আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি কানাডার রপ্তানি পণ্যের ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্ক বাড়াচ্ছেন। এই শুল্ক এর আগে আরোপিত শুল্কের সঙ্গে যুক্ত হবে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘ওরা এখন যা দিচ্ছে, তার ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ট্রাম্পের শুল্কের সমালোচনা করে কানাডার অন্টারিও প্রদেশ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের কণ্ঠ ব্যবহার করে একটি বিজ্ঞাপন বানায়। যেখানে রিগ্যান যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। মূলত, এই বিজ্ঞাপনের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প এই বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ওই বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে কানাডার সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনাও স্থগিত করেন। তার দাবি, বিজ্ঞাপনটি ‘ভ্রান্ত ও বিভ্রান্তিকর।’ ট্রাম্প নিজ মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে নতুন শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। সেই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন বিজ্ঞাপনটির কথা। ভিডিওটিতে রিগ্যানকে বলতে শোনা যায়, শুল্ক আরোপ বাণিজ্য যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ।
অন্টারিও প্রিমিয়ার (মুখ্যমন্ত্রীর সমতুল্য) ডগ ফোর্ড শুক্রবার জানান, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়েছে সোমবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচারিত বিজ্ঞাপনটি স্থগিত করা হবে, যাতে বাণিজ্য আলোচনাগুলো আবার শুরু করা যায়।
ট্রাম্প লেখেন, ‘তাদের বিজ্ঞাপনটি সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ওরা তা প্রচার করেছে গতরাতে ওয়ার্ল্ড সিরিজ চলাকালীন—জেনেও যে এটা সম্পূর্ণ প্রতারণা।’ তিনি আরও লেখেন, ‘তাদের তথ্য বিকৃতি ও বৈরী আচরণের কারণে, কানাডার ওপর আরোপিত শুল্ক আরও ১০ শতাংশ বাড়াচ্ছি।’
এদিকে, ট্রাম্প ঘোষিত নতুন শুল্ক কোন কোন পণ্যের ওপর প্রভাব ফেলবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। কানাডার অধিকাংশ রপ্তানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তির আওতায় থাকায় সেগুলো শুল্কমুক্ত। তবে ট্রাম্প প্রশাসন গত আগস্টে এই চুক্তির বাইরে থাকা কানাডীয় পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। তার ওপর চলতি বছর ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছেন, যা কানাডার অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
শুক্রবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি জানান, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পুনরায় বাণিজ্য আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। ট্রাম্প ও কার্নি দুজনই মালয়েশিয়ায় আয়োজিত আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দেবেন। তবে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা রাখেননি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি কানাডার রপ্তানি পণ্যের ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্ক বাড়াচ্ছেন। এই শুল্ক এর আগে আরোপিত শুল্কের সঙ্গে যুক্ত হবে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘ওরা এখন যা দিচ্ছে, তার ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ট্রাম্পের শুল্কের সমালোচনা করে কানাডার অন্টারিও প্রদেশ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের কণ্ঠ ব্যবহার করে একটি বিজ্ঞাপন বানায়। যেখানে রিগ্যান যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। মূলত, এই বিজ্ঞাপনের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প এই বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ওই বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে কানাডার সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনাও স্থগিত করেন। তার দাবি, বিজ্ঞাপনটি ‘ভ্রান্ত ও বিভ্রান্তিকর।’ ট্রাম্প নিজ মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে নতুন শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। সেই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন বিজ্ঞাপনটির কথা। ভিডিওটিতে রিগ্যানকে বলতে শোনা যায়, শুল্ক আরোপ বাণিজ্য যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ।
অন্টারিও প্রিমিয়ার (মুখ্যমন্ত্রীর সমতুল্য) ডগ ফোর্ড শুক্রবার জানান, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়েছে সোমবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচারিত বিজ্ঞাপনটি স্থগিত করা হবে, যাতে বাণিজ্য আলোচনাগুলো আবার শুরু করা যায়।
ট্রাম্প লেখেন, ‘তাদের বিজ্ঞাপনটি সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ওরা তা প্রচার করেছে গতরাতে ওয়ার্ল্ড সিরিজ চলাকালীন—জেনেও যে এটা সম্পূর্ণ প্রতারণা।’ তিনি আরও লেখেন, ‘তাদের তথ্য বিকৃতি ও বৈরী আচরণের কারণে, কানাডার ওপর আরোপিত শুল্ক আরও ১০ শতাংশ বাড়াচ্ছি।’
এদিকে, ট্রাম্প ঘোষিত নতুন শুল্ক কোন কোন পণ্যের ওপর প্রভাব ফেলবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। কানাডার অধিকাংশ রপ্তানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তির আওতায় থাকায় সেগুলো শুল্কমুক্ত। তবে ট্রাম্প প্রশাসন গত আগস্টে এই চুক্তির বাইরে থাকা কানাডীয় পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। তার ওপর চলতি বছর ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছেন, যা কানাডার অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
শুক্রবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি জানান, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পুনরায় বাণিজ্য আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। ট্রাম্প ও কার্নি দুজনই মালয়েশিয়ায় আয়োজিত আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দেবেন। তবে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা রাখেননি।

জাতিসংঘের এইডসবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডস বলছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফিজি ও ফিলিপাইনের পাশাপাশি পাপুয়া নিউগিনিতেও এইচআইভি সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।
১৬ মিনিট আগে
বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বেলটা জানিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর লুকাশেঙ্কো সেই রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেন, মাদুরো বেলারুশে সব সময় স্বাগত এবং এখন তাঁর সফরের উপযুক্ত সময়।
৩ ঘণ্টা আগে
বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ করা বা কোম্পানিগুলো থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভাষ্যকার ও জরিপকারী মার্ক মিশেল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি আরও জানান, এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে একটি নতুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়তে চান তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
১৪ বছরের কম বয়সী স্কুলছাত্রীদের জন্য হিজাব বা বোরকার মতো মাথা ঢেকে পরে এমন পোশাক নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রিয়া। এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি ও বেসরকারি দুই ধরনের স্কুলের ছাত্রীদের জন্যই প্রযোজ্য হবে। এ-সংক্রান্ত একটি আইন পাস করেছে দেশটি।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘ কয়েক বছর অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করার পর ১৯৯৯ সালে ন্যান্সি কারিপার শরীরে এইচআইভি ধরা পড়ে। তখন তিনি সবেমাত্র তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
এ মাসে পাপুয়া নিউগিনির রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে এক এইডস সচেতনতা অনুষ্ঠানে ৫০-এর কোঠার কারিপা বলেন, ‘সেটি ছিল আমার জীবনের এক সন্ধিক্ষণ। মনের ভেতর লোকলজ্জা আর অস্বীকার করার ভয় থাকলেও চিকিৎসার পথ বেছে নিয়েছিলাম আমি।’
কারিপা ও তাঁর সন্তান দুজনেই সঠিক চিকিৎসা পান। সন্তানটি এখন পুরোপুরি সুস্থ।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর পাপুয়া নিউগিনির ইস্ট সেপিক অঞ্চলের বাসিন্দা কারিপা নিজের অভিজ্ঞতা এভাবেই সবার সামনে তুলে ধরেন, যা দেশটিতে খুব একটা দেখা যায় না। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটিতে এই রোগ নিয়ে সামাজিক কুসংস্কার ও লোকলজ্জা অত্যন্ত প্রকট। তবে এখন এ বিষয়ে মুখ খোলা আগের চেয়ে অনেক বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। চলতি বছর পাপুয়া নিউগিনি এইচআইভিকে ‘জাতীয় সংকট’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
জাতিসংঘের এইডসবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডস বলছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফিজি ও ফিলিপাইনের পাশাপাশি পাপুয়া নিউগিনিতেও এইচআইভি সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।
দেশটিতে ২০১০ সালের পর নতুন সংক্রমণের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে এবং ধারণা করা হয়, যাদের শরীরে ভাইরাস রয়েছে তাদের মাত্র ৫৯ শতাংশ জানেন, তারা এইচআইভি পজিটিভ। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের বৃদ্ধিকে উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে ইউএনএইডস।
পাপুয়া নিউগিনিতে ইউএনএইডসের কান্ট্রি ডিরেক্টর মানোয়েলা মানোভা বলেন, মা থেকে সন্তানের মধ্যে (এইচআইভি) সংক্রমণের হার পাপুয়া নিউগিনিতে অত্যন্ত বেশি।
এইচআইভি প্রতিরোধ ও সহায়তা খাতে অর্থায়নে পরিবর্তন আসায় দেশটি আরও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে।
চলতি বছর ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত করার সিদ্ধান্তে শত শত ক্লিনিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে ইউএনএইডসের তহবিলে বড় ধরনের ঘাটতি স্বাস্থ্যসেবাদাতাদের দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। ফলে পাপুয়া নিউগিনি সরকারকে এই খাতে আরও বেশি ভূমিকা রাখার দাবি জোরালো হচ্ছে।
মানোভা জানান, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা কমে গেছে এবং বর্তমানে এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যে, ‘মানুষ মনে করছে এই মহামারির আর কোনো অস্তিত্ব নেই।’
তাঁর মতে, জনসাধারণ এবং রাজনৈতিক মহলে—উভয় ক্ষেত্রেই এখন এমন ধারণা তৈরি হয়েছে।
প্রায় এক কোটি মানুষের দেশ পাপুয়া নিউগিনিতে অপর্যাপ্ত পরীক্ষা ও সচেতনতার অভাবে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
ইউএনএইডসের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে দেশটিতে আনুমানিক ১১ হাজার নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ে, যার অর্ধেকই শিশু এবং ২৫ বছরের কম বয়সী তরুণ।
২০২৪ সালে পাপুয়া নিউগিনিতে প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিশু এইচআইভি আক্রান্ত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মায়েরা নিজেরা আক্রান্ত কি না—তা জানতেন না। ফলে তাঁরা প্রয়োজনীয় ‘অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি)’ গ্রহণ করতে পারেননি, যা শিশুর শরীরে সংক্রমণ ঠেকাতে পারত।
মানোভা বলেন, অনেকেই তাঁদের শারীরিক অবস্থা জানেন না। অথচ এই মহামারি মোকাবিলায় প্রথম পদক্ষেপ হলো পরীক্ষা করা এবং চিকিৎসার আওতায় আসা।

দীর্ঘ কয়েক বছর অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করার পর ১৯৯৯ সালে ন্যান্সি কারিপার শরীরে এইচআইভি ধরা পড়ে। তখন তিনি সবেমাত্র তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
এ মাসে পাপুয়া নিউগিনির রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে এক এইডস সচেতনতা অনুষ্ঠানে ৫০-এর কোঠার কারিপা বলেন, ‘সেটি ছিল আমার জীবনের এক সন্ধিক্ষণ। মনের ভেতর লোকলজ্জা আর অস্বীকার করার ভয় থাকলেও চিকিৎসার পথ বেছে নিয়েছিলাম আমি।’
কারিপা ও তাঁর সন্তান দুজনেই সঠিক চিকিৎসা পান। সন্তানটি এখন পুরোপুরি সুস্থ।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর পাপুয়া নিউগিনির ইস্ট সেপিক অঞ্চলের বাসিন্দা কারিপা নিজের অভিজ্ঞতা এভাবেই সবার সামনে তুলে ধরেন, যা দেশটিতে খুব একটা দেখা যায় না। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটিতে এই রোগ নিয়ে সামাজিক কুসংস্কার ও লোকলজ্জা অত্যন্ত প্রকট। তবে এখন এ বিষয়ে মুখ খোলা আগের চেয়ে অনেক বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। চলতি বছর পাপুয়া নিউগিনি এইচআইভিকে ‘জাতীয় সংকট’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
জাতিসংঘের এইডসবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডস বলছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফিজি ও ফিলিপাইনের পাশাপাশি পাপুয়া নিউগিনিতেও এইচআইভি সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।
দেশটিতে ২০১০ সালের পর নতুন সংক্রমণের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে এবং ধারণা করা হয়, যাদের শরীরে ভাইরাস রয়েছে তাদের মাত্র ৫৯ শতাংশ জানেন, তারা এইচআইভি পজিটিভ। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের বৃদ্ধিকে উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে ইউএনএইডস।
পাপুয়া নিউগিনিতে ইউএনএইডসের কান্ট্রি ডিরেক্টর মানোয়েলা মানোভা বলেন, মা থেকে সন্তানের মধ্যে (এইচআইভি) সংক্রমণের হার পাপুয়া নিউগিনিতে অত্যন্ত বেশি।
এইচআইভি প্রতিরোধ ও সহায়তা খাতে অর্থায়নে পরিবর্তন আসায় দেশটি আরও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে।
চলতি বছর ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত করার সিদ্ধান্তে শত শত ক্লিনিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে ইউএনএইডসের তহবিলে বড় ধরনের ঘাটতি স্বাস্থ্যসেবাদাতাদের দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। ফলে পাপুয়া নিউগিনি সরকারকে এই খাতে আরও বেশি ভূমিকা রাখার দাবি জোরালো হচ্ছে।
মানোভা জানান, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা কমে গেছে এবং বর্তমানে এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যে, ‘মানুষ মনে করছে এই মহামারির আর কোনো অস্তিত্ব নেই।’
তাঁর মতে, জনসাধারণ এবং রাজনৈতিক মহলে—উভয় ক্ষেত্রেই এখন এমন ধারণা তৈরি হয়েছে।
প্রায় এক কোটি মানুষের দেশ পাপুয়া নিউগিনিতে অপর্যাপ্ত পরীক্ষা ও সচেতনতার অভাবে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
ইউএনএইডসের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে দেশটিতে আনুমানিক ১১ হাজার নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ে, যার অর্ধেকই শিশু এবং ২৫ বছরের কম বয়সী তরুণ।
২০২৪ সালে পাপুয়া নিউগিনিতে প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিশু এইচআইভি আক্রান্ত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মায়েরা নিজেরা আক্রান্ত কি না—তা জানতেন না। ফলে তাঁরা প্রয়োজনীয় ‘অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি)’ গ্রহণ করতে পারেননি, যা শিশুর শরীরে সংক্রমণ ঠেকাতে পারত।
মানোভা বলেন, অনেকেই তাঁদের শারীরিক অবস্থা জানেন না। অথচ এই মহামারি মোকাবিলায় প্রথম পদক্ষেপ হলো পরীক্ষা করা এবং চিকিৎসার আওতায় আসা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি কানাডার রপ্তানি পণ্যের ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্ক বাড়াচ্ছেন। এই শুল্ক এর আগে আরোপিত শুল্কের সঙ্গে যুক্ত হবে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘ওরা এখন যা দিচ্ছে, তার ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে
২৬ অক্টোবর ২০২৫
বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বেলটা জানিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর লুকাশেঙ্কো সেই রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেন, মাদুরো বেলারুশে সব সময় স্বাগত এবং এখন তাঁর সফরের উপযুক্ত সময়।
৩ ঘণ্টা আগে
বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ করা বা কোম্পানিগুলো থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভাষ্যকার ও জরিপকারী মার্ক মিশেল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি আরও জানান, এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে একটি নতুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়তে চান তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
১৪ বছরের কম বয়সী স্কুলছাত্রীদের জন্য হিজাব বা বোরকার মতো মাথা ঢেকে পরে এমন পোশাক নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রিয়া। এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি ও বেসরকারি দুই ধরনের স্কুলের ছাত্রীদের জন্যই প্রযোজ্য হবে। এ-সংক্রান্ত একটি আইন পাস করেছে দেশটি।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার নেতা নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চাপ বাড়াতেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া ও তাঁর ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশ। এতে মাদুরোর বিদেশে আশ্রয় নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে।
একাধিক সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, মাদুরো গত ২১ নভেম্বর ট্রাম্পকে ফোনে জানিয়েছিলেন, পরিবারসহ তাঁকে যদি পূর্ণ আইনি দায়মুক্তি দেওয়া হয়, তাহলে তিনি ভেনেজুয়েলা ছাড়তে প্রস্তুত।
এ প্রেক্ষাপটে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার লুকাশেঙ্কো গতকাল বৃহস্পতিবার মস্কোতে নিযুক্ত ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রদূত হেসুস রাফায়েল সালাজার ভেলাজকুয়েজের সঙ্গে গত ১৭ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠক করেন।
বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বেলটা জানিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর লুকাশেঙ্কো সেই রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেন, মাদুরো বেলারুশে সব সময় স্বাগত এবং এখন তাঁর সফরের উপযুক্ত সময়।
লুকাশেঙ্কোর উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল বেলটা জানায়, তিনি ভেলাজকুয়েজকে মনে করিয়ে দেন, প্রথম বৈঠকে তাঁরা মাদুরোর সঙ্গে ‘কিছু বিষয় সমন্বয় করার’ ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন।
লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘আমরা একমত হয়েছিলাম যে কিছু বিষয় সমাধানের পর আপনি (রাষ্ট্রদূত) আবারও আমার সঙ্গে দেখা করবেন, যাতে আমরা আমাদের সক্ষমতার মধ্যে থেকে একটি যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পারি। প্রয়োজনে আমরা তখন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টকেও এর সঙ্গে যুক্ত করব।’
রয়টার্স লুকাশেঙ্কোর দপ্তরের কাছে এসব বৈঠকের তাৎপর্য এবং মাদুরো পদত্যাগ করলে বেলারুশ তাঁকে আশ্রয় দিতে আগ্রহী হবে কি না—এ বিষয়ে মন্তব্য চেয়েছিল। তবে কোনো সাড়া পায়নি বার্তা সংস্থাটি।
এ বিষয়ে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গতকাল মাদুরোকে ফোন করে ভেনেজুয়েলার ওপর বাড়তে থাকা বহিরাগত চাপের মুখে ‘জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মাদুরো সরকারের নীতিকে’ পুনরায় সমর্থন জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার নেতা নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চাপ বাড়াতেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া ও তাঁর ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশ। এতে মাদুরোর বিদেশে আশ্রয় নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে।
একাধিক সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, মাদুরো গত ২১ নভেম্বর ট্রাম্পকে ফোনে জানিয়েছিলেন, পরিবারসহ তাঁকে যদি পূর্ণ আইনি দায়মুক্তি দেওয়া হয়, তাহলে তিনি ভেনেজুয়েলা ছাড়তে প্রস্তুত।
এ প্রেক্ষাপটে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার লুকাশেঙ্কো গতকাল বৃহস্পতিবার মস্কোতে নিযুক্ত ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রদূত হেসুস রাফায়েল সালাজার ভেলাজকুয়েজের সঙ্গে গত ১৭ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠক করেন।
বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বেলটা জানিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর লুকাশেঙ্কো সেই রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেন, মাদুরো বেলারুশে সব সময় স্বাগত এবং এখন তাঁর সফরের উপযুক্ত সময়।
লুকাশেঙ্কোর উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল বেলটা জানায়, তিনি ভেলাজকুয়েজকে মনে করিয়ে দেন, প্রথম বৈঠকে তাঁরা মাদুরোর সঙ্গে ‘কিছু বিষয় সমন্বয় করার’ ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন।
লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘আমরা একমত হয়েছিলাম যে কিছু বিষয় সমাধানের পর আপনি (রাষ্ট্রদূত) আবারও আমার সঙ্গে দেখা করবেন, যাতে আমরা আমাদের সক্ষমতার মধ্যে থেকে একটি যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পারি। প্রয়োজনে আমরা তখন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টকেও এর সঙ্গে যুক্ত করব।’
রয়টার্স লুকাশেঙ্কোর দপ্তরের কাছে এসব বৈঠকের তাৎপর্য এবং মাদুরো পদত্যাগ করলে বেলারুশ তাঁকে আশ্রয় দিতে আগ্রহী হবে কি না—এ বিষয়ে মন্তব্য চেয়েছিল। তবে কোনো সাড়া পায়নি বার্তা সংস্থাটি।
এ বিষয়ে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গতকাল মাদুরোকে ফোন করে ভেনেজুয়েলার ওপর বাড়তে থাকা বহিরাগত চাপের মুখে ‘জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মাদুরো সরকারের নীতিকে’ পুনরায় সমর্থন জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি কানাডার রপ্তানি পণ্যের ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্ক বাড়াচ্ছেন। এই শুল্ক এর আগে আরোপিত শুল্কের সঙ্গে যুক্ত হবে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘ওরা এখন যা দিচ্ছে, তার ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে
২৬ অক্টোবর ২০২৫
জাতিসংঘের এইডসবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডস বলছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফিজি ও ফিলিপাইনের পাশাপাশি পাপুয়া নিউগিনিতেও এইচআইভি সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।
১৬ মিনিট আগে
বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ করা বা কোম্পানিগুলো থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভাষ্যকার ও জরিপকারী মার্ক মিশেল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি আরও জানান, এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে একটি নতুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়তে চান তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
১৪ বছরের কম বয়সী স্কুলছাত্রীদের জন্য হিজাব বা বোরকার মতো মাথা ঢেকে পরে এমন পোশাক নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রিয়া। এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি ও বেসরকারি দুই ধরনের স্কুলের ছাত্রীদের জন্যই প্রযোজ্য হবে। এ-সংক্রান্ত একটি আইন পাস করেছে দেশটি।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ করা বা কোম্পানিগুলো থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভাষ্যকার ও জরিপকারী মার্ক মিশেল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি আরও জানান, এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে একটি নতুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়তে চান তিনি। এ মন্তব্যে মার্কিন প্রযুক্তি খাতে ভারতীয় পেশাজীবীদের ভূমিকা নিয়ে নতুন আলোচনা তৈরি হয়েছে এবং ভারতীয়দের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
মিশেল লিখেছেন, ‘আমার জীবনে কখনো কিছু এভাবে চাইনি। বড় বড় করপোরেশনকে ডি-ইন্ডিয়ানাইজ করতে সাহায্য করার জন্য নতুন করপোরেট পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই আমি।’
কয়েক দিন আগে একটি পডকাস্টে যুক্তরাষ্ট্রে এইচ–১বি ভিসা কর্মসূচির আওতায় ভারতীয় পেশাজীবীদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন রর্যাসমুসেন রিপোর্টসের প্রধান জরিপকারী মিশেল।
৮ ডিসেম্বর প্রচারিত ‘দ্য ওয়্যার রুম’ নামে ওই পডকাস্টে স্টিফেন ব্যাননের সঙ্গে আলোচনায় মিশেল এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচিতে ভারতীয়দের প্রাধান্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি দাবি করেন, অ্যাপলের মতো বড় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন সিনিয়র এইচ-১বি ডেভেলপারকে দেশে ফেরানো অর্থনৈতিকভাবে ১০ জন বেআইনি অভিবাসীকে বহিষ্কারের সমান।
মিশেল বলেন, ‘অ্যাপলে থাকা প্রতিটি এইচ-১বি সিনিয়র ডেভেলপারকে যদি আমরা ফেরত পাঠাই, সেটি অর্থনৈতিক দিক থেকে সম্ভবত ১০ জন বেআইনি অভিবাসীকে দেশছাড়া করার সমান হবে। তাই এটা আমরা এখনো কেন করিনি, বুঝতে পারছি না। আর হ্যাঁ, অনেকেই এন্ট্রি লেভেলের, কিন্তু অনেকে বিপুল পরিমাণ অর্থও আয় করছে।’
এসব কারণে ১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন প্রযুক্তিকর্মী বেকার হয়ে পড়েছেন বলে দাবি এই মার্কিন জরিপকারীর। তিনি মনে করেন, ‘বিদেশি শ্রমশক্তি’ সিলিকন ভ্যালিকে ‘ইন্ডিফাই’ বা ‘ভারতীয়করণ’ করেছে।
মিশেল আরও বলেন, সিলিকন ভ্যালিতে দেশের সবচেয়ে দামি রিয়েল এস্টেট রয়েছে। আর সেখানে কর্মশক্তির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই বিদেশে জন্ম নেওয়া। ওয়ালমার্টের ভবনগুলোতে ৮৫ থেকে ৯৫ শতাংশ ছিলেন ভারতীয় নাগরিক। তাঁরা এসব স্বর্ণসুযোগের পথ ধরে এসে চাকরিগুলো দখল করে নিচ্ছেন।
মিশেল আরও অভিযোগ করেন, শীর্ষ মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো কম খরচের অভিবাসী শ্রমশক্তির ওপর নির্ভর করছে। তাঁর দাবি, কোম্পানিগুলো সিনিয়র মার্কিন ইঞ্জিনিয়ারদের এড়িয়ে যাচ্ছে, কারণ তাঁদের হাতে রয়েছে ‘তৃতীয় বিশ্বের তরুণ ইঞ্জিনিয়ারদের এক অন্তহীন ভান্ডার’।
মিশেল আরও বলেন, ‘আমার মতো যাদের পরিবার আছে, যাদের কিছুটা বেশি বেতন দিতে হয়, তাদের হয়তো দু-একবার বেতন বেড়েছে। আমার স্বাস্থ্যবিমার খরচও একটু বেশি। আমাদের খুব সহজেই প্রতিস্থাপন করা যায় আর আমাকে দিয়েই আমার বিকল্পজনকে প্রশিক্ষণ করানো যায়।’
মিশেল বলেন, ‘একজন এইচ-১বি ডেভেলপার, যিনি ৯০ হাজার ডলার আয় করেন, তাঁকে আনা মানে ঘণ্টায় ৯ ডলার করে আয় করা ১০জন আনডকুমেন্টেড শ্রমিককে আমদানি করার সমান।’
সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মার্কিন প্রযুক্তি খাতের প্রায় ৬৬ শতাংশ কর্মী বিদেশি। এর মধ্যে ২৩ শতাংশ ভারতীয় এবং ১৮ শতাংশ চীনা। এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় মিশেল এ মন্তব্য করেন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে মিশেলের ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ মন্তব্য। তিনি ‘বর্ণবাদী’ মন্তব্য করেছেন বলে অনেকে অভিযোগ তোলেন।
এক্সে এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘আপনি যদি বলতেন, বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে “ডি-জিউ” করতে চান, তবে আপনার কোনো ক্যারিয়ারই থাকত না। কিন্তু মার্কিন রক্ষণশীল মহলে একটি “মডেল মাইনরিটি”র বিরুদ্ধে সরাসরি বর্ণবাদী হওয়া যেন স্বাভাবিক।’
অন্য একজন লিখেছেন, ‘খেয়াল করুন, এই মানুষটি এইচ–১বি থেকে সরাসরি “ইন্ডিয়ানস”-এ চলে গেছেন। মানে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া দ্বিতীয় প্রজন্মের ভারতীয়–আমেরিকানদেরও তিনি বঞ্চিত করতে চান।’
আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘ভাবুন তো, অন্য কোনো জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে কেউ এমন কথা বললে কী হতো। তাই হয়তো আপনার চাকরির সুযোগ এত সীমিত।’

বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ করা বা কোম্পানিগুলো থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভাষ্যকার ও জরিপকারী মার্ক মিশেল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি আরও জানান, এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে একটি নতুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়তে চান তিনি। এ মন্তব্যে মার্কিন প্রযুক্তি খাতে ভারতীয় পেশাজীবীদের ভূমিকা নিয়ে নতুন আলোচনা তৈরি হয়েছে এবং ভারতীয়দের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
মিশেল লিখেছেন, ‘আমার জীবনে কখনো কিছু এভাবে চাইনি। বড় বড় করপোরেশনকে ডি-ইন্ডিয়ানাইজ করতে সাহায্য করার জন্য নতুন করপোরেট পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই আমি।’
কয়েক দিন আগে একটি পডকাস্টে যুক্তরাষ্ট্রে এইচ–১বি ভিসা কর্মসূচির আওতায় ভারতীয় পেশাজীবীদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন রর্যাসমুসেন রিপোর্টসের প্রধান জরিপকারী মিশেল।
৮ ডিসেম্বর প্রচারিত ‘দ্য ওয়্যার রুম’ নামে ওই পডকাস্টে স্টিফেন ব্যাননের সঙ্গে আলোচনায় মিশেল এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচিতে ভারতীয়দের প্রাধান্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি দাবি করেন, অ্যাপলের মতো বড় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন সিনিয়র এইচ-১বি ডেভেলপারকে দেশে ফেরানো অর্থনৈতিকভাবে ১০ জন বেআইনি অভিবাসীকে বহিষ্কারের সমান।
মিশেল বলেন, ‘অ্যাপলে থাকা প্রতিটি এইচ-১বি সিনিয়র ডেভেলপারকে যদি আমরা ফেরত পাঠাই, সেটি অর্থনৈতিক দিক থেকে সম্ভবত ১০ জন বেআইনি অভিবাসীকে দেশছাড়া করার সমান হবে। তাই এটা আমরা এখনো কেন করিনি, বুঝতে পারছি না। আর হ্যাঁ, অনেকেই এন্ট্রি লেভেলের, কিন্তু অনেকে বিপুল পরিমাণ অর্থও আয় করছে।’
এসব কারণে ১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন প্রযুক্তিকর্মী বেকার হয়ে পড়েছেন বলে দাবি এই মার্কিন জরিপকারীর। তিনি মনে করেন, ‘বিদেশি শ্রমশক্তি’ সিলিকন ভ্যালিকে ‘ইন্ডিফাই’ বা ‘ভারতীয়করণ’ করেছে।
মিশেল আরও বলেন, সিলিকন ভ্যালিতে দেশের সবচেয়ে দামি রিয়েল এস্টেট রয়েছে। আর সেখানে কর্মশক্তির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই বিদেশে জন্ম নেওয়া। ওয়ালমার্টের ভবনগুলোতে ৮৫ থেকে ৯৫ শতাংশ ছিলেন ভারতীয় নাগরিক। তাঁরা এসব স্বর্ণসুযোগের পথ ধরে এসে চাকরিগুলো দখল করে নিচ্ছেন।
মিশেল আরও অভিযোগ করেন, শীর্ষ মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো কম খরচের অভিবাসী শ্রমশক্তির ওপর নির্ভর করছে। তাঁর দাবি, কোম্পানিগুলো সিনিয়র মার্কিন ইঞ্জিনিয়ারদের এড়িয়ে যাচ্ছে, কারণ তাঁদের হাতে রয়েছে ‘তৃতীয় বিশ্বের তরুণ ইঞ্জিনিয়ারদের এক অন্তহীন ভান্ডার’।
মিশেল আরও বলেন, ‘আমার মতো যাদের পরিবার আছে, যাদের কিছুটা বেশি বেতন দিতে হয়, তাদের হয়তো দু-একবার বেতন বেড়েছে। আমার স্বাস্থ্যবিমার খরচও একটু বেশি। আমাদের খুব সহজেই প্রতিস্থাপন করা যায় আর আমাকে দিয়েই আমার বিকল্পজনকে প্রশিক্ষণ করানো যায়।’
মিশেল বলেন, ‘একজন এইচ-১বি ডেভেলপার, যিনি ৯০ হাজার ডলার আয় করেন, তাঁকে আনা মানে ঘণ্টায় ৯ ডলার করে আয় করা ১০জন আনডকুমেন্টেড শ্রমিককে আমদানি করার সমান।’
সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মার্কিন প্রযুক্তি খাতের প্রায় ৬৬ শতাংশ কর্মী বিদেশি। এর মধ্যে ২৩ শতাংশ ভারতীয় এবং ১৮ শতাংশ চীনা। এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় মিশেল এ মন্তব্য করেন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে মিশেলের ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ মন্তব্য। তিনি ‘বর্ণবাদী’ মন্তব্য করেছেন বলে অনেকে অভিযোগ তোলেন।
এক্সে এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘আপনি যদি বলতেন, বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে “ডি-জিউ” করতে চান, তবে আপনার কোনো ক্যারিয়ারই থাকত না। কিন্তু মার্কিন রক্ষণশীল মহলে একটি “মডেল মাইনরিটি”র বিরুদ্ধে সরাসরি বর্ণবাদী হওয়া যেন স্বাভাবিক।’
অন্য একজন লিখেছেন, ‘খেয়াল করুন, এই মানুষটি এইচ–১বি থেকে সরাসরি “ইন্ডিয়ানস”-এ চলে গেছেন। মানে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া দ্বিতীয় প্রজন্মের ভারতীয়–আমেরিকানদেরও তিনি বঞ্চিত করতে চান।’
আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘ভাবুন তো, অন্য কোনো জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে কেউ এমন কথা বললে কী হতো। তাই হয়তো আপনার চাকরির সুযোগ এত সীমিত।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি কানাডার রপ্তানি পণ্যের ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্ক বাড়াচ্ছেন। এই শুল্ক এর আগে আরোপিত শুল্কের সঙ্গে যুক্ত হবে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘ওরা এখন যা দিচ্ছে, তার ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে
২৬ অক্টোবর ২০২৫
জাতিসংঘের এইডসবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডস বলছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফিজি ও ফিলিপাইনের পাশাপাশি পাপুয়া নিউগিনিতেও এইচআইভি সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।
১৬ মিনিট আগে
বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বেলটা জানিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর লুকাশেঙ্কো সেই রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেন, মাদুরো বেলারুশে সব সময় স্বাগত এবং এখন তাঁর সফরের উপযুক্ত সময়।
৩ ঘণ্টা আগে
১৪ বছরের কম বয়সী স্কুলছাত্রীদের জন্য হিজাব বা বোরকার মতো মাথা ঢেকে পরে এমন পোশাক নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রিয়া। এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি ও বেসরকারি দুই ধরনের স্কুলের ছাত্রীদের জন্যই প্রযোজ্য হবে। এ-সংক্রান্ত একটি আইন পাস করেছে দেশটি।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৪ বছরের কম বয়সী স্কুলছাত্রীদের জন্য হিজাব বা বোরকার মতো মাথা ঢেকে পরে এমন পোশাক নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রিয়া। এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি ও বেসরকারি দুই ধরনের স্কুলের ছাত্রীদের জন্যই প্রযোজ্য হবে। এ-সংক্রান্ত একটি আইন পাস করেছে দেশটি।
নতুন এই আইনে বলা হয়েছে, ১৪ বছরের কম বয়সী মেয়েরা ‘ঐতিহ্যবাহী মুসলিম’ মাথা ঢেকে রাখে এমন পোশাক, যেমন হিজাব বা বোরকা পরে স্কুলে যেতে পারবে না।
আইনে বলা হয়েছে, হিজাব নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও আইনগত অভিভাবকদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনায় বসতে হবে। বারবার নিয়ম ভাঙা হলে শিশু ও যুবকল্যাণ সংস্থাকে বিষয়টি জানাতে হবে। শেষপর্যন্ত প্রয়োজন হলে পরিবার বা অভিভাবকদের সর্বোচ্চ ৮০০ ইউরো (১ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ টাকা) পর্যন্ত জরিমানা করা যেতে পারে।
এর আগে ২০২০ সালে ১০ বছরের কম বয়সী মেয়েশিশুদের জন্য হিজাব নিষিদ্ধের একটি আইন সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশটির সাংবিধানিক আদালত বাতিল করে দেন। কারণ, আইনটি সরাসরি মুসলমানদের লক্ষ্য করে করা হয়েছিল।
অস্ট্রিয়ার তিনটি মধ্যপন্থী দল—ওইভিপি (ÖVP), এসপিও (SPÖ) ও নিওস (Neos)-এর নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল জোট বলছে, এই আইন ‘লিঙ্গ সমতার প্রতি সুস্পষ্ট অঙ্গীকার’।
সরকারের সদস্যরা বলছেন, এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো কন্যাশিশুদের ক্ষমতায়ন করা। তাঁদের দাবি, এটি মেয়েদের ‘বঞ্চনা বা দমন-পীড়ন’ থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্যই নেওয়া হয়েছে।
লিবারেল নিওস দলের সংসদীয় নেতা ইয়ানিক শেটি বলেন, এটি কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয়। এ দেশের মেয়েদের স্বাধীনতা রক্ষার জন্যই এই পদক্ষেপ।
নিষেধাজ্ঞাটি প্রায় ১২ হাজার শিশুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে জানান তিনি।
অন্য দিকে নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ভোট দেওয়া ডানপন্থী বিরোধী দল অস্ট্রিয়ার ফ্রিডম পার্টি (এফপিও) বলেছে, আইনটি যথেষ্ট দূর পর্যন্ত যায়নি। এটি ‘প্রথম ধাপ’, যা সম্প্রসারিত করে সব শিক্ষার্থী ও স্কুলকর্মীর জন্য প্রযোজ্য করা উচিত।
এফপিওর পরিবারের বিষয়ে দলের মুখপাত্র রিকার্ডা বার্গার বলেন, স্কুলে হিজাবের ওপর সামগ্রিক নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। ইসলাম ধর্মের রাজনীতিকীকরণের কোনো স্থান এখানে নেই।
তবে সমালোচকেরা বলছেন, এই আইন দেশে ইসলামবিদ্বেষ আরও উসকে দিতে পারে এবং এটি সংবিধানবিরোধীও হতে পারে।
বিরোধী দল গ্রিনসের সিগরিড মাউরার নতুন আইনটিকে ‘স্পষ্টভাবেই অসাংবিধানিক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
অস্ট্রিয়ার সরকারি ইসলামিক কমিউনিটি (আইজিজিও) জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে এবং সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করবে। তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, শিশুদের ক্ষমতায়নের বদলে তাদের কলঙ্কিত ও প্রান্তিক করে দেওয়া হবে। তারা আইনটির সাংবিধানিকতা পর্যালোচনা করবে এবং প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছে।
আইজিজিও আরও বলেছে, সাংবিধানিক আদালত ইতিমধ্যে ২০২০ সালেই স্পষ্টভাবে রায় দিয়েছেন, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা অসাংবিধানিক, কারণ এটি একটি ধর্মীয় সংখ্যালঘুকে লক্ষ্য করে এবং সমতার নীতি লঙ্ঘন করে।
এ নিয়ে সরকার বলছে, তারা এমন পরিস্থিতি এড়ানোর চেষ্টা করেছে। সংসদীয় নেতা ইয়ানিক শেটি বলেন, ‘এটি সাংবিধানিক আদালতের পরীক্ষায় টিকবে কি না, আমি জানি না। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটুকু করেছি।’
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই আইনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর আগামী সেপ্টেম্বরে নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি কার্যকর হবে।

১৪ বছরের কম বয়সী স্কুলছাত্রীদের জন্য হিজাব বা বোরকার মতো মাথা ঢেকে পরে এমন পোশাক নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রিয়া। এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি ও বেসরকারি দুই ধরনের স্কুলের ছাত্রীদের জন্যই প্রযোজ্য হবে। এ-সংক্রান্ত একটি আইন পাস করেছে দেশটি।
নতুন এই আইনে বলা হয়েছে, ১৪ বছরের কম বয়সী মেয়েরা ‘ঐতিহ্যবাহী মুসলিম’ মাথা ঢেকে রাখে এমন পোশাক, যেমন হিজাব বা বোরকা পরে স্কুলে যেতে পারবে না।
আইনে বলা হয়েছে, হিজাব নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও আইনগত অভিভাবকদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনায় বসতে হবে। বারবার নিয়ম ভাঙা হলে শিশু ও যুবকল্যাণ সংস্থাকে বিষয়টি জানাতে হবে। শেষপর্যন্ত প্রয়োজন হলে পরিবার বা অভিভাবকদের সর্বোচ্চ ৮০০ ইউরো (১ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ টাকা) পর্যন্ত জরিমানা করা যেতে পারে।
এর আগে ২০২০ সালে ১০ বছরের কম বয়সী মেয়েশিশুদের জন্য হিজাব নিষিদ্ধের একটি আইন সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশটির সাংবিধানিক আদালত বাতিল করে দেন। কারণ, আইনটি সরাসরি মুসলমানদের লক্ষ্য করে করা হয়েছিল।
অস্ট্রিয়ার তিনটি মধ্যপন্থী দল—ওইভিপি (ÖVP), এসপিও (SPÖ) ও নিওস (Neos)-এর নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল জোট বলছে, এই আইন ‘লিঙ্গ সমতার প্রতি সুস্পষ্ট অঙ্গীকার’।
সরকারের সদস্যরা বলছেন, এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো কন্যাশিশুদের ক্ষমতায়ন করা। তাঁদের দাবি, এটি মেয়েদের ‘বঞ্চনা বা দমন-পীড়ন’ থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্যই নেওয়া হয়েছে।
লিবারেল নিওস দলের সংসদীয় নেতা ইয়ানিক শেটি বলেন, এটি কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয়। এ দেশের মেয়েদের স্বাধীনতা রক্ষার জন্যই এই পদক্ষেপ।
নিষেধাজ্ঞাটি প্রায় ১২ হাজার শিশুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে জানান তিনি।
অন্য দিকে নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ভোট দেওয়া ডানপন্থী বিরোধী দল অস্ট্রিয়ার ফ্রিডম পার্টি (এফপিও) বলেছে, আইনটি যথেষ্ট দূর পর্যন্ত যায়নি। এটি ‘প্রথম ধাপ’, যা সম্প্রসারিত করে সব শিক্ষার্থী ও স্কুলকর্মীর জন্য প্রযোজ্য করা উচিত।
এফপিওর পরিবারের বিষয়ে দলের মুখপাত্র রিকার্ডা বার্গার বলেন, স্কুলে হিজাবের ওপর সামগ্রিক নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। ইসলাম ধর্মের রাজনীতিকীকরণের কোনো স্থান এখানে নেই।
তবে সমালোচকেরা বলছেন, এই আইন দেশে ইসলামবিদ্বেষ আরও উসকে দিতে পারে এবং এটি সংবিধানবিরোধীও হতে পারে।
বিরোধী দল গ্রিনসের সিগরিড মাউরার নতুন আইনটিকে ‘স্পষ্টভাবেই অসাংবিধানিক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
অস্ট্রিয়ার সরকারি ইসলামিক কমিউনিটি (আইজিজিও) জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে এবং সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করবে। তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, শিশুদের ক্ষমতায়নের বদলে তাদের কলঙ্কিত ও প্রান্তিক করে দেওয়া হবে। তারা আইনটির সাংবিধানিকতা পর্যালোচনা করবে এবং প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছে।
আইজিজিও আরও বলেছে, সাংবিধানিক আদালত ইতিমধ্যে ২০২০ সালেই স্পষ্টভাবে রায় দিয়েছেন, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা অসাংবিধানিক, কারণ এটি একটি ধর্মীয় সংখ্যালঘুকে লক্ষ্য করে এবং সমতার নীতি লঙ্ঘন করে।
এ নিয়ে সরকার বলছে, তারা এমন পরিস্থিতি এড়ানোর চেষ্টা করেছে। সংসদীয় নেতা ইয়ানিক শেটি বলেন, ‘এটি সাংবিধানিক আদালতের পরীক্ষায় টিকবে কি না, আমি জানি না। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটুকু করেছি।’
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই আইনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর আগামী সেপ্টেম্বরে নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি কার্যকর হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি কানাডার রপ্তানি পণ্যের ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্ক বাড়াচ্ছেন। এই শুল্ক এর আগে আরোপিত শুল্কের সঙ্গে যুক্ত হবে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘ওরা এখন যা দিচ্ছে, তার ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে
২৬ অক্টোবর ২০২৫
জাতিসংঘের এইডসবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডস বলছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফিজি ও ফিলিপাইনের পাশাপাশি পাপুয়া নিউগিনিতেও এইচআইভি সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।
১৬ মিনিট আগে
বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বেলটা জানিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর লুকাশেঙ্কো সেই রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেন, মাদুরো বেলারুশে সব সময় স্বাগত এবং এখন তাঁর সফরের উপযুক্ত সময়।
৩ ঘণ্টা আগে
বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ করা বা কোম্পানিগুলো থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভাষ্যকার ও জরিপকারী মার্ক মিশেল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি আরও জানান, এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে একটি নতুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়তে চান তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে