আব্দুল্লাহ আলমামুন আশরাফী

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন পরশপাথর। তাঁর ছোঁয়ায় মাটির মানুষ পরিণত হতো খাঁটি সোনায়। আরবের এক গোলযোগপূর্ণ সময়ে তাঁর আগমন ঘটেছিল পৃথিবীতে। মানুষ হানাহানি, যুদ্ধ, অহংকার ও অমানবিকতায় ডুবে ছিল। আল্লাহ তাঁকে সেই অন্ধকার সমাজে হিদায়াতের প্রদীপ বানিয়ে পাঠালেন। তাঁকে দান করলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চারিত্রিক মাধুর্য। শৈশব থেকে তাঁর চারিত্রিক সৌন্দর্য মানুষকে মুগ্ধ করত। যৌবনে মক্কার সবচেয়ে বিশ্বস্ত যুবক তথা আল-আমিন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন খোদ মক্কার নেতৃস্থানীয় মানুষের কাছ থেকে। নবুওয়ত লাভের পর তাঁর অনুপম ব্যক্তিত্বের কথা ছড়িয়ে পড়ে আরবের পথে-প্রান্তরে। তাঁর মানবিক আচরণে মুগ্ধ হয়ে শত্রুরাও নির্দ্বিধায় তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে পাঠ করেছেন ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।’ তাঁর জীবদ্দশাতেই সেকালের অনেক বড় শাসকও তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও অন্যান্য আলামত দেখে তাঁকে আল্লাহর প্রেরিত নবী বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। যুগে যুগে সত্যসন্ধানী অনেক অমুসলিম গবেষকও তাঁর অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কথা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে এনেছেন।
ওমানের বাদশাহ জুলানদি ছিলেন সত্যানুসন্ধানী বিচক্ষণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর কাছে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইসলামের দাওয়াত পাঠান। সাহাবি আমর ইবনুল আস (রা.) দাওয়াত নিয়ে যান। বিচক্ষণ এই বাদশাহ নবীজি (সা.)-এর সম্পর্কে মন্তব্য করেন, ‘আল্লাহর কসম, (দূত) আমাকে এমন একজন উম্মি নবীর কথা বলেছেন, তিনি যখনই কোনো ভালো কাজের আদেশ করেন, প্রথমে তিনি নিজেই সেই কাজটি করেন। আর যে কাজ তিনি নিষেধ করেন, প্রথমে তিনি নিজেই তা বর্জন করেন। তিনি বিজয়ী হয়েও অহংকার করেন না। কেউ তাঁর ওপর প্রতাপ দেখালে রুষ্ট হন না। তিনি ওয়াদা পালন করেন। চুক্তিসমূহ বাস্তবায়ন করেন। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিঃসন্দেহে তিনি একজন সত্য নবী।’ (আশ-শিফা: ১/ ২৪৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চরিত্রমাধুর্যের খানিক ঝলক বাদশাহ জুলানদির এই মন্তব্যে চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। নবীজির চরিত্র ছিল পূর্ণতা ও পরিব্যাপ্তিতে বিভাসিত। তাঁর চরিত্রের প্রতিটি দিক ছিল ষোলোকলায় পূর্ণ। পাহাড়সম ধৈর্য ও দুর্বার সাহসিকতার অপূর্ব সমন্বয় ছিল তাঁর যাপিত জীবনের ছত্রে ছত্রে। দয়ামায়া, সহনশীলতা ও আমানতদারির সর্বোচ্চ চূড়ায় ছিল তাঁর অবস্থান। সময়ের আবর্তনে তাঁর চরিত্রিক মাধুর্যে তারতম্য ঘটেনি। জীবনের কোনো সময়ে একটু বেশি আবার কখনো একটু কম—এমনটা ঘটেনি। তিনি ছাড়া জগতের আর কোনো মানুষের মধ্যে একসঙ্গে এত চারিত্রিক গুণের সমাবেশ পরিলক্ষিত হয়নি। বিখ্যাত জার্মান লেখক ও দার্শনিক কবি জোহান গ্যাটে বলতে বাধ্য হয়েছেন, ‘ইতিহাসের পাতায় আমি তন্ন তন্ন করে সর্বোচ্চ শ্রেষ্ঠ মানুষের দৃষ্টান্ত খুঁজেছি, অবশেষে তা পেয়েছি আরবের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর মধ্যে।’ (শামসুল আরব তাসতায়ু আলাল গারব: ৪৬৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তম চরিত্রাবলির মূল উৎস কী ছিল? কোন সে প্রেরণায় চরিত্রমাধুর্যে তিনি আকাশের উচ্চতাকেও হার মানিয়েছেন? তা ছিল পবিত্র কোরআন। হ্যাঁ, কোরআনই ছিল তাঁর অনন্য চরিত্র মাধুর্যের উৎস। তিনি পবিত্র কোরআন থেকেই তাঁর চারিত্রিক গুণাবলি আহরণ ও সমৃদ্ধ করেছেন। ফলে কোরআনই তাঁর পূর্ণ গুণাবলিকে পোঁছে দিয়েছে অনন্য উচ্চতায়। তাঁর সুন্দর শিষ্টাচারকে করেছে আরও সৌন্দর্যময়। এটা সম্ভব হয়েছে কোরআনের প্রতি তাঁর আত্মনিবেদনের বদৌলতে। তিনি নিজেকে কোরআনের প্রতিটি কল্যাণের দিকেই সমর্পণ করে দিয়েছিলেন। কোরআনের অনুপম নির্দেশনামালা তাঁর যাপিত জীবনে বাস্তবায়িত হয়েছে চমৎকারভাবে। যেন তিনি ছিলেন কোরআনের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। তাই তো হজরত সাদ ইবনে হিশাম ইবনে আমের (রা.) যখন উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.)কে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চরিত্র সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন, তখন তিনি জবাবে বলেছিলেন, ‘তুমি কি কোরআন পড়োনি?’ সাদ ইবনে হিশাম বললেন, ‘পড়েছি।’ হজরত আয়েশা (রা.) বললেন, ‘কোরআনই ছিল তাঁর চরিত্র-শিষ্টাচার।’ (মুসলিম: ৭৪৬)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তম চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাঁর পরিবারে, সাথি-সঙ্গী মুমিনদের মাঝে, সমাজে বসবাসরত অমুসলিমদের মাঝে। এমনকি যুদ্ধরত শত্রুদলের মাঝেও তাঁর সৌহার্দ্য ও সহমর্মিতাপূর্ণ আচরণ তাঁর চরিত্রকে নিয়ে গেছে অনন্য এক উচ্চতায়। কুরাইশ সরদার আবু সুফিয়ান ইসলাম গ্রহণের আগেই তাঁর উত্তম চরিত্রের নমুনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি অকপটে স্বীকার করে বলেছিলেন, ‘আপনার ওপর আমার বাবা-মা কোরবান হোক। আল্লাহর কসম, নিশ্চয়ই আপনি একজন মহান ব্যক্তি। আমি যুদ্ধ করেছি আপনার বিরুদ্ধে, আপনি কত-ই না উত্তম যোদ্ধা ছিলেন! আমি আপনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি, আপনি কতই না উত্তম চুক্তিকারী ছিলেন! মহান আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।’ (মারিফাতুস সাহাবাহ: ৩/ ১৫০৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তম চরিত্র এতটা ব্যাপক যে, তা যেন এক বিশাল দরিয়া। তাঁর চরিত্রের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করে বিস্মিত ও বিমুগ্ধ হয়েছেন মুসলিম থেকে শুরু করে বিশ্বের অনেক অমুসলিম পণ্ডিতও। তারা নির্দ্বিধায় তাঁর অনন্য চরিত্রের কথা স্বীকার করেছেন। বিখ্যাত ইংরেজ দার্শনিক উইলিয়াম ম্যুর বলেন, ‘তাঁর পুরো জীবন ছিল সহজ ও স্বাভাবিকতার নান্দনিক চিত্র। তাঁর অনন্য রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাঁর বহু অনুসারীর কথায়। বিনয়, নম্রতা, সহানুভূতি, ধৈর্য, অন্যকে নিজের ওপর প্রাধান্যদান এবং প্রচুর দানশীলতা তাঁর চরিত্রকে দিয়েছিল এক অনন্যসাধারণ সৌন্দর্য। তাঁর ভালোবাসার আকর্ষণ চারপাশের সবাইকে মোহিত করে রাখত...।’ (হায়াতু মুহাম্মদ)
চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সংক্রামক। এটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে সংক্রমিত হয়। শুদ্ধ ব্যক্তির প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে শুদ্ধ হয় আশপাশের মানুষ। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চারিত্রিক পূর্ণতা তাঁর সাহাবিদেরও পূর্ণ মানুষে পরিণত করেছিল। ফলে তাঁরা আমাদের উপহার দিয়েছিলেন অনুপম এক পৃথিবী। তাই নিজেকে শুদ্ধ করতে হলে, সমাজকে উন্নত ও মানবিক করতে হলে তাঁর চরিত্র ধারণ ও বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া গাফুরিয়া মাখযানুল উলুম টঙ্গী, গাজীপুর।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন পরশপাথর। তাঁর ছোঁয়ায় মাটির মানুষ পরিণত হতো খাঁটি সোনায়। আরবের এক গোলযোগপূর্ণ সময়ে তাঁর আগমন ঘটেছিল পৃথিবীতে। মানুষ হানাহানি, যুদ্ধ, অহংকার ও অমানবিকতায় ডুবে ছিল। আল্লাহ তাঁকে সেই অন্ধকার সমাজে হিদায়াতের প্রদীপ বানিয়ে পাঠালেন। তাঁকে দান করলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চারিত্রিক মাধুর্য। শৈশব থেকে তাঁর চারিত্রিক সৌন্দর্য মানুষকে মুগ্ধ করত। যৌবনে মক্কার সবচেয়ে বিশ্বস্ত যুবক তথা আল-আমিন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন খোদ মক্কার নেতৃস্থানীয় মানুষের কাছ থেকে। নবুওয়ত লাভের পর তাঁর অনুপম ব্যক্তিত্বের কথা ছড়িয়ে পড়ে আরবের পথে-প্রান্তরে। তাঁর মানবিক আচরণে মুগ্ধ হয়ে শত্রুরাও নির্দ্বিধায় তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে পাঠ করেছেন ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।’ তাঁর জীবদ্দশাতেই সেকালের অনেক বড় শাসকও তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও অন্যান্য আলামত দেখে তাঁকে আল্লাহর প্রেরিত নবী বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। যুগে যুগে সত্যসন্ধানী অনেক অমুসলিম গবেষকও তাঁর অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কথা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে এনেছেন।
ওমানের বাদশাহ জুলানদি ছিলেন সত্যানুসন্ধানী বিচক্ষণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর কাছে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইসলামের দাওয়াত পাঠান। সাহাবি আমর ইবনুল আস (রা.) দাওয়াত নিয়ে যান। বিচক্ষণ এই বাদশাহ নবীজি (সা.)-এর সম্পর্কে মন্তব্য করেন, ‘আল্লাহর কসম, (দূত) আমাকে এমন একজন উম্মি নবীর কথা বলেছেন, তিনি যখনই কোনো ভালো কাজের আদেশ করেন, প্রথমে তিনি নিজেই সেই কাজটি করেন। আর যে কাজ তিনি নিষেধ করেন, প্রথমে তিনি নিজেই তা বর্জন করেন। তিনি বিজয়ী হয়েও অহংকার করেন না। কেউ তাঁর ওপর প্রতাপ দেখালে রুষ্ট হন না। তিনি ওয়াদা পালন করেন। চুক্তিসমূহ বাস্তবায়ন করেন। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিঃসন্দেহে তিনি একজন সত্য নবী।’ (আশ-শিফা: ১/ ২৪৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চরিত্রমাধুর্যের খানিক ঝলক বাদশাহ জুলানদির এই মন্তব্যে চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। নবীজির চরিত্র ছিল পূর্ণতা ও পরিব্যাপ্তিতে বিভাসিত। তাঁর চরিত্রের প্রতিটি দিক ছিল ষোলোকলায় পূর্ণ। পাহাড়সম ধৈর্য ও দুর্বার সাহসিকতার অপূর্ব সমন্বয় ছিল তাঁর যাপিত জীবনের ছত্রে ছত্রে। দয়ামায়া, সহনশীলতা ও আমানতদারির সর্বোচ্চ চূড়ায় ছিল তাঁর অবস্থান। সময়ের আবর্তনে তাঁর চরিত্রিক মাধুর্যে তারতম্য ঘটেনি। জীবনের কোনো সময়ে একটু বেশি আবার কখনো একটু কম—এমনটা ঘটেনি। তিনি ছাড়া জগতের আর কোনো মানুষের মধ্যে একসঙ্গে এত চারিত্রিক গুণের সমাবেশ পরিলক্ষিত হয়নি। বিখ্যাত জার্মান লেখক ও দার্শনিক কবি জোহান গ্যাটে বলতে বাধ্য হয়েছেন, ‘ইতিহাসের পাতায় আমি তন্ন তন্ন করে সর্বোচ্চ শ্রেষ্ঠ মানুষের দৃষ্টান্ত খুঁজেছি, অবশেষে তা পেয়েছি আরবের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর মধ্যে।’ (শামসুল আরব তাসতায়ু আলাল গারব: ৪৬৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তম চরিত্রাবলির মূল উৎস কী ছিল? কোন সে প্রেরণায় চরিত্রমাধুর্যে তিনি আকাশের উচ্চতাকেও হার মানিয়েছেন? তা ছিল পবিত্র কোরআন। হ্যাঁ, কোরআনই ছিল তাঁর অনন্য চরিত্র মাধুর্যের উৎস। তিনি পবিত্র কোরআন থেকেই তাঁর চারিত্রিক গুণাবলি আহরণ ও সমৃদ্ধ করেছেন। ফলে কোরআনই তাঁর পূর্ণ গুণাবলিকে পোঁছে দিয়েছে অনন্য উচ্চতায়। তাঁর সুন্দর শিষ্টাচারকে করেছে আরও সৌন্দর্যময়। এটা সম্ভব হয়েছে কোরআনের প্রতি তাঁর আত্মনিবেদনের বদৌলতে। তিনি নিজেকে কোরআনের প্রতিটি কল্যাণের দিকেই সমর্পণ করে দিয়েছিলেন। কোরআনের অনুপম নির্দেশনামালা তাঁর যাপিত জীবনে বাস্তবায়িত হয়েছে চমৎকারভাবে। যেন তিনি ছিলেন কোরআনের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। তাই তো হজরত সাদ ইবনে হিশাম ইবনে আমের (রা.) যখন উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.)কে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চরিত্র সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন, তখন তিনি জবাবে বলেছিলেন, ‘তুমি কি কোরআন পড়োনি?’ সাদ ইবনে হিশাম বললেন, ‘পড়েছি।’ হজরত আয়েশা (রা.) বললেন, ‘কোরআনই ছিল তাঁর চরিত্র-শিষ্টাচার।’ (মুসলিম: ৭৪৬)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তম চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাঁর পরিবারে, সাথি-সঙ্গী মুমিনদের মাঝে, সমাজে বসবাসরত অমুসলিমদের মাঝে। এমনকি যুদ্ধরত শত্রুদলের মাঝেও তাঁর সৌহার্দ্য ও সহমর্মিতাপূর্ণ আচরণ তাঁর চরিত্রকে নিয়ে গেছে অনন্য এক উচ্চতায়। কুরাইশ সরদার আবু সুফিয়ান ইসলাম গ্রহণের আগেই তাঁর উত্তম চরিত্রের নমুনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি অকপটে স্বীকার করে বলেছিলেন, ‘আপনার ওপর আমার বাবা-মা কোরবান হোক। আল্লাহর কসম, নিশ্চয়ই আপনি একজন মহান ব্যক্তি। আমি যুদ্ধ করেছি আপনার বিরুদ্ধে, আপনি কত-ই না উত্তম যোদ্ধা ছিলেন! আমি আপনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি, আপনি কতই না উত্তম চুক্তিকারী ছিলেন! মহান আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।’ (মারিফাতুস সাহাবাহ: ৩/ ১৫০৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তম চরিত্র এতটা ব্যাপক যে, তা যেন এক বিশাল দরিয়া। তাঁর চরিত্রের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করে বিস্মিত ও বিমুগ্ধ হয়েছেন মুসলিম থেকে শুরু করে বিশ্বের অনেক অমুসলিম পণ্ডিতও। তারা নির্দ্বিধায় তাঁর অনন্য চরিত্রের কথা স্বীকার করেছেন। বিখ্যাত ইংরেজ দার্শনিক উইলিয়াম ম্যুর বলেন, ‘তাঁর পুরো জীবন ছিল সহজ ও স্বাভাবিকতার নান্দনিক চিত্র। তাঁর অনন্য রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাঁর বহু অনুসারীর কথায়। বিনয়, নম্রতা, সহানুভূতি, ধৈর্য, অন্যকে নিজের ওপর প্রাধান্যদান এবং প্রচুর দানশীলতা তাঁর চরিত্রকে দিয়েছিল এক অনন্যসাধারণ সৌন্দর্য। তাঁর ভালোবাসার আকর্ষণ চারপাশের সবাইকে মোহিত করে রাখত...।’ (হায়াতু মুহাম্মদ)
চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সংক্রামক। এটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে সংক্রমিত হয়। শুদ্ধ ব্যক্তির প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে শুদ্ধ হয় আশপাশের মানুষ। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চারিত্রিক পূর্ণতা তাঁর সাহাবিদেরও পূর্ণ মানুষে পরিণত করেছিল। ফলে তাঁরা আমাদের উপহার দিয়েছিলেন অনুপম এক পৃথিবী। তাই নিজেকে শুদ্ধ করতে হলে, সমাজকে উন্নত ও মানবিক করতে হলে তাঁর চরিত্র ধারণ ও বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া গাফুরিয়া মাখযানুল উলুম টঙ্গী, গাজীপুর।

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
২ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন পরশপাথর। তাঁর ছোঁয়ায় মাটির মানুষ পরিণত হতো খাঁটি সোনায়। আরবের এক গোলযোগপূর্ণ সময়ে তাঁর আগমন ঘটেছিল পৃথিবীতে। মানুষ হানাহানি, যুদ্ধ, অহংকার ও অমানবিকতায় ডুবে ছিল। আল্লাহ তাঁকে সেই অন্ধকার সমাজে হিদায়াতের প্রদীপ বানিয়ে পাঠালেন। তাঁকে দান করলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চারিত্রিক
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
২ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন পরশপাথর। তাঁর ছোঁয়ায় মাটির মানুষ পরিণত হতো খাঁটি সোনায়। আরবের এক গোলযোগপূর্ণ সময়ে তাঁর আগমন ঘটেছিল পৃথিবীতে। মানুষ হানাহানি, যুদ্ধ, অহংকার ও অমানবিকতায় ডুবে ছিল। আল্লাহ তাঁকে সেই অন্ধকার সমাজে হিদায়াতের প্রদীপ বানিয়ে পাঠালেন। তাঁকে দান করলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চারিত্রিক
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১৭ ঘণ্টা আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
২ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—
চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।
হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)
নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—
চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।
হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)
নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন পরশপাথর। তাঁর ছোঁয়ায় মাটির মানুষ পরিণত হতো খাঁটি সোনায়। আরবের এক গোলযোগপূর্ণ সময়ে তাঁর আগমন ঘটেছিল পৃথিবীতে। মানুষ হানাহানি, যুদ্ধ, অহংকার ও অমানবিকতায় ডুবে ছিল। আল্লাহ তাঁকে সেই অন্ধকার সমাজে হিদায়াতের প্রদীপ বানিয়ে পাঠালেন। তাঁকে দান করলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চারিত্রিক
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন পরশপাথর। তাঁর ছোঁয়ায় মাটির মানুষ পরিণত হতো খাঁটি সোনায়। আরবের এক গোলযোগপূর্ণ সময়ে তাঁর আগমন ঘটেছিল পৃথিবীতে। মানুষ হানাহানি, যুদ্ধ, অহংকার ও অমানবিকতায় ডুবে ছিল। আল্লাহ তাঁকে সেই অন্ধকার সমাজে হিদায়াতের প্রদীপ বানিয়ে পাঠালেন। তাঁকে দান করলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চারিত্রিক
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
২ দিন আগে