ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

মহানবী (সা.)-এর সময়ে আরবের প্রখ্যাত পৌত্তলিক নেতা ছিলেন আমর ইবনে হিশাম। তাঁর উপাধি ছিল আবুল হাকাম তথা প্রজ্ঞার জনক। তিনি গভীর জ্ঞানের অধিকারী হিসেবে বিবেচিত ছিলেন এবং কোরাইশের প্রবীণ নেতাদের মধ্যে দক্ষতা ও উপলব্ধির জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তবে ইসলামের প্রতি ভীষণ শত্রুতা প্রদর্শন এবং ইসলামের বাণী প্রত্যাখ্যান করায় তিনি আবু জাহল তথা অজ্ঞতার জনক হিসেবে পরিচিতি পান।
ইসলামের সঙ্গে আবু জাহলের শত্রুতা এবং নবী (সা.)-এর প্রতি তাঁর বিদ্বেষ সর্বজনবিদিত। তিনি কোরাইশ বংশের লোক হলেও আবদুল মুত্তালিবের সন্তান না হওয়ায় নবী (সা.)-এর চাচা ছিলেন না। তাঁর বংশধারা হলো, আবু জাহল আমর ইবনে হিশাম ইবনে মুগিরা ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ইবনে মাখজুম। (উমদাতুল কারি: ১৭/৮৪)
ইসলামের আবির্ভাবের পর থেকেই তিনি এর ঘোর বিরোধিতা এবং মুসলমানদের অকথ্য নির্যাতন শুরু করেন। নবী (সা.) তাঁকে এ উম্মতের ফেরাউন উপাধি দিয়েছিলেন। মুসা (আ.)-এর সময়ের মিসরের শাসক ফেরাউন মৃত্যুর সময় আত্মসমর্পণ করে মুসা ও হারুনের রবের প্রতি ইমান আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু একেবারে শেষ সময় হওয়ার কারণে তা গৃহীত হয়নি। তবে আবু জাহল মৃত্যুর সময়ও বলেছিলেন, তাঁকে যেন তাঁর তরবারি দিয়ে হত্যা করা হয় এবং মাথা গলাসহ বড় করে কাটা হয়, যেন দর্শকেরা তাঁকে বড়ই দেখে। তিনি আরও ঘোষণা দিয়েছিলেন, তাঁর মনে মুহাম্মদ (সা.) ও মুসলমানদের প্রতি অতীতের চেয়ে বেশি শত্রুতা ও ঘৃণা রয়েছে। (মুহাম্মদ ইদরিস কান্ধলভি, সিরাতুল মুস্তাফা: ২/১০১-১০২)
মহান আল্লাহ দুজন কিশোরের হাতে ফেরাউনখ্যাত অহংকারী আবু জাহলের পতন ঘটিয়েছেন। আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বর্ণনা করেন, বদরের যুদ্ধে আমি সৈন্য সারিতে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ দেখি, আমার ডানে ও বাঁয়ে আনসারি দুজন কিশোর দাঁড়িয়ে আছে। তাদের মধ্যে দাঁড়িয়ে যখন আমি কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছি; তখনই তাদের একজন আমাকে চুপিচুপি জিজ্ঞেস করল, ‘চাচা, আপনি আবু জাহলকে চেনেন?’ আমি বললাম, ‘ভাতিজা, আমি তাঁকে চিনি। তবে তাঁকে তোমার কী দরকার?’ সে উত্তর দিল, ‘আমি শুনেছি, সে নবী (সা.)-কে অনেক কষ্ট দিয়েছে। আল্লাহর কসম, আমি যদি তাকে দেখতে পাই, আমার ছায়া তাকে অতিক্রম করবে না, যতক্ষণ না আমি তাকে হত্যা করি কিংবা সে আমাকে হত্যা করে।’ তিনি বলেন, ‘আমি তার কথায় অভিভূত হলাম এবং স্বস্তি অনুভব করলাম। অন্যজনও আমাকে তেমনই বলল।’
এমন কে আছে, যে আবু জাহলের খবর নিয়ে আসবে?’ তখন আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) নিহতদের মধ্যে খোঁজ নিলেন এবং আবু জাহলের সন্ধান পেলেন।
দুই কিশোরের কথায় আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) যখন বিস্মিত হচ্ছিলেন; তখনই যুদ্ধের ময়দানে আবু জাহলকে ছুটতে দেখলেন। তিনি কিশোর দুজনকে দেখিয়ে দিয়ে বললেন, ‘তোমরা আমার কাছে যার পরিচয় জানতে চেয়েছ; ওই তো সে যাচ্ছে।’ শোনামাত্রই তারা তরবারি নিয়ে আবু জাহলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে ধরাশায়ী করে দিল। (বুখারি, হাদিস: ২৯৭২)
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) ছিলেন একজন ফকিহ সাহাবি। সবচেয়ে বিনয়ী ছিলেন। নবী (সা.) এক রাতে জিনদের দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। যাওয়ার আগে ঘোষণা করলেন, ‘আজ এমন একজন আমার সঙ্গী হবে, যার হৃদয়ে সামান্য পরিমাণও অহংকার নেই।’ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) দাঁড়িয়ে গেলেন। নবী (সা.) তাঁকে সঙ্গে নিয়ে জিনদের উদ্দেশে বের হলেন। (সিরাতুল মুস্তাফা, ২/১০০) দুজন কিশোরের হাতে আবু জাহল ধরাশায়ী হওয়ার পর শুধু তাঁর শ্বাসপ্রশ্বাসটুকুই বাকি ছিল। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, (যুদ্ধ শেষে) নবী (সা.) বললেন, ‘এমন কে আছে, যে আবু জাহলের খবর নিয়ে আসবে?’ তখন আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) নিহতদের মধ্যে খোঁজ নিলেন এবং আবু জাহলের সন্ধান পেলেন। আফরার দুই ছেলের আঘাতে মৃতপ্রায় অবস্থায় পড়ে আছেন। (বুখারি, হাদিস: ৩৭৪৫) তখন আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) তাঁর বুকের ওপর উঠে বসেন। আবু জাহল চোখ খুলে দেখেন আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ তাঁর বুকের ওপর বসা। এতে আবু জাহল অপমানবোধ করে বলেন, ‘ওহে ছাগল চরানো রাখাল, তুমি অনেক বড় স্থানে চড়ে বসেছ। এত বড় সম্মানিত উচ্চাসনে এর আগে কেউ বসেনি।’ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বললেন, ‘আল্লাহর প্রশংসা, যিনি আমাকে এই সুযোগ দান করেছেন। আজকে কার দিন? আজকে কে বিজয়ী হয়েছে? আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) বিজয়ী হয়েছেন।’ আবু জাহল বলেন, ‘আমাকে আমার তরবারি দিয়ে হত্যা করবে এবং আমার মাথা গলাসহ বড় করে কাটবে, যেন আমাকে দর্শকেরা বড়ই দেখে। আর মুহাম্মদকে বলবে, আজও আমার মনে তোমাদের প্রতি অতীতের চেয়ে বেশি শত্রুতা ও ঘৃণা রয়েছে।’ এরপর আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর হাতেই আবু জাহল নিহত হন। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) নবী (সা.)-কে সবকিছু অবগত করলে নবী (সা.) বললেন, ‘আবু জাহল আমার এবং আমার উম্মতের ফেরাউন; যার অনিষ্ট মুসা (আ.)-এর ফেরাউনের অনিষ্ট থেকে বেশি। মুসা (আ.)-এর ফেরাউন মৃত্যুর সময় নমনীয় হয়ে ইমানের কালিমা পড়েছিল। (জীবনের একেবারে শেষ সময় হওয়ার কারণে যদিও তা গ্রহণযোগ্য হয়নি) কিন্তু এই উম্মতের ফেরাউন মৃত্যুর সময়ও কুফর ও অহংকার ছাড়েনি।’ (সিরাতুল মুস্তাফা, ২/১০১-১০২)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

মহানবী (সা.)-এর সময়ে আরবের প্রখ্যাত পৌত্তলিক নেতা ছিলেন আমর ইবনে হিশাম। তাঁর উপাধি ছিল আবুল হাকাম তথা প্রজ্ঞার জনক। তিনি গভীর জ্ঞানের অধিকারী হিসেবে বিবেচিত ছিলেন এবং কোরাইশের প্রবীণ নেতাদের মধ্যে দক্ষতা ও উপলব্ধির জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তবে ইসলামের প্রতি ভীষণ শত্রুতা প্রদর্শন এবং ইসলামের বাণী প্রত্যাখ্যান করায় তিনি আবু জাহল তথা অজ্ঞতার জনক হিসেবে পরিচিতি পান।
ইসলামের সঙ্গে আবু জাহলের শত্রুতা এবং নবী (সা.)-এর প্রতি তাঁর বিদ্বেষ সর্বজনবিদিত। তিনি কোরাইশ বংশের লোক হলেও আবদুল মুত্তালিবের সন্তান না হওয়ায় নবী (সা.)-এর চাচা ছিলেন না। তাঁর বংশধারা হলো, আবু জাহল আমর ইবনে হিশাম ইবনে মুগিরা ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ইবনে মাখজুম। (উমদাতুল কারি: ১৭/৮৪)
ইসলামের আবির্ভাবের পর থেকেই তিনি এর ঘোর বিরোধিতা এবং মুসলমানদের অকথ্য নির্যাতন শুরু করেন। নবী (সা.) তাঁকে এ উম্মতের ফেরাউন উপাধি দিয়েছিলেন। মুসা (আ.)-এর সময়ের মিসরের শাসক ফেরাউন মৃত্যুর সময় আত্মসমর্পণ করে মুসা ও হারুনের রবের প্রতি ইমান আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু একেবারে শেষ সময় হওয়ার কারণে তা গৃহীত হয়নি। তবে আবু জাহল মৃত্যুর সময়ও বলেছিলেন, তাঁকে যেন তাঁর তরবারি দিয়ে হত্যা করা হয় এবং মাথা গলাসহ বড় করে কাটা হয়, যেন দর্শকেরা তাঁকে বড়ই দেখে। তিনি আরও ঘোষণা দিয়েছিলেন, তাঁর মনে মুহাম্মদ (সা.) ও মুসলমানদের প্রতি অতীতের চেয়ে বেশি শত্রুতা ও ঘৃণা রয়েছে। (মুহাম্মদ ইদরিস কান্ধলভি, সিরাতুল মুস্তাফা: ২/১০১-১০২)
মহান আল্লাহ দুজন কিশোরের হাতে ফেরাউনখ্যাত অহংকারী আবু জাহলের পতন ঘটিয়েছেন। আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বর্ণনা করেন, বদরের যুদ্ধে আমি সৈন্য সারিতে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ দেখি, আমার ডানে ও বাঁয়ে আনসারি দুজন কিশোর দাঁড়িয়ে আছে। তাদের মধ্যে দাঁড়িয়ে যখন আমি কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছি; তখনই তাদের একজন আমাকে চুপিচুপি জিজ্ঞেস করল, ‘চাচা, আপনি আবু জাহলকে চেনেন?’ আমি বললাম, ‘ভাতিজা, আমি তাঁকে চিনি। তবে তাঁকে তোমার কী দরকার?’ সে উত্তর দিল, ‘আমি শুনেছি, সে নবী (সা.)-কে অনেক কষ্ট দিয়েছে। আল্লাহর কসম, আমি যদি তাকে দেখতে পাই, আমার ছায়া তাকে অতিক্রম করবে না, যতক্ষণ না আমি তাকে হত্যা করি কিংবা সে আমাকে হত্যা করে।’ তিনি বলেন, ‘আমি তার কথায় অভিভূত হলাম এবং স্বস্তি অনুভব করলাম। অন্যজনও আমাকে তেমনই বলল।’
এমন কে আছে, যে আবু জাহলের খবর নিয়ে আসবে?’ তখন আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) নিহতদের মধ্যে খোঁজ নিলেন এবং আবু জাহলের সন্ধান পেলেন।
দুই কিশোরের কথায় আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) যখন বিস্মিত হচ্ছিলেন; তখনই যুদ্ধের ময়দানে আবু জাহলকে ছুটতে দেখলেন। তিনি কিশোর দুজনকে দেখিয়ে দিয়ে বললেন, ‘তোমরা আমার কাছে যার পরিচয় জানতে চেয়েছ; ওই তো সে যাচ্ছে।’ শোনামাত্রই তারা তরবারি নিয়ে আবু জাহলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে ধরাশায়ী করে দিল। (বুখারি, হাদিস: ২৯৭২)
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) ছিলেন একজন ফকিহ সাহাবি। সবচেয়ে বিনয়ী ছিলেন। নবী (সা.) এক রাতে জিনদের দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। যাওয়ার আগে ঘোষণা করলেন, ‘আজ এমন একজন আমার সঙ্গী হবে, যার হৃদয়ে সামান্য পরিমাণও অহংকার নেই।’ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) দাঁড়িয়ে গেলেন। নবী (সা.) তাঁকে সঙ্গে নিয়ে জিনদের উদ্দেশে বের হলেন। (সিরাতুল মুস্তাফা, ২/১০০) দুজন কিশোরের হাতে আবু জাহল ধরাশায়ী হওয়ার পর শুধু তাঁর শ্বাসপ্রশ্বাসটুকুই বাকি ছিল। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, (যুদ্ধ শেষে) নবী (সা.) বললেন, ‘এমন কে আছে, যে আবু জাহলের খবর নিয়ে আসবে?’ তখন আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) নিহতদের মধ্যে খোঁজ নিলেন এবং আবু জাহলের সন্ধান পেলেন। আফরার দুই ছেলের আঘাতে মৃতপ্রায় অবস্থায় পড়ে আছেন। (বুখারি, হাদিস: ৩৭৪৫) তখন আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) তাঁর বুকের ওপর উঠে বসেন। আবু জাহল চোখ খুলে দেখেন আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ তাঁর বুকের ওপর বসা। এতে আবু জাহল অপমানবোধ করে বলেন, ‘ওহে ছাগল চরানো রাখাল, তুমি অনেক বড় স্থানে চড়ে বসেছ। এত বড় সম্মানিত উচ্চাসনে এর আগে কেউ বসেনি।’ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বললেন, ‘আল্লাহর প্রশংসা, যিনি আমাকে এই সুযোগ দান করেছেন। আজকে কার দিন? আজকে কে বিজয়ী হয়েছে? আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) বিজয়ী হয়েছেন।’ আবু জাহল বলেন, ‘আমাকে আমার তরবারি দিয়ে হত্যা করবে এবং আমার মাথা গলাসহ বড় করে কাটবে, যেন আমাকে দর্শকেরা বড়ই দেখে। আর মুহাম্মদকে বলবে, আজও আমার মনে তোমাদের প্রতি অতীতের চেয়ে বেশি শত্রুতা ও ঘৃণা রয়েছে।’ এরপর আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর হাতেই আবু জাহল নিহত হন। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) নবী (সা.)-কে সবকিছু অবগত করলে নবী (সা.) বললেন, ‘আবু জাহল আমার এবং আমার উম্মতের ফেরাউন; যার অনিষ্ট মুসা (আ.)-এর ফেরাউনের অনিষ্ট থেকে বেশি। মুসা (আ.)-এর ফেরাউন মৃত্যুর সময় নমনীয় হয়ে ইমানের কালিমা পড়েছিল। (জীবনের একেবারে শেষ সময় হওয়ার কারণে যদিও তা গ্রহণযোগ্য হয়নি) কিন্তু এই উম্মতের ফেরাউন মৃত্যুর সময়ও কুফর ও অহংকার ছাড়েনি।’ (সিরাতুল মুস্তাফা, ২/১০১-১০২)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

মহানবী (সা.)-এর সময়ে আরবের প্রখ্যাত পৌত্তলিক নেতা ছিলেন আমর ইবনে হিশাম। তাঁর উপাধি ছিল আবুল হাকাম তথা প্রজ্ঞার জনক। তিনি গভীর জ্ঞানের অধিকারী হিসেবে বিবেচিত ছিলেন এবং কোরাইশের প্রবীণ নেতাদের মধ্যে দক্ষতা ও উপলব্ধির জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তবে ইসলামের প্রতি ভীষণ শত্রুতা প্রদর্শন এবং ইসলামের বাণী প্রত্যাখ
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মহানবী (সা.)-এর সময়ে আরবের প্রখ্যাত পৌত্তলিক নেতা ছিলেন আমর ইবনে হিশাম। তাঁর উপাধি ছিল আবুল হাকাম তথা প্রজ্ঞার জনক। তিনি গভীর জ্ঞানের অধিকারী হিসেবে বিবেচিত ছিলেন এবং কোরাইশের প্রবীণ নেতাদের মধ্যে দক্ষতা ও উপলব্ধির জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তবে ইসলামের প্রতি ভীষণ শত্রুতা প্রদর্শন এবং ইসলামের বাণী প্রত্যাখ
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
৪ ঘণ্টা আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—
চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।
হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)
নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—
চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।
হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)
নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

মহানবী (সা.)-এর সময়ে আরবের প্রখ্যাত পৌত্তলিক নেতা ছিলেন আমর ইবনে হিশাম। তাঁর উপাধি ছিল আবুল হাকাম তথা প্রজ্ঞার জনক। তিনি গভীর জ্ঞানের অধিকারী হিসেবে বিবেচিত ছিলেন এবং কোরাইশের প্রবীণ নেতাদের মধ্যে দক্ষতা ও উপলব্ধির জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তবে ইসলামের প্রতি ভীষণ শত্রুতা প্রদর্শন এবং ইসলামের বাণী প্রত্যাখ
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মহানবী (সা.)-এর সময়ে আরবের প্রখ্যাত পৌত্তলিক নেতা ছিলেন আমর ইবনে হিশাম। তাঁর উপাধি ছিল আবুল হাকাম তথা প্রজ্ঞার জনক। তিনি গভীর জ্ঞানের অধিকারী হিসেবে বিবেচিত ছিলেন এবং কোরাইশের প্রবীণ নেতাদের মধ্যে দক্ষতা ও উপলব্ধির জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তবে ইসলামের প্রতি ভীষণ শত্রুতা প্রদর্শন এবং ইসলামের বাণী প্রত্যাখ
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১ দিন আগে