ইজাজুল হক, ঢাকা

ইসলামের দৃষ্টিতে জুমার দিনের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এই দিনে ইতিহাসের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। তাই আল্লাহ তাআলা দিনটিকে সপ্তাহের সেরা দিনের মর্যাদা দিয়েছেন এবং জুমার নামাজের মতো মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত মুসলমানদের জন্য আবশ্যক করেছেন। এ নামাজ মসজিদে সমবেত হয়ে আদায় করতে হয়, ফলে মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন শক্তিশালী হয়; গড়ে উঠে অটুট সমাজব্যবস্থা।
পৃথিবীর ইতিহাসে এই দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়। যেমন, আদি পিতা হজরত আদম (আ.)-কে এই দিনে সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই দিনেই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল এবং এই দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এই দিনেই তাঁকে দুনিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। এই দিনেই তাঁর তওবা কবুল করা হয়েছিল। আবার এই দিনেই তাঁর মৃত্যু হয়। (মুসলিম, হাদিস: ৮৫৪; আবু দাউদ, হাদিস: ১০৪৬)
তা ছাড়া এই দিনে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটবে। যেমন হাদিসে এসেছে, এই দিনে হজরত ইসরাফিল (আ.) শিঙায় ফুঁ দেবেন। এই দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে এবং এই দিনেই সবাই বেহুঁশ হয়ে যাবে। (আবু দাউদ, হাদিস: ১০৪৭) অন্য এক হাদিসে এসেছে, ‘জান্নাতে একটি বাজার থাকবে। প্রত্যেক জুমার দিনে জান্নাতি লোকেরা সেখানে একত্র হবে। তারপর উত্তর দিকের বাতাস বইবে এবং সেখানকার ধুলাবালি তাদের মুখে ও পোশাকপরিচ্ছদে গিয়ে লাগবে। এতে তাদের রূপ-লাবণ্য আরও বেড়ে যাবে।...’ (মুসলিম, হাদিস: ২৮৩৩)
আল্লাহর ফেরেশতাসহ নানা সৃষ্টি এবং প্রকৃতির বিচিত্র উপাদানের কাছেও এই দিনকে আল্লাহ বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত করেছেন। এক হাদিসে আছে, ‘প্রত্যেক নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতা, আকাশ, পৃথিবী, বাতাস, পর্বত ও সমুদ্র এই দিনটিকে ভয় ও সমীহ করে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১০৮৪)
এসব কারণে দিনটিকে আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের সপ্তাহের মর্যাদাপূর্ণ দিন হিসেবে ধার্য করেছেন। পূর্ববর্তী জাতিরা এ দিনের মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল; আল্লাহ অনুগ্রহ করে মহানবী (সা.)-কে এই দিনের সন্ধান দিয়েছেন। ফলে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ আল্লাহ মুসলমানদের জন্য এ দিনের বিশেষ ইবাদত জুমা ফরজ করেছেন। জুমার সময় নিজেকে দুনিয়ার সব কাজ থেকে মুক্ত করে তাঁর দরবারে হাজির হতে বলেছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘হে মোমিনেরা, জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বোঝো।’ (সুরা জুমা, আয়াত: ৯)
তবে সারা দিন ইবাদতে মগ্ন থাকতে হবে, পার্থিব কোনো কাজ করা যাবে না—বিষয়টি এমন নয়। বরং নামাজের পর আয়-রোজগারে নেমে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। তবে যা-ই করা হোক, সর্বদা যেন আল্লাহর স্মরণ করা হয় এবং তার আদেশ-নিষেধ মেনে চলা হয়, তার প্রতি জোর দিয়েছেন তিনি। এরশাদ হচ্ছে, ‘এরপর নামাজ শেষ হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো, আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ করো এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমা, আয়াত: ১০)।
জুমার নামাজ আদায়কারীর জন্য রয়েছে পরকালীন সাফল্য ও গুনাহ থেকে মুক্তি। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে অজু করে, এরপর জুমা পড়তে উপস্থিত হয় এবং মনোযোগ দিয়ে নীরবে খুতবা শোনে, সে ব্যক্তির এই জুমা ও (আগামী) জুমার মধ্যকার এবং অতিরিক্ত আরও তিন দিনের সগিরা গুনাহগুলো ক্ষমা করা হবে। (মুসলিম, হাদিস: ৮৫৭)
জুমার দিনে দোয়া কবুলের কথাও হাদিসে এসেছে। বিশেষত আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই সময়ে নীরবে-নিভৃতে আল্লাহর কাছে দোয়া করা, কৃত গুনাহের জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং ইহকালীন-পরকালীন সাফল্য কামনা করা উচিত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায়, তা-ই তাকে দেওয়া হয়। আর এ সময়টি হলো-জুমার দিন আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত।’ (বুখারি, হাদিস: ৯৩৫)
এই দিনে ইন্তেকাল করা ব্যক্তিও বিশেষ মর্যাদার অধিকারী হবেন বলে হাদিসে এসেছে। কবরের কঠিন পরীক্ষায় সে উতরে যেতে পারবে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জুমার রাতে বা দিনে যে ব্যক্তি মারা যায়, আল্লাহ তাআলা তাকে কবরের ফেতনা থেকে রক্ষা করবেন।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১০৭৮)
আমাদের দেশে সাপ্তাহিক ছুটির দিন জুমাবার। এই দিনে সাধারণত তেমন কোনো কাজ থাকে না। তাই এই অসাধারণ দিনটিকে হেলায় নষ্ট না করে ইবাদত ও দোয়ায় মগ্ন হওয়া, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের খোঁজখবর নেওয়া, এতিম-অসহায়দের মুখে খাবার তুলে দেওয়া—সর্বোপরি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের যথাসাধ্য চেষ্টা করা প্রতিটি মোমিনের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

ইসলামের দৃষ্টিতে জুমার দিনের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এই দিনে ইতিহাসের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। তাই আল্লাহ তাআলা দিনটিকে সপ্তাহের সেরা দিনের মর্যাদা দিয়েছেন এবং জুমার নামাজের মতো মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত মুসলমানদের জন্য আবশ্যক করেছেন। এ নামাজ মসজিদে সমবেত হয়ে আদায় করতে হয়, ফলে মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন শক্তিশালী হয়; গড়ে উঠে অটুট সমাজব্যবস্থা।
পৃথিবীর ইতিহাসে এই দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়। যেমন, আদি পিতা হজরত আদম (আ.)-কে এই দিনে সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই দিনেই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল এবং এই দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এই দিনেই তাঁকে দুনিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। এই দিনেই তাঁর তওবা কবুল করা হয়েছিল। আবার এই দিনেই তাঁর মৃত্যু হয়। (মুসলিম, হাদিস: ৮৫৪; আবু দাউদ, হাদিস: ১০৪৬)
তা ছাড়া এই দিনে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটবে। যেমন হাদিসে এসেছে, এই দিনে হজরত ইসরাফিল (আ.) শিঙায় ফুঁ দেবেন। এই দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে এবং এই দিনেই সবাই বেহুঁশ হয়ে যাবে। (আবু দাউদ, হাদিস: ১০৪৭) অন্য এক হাদিসে এসেছে, ‘জান্নাতে একটি বাজার থাকবে। প্রত্যেক জুমার দিনে জান্নাতি লোকেরা সেখানে একত্র হবে। তারপর উত্তর দিকের বাতাস বইবে এবং সেখানকার ধুলাবালি তাদের মুখে ও পোশাকপরিচ্ছদে গিয়ে লাগবে। এতে তাদের রূপ-লাবণ্য আরও বেড়ে যাবে।...’ (মুসলিম, হাদিস: ২৮৩৩)
আল্লাহর ফেরেশতাসহ নানা সৃষ্টি এবং প্রকৃতির বিচিত্র উপাদানের কাছেও এই দিনকে আল্লাহ বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত করেছেন। এক হাদিসে আছে, ‘প্রত্যেক নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতা, আকাশ, পৃথিবী, বাতাস, পর্বত ও সমুদ্র এই দিনটিকে ভয় ও সমীহ করে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১০৮৪)
এসব কারণে দিনটিকে আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের সপ্তাহের মর্যাদাপূর্ণ দিন হিসেবে ধার্য করেছেন। পূর্ববর্তী জাতিরা এ দিনের মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল; আল্লাহ অনুগ্রহ করে মহানবী (সা.)-কে এই দিনের সন্ধান দিয়েছেন। ফলে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ আল্লাহ মুসলমানদের জন্য এ দিনের বিশেষ ইবাদত জুমা ফরজ করেছেন। জুমার সময় নিজেকে দুনিয়ার সব কাজ থেকে মুক্ত করে তাঁর দরবারে হাজির হতে বলেছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘হে মোমিনেরা, জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বোঝো।’ (সুরা জুমা, আয়াত: ৯)
তবে সারা দিন ইবাদতে মগ্ন থাকতে হবে, পার্থিব কোনো কাজ করা যাবে না—বিষয়টি এমন নয়। বরং নামাজের পর আয়-রোজগারে নেমে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। তবে যা-ই করা হোক, সর্বদা যেন আল্লাহর স্মরণ করা হয় এবং তার আদেশ-নিষেধ মেনে চলা হয়, তার প্রতি জোর দিয়েছেন তিনি। এরশাদ হচ্ছে, ‘এরপর নামাজ শেষ হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো, আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ করো এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমা, আয়াত: ১০)।
জুমার নামাজ আদায়কারীর জন্য রয়েছে পরকালীন সাফল্য ও গুনাহ থেকে মুক্তি। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে অজু করে, এরপর জুমা পড়তে উপস্থিত হয় এবং মনোযোগ দিয়ে নীরবে খুতবা শোনে, সে ব্যক্তির এই জুমা ও (আগামী) জুমার মধ্যকার এবং অতিরিক্ত আরও তিন দিনের সগিরা গুনাহগুলো ক্ষমা করা হবে। (মুসলিম, হাদিস: ৮৫৭)
জুমার দিনে দোয়া কবুলের কথাও হাদিসে এসেছে। বিশেষত আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই সময়ে নীরবে-নিভৃতে আল্লাহর কাছে দোয়া করা, কৃত গুনাহের জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং ইহকালীন-পরকালীন সাফল্য কামনা করা উচিত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায়, তা-ই তাকে দেওয়া হয়। আর এ সময়টি হলো-জুমার দিন আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত।’ (বুখারি, হাদিস: ৯৩৫)
এই দিনে ইন্তেকাল করা ব্যক্তিও বিশেষ মর্যাদার অধিকারী হবেন বলে হাদিসে এসেছে। কবরের কঠিন পরীক্ষায় সে উতরে যেতে পারবে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জুমার রাতে বা দিনে যে ব্যক্তি মারা যায়, আল্লাহ তাআলা তাকে কবরের ফেতনা থেকে রক্ষা করবেন।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১০৭৮)
আমাদের দেশে সাপ্তাহিক ছুটির দিন জুমাবার। এই দিনে সাধারণত তেমন কোনো কাজ থাকে না। তাই এই অসাধারণ দিনটিকে হেলায় নষ্ট না করে ইবাদত ও দোয়ায় মগ্ন হওয়া, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের খোঁজখবর নেওয়া, এতিম-অসহায়দের মুখে খাবার তুলে দেওয়া—সর্বোপরি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের যথাসাধ্য চেষ্টা করা প্রতিটি মোমিনের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১ দিন আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—
চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।
হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)
নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—
চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।
হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)
নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

ইসলামের দৃষ্টিতে জুমার দিনের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এই দিনে ইতিহাসের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। তাই আল্লাহ তাআলা দিনটিকে সপ্তাহের সেরা দিনের মর্যাদা দিয়েছেন এবং জুমার নামাজের মতো মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত মুসলমানদের জন্য আবশ্যক করেছেন।
০২ ডিসেম্বর ২০২১
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১ দিন আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামের দৃষ্টিতে জুমার দিনের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এই দিনে ইতিহাসের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। তাই আল্লাহ তাআলা দিনটিকে সপ্তাহের সেরা দিনের মর্যাদা দিয়েছেন এবং জুমার নামাজের মতো মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত মুসলমানদের জন্য আবশ্যক করেছেন।
০২ ডিসেম্বর ২০২১
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১ দিন আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

ইসলামের দৃষ্টিতে জুমার দিনের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এই দিনে ইতিহাসের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। তাই আল্লাহ তাআলা দিনটিকে সপ্তাহের সেরা দিনের মর্যাদা দিয়েছেন এবং জুমার নামাজের মতো মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত মুসলমানদের জন্য আবশ্যক করেছেন।
০২ ডিসেম্বর ২০২১
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
২ দিন আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)
ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।
শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।
শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।
শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)
ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।
শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।
শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।
শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

ইসলামের দৃষ্টিতে জুমার দিনের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এই দিনে ইতিহাসের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। তাই আল্লাহ তাআলা দিনটিকে সপ্তাহের সেরা দিনের মর্যাদা দিয়েছেন এবং জুমার নামাজের মতো মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত মুসলমানদের জন্য আবশ্যক করেছেন।
০২ ডিসেম্বর ২০২১
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১ দিন আগে