আপনার জিজ্ঞাসা
মুফতি হাসান আরিফ

প্রশ্ন: আমাদের অফিসের টপ ফ্লোরে নামাজের জন্য নির্ধারিত জায়গা আছে। সেখানে নির্ধারিত আলেম ইমামের মাধ্যমে জামাতের সঙ্গে ওয়াক্তিয়া নামাজ আদায় করা হয়। কিন্তু আমরা জুমার নামাজ আদায় করি পাশের একটি বড় মসজিদে। অফিসের নামাজ আদায়ের স্থানটি ওয়াক্ফ করা নয়। এ অবস্থায় আমরা কি ইচ্ছে করলে সেখানে জুমার নামাজের আয়োজন করতে পারি? এ বিষয়ে ইসলামের বিধান জানতে চাই। বিল্লাল শেখ, উত্তরা, ঢাকা
উত্তর: সপ্তাহের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ দিন জুমাবার। মুমিনের জীবনে দিনটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এ দিনের নামে স্বতন্ত্র সুরা অবতীর্ণ করেছেন। জুমার দিনের গুরুত্ব, তাৎপর্য নিয়ে অসংখ্য হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এই দিনের অন্যতম আমল জুমার নামাজ। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এই ইবাদতকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের বিশেষ জমায়েত লক্ষ করা যায়। বরকতময় এই দিনে মসজিদে গিয়ে বড় জামাতের সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করাই উত্তম।
জুমার নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার ৫ শর্ত
মসজিদ ছাড়াও জুমার নামাজ আদায় করা যায়, কিন্তু মসজিদ ছাড়া জুমার নামাজের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতে কয়েকটি শর্ত পূরণ করা আবশ্যক। তা হলো—
১. নির্দিষ্ট জনবসতি (শহর বা উপশহর): জুমার নামাজ এমন স্থানে আদায় করতে হবে, যা শহর বা উপশহর হিসেবে গণ্য হয়। জনমানবশূন্য এলাকা বা প্রত্যন্ত গ্রামে জুমার নামাজ শুদ্ধ হবে না।
২. জামাতের সঙ্গে আদায়: জুমার নামাজ একা আদায় করা যায় না। তা জামাতের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হওয়া আবশ্যক।
৩. খুতবার আয়োজন: জুমার নামাজের আগে খুতবা দেওয়া অপরিহার্য। খুতবা ছাড়া জুমার নামাজ শুদ্ধ হবে না।
৪. জোহরের সময়ের মধ্যে আদায়: জুমার নামাজ আদায় করতে হবে জোহরের নির্ধারিত সময়ের ভেতরে।
৫. সবার জন্য সাধারণ অনুমতি: মসজিদ ছাড়া অন্য কোথাও জুমার নামাজের আয়োজন করলে সেখানে জুমায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সবার জন্য উন্মুক্ত ও মুক্ত অনুমতি থাকতে হবে। তা শুধু নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা ব্যক্তিদের জন্য সীমাবদ্ধ হলে জুমার নামাজ শুদ্ধ হবে না।
আপনার অফিসের নামাজ ঘরে যেহেতু আলেম ইমামের মাধ্যমে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাতের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে, তাই উল্লিখিত শর্তসমূহের প্রথম ৪টি শর্ত পূরণ করা সম্ভব হওয়ার কথা। কিন্তু পঞ্চম শর্ত যদি পাওয়া না যায়, তাহলে সেখানে জুমার নামাজ আদায় শুদ্ধ হবে না। অর্থাৎ সেখানে জুমায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সবার জন্য উন্মুক্ত ও মুক্ত অনুমতি থাকতে হবে। অনেক অফিসেই নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তায় প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত থাকে। আপনাদের অফিসও তেমনটি হলে পাশের মসজিদে গিয়েই জুমার নামাজ আদায় করতে হবে।
প্রসঙ্গত, জুমার নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য স্থানটি ওয়াক্ফ হওয়া আবশ্যক নয়। আলোচিত পাঁচ শর্ত পাওয়া গেলে যেকোনো স্থানেই জুমার নামাজের আয়োজন করা যাবে।
তথ্যসূত্র: মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক: ৫১৭৫, মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ৫০৬৪, আল-হালাবি আল-কাবির: পৃ. ৫১১, হাশিয়াতুত তাহতাওয়ি: পৃ. ৫১৩, রদ্দুল মুখতার: ২/১৫১
উত্তর দিয়েছেন: ইসলামবিষয়ক গবেষক

প্রশ্ন: আমাদের অফিসের টপ ফ্লোরে নামাজের জন্য নির্ধারিত জায়গা আছে। সেখানে নির্ধারিত আলেম ইমামের মাধ্যমে জামাতের সঙ্গে ওয়াক্তিয়া নামাজ আদায় করা হয়। কিন্তু আমরা জুমার নামাজ আদায় করি পাশের একটি বড় মসজিদে। অফিসের নামাজ আদায়ের স্থানটি ওয়াক্ফ করা নয়। এ অবস্থায় আমরা কি ইচ্ছে করলে সেখানে জুমার নামাজের আয়োজন করতে পারি? এ বিষয়ে ইসলামের বিধান জানতে চাই। বিল্লাল শেখ, উত্তরা, ঢাকা
উত্তর: সপ্তাহের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ দিন জুমাবার। মুমিনের জীবনে দিনটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এ দিনের নামে স্বতন্ত্র সুরা অবতীর্ণ করেছেন। জুমার দিনের গুরুত্ব, তাৎপর্য নিয়ে অসংখ্য হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এই দিনের অন্যতম আমল জুমার নামাজ। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এই ইবাদতকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের বিশেষ জমায়েত লক্ষ করা যায়। বরকতময় এই দিনে মসজিদে গিয়ে বড় জামাতের সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করাই উত্তম।
জুমার নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার ৫ শর্ত
মসজিদ ছাড়াও জুমার নামাজ আদায় করা যায়, কিন্তু মসজিদ ছাড়া জুমার নামাজের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতে কয়েকটি শর্ত পূরণ করা আবশ্যক। তা হলো—
১. নির্দিষ্ট জনবসতি (শহর বা উপশহর): জুমার নামাজ এমন স্থানে আদায় করতে হবে, যা শহর বা উপশহর হিসেবে গণ্য হয়। জনমানবশূন্য এলাকা বা প্রত্যন্ত গ্রামে জুমার নামাজ শুদ্ধ হবে না।
২. জামাতের সঙ্গে আদায়: জুমার নামাজ একা আদায় করা যায় না। তা জামাতের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হওয়া আবশ্যক।
৩. খুতবার আয়োজন: জুমার নামাজের আগে খুতবা দেওয়া অপরিহার্য। খুতবা ছাড়া জুমার নামাজ শুদ্ধ হবে না।
৪. জোহরের সময়ের মধ্যে আদায়: জুমার নামাজ আদায় করতে হবে জোহরের নির্ধারিত সময়ের ভেতরে।
৫. সবার জন্য সাধারণ অনুমতি: মসজিদ ছাড়া অন্য কোথাও জুমার নামাজের আয়োজন করলে সেখানে জুমায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সবার জন্য উন্মুক্ত ও মুক্ত অনুমতি থাকতে হবে। তা শুধু নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা ব্যক্তিদের জন্য সীমাবদ্ধ হলে জুমার নামাজ শুদ্ধ হবে না।
আপনার অফিসের নামাজ ঘরে যেহেতু আলেম ইমামের মাধ্যমে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাতের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে, তাই উল্লিখিত শর্তসমূহের প্রথম ৪টি শর্ত পূরণ করা সম্ভব হওয়ার কথা। কিন্তু পঞ্চম শর্ত যদি পাওয়া না যায়, তাহলে সেখানে জুমার নামাজ আদায় শুদ্ধ হবে না। অর্থাৎ সেখানে জুমায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সবার জন্য উন্মুক্ত ও মুক্ত অনুমতি থাকতে হবে। অনেক অফিসেই নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তায় প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত থাকে। আপনাদের অফিসও তেমনটি হলে পাশের মসজিদে গিয়েই জুমার নামাজ আদায় করতে হবে।
প্রসঙ্গত, জুমার নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য স্থানটি ওয়াক্ফ হওয়া আবশ্যক নয়। আলোচিত পাঁচ শর্ত পাওয়া গেলে যেকোনো স্থানেই জুমার নামাজের আয়োজন করা যাবে।
তথ্যসূত্র: মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক: ৫১৭৫, মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ৫০৬৪, আল-হালাবি আল-কাবির: পৃ. ৫১১, হাশিয়াতুত তাহতাওয়ি: পৃ. ৫১৩, রদ্দুল মুখতার: ২/১৫১
উত্তর দিয়েছেন: ইসলামবিষয়ক গবেষক

আল্লাহর দেওয়া জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। যে সম্পদ যত বেশি মূল্যবান, তার ব্যবহার-প্রক্রিয়াও তত বেশি সুপরিকল্পিত হওয়া প্রয়োজন। সময় বহমান স্রোতের মতো, যাকে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই জীবনের এই মূল্যবান সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
৬ ঘণ্টা আগে
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
১১ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
১৩ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
১৫ ঘণ্টা আগে