
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি উভয়ই দায়ী। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজে প্রচারিত এই সাক্ষাৎকারে তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ডিসেম্বরে প্যারিসে জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন ট্রাম্প। সে সময় ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করেন। তবে কী আলোচনা হয়েছিল তা প্রকাশ করেনি কোনো পক্ষই। তবে ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, ‘জেলেনস্কি যুদ্ধের শুরুতেই রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা না করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘জেলেনস্কি...এমনটা হতে দেওয়া আপনার উচিত হয়নি। তিনি কোনো ফেরেশতা নন। আমি খুব সহজেই সেই চুক্তি করতে পারতাম। কিন্তু জেলেনস্কি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, “আমি লড়াই করব”।’
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প অবশ্য ইউক্রেনের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, তারা রাশিয়ার মতো বড় শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা প্রচুর সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছি এবং ইউক্রেন তা সাহসের সঙ্গে ব্যবহার করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটি এমন একটি যুদ্ধ, যা অবশ্যই থামাতে হবে।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এখন শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রস্তুত। জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি যথেষ্ট দেখেছেন এবং শান্তি চান।’ নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রাশিয়ার আক্রমণের জন্য ইউক্রেনের পাশাপাশি বাইডেন প্রশাসনও দায়ী। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি ক্ষমতায় এলে দ্রুত একটি শান্তি চুক্তি নিশ্চিত করবেন।
যুক্তরাষ্ট্র ৪৭ তম এই প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনের ইউক্রেন নীতির সমালোচনা করে বলেন, ‘তাঁর সময় পুতিনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল।’ তবে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি পুতিনের সমালোচনা করেছেন এবং বলেছেন, পুতিন চুক্তি করতে ব্যর্থ হলে তিনি রাশিয়ার ওপর ‘ব্যাপক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করবেন। এ সময় ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিনের এটি করা (যুদ্ধ শুরু করা) উচিত হয়নি। এটি থামাতে হবে।’
যুদ্ধক্ষেত্রে হতাহতের সংখ্যা নিয়েও ট্রাম্প মন্তব্য করেন। তিনি দাবি করেন, রাশিয়া প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার এবং ইউক্রেন ৭ লাখ সেনা হারিয়েছে। তবে জেলেনস্কি গত ডিসেম্বরে জানান, ইউক্রেন প্রায় ৪৩ হাজার সেনা হারিয়েছে এবং ৩ লাখ ৭০ হাজার সেনা আহত হয়েছে। রাশিয়া হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি।
ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাশিয়া যদি আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে তিনি ‘মারাত্মক শুল্ক, কর এবং ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করবেন। তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে আমি এটি করতে চাই না, কারণ আমি রাশিয়াকে ভালোবাসি।’ তিনি বলেন, রাশিয়ার আক্রমণ বাইডেন প্রশাসনের কারণে হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, বাইডেন পুতিনকে উচ্চ জ্বালানি মূল্যের মাধ্যমে লাভবান করেছেন এবং ইউরোপের দেশগুলোকে ইউক্রেনকে আরও সমর্থন দিতে চাপ দেননি।
ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়ের পরিমাণ সম্পর্কেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মার্কিন কংগ্রেস ইউক্রেনকে ১৭০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে, যার মধ্যে ৬০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সামরিক সহায়তা। অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো ১৪৫ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক, সামরিক এবং মানবিক সহায়তা দিয়েছে।
ইউক্রেন সম্প্রতি জানিয়েছে, ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন চলছে। একই সঙ্গে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি শিগগিরই পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে চান, যাতে যুদ্ধ বন্ধ করা যায়। মস্কো ট্রাম্পের প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছে, প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য কী, তা পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি উভয়ই দায়ী। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজে প্রচারিত এই সাক্ষাৎকারে তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ডিসেম্বরে প্যারিসে জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন ট্রাম্প। সে সময় ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করেন। তবে কী আলোচনা হয়েছিল তা প্রকাশ করেনি কোনো পক্ষই। তবে ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, ‘জেলেনস্কি যুদ্ধের শুরুতেই রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা না করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘জেলেনস্কি...এমনটা হতে দেওয়া আপনার উচিত হয়নি। তিনি কোনো ফেরেশতা নন। আমি খুব সহজেই সেই চুক্তি করতে পারতাম। কিন্তু জেলেনস্কি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, “আমি লড়াই করব”।’
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প অবশ্য ইউক্রেনের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, তারা রাশিয়ার মতো বড় শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা প্রচুর সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছি এবং ইউক্রেন তা সাহসের সঙ্গে ব্যবহার করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটি এমন একটি যুদ্ধ, যা অবশ্যই থামাতে হবে।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এখন শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রস্তুত। জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি যথেষ্ট দেখেছেন এবং শান্তি চান।’ নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রাশিয়ার আক্রমণের জন্য ইউক্রেনের পাশাপাশি বাইডেন প্রশাসনও দায়ী। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি ক্ষমতায় এলে দ্রুত একটি শান্তি চুক্তি নিশ্চিত করবেন।
যুক্তরাষ্ট্র ৪৭ তম এই প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনের ইউক্রেন নীতির সমালোচনা করে বলেন, ‘তাঁর সময় পুতিনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল।’ তবে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি পুতিনের সমালোচনা করেছেন এবং বলেছেন, পুতিন চুক্তি করতে ব্যর্থ হলে তিনি রাশিয়ার ওপর ‘ব্যাপক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করবেন। এ সময় ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিনের এটি করা (যুদ্ধ শুরু করা) উচিত হয়নি। এটি থামাতে হবে।’
যুদ্ধক্ষেত্রে হতাহতের সংখ্যা নিয়েও ট্রাম্প মন্তব্য করেন। তিনি দাবি করেন, রাশিয়া প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার এবং ইউক্রেন ৭ লাখ সেনা হারিয়েছে। তবে জেলেনস্কি গত ডিসেম্বরে জানান, ইউক্রেন প্রায় ৪৩ হাজার সেনা হারিয়েছে এবং ৩ লাখ ৭০ হাজার সেনা আহত হয়েছে। রাশিয়া হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি।
ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাশিয়া যদি আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে তিনি ‘মারাত্মক শুল্ক, কর এবং ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করবেন। তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে আমি এটি করতে চাই না, কারণ আমি রাশিয়াকে ভালোবাসি।’ তিনি বলেন, রাশিয়ার আক্রমণ বাইডেন প্রশাসনের কারণে হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, বাইডেন পুতিনকে উচ্চ জ্বালানি মূল্যের মাধ্যমে লাভবান করেছেন এবং ইউরোপের দেশগুলোকে ইউক্রেনকে আরও সমর্থন দিতে চাপ দেননি।
ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়ের পরিমাণ সম্পর্কেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মার্কিন কংগ্রেস ইউক্রেনকে ১৭০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে, যার মধ্যে ৬০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সামরিক সহায়তা। অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো ১৪৫ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক, সামরিক এবং মানবিক সহায়তা দিয়েছে।
ইউক্রেন সম্প্রতি জানিয়েছে, ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন চলছে। একই সঙ্গে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি শিগগিরই পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে চান, যাতে যুদ্ধ বন্ধ করা যায়। মস্কো ট্রাম্পের প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছে, প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য কী, তা পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন।

তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের বিশাল সামরিক মহড়া ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ শেষ হওয়ার মাত্র এক দিন পরই সি চিন পিংয়ের এই কড়া বার্তা এল। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে তা দখলের হুমকি দিয়ে আসছে।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
৫ ঘণ্টা আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
৫ ঘণ্টা আগে