের দুটি স্থাপনা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থেকে যেন ছড়িয়ে দিচ্ছে শান্তি ও সহাবস্থানের এক নীরব বার্তা। একদিকে আজান, অন্যদিকে কীর্তনের সুর। নেই কোনো সংঘাত; নেই কোনো হানাহানি ও বিদ্বেষ। এই সহাবস্থানই যেন সারহিন্দকে পরিণত করেছে মানব সম্প্রীতির এক জীবন্ত প্রতীকে।
শায়েখ আহমাদ সারহিন্দির দরগাহ আগন্তুকদের মাঝে ভাবনার উদ্রেক করে, সত্য ও ইমানের পথে অবিচল থাকলে একজন মানুষই পারে গোটা জাতির ভাগ্য বদলে দিতে। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ মুজাদ্দিদে আলফে সানি, যিনি আজ থেকে কয়েক শতাব্দী আগে উপমহাদেশের ইসলামি চেতনায় করেছিলেন নতুন প্রাণের সঞ্চার; যিনি অন্ধকার ভেদ করে ইসলামের আলো নব উদ্যমে আবার করেছিলেন প্রজ্বালন।
শায়েখ আহমাদ সারহিন্দি (রহ.) কয়েক শতাব্দী আগে বিগত হয়ে গেলেও তাঁর প্রভাব ও প্রতিপত্তি আজও অমর। তাই তো তাঁর দরগাহ কমপ্লেক্স যেন নিছক কোনো সমাধি নয়; বরং এক ঐতিহ্যেরও প্রতীক। এখানে মানুষ আসে অনুপ্রেরণা পেতে, আত্মার প্রশান্তি খুঁজতে কিংবা ইতিহাসের এক সোনালি অধ্যায়কে কাছ থেকে ছুঁয়ে দেখতে। এই সারহিন্দ আজও নীরবে জানান দিয়ে যায়, যদি কোনো মানুষ একাকীও দাঁড়িয়ে থাকে সত্যের পক্ষে, ইতিহাস কোনো না কোনো দিন তার নাম শ্রদ্ধাভরে উচ্চারণ করবেই।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া ইসলামিয়া কওমিয়া (নশাসন মাদরাসা) শরীয়তপুর

সারহিন্দ। ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অন্তর্গত শান্ত ও নিরিবিলি একটি শহর। মোগল সাম্রাজ্যের ইতিহাসে এর ছিল গভীর প্রভাব। এখানে গ্রথিত রয়েছে এমন মহারত্ন, যা শুধু উপমহাদেশই নয়, বরং সমগ্র ইসলামি দুনিয়ার আকর্ষণ। এ মাটিতেই জন্মেছিলেন ইমামে রব্বানি মুজাদ্দিদে আলফে সানি, হজরত শায়েখ আহমাদ সারহিন্দি (রহ.), যিনি সূচনা করেছিলেন ইসলামের ইতিহাসে এক নবজাগরণের। ১৬ শতকের শেষভাগে, যখন সম্রাট আকবর প্রণীত অযৌক্তিক রীতিনীতিসংবলিত দ্বীনে এলাহি নামক বিকৃত ধর্ম মুসলমানদের দিগ্ভ্রান্ত করে তুলেছিল, তখন শায়েখ আহমাদ সারহিন্দি (রহ.) দৃঢ় মনোবল, তীক্ষ্ণ লেখনী ও গভীর আধ্যাত্মিক শক্তি দিয়ে মানুষকে ফিরিয়ে আনেন তাওহিদের পথে। এই অসামান্য অবদানের কারণেই ইতিহাসে তাঁকে স্মরণ করা হয় মুজাদ্দিদে আলফে সানি তথা দ্বিতীয় সহস্রাব্দের সংস্কারক হিসেবে। তাঁর চিরনিদ্রার ঠিকানাও এই সারহিন্দের জমিন।
সারহিন্দ শহরের প্রধান সড়ক থেকে কিছুটা ভেতরের দিকে এগোলেই চোখে পড়ে মুজাদ্দিদে আলফে সানির দরগাহ কমপ্লেক্স। এই দরগাহ কমপ্লেক্স নিছক কোনো দরগাহই নয়, বরং তা ইতিহাস ও আধ্যাত্মিকতার মিশেলে গড়ে ওঠা এক মিলনমেলাও বটে। ভেতরে যেতে পা বাড়ালেই প্রথমে পেরোতে হয় সুবিশাল এক ফটক। ফটক ভেদ করে সামনে এগোলে অনুভূত হয় নিমেষেই শহরের কোলাহল যেন মিলিয়ে গেল অদ্ভুত কোনো এক প্রশান্তিতে। সাদা মার্বেলের মসৃণ পথ, সবুজ গাছপালায় ঘেরা আঙিনা আর মাকবারা অংশে মাথার ওপর ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকা ধবধবে সাদা গম্বুজ—সব মিলিয়ে এক মনোরম পরিবেশ।
দরগাহের আঙিনায় দাঁড়ালে মনে হয় যেন যুগের পর যুগ আল্লাহর ওলিদের বরকতি নুরের আবহে আলোকিত এক প্রাঙ্গণ। রাতের বেলা খোলা আকাশের মিটিমিটি তারকাগুলো দরগাহের আঙিনায় আলো বিলিয়ে যায় অনবরত। এখানটায় অবস্থানকালে অনুভূত হয় অন্তরের ক্লান্তি যেন মিলিয়ে যাচ্ছে স্বর্গীয় স্নিগ্ধতায় আর হৃদয়ে নেমে আসতে থাকে এক অদ্ভুত প্রশান্তি। দরগাহের ভেতরের অংশে গিয়ে দাঁড়ালে পাওয়া যায় কোরআন তিলাওয়াতের মনোমুগ্ধকর ধ্বনি; যা শুনে আগন্তুকদের হৃদয়ে জেগে ওঠে গভীর শ্রদ্ধা ও আবেগ। পশ্চিম দিকে একটু এগোলে নজরে পড়ে সেই সুমধুর ধ্বনির উৎস কোরআনি মারকাজ। দেখা মেলে কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা নিতে শিশুদের ছুটে আসা। ছোট ছোট শিশুর কোরআন বুকে ছুটে আসার দৃশ্য আগন্তুকদের মুগ্ধ করে।
পূর্ব দিকের প্রাঙ্গণে অবস্থিত সুবিশাল লঙ্গরখানা আগন্তুকদের জন্য এক ভিন্ন আকর্ষণ। প্রতিদিন শত শত মানুষের আহার মেলে এই লঙ্গরখানায়। রান্না হয় রুটি, খিচুড়ি, ডাল, সবজি ও গোশতের বাহারি পদ। কেউ থালাবাসন মাজছে তো কেউ পরিবেশন করছে খাবার। যদিও মামুলি খাবার তবে পরিতৃপ্তিদায়ক। ধনী ও গরিব এবং মুসলিম ও অমুসলিম সবাই এক সারিতে বসে গ্রহণ করছে আহার। কারও মাঝেই নেই কোনো ভেদাভেদ।
দরগাহ কমপ্লেক্সের অপর প্রান্তেই দাঁড়িয়ে আছে এক সুবিশাল গুরুদুয়ারা, যা শিখ ধর্মের মানুষের কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থাপনা। দুই ধর্মের দুটি স্থাপনা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থেকে যেন ছড়িয়ে দিচ্ছে শান্তি ও সহাবস্থানের এক নীরব বার্তা। একদিকে আজান, অন্যদিকে কীর্তনের সুর। নেই কোনো সংঘাত; নেই কোনো হানাহানি ও বিদ্বেষ। এই সহাবস্থানই যেন সারহিন্দকে পরিণত করেছে মানব সম্প্রীতির এক জীবন্ত প্রতীকে।
শায়েখ আহমাদ সারহিন্দির দরগাহ আগন্তুকদের মাঝে ভাবনার উদ্রেক করে, সত্য ও ইমানের পথে অবিচল থাকলে একজন মানুষই পারে গোটা জাতির ভাগ্য বদলে দিতে। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ মুজাদ্দিদে আলফে সানি, যিনি আজ থেকে কয়েক শতাব্দী আগে উপমহাদেশের ইসলামি চেতনায় করেছিলেন নতুন প্রাণের সঞ্চার; যিনি অন্ধকার ভেদ করে ইসলামের আলো নব উদ্যমে আবার করেছিলেন প্রজ্বালন।
শায়েখ আহমাদ সারহিন্দি (রহ.) কয়েক শতাব্দী আগে বিগত হয়ে গেলেও তাঁর প্রভাব ও প্রতিপত্তি আজও অমর। তাই তো তাঁর দরগাহ কমপ্লেক্স যেন নিছক কোনো সমাধি নয়; বরং এক ঐতিহ্যেরও প্রতীক। এখানে মানুষ আসে অনুপ্রেরণা পেতে, আত্মার প্রশান্তি খুঁজতে কিংবা ইতিহাসের এক সোনালি অধ্যায়কে কাছ থেকে ছুঁয়ে দেখতে। এই সারহিন্দ আজও নীরবে জানান দিয়ে যায়, যদি কোনো মানুষ একাকীও দাঁড়িয়ে থাকে সত্যের পক্ষে, ইতিহাস কোনো না কোনো দিন তার নাম শ্রদ্ধাভরে উচ্চারণ করবেই।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া ইসলামিয়া কওমিয়া (নশাসন মাদরাসা) শরীয়তপুর

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৫ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৯ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৯ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সারহিন্দ। ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অন্তর্গত শান্ত ও নিরিবিলি একটি শহর। মোগল সাম্রাজ্যের ইতিহাসে এর ছিল গভীর প্রভাব। এখানে গ্রথিত রয়েছে এমন মহারত্ন, যা শুধু উপমহাদেশই নয়, বরং সমগ্র ইসলামি দুনিয়ার আকর্ষণ। এ মাটিতেই জন্মেছিলেন ইমামে রব্বানি মুজাদ্দিদে আলফে সানি, হজরত শায়েখ আহমাদ সারহিন্দি (রহ.)...
০৭ নভেম্বর ২০২৫
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৫ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সারহিন্দ। ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অন্তর্গত শান্ত ও নিরিবিলি একটি শহর। মোগল সাম্রাজ্যের ইতিহাসে এর ছিল গভীর প্রভাব। এখানে গ্রথিত রয়েছে এমন মহারত্ন, যা শুধু উপমহাদেশই নয়, বরং সমগ্র ইসলামি দুনিয়ার আকর্ষণ। এ মাটিতেই জন্মেছিলেন ইমামে রব্বানি মুজাদ্দিদে আলফে সানি, হজরত শায়েখ আহমাদ সারহিন্দি (রহ.)...
০৭ নভেম্বর ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

সারহিন্দ। ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অন্তর্গত শান্ত ও নিরিবিলি একটি শহর। মোগল সাম্রাজ্যের ইতিহাসে এর ছিল গভীর প্রভাব। এখানে গ্রথিত রয়েছে এমন মহারত্ন, যা শুধু উপমহাদেশই নয়, বরং সমগ্র ইসলামি দুনিয়ার আকর্ষণ। এ মাটিতেই জন্মেছিলেন ইমামে রব্বানি মুজাদ্দিদে আলফে সানি, হজরত শায়েখ আহমাদ সারহিন্দি (রহ.)...
০৭ নভেম্বর ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সারহিন্দ। ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অন্তর্গত শান্ত ও নিরিবিলি একটি শহর। মোগল সাম্রাজ্যের ইতিহাসে এর ছিল গভীর প্রভাব। এখানে গ্রথিত রয়েছে এমন মহারত্ন, যা শুধু উপমহাদেশই নয়, বরং সমগ্র ইসলামি দুনিয়ার আকর্ষণ। এ মাটিতেই জন্মেছিলেন ইমামে রব্বানি মুজাদ্দিদে আলফে সানি, হজরত শায়েখ আহমাদ সারহিন্দি (রহ.)...
০৭ নভেম্বর ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৫ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে