কেমন ছিল আগের সেই দিনগুলো
কাউসার লাবীব

কাউসার লাবীব
পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। হাওয়াই জাহাজে চড়ে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাওয়া যায় অল্প সময়ের ব্যবধানে। হজের উদ্দেশে মক্কায় যাওয়া যায় কয়েক ঘণ্টায়। বাংলাদেশে ফজরের নামাজ আদায় করে বিমানে উঠলে পবিত্র কাবায় গিয়ে জোহরের নামাজ আদায় করা সম্ভব। কিন্তু একসময় হজযাত্রা এত সহজ ছিল না। শারীরিকভাবে শক্তিশালী ও প্রবল মনোবলের অধিকারী মুসলমানরা এ সফরের সাহস করতে পারতেন।
হেঁটে হজযাত্রার পথ ছিল আশঙ্কায় ভরা
আগেকার যুগে হজ মানে ছিল দীর্ঘ, কষ্টকর ও সময়সাপেক্ষ এক সফর। জাহাজে চড়ে কিংবা হেঁটে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে যেতে হতো প্রাণের শহর মক্কায়। তখনকার মুসলমানদের জন্য হজ শুধু ফরজ আদায়ের মাধ্যম ছিল না, ছিল এক কঠিন আত্মোৎসর্গ ও আল্লাহর প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রকাশের সফর। যে সফরে ছিল অচেনা পথের নানা আশঙ্কা—কখন যেন ডাকাত আক্রমণ করে, লুটেরাদের হামলায় সব হারাতে হয়! তবে এ সফরে মুসলমানদের হৃদয়ে থাকত বায়তুল্লাহর প্রতি ভিন্ন এক ব্যাকুলতা। কাবা প্রাঙ্গণে গিয়ে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনি তোলার প্রবল উদ্দীপনায় তাঁরা কণ্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিতেন সব বাধা ডিঙিয়ে। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর লোক দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে যখন মদিনায় গিয়ে নবী করিম (সা.)-এর রওজার সামনে দাঁড়িয়ে বলতেন ‘আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ’, তখন সফরের কষ্ট মুছে যেত হৃদয় থেকে। মক্কায় এসে আবে জমজম পানের সঙ্গে সঙ্গে হৃদয়ে বয়ে যেত অন্য রকম এক আবেগ। হাজিরা ভুলে যেতেন পথের সব ক্লান্তি। কাবার দিকে তাকিয়ে ঢেলে দিতেন হৃদয়ের সঞ্চিত সব আবেগ। হাজরে আসওয়াদে চুমু এঁকে ধুয়েমুছে সাফ করে নিতেন জীবনের সব পঙ্কিলতা।
এই দীর্ঘ যাত্রায় শুধু শারীরিক কষ্ট ছিল না, ছিল এক আধ্যাত্মিক সফর। পথের কষ্ট, ইবাদতের প্রস্তুতি, কাফেলার সঙ্গে সংহতি—সব মিলিয়ে তা এক জীবন্ত ইবাদত হয়ে উঠত। অনেকে সফর শেষ করতে পারতেন না, পথে মৃত্যুবরণ করতেন। অচেনা ভূমিতে চিরনিদ্রায় শায়িত হতেন বায়তুল্লাহর মুসাফির। সফরসঙ্গীর বিয়োগে কাফেলার অন্যদের হৃদয়ে শোক পরিণত হতো শক্তিতে। তাঁদের নিয়ত থাকত অটুট—আল্লাহর ঘরে পৌঁছাবেন কিংবা পথেই শেষ হবে জীবনের সফর।
হেঁটে হজযাত্রা যেভাবে শুরু হতো
তখনকার সময়ে হজযাত্রার প্রস্তুতি নিতে হতো এক-দেড় বছর আগে থেকে। সফরের প্রয়োজনীয় সামানা, বাহন ও অর্থ সংগ্রহ শেষে কাফেলা তৈরি হতো; নির্ধারিত হতো যাত্রার সময়। এ সফর থেকে না-ও ফেরা হতে পারে; তাই যাওয়ার আগে আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতেন, পাওনা পরিশোধ করে দায়মুক্ত হতেন হজযাত্রীরা। এরপর কাফেলা ছুটত কাবার পথে। হেঁটে কিংবা উট, ঘোড়া, গাধা, খচ্চরের পিঠে চড়ে—দিনের পর দিন, মাসের পর মাস চলত বিশ্বের নানা প্রান্তের মুসলমানদের হজের কাফেলা। কেউ ভারতীয় উপমহাদেশ, কেউ আফ্রিকা, কেউবা মধ্য এশিয়া থেকে যাত্রা করতেন—পথে থাকত মরুভূমির উত্তাপ, খাবার ও পানির সংকট, ডাকাতের ভয় ও অসুস্থতার ঝুঁকি। বিখ্যাত মুসলিম পর্যটক ইবনে বতুতার ভ্রমণকাহিনিতে পাওয়া যায়, তিনি মরক্কো থেকে ১৬ মাস সফর করে হজ আদায় করতে মক্কায় গিয়েছিলেন।
হজযাত্রীরা হেঁটে হজে যেতেন যেসব পথে
হেঁটে বা উট, ঘোড়া ও গাধার পিঠে চড়ে যেসব পথে মুসলমানরা হজে যেতেন; এর মধ্যে অন্যতম ছিল জুবাইদাহ, ইরাকি, শামি, মিসরীয়, ইয়েমেনি ও ওমানি পথ। প্রাচীন এসব পথ শুধু ধর্মীয় নয়, ছিল বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক ও জ্ঞান বিনিময়ের এক বিরল প্ল্যাটফর্ম। এই পথে গড়ে উঠেছিল সভ্যতা, সংস্কৃতির আদান-প্রদান ও নগরগুলোর পারস্পরিক সংযোগ। ঐতিহাসিক ইসলামি শহরগুলো এসব পথের মাধ্যমে জেগে উঠেছিল গতিময়তায়। হাজিদের সুবিধার জন্য মুসলিম শাসকেরা এ পথগুলোতে যাত্রাচৌকি নির্মাণ করেছিলেন। হজযাত্রী এবং তাঁদের পশুর জন্য যাত্রাচৌকির পাশে থাকত কূপ, হাউস ও জলাধার। কোথাও কোথাও খাবারের সুব্যবস্থাও থাকত।

বাংলা অঞ্চল থেকে হেঁটে হজযাত্রা
বাংলা থেকে হেঁটে হজে গিয়েছেন বহু পীর-বুজুর্গ ও ধর্মপ্রাণ মুসলমান। তখন কেউ হজে গেলে পুরো এলাকায় রব উঠত। দলে দলে মানুষ কাবার পথের যাত্রীকে দেখতে আসত, দোয়া নিতে আসত। অনেকে বিভিন্ন উপহার নিয়ে আসত। সবার দোয়া ও শুভকামনা নিয়ে কাফেলাবন্দী হয়ে রওনা হতেন হজযাত্রীরা। কোনো কোনো যুগে ভারতের অভ্যন্তরে হজযাত্রীদের নিরাপত্তার কিছুটা অভাব ছিল। কখনো যাত্রাপথে তাঁরা প্রতারক ও চোরদের কবলে পড়তেন। ভারতবর্ষের হজযাত্রীরা সাধারণত বোম্বে গিয়ে একত্র হতেন। ছোট ছোট কাফেলা মিলে বড় কাফেলায় পরিণত হতো। এরপর আফগান, ইরান ও ইরাক হয়ে মক্কায় পৌঁছাতেন তাঁরা।
বাঙালি সমাজে হাজিদের নিয়ে উচ্ছ্বাস
পথে ডাকাতের তাড়া, ভিন্নমতাবলম্বীদের আক্রমণ, মহামারির ছোবল, ঝড়ঝঞ্ঝাসহ শতবাধা অতিক্রম করে যাঁরা হজ আদায় করে দেশে ফিরতে পারতেন, আমৃত্যু তাঁদের মর্যাদার চোখে দেখা হতো। হাজিদের অভ্যর্থনায় ভেঙে পড়ত পুরো গ্রাম। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসত হাজি সাহেবকে দেখার জন্য। হাজি সাহেবের আনা আবে জমজম, সুরমা, আতর আর জয়তুন যারা ভাগে পেত; নিজেকে ধন্য মনে করত। কোনো কোনো এলাকায় হাজি সাহেবের সম্মানে বদলে যেত গ্রাম, পাড়া-মহল্লা আর বাড়ির নাম। নতুন নাম হতো—হাজিপুর, হাজিগাঁও, হাজিপাড়া কিংবা হাজিবাড়ি। হাজিবাড়ির সঙ্গে আত্মীয়তা করতে পারা গর্বের বলে মনে করা হতো। এসব সম্মানের ফলে স্বপ্ন ছুঁয়ে ফেরা হাজিদের শরীরে রাজ্যের ক্লান্তি থাকলেও মন ভরে উঠত তৃপ্তিতে। হৃদয়ে ভাসত বায়তুল্লাহর কালো গিলাফ।

কাউসার লাবীব
পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। হাওয়াই জাহাজে চড়ে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাওয়া যায় অল্প সময়ের ব্যবধানে। হজের উদ্দেশে মক্কায় যাওয়া যায় কয়েক ঘণ্টায়। বাংলাদেশে ফজরের নামাজ আদায় করে বিমানে উঠলে পবিত্র কাবায় গিয়ে জোহরের নামাজ আদায় করা সম্ভব। কিন্তু একসময় হজযাত্রা এত সহজ ছিল না। শারীরিকভাবে শক্তিশালী ও প্রবল মনোবলের অধিকারী মুসলমানরা এ সফরের সাহস করতে পারতেন।
হেঁটে হজযাত্রার পথ ছিল আশঙ্কায় ভরা
আগেকার যুগে হজ মানে ছিল দীর্ঘ, কষ্টকর ও সময়সাপেক্ষ এক সফর। জাহাজে চড়ে কিংবা হেঁটে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে যেতে হতো প্রাণের শহর মক্কায়। তখনকার মুসলমানদের জন্য হজ শুধু ফরজ আদায়ের মাধ্যম ছিল না, ছিল এক কঠিন আত্মোৎসর্গ ও আল্লাহর প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রকাশের সফর। যে সফরে ছিল অচেনা পথের নানা আশঙ্কা—কখন যেন ডাকাত আক্রমণ করে, লুটেরাদের হামলায় সব হারাতে হয়! তবে এ সফরে মুসলমানদের হৃদয়ে থাকত বায়তুল্লাহর প্রতি ভিন্ন এক ব্যাকুলতা। কাবা প্রাঙ্গণে গিয়ে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনি তোলার প্রবল উদ্দীপনায় তাঁরা কণ্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিতেন সব বাধা ডিঙিয়ে। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর লোক দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে যখন মদিনায় গিয়ে নবী করিম (সা.)-এর রওজার সামনে দাঁড়িয়ে বলতেন ‘আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ’, তখন সফরের কষ্ট মুছে যেত হৃদয় থেকে। মক্কায় এসে আবে জমজম পানের সঙ্গে সঙ্গে হৃদয়ে বয়ে যেত অন্য রকম এক আবেগ। হাজিরা ভুলে যেতেন পথের সব ক্লান্তি। কাবার দিকে তাকিয়ে ঢেলে দিতেন হৃদয়ের সঞ্চিত সব আবেগ। হাজরে আসওয়াদে চুমু এঁকে ধুয়েমুছে সাফ করে নিতেন জীবনের সব পঙ্কিলতা।
এই দীর্ঘ যাত্রায় শুধু শারীরিক কষ্ট ছিল না, ছিল এক আধ্যাত্মিক সফর। পথের কষ্ট, ইবাদতের প্রস্তুতি, কাফেলার সঙ্গে সংহতি—সব মিলিয়ে তা এক জীবন্ত ইবাদত হয়ে উঠত। অনেকে সফর শেষ করতে পারতেন না, পথে মৃত্যুবরণ করতেন। অচেনা ভূমিতে চিরনিদ্রায় শায়িত হতেন বায়তুল্লাহর মুসাফির। সফরসঙ্গীর বিয়োগে কাফেলার অন্যদের হৃদয়ে শোক পরিণত হতো শক্তিতে। তাঁদের নিয়ত থাকত অটুট—আল্লাহর ঘরে পৌঁছাবেন কিংবা পথেই শেষ হবে জীবনের সফর।
হেঁটে হজযাত্রা যেভাবে শুরু হতো
তখনকার সময়ে হজযাত্রার প্রস্তুতি নিতে হতো এক-দেড় বছর আগে থেকে। সফরের প্রয়োজনীয় সামানা, বাহন ও অর্থ সংগ্রহ শেষে কাফেলা তৈরি হতো; নির্ধারিত হতো যাত্রার সময়। এ সফর থেকে না-ও ফেরা হতে পারে; তাই যাওয়ার আগে আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতেন, পাওনা পরিশোধ করে দায়মুক্ত হতেন হজযাত্রীরা। এরপর কাফেলা ছুটত কাবার পথে। হেঁটে কিংবা উট, ঘোড়া, গাধা, খচ্চরের পিঠে চড়ে—দিনের পর দিন, মাসের পর মাস চলত বিশ্বের নানা প্রান্তের মুসলমানদের হজের কাফেলা। কেউ ভারতীয় উপমহাদেশ, কেউ আফ্রিকা, কেউবা মধ্য এশিয়া থেকে যাত্রা করতেন—পথে থাকত মরুভূমির উত্তাপ, খাবার ও পানির সংকট, ডাকাতের ভয় ও অসুস্থতার ঝুঁকি। বিখ্যাত মুসলিম পর্যটক ইবনে বতুতার ভ্রমণকাহিনিতে পাওয়া যায়, তিনি মরক্কো থেকে ১৬ মাস সফর করে হজ আদায় করতে মক্কায় গিয়েছিলেন।
হজযাত্রীরা হেঁটে হজে যেতেন যেসব পথে
হেঁটে বা উট, ঘোড়া ও গাধার পিঠে চড়ে যেসব পথে মুসলমানরা হজে যেতেন; এর মধ্যে অন্যতম ছিল জুবাইদাহ, ইরাকি, শামি, মিসরীয়, ইয়েমেনি ও ওমানি পথ। প্রাচীন এসব পথ শুধু ধর্মীয় নয়, ছিল বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক ও জ্ঞান বিনিময়ের এক বিরল প্ল্যাটফর্ম। এই পথে গড়ে উঠেছিল সভ্যতা, সংস্কৃতির আদান-প্রদান ও নগরগুলোর পারস্পরিক সংযোগ। ঐতিহাসিক ইসলামি শহরগুলো এসব পথের মাধ্যমে জেগে উঠেছিল গতিময়তায়। হাজিদের সুবিধার জন্য মুসলিম শাসকেরা এ পথগুলোতে যাত্রাচৌকি নির্মাণ করেছিলেন। হজযাত্রী এবং তাঁদের পশুর জন্য যাত্রাচৌকির পাশে থাকত কূপ, হাউস ও জলাধার। কোথাও কোথাও খাবারের সুব্যবস্থাও থাকত।

বাংলা অঞ্চল থেকে হেঁটে হজযাত্রা
বাংলা থেকে হেঁটে হজে গিয়েছেন বহু পীর-বুজুর্গ ও ধর্মপ্রাণ মুসলমান। তখন কেউ হজে গেলে পুরো এলাকায় রব উঠত। দলে দলে মানুষ কাবার পথের যাত্রীকে দেখতে আসত, দোয়া নিতে আসত। অনেকে বিভিন্ন উপহার নিয়ে আসত। সবার দোয়া ও শুভকামনা নিয়ে কাফেলাবন্দী হয়ে রওনা হতেন হজযাত্রীরা। কোনো কোনো যুগে ভারতের অভ্যন্তরে হজযাত্রীদের নিরাপত্তার কিছুটা অভাব ছিল। কখনো যাত্রাপথে তাঁরা প্রতারক ও চোরদের কবলে পড়তেন। ভারতবর্ষের হজযাত্রীরা সাধারণত বোম্বে গিয়ে একত্র হতেন। ছোট ছোট কাফেলা মিলে বড় কাফেলায় পরিণত হতো। এরপর আফগান, ইরান ও ইরাক হয়ে মক্কায় পৌঁছাতেন তাঁরা।
বাঙালি সমাজে হাজিদের নিয়ে উচ্ছ্বাস
পথে ডাকাতের তাড়া, ভিন্নমতাবলম্বীদের আক্রমণ, মহামারির ছোবল, ঝড়ঝঞ্ঝাসহ শতবাধা অতিক্রম করে যাঁরা হজ আদায় করে দেশে ফিরতে পারতেন, আমৃত্যু তাঁদের মর্যাদার চোখে দেখা হতো। হাজিদের অভ্যর্থনায় ভেঙে পড়ত পুরো গ্রাম। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসত হাজি সাহেবকে দেখার জন্য। হাজি সাহেবের আনা আবে জমজম, সুরমা, আতর আর জয়তুন যারা ভাগে পেত; নিজেকে ধন্য মনে করত। কোনো কোনো এলাকায় হাজি সাহেবের সম্মানে বদলে যেত গ্রাম, পাড়া-মহল্লা আর বাড়ির নাম। নতুন নাম হতো—হাজিপুর, হাজিগাঁও, হাজিপাড়া কিংবা হাজিবাড়ি। হাজিবাড়ির সঙ্গে আত্মীয়তা করতে পারা গর্বের বলে মনে করা হতো। এসব সম্মানের ফলে স্বপ্ন ছুঁয়ে ফেরা হাজিদের শরীরে রাজ্যের ক্লান্তি থাকলেও মন ভরে উঠত তৃপ্তিতে। হৃদয়ে ভাসত বায়তুল্লাহর কালো গিলাফ।

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
২ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। হাওয়াই জাহাজে চড়ে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাওয়া যায় অল্প সময়ের ব্যবধানে। হজের উদ্দেশে মক্কায় যাওয়া যায় কয়েক ঘণ্টায়। বাংলাদেশে ফজরের নামাজ আদায় করে বিমানে উঠলে পবিত্র কাবায় গিয়ে জোহরের নামাজ আদায় করা সম্ভব।
১৬ মে ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
২ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। হাওয়াই জাহাজে চড়ে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাওয়া যায় অল্প সময়ের ব্যবধানে। হজের উদ্দেশে মক্কায় যাওয়া যায় কয়েক ঘণ্টায়। বাংলাদেশে ফজরের নামাজ আদায় করে বিমানে উঠলে পবিত্র কাবায় গিয়ে জোহরের নামাজ আদায় করা সম্ভব।
১৬ মে ২০২৫
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১৭ ঘণ্টা আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
২ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—
চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।
হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)
নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—
চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।
হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)
নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। হাওয়াই জাহাজে চড়ে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাওয়া যায় অল্প সময়ের ব্যবধানে। হজের উদ্দেশে মক্কায় যাওয়া যায় কয়েক ঘণ্টায়। বাংলাদেশে ফজরের নামাজ আদায় করে বিমানে উঠলে পবিত্র কাবায় গিয়ে জোহরের নামাজ আদায় করা সম্ভব।
১৬ মে ২০২৫
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। হাওয়াই জাহাজে চড়ে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাওয়া যায় অল্প সময়ের ব্যবধানে। হজের উদ্দেশে মক্কায় যাওয়া যায় কয়েক ঘণ্টায়। বাংলাদেশে ফজরের নামাজ আদায় করে বিমানে উঠলে পবিত্র কাবায় গিয়ে জোহরের নামাজ আদায় করা সম্ভব।
১৬ মে ২০২৫
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
২ দিন আগে