মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দর্শনের ইতিহাসে যেসব মনীষী অবদান রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইবনে রুশদ (১১২৬-১১৯৮ খ্রিষ্টাব্দ) অন্যতম। তিনি ছিলেন একজন মুসলিম দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক, চিকিৎসক ও আইনজ্ঞ। পাশ্চাত্যে তিনি অ্যাভেরোজ নামে পরিচিত। ইবনে রুশদ গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের ব্যাখ্যাকার হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন এবং তাঁর ব্যাখ্যা ইউরোপীয় পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইসলামি চিন্তাধারার পাশাপাশি চিকিৎসাবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান, যুক্তিবিজ্ঞান ও আইনশাস্ত্রে তাঁর অসাধারণ অবদান রয়েছে।
জন্ম ও শৈশব
ইবনে রুশদের জন্ম ১১২৬ খ্রিষ্টাব্দে আন্দালুসের কর্ডোভা শহরে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। তাঁর পিতামহ এবং পিতা উভয়েই বিচারপতি ছিলেন। ফলে ছোটবেলা থেকেই তিনি আইনশাস্ত্রের প্রতি অনুরক্ত হন। তিনি কোরআন, হাদিস, ফিকহ, দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, গণিত ও চিকিৎসাবিদ্যায় গভীর অধ্যয়ন করেন। বিশেষত, ইসলামি ফিকহের ‘মালিকি মাযহাব’-এর ওপর তাঁর ব্যাপক পাণ্ডিত্য ছিল।
বিজ্ঞান ও চিকিৎসায় অবদান
ইবনে রুশদের চিকিৎসাবিজ্ঞান সংক্রান্ত সর্বশ্রেষ্ঠ রচনা ‘আল-কুল্লিয়াত ফি আত-ত্বিব্ব’ যা ল্যাটিন ভাষায় কোলিগেট নামে অনূদিত হয়। এতে মানবদেহ, চিকিৎসার নীতিমালা এবং বিভিন্ন রোগের কারণ ও প্রতিকার নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। তাঁর এ গ্রন্থ মধ্যযুগে ইউরোপের চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত হয় এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক হিসেবে পঠিত হয়।
দর্শন ও যুক্তিবিদ্যায় প্রভাব
ইবনে রুশদের দর্শনের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল ধর্ম ও দর্শনের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করা। তিনি বিশ্বাস করতেন, ধর্ম ও দর্শন পরস্পরের বিরোধী নয়, বরং একই সত্যের দুটি দিক। তার বিখ্যাত দার্শনিক রচনা ‘তাহাফুত আত-তাহাফুত’ বা ‘অসংগতির অসংগতি’ মূলত ইমাম গাজালির ‘তাহাফুত আল-ফালাসিফা’ বা ‘দার্শনিকদের অসংগতি’-র জবাবে লেখা হয়। ইবনে রুশদ এখানে যুক্তির মাধ্যমে দর্শনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং যুক্তি ও কোরআনের ব্যাখ্যার মধ্যে সমন্বয় করার চেষ্টা করেন।
ইসলামি ফিকহে ভূমিকা
ফিকহশাস্ত্রে ইবনে রুশদ ছিলেন একজন দক্ষ গবেষক। তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ ‘বিদায়াতুল মুজতাহিদ ওয়া নিহায়াতুল মুকতাসিদ’, যেখানে তিনি ইসলামি আইনের বিভিন্ন মতবাদ তুলনামূলকভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বিভিন্ন মাজহাবের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করেছেন এবং স্বাধীন চিন্তাধারার চর্চা করেছেন।
ইবনে রুশদের অবদান
ইবনে রুশদের অবদান একাধিক ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। তাঁর কাজ কেবল ইসলামি বিশ্বেই নয়, বরং ইউরোপীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশেও অনন্য ভূমিকা রেখেছে। তার অবদানকে নিম্নলিখিত দিক থেকে বিশ্লেষণ করা যায়—
যুক্তিবাদী দর্শনের প্রসার: তিনি দর্শন ও ধর্মের মধ্যে সামঞ্জস্য খোঁজার চেষ্টা করেন এবং অ্যারিস্টটলীয় যুক্তিবাদের মাধ্যমে ইসলামি চিন্তাধারাকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে যান।
ইউরোপীয় রেনেসাঁর ওপর প্রভাব: তাঁর ব্যাখ্যাগুলো ল্যাটিন ও হিব্রু ভাষায় অনূদিত হয়ে ইউরোপের দার্শনিকদের মাঝে জনপ্রিয়তা পায়, বিশেষত টমাস একুইনাসের দর্শনে তাঁর চিন্তার গভীর প্রভাব দেখা যায়।
চিকিৎসা শাস্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান: তার লেখা ‘আল-কুল্লিয়াত ফিত-তিব’ ইউরোপীয় চিকিৎসা শিক্ষায় দীর্ঘদিন পর্যন্ত গুরুত্ব পেয়েছিল।
আইনশাস্ত্রে মৌলিক চিন্তাধারা: তিনি ফিকহশাস্ত্রে তুলনামূলক পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিভিন্ন মাজহাবের আইনি মতামত বিশ্লেষণ করেন, যা বিচারব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে।
ধর্ম ও বিজ্ঞানের সমন্বয়: ইবনে রুশদ বিশ্বাস করতেন যে ধর্ম ও বিজ্ঞান পরস্পরবিরোধী নয়, বরং উভয়ই মানবজ্ঞানকে পরিপূর্ণ করে।
মতবাদ ও বিতর্ক
ইবনে রুশদের দর্শন ও মতবাদ আন্দালুস ও মুসলিম বিশ্বের একাংশে বিতর্কের জন্ম দেয়। তিনি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেলেও শেষ জীবনে রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়ে বন্দী হন এবং তার বহু গ্রন্থ ধ্বংস করে ফেলা হয়। তবুও, তার চিন্তাধারা ইউরোপে রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে যুক্তিবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটায়।
শিক্ষা ও উত্তরাধিকার
ইবনে রুশদের চিন্তা ও গবেষণার প্রভাব ইউরোপীয় পুনর্জাগরণে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তার লেখা বই ল্যাটিন ও হিব্রু ভাষায় অনূদিত হয়ে ইউরোপীয় দার্শনিকদের কাছে পৌঁছায় এবং টমাস একুইনাসসহ খ্রিষ্টান দার্শনিকদের চিন্তাধারায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
ইবনে রুশদ শুধু একজন দার্শনিক ছিলেন না, তিনি ছিলেন একাধারে চিকিৎসক, বিচারক, আইনজ্ঞ ও ধর্মতাত্ত্বিক। ইসলামি জ্ঞানের গভীরতা ও যুক্তিবাদী চিন্তাধারার মিশেলে তিনি এক নতুন ধারা তৈরি করেছিলেন। তাঁর দর্শন ও বিজ্ঞানচিন্তা মুসলিম বিশ্বে যেমন আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল, তেমনি ইউরোপীয় রেনেসাঁর অন্যতম ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়। ইসলামি সভ্যতার ইতিহাসে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
তথ্যসূত্র
১. ইবনে রুশদ, বিদায়াতুল মুজতাহিদ ওয়া নিহায়াতুল মুকতাসিদ।
২. ইবনে রুশদ, আল-কুল্লিয়াত ফিত তিব।
৩. ইবনে রুশদ, তাহাফুত আত-তাহাফুত।
৪. ড. মুহাম্মদ ইকবাল, ইসলামের পুনর্জাগরণ।
৫. ইমাম গাজালি, তাহাফুত আল-ফালাসিফা।

ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দর্শনের ইতিহাসে যেসব মনীষী অবদান রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইবনে রুশদ (১১২৬-১১৯৮ খ্রিষ্টাব্দ) অন্যতম। তিনি ছিলেন একজন মুসলিম দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক, চিকিৎসক ও আইনজ্ঞ। পাশ্চাত্যে তিনি অ্যাভেরোজ নামে পরিচিত। ইবনে রুশদ গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের ব্যাখ্যাকার হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন এবং তাঁর ব্যাখ্যা ইউরোপীয় পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইসলামি চিন্তাধারার পাশাপাশি চিকিৎসাবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান, যুক্তিবিজ্ঞান ও আইনশাস্ত্রে তাঁর অসাধারণ অবদান রয়েছে।
জন্ম ও শৈশব
ইবনে রুশদের জন্ম ১১২৬ খ্রিষ্টাব্দে আন্দালুসের কর্ডোভা শহরে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। তাঁর পিতামহ এবং পিতা উভয়েই বিচারপতি ছিলেন। ফলে ছোটবেলা থেকেই তিনি আইনশাস্ত্রের প্রতি অনুরক্ত হন। তিনি কোরআন, হাদিস, ফিকহ, দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, গণিত ও চিকিৎসাবিদ্যায় গভীর অধ্যয়ন করেন। বিশেষত, ইসলামি ফিকহের ‘মালিকি মাযহাব’-এর ওপর তাঁর ব্যাপক পাণ্ডিত্য ছিল।
বিজ্ঞান ও চিকিৎসায় অবদান
ইবনে রুশদের চিকিৎসাবিজ্ঞান সংক্রান্ত সর্বশ্রেষ্ঠ রচনা ‘আল-কুল্লিয়াত ফি আত-ত্বিব্ব’ যা ল্যাটিন ভাষায় কোলিগেট নামে অনূদিত হয়। এতে মানবদেহ, চিকিৎসার নীতিমালা এবং বিভিন্ন রোগের কারণ ও প্রতিকার নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। তাঁর এ গ্রন্থ মধ্যযুগে ইউরোপের চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত হয় এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক হিসেবে পঠিত হয়।
দর্শন ও যুক্তিবিদ্যায় প্রভাব
ইবনে রুশদের দর্শনের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল ধর্ম ও দর্শনের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করা। তিনি বিশ্বাস করতেন, ধর্ম ও দর্শন পরস্পরের বিরোধী নয়, বরং একই সত্যের দুটি দিক। তার বিখ্যাত দার্শনিক রচনা ‘তাহাফুত আত-তাহাফুত’ বা ‘অসংগতির অসংগতি’ মূলত ইমাম গাজালির ‘তাহাফুত আল-ফালাসিফা’ বা ‘দার্শনিকদের অসংগতি’-র জবাবে লেখা হয়। ইবনে রুশদ এখানে যুক্তির মাধ্যমে দর্শনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং যুক্তি ও কোরআনের ব্যাখ্যার মধ্যে সমন্বয় করার চেষ্টা করেন।
ইসলামি ফিকহে ভূমিকা
ফিকহশাস্ত্রে ইবনে রুশদ ছিলেন একজন দক্ষ গবেষক। তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ ‘বিদায়াতুল মুজতাহিদ ওয়া নিহায়াতুল মুকতাসিদ’, যেখানে তিনি ইসলামি আইনের বিভিন্ন মতবাদ তুলনামূলকভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বিভিন্ন মাজহাবের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করেছেন এবং স্বাধীন চিন্তাধারার চর্চা করেছেন।
ইবনে রুশদের অবদান
ইবনে রুশদের অবদান একাধিক ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। তাঁর কাজ কেবল ইসলামি বিশ্বেই নয়, বরং ইউরোপীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশেও অনন্য ভূমিকা রেখেছে। তার অবদানকে নিম্নলিখিত দিক থেকে বিশ্লেষণ করা যায়—
যুক্তিবাদী দর্শনের প্রসার: তিনি দর্শন ও ধর্মের মধ্যে সামঞ্জস্য খোঁজার চেষ্টা করেন এবং অ্যারিস্টটলীয় যুক্তিবাদের মাধ্যমে ইসলামি চিন্তাধারাকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে যান।
ইউরোপীয় রেনেসাঁর ওপর প্রভাব: তাঁর ব্যাখ্যাগুলো ল্যাটিন ও হিব্রু ভাষায় অনূদিত হয়ে ইউরোপের দার্শনিকদের মাঝে জনপ্রিয়তা পায়, বিশেষত টমাস একুইনাসের দর্শনে তাঁর চিন্তার গভীর প্রভাব দেখা যায়।
চিকিৎসা শাস্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান: তার লেখা ‘আল-কুল্লিয়াত ফিত-তিব’ ইউরোপীয় চিকিৎসা শিক্ষায় দীর্ঘদিন পর্যন্ত গুরুত্ব পেয়েছিল।
আইনশাস্ত্রে মৌলিক চিন্তাধারা: তিনি ফিকহশাস্ত্রে তুলনামূলক পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিভিন্ন মাজহাবের আইনি মতামত বিশ্লেষণ করেন, যা বিচারব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে।
ধর্ম ও বিজ্ঞানের সমন্বয়: ইবনে রুশদ বিশ্বাস করতেন যে ধর্ম ও বিজ্ঞান পরস্পরবিরোধী নয়, বরং উভয়ই মানবজ্ঞানকে পরিপূর্ণ করে।
মতবাদ ও বিতর্ক
ইবনে রুশদের দর্শন ও মতবাদ আন্দালুস ও মুসলিম বিশ্বের একাংশে বিতর্কের জন্ম দেয়। তিনি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেলেও শেষ জীবনে রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়ে বন্দী হন এবং তার বহু গ্রন্থ ধ্বংস করে ফেলা হয়। তবুও, তার চিন্তাধারা ইউরোপে রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে যুক্তিবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটায়।
শিক্ষা ও উত্তরাধিকার
ইবনে রুশদের চিন্তা ও গবেষণার প্রভাব ইউরোপীয় পুনর্জাগরণে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তার লেখা বই ল্যাটিন ও হিব্রু ভাষায় অনূদিত হয়ে ইউরোপীয় দার্শনিকদের কাছে পৌঁছায় এবং টমাস একুইনাসসহ খ্রিষ্টান দার্শনিকদের চিন্তাধারায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
ইবনে রুশদ শুধু একজন দার্শনিক ছিলেন না, তিনি ছিলেন একাধারে চিকিৎসক, বিচারক, আইনজ্ঞ ও ধর্মতাত্ত্বিক। ইসলামি জ্ঞানের গভীরতা ও যুক্তিবাদী চিন্তাধারার মিশেলে তিনি এক নতুন ধারা তৈরি করেছিলেন। তাঁর দর্শন ও বিজ্ঞানচিন্তা মুসলিম বিশ্বে যেমন আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল, তেমনি ইউরোপীয় রেনেসাঁর অন্যতম ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়। ইসলামি সভ্যতার ইতিহাসে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
তথ্যসূত্র
১. ইবনে রুশদ, বিদায়াতুল মুজতাহিদ ওয়া নিহায়াতুল মুকতাসিদ।
২. ইবনে রুশদ, আল-কুল্লিয়াত ফিত তিব।
৩. ইবনে রুশদ, তাহাফুত আত-তাহাফুত।
৪. ড. মুহাম্মদ ইকবাল, ইসলামের পুনর্জাগরণ।
৫. ইমাম গাজালি, তাহাফুত আল-ফালাসিফা।

ইসলাম আগমনের আগেই নবী (সা.) যেসব গুণের জন্য সবার প্রিয় ছিলেন, তার মধ্যে একটি মেহমানদারি বা অতিথিপরায়ণতা। মেহমানদারি ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত মানবিক দিক। নবী (সা.) নিজেই মেহমানদারি করতেন এবং সাহাবায়ে কেরামগণকেও উৎসাহিত করতেন।
২৮ মিনিট আগে
পরকালীন সফলতার জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করা জরুরি। তবে ইবাদতের ক্ষেত্রে ইসলাম আমাদের বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই দ্বীন সহজ-সরল।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
১ দিন আগেহুসাইন আহমদ

ইসলাম আগমনের আগেই নবী (সা.) যেসব গুণের জন্য সবার প্রিয় ছিলেন, তার মধ্যে একটি মেহমানদারি বা অতিথিপরায়ণতা। মেহমানদারি ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত মানবিক দিক। নবী (সা.) নিজেই মেহমানদারি করতেন এবং সাহাবায়ে কেরামগণকেও উৎসাহিত করতেন।
হেরা গুহায় নবী (সা.) প্রথমবার যখন হজরত জিবরাইল (আ.)-কে দেখে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে হজরত খাদিজা (রা.)-এর কাছে ফিরে এলেন, তখন তিনি তাঁকে যেসব কথা বলে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন, এর মধ্যে মেহমানদারি অন্যতম। খাদিজা (রা.) বলেছিলেন, ‘আল্লাহর কসম, কখনোই নয়। আল্লাহ তাআলা আপনাকে কখনো লাঞ্ছিত করবেন না। আপনি তো আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সদাচরণ করেন, অসহায়-দুস্থদের দায়িত্ব বহন করেন, নিঃস্বকে সহযোগিতা করেন, মেহমানের আপ্যায়ন করেন এবং হক পথের দুর্দশাগ্রস্তকে সাহায্য করেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৩)
মেহমানদারির ফজিলত প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা নিজের ওপর অন্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। যদিও নিজেরা ক্ষুধার্ত থাকে। আর যারা স্বভাবজাত লোভ-লালসা ও কামনা থেকে মুক্তি লাভ করে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা হাশর: ৯)
মেহমানদারির ফজিলত প্রসঙ্গে হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ঘরে মেহমানদারি করা হয়, উটের কুঁজের মাংস কাটার উদ্দেশ্যে ছুরি যত দ্রুত অগ্রসর হয়, সে ঘরে বরকত তার চেয়েও দ্রুত প্রবেশ করে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)
অন্যত্র মেহমানদারির প্রতি উৎসাহিত করে নবী (সা.) আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.)-কে উদ্দেশ করে বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমার ওপর তোমার মেহমানের হক রয়েছে।’ (সহিহ্ বুখারি)
প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের উচিত, মেহমানদারির হক ও নিয়মগুলো মেনে চলা। কোরআন-সুন্নাহয় বর্ণিত ফজিলত ও মর্যাদাগুলো অর্জন করা। অযথা কাউকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা। আল্লাহ তাআলা উম্মাহকে মেহমানদারির হকগুলো যথাযথ আদায় ও ফজিলতসমূহ লাভ করার তাওফিক দান করুন।

ইসলাম আগমনের আগেই নবী (সা.) যেসব গুণের জন্য সবার প্রিয় ছিলেন, তার মধ্যে একটি মেহমানদারি বা অতিথিপরায়ণতা। মেহমানদারি ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত মানবিক দিক। নবী (সা.) নিজেই মেহমানদারি করতেন এবং সাহাবায়ে কেরামগণকেও উৎসাহিত করতেন।
হেরা গুহায় নবী (সা.) প্রথমবার যখন হজরত জিবরাইল (আ.)-কে দেখে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে হজরত খাদিজা (রা.)-এর কাছে ফিরে এলেন, তখন তিনি তাঁকে যেসব কথা বলে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন, এর মধ্যে মেহমানদারি অন্যতম। খাদিজা (রা.) বলেছিলেন, ‘আল্লাহর কসম, কখনোই নয়। আল্লাহ তাআলা আপনাকে কখনো লাঞ্ছিত করবেন না। আপনি তো আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সদাচরণ করেন, অসহায়-দুস্থদের দায়িত্ব বহন করেন, নিঃস্বকে সহযোগিতা করেন, মেহমানের আপ্যায়ন করেন এবং হক পথের দুর্দশাগ্রস্তকে সাহায্য করেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৩)
মেহমানদারির ফজিলত প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা নিজের ওপর অন্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। যদিও নিজেরা ক্ষুধার্ত থাকে। আর যারা স্বভাবজাত লোভ-লালসা ও কামনা থেকে মুক্তি লাভ করে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা হাশর: ৯)
মেহমানদারির ফজিলত প্রসঙ্গে হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ঘরে মেহমানদারি করা হয়, উটের কুঁজের মাংস কাটার উদ্দেশ্যে ছুরি যত দ্রুত অগ্রসর হয়, সে ঘরে বরকত তার চেয়েও দ্রুত প্রবেশ করে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)
অন্যত্র মেহমানদারির প্রতি উৎসাহিত করে নবী (সা.) আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.)-কে উদ্দেশ করে বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমার ওপর তোমার মেহমানের হক রয়েছে।’ (সহিহ্ বুখারি)
প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের উচিত, মেহমানদারির হক ও নিয়মগুলো মেনে চলা। কোরআন-সুন্নাহয় বর্ণিত ফজিলত ও মর্যাদাগুলো অর্জন করা। অযথা কাউকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা। আল্লাহ তাআলা উম্মাহকে মেহমানদারির হকগুলো যথাযথ আদায় ও ফজিলতসমূহ লাভ করার তাওফিক দান করুন।

ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দর্শনের ইতিহাসে যেসব মনীষী অবদান রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইবনে রুশদ (১১২৬-১১৯৮ খ্রিষ্টাব্দ) অন্যতম। তিনি ছিলেন একজন মুসলিম দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক, চিকিৎসক ও আইনজ্ঞ।
১৪ মার্চ ২০২৫
পরকালীন সফলতার জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করা জরুরি। তবে ইবাদতের ক্ষেত্রে ইসলাম আমাদের বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই দ্বীন সহজ-সরল।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন সফলতার জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করা জরুরি। তবে ইবাদতের ক্ষেত্রে ইসলাম আমাদের বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই দ্বীন সহজ-সরল। দ্বীন নিয়ে যে কড়াকড়ি করে, দ্বীন তার ওপর বিজয়ী হয় (অর্থাৎ সে ক্লান্ত হয়ে আমল ছেড়ে দেয়)। কাজেই তোমরা মধ্যপন্থা অবলম্বন করো এবং তার নিকটবর্তী থাকো। আশান্বিত থাকো এবং সকাল-সন্ধ্যায় ও রাতের শেষাংশে (ইবাদতের মাধ্যমে) আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করো।’ (সহিহ বুখারি: ৩৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) সকাল-সন্ধ্যায় মহান রবের কাছে কল্যাণ কামনার বিশেষ কিছু দোয়া শিখিয়েছেন। এমন একটি জিকির আছে, যা নিয়মিত করলে কিয়ামতের দিন সওয়াবের দিক থেকে কেউ তাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে না। আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে জেগে উঠে ১০০ বার বলবে—‘সুবহানাল্লাহিল আজিম, ওয়া বিহামদিহি’ এবং সন্ধ্যায়ও অনুরূপ বলে, তাহলে সৃষ্টিজগতের কেউই (কিয়ামতের দিন) তার মতো মর্যাদা ও সওয়াব অর্জনে সক্ষম হবে না।’ (সুনান আবু দাউদ: ৫০৯১)
দৈন্য, অলসতা ও কবরের আজাব থেকে সুরক্ষা পেতে রাসুল (সা.) একটি বিশেষ দোয়া পাঠ করতেন। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিস অনুযায়ী দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বুখলি, ওয়াল কাসালি, ওয়া-আরদালিল উমুরি, ওয়া-আজাবিল কাবরি, ওয়া-ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামাতি।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে কৃপণতা, অলসতা, বয়সের নিকৃষ্টতম সময় (বার্ধক্যের দৈন্য), কবরের আজাব এবং জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই।’ (সহিহ মুসলিম: ৬৬২৯)
প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততার মাঝে সকাল ও সন্ধ্যায় এই ছোট ছোট আমল আমাদের আত্মিক প্রশান্তি দেওয়ার পাশাপাশি পরকালে বিশাল সাফল্যের পথ সুগম করতে পারে। আল্লাহ আমাদের নবীজি (সা.)-এর শেখানো এই দোয়া ও জিকিরগুলোর ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

পরকালীন সফলতার জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করা জরুরি। তবে ইবাদতের ক্ষেত্রে ইসলাম আমাদের বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই দ্বীন সহজ-সরল। দ্বীন নিয়ে যে কড়াকড়ি করে, দ্বীন তার ওপর বিজয়ী হয় (অর্থাৎ সে ক্লান্ত হয়ে আমল ছেড়ে দেয়)। কাজেই তোমরা মধ্যপন্থা অবলম্বন করো এবং তার নিকটবর্তী থাকো। আশান্বিত থাকো এবং সকাল-সন্ধ্যায় ও রাতের শেষাংশে (ইবাদতের মাধ্যমে) আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করো।’ (সহিহ বুখারি: ৩৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) সকাল-সন্ধ্যায় মহান রবের কাছে কল্যাণ কামনার বিশেষ কিছু দোয়া শিখিয়েছেন। এমন একটি জিকির আছে, যা নিয়মিত করলে কিয়ামতের দিন সওয়াবের দিক থেকে কেউ তাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে না। আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে জেগে উঠে ১০০ বার বলবে—‘সুবহানাল্লাহিল আজিম, ওয়া বিহামদিহি’ এবং সন্ধ্যায়ও অনুরূপ বলে, তাহলে সৃষ্টিজগতের কেউই (কিয়ামতের দিন) তার মতো মর্যাদা ও সওয়াব অর্জনে সক্ষম হবে না।’ (সুনান আবু দাউদ: ৫০৯১)
দৈন্য, অলসতা ও কবরের আজাব থেকে সুরক্ষা পেতে রাসুল (সা.) একটি বিশেষ দোয়া পাঠ করতেন। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিস অনুযায়ী দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বুখলি, ওয়াল কাসালি, ওয়া-আরদালিল উমুরি, ওয়া-আজাবিল কাবরি, ওয়া-ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামাতি।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে কৃপণতা, অলসতা, বয়সের নিকৃষ্টতম সময় (বার্ধক্যের দৈন্য), কবরের আজাব এবং জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই।’ (সহিহ মুসলিম: ৬৬২৯)
প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততার মাঝে সকাল ও সন্ধ্যায় এই ছোট ছোট আমল আমাদের আত্মিক প্রশান্তি দেওয়ার পাশাপাশি পরকালে বিশাল সাফল্যের পথ সুগম করতে পারে। আল্লাহ আমাদের নবীজি (সা.)-এর শেখানো এই দোয়া ও জিকিরগুলোর ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দর্শনের ইতিহাসে যেসব মনীষী অবদান রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইবনে রুশদ (১১২৬-১১৯৮ খ্রিষ্টাব্দ) অন্যতম। তিনি ছিলেন একজন মুসলিম দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক, চিকিৎসক ও আইনজ্ঞ।
১৪ মার্চ ২০২৫
ইসলাম আগমনের আগেই নবী (সা.) যেসব গুণের জন্য সবার প্রিয় ছিলেন, তার মধ্যে একটি মেহমানদারি বা অতিথিপরায়ণতা। মেহমানদারি ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত মানবিক দিক। নবী (সা.) নিজেই মেহমানদারি করতেন এবং সাহাবায়ে কেরামগণকেও উৎসাহিত করতেন।
২৮ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১০ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৪ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৬ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৯ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১০ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৪ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৬ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৯ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দর্শনের ইতিহাসে যেসব মনীষী অবদান রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইবনে রুশদ (১১২৬-১১৯৮ খ্রিষ্টাব্দ) অন্যতম। তিনি ছিলেন একজন মুসলিম দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক, চিকিৎসক ও আইনজ্ঞ।
১৪ মার্চ ২০২৫
ইসলাম আগমনের আগেই নবী (সা.) যেসব গুণের জন্য সবার প্রিয় ছিলেন, তার মধ্যে একটি মেহমানদারি বা অতিথিপরায়ণতা। মেহমানদারি ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত মানবিক দিক। নবী (সা.) নিজেই মেহমানদারি করতেন এবং সাহাবায়ে কেরামগণকেও উৎসাহিত করতেন।
২৮ মিনিট আগে
পরকালীন সফলতার জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করা জরুরি। তবে ইবাদতের ক্ষেত্রে ইসলাম আমাদের বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই দ্বীন সহজ-সরল।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসেও বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপর। এমনকি আল্লাহর কাছেও এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা।’ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা’। (সহিহ্ বুখারি: ৫০২)
নামাজ পড়া সত্ত্বেও তিন শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির হুঁশিয়ারি। এই তিন শ্রেণি হলো: ১. যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ২. যারা নামাজে চরম অমনোযোগী। ৩. যারা নামাজে চুরি করে, অর্থাৎ রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।
পবিত্র কোরআনে প্রথম দুই শ্রেণির কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)
অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির নামাজি তথা নামাজ চোরদের সম্পর্কে আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘চোরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে চুরি কীভাবে হয়?’ জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, ‘নামাজে চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ৮৮৫)

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসেও বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপর। এমনকি আল্লাহর কাছেও এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা।’ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা’। (সহিহ্ বুখারি: ৫০২)
নামাজ পড়া সত্ত্বেও তিন শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির হুঁশিয়ারি। এই তিন শ্রেণি হলো: ১. যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ২. যারা নামাজে চরম অমনোযোগী। ৩. যারা নামাজে চুরি করে, অর্থাৎ রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।
পবিত্র কোরআনে প্রথম দুই শ্রেণির কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)
অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির নামাজি তথা নামাজ চোরদের সম্পর্কে আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘চোরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে চুরি কীভাবে হয়?’ জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, ‘নামাজে চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ৮৮৫)

ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দর্শনের ইতিহাসে যেসব মনীষী অবদান রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইবনে রুশদ (১১২৬-১১৯৮ খ্রিষ্টাব্দ) অন্যতম। তিনি ছিলেন একজন মুসলিম দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক, চিকিৎসক ও আইনজ্ঞ।
১৪ মার্চ ২০২৫
ইসলাম আগমনের আগেই নবী (সা.) যেসব গুণের জন্য সবার প্রিয় ছিলেন, তার মধ্যে একটি মেহমানদারি বা অতিথিপরায়ণতা। মেহমানদারি ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত মানবিক দিক। নবী (সা.) নিজেই মেহমানদারি করতেন এবং সাহাবায়ে কেরামগণকেও উৎসাহিত করতেন।
২৮ মিনিট আগে
পরকালীন সফলতার জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করা জরুরি। তবে ইবাদতের ক্ষেত্রে ইসলাম আমাদের বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই দ্বীন সহজ-সরল।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে