কলকাতা প্রতিনিধি

ভারতে জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধি গত পাঁচ দশকে এক নতুন ধাপে এসে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ সরকারি তথ্য বলছে, ৫০ বছরে দেশটিতে জন্ম ও মৃত্যুহার দুই-ই প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে আসা শুধু স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি নয়, বরং পরিবার পরিকল্পনা, সামাজিক পরিবর্তন, নগরায়ণ এবং শিক্ষা বিস্তারেরও প্রতিফলন।
নমুনা নিবন্ধনব্যবস্থা বা স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের (এসআরএস) ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, জন্মহার অর্থাৎ প্রতি হাজার জনে জীবিত নবজাতকের সংখ্যা গত অর্ধশতকে সর্বভারতীয় স্তরে ৩৬ দশমিক ৯ থেকে নেমে এসেছে ১৮ দশমিক ৪-এ। অর্থাৎ, জন্মহার অর্ধেক হয়ে গেছে।
শুধু গত ১০ বছরের হিসাব নিলে দেখা যায়, ২০১৩ সালে এই জন্মহার ছিল ২১ দশমিক ৪, যা ২০২৩ সালে এসে ১৮ দশমিক ৪-এ দাঁড়িয়েছে। শহর-গ্রামভেদেও বড় পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। গ্রামীণ অঞ্চলে একসময় জন্মহার ছিল অনেক বেশি—১৯৭১ সালে প্রতি হাজারে ৪১ দশমিক ১ জন শিশুর জন্ম হতো। এখন সেই হার নেমে এসেছে ২০ দশমিক ৩-এ। অন্যদিকে নগরাঞ্চলে একই সময়ে জন্মহার ১৭ দশমিক ৩ থেকে নেমেছে ১৪ দশমিক ৯-এ।
আঞ্চলিক বৈষম্যও বড় স্পষ্ট। সর্বশেষ তথ্য বলছে, জন্মহারে শীর্ষে রয়েছে বিহার, যেখানে ২০২৩ সালে প্রতি হাজারে জন্মহার দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৮।
বিপরীতে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে জন্মহার সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ১। উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে জন্মহার এখনো গড়ের তুলনায় অনেক বেশি। আবার কেরালা, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশে জন্মহার তুলনামূলক কম। demographers মনে করছেন, ভারতের দক্ষিণ ও উত্তর রাজ্যগুলোর মধ্যে এই বৈষম্য আগামী দিনে দেশের সামাজিক কাঠামো ও শ্রমবাজারে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
শুধু জন্মহার নয়, মৃত্যুহারও গত পাঁচ দশকে অর্ধেক হয়ে গেছে। ১৯৭১ সালে মৃত্যুহার ছিল ১৪ দশমিক ৯, এখন সেটি নেমে এসেছে ৬ দশমিক ৪-এ। অর্থাৎ, প্রতি হাজারে মৃত্যুর সংখ্যা কমছে, মানুষের আয়ুষ্কাল বেড়েছে, স্বাস্থ্যসেবার বিস্তার ঘটেছে। ২০১৩ সালে মৃত্যুহার ছিল ৭ দশমিক শূন্য, এখন ৬ দশমিক ৪। গ্রামীণ এলাকায় মৃত্যুহার ৬ দশমিক ৮, আর শহরে ৫ দশমিক ৭। তবে রাজ্যভেদে ছবিটা আলাদা—ছত্তিশগড়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুহার ৮ দশমিক ৩ আর চণ্ডীগড়ে সর্বনিম্ন ৪ দশমিক শূন্য।
আরেকটি বড় পরিবর্তন ঘটেছে শিশুর মৃত্যুহারে। ২০১৩ সালে প্রতি হাজার জীবিত জন্মে শিশু মৃত্যুর হার ছিল ৪০। ২০২৩ সালে সেটি নেমে এসেছে ২৫-এ। অর্থাৎ এক দশকে শিশু মৃত্যু প্রায় ৩৭ শতাংশ কমেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ, টিকাদান কর্মসূচি, মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শিক্ষা বিস্তারের ফলে শিশু মৃত্যুর হার দ্রুত কমছে। তবে এখনো বহু দরিদ্র ও পশ্চাৎপদ অঞ্চলে এই হার উদ্বেগজনক।
জনসংখ্যা বিজ্ঞানের বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভারতের জন্মহার দ্রুত হ্রাস পাওয়া মানে পরিবার ছোট হচ্ছে। সমাজে সন্তানের সংখ্যা সীমিত রাখার প্রবণতা বেড়েছে। শিক্ষা, বিশেষ করে নারী শিক্ষার বিস্তার, নারীদের কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণ এবং পরিবার পরিকল্পনা সহজলভ্য হওয়ার কারণে এই পরিবর্তন হয়েছে। অন্যদিকে মৃত্যুহার হ্রাস মানে স্বাস্থ্যব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে, ওষুধের সহজলভ্যতা বেড়েছে, গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র সম্প্রসারিত হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রক্ষেপণ বলছে, আগামী দুই দশকে ভারতের জন্মহার আরও কমবে এবং দেশটি ‘রিপ্লেসমেন্ট লেভেল ফার্টিলিটি’র কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ, প্রত্যেক নারী গড়ে ২ দশমিক ১টি সন্তানের জন্ম দিলে জনসংখ্যা স্থিতিশীল হয়। ভারতের অনেক রাজ্য ইতিমধ্যে এই স্তরে পৌঁছে গেছে। তবে বিহার, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্য এখনো অনেকটা দূরে। এই বৈষম্যের কারণে দেশটির ভবিষ্যৎ জনসংখ্যাগত গতি নির্ধারিত হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবর্তনের দুটি দিক রয়েছে। একদিকে কম জন্মহার মানে ভবিষ্যতে শ্রমশক্তির সংকট তৈরি হতে পারে, বয়স্ক জনসংখ্যা বেড়ে যাবে, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে চাপ বাড়বে। অন্যদিকে এটি অর্থনীতির জন্যও ইতিবাচক হতে পারে। কারণ কম জন্মহার মানে নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা কমে যাবে, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অনুপাত বাড়বে, যা অর্থনীতিতে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ তৈরি করতে পারে।
অর্ধশতকে জন্ম ও মৃত্যুহারের এই নাটকীয় পরিবর্তন ভারতের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোয় বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভারতে জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধি গত পাঁচ দশকে এক নতুন ধাপে এসে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ সরকারি তথ্য বলছে, ৫০ বছরে দেশটিতে জন্ম ও মৃত্যুহার দুই-ই প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে আসা শুধু স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি নয়, বরং পরিবার পরিকল্পনা, সামাজিক পরিবর্তন, নগরায়ণ এবং শিক্ষা বিস্তারেরও প্রতিফলন।
নমুনা নিবন্ধনব্যবস্থা বা স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের (এসআরএস) ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, জন্মহার অর্থাৎ প্রতি হাজার জনে জীবিত নবজাতকের সংখ্যা গত অর্ধশতকে সর্বভারতীয় স্তরে ৩৬ দশমিক ৯ থেকে নেমে এসেছে ১৮ দশমিক ৪-এ। অর্থাৎ, জন্মহার অর্ধেক হয়ে গেছে।
শুধু গত ১০ বছরের হিসাব নিলে দেখা যায়, ২০১৩ সালে এই জন্মহার ছিল ২১ দশমিক ৪, যা ২০২৩ সালে এসে ১৮ দশমিক ৪-এ দাঁড়িয়েছে। শহর-গ্রামভেদেও বড় পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। গ্রামীণ অঞ্চলে একসময় জন্মহার ছিল অনেক বেশি—১৯৭১ সালে প্রতি হাজারে ৪১ দশমিক ১ জন শিশুর জন্ম হতো। এখন সেই হার নেমে এসেছে ২০ দশমিক ৩-এ। অন্যদিকে নগরাঞ্চলে একই সময়ে জন্মহার ১৭ দশমিক ৩ থেকে নেমেছে ১৪ দশমিক ৯-এ।
আঞ্চলিক বৈষম্যও বড় স্পষ্ট। সর্বশেষ তথ্য বলছে, জন্মহারে শীর্ষে রয়েছে বিহার, যেখানে ২০২৩ সালে প্রতি হাজারে জন্মহার দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৮।
বিপরীতে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে জন্মহার সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ১। উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে জন্মহার এখনো গড়ের তুলনায় অনেক বেশি। আবার কেরালা, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশে জন্মহার তুলনামূলক কম। demographers মনে করছেন, ভারতের দক্ষিণ ও উত্তর রাজ্যগুলোর মধ্যে এই বৈষম্য আগামী দিনে দেশের সামাজিক কাঠামো ও শ্রমবাজারে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
শুধু জন্মহার নয়, মৃত্যুহারও গত পাঁচ দশকে অর্ধেক হয়ে গেছে। ১৯৭১ সালে মৃত্যুহার ছিল ১৪ দশমিক ৯, এখন সেটি নেমে এসেছে ৬ দশমিক ৪-এ। অর্থাৎ, প্রতি হাজারে মৃত্যুর সংখ্যা কমছে, মানুষের আয়ুষ্কাল বেড়েছে, স্বাস্থ্যসেবার বিস্তার ঘটেছে। ২০১৩ সালে মৃত্যুহার ছিল ৭ দশমিক শূন্য, এখন ৬ দশমিক ৪। গ্রামীণ এলাকায় মৃত্যুহার ৬ দশমিক ৮, আর শহরে ৫ দশমিক ৭। তবে রাজ্যভেদে ছবিটা আলাদা—ছত্তিশগড়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুহার ৮ দশমিক ৩ আর চণ্ডীগড়ে সর্বনিম্ন ৪ দশমিক শূন্য।
আরেকটি বড় পরিবর্তন ঘটেছে শিশুর মৃত্যুহারে। ২০১৩ সালে প্রতি হাজার জীবিত জন্মে শিশু মৃত্যুর হার ছিল ৪০। ২০২৩ সালে সেটি নেমে এসেছে ২৫-এ। অর্থাৎ এক দশকে শিশু মৃত্যু প্রায় ৩৭ শতাংশ কমেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ, টিকাদান কর্মসূচি, মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শিক্ষা বিস্তারের ফলে শিশু মৃত্যুর হার দ্রুত কমছে। তবে এখনো বহু দরিদ্র ও পশ্চাৎপদ অঞ্চলে এই হার উদ্বেগজনক।
জনসংখ্যা বিজ্ঞানের বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভারতের জন্মহার দ্রুত হ্রাস পাওয়া মানে পরিবার ছোট হচ্ছে। সমাজে সন্তানের সংখ্যা সীমিত রাখার প্রবণতা বেড়েছে। শিক্ষা, বিশেষ করে নারী শিক্ষার বিস্তার, নারীদের কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণ এবং পরিবার পরিকল্পনা সহজলভ্য হওয়ার কারণে এই পরিবর্তন হয়েছে। অন্যদিকে মৃত্যুহার হ্রাস মানে স্বাস্থ্যব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে, ওষুধের সহজলভ্যতা বেড়েছে, গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র সম্প্রসারিত হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রক্ষেপণ বলছে, আগামী দুই দশকে ভারতের জন্মহার আরও কমবে এবং দেশটি ‘রিপ্লেসমেন্ট লেভেল ফার্টিলিটি’র কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ, প্রত্যেক নারী গড়ে ২ দশমিক ১টি সন্তানের জন্ম দিলে জনসংখ্যা স্থিতিশীল হয়। ভারতের অনেক রাজ্য ইতিমধ্যে এই স্তরে পৌঁছে গেছে। তবে বিহার, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্য এখনো অনেকটা দূরে। এই বৈষম্যের কারণে দেশটির ভবিষ্যৎ জনসংখ্যাগত গতি নির্ধারিত হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবর্তনের দুটি দিক রয়েছে। একদিকে কম জন্মহার মানে ভবিষ্যতে শ্রমশক্তির সংকট তৈরি হতে পারে, বয়স্ক জনসংখ্যা বেড়ে যাবে, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে চাপ বাড়বে। অন্যদিকে এটি অর্থনীতির জন্যও ইতিবাচক হতে পারে। কারণ কম জন্মহার মানে নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা কমে যাবে, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অনুপাত বাড়বে, যা অর্থনীতিতে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ তৈরি করতে পারে।
অর্ধশতকে জন্ম ও মৃত্যুহারের এই নাটকীয় পরিবর্তন ভারতের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোয় বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কলকাতা প্রতিনিধি

ভারতে জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধি গত পাঁচ দশকে এক নতুন ধাপে এসে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ সরকারি তথ্য বলছে, ৫০ বছরে দেশটিতে জন্ম ও মৃত্যুহার দুই-ই প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে আসা শুধু স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি নয়, বরং পরিবার পরিকল্পনা, সামাজিক পরিবর্তন, নগরায়ণ এবং শিক্ষা বিস্তারেরও প্রতিফলন।
নমুনা নিবন্ধনব্যবস্থা বা স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের (এসআরএস) ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, জন্মহার অর্থাৎ প্রতি হাজার জনে জীবিত নবজাতকের সংখ্যা গত অর্ধশতকে সর্বভারতীয় স্তরে ৩৬ দশমিক ৯ থেকে নেমে এসেছে ১৮ দশমিক ৪-এ। অর্থাৎ, জন্মহার অর্ধেক হয়ে গেছে।
শুধু গত ১০ বছরের হিসাব নিলে দেখা যায়, ২০১৩ সালে এই জন্মহার ছিল ২১ দশমিক ৪, যা ২০২৩ সালে এসে ১৮ দশমিক ৪-এ দাঁড়িয়েছে। শহর-গ্রামভেদেও বড় পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। গ্রামীণ অঞ্চলে একসময় জন্মহার ছিল অনেক বেশি—১৯৭১ সালে প্রতি হাজারে ৪১ দশমিক ১ জন শিশুর জন্ম হতো। এখন সেই হার নেমে এসেছে ২০ দশমিক ৩-এ। অন্যদিকে নগরাঞ্চলে একই সময়ে জন্মহার ১৭ দশমিক ৩ থেকে নেমেছে ১৪ দশমিক ৯-এ।
আঞ্চলিক বৈষম্যও বড় স্পষ্ট। সর্বশেষ তথ্য বলছে, জন্মহারে শীর্ষে রয়েছে বিহার, যেখানে ২০২৩ সালে প্রতি হাজারে জন্মহার দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৮।
বিপরীতে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে জন্মহার সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ১। উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে জন্মহার এখনো গড়ের তুলনায় অনেক বেশি। আবার কেরালা, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশে জন্মহার তুলনামূলক কম। demographers মনে করছেন, ভারতের দক্ষিণ ও উত্তর রাজ্যগুলোর মধ্যে এই বৈষম্য আগামী দিনে দেশের সামাজিক কাঠামো ও শ্রমবাজারে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
শুধু জন্মহার নয়, মৃত্যুহারও গত পাঁচ দশকে অর্ধেক হয়ে গেছে। ১৯৭১ সালে মৃত্যুহার ছিল ১৪ দশমিক ৯, এখন সেটি নেমে এসেছে ৬ দশমিক ৪-এ। অর্থাৎ, প্রতি হাজারে মৃত্যুর সংখ্যা কমছে, মানুষের আয়ুষ্কাল বেড়েছে, স্বাস্থ্যসেবার বিস্তার ঘটেছে। ২০১৩ সালে মৃত্যুহার ছিল ৭ দশমিক শূন্য, এখন ৬ দশমিক ৪। গ্রামীণ এলাকায় মৃত্যুহার ৬ দশমিক ৮, আর শহরে ৫ দশমিক ৭। তবে রাজ্যভেদে ছবিটা আলাদা—ছত্তিশগড়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুহার ৮ দশমিক ৩ আর চণ্ডীগড়ে সর্বনিম্ন ৪ দশমিক শূন্য।
আরেকটি বড় পরিবর্তন ঘটেছে শিশুর মৃত্যুহারে। ২০১৩ সালে প্রতি হাজার জীবিত জন্মে শিশু মৃত্যুর হার ছিল ৪০। ২০২৩ সালে সেটি নেমে এসেছে ২৫-এ। অর্থাৎ এক দশকে শিশু মৃত্যু প্রায় ৩৭ শতাংশ কমেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ, টিকাদান কর্মসূচি, মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শিক্ষা বিস্তারের ফলে শিশু মৃত্যুর হার দ্রুত কমছে। তবে এখনো বহু দরিদ্র ও পশ্চাৎপদ অঞ্চলে এই হার উদ্বেগজনক।
জনসংখ্যা বিজ্ঞানের বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভারতের জন্মহার দ্রুত হ্রাস পাওয়া মানে পরিবার ছোট হচ্ছে। সমাজে সন্তানের সংখ্যা সীমিত রাখার প্রবণতা বেড়েছে। শিক্ষা, বিশেষ করে নারী শিক্ষার বিস্তার, নারীদের কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণ এবং পরিবার পরিকল্পনা সহজলভ্য হওয়ার কারণে এই পরিবর্তন হয়েছে। অন্যদিকে মৃত্যুহার হ্রাস মানে স্বাস্থ্যব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে, ওষুধের সহজলভ্যতা বেড়েছে, গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র সম্প্রসারিত হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রক্ষেপণ বলছে, আগামী দুই দশকে ভারতের জন্মহার আরও কমবে এবং দেশটি ‘রিপ্লেসমেন্ট লেভেল ফার্টিলিটি’র কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ, প্রত্যেক নারী গড়ে ২ দশমিক ১টি সন্তানের জন্ম দিলে জনসংখ্যা স্থিতিশীল হয়। ভারতের অনেক রাজ্য ইতিমধ্যে এই স্তরে পৌঁছে গেছে। তবে বিহার, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্য এখনো অনেকটা দূরে। এই বৈষম্যের কারণে দেশটির ভবিষ্যৎ জনসংখ্যাগত গতি নির্ধারিত হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবর্তনের দুটি দিক রয়েছে। একদিকে কম জন্মহার মানে ভবিষ্যতে শ্রমশক্তির সংকট তৈরি হতে পারে, বয়স্ক জনসংখ্যা বেড়ে যাবে, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে চাপ বাড়বে। অন্যদিকে এটি অর্থনীতির জন্যও ইতিবাচক হতে পারে। কারণ কম জন্মহার মানে নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা কমে যাবে, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অনুপাত বাড়বে, যা অর্থনীতিতে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ তৈরি করতে পারে।
অর্ধশতকে জন্ম ও মৃত্যুহারের এই নাটকীয় পরিবর্তন ভারতের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোয় বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভারতে জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধি গত পাঁচ দশকে এক নতুন ধাপে এসে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ সরকারি তথ্য বলছে, ৫০ বছরে দেশটিতে জন্ম ও মৃত্যুহার দুই-ই প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে আসা শুধু স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি নয়, বরং পরিবার পরিকল্পনা, সামাজিক পরিবর্তন, নগরায়ণ এবং শিক্ষা বিস্তারেরও প্রতিফলন।
নমুনা নিবন্ধনব্যবস্থা বা স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের (এসআরএস) ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, জন্মহার অর্থাৎ প্রতি হাজার জনে জীবিত নবজাতকের সংখ্যা গত অর্ধশতকে সর্বভারতীয় স্তরে ৩৬ দশমিক ৯ থেকে নেমে এসেছে ১৮ দশমিক ৪-এ। অর্থাৎ, জন্মহার অর্ধেক হয়ে গেছে।
শুধু গত ১০ বছরের হিসাব নিলে দেখা যায়, ২০১৩ সালে এই জন্মহার ছিল ২১ দশমিক ৪, যা ২০২৩ সালে এসে ১৮ দশমিক ৪-এ দাঁড়িয়েছে। শহর-গ্রামভেদেও বড় পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। গ্রামীণ অঞ্চলে একসময় জন্মহার ছিল অনেক বেশি—১৯৭১ সালে প্রতি হাজারে ৪১ দশমিক ১ জন শিশুর জন্ম হতো। এখন সেই হার নেমে এসেছে ২০ দশমিক ৩-এ। অন্যদিকে নগরাঞ্চলে একই সময়ে জন্মহার ১৭ দশমিক ৩ থেকে নেমেছে ১৪ দশমিক ৯-এ।
আঞ্চলিক বৈষম্যও বড় স্পষ্ট। সর্বশেষ তথ্য বলছে, জন্মহারে শীর্ষে রয়েছে বিহার, যেখানে ২০২৩ সালে প্রতি হাজারে জন্মহার দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৮।
বিপরীতে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে জন্মহার সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ১। উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে জন্মহার এখনো গড়ের তুলনায় অনেক বেশি। আবার কেরালা, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশে জন্মহার তুলনামূলক কম। demographers মনে করছেন, ভারতের দক্ষিণ ও উত্তর রাজ্যগুলোর মধ্যে এই বৈষম্য আগামী দিনে দেশের সামাজিক কাঠামো ও শ্রমবাজারে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
শুধু জন্মহার নয়, মৃত্যুহারও গত পাঁচ দশকে অর্ধেক হয়ে গেছে। ১৯৭১ সালে মৃত্যুহার ছিল ১৪ দশমিক ৯, এখন সেটি নেমে এসেছে ৬ দশমিক ৪-এ। অর্থাৎ, প্রতি হাজারে মৃত্যুর সংখ্যা কমছে, মানুষের আয়ুষ্কাল বেড়েছে, স্বাস্থ্যসেবার বিস্তার ঘটেছে। ২০১৩ সালে মৃত্যুহার ছিল ৭ দশমিক শূন্য, এখন ৬ দশমিক ৪। গ্রামীণ এলাকায় মৃত্যুহার ৬ দশমিক ৮, আর শহরে ৫ দশমিক ৭। তবে রাজ্যভেদে ছবিটা আলাদা—ছত্তিশগড়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুহার ৮ দশমিক ৩ আর চণ্ডীগড়ে সর্বনিম্ন ৪ দশমিক শূন্য।
আরেকটি বড় পরিবর্তন ঘটেছে শিশুর মৃত্যুহারে। ২০১৩ সালে প্রতি হাজার জীবিত জন্মে শিশু মৃত্যুর হার ছিল ৪০। ২০২৩ সালে সেটি নেমে এসেছে ২৫-এ। অর্থাৎ এক দশকে শিশু মৃত্যু প্রায় ৩৭ শতাংশ কমেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ, টিকাদান কর্মসূচি, মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শিক্ষা বিস্তারের ফলে শিশু মৃত্যুর হার দ্রুত কমছে। তবে এখনো বহু দরিদ্র ও পশ্চাৎপদ অঞ্চলে এই হার উদ্বেগজনক।
জনসংখ্যা বিজ্ঞানের বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভারতের জন্মহার দ্রুত হ্রাস পাওয়া মানে পরিবার ছোট হচ্ছে। সমাজে সন্তানের সংখ্যা সীমিত রাখার প্রবণতা বেড়েছে। শিক্ষা, বিশেষ করে নারী শিক্ষার বিস্তার, নারীদের কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণ এবং পরিবার পরিকল্পনা সহজলভ্য হওয়ার কারণে এই পরিবর্তন হয়েছে। অন্যদিকে মৃত্যুহার হ্রাস মানে স্বাস্থ্যব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে, ওষুধের সহজলভ্যতা বেড়েছে, গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র সম্প্রসারিত হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রক্ষেপণ বলছে, আগামী দুই দশকে ভারতের জন্মহার আরও কমবে এবং দেশটি ‘রিপ্লেসমেন্ট লেভেল ফার্টিলিটি’র কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ, প্রত্যেক নারী গড়ে ২ দশমিক ১টি সন্তানের জন্ম দিলে জনসংখ্যা স্থিতিশীল হয়। ভারতের অনেক রাজ্য ইতিমধ্যে এই স্তরে পৌঁছে গেছে। তবে বিহার, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্য এখনো অনেকটা দূরে। এই বৈষম্যের কারণে দেশটির ভবিষ্যৎ জনসংখ্যাগত গতি নির্ধারিত হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবর্তনের দুটি দিক রয়েছে। একদিকে কম জন্মহার মানে ভবিষ্যতে শ্রমশক্তির সংকট তৈরি হতে পারে, বয়স্ক জনসংখ্যা বেড়ে যাবে, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে চাপ বাড়বে। অন্যদিকে এটি অর্থনীতির জন্যও ইতিবাচক হতে পারে। কারণ কম জন্মহার মানে নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা কমে যাবে, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অনুপাত বাড়বে, যা অর্থনীতিতে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ তৈরি করতে পারে।
অর্ধশতকে জন্ম ও মৃত্যুহারের এই নাটকীয় পরিবর্তন ভারতের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোয় বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর...
১৭ মিনিট আগে
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ
১০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
১১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে স্বাগত জানান। দুই নেতা করমর্দন, আলিঙ্গন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা একই গাড়িতে বিমানবন্দর ছাড়েন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর বা সহযোগী হিসাবে ব্যাপকভাবে উপহাসের পাত্র ছিলেন।
আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার বেদুঈন তারাবিন উপজাতির এই নেতার বয়স ৩০-এর কোঠায়। গত বছর একটি মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান হিসেবে উত্থান না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে তিনি কার্যত অচেনা ছিলেন।
আবু শাবাবের গোষ্ঠী প্রাথমিকভাবে ‘অ্যান্টি-টেরর সার্ভিস’ নামে পরিচিত হলেও, এই বছরের মে মাস নাগাদ এটি ‘পপুলার ফোর্সেস’ হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এটি ছিল অন্তত ১০০ জন যোদ্ধার একটি সুসজ্জিত দল, যা গাজার ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করত।
গোষ্ঠীটি একটি অপরাধী চক্র এবং ইসরায়েলি প্রক্সি ফোর্সের মাঝামাঝি অবস্থানে কাজ করত, তবে নিজেদেরকে হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিবেদিত একটি জাতীয়তাবাদী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হিসাবে তুলে ধরত।
এই প্রচারের একটি উদ্দেশ্য ইসরায়েলের জন্য ছিল, কিন্তু এই গোষ্ঠীর চূড়ান্ত লক্ষ্য কী ছিল তা কখনোই স্পষ্ট ছিল না। বিশেষ করে, যখন এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে পপুলার ফোর্সেসের কোনো ধরনের ব্যাপক জনসমর্থন নেই। এর কারণ হলো, অনেক ফিলিস্তিনিদের চোখে, আবু শাবাব ছিলেন অপরাধী। গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে তিনি জেল থেকে পালান। তিনি মাদক-সম্পর্কিত অভিযোগে বেশ কয়েক বছর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাবন্দী ছিলেন।
পরে, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার সময় ইসরায়েলের সঙ্গে তাঁর জোট অধিকাংশ ফিলিস্তিনির চোখে তাঁকে অপরাধী করে তোলে। এমনকি তাঁর নিজের গোত্রও এক বিবৃতিতে বলেছিল যে, তাঁর মৃত্য ‘একটি অন্ধকার অধ্যায়ের সমাপ্তি হিসাবে কাজ করে যা গোত্রের ইতিহাসকে প্রতিনিধিত্ব করে না।’
আবু শাবাবের গোষ্ঠীর প্রাথমিক নামকরণ ‘সন্ত্রাস-বিরোধী’ ভাষা ব্যবহার করে করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি ছিল হাস্যকর। কারণ, তাঁর গোষ্ঠীর সঙ্গে আইএসআইএল-এর সংযোগের রিপোর্ট ছিল। যদিও সেই সংযোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো অভিন্ন মতাদর্শের চেয়ে মিশরীয় সিনাই উপদ্বীপ থেকে গাজায় চোরাচালানে সহযোগিতা সম্পর্কিত ছিল।
আবু শাবাবের পটভূমি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর উপস্থিতির মধ্যেও সর্বদা একটি বৈসাদৃশ্য ছিল। তিনি ইংরেজি ভাষায় পোস্ট করতেন এমনকি, ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে লিখিত নিবন্ধও শেয়ার করেছিলেন তিনি।
সেই নিবন্ধে আবু শাবাব দাবি করেছিলেন, তাঁর পপুলার ফোর্সেস গাজার দক্ষিণে অবস্থিত পূর্ব রাফার বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারা ‘একটি নতুন ভবিষ্যৎ গড়তে প্রস্তুত।’ নিবন্ধটিতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো সেই ফিলিস্তিনিদের আলাদা করা, যাদের হামাসের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই, যুদ্ধের আগুন থেকে।’
আবু শাবাব যখন ইসরায়েলের সঙ্গে পপুলার ফোর্সেসের সংযোগ ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জুনে স্বীকার করেন যে, তার সরকার হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে ব্যবহার করছে। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে এটি স্পষ্ট এ ধরনের একটি গোষ্ঠী আবু শাবাবের বাহিনী।
আবু শাবাব সিএনএনকে বলেছিলেন যে, তিনি ‘এই সম্প্রদায়ের নাগরিকদের একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন যারা মানবিক সহায়তা লুটপাট ও দুর্নীতি থেকে রক্ষা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হয়েছেন’, এবং তার গোষ্ঠী তাদের বাহিনীর সাহায্য বিতরণের ছবিও শেয়ার করে।
কিন্তু এরপর থেকে আবু শাবাব এবং পপুলার ফোর্সেসের বিরুদ্ধে সাহায্যের কনভয় থেকে লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়। গাজার নিরাপত্তা সূত্র আল জাজিরা আরবিকে নিশ্চিত করেছে যে ইসরায়েল-সমর্থিত গোষ্ঠীটি লুটপাটে অংশ নিয়েছিল।
ইসরায়েলি বিধিনিষেধ এবং ফিলিস্তিনি অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে যখন গাজা দুর্ভিক্ষের শিকার হচ্ছিল, সেই সময়ে এই অভিযোগগুলি আবু শাবাবকে কেবলই একজন ইসরায়েলি প্রক্সি হিসাবে দেখার ধারণাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।
তাই হয়তো এটা অবাক হওয়ার মতো নয় যে গাজার খুব কম ফিলিস্তিনি—এমনকি যারা হামাসের বিরোধী—আবু শাবাবের মৃত্যুতে অশ্রু ঝরিয়েছেন।
তাঁর হত্যার পরিস্থিতি এখনও অস্পষ্ট—আবু শাবাবের উৎস এবং যুদ্ধের সময় তার ভূমিকা যেমন ছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত, যেহেতু এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে হামাসের একটি প্রকৃত বিকল্প হওয়ার মতো সমর্থন বা ক্ষমতা তার ছিল না, তাই তার ভাগ্য ক্রমশ নিশ্চিত বলেই মনে হচ্ছিল।

গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর বা সহযোগী হিসাবে ব্যাপকভাবে উপহাসের পাত্র ছিলেন।
আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার বেদুঈন তারাবিন উপজাতির এই নেতার বয়স ৩০-এর কোঠায়। গত বছর একটি মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান হিসেবে উত্থান না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে তিনি কার্যত অচেনা ছিলেন।
আবু শাবাবের গোষ্ঠী প্রাথমিকভাবে ‘অ্যান্টি-টেরর সার্ভিস’ নামে পরিচিত হলেও, এই বছরের মে মাস নাগাদ এটি ‘পপুলার ফোর্সেস’ হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এটি ছিল অন্তত ১০০ জন যোদ্ধার একটি সুসজ্জিত দল, যা গাজার ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করত।
গোষ্ঠীটি একটি অপরাধী চক্র এবং ইসরায়েলি প্রক্সি ফোর্সের মাঝামাঝি অবস্থানে কাজ করত, তবে নিজেদেরকে হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিবেদিত একটি জাতীয়তাবাদী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হিসাবে তুলে ধরত।
এই প্রচারের একটি উদ্দেশ্য ইসরায়েলের জন্য ছিল, কিন্তু এই গোষ্ঠীর চূড়ান্ত লক্ষ্য কী ছিল তা কখনোই স্পষ্ট ছিল না। বিশেষ করে, যখন এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে পপুলার ফোর্সেসের কোনো ধরনের ব্যাপক জনসমর্থন নেই। এর কারণ হলো, অনেক ফিলিস্তিনিদের চোখে, আবু শাবাব ছিলেন অপরাধী। গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে তিনি জেল থেকে পালান। তিনি মাদক-সম্পর্কিত অভিযোগে বেশ কয়েক বছর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাবন্দী ছিলেন।
পরে, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার সময় ইসরায়েলের সঙ্গে তাঁর জোট অধিকাংশ ফিলিস্তিনির চোখে তাঁকে অপরাধী করে তোলে। এমনকি তাঁর নিজের গোত্রও এক বিবৃতিতে বলেছিল যে, তাঁর মৃত্য ‘একটি অন্ধকার অধ্যায়ের সমাপ্তি হিসাবে কাজ করে যা গোত্রের ইতিহাসকে প্রতিনিধিত্ব করে না।’
আবু শাবাবের গোষ্ঠীর প্রাথমিক নামকরণ ‘সন্ত্রাস-বিরোধী’ ভাষা ব্যবহার করে করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি ছিল হাস্যকর। কারণ, তাঁর গোষ্ঠীর সঙ্গে আইএসআইএল-এর সংযোগের রিপোর্ট ছিল। যদিও সেই সংযোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো অভিন্ন মতাদর্শের চেয়ে মিশরীয় সিনাই উপদ্বীপ থেকে গাজায় চোরাচালানে সহযোগিতা সম্পর্কিত ছিল।
আবু শাবাবের পটভূমি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর উপস্থিতির মধ্যেও সর্বদা একটি বৈসাদৃশ্য ছিল। তিনি ইংরেজি ভাষায় পোস্ট করতেন এমনকি, ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে লিখিত নিবন্ধও শেয়ার করেছিলেন তিনি।
সেই নিবন্ধে আবু শাবাব দাবি করেছিলেন, তাঁর পপুলার ফোর্সেস গাজার দক্ষিণে অবস্থিত পূর্ব রাফার বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারা ‘একটি নতুন ভবিষ্যৎ গড়তে প্রস্তুত।’ নিবন্ধটিতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো সেই ফিলিস্তিনিদের আলাদা করা, যাদের হামাসের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই, যুদ্ধের আগুন থেকে।’
আবু শাবাব যখন ইসরায়েলের সঙ্গে পপুলার ফোর্সেসের সংযোগ ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জুনে স্বীকার করেন যে, তার সরকার হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে ব্যবহার করছে। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে এটি স্পষ্ট এ ধরনের একটি গোষ্ঠী আবু শাবাবের বাহিনী।
আবু শাবাব সিএনএনকে বলেছিলেন যে, তিনি ‘এই সম্প্রদায়ের নাগরিকদের একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন যারা মানবিক সহায়তা লুটপাট ও দুর্নীতি থেকে রক্ষা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হয়েছেন’, এবং তার গোষ্ঠী তাদের বাহিনীর সাহায্য বিতরণের ছবিও শেয়ার করে।
কিন্তু এরপর থেকে আবু শাবাব এবং পপুলার ফোর্সেসের বিরুদ্ধে সাহায্যের কনভয় থেকে লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়। গাজার নিরাপত্তা সূত্র আল জাজিরা আরবিকে নিশ্চিত করেছে যে ইসরায়েল-সমর্থিত গোষ্ঠীটি লুটপাটে অংশ নিয়েছিল।
ইসরায়েলি বিধিনিষেধ এবং ফিলিস্তিনি অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে যখন গাজা দুর্ভিক্ষের শিকার হচ্ছিল, সেই সময়ে এই অভিযোগগুলি আবু শাবাবকে কেবলই একজন ইসরায়েলি প্রক্সি হিসাবে দেখার ধারণাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।
তাই হয়তো এটা অবাক হওয়ার মতো নয় যে গাজার খুব কম ফিলিস্তিনি—এমনকি যারা হামাসের বিরোধী—আবু শাবাবের মৃত্যুতে অশ্রু ঝরিয়েছেন।
তাঁর হত্যার পরিস্থিতি এখনও অস্পষ্ট—আবু শাবাবের উৎস এবং যুদ্ধের সময় তার ভূমিকা যেমন ছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত, যেহেতু এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে হামাসের একটি প্রকৃত বিকল্প হওয়ার মতো সমর্থন বা ক্ষমতা তার ছিল না, তাই তার ভাগ্য ক্রমশ নিশ্চিত বলেই মনে হচ্ছিল।

শুধু গত ১০ বছরের হিসাব নিলে দেখা যায়, ২০১৩ সালে এই জন্মহার ছিল ২১ দশমিক ৪, যা ২০২৩ সালে এসে ১৮ দশমিক ৪-এ দাঁড়িয়েছে। শহর-গ্রামভেদেও বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। গ্রামীণ অঞ্চলে একসময় জন্মহার ছিল অনেক বেশি—১৯৭১ সালে প্রতি হাজার জনে ৪১.১ শিশুর জন্ম হতো।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ
১০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
১১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে স্বাগত জানান। দুই নেতা করমর্দন, আলিঙ্গন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা একই গাড়িতে বিমানবন্দর ছাড়েন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘ যুদ্ধ ও ব্যাপক অভিবাসনের কারণে ইউক্রেন ভয়াবহ জনসংখ্যার সংকটে পড়েছে। দেশটির সামনে এখন বড় প্রশ্ন—মানুষই যদি না থাকে, তাহলে যুদ্ধ শেষ হলে দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেবে কারা?
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ হওয়ার কথা ছিল।’
২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের আগে ইউক্রেনের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ। বর্তমানে তা কমে ৩ কোটি ৬০ লাখের নিচে নেমে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ২০৫১ সালে দেশটির জনসংখ্যা মাত্র আড়াই কোটিতে নেমে আসতে পারে।
এদিকে বিভিন্ন জরিপে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুকের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে এখন একেকটি জন্মের বিপরীতে মৃত্যু হচ্ছে তিনটি। এই মুহূর্তে এটি বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ অনুপাত। যুদ্ধের কারণে দেশটির পুরুষদের গড় আয়ু এখন কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৭.৩ বছর। নারীদের ক্ষেত্রেও তা ৭৪.৪ থেকে নেমে ৭০.৯ বছরে এসেছে।
হশচা অঞ্চলে এখন স্মৃতি হয়ে আছে বহু তরুণ ও পুরুষের ছবি, যাঁরা যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে এই অঞ্চলের ১৪১ জন যুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
এদিকে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে অনেক পরিবার তাদের সন্তানদের বিদেশে পাঠাচ্ছে। স্কুলগুলো খালি হয়ে যাচ্ছে। হশচার কাছাকাছি সাদোভে গ্রামে শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ৯ জনে নেমে আসায় স্কুল বন্ধ করতে হয়েছে।
যুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠন ও প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনের লাখো কর্মীর প্রয়োজন হবে। তাই সরকার ২০৪০ সাল পর্যন্ত একটি জনসংখ্যা পুনর্গঠন পরিকল্পনা করেছে। এতে অভিবাসন কমানো, বিদেশে থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা এবং প্রয়োজনে বিদেশি শ্রমিক আকৃষ্ট করার কথা বলা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন—যদি বর্তমান অবস্থা চলতে থাকে তবে ২০৪০ সালেও জনসংখ্যা ২ কোটি ৯০ লাখের নিচে নেমে আসতে পারে।

অস্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তাই এখন ইউক্রেনে পরিবার গঠনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হশচার ২১ বছর বয়সী আনাস্তাসিয়া বলেন, ‘এখন পরিবার শুরু করা মানে অস্থির ভবিষ্যৎ। ঘরবাড়ির খরচ বেড়েছে, পরিকল্পনা করা অসম্ভব হয়ে গেছে।’
তবুও সন্তান এক ধরনের আশার প্রতীক। স্থানীয় কর্মকর্তা আনাস্তাসিয়া তাবেকোভা স্বামী যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা অবস্থায়ই সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যখন জানতে পারলাম, আমি গর্ভবতী, তার কয়েক দিন পরই আমার স্বামীকে ডাকা হয়েছিল।’
আনাস্তাসিয়া আরও বলেন, ‘আমি অনেক স্ত্রীকে জানি যাদের স্বামীরা লড়াই করছে। আমি এমন স্ত্রীদের জানি যাদের স্বামীরা দুর্ভাগ্যবশত আর আমাদের মাঝে নেই। তাদের কেউ কেউ এখন থেরাপিতে আছে, কারও কারও কাছে তাদের সন্তানেরাই আনন্দের মুহূর্ত, হাল না ছাড়ার কারণ।’
ইউক্রেনের এই জনসংখ্যা সংকট এখন শুধু পরিসংখ্যান নয়—এটি যুদ্ধের দীর্ঘ ছায়া, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও তাড়া করে ফিরবে।

দীর্ঘ যুদ্ধ ও ব্যাপক অভিবাসনের কারণে ইউক্রেন ভয়াবহ জনসংখ্যার সংকটে পড়েছে। দেশটির সামনে এখন বড় প্রশ্ন—মানুষই যদি না থাকে, তাহলে যুদ্ধ শেষ হলে দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেবে কারা?
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ হওয়ার কথা ছিল।’
২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের আগে ইউক্রেনের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ। বর্তমানে তা কমে ৩ কোটি ৬০ লাখের নিচে নেমে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ২০৫১ সালে দেশটির জনসংখ্যা মাত্র আড়াই কোটিতে নেমে আসতে পারে।
এদিকে বিভিন্ন জরিপে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুকের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে এখন একেকটি জন্মের বিপরীতে মৃত্যু হচ্ছে তিনটি। এই মুহূর্তে এটি বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ অনুপাত। যুদ্ধের কারণে দেশটির পুরুষদের গড় আয়ু এখন কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৭.৩ বছর। নারীদের ক্ষেত্রেও তা ৭৪.৪ থেকে নেমে ৭০.৯ বছরে এসেছে।
হশচা অঞ্চলে এখন স্মৃতি হয়ে আছে বহু তরুণ ও পুরুষের ছবি, যাঁরা যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে এই অঞ্চলের ১৪১ জন যুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
এদিকে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে অনেক পরিবার তাদের সন্তানদের বিদেশে পাঠাচ্ছে। স্কুলগুলো খালি হয়ে যাচ্ছে। হশচার কাছাকাছি সাদোভে গ্রামে শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ৯ জনে নেমে আসায় স্কুল বন্ধ করতে হয়েছে।
যুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠন ও প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনের লাখো কর্মীর প্রয়োজন হবে। তাই সরকার ২০৪০ সাল পর্যন্ত একটি জনসংখ্যা পুনর্গঠন পরিকল্পনা করেছে। এতে অভিবাসন কমানো, বিদেশে থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা এবং প্রয়োজনে বিদেশি শ্রমিক আকৃষ্ট করার কথা বলা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন—যদি বর্তমান অবস্থা চলতে থাকে তবে ২০৪০ সালেও জনসংখ্যা ২ কোটি ৯০ লাখের নিচে নেমে আসতে পারে।

অস্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তাই এখন ইউক্রেনে পরিবার গঠনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হশচার ২১ বছর বয়সী আনাস্তাসিয়া বলেন, ‘এখন পরিবার শুরু করা মানে অস্থির ভবিষ্যৎ। ঘরবাড়ির খরচ বেড়েছে, পরিকল্পনা করা অসম্ভব হয়ে গেছে।’
তবুও সন্তান এক ধরনের আশার প্রতীক। স্থানীয় কর্মকর্তা আনাস্তাসিয়া তাবেকোভা স্বামী যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা অবস্থায়ই সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যখন জানতে পারলাম, আমি গর্ভবতী, তার কয়েক দিন পরই আমার স্বামীকে ডাকা হয়েছিল।’
আনাস্তাসিয়া আরও বলেন, ‘আমি অনেক স্ত্রীকে জানি যাদের স্বামীরা লড়াই করছে। আমি এমন স্ত্রীদের জানি যাদের স্বামীরা দুর্ভাগ্যবশত আর আমাদের মাঝে নেই। তাদের কেউ কেউ এখন থেরাপিতে আছে, কারও কারও কাছে তাদের সন্তানেরাই আনন্দের মুহূর্ত, হাল না ছাড়ার কারণ।’
ইউক্রেনের এই জনসংখ্যা সংকট এখন শুধু পরিসংখ্যান নয়—এটি যুদ্ধের দীর্ঘ ছায়া, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও তাড়া করে ফিরবে।

শুধু গত ১০ বছরের হিসাব নিলে দেখা যায়, ২০১৩ সালে এই জন্মহার ছিল ২১ দশমিক ৪, যা ২০২৩ সালে এসে ১৮ দশমিক ৪-এ দাঁড়িয়েছে। শহর-গ্রামভেদেও বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। গ্রামীণ অঞ্চলে একসময় জন্মহার ছিল অনেক বেশি—১৯৭১ সালে প্রতি হাজার জনে ৪১.১ শিশুর জন্ম হতো।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর...
১৭ মিনিট আগে
যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
১১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে স্বাগত জানান। দুই নেতা করমর্দন, আলিঙ্গন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা একই গাড়িতে বিমানবন্দর ছাড়েন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, শিক্ষার্থী ভিসা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র দপ্তর। গত সেপ্টেম্বরে কার্যকর হয় যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন ভিসা কমপ্লায়েন্স নীতি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভিসা স্পনসর করতে হলে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিবছর ‘বেসিক কমপ্লায়েন্স অ্যাসেসমেন্ট’ (বিসিএ) নামের একটি মূল্যায়নে উত্তীর্ণ হতে হয়। এই মূল্যায়নে তিনটি সূচক দেখা হয়। আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার, যুক্তরাজ্যে এসে কোর্সে উপস্থিত না হওয়া এবং মাঝপথে কোর্স ত্যাগের হার।
স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যেন মোট ভিসা আবেদনকারীর ৫ শতাংশের বেশি প্রত্যাখ্যাত না হয়। ইতিপূর্বে এই হার ছিল ১০ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার ১৮ শতাংশ এবং বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তা ২২ শতাংশ, যা নতুন সীমা থেকে অনেক বেশি।
এই কারণে অন্তত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় এই দুই দেশ থেকে শিক্ষার্থী নিয়োগ স্থগিত বা কমিয়ে দিয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব চেস্টার পাকিস্তান থেকে ভর্তি ২০২৬ সালের শরৎকাল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে। ওভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তান ও বাংলাদেশ—দুই দেশ থেকেই স্নাতক পর্যায়ের আবেদন বন্ধ করেছে। সান্ডারল্যান্ড এবং কোভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, এটি শিক্ষার্থী ভিসা ব্যবস্থার ‘বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’।
গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান, অক্সফোর্ড ব্রুকস, ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ারসহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী নিয়োগ নীতিতে সাময়িক পরিবর্তন এনেছে। বেশির ভাগের দাবি, ভিসা প্রক্রিয়ার দীর্ঘ সময়, ভুয়া আবেদন ও নিয়ম লঙ্ঘনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতেই এই সিদ্ধান্ত।
যুক্তরাজ্যের অভিবাসন ব্যবস্থায় সাম্প্রতিক সংস্কারের লক্ষ্য হলো ভুয়া আবেদন প্রতিরোধ এবং মোট অভিবাসন কমানো। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা শিক্ষার্থী ভিসাধারীদের মধ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন বেড়েছে, যা উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দেশটির শিক্ষা উপদেষ্টা মরিয়ম আব্বাস এই সিদ্ধান্তকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর দাবি, প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীরা শেষ সময়ে আবেদন বাতিলের কারণে বিপাকে পড়ছেন। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু বিদেশি শিক্ষা এজেন্ট শুধু কমিশনের ভিত্তিতে ভর্তি করাতে আগ্রহী, যা ভুয়া আবেদন বাড়াচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিম্ন টিউশন ফি নির্ভর অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ছাড়া টিকে থাকতে পারবে না। ফলে এই নীতির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হতে পারে গুরুতর।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র অফিস জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব বোঝে। তবে একই সঙ্গে নিশ্চিত করতে চায়, যারা যুক্তরাজ্যে যাবে—তারা যেন প্রকৃত ও যোগ্য শিক্ষার্থী হন।

যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, শিক্ষার্থী ভিসা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র দপ্তর। গত সেপ্টেম্বরে কার্যকর হয় যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন ভিসা কমপ্লায়েন্স নীতি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভিসা স্পনসর করতে হলে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিবছর ‘বেসিক কমপ্লায়েন্স অ্যাসেসমেন্ট’ (বিসিএ) নামের একটি মূল্যায়নে উত্তীর্ণ হতে হয়। এই মূল্যায়নে তিনটি সূচক দেখা হয়। আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার, যুক্তরাজ্যে এসে কোর্সে উপস্থিত না হওয়া এবং মাঝপথে কোর্স ত্যাগের হার।
স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যেন মোট ভিসা আবেদনকারীর ৫ শতাংশের বেশি প্রত্যাখ্যাত না হয়। ইতিপূর্বে এই হার ছিল ১০ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার ১৮ শতাংশ এবং বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তা ২২ শতাংশ, যা নতুন সীমা থেকে অনেক বেশি।
এই কারণে অন্তত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় এই দুই দেশ থেকে শিক্ষার্থী নিয়োগ স্থগিত বা কমিয়ে দিয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব চেস্টার পাকিস্তান থেকে ভর্তি ২০২৬ সালের শরৎকাল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে। ওভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তান ও বাংলাদেশ—দুই দেশ থেকেই স্নাতক পর্যায়ের আবেদন বন্ধ করেছে। সান্ডারল্যান্ড এবং কোভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, এটি শিক্ষার্থী ভিসা ব্যবস্থার ‘বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’।
গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান, অক্সফোর্ড ব্রুকস, ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ারসহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী নিয়োগ নীতিতে সাময়িক পরিবর্তন এনেছে। বেশির ভাগের দাবি, ভিসা প্রক্রিয়ার দীর্ঘ সময়, ভুয়া আবেদন ও নিয়ম লঙ্ঘনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতেই এই সিদ্ধান্ত।
যুক্তরাজ্যের অভিবাসন ব্যবস্থায় সাম্প্রতিক সংস্কারের লক্ষ্য হলো ভুয়া আবেদন প্রতিরোধ এবং মোট অভিবাসন কমানো। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা শিক্ষার্থী ভিসাধারীদের মধ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন বেড়েছে, যা উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দেশটির শিক্ষা উপদেষ্টা মরিয়ম আব্বাস এই সিদ্ধান্তকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর দাবি, প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীরা শেষ সময়ে আবেদন বাতিলের কারণে বিপাকে পড়ছেন। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু বিদেশি শিক্ষা এজেন্ট শুধু কমিশনের ভিত্তিতে ভর্তি করাতে আগ্রহী, যা ভুয়া আবেদন বাড়াচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিম্ন টিউশন ফি নির্ভর অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ছাড়া টিকে থাকতে পারবে না। ফলে এই নীতির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হতে পারে গুরুতর।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র অফিস জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব বোঝে। তবে একই সঙ্গে নিশ্চিত করতে চায়, যারা যুক্তরাজ্যে যাবে—তারা যেন প্রকৃত ও যোগ্য শিক্ষার্থী হন।

শুধু গত ১০ বছরের হিসাব নিলে দেখা যায়, ২০১৩ সালে এই জন্মহার ছিল ২১ দশমিক ৪, যা ২০২৩ সালে এসে ১৮ দশমিক ৪-এ দাঁড়িয়েছে। শহর-গ্রামভেদেও বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। গ্রামীণ অঞ্চলে একসময় জন্মহার ছিল অনেক বেশি—১৯৭১ সালে প্রতি হাজার জনে ৪১.১ শিশুর জন্ম হতো।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর...
১৭ মিনিট আগে
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ
১০ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে স্বাগত জানান। দুই নেতা করমর্দন, আলিঙ্গন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা একই গাড়িতে বিমানবন্দর ছাড়েন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে স্বাগত জানান। দুই নেতা করমর্দন, আলিঙ্গন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা একই গাড়িতে বিমানবন্দর ছাড়েন।
রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক জানিয়েছে, পুতিনকে ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানিয়ে মোদি প্রটোকল ভেঙেছেন এবং এই আচরণ রুশ পক্ষকে বিস্মিত করেছে। রিপোর্টে বলা হয়, মোদির এই পদক্ষেপ সম্পর্কে রাশিয়াকে আগে জানানো হয়নি। ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপিও এক্সে পোস্ট করে জানিয়েছে, নিয়মের বাইরে গিয়ে মোদি নিজেই বিমানবন্দরে পুতিনকে বরণ করেছেন।
দুই দিনব্যাপী ভারত সফরে পুতিন দশম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেবেন। আজ রাতেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকারি বাসভবনে দুই নেতার মধ্যে ব্যক্তিগত ডিনার অনুষ্ঠিত হবে। ডিনার সম্পর্কে অফিশিয়াল তথ্য প্রকাশ না হলেও এটি ঘনিষ্ঠ আলোচনার পরিবেশ তৈরির উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিমানবন্দর থেকে মোদি ও পুতিন একটি টয়োটা ফর্চুনার গাড়িতে চড়ে রওনা দেন। গাড়িটি মোদি ব্যবহার করেন। উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে চীনে অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে পুতিন তাঁর সরকারি গাড়িতে মোদিকে যাত্রাসঙ্গী করেছিলেন। সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির দায়ে দেশটির পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
আগামীকাল শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) পুতিন ও মোদির মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই বৈঠকের কেন্দ্রবিন্দু হবে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিস্তার।
বর্তমানে ভারত ও রাশিয়ার বাণিজ্য সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত রপ্তানি বাড়াতে চাইছে—বিশেষত সামুদ্রিক পণ্য, আলু, ডালিম, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভোক্তাসামগ্রী ও ওষুধ খাতে।
অন্যদিকে ভারত এখনো রুশ সার আমদানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। প্রতিবছর দেশটি রাশিয়া থেকে তিন থেকে পাঁচ মিলিয়ন টন সার আমদানি করে এবং ভবিষ্যতে এই সহযোগিতা আরও গভীর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই সফরকে দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে স্বাগত জানান। দুই নেতা করমর্দন, আলিঙ্গন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা একই গাড়িতে বিমানবন্দর ছাড়েন।
রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক জানিয়েছে, পুতিনকে ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানিয়ে মোদি প্রটোকল ভেঙেছেন এবং এই আচরণ রুশ পক্ষকে বিস্মিত করেছে। রিপোর্টে বলা হয়, মোদির এই পদক্ষেপ সম্পর্কে রাশিয়াকে আগে জানানো হয়নি। ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপিও এক্সে পোস্ট করে জানিয়েছে, নিয়মের বাইরে গিয়ে মোদি নিজেই বিমানবন্দরে পুতিনকে বরণ করেছেন।
দুই দিনব্যাপী ভারত সফরে পুতিন দশম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেবেন। আজ রাতেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকারি বাসভবনে দুই নেতার মধ্যে ব্যক্তিগত ডিনার অনুষ্ঠিত হবে। ডিনার সম্পর্কে অফিশিয়াল তথ্য প্রকাশ না হলেও এটি ঘনিষ্ঠ আলোচনার পরিবেশ তৈরির উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিমানবন্দর থেকে মোদি ও পুতিন একটি টয়োটা ফর্চুনার গাড়িতে চড়ে রওনা দেন। গাড়িটি মোদি ব্যবহার করেন। উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে চীনে অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে পুতিন তাঁর সরকারি গাড়িতে মোদিকে যাত্রাসঙ্গী করেছিলেন। সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির দায়ে দেশটির পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
আগামীকাল শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) পুতিন ও মোদির মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই বৈঠকের কেন্দ্রবিন্দু হবে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিস্তার।
বর্তমানে ভারত ও রাশিয়ার বাণিজ্য সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত রপ্তানি বাড়াতে চাইছে—বিশেষত সামুদ্রিক পণ্য, আলু, ডালিম, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভোক্তাসামগ্রী ও ওষুধ খাতে।
অন্যদিকে ভারত এখনো রুশ সার আমদানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। প্রতিবছর দেশটি রাশিয়া থেকে তিন থেকে পাঁচ মিলিয়ন টন সার আমদানি করে এবং ভবিষ্যতে এই সহযোগিতা আরও গভীর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই সফরকে দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।

শুধু গত ১০ বছরের হিসাব নিলে দেখা যায়, ২০১৩ সালে এই জন্মহার ছিল ২১ দশমিক ৪, যা ২০২৩ সালে এসে ১৮ দশমিক ৪-এ দাঁড়িয়েছে। শহর-গ্রামভেদেও বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। গ্রামীণ অঞ্চলে একসময় জন্মহার ছিল অনেক বেশি—১৯৭১ সালে প্রতি হাজার জনে ৪১.১ শিশুর জন্ম হতো।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর...
১৭ মিনিট আগে
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ
১০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
১১ ঘণ্টা আগে