আব্দুল্লাহ আলমামুন আশরাফী

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন পরশপাথর। তাঁর ছোঁয়ায় মাটির মানুষ পরিণত হতো খাঁটি সোনায়। আরবের এক গোলযোগপূর্ণ সময়ে তাঁর আগমন ঘটেছিল পৃথিবীতে। মানুষ হানাহানি, যুদ্ধ, অহংকার ও অমানবিকতায় ডুবে ছিল। আল্লাহ তাঁকে সেই অন্ধকার সমাজে হিদায়াতের প্রদীপ বানিয়ে পাঠালেন। তাঁকে দান করলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চারিত্রিক মাধুর্য। শৈশব থেকে তাঁর চারিত্রিক সৌন্দর্য মানুষকে মুগ্ধ করত। যৌবনে মক্কার সবচেয়ে বিশ্বস্ত যুবক তথা আল-আমিন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন খোদ মক্কার নেতৃস্থানীয় মানুষের কাছ থেকে। নবুওয়ত লাভের পর তাঁর অনুপম ব্যক্তিত্বের কথা ছড়িয়ে পড়ে আরবের পথে-প্রান্তরে। তাঁর মানবিক আচরণে মুগ্ধ হয়ে শত্রুরাও নির্দ্বিধায় তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে পাঠ করেছেন ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।’ তাঁর জীবদ্দশাতেই সেকালের অনেক বড় শাসকও তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও অন্যান্য আলামত দেখে তাঁকে আল্লাহর প্রেরিত নবী বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। যুগে যুগে সত্যসন্ধানী অনেক অমুসলিম গবেষকও তাঁর অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কথা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে এনেছেন।
ওমানের বাদশাহ জুলানদি ছিলেন সত্যানুসন্ধানী বিচক্ষণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর কাছে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইসলামের দাওয়াত পাঠান। সাহাবি আমর ইবনুল আস (রা.) দাওয়াত নিয়ে যান। বিচক্ষণ এই বাদশাহ নবীজি (সা.)-এর সম্পর্কে মন্তব্য করেন, ‘আল্লাহর কসম, (দূত) আমাকে এমন একজন উম্মি নবীর কথা বলেছেন, তিনি যখনই কোনো ভালো কাজের আদেশ করেন, প্রথমে তিনি নিজেই সেই কাজটি করেন। আর যে কাজ তিনি নিষেধ করেন, প্রথমে তিনি নিজেই তা বর্জন করেন। তিনি বিজয়ী হয়েও অহংকার করেন না। কেউ তাঁর ওপর প্রতাপ দেখালে রুষ্ট হন না। তিনি ওয়াদা পালন করেন। চুক্তিসমূহ বাস্তবায়ন করেন। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিঃসন্দেহে তিনি একজন সত্য নবী।’ (আশ-শিফা: ১/ ২৪৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চরিত্রমাধুর্যের খানিক ঝলক বাদশাহ জুলানদির এই মন্তব্যে চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। নবীজির চরিত্র ছিল পূর্ণতা ও পরিব্যাপ্তিতে বিভাসিত। তাঁর চরিত্রের প্রতিটি দিক ছিল ষোলোকলায় পূর্ণ। পাহাড়সম ধৈর্য ও দুর্বার সাহসিকতার অপূর্ব সমন্বয় ছিল তাঁর যাপিত জীবনের ছত্রে ছত্রে। দয়ামায়া, সহনশীলতা ও আমানতদারির সর্বোচ্চ চূড়ায় ছিল তাঁর অবস্থান। সময়ের আবর্তনে তাঁর চরিত্রিক মাধুর্যে তারতম্য ঘটেনি। জীবনের কোনো সময়ে একটু বেশি আবার কখনো একটু কম—এমনটা ঘটেনি। তিনি ছাড়া জগতের আর কোনো মানুষের মধ্যে একসঙ্গে এত চারিত্রিক গুণের সমাবেশ পরিলক্ষিত হয়নি। বিখ্যাত জার্মান লেখক ও দার্শনিক কবি জোহান গ্যাটে বলতে বাধ্য হয়েছেন, ‘ইতিহাসের পাতায় আমি তন্ন তন্ন করে সর্বোচ্চ শ্রেষ্ঠ মানুষের দৃষ্টান্ত খুঁজেছি, অবশেষে তা পেয়েছি আরবের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর মধ্যে।’ (শামসুল আরব তাসতায়ু আলাল গারব: ৪৬৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তম চরিত্রাবলির মূল উৎস কী ছিল? কোন সে প্রেরণায় চরিত্রমাধুর্যে তিনি আকাশের উচ্চতাকেও হার মানিয়েছেন? তা ছিল পবিত্র কোরআন। হ্যাঁ, কোরআনই ছিল তাঁর অনন্য চরিত্র মাধুর্যের উৎস। তিনি পবিত্র কোরআন থেকেই তাঁর চারিত্রিক গুণাবলি আহরণ ও সমৃদ্ধ করেছেন। ফলে কোরআনই তাঁর পূর্ণ গুণাবলিকে পোঁছে দিয়েছে অনন্য উচ্চতায়। তাঁর সুন্দর শিষ্টাচারকে করেছে আরও সৌন্দর্যময়। এটা সম্ভব হয়েছে কোরআনের প্রতি তাঁর আত্মনিবেদনের বদৌলতে। তিনি নিজেকে কোরআনের প্রতিটি কল্যাণের দিকেই সমর্পণ করে দিয়েছিলেন। কোরআনের অনুপম নির্দেশনামালা তাঁর যাপিত জীবনে বাস্তবায়িত হয়েছে চমৎকারভাবে। যেন তিনি ছিলেন কোরআনের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। তাই তো হজরত সাদ ইবনে হিশাম ইবনে আমের (রা.) যখন উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.)কে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চরিত্র সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন, তখন তিনি জবাবে বলেছিলেন, ‘তুমি কি কোরআন পড়োনি?’ সাদ ইবনে হিশাম বললেন, ‘পড়েছি।’ হজরত আয়েশা (রা.) বললেন, ‘কোরআনই ছিল তাঁর চরিত্র-শিষ্টাচার।’ (মুসলিম: ৭৪৬)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তম চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাঁর পরিবারে, সাথি-সঙ্গী মুমিনদের মাঝে, সমাজে বসবাসরত অমুসলিমদের মাঝে। এমনকি যুদ্ধরত শত্রুদলের মাঝেও তাঁর সৌহার্দ্য ও সহমর্মিতাপূর্ণ আচরণ তাঁর চরিত্রকে নিয়ে গেছে অনন্য এক উচ্চতায়। কুরাইশ সরদার আবু সুফিয়ান ইসলাম গ্রহণের আগেই তাঁর উত্তম চরিত্রের নমুনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি অকপটে স্বীকার করে বলেছিলেন, ‘আপনার ওপর আমার বাবা-মা কোরবান হোক। আল্লাহর কসম, নিশ্চয়ই আপনি একজন মহান ব্যক্তি। আমি যুদ্ধ করেছি আপনার বিরুদ্ধে, আপনি কত-ই না উত্তম যোদ্ধা ছিলেন! আমি আপনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি, আপনি কতই না উত্তম চুক্তিকারী ছিলেন! মহান আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।’ (মারিফাতুস সাহাবাহ: ৩/ ১৫০৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তম চরিত্র এতটা ব্যাপক যে, তা যেন এক বিশাল দরিয়া। তাঁর চরিত্রের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করে বিস্মিত ও বিমুগ্ধ হয়েছেন মুসলিম থেকে শুরু করে বিশ্বের অনেক অমুসলিম পণ্ডিতও। তারা নির্দ্বিধায় তাঁর অনন্য চরিত্রের কথা স্বীকার করেছেন। বিখ্যাত ইংরেজ দার্শনিক উইলিয়াম ম্যুর বলেন, ‘তাঁর পুরো জীবন ছিল সহজ ও স্বাভাবিকতার নান্দনিক চিত্র। তাঁর অনন্য রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাঁর বহু অনুসারীর কথায়। বিনয়, নম্রতা, সহানুভূতি, ধৈর্য, অন্যকে নিজের ওপর প্রাধান্যদান এবং প্রচুর দানশীলতা তাঁর চরিত্রকে দিয়েছিল এক অনন্যসাধারণ সৌন্দর্য। তাঁর ভালোবাসার আকর্ষণ চারপাশের সবাইকে মোহিত করে রাখত...।’ (হায়াতু মুহাম্মদ)
চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সংক্রামক। এটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে সংক্রমিত হয়। শুদ্ধ ব্যক্তির প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে শুদ্ধ হয় আশপাশের মানুষ। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চারিত্রিক পূর্ণতা তাঁর সাহাবিদেরও পূর্ণ মানুষে পরিণত করেছিল। ফলে তাঁরা আমাদের উপহার দিয়েছিলেন অনুপম এক পৃথিবী। তাই নিজেকে শুদ্ধ করতে হলে, সমাজকে উন্নত ও মানবিক করতে হলে তাঁর চরিত্র ধারণ ও বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া গাফুরিয়া মাখযানুল উলুম টঙ্গী, গাজীপুর।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন পরশপাথর। তাঁর ছোঁয়ায় মাটির মানুষ পরিণত হতো খাঁটি সোনায়। আরবের এক গোলযোগপূর্ণ সময়ে তাঁর আগমন ঘটেছিল পৃথিবীতে। মানুষ হানাহানি, যুদ্ধ, অহংকার ও অমানবিকতায় ডুবে ছিল। আল্লাহ তাঁকে সেই অন্ধকার সমাজে হিদায়াতের প্রদীপ বানিয়ে পাঠালেন। তাঁকে দান করলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চারিত্রিক মাধুর্য। শৈশব থেকে তাঁর চারিত্রিক সৌন্দর্য মানুষকে মুগ্ধ করত। যৌবনে মক্কার সবচেয়ে বিশ্বস্ত যুবক তথা আল-আমিন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন খোদ মক্কার নেতৃস্থানীয় মানুষের কাছ থেকে। নবুওয়ত লাভের পর তাঁর অনুপম ব্যক্তিত্বের কথা ছড়িয়ে পড়ে আরবের পথে-প্রান্তরে। তাঁর মানবিক আচরণে মুগ্ধ হয়ে শত্রুরাও নির্দ্বিধায় তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে পাঠ করেছেন ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।’ তাঁর জীবদ্দশাতেই সেকালের অনেক বড় শাসকও তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও অন্যান্য আলামত দেখে তাঁকে আল্লাহর প্রেরিত নবী বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। যুগে যুগে সত্যসন্ধানী অনেক অমুসলিম গবেষকও তাঁর অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কথা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে এনেছেন।
ওমানের বাদশাহ জুলানদি ছিলেন সত্যানুসন্ধানী বিচক্ষণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর কাছে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইসলামের দাওয়াত পাঠান। সাহাবি আমর ইবনুল আস (রা.) দাওয়াত নিয়ে যান। বিচক্ষণ এই বাদশাহ নবীজি (সা.)-এর সম্পর্কে মন্তব্য করেন, ‘আল্লাহর কসম, (দূত) আমাকে এমন একজন উম্মি নবীর কথা বলেছেন, তিনি যখনই কোনো ভালো কাজের আদেশ করেন, প্রথমে তিনি নিজেই সেই কাজটি করেন। আর যে কাজ তিনি নিষেধ করেন, প্রথমে তিনি নিজেই তা বর্জন করেন। তিনি বিজয়ী হয়েও অহংকার করেন না। কেউ তাঁর ওপর প্রতাপ দেখালে রুষ্ট হন না। তিনি ওয়াদা পালন করেন। চুক্তিসমূহ বাস্তবায়ন করেন। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিঃসন্দেহে তিনি একজন সত্য নবী।’ (আশ-শিফা: ১/ ২৪৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চরিত্রমাধুর্যের খানিক ঝলক বাদশাহ জুলানদির এই মন্তব্যে চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। নবীজির চরিত্র ছিল পূর্ণতা ও পরিব্যাপ্তিতে বিভাসিত। তাঁর চরিত্রের প্রতিটি দিক ছিল ষোলোকলায় পূর্ণ। পাহাড়সম ধৈর্য ও দুর্বার সাহসিকতার অপূর্ব সমন্বয় ছিল তাঁর যাপিত জীবনের ছত্রে ছত্রে। দয়ামায়া, সহনশীলতা ও আমানতদারির সর্বোচ্চ চূড়ায় ছিল তাঁর অবস্থান। সময়ের আবর্তনে তাঁর চরিত্রিক মাধুর্যে তারতম্য ঘটেনি। জীবনের কোনো সময়ে একটু বেশি আবার কখনো একটু কম—এমনটা ঘটেনি। তিনি ছাড়া জগতের আর কোনো মানুষের মধ্যে একসঙ্গে এত চারিত্রিক গুণের সমাবেশ পরিলক্ষিত হয়নি। বিখ্যাত জার্মান লেখক ও দার্শনিক কবি জোহান গ্যাটে বলতে বাধ্য হয়েছেন, ‘ইতিহাসের পাতায় আমি তন্ন তন্ন করে সর্বোচ্চ শ্রেষ্ঠ মানুষের দৃষ্টান্ত খুঁজেছি, অবশেষে তা পেয়েছি আরবের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর মধ্যে।’ (শামসুল আরব তাসতায়ু আলাল গারব: ৪৬৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তম চরিত্রাবলির মূল উৎস কী ছিল? কোন সে প্রেরণায় চরিত্রমাধুর্যে তিনি আকাশের উচ্চতাকেও হার মানিয়েছেন? তা ছিল পবিত্র কোরআন। হ্যাঁ, কোরআনই ছিল তাঁর অনন্য চরিত্র মাধুর্যের উৎস। তিনি পবিত্র কোরআন থেকেই তাঁর চারিত্রিক গুণাবলি আহরণ ও সমৃদ্ধ করেছেন। ফলে কোরআনই তাঁর পূর্ণ গুণাবলিকে পোঁছে দিয়েছে অনন্য উচ্চতায়। তাঁর সুন্দর শিষ্টাচারকে করেছে আরও সৌন্দর্যময়। এটা সম্ভব হয়েছে কোরআনের প্রতি তাঁর আত্মনিবেদনের বদৌলতে। তিনি নিজেকে কোরআনের প্রতিটি কল্যাণের দিকেই সমর্পণ করে দিয়েছিলেন। কোরআনের অনুপম নির্দেশনামালা তাঁর যাপিত জীবনে বাস্তবায়িত হয়েছে চমৎকারভাবে। যেন তিনি ছিলেন কোরআনের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। তাই তো হজরত সাদ ইবনে হিশাম ইবনে আমের (রা.) যখন উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.)কে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চরিত্র সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন, তখন তিনি জবাবে বলেছিলেন, ‘তুমি কি কোরআন পড়োনি?’ সাদ ইবনে হিশাম বললেন, ‘পড়েছি।’ হজরত আয়েশা (রা.) বললেন, ‘কোরআনই ছিল তাঁর চরিত্র-শিষ্টাচার।’ (মুসলিম: ৭৪৬)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তম চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাঁর পরিবারে, সাথি-সঙ্গী মুমিনদের মাঝে, সমাজে বসবাসরত অমুসলিমদের মাঝে। এমনকি যুদ্ধরত শত্রুদলের মাঝেও তাঁর সৌহার্দ্য ও সহমর্মিতাপূর্ণ আচরণ তাঁর চরিত্রকে নিয়ে গেছে অনন্য এক উচ্চতায়। কুরাইশ সরদার আবু সুফিয়ান ইসলাম গ্রহণের আগেই তাঁর উত্তম চরিত্রের নমুনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি অকপটে স্বীকার করে বলেছিলেন, ‘আপনার ওপর আমার বাবা-মা কোরবান হোক। আল্লাহর কসম, নিশ্চয়ই আপনি একজন মহান ব্যক্তি। আমি যুদ্ধ করেছি আপনার বিরুদ্ধে, আপনি কত-ই না উত্তম যোদ্ধা ছিলেন! আমি আপনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি, আপনি কতই না উত্তম চুক্তিকারী ছিলেন! মহান আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।’ (মারিফাতুস সাহাবাহ: ৩/ ১৫০৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তম চরিত্র এতটা ব্যাপক যে, তা যেন এক বিশাল দরিয়া। তাঁর চরিত্রের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করে বিস্মিত ও বিমুগ্ধ হয়েছেন মুসলিম থেকে শুরু করে বিশ্বের অনেক অমুসলিম পণ্ডিতও। তারা নির্দ্বিধায় তাঁর অনন্য চরিত্রের কথা স্বীকার করেছেন। বিখ্যাত ইংরেজ দার্শনিক উইলিয়াম ম্যুর বলেন, ‘তাঁর পুরো জীবন ছিল সহজ ও স্বাভাবিকতার নান্দনিক চিত্র। তাঁর অনন্য রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাঁর বহু অনুসারীর কথায়। বিনয়, নম্রতা, সহানুভূতি, ধৈর্য, অন্যকে নিজের ওপর প্রাধান্যদান এবং প্রচুর দানশীলতা তাঁর চরিত্রকে দিয়েছিল এক অনন্যসাধারণ সৌন্দর্য। তাঁর ভালোবাসার আকর্ষণ চারপাশের সবাইকে মোহিত করে রাখত...।’ (হায়াতু মুহাম্মদ)
চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সংক্রামক। এটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে সংক্রমিত হয়। শুদ্ধ ব্যক্তির প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে শুদ্ধ হয় আশপাশের মানুষ। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চারিত্রিক পূর্ণতা তাঁর সাহাবিদেরও পূর্ণ মানুষে পরিণত করেছিল। ফলে তাঁরা আমাদের উপহার দিয়েছিলেন অনুপম এক পৃথিবী। তাই নিজেকে শুদ্ধ করতে হলে, সমাজকে উন্নত ও মানবিক করতে হলে তাঁর চরিত্র ধারণ ও বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া গাফুরিয়া মাখযানুল উলুম টঙ্গী, গাজীপুর।
আব্দুল্লাহ আলমামুন আশরাফী

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন পরশপাথর। তাঁর ছোঁয়ায় মাটির মানুষ পরিণত হতো খাঁটি সোনায়। আরবের এক গোলযোগপূর্ণ সময়ে তাঁর আগমন ঘটেছিল পৃথিবীতে। মানুষ হানাহানি, যুদ্ধ, অহংকার ও অমানবিকতায় ডুবে ছিল। আল্লাহ তাঁকে সেই অন্ধকার সমাজে হিদায়াতের প্রদীপ বানিয়ে পাঠালেন। তাঁকে দান করলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চারিত্রিক মাধুর্য। শৈশব থেকে তাঁর চারিত্রিক সৌন্দর্য মানুষকে মুগ্ধ করত। যৌবনে মক্কার সবচেয়ে বিশ্বস্ত যুবক তথা আল-আমিন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন খোদ মক্কার নেতৃস্থানীয় মানুষের কাছ থেকে। নবুওয়ত লাভের পর তাঁর অনুপম ব্যক্তিত্বের কথা ছড়িয়ে পড়ে আরবের পথে-প্রান্তরে। তাঁর মানবিক আচরণে মুগ্ধ হয়ে শত্রুরাও নির্দ্বিধায় তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে পাঠ করেছেন ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।’ তাঁর জীবদ্দশাতেই সেকালের অনেক বড় শাসকও তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও অন্যান্য আলামত দেখে তাঁকে আল্লাহর প্রেরিত নবী বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। যুগে যুগে সত্যসন্ধানী অনেক অমুসলিম গবেষকও তাঁর অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কথা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে এনেছেন।
ওমানের বাদশাহ জুলানদি ছিলেন সত্যানুসন্ধানী বিচক্ষণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর কাছে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইসলামের দাওয়াত পাঠান। সাহাবি আমর ইবনুল আস (রা.) দাওয়াত নিয়ে যান। বিচক্ষণ এই বাদশাহ নবীজি (সা.)-এর সম্পর্কে মন্তব্য করেন, ‘আল্লাহর কসম, (দূত) আমাকে এমন একজন উম্মি নবীর কথা বলেছেন, তিনি যখনই কোনো ভালো কাজের আদেশ করেন, প্রথমে তিনি নিজেই সেই কাজটি করেন। আর যে কাজ তিনি নিষেধ করেন, প্রথমে তিনি নিজেই তা বর্জন করেন। তিনি বিজয়ী হয়েও অহংকার করেন না। কেউ তাঁর ওপর প্রতাপ দেখালে রুষ্ট হন না। তিনি ওয়াদা পালন করেন। চুক্তিসমূহ বাস্তবায়ন করেন। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিঃসন্দেহে তিনি একজন সত্য নবী।’ (আশ-শিফা: ১/ ২৪৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চরিত্রমাধুর্যের খানিক ঝলক বাদশাহ জুলানদির এই মন্তব্যে চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। নবীজির চরিত্র ছিল পূর্ণতা ও পরিব্যাপ্তিতে বিভাসিত। তাঁর চরিত্রের প্রতিটি দিক ছিল ষোলোকলায় পূর্ণ। পাহাড়সম ধৈর্য ও দুর্বার সাহসিকতার অপূর্ব সমন্বয় ছিল তাঁর যাপিত জীবনের ছত্রে ছত্রে। দয়ামায়া, সহনশীলতা ও আমানতদারির সর্বোচ্চ চূড়ায় ছিল তাঁর অবস্থান। সময়ের আবর্তনে তাঁর চরিত্রিক মাধুর্যে তারতম্য ঘটেনি। জীবনের কোনো সময়ে একটু বেশি আবার কখনো একটু কম—এমনটা ঘটেনি। তিনি ছাড়া জগতের আর কোনো মানুষের মধ্যে একসঙ্গে এত চারিত্রিক গুণের সমাবেশ পরিলক্ষিত হয়নি। বিখ্যাত জার্মান লেখক ও দার্শনিক কবি জোহান গ্যাটে বলতে বাধ্য হয়েছেন, ‘ইতিহাসের পাতায় আমি তন্ন তন্ন করে সর্বোচ্চ শ্রেষ্ঠ মানুষের দৃষ্টান্ত খুঁজেছি, অবশেষে তা পেয়েছি আরবের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর মধ্যে।’ (শামসুল আরব তাসতায়ু আলাল গারব: ৪৬৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তম চরিত্রাবলির মূল উৎস কী ছিল? কোন সে প্রেরণায় চরিত্রমাধুর্যে তিনি আকাশের উচ্চতাকেও হার মানিয়েছেন? তা ছিল পবিত্র কোরআন। হ্যাঁ, কোরআনই ছিল তাঁর অনন্য চরিত্র মাধুর্যের উৎস। তিনি পবিত্র কোরআন থেকেই তাঁর চারিত্রিক গুণাবলি আহরণ ও সমৃদ্ধ করেছেন। ফলে কোরআনই তাঁর পূর্ণ গুণাবলিকে পোঁছে দিয়েছে অনন্য উচ্চতায়। তাঁর সুন্দর শিষ্টাচারকে করেছে আরও সৌন্দর্যময়। এটা সম্ভব হয়েছে কোরআনের প্রতি তাঁর আত্মনিবেদনের বদৌলতে। তিনি নিজেকে কোরআনের প্রতিটি কল্যাণের দিকেই সমর্পণ করে দিয়েছিলেন। কোরআনের অনুপম নির্দেশনামালা তাঁর যাপিত জীবনে বাস্তবায়িত হয়েছে চমৎকারভাবে। যেন তিনি ছিলেন কোরআনের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। তাই তো হজরত সাদ ইবনে হিশাম ইবনে আমের (রা.) যখন উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.)কে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চরিত্র সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন, তখন তিনি জবাবে বলেছিলেন, ‘তুমি কি কোরআন পড়োনি?’ সাদ ইবনে হিশাম বললেন, ‘পড়েছি।’ হজরত আয়েশা (রা.) বললেন, ‘কোরআনই ছিল তাঁর চরিত্র-শিষ্টাচার।’ (মুসলিম: ৭৪৬)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তম চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাঁর পরিবারে, সাথি-সঙ্গী মুমিনদের মাঝে, সমাজে বসবাসরত অমুসলিমদের মাঝে। এমনকি যুদ্ধরত শত্রুদলের মাঝেও তাঁর সৌহার্দ্য ও সহমর্মিতাপূর্ণ আচরণ তাঁর চরিত্রকে নিয়ে গেছে অনন্য এক উচ্চতায়। কুরাইশ সরদার আবু সুফিয়ান ইসলাম গ্রহণের আগেই তাঁর উত্তম চরিত্রের নমুনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি অকপটে স্বীকার করে বলেছিলেন, ‘আপনার ওপর আমার বাবা-মা কোরবান হোক। আল্লাহর কসম, নিশ্চয়ই আপনি একজন মহান ব্যক্তি। আমি যুদ্ধ করেছি আপনার বিরুদ্ধে, আপনি কত-ই না উত্তম যোদ্ধা ছিলেন! আমি আপনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি, আপনি কতই না উত্তম চুক্তিকারী ছিলেন! মহান আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।’ (মারিফাতুস সাহাবাহ: ৩/ ১৫০৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তম চরিত্র এতটা ব্যাপক যে, তা যেন এক বিশাল দরিয়া। তাঁর চরিত্রের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করে বিস্মিত ও বিমুগ্ধ হয়েছেন মুসলিম থেকে শুরু করে বিশ্বের অনেক অমুসলিম পণ্ডিতও। তারা নির্দ্বিধায় তাঁর অনন্য চরিত্রের কথা স্বীকার করেছেন। বিখ্যাত ইংরেজ দার্শনিক উইলিয়াম ম্যুর বলেন, ‘তাঁর পুরো জীবন ছিল সহজ ও স্বাভাবিকতার নান্দনিক চিত্র। তাঁর অনন্য রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাঁর বহু অনুসারীর কথায়। বিনয়, নম্রতা, সহানুভূতি, ধৈর্য, অন্যকে নিজের ওপর প্রাধান্যদান এবং প্রচুর দানশীলতা তাঁর চরিত্রকে দিয়েছিল এক অনন্যসাধারণ সৌন্দর্য। তাঁর ভালোবাসার আকর্ষণ চারপাশের সবাইকে মোহিত করে রাখত...।’ (হায়াতু মুহাম্মদ)
চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সংক্রামক। এটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে সংক্রমিত হয়। শুদ্ধ ব্যক্তির প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে শুদ্ধ হয় আশপাশের মানুষ। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চারিত্রিক পূর্ণতা তাঁর সাহাবিদেরও পূর্ণ মানুষে পরিণত করেছিল। ফলে তাঁরা আমাদের উপহার দিয়েছিলেন অনুপম এক পৃথিবী। তাই নিজেকে শুদ্ধ করতে হলে, সমাজকে উন্নত ও মানবিক করতে হলে তাঁর চরিত্র ধারণ ও বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া গাফুরিয়া মাখযানুল উলুম টঙ্গী, গাজীপুর।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন পরশপাথর। তাঁর ছোঁয়ায় মাটির মানুষ পরিণত হতো খাঁটি সোনায়। আরবের এক গোলযোগপূর্ণ সময়ে তাঁর আগমন ঘটেছিল পৃথিবীতে। মানুষ হানাহানি, যুদ্ধ, অহংকার ও অমানবিকতায় ডুবে ছিল। আল্লাহ তাঁকে সেই অন্ধকার সমাজে হিদায়াতের প্রদীপ বানিয়ে পাঠালেন। তাঁকে দান করলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চারিত্রিক মাধুর্য। শৈশব থেকে তাঁর চারিত্রিক সৌন্দর্য মানুষকে মুগ্ধ করত। যৌবনে মক্কার সবচেয়ে বিশ্বস্ত যুবক তথা আল-আমিন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন খোদ মক্কার নেতৃস্থানীয় মানুষের কাছ থেকে। নবুওয়ত লাভের পর তাঁর অনুপম ব্যক্তিত্বের কথা ছড়িয়ে পড়ে আরবের পথে-প্রান্তরে। তাঁর মানবিক আচরণে মুগ্ধ হয়ে শত্রুরাও নির্দ্বিধায় তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে পাঠ করেছেন ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।’ তাঁর জীবদ্দশাতেই সেকালের অনেক বড় শাসকও তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও অন্যান্য আলামত দেখে তাঁকে আল্লাহর প্রেরিত নবী বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। যুগে যুগে সত্যসন্ধানী অনেক অমুসলিম গবেষকও তাঁর অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কথা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে এনেছেন।
ওমানের বাদশাহ জুলানদি ছিলেন সত্যানুসন্ধানী বিচক্ষণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর কাছে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইসলামের দাওয়াত পাঠান। সাহাবি আমর ইবনুল আস (রা.) দাওয়াত নিয়ে যান। বিচক্ষণ এই বাদশাহ নবীজি (সা.)-এর সম্পর্কে মন্তব্য করেন, ‘আল্লাহর কসম, (দূত) আমাকে এমন একজন উম্মি নবীর কথা বলেছেন, তিনি যখনই কোনো ভালো কাজের আদেশ করেন, প্রথমে তিনি নিজেই সেই কাজটি করেন। আর যে কাজ তিনি নিষেধ করেন, প্রথমে তিনি নিজেই তা বর্জন করেন। তিনি বিজয়ী হয়েও অহংকার করেন না। কেউ তাঁর ওপর প্রতাপ দেখালে রুষ্ট হন না। তিনি ওয়াদা পালন করেন। চুক্তিসমূহ বাস্তবায়ন করেন। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিঃসন্দেহে তিনি একজন সত্য নবী।’ (আশ-শিফা: ১/ ২৪৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চরিত্রমাধুর্যের খানিক ঝলক বাদশাহ জুলানদির এই মন্তব্যে চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। নবীজির চরিত্র ছিল পূর্ণতা ও পরিব্যাপ্তিতে বিভাসিত। তাঁর চরিত্রের প্রতিটি দিক ছিল ষোলোকলায় পূর্ণ। পাহাড়সম ধৈর্য ও দুর্বার সাহসিকতার অপূর্ব সমন্বয় ছিল তাঁর যাপিত জীবনের ছত্রে ছত্রে। দয়ামায়া, সহনশীলতা ও আমানতদারির সর্বোচ্চ চূড়ায় ছিল তাঁর অবস্থান। সময়ের আবর্তনে তাঁর চরিত্রিক মাধুর্যে তারতম্য ঘটেনি। জীবনের কোনো সময়ে একটু বেশি আবার কখনো একটু কম—এমনটা ঘটেনি। তিনি ছাড়া জগতের আর কোনো মানুষের মধ্যে একসঙ্গে এত চারিত্রিক গুণের সমাবেশ পরিলক্ষিত হয়নি। বিখ্যাত জার্মান লেখক ও দার্শনিক কবি জোহান গ্যাটে বলতে বাধ্য হয়েছেন, ‘ইতিহাসের পাতায় আমি তন্ন তন্ন করে সর্বোচ্চ শ্রেষ্ঠ মানুষের দৃষ্টান্ত খুঁজেছি, অবশেষে তা পেয়েছি আরবের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর মধ্যে।’ (শামসুল আরব তাসতায়ু আলাল গারব: ৪৬৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তম চরিত্রাবলির মূল উৎস কী ছিল? কোন সে প্রেরণায় চরিত্রমাধুর্যে তিনি আকাশের উচ্চতাকেও হার মানিয়েছেন? তা ছিল পবিত্র কোরআন। হ্যাঁ, কোরআনই ছিল তাঁর অনন্য চরিত্র মাধুর্যের উৎস। তিনি পবিত্র কোরআন থেকেই তাঁর চারিত্রিক গুণাবলি আহরণ ও সমৃদ্ধ করেছেন। ফলে কোরআনই তাঁর পূর্ণ গুণাবলিকে পোঁছে দিয়েছে অনন্য উচ্চতায়। তাঁর সুন্দর শিষ্টাচারকে করেছে আরও সৌন্দর্যময়। এটা সম্ভব হয়েছে কোরআনের প্রতি তাঁর আত্মনিবেদনের বদৌলতে। তিনি নিজেকে কোরআনের প্রতিটি কল্যাণের দিকেই সমর্পণ করে দিয়েছিলেন। কোরআনের অনুপম নির্দেশনামালা তাঁর যাপিত জীবনে বাস্তবায়িত হয়েছে চমৎকারভাবে। যেন তিনি ছিলেন কোরআনের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। তাই তো হজরত সাদ ইবনে হিশাম ইবনে আমের (রা.) যখন উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.)কে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চরিত্র সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন, তখন তিনি জবাবে বলেছিলেন, ‘তুমি কি কোরআন পড়োনি?’ সাদ ইবনে হিশাম বললেন, ‘পড়েছি।’ হজরত আয়েশা (রা.) বললেন, ‘কোরআনই ছিল তাঁর চরিত্র-শিষ্টাচার।’ (মুসলিম: ৭৪৬)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তম চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাঁর পরিবারে, সাথি-সঙ্গী মুমিনদের মাঝে, সমাজে বসবাসরত অমুসলিমদের মাঝে। এমনকি যুদ্ধরত শত্রুদলের মাঝেও তাঁর সৌহার্দ্য ও সহমর্মিতাপূর্ণ আচরণ তাঁর চরিত্রকে নিয়ে গেছে অনন্য এক উচ্চতায়। কুরাইশ সরদার আবু সুফিয়ান ইসলাম গ্রহণের আগেই তাঁর উত্তম চরিত্রের নমুনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি অকপটে স্বীকার করে বলেছিলেন, ‘আপনার ওপর আমার বাবা-মা কোরবান হোক। আল্লাহর কসম, নিশ্চয়ই আপনি একজন মহান ব্যক্তি। আমি যুদ্ধ করেছি আপনার বিরুদ্ধে, আপনি কত-ই না উত্তম যোদ্ধা ছিলেন! আমি আপনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি, আপনি কতই না উত্তম চুক্তিকারী ছিলেন! মহান আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।’ (মারিফাতুস সাহাবাহ: ৩/ ১৫০৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তম চরিত্র এতটা ব্যাপক যে, তা যেন এক বিশাল দরিয়া। তাঁর চরিত্রের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করে বিস্মিত ও বিমুগ্ধ হয়েছেন মুসলিম থেকে শুরু করে বিশ্বের অনেক অমুসলিম পণ্ডিতও। তারা নির্দ্বিধায় তাঁর অনন্য চরিত্রের কথা স্বীকার করেছেন। বিখ্যাত ইংরেজ দার্শনিক উইলিয়াম ম্যুর বলেন, ‘তাঁর পুরো জীবন ছিল সহজ ও স্বাভাবিকতার নান্দনিক চিত্র। তাঁর অনন্য রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাঁর বহু অনুসারীর কথায়। বিনয়, নম্রতা, সহানুভূতি, ধৈর্য, অন্যকে নিজের ওপর প্রাধান্যদান এবং প্রচুর দানশীলতা তাঁর চরিত্রকে দিয়েছিল এক অনন্যসাধারণ সৌন্দর্য। তাঁর ভালোবাসার আকর্ষণ চারপাশের সবাইকে মোহিত করে রাখত...।’ (হায়াতু মুহাম্মদ)
চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সংক্রামক। এটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে সংক্রমিত হয়। শুদ্ধ ব্যক্তির প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে শুদ্ধ হয় আশপাশের মানুষ। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চারিত্রিক পূর্ণতা তাঁর সাহাবিদেরও পূর্ণ মানুষে পরিণত করেছিল। ফলে তাঁরা আমাদের উপহার দিয়েছিলেন অনুপম এক পৃথিবী। তাই নিজেকে শুদ্ধ করতে হলে, সমাজকে উন্নত ও মানবিক করতে হলে তাঁর চরিত্র ধারণ ও বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া গাফুরিয়া মাখযানুল উলুম টঙ্গী, গাজীপুর।

আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২৭ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জনগণের প্রতি ন্যায়পরায়ণ হতে এবং জনগণকে বলা হয়েছে শাসকের ভালো কাজের আনুগত্য করতে।
শাসনক্ষমতা মূলত আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বড় নিয়ামত। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এই ক্ষমতা দান করেন, আবার যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা কেড়ে নেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘বলো, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ, তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও; যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা তুমি হীন করো। কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৬)
একজন শাসকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো ন্যায়পরায়ণতা। জনগণের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শাসকের মৌলিক কর্তব্য। ইসলামে ন্যায়বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা মানুষকে ইনসাফ ও দয়া প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফ, দয়া এবং আত্মীয়স্বজনকে (তাদের হক) প্রদানের হুকুম দেন আর অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও জুলুম করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা নাহল: ৯০)
ন্যায়পরায়ণ শাসককে পরকালে এক বিশাল পুরস্কারের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন কোনো আশ্রয় থাকবে না, তখন ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না; প্রথমজন হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (শাসক)।’ (বুখারি: ১৪২৩)
সুতরাং, ইসলামে শাসনক্ষমতাকে একটি আমানত হিসেবে গণ্য করা হয়, যার সঠিক ব্যবহার শাসককে ইহকাল ও পরকালে সফল করে তোলে।

আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জনগণের প্রতি ন্যায়পরায়ণ হতে এবং জনগণকে বলা হয়েছে শাসকের ভালো কাজের আনুগত্য করতে।
শাসনক্ষমতা মূলত আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বড় নিয়ামত। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এই ক্ষমতা দান করেন, আবার যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা কেড়ে নেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘বলো, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ, তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও; যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা তুমি হীন করো। কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৬)
একজন শাসকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো ন্যায়পরায়ণতা। জনগণের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শাসকের মৌলিক কর্তব্য। ইসলামে ন্যায়বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা মানুষকে ইনসাফ ও দয়া প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফ, দয়া এবং আত্মীয়স্বজনকে (তাদের হক) প্রদানের হুকুম দেন আর অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও জুলুম করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা নাহল: ৯০)
ন্যায়পরায়ণ শাসককে পরকালে এক বিশাল পুরস্কারের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন কোনো আশ্রয় থাকবে না, তখন ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না; প্রথমজন হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (শাসক)।’ (বুখারি: ১৪২৩)
সুতরাং, ইসলামে শাসনক্ষমতাকে একটি আমানত হিসেবে গণ্য করা হয়, যার সঠিক ব্যবহার শাসককে ইহকাল ও পরকালে সফল করে তোলে।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন পরশপাথর। তাঁর ছোঁয়ায় মাটির মানুষ পরিণত হতো খাঁটি সোনায়। আরবের এক গোলযোগপূর্ণ সময়ে তাঁর আগমন ঘটেছিল পৃথিবীতে। মানুষ হানাহানি, যুদ্ধ, অহংকার ও অমানবিকতায় ডুবে ছিল। আল্লাহ তাঁকে সেই অন্ধকার সমাজে হিদায়াতের প্রদীপ বানিয়ে পাঠালেন। তাঁকে দান করলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চারিত্রিক
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন পরশপাথর। তাঁর ছোঁয়ায় মাটির মানুষ পরিণত হতো খাঁটি সোনায়। আরবের এক গোলযোগপূর্ণ সময়ে তাঁর আগমন ঘটেছিল পৃথিবীতে। মানুষ হানাহানি, যুদ্ধ, অহংকার ও অমানবিকতায় ডুবে ছিল। আল্লাহ তাঁকে সেই অন্ধকার সমাজে হিদায়াতের প্রদীপ বানিয়ে পাঠালেন। তাঁকে দান করলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চারিত্রিক
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২৭ মিনিট আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন পরশপাথর। তাঁর ছোঁয়ায় মাটির মানুষ পরিণত হতো খাঁটি সোনায়। আরবের এক গোলযোগপূর্ণ সময়ে তাঁর আগমন ঘটেছিল পৃথিবীতে। মানুষ হানাহানি, যুদ্ধ, অহংকার ও অমানবিকতায় ডুবে ছিল। আল্লাহ তাঁকে সেই অন্ধকার সমাজে হিদায়াতের প্রদীপ বানিয়ে পাঠালেন। তাঁকে দান করলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চারিত্রিক
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২৭ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন পরশপাথর। তাঁর ছোঁয়ায় মাটির মানুষ পরিণত হতো খাঁটি সোনায়। আরবের এক গোলযোগপূর্ণ সময়ে তাঁর আগমন ঘটেছিল পৃথিবীতে। মানুষ হানাহানি, যুদ্ধ, অহংকার ও অমানবিকতায় ডুবে ছিল। আল্লাহ তাঁকে সেই অন্ধকার সমাজে হিদায়াতের প্রদীপ বানিয়ে পাঠালেন। তাঁকে দান করলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চারিত্রিক
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২৭ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে