
মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সেনাপতি মীর বাকি ১৫২৮ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৬০০ বছর আগে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় একটি অংশের দাবি, এই মসজিদটি হিন্দুধর্মের অন্যতম দেবতা রামের জন্মভূমির ওপর নির্মিত। সেই সূত্র ধরে বাবরি মসজিদকে কেন্দ্র করে প্রথম আপত্তি উত্থাপিত হয় ১৭৫১ সালে। এরপর ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রামমন্দির। আজ সোমবার সেই মন্দিরের উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
অযোধ্যার বাবরি মসজিদ বনাম রামমন্দিরের ২ দশমিক ৭৭ একর জায়গাকে কেন্দ্র করে মূল দ্বন্দ্ব। এই বাবরি মসজিদ বনাম রামমন্দিরকে ইস্যু করে বিজেপি ক্রমেই জনমত হাসিল করেছে। তার ফলাফল হিসেবে ১৯৮৪ সালে লোকসভায় মাত্র দুটি আসন পাওয়া বিজেপি ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৩০৩টি আসন নিয়ে প্রধান দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
যা হোক, ১৫২৮ সালে মীর বাকির নির্মিত বাবরি মসজিদ নিয়ে প্রথম আপত্তি উত্থাপিত হয় ১৭৫১ সালে। মারাঠারা সে বছর অযোধ্যা, কাশী, মাথুরাসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলের ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ দাবি করে। এর ফলে বেশ কয়েক দফা বিবাদ-সংঘাত সংঘটিত হয়। যদিও এর কোনো রেকর্ড কোনো নথিপত্রে পাওয়া যায় না।
এরপর ১০০ বছরের বেশি সময় পর সিপাহি বিদ্রোহের ঠিক এক বছর পর ১৮৫৮ সালে নিহাং শিখরা অযোধ্যার বাবরি মসজিদে ভাঙচুর চালায় এবং ‘হওয়ান’ নামে একধরনের আচার পালন করে। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের পুলিশের নথি অনুসারে, বাবরি মসজিদ দখলের এটিই প্রথম প্রচেষ্টা। নিহাং শিখদের পর সে সময় স্থানীয় হিন্দুরা মসজিদে প্রবেশ করে পূজা করেছিল।
তবে আইনি দিক থেকে বাবরি মসজিদ নিয়ে প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৮৮৫ সালে। নির্মোহী আখড়া নামে একটি গোষ্ঠীর সন্ন্যাসী মোহন্ত রঘুবীর দাস উত্তর প্রদেশের ফয়জাবাদ জেলা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় রঘুবীর দাবি করেন, তাঁকে বাবরি মসজিদের বাইরের প্রাঙ্গণে একটি মন্দির তৈরির অনুমতি দেওয়া হোক। সে সময় আদালত সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
এ ঘটনার দীর্ঘদিন পর ১৯৪৯ সালে অর্থাৎ ভারত স্বাধীন হওয়ার দুই বছর পর বাবরি মসজিদের মূল গম্বুজের নিচে ‘রাম লাল্লার’ মূর্তি স্থাপন করা হয়। সে বছর ডিসেম্বরের ২২ ও ২৩ তারিখে একদল হিন্দু মসজিদের ভেতরে অবস্থান নেন। অনেকে দাবি করেন, সে সময় রামের সেই মূর্তি ‘অলৌকিকভাবে’ মসজিদের ভেতরে গিয়েছিল। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফয়জাবাদ আদালত মসজিদটিতে মুসলিম ও হিন্দু—দুই সম্প্রদায়ের জন্যই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন এবং সরকারের হাওলায় ছেড়ে দেন।
যা হোক, ১৯৪৯ সালে মসজিদের ভেতরে যে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল, তা আর সরানো হয়নি। পরে ১৯৫০ সালে সেই মূর্তি পূজা করার অনুমতি চেয়ে গোপাল শিমলা বিশারদ নামে একজন ফয়জাবাদ আদালতে আবেদন করেন। এর প্রায় ৯ বছর পর নির্মোহী আখড়া আবারও দৃশ্যপটে হাজির হয়। সে বছর গোষ্ঠীটি বাবরি মসজিদের স্থানে মূর্তিপূজার অনুমতি চায়। ১৯৬১ সালে সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াক্ফ বোর্ড মসজিদ খুলে দেওয়ার আবেদন করে আদালতে।
১৯৮৪-৮৬ সালের মধ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু করে। ১৯৮৬ সালে স্থানীয় আদালত হিন্দুদের জন্য বাবরি মসজিদের তালা খোলার অনুমতি দেন। ধারণা করা হয়, সে সময় রাজীব গান্ধীর সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছিল। ১৯৮৬-৮৭ সালের মধ্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) বাবরি মসজিদ ও তৎসংলগ্ন জায়গা রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানায়। পাশাপাশি গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরের মতো একটি বিশাল মন্দির প্রতিষ্ঠারও দাবি জানায় গোষ্ঠীটি।
কিন্তু দুই বছর পরেই অর্থাৎ ১৯৮৯ সালের আগস্টে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বিতর্কিত বাবরি মসজিদের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ পুনর্বহাল করেন। পরে ১৯৮৯ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লক্ষ্ণৌ বেঞ্চে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ একটি আবেদন করে। আবেদনে বিতর্কিত জায়গাটিকে ভগবান রামের নামের ঘোষণা করার আরজি জানানো হয়।
একই বছরে ফয়জাবাদ আদালতে এ-সংক্রান্ত যত মামলা ঝুলে ছিল, তা হাইকোর্টে স্থানান্তর করা হয়। সে বছরের নভেম্বরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বিতর্কিত ভূমিসংলগ্ন একটি ভূমিতে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। সে মাসেই রাজীব গান্ধী জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করেন ফয়জাবাদ থেকে।
এ বছরই প্রথমবার রামমন্দির আন্দোলনে যোগ দেয় বিজেপি। দলটি পালামপুর অধিবেশনে একটি রাজনৈতিক প্রস্তাব পাস করে। সেখানে বলা হয়, বাবরি মসজিদকেন্দ্রিক বিরোধ দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। এটি সম্ভব না হলে সক্রিয় আইনের মাধ্যমে তা করা উচিত। তবে প্রস্তাবে আরও বলা হয়, এটা হিন্দুদের বিশ্বাসের বিষয় এবং তাই এটি কোনোভাবেই আইন দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না।
বিজেপির নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানি সোমনাথ মন্দির থেকে অযোধ্যা অভিমুখে একটি ‘যাত্রা’র আয়োজন করেন। তিনি দাবি করেন, অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সে বছরের অক্টোবরে বিহারে আদভানিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তিনি গ্রেপ্তার হলেও যাত্রা থামেনি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস এবং বিজেপির নেতা-কর্মীরা অযোধ্যা অভিমুখে যাত্রা এগিয়ে নেন এবং মসজিদ ভাঙচুর করার চেষ্টা করেন। অক্টোবরের ৩০ তারিখে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদবের সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ যাত্রায় গুলি করে। ফলে বাবরি মসজিদ সে যাত্রায় রক্ষা পায়।
কিন্তু সেই ঘটনার মাত্র এক মাস ছয় দিনের মাথায় ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলেন আন্দোলনকারীরা। সে সময় উত্তর প্রদেশের ক্ষমতায় ছিলেন কল্যাণ সিং। ঘটনার দিন কয়েক হাজার করসেবক (বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস এবং বিজেপির সমর্থক) মসজিদ ভেঙে ফেলেন।
তার আগে, বিজেপি নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানি, মুরলী মনোহর যোশী, নৃত্য গোপাল দাস ও সাধ্বী রীতাম্বরা সমবেত ব্যক্তিদের উদ্দেশে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন এবং মসজিদের জায়গায় রামমন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর করসেবকেরা বাবরি মসজিদে হামলা চালিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুরো কাঠামো ভেঙে ফেলেন। সে সময় কল্যাণ সিং সরকার সুপ্রিম কোর্টকে মসজিদের ক্ষতি হবে না—এমন আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও পুলিশ করসেবকদের বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশনে যায়নি।
এই ভাঙচুরের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। একটিতে মসজিদ ধ্বংসের জন্য অজ্ঞাত করসেবকদের আসামি করা হয় এবং অপরটিতে বিজেপি নেতা আদভানি, যোশী, উমা ভারতী ও অন্যদের বিরুদ্ধে ধ্বংসের আগে সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। পরে অবশ্য সবাই অভিযোগ থেকে খালাস পান। এর পরপরই ভারতজুড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে।
পরের বছর, অর্থাৎ ১৯৯৩ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বিতর্কিত স্থানসহ অযোধ্যায় ৬৭ দশমিক ৭ একর জমি অধিগ্রহণ করে। সে বছরের অক্টোবরে সিবিআই আদভানি ও অন্যদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে চার্জশিট ফাইল করে। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯৪ সালে জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখেন। একই সময়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লক্ষ্ণৌ বেঞ্চ বিতর্কিত এলাকার সব মামলার শুনানি শুরু করেন এবং সেখানে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের নির্দেশ দেন।
দীর্ঘ কয়েক বছর পর ২০০৩ সালে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ বিতর্কিত স্থানটির খনন শুরু করে। ২০০৯ সালে লিবারহান কমিশন গঠনের ১৬ বছর পর তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করে। কমিশন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বিষয়টি স্বতঃস্ফূর্ত ছিল না; বরং এটি দীর্ঘদিনে শ্রমসাধ্য প্রস্তুতি ও পূর্বপরিকল্পনার মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়েছিল।
এরপর ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে এই বিতর্কিত ভূমিকে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন বলে ঘোষণা দেন। পরে আদালত ২ দশমিক ৭৭ একর বিতর্কিত এলাকাটি সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রাম লাল্লার মধ্যে ভাগ করে দেন। পরে সে বছরের মে মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন এবং উভয় পক্ষের আপিলের ওপর স্টে অর্ডার দেন।
ভারতের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জে এস খেহার ২০১৭ সালের মার্চে বিরোধের বিষয়টি আদালতের বাইরে নিষ্পত্তির পরামর্শ দেন। সে বছরের আগস্টে বিরোধের বিভিন্ন পক্ষের আবেদনের শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্ট তিন বিচারপতির সমন্বয়ে একটি বেঞ্চ গঠন করে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জমি বিরোধ মামলার আপিলের শুনানি শুরু হয়।
এই মামলার শুনানির জন্য ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হয় ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে। সে বছরের ৯ নভেম্বর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বিতর্কিত স্থানে মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা, বিতর্কিত ২ দশমিক ৭৭ একর জমি রামমন্দির নির্মাণের জন্য সরকারের স্থাপিত একটি ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করা হবে। রায়ে আরও বলা হয়, ‘বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা, আইনের শাসনের গুরুতর লঙ্ঘন ছিল।’ রায়ে নতুন করে মসজিদ নির্মাণের জন্য অযোধ্যায় মুসলমানদের জন্য ৫ একর জায়গা বরাদ্দ করারও নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটির পার্লামেন্টে জানান, মন্ত্রিসভা মন্দির নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার সভাপতি হবেন রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সভাপতি ও রাম জন্মভূমি নিবাসের প্রধান মহন্ত নৃত্য গোপাল দাস। পরে সে বছর ৫ আগস্ট রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মোদি।
পরে মন্দির নির্মাণের ব্যয় নির্বাহের জন্য ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ৪৫ দিনব্যাপী তহবিল সংগ্রহের অভিযান শুরু হয়। সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি রুপিরও বেশি সংগ্রহ করা হয় এবং সর্বশেষ স্থানীয় সময় আজ সোমবার দুপুরে মোদি এই মন্দিরের উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি ও টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া

মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সেনাপতি মীর বাকি ১৫২৮ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৬০০ বছর আগে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় একটি অংশের দাবি, এই মসজিদটি হিন্দুধর্মের অন্যতম দেবতা রামের জন্মভূমির ওপর নির্মিত। সেই সূত্র ধরে বাবরি মসজিদকে কেন্দ্র করে প্রথম আপত্তি উত্থাপিত হয় ১৭৫১ সালে। এরপর ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রামমন্দির। আজ সোমবার সেই মন্দিরের উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
অযোধ্যার বাবরি মসজিদ বনাম রামমন্দিরের ২ দশমিক ৭৭ একর জায়গাকে কেন্দ্র করে মূল দ্বন্দ্ব। এই বাবরি মসজিদ বনাম রামমন্দিরকে ইস্যু করে বিজেপি ক্রমেই জনমত হাসিল করেছে। তার ফলাফল হিসেবে ১৯৮৪ সালে লোকসভায় মাত্র দুটি আসন পাওয়া বিজেপি ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৩০৩টি আসন নিয়ে প্রধান দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
যা হোক, ১৫২৮ সালে মীর বাকির নির্মিত বাবরি মসজিদ নিয়ে প্রথম আপত্তি উত্থাপিত হয় ১৭৫১ সালে। মারাঠারা সে বছর অযোধ্যা, কাশী, মাথুরাসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলের ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ দাবি করে। এর ফলে বেশ কয়েক দফা বিবাদ-সংঘাত সংঘটিত হয়। যদিও এর কোনো রেকর্ড কোনো নথিপত্রে পাওয়া যায় না।
এরপর ১০০ বছরের বেশি সময় পর সিপাহি বিদ্রোহের ঠিক এক বছর পর ১৮৫৮ সালে নিহাং শিখরা অযোধ্যার বাবরি মসজিদে ভাঙচুর চালায় এবং ‘হওয়ান’ নামে একধরনের আচার পালন করে। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের পুলিশের নথি অনুসারে, বাবরি মসজিদ দখলের এটিই প্রথম প্রচেষ্টা। নিহাং শিখদের পর সে সময় স্থানীয় হিন্দুরা মসজিদে প্রবেশ করে পূজা করেছিল।
তবে আইনি দিক থেকে বাবরি মসজিদ নিয়ে প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৮৮৫ সালে। নির্মোহী আখড়া নামে একটি গোষ্ঠীর সন্ন্যাসী মোহন্ত রঘুবীর দাস উত্তর প্রদেশের ফয়জাবাদ জেলা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় রঘুবীর দাবি করেন, তাঁকে বাবরি মসজিদের বাইরের প্রাঙ্গণে একটি মন্দির তৈরির অনুমতি দেওয়া হোক। সে সময় আদালত সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
এ ঘটনার দীর্ঘদিন পর ১৯৪৯ সালে অর্থাৎ ভারত স্বাধীন হওয়ার দুই বছর পর বাবরি মসজিদের মূল গম্বুজের নিচে ‘রাম লাল্লার’ মূর্তি স্থাপন করা হয়। সে বছর ডিসেম্বরের ২২ ও ২৩ তারিখে একদল হিন্দু মসজিদের ভেতরে অবস্থান নেন। অনেকে দাবি করেন, সে সময় রামের সেই মূর্তি ‘অলৌকিকভাবে’ মসজিদের ভেতরে গিয়েছিল। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফয়জাবাদ আদালত মসজিদটিতে মুসলিম ও হিন্দু—দুই সম্প্রদায়ের জন্যই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন এবং সরকারের হাওলায় ছেড়ে দেন।
যা হোক, ১৯৪৯ সালে মসজিদের ভেতরে যে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল, তা আর সরানো হয়নি। পরে ১৯৫০ সালে সেই মূর্তি পূজা করার অনুমতি চেয়ে গোপাল শিমলা বিশারদ নামে একজন ফয়জাবাদ আদালতে আবেদন করেন। এর প্রায় ৯ বছর পর নির্মোহী আখড়া আবারও দৃশ্যপটে হাজির হয়। সে বছর গোষ্ঠীটি বাবরি মসজিদের স্থানে মূর্তিপূজার অনুমতি চায়। ১৯৬১ সালে সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াক্ফ বোর্ড মসজিদ খুলে দেওয়ার আবেদন করে আদালতে।
১৯৮৪-৮৬ সালের মধ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু করে। ১৯৮৬ সালে স্থানীয় আদালত হিন্দুদের জন্য বাবরি মসজিদের তালা খোলার অনুমতি দেন। ধারণা করা হয়, সে সময় রাজীব গান্ধীর সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছিল। ১৯৮৬-৮৭ সালের মধ্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) বাবরি মসজিদ ও তৎসংলগ্ন জায়গা রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানায়। পাশাপাশি গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরের মতো একটি বিশাল মন্দির প্রতিষ্ঠারও দাবি জানায় গোষ্ঠীটি।
কিন্তু দুই বছর পরেই অর্থাৎ ১৯৮৯ সালের আগস্টে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বিতর্কিত বাবরি মসজিদের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ পুনর্বহাল করেন। পরে ১৯৮৯ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লক্ষ্ণৌ বেঞ্চে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ একটি আবেদন করে। আবেদনে বিতর্কিত জায়গাটিকে ভগবান রামের নামের ঘোষণা করার আরজি জানানো হয়।
একই বছরে ফয়জাবাদ আদালতে এ-সংক্রান্ত যত মামলা ঝুলে ছিল, তা হাইকোর্টে স্থানান্তর করা হয়। সে বছরের নভেম্বরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বিতর্কিত ভূমিসংলগ্ন একটি ভূমিতে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। সে মাসেই রাজীব গান্ধী জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করেন ফয়জাবাদ থেকে।
এ বছরই প্রথমবার রামমন্দির আন্দোলনে যোগ দেয় বিজেপি। দলটি পালামপুর অধিবেশনে একটি রাজনৈতিক প্রস্তাব পাস করে। সেখানে বলা হয়, বাবরি মসজিদকেন্দ্রিক বিরোধ দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। এটি সম্ভব না হলে সক্রিয় আইনের মাধ্যমে তা করা উচিত। তবে প্রস্তাবে আরও বলা হয়, এটা হিন্দুদের বিশ্বাসের বিষয় এবং তাই এটি কোনোভাবেই আইন দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না।
বিজেপির নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানি সোমনাথ মন্দির থেকে অযোধ্যা অভিমুখে একটি ‘যাত্রা’র আয়োজন করেন। তিনি দাবি করেন, অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সে বছরের অক্টোবরে বিহারে আদভানিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তিনি গ্রেপ্তার হলেও যাত্রা থামেনি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস এবং বিজেপির নেতা-কর্মীরা অযোধ্যা অভিমুখে যাত্রা এগিয়ে নেন এবং মসজিদ ভাঙচুর করার চেষ্টা করেন। অক্টোবরের ৩০ তারিখে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদবের সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ যাত্রায় গুলি করে। ফলে বাবরি মসজিদ সে যাত্রায় রক্ষা পায়।
কিন্তু সেই ঘটনার মাত্র এক মাস ছয় দিনের মাথায় ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলেন আন্দোলনকারীরা। সে সময় উত্তর প্রদেশের ক্ষমতায় ছিলেন কল্যাণ সিং। ঘটনার দিন কয়েক হাজার করসেবক (বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস এবং বিজেপির সমর্থক) মসজিদ ভেঙে ফেলেন।
তার আগে, বিজেপি নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানি, মুরলী মনোহর যোশী, নৃত্য গোপাল দাস ও সাধ্বী রীতাম্বরা সমবেত ব্যক্তিদের উদ্দেশে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন এবং মসজিদের জায়গায় রামমন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর করসেবকেরা বাবরি মসজিদে হামলা চালিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুরো কাঠামো ভেঙে ফেলেন। সে সময় কল্যাণ সিং সরকার সুপ্রিম কোর্টকে মসজিদের ক্ষতি হবে না—এমন আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও পুলিশ করসেবকদের বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশনে যায়নি।
এই ভাঙচুরের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। একটিতে মসজিদ ধ্বংসের জন্য অজ্ঞাত করসেবকদের আসামি করা হয় এবং অপরটিতে বিজেপি নেতা আদভানি, যোশী, উমা ভারতী ও অন্যদের বিরুদ্ধে ধ্বংসের আগে সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। পরে অবশ্য সবাই অভিযোগ থেকে খালাস পান। এর পরপরই ভারতজুড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে।
পরের বছর, অর্থাৎ ১৯৯৩ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বিতর্কিত স্থানসহ অযোধ্যায় ৬৭ দশমিক ৭ একর জমি অধিগ্রহণ করে। সে বছরের অক্টোবরে সিবিআই আদভানি ও অন্যদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে চার্জশিট ফাইল করে। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯৪ সালে জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখেন। একই সময়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লক্ষ্ণৌ বেঞ্চ বিতর্কিত এলাকার সব মামলার শুনানি শুরু করেন এবং সেখানে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের নির্দেশ দেন।
দীর্ঘ কয়েক বছর পর ২০০৩ সালে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ বিতর্কিত স্থানটির খনন শুরু করে। ২০০৯ সালে লিবারহান কমিশন গঠনের ১৬ বছর পর তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করে। কমিশন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বিষয়টি স্বতঃস্ফূর্ত ছিল না; বরং এটি দীর্ঘদিনে শ্রমসাধ্য প্রস্তুতি ও পূর্বপরিকল্পনার মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়েছিল।
এরপর ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে এই বিতর্কিত ভূমিকে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন বলে ঘোষণা দেন। পরে আদালত ২ দশমিক ৭৭ একর বিতর্কিত এলাকাটি সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রাম লাল্লার মধ্যে ভাগ করে দেন। পরে সে বছরের মে মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন এবং উভয় পক্ষের আপিলের ওপর স্টে অর্ডার দেন।
ভারতের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জে এস খেহার ২০১৭ সালের মার্চে বিরোধের বিষয়টি আদালতের বাইরে নিষ্পত্তির পরামর্শ দেন। সে বছরের আগস্টে বিরোধের বিভিন্ন পক্ষের আবেদনের শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্ট তিন বিচারপতির সমন্বয়ে একটি বেঞ্চ গঠন করে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জমি বিরোধ মামলার আপিলের শুনানি শুরু হয়।
এই মামলার শুনানির জন্য ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হয় ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে। সে বছরের ৯ নভেম্বর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বিতর্কিত স্থানে মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা, বিতর্কিত ২ দশমিক ৭৭ একর জমি রামমন্দির নির্মাণের জন্য সরকারের স্থাপিত একটি ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করা হবে। রায়ে আরও বলা হয়, ‘বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা, আইনের শাসনের গুরুতর লঙ্ঘন ছিল।’ রায়ে নতুন করে মসজিদ নির্মাণের জন্য অযোধ্যায় মুসলমানদের জন্য ৫ একর জায়গা বরাদ্দ করারও নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটির পার্লামেন্টে জানান, মন্ত্রিসভা মন্দির নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার সভাপতি হবেন রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সভাপতি ও রাম জন্মভূমি নিবাসের প্রধান মহন্ত নৃত্য গোপাল দাস। পরে সে বছর ৫ আগস্ট রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মোদি।
পরে মন্দির নির্মাণের ব্যয় নির্বাহের জন্য ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ৪৫ দিনব্যাপী তহবিল সংগ্রহের অভিযান শুরু হয়। সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি রুপিরও বেশি সংগ্রহ করা হয় এবং সর্বশেষ স্থানীয় সময় আজ সোমবার দুপুরে মোদি এই মন্দিরের উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি ও টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
৫ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
৮ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ইনস্টিটিউট ফর জাপান স্টাডিজ’-এর পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা শুধু এশিয়া নয়, পুরো বিশ্বের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁর ভাষায়, ‘জাপানের পারমাণবিক হওয়ার প্রচেষ্টা মানবজাতির জন্য এক মহাবিপর্যয় বয়ে আনবে।’
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই প্রতিক্রিয়ার পেছনে রয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার সাম্প্রতিক মন্তব্য। জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদো নিউজের খবরে বলা হয়, ওই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে বলেছেন, টোকিওর পারমাণবিক অস্ত্র রাখা উচিত।
এই প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন বা বেপরোয়া মন্তব্য নয়; বরং জাপানের বহুদিনের পারমাণবিক অস্ত্রায়নের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।
উত্তর কোরিয়ার মতে, জাপান তাদের তথাকথিত ‘অ-পারমাণবিক নীতি’ পুনর্বিবেচনার কথা বলে কার্যত একটি ‘লাল রেখা’ অতিক্রম করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাপানের কর্মকর্তাদের মন্তব্যগুলোই বলে দিচ্ছে, টোকিও এখন প্রকাশ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বাসনা জানাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের অনুমোদন দেয়, তার পরপরই জাপানে এই ধরনের বক্তব্য জোরালো হতে শুরু করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে শীর্ষ বৈঠকের পর ওই অনুমোদন দিয়েছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন—জাপান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে, তবে এশিয়া ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তবে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ধারণা করা হয়, উত্তর কোরিয়া নিজেই একটি ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের অধিকারী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান থাকার পরও দেশটি তার পারমাণবিক সক্ষমতা বজায় রাখা ও সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়ে আসছে। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে উত্তর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সন গিয়ং বলেন—পারমাণবিক অস্ত্র তাদের রাষ্ট্রীয় আইন, জাতীয় নীতি এবং সার্বভৌম অধিকারের অংশ, যা তারা কোনো পরিস্থিতিতেই ত্যাগ করবে না।

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ইনস্টিটিউট ফর জাপান স্টাডিজ’-এর পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা শুধু এশিয়া নয়, পুরো বিশ্বের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁর ভাষায়, ‘জাপানের পারমাণবিক হওয়ার প্রচেষ্টা মানবজাতির জন্য এক মহাবিপর্যয় বয়ে আনবে।’
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই প্রতিক্রিয়ার পেছনে রয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার সাম্প্রতিক মন্তব্য। জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদো নিউজের খবরে বলা হয়, ওই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে বলেছেন, টোকিওর পারমাণবিক অস্ত্র রাখা উচিত।
এই প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন বা বেপরোয়া মন্তব্য নয়; বরং জাপানের বহুদিনের পারমাণবিক অস্ত্রায়নের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।
উত্তর কোরিয়ার মতে, জাপান তাদের তথাকথিত ‘অ-পারমাণবিক নীতি’ পুনর্বিবেচনার কথা বলে কার্যত একটি ‘লাল রেখা’ অতিক্রম করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাপানের কর্মকর্তাদের মন্তব্যগুলোই বলে দিচ্ছে, টোকিও এখন প্রকাশ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বাসনা জানাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের অনুমোদন দেয়, তার পরপরই জাপানে এই ধরনের বক্তব্য জোরালো হতে শুরু করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে শীর্ষ বৈঠকের পর ওই অনুমোদন দিয়েছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন—জাপান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে, তবে এশিয়া ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তবে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ধারণা করা হয়, উত্তর কোরিয়া নিজেই একটি ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের অধিকারী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান থাকার পরও দেশটি তার পারমাণবিক সক্ষমতা বজায় রাখা ও সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়ে আসছে। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে উত্তর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সন গিয়ং বলেন—পারমাণবিক অস্ত্র তাদের রাষ্ট্রীয় আইন, জাতীয় নীতি এবং সার্বভৌম অধিকারের অংশ, যা তারা কোনো পরিস্থিতিতেই ত্যাগ করবে না।

মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সেনাপতি মীর বাকি ১৫২৮ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৬০০ বছর আগে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। হিন্দুদের বড় একটি অংশের দাবি, এই মসজিদটি হিন্দুধর্মের অন্যতম দেবতা রামের জন্মভূমির ওপর নির্মিত। সেই সূত্র ধরে বাবরি মসজিদকে কেন্দ্
২২ জানুয়ারি ২০২৪
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
৫ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
৮ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার ধাওয়া করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটি সফল হলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করার ঘটনা ঘটবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার ওপর ‘সর্বাত্মক নৌ অবরোধ’ ঘোষণার পর থেকে এই চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্ট গার্ড বর্তমানে একটি তেল ট্যাংকারকে ধাওয়া করছে। তবে অভিযানের সুনির্দিষ্ট অবস্থান বা জাহাজটির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এই অভিযান নিয়ে হোয়াইট হাউস বা পেন্টাগন থেকে তাৎক্ষণিক কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর কেভিন হ্যাসেট আজ জানিয়েছেন, এর আগে জব্দ করা দুটি ট্যাংকার ‘ব্ল্যাক মার্কেট’ বা কালোবাজারের মাধ্যমে বিভিন্ন নিষিদ্ধ দেশে তেল সরবরাহ করছিল।
কেভিন হ্যাসেট দাবি করেছেন, এই আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। তাঁর মতে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং কেবল কালোবাজারি জাহাজগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।
তবে বাজার বিশ্লেষক ও তেল ব্যবসায়ীরা ভিন্নমত পোষণ করছেন। একজন তেল ব্যবসায়ী রয়টার্সকে বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আগামীকাল সোমবার এশিয়ার বাজারে তেলের দাম বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তেলের দামের এই ঊর্ধ্বগতিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত কয়েক মাসে প্রশান্ত মহাসাগর ও ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট ভেসেলগুলোর ওপর অন্তত দুই ডজন সামরিক হামলা চালানো হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এসব সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন।

ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার ধাওয়া করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটি সফল হলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করার ঘটনা ঘটবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার ওপর ‘সর্বাত্মক নৌ অবরোধ’ ঘোষণার পর থেকে এই চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্ট গার্ড বর্তমানে একটি তেল ট্যাংকারকে ধাওয়া করছে। তবে অভিযানের সুনির্দিষ্ট অবস্থান বা জাহাজটির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এই অভিযান নিয়ে হোয়াইট হাউস বা পেন্টাগন থেকে তাৎক্ষণিক কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর কেভিন হ্যাসেট আজ জানিয়েছেন, এর আগে জব্দ করা দুটি ট্যাংকার ‘ব্ল্যাক মার্কেট’ বা কালোবাজারের মাধ্যমে বিভিন্ন নিষিদ্ধ দেশে তেল সরবরাহ করছিল।
কেভিন হ্যাসেট দাবি করেছেন, এই আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। তাঁর মতে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং কেবল কালোবাজারি জাহাজগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।
তবে বাজার বিশ্লেষক ও তেল ব্যবসায়ীরা ভিন্নমত পোষণ করছেন। একজন তেল ব্যবসায়ী রয়টার্সকে বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আগামীকাল সোমবার এশিয়ার বাজারে তেলের দাম বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তেলের দামের এই ঊর্ধ্বগতিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত কয়েক মাসে প্রশান্ত মহাসাগর ও ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট ভেসেলগুলোর ওপর অন্তত দুই ডজন সামরিক হামলা চালানো হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এসব সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন।

মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সেনাপতি মীর বাকি ১৫২৮ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৬০০ বছর আগে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। হিন্দুদের বড় একটি অংশের দাবি, এই মসজিদটি হিন্দুধর্মের অন্যতম দেবতা রামের জন্মভূমির ওপর নির্মিত। সেই সূত্র ধরে বাবরি মসজিদকে কেন্দ্
২২ জানুয়ারি ২০২৪
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
৮ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফোজ দো ইগুয়াসুতে দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক জোট ‘মারকোসুর’-এর শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লুলা এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় সশস্ত্র হস্তক্ষেপ একটি মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেবে। এটি এমন একটি নজির সৃষ্টি করবে, যা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে রোববার (২১ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা সম্প্রতি আরও বেড়েছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াতকারী সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘অবরোধ’ আরোপের নির্দেশ দেন। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর নতুন কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি তেল খাতকে লক্ষ্য করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
লুলা স্মরণ করিয়ে দেন, ফকল্যান্ডস যুদ্ধের চার দশকেরও বেশি সময় পর দক্ষিণ আমেরিকা আবারও অন্য মহাদেশীয় কোনো শক্তির সামরিক উপস্থিতির আশঙ্কায় ভুগছে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা আবার এমন এক ভূতের ছায়ায় পড়ছে, যেখানে এই অঞ্চলের বাইরে থেকে আসা সামরিক শক্তি আমাদের শান্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই লাতিন আমেরিকার দুই বৃহত্তম অর্থনীতির শীর্ষ নেতা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতিতে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে গত শনিবারের বক্তব্যে লুলা আরও কঠোর দেখিয়েছেন।
‘মারকোসুর’ সম্মেলন শেষে দেওয়া এক যৌথ ঘোষণায় লাতিন আমেরিকার নেতারা ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকার রক্ষায় শান্তিপূর্ণ পথেই অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এই ঘোষণায় আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও পানামার প্রেসিডেন্টদের পাশাপাশি বলিভিয়া, ইকুয়েডর ও পেরুর শীর্ষ কর্মকর্তারাও সমর্থন জানান।

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফোজ দো ইগুয়াসুতে দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক জোট ‘মারকোসুর’-এর শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লুলা এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় সশস্ত্র হস্তক্ষেপ একটি মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেবে। এটি এমন একটি নজির সৃষ্টি করবে, যা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে রোববার (২১ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা সম্প্রতি আরও বেড়েছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াতকারী সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘অবরোধ’ আরোপের নির্দেশ দেন। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর নতুন কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি তেল খাতকে লক্ষ্য করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
লুলা স্মরণ করিয়ে দেন, ফকল্যান্ডস যুদ্ধের চার দশকেরও বেশি সময় পর দক্ষিণ আমেরিকা আবারও অন্য মহাদেশীয় কোনো শক্তির সামরিক উপস্থিতির আশঙ্কায় ভুগছে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা আবার এমন এক ভূতের ছায়ায় পড়ছে, যেখানে এই অঞ্চলের বাইরে থেকে আসা সামরিক শক্তি আমাদের শান্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই লাতিন আমেরিকার দুই বৃহত্তম অর্থনীতির শীর্ষ নেতা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতিতে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে গত শনিবারের বক্তব্যে লুলা আরও কঠোর দেখিয়েছেন।
‘মারকোসুর’ সম্মেলন শেষে দেওয়া এক যৌথ ঘোষণায় লাতিন আমেরিকার নেতারা ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকার রক্ষায় শান্তিপূর্ণ পথেই অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এই ঘোষণায় আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও পানামার প্রেসিডেন্টদের পাশাপাশি বলিভিয়া, ইকুয়েডর ও পেরুর শীর্ষ কর্মকর্তারাও সমর্থন জানান।

মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সেনাপতি মীর বাকি ১৫২৮ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৬০০ বছর আগে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। হিন্দুদের বড় একটি অংশের দাবি, এই মসজিদটি হিন্দুধর্মের অন্যতম দেবতা রামের জন্মভূমির ওপর নির্মিত। সেই সূত্র ধরে বাবরি মসজিদকে কেন্দ্
২২ জানুয়ারি ২০২৪
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতেও ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। পকেটে টান পড়তে যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে স্বস্তির খবর হলো, লোকাল ট্রেনের ভাড়া অপরিবর্তিত থাকছে। মূলত দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্যই এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর হবে।
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের (নন-এসি) যাত্রীদের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়বে দুই পয়সা। এসি কোচ বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচের ক্ষেত্রেও কিলোমিটার প্রতি দুই পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
তবে যদি কোনো যাত্রী নন-এসি কোচে ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আগের চেয়ে ১০ রুপি বেশি ভাড়া দিতে হবে।
কেন এই ভাড়া বৃদ্ধি
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক দশকে রেলপথ সম্প্রসারণের ফলে জনবল এবং অন্যান্য ব্যয় বহুগুণ বেড়েছে। রেলওয়ের বর্তমান জনবল ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি রুপিতে এবং পেনশনের পেছনে খরচ হচ্ছে ৬০ হাজার কোটি রুপি। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট পরিচালনা ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি রুপি।
যাত্রীদের ভাড়া ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে খরচ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে রেলওয়ে। এর আগে গত জুলাই মাসেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল (নন-এসিতে এক পয়সা ও এসিতে দুই পয়সা)। তারও আগে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বড় ধরনের ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছিল, যেখানে এসি কোচে ভাড়া বেড়েছিল কিলোমিটার প্রতি চার পয়সা পর্যন্ত।
রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মতে, উন্নত সেবা এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে এই সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই ভাড়া বৃদ্ধির ফলে রেলওয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ৬০০ কোটি রুপি বাড়বে।

ভারতেও ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। পকেটে টান পড়তে যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে স্বস্তির খবর হলো, লোকাল ট্রেনের ভাড়া অপরিবর্তিত থাকছে। মূলত দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্যই এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর হবে।
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের (নন-এসি) যাত্রীদের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়বে দুই পয়সা। এসি কোচ বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচের ক্ষেত্রেও কিলোমিটার প্রতি দুই পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
তবে যদি কোনো যাত্রী নন-এসি কোচে ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আগের চেয়ে ১০ রুপি বেশি ভাড়া দিতে হবে।
কেন এই ভাড়া বৃদ্ধি
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক দশকে রেলপথ সম্প্রসারণের ফলে জনবল এবং অন্যান্য ব্যয় বহুগুণ বেড়েছে। রেলওয়ের বর্তমান জনবল ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি রুপিতে এবং পেনশনের পেছনে খরচ হচ্ছে ৬০ হাজার কোটি রুপি। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট পরিচালনা ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি রুপি।
যাত্রীদের ভাড়া ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে খরচ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে রেলওয়ে। এর আগে গত জুলাই মাসেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল (নন-এসিতে এক পয়সা ও এসিতে দুই পয়সা)। তারও আগে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বড় ধরনের ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছিল, যেখানে এসি কোচে ভাড়া বেড়েছিল কিলোমিটার প্রতি চার পয়সা পর্যন্ত।
রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মতে, উন্নত সেবা এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে এই সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই ভাড়া বৃদ্ধির ফলে রেলওয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ৬০০ কোটি রুপি বাড়বে।

মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সেনাপতি মীর বাকি ১৫২৮ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৬০০ বছর আগে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। হিন্দুদের বড় একটি অংশের দাবি, এই মসজিদটি হিন্দুধর্মের অন্যতম দেবতা রামের জন্মভূমির ওপর নির্মিত। সেই সূত্র ধরে বাবরি মসজিদকে কেন্দ্
২২ জানুয়ারি ২০২৪
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
৫ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
৮ ঘণ্টা আগে