অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানকে জঙ্গলের আইনে পরিচালিত দেশ আখ্যা দিয়ে আসিম মুনিরের ‘ফিল্ড মার্শাল’ হওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খান। তিনি এক এক্স পোস্টে বলেছেন, ‘দেশ এখন জঙ্গলের আইনে শাসিত হচ্ছে। জঙ্গলে রাজাই মানায়, ফিল্ড মার্শাল নয়।’ পাকিস্তানি দ্য ডনের পোস্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কারাগারে বন্দী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) আদিয়ালা কারাগারে আইনজীবী, সাংবাদিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপরই বিষয়টি নজরে আসে। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পাকিস্তানি সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে কটাক্ষ করে বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধানকে ‘ফিল্ড মার্শাল’ নয়, ‘রাজা’ উপাধি দেওয়া উচিত ছিল।
গত মঙ্গলবার (২০ মে) ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতে জেনারেল আসিম মুনির অসামান্য ভূমিকার জন্য ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত হয়েছেন। পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রায় ৬০ বছর পর কোনো সামরিক কর্মকর্তাকে ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদে উন্নীত করা হয়।
ইমরান খান তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘মাশা আল্লাহ, জেনারেল আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল করা হয়েছে। সত্যি বলতে, তাঁর জন্য রাজা উপাধি বেশি মানানসই হতো। কারণ, এখন দেশ জঙ্গলের আইন দ্বারা শাসিত হচ্ছে। আর সেই জঙ্গলে একটাই রাজা থাকে।’
গত বছরের আগস্ট থেকে একাধিক মামলায় কারাগারে থাকা ইমরান খান আরও বলেন, তাঁর সঙ্গে কোনো চুক্তির গুজব সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি লিখেছেন, ‘আমার সঙ্গে কারও কোনো চুক্তি হয়নি, কোনো আলোচনাও চলছে না। এগুলো ভিত্তিহীন অভিযোগ।’ তবে তিনি সামরিক প্রতিষ্ঠানকে প্রকাশ্যে তাঁর সঙ্গে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, যদি তারা সত্যিই পাকিস্তানের স্বার্থ ও ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত থাকে।
ইমরান খান বলেন, ‘দেশ এখন বাইরের হুমকি, সন্ত্রাসবাদ ও অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমি আগে কখনো নিজের জন্য কিছু চাইনি, এখনো চাইব না।’
ইমরান খান শাহবাজ শরিফের সরকারকে ভারতের আরেকটি সম্ভাব্য হামলা সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
শাহবাজ শরিফ আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি গণতন্ত্রের মূল চেতনাকে পিষে ফেলার প্রতিফলন। আপনি যখন এমন বার্তা দেন যে চোর যত বড় হবে, তার পদ তত উঁচু হবে—তখন আপনি ন্যায়বিচারকে কবর দেন।’ তিনি প্রেসিডেন্ট আসিফ জারদারির বোনের বিরুদ্ধে কর্মচারীদের নামে পাঁচটি অ্যাপার্টমেন্ট নিবন্ধনের একটি মামলার কথা উল্লেখ করেন, যিনি বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রেসিডেন্ট আসিফ জারদারির বোনকে এ বিষয়ে কেউ প্রশ্ন করারও সাহস পায় না। শাহবাজ শরীফের বিরুদ্ধে ২২ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি পাচারের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ইমরান খান আরও বলেন, গত তিন বছরে পাকিস্তানের নৈতিক ও সাংবিধানিক কাঠামো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে। তোশাখানা-২ মামলায় একটি প্রহসনমূলক বিচার পুনরায় শুরু হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, কারাগারে তাঁর বোনেরা এবং আইনজীবীদের আদালতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না; তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না; কয়েক মাস ধরে শিশুদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন; এমনকি তাঁর বইও দেওয়া হচ্ছে না এবং চিকিৎসক পর্যন্ত তাঁর কাছে যেতে পারছেন না। তিনি এটিকে আদালতের আদেশ ও আইনের ধারাবাহিক লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন।
ইমরান খান খাইবার পাখতুনখাওয়ার কিছু এলাকায় ড্রোন হামলার তথ্য পেয়েছেন বলেও জানান। তিনি খাইবার পাখতুনখাওয়া সরকারকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানাতে এবং এই ড্রোন হামলা বন্ধ করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
পাকিস্তানকে জঙ্গলের আইনে পরিচালিত দেশ আখ্যা দিয়ে আসিম মুনিরের ‘ফিল্ড মার্শাল’ হওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খান। তিনি এক এক্স পোস্টে বলেছেন, ‘দেশ এখন জঙ্গলের আইনে শাসিত হচ্ছে। জঙ্গলে রাজাই মানায়, ফিল্ড মার্শাল নয়।’ পাকিস্তানি দ্য ডনের পোস্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কারাগারে বন্দী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) আদিয়ালা কারাগারে আইনজীবী, সাংবাদিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপরই বিষয়টি নজরে আসে। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পাকিস্তানি সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে কটাক্ষ করে বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধানকে ‘ফিল্ড মার্শাল’ নয়, ‘রাজা’ উপাধি দেওয়া উচিত ছিল।
গত মঙ্গলবার (২০ মে) ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতে জেনারেল আসিম মুনির অসামান্য ভূমিকার জন্য ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত হয়েছেন। পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রায় ৬০ বছর পর কোনো সামরিক কর্মকর্তাকে ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদে উন্নীত করা হয়।
ইমরান খান তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘মাশা আল্লাহ, জেনারেল আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল করা হয়েছে। সত্যি বলতে, তাঁর জন্য রাজা উপাধি বেশি মানানসই হতো। কারণ, এখন দেশ জঙ্গলের আইন দ্বারা শাসিত হচ্ছে। আর সেই জঙ্গলে একটাই রাজা থাকে।’
গত বছরের আগস্ট থেকে একাধিক মামলায় কারাগারে থাকা ইমরান খান আরও বলেন, তাঁর সঙ্গে কোনো চুক্তির গুজব সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি লিখেছেন, ‘আমার সঙ্গে কারও কোনো চুক্তি হয়নি, কোনো আলোচনাও চলছে না। এগুলো ভিত্তিহীন অভিযোগ।’ তবে তিনি সামরিক প্রতিষ্ঠানকে প্রকাশ্যে তাঁর সঙ্গে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, যদি তারা সত্যিই পাকিস্তানের স্বার্থ ও ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত থাকে।
ইমরান খান বলেন, ‘দেশ এখন বাইরের হুমকি, সন্ত্রাসবাদ ও অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমি আগে কখনো নিজের জন্য কিছু চাইনি, এখনো চাইব না।’
ইমরান খান শাহবাজ শরিফের সরকারকে ভারতের আরেকটি সম্ভাব্য হামলা সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
শাহবাজ শরিফ আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি গণতন্ত্রের মূল চেতনাকে পিষে ফেলার প্রতিফলন। আপনি যখন এমন বার্তা দেন যে চোর যত বড় হবে, তার পদ তত উঁচু হবে—তখন আপনি ন্যায়বিচারকে কবর দেন।’ তিনি প্রেসিডেন্ট আসিফ জারদারির বোনের বিরুদ্ধে কর্মচারীদের নামে পাঁচটি অ্যাপার্টমেন্ট নিবন্ধনের একটি মামলার কথা উল্লেখ করেন, যিনি বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রেসিডেন্ট আসিফ জারদারির বোনকে এ বিষয়ে কেউ প্রশ্ন করারও সাহস পায় না। শাহবাজ শরীফের বিরুদ্ধে ২২ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি পাচারের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ইমরান খান আরও বলেন, গত তিন বছরে পাকিস্তানের নৈতিক ও সাংবিধানিক কাঠামো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে। তোশাখানা-২ মামলায় একটি প্রহসনমূলক বিচার পুনরায় শুরু হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, কারাগারে তাঁর বোনেরা এবং আইনজীবীদের আদালতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না; তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না; কয়েক মাস ধরে শিশুদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন; এমনকি তাঁর বইও দেওয়া হচ্ছে না এবং চিকিৎসক পর্যন্ত তাঁর কাছে যেতে পারছেন না। তিনি এটিকে আদালতের আদেশ ও আইনের ধারাবাহিক লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন।
ইমরান খান খাইবার পাখতুনখাওয়ার কিছু এলাকায় ড্রোন হামলার তথ্য পেয়েছেন বলেও জানান। তিনি খাইবার পাখতুনখাওয়া সরকারকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানাতে এবং এই ড্রোন হামলা বন্ধ করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
সব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়ালই যুক্তরাষ্ট্র। আজ রোববার, মধ্যপ্রাচ্যের স্থানীয় সময় ভোরে ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র— ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই স্থাপনাগুলোতে গত শুক্রবার ইসরায়েলও হামলা চালিয়েছিল।
৫ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
৩ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
৩ ঘণ্টা আগে