
রাশিয়ার মস্কোর উপকণ্ঠের শহরে অবস্থিত ক্রাসনোগরস্কের ক্রোকাস সিটি হলে সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, তারা আগেই রাশিয়াকে এ ধরনের হামলা ব্যাপারে সতর্ক করেছিল। মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যও বলছে, এই হামলার পেছনে আইএসের মধ্য এশিয়া অঞ্চলের শাখা ইসলামিক স্টেট-খোরাসান বা আইএসকে জড়িত।
গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সংঘটিত ওই হামলায় এখন পর্যন্ত ৬০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১১৫ জন।
আইএস-কে মূলত প্রাচীন খোরাসান অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে। খোরাসান অঞ্চলটি আজকের ইরান, তুর্কমিনিস্তান ও আফগানিস্তানের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত। ২০১৪ সালের আফগানিস্তানে হামলার মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে আইএস-কে। শুরু থেকেই এই গোষ্ঠী নির্মমতার জন্য বেশ কুখ্যাতি অর্জন করেছে।
আফগানিস্তানকে কেন্দ্র করে কার্যক্রম চালানো এই গোষ্ঠী ২০১৮ সাল পর্যন্ত ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু তারপর থেকে দেশটিতে মার্কিন সেনাবাহিনী ও তালেবানদের আক্রমণের মুখে পড়ে গোষ্ঠীটি ক্রমেই শক্তিহীন হয়ে পড়তে থাকে। তবে আইএসই রাশিয়ায় হামলা চালিয়েছে কি না, সে বিষয়টি এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।
তবে আইএস-কে তাদের সংবাদ সংস্থা ‘আমাক’ নিউজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক ভিডিওতে দাবি করেছে, মস্কোর ক্রাসনোগরস্কে হামলার পেছনে তারা দায়ী। মার্কিন গোয়েন্দারাও বিষয়টিকে সমর্থন করছে। আমাক নিউজের ওই ভিডিওতে বলা হয়েছে, তাদের ‘যোদ্ধারা’ মস্কোর উপকণ্ঠে হামলা চালিয়েছে। ভিডিওতে তারা আরও দাবি করেছে, তাদের হামলায় কয়েক শ হতাহতেরে ঘটনা ঘটেছে এবং হামলাকারীরা নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরেছে।
রাশিয়ার হামলা চালানোর পেছনে আইএসের মোটিফ কী?
রাশিয়ার আইএসের হামলার পেছনে সম্ভাব্য কিছু কারণের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্যে একটি হলো—বিগত কয়েক বছর ধরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধিতা করছে আইএস। এ বিষয়ে ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সওফান সেন্টারের কলিন ক্লার্ক বলেছেন, ‘আইএস-কে বিগত দুই বছর ধরেই রাশিয়ার পেছনে লেগে আছে এবং তাদের প্রোপাগান্ডায় পুতিনের বিরোধিতা করছে।’
ওয়াশিংটনভিত্তিক অপর একটি থিংকট্যাংক উইলসন সেন্টারের মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, আইএস-কে রাশিয়াকে এমন সব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে বিবেচনা করে, যা আসলে নিয়মিতভাবে মুসলিমদের নিপীড়ন করছে। এ ছাড়া এশিয়ার মধ্যাঞ্চলে অনেক আইএস সদস্যের অভিযোগ, রাশিয়ার কারণে তাদের জীবন কঠিন হয়ে গেছে।
এ ছাড়া ২০১৫ সালের দিকে ইসলামিক স্টেট যখন সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়ছিল, সেখানে হস্তক্ষেপ করে রাশিয়া। সেই সময় পুতিন বাশারের পক্ষ নিয়ে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে লড়াই মূলত দ্বিপক্ষীয় নয়, ত্রিপক্ষীয় ছিল। বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে ‘গণতন্ত্রপন্থীরা’ সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে ২০১১ সালে।
বাশারকে সে সময় দুই ফ্রন্টের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছিল বিধায় ২০১৩ সাল নাগাদ আইএস সিরিয়া ও ইরাকের একটি বড় অংশ দখল করে নেয়। একপর্যায়ে ইসলামিক স্টেট সিরিয়ার এক-তৃতীয়াংশ ও ইরাকের মোট আয়তনের ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ শুরু করে। কিন্তু ২০১৭ সাল নাগাদ তাদের দখলে থাকা ৯৫ শতাংশ ভূখণ্ডই হারিয়ে ফেলে।
এ ছাড়া, আইএস খোরাসান ছাড়াও আইএস-এর ককেশাস শাখাও আছে। এই শাখাটি রাশিয়ার উত্তর ককেশাস অঞ্চলের মুসলিম এলাকায় কার্যক্রম চালায়। বিশেষ করে, চেচনিয়া, দাগেস্তান, ইঙ্গুশেটিয়া ও কাবারদিনো-বালকারিয়া এলাকায় আইএস-ককেশাসের কার্যক্রম।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের দীর্ঘ ইতিহাস আছে চেচনিয়ার। ২০০৭ থেকে ২০১৭ সাল সময়ের মধ্যে কট্টর ইসলামপন্থীদের উত্থানের ফলে রাশিয়ার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া, রাশিয়া এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত বিভিন্ন দেশ থেকে ‘যোদ্ধা’ নিয়োগ দেওয়ার ইতিহাস আছে আইএসের।
সব মিলিয়ে আইএসের চিন্তা, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে আইএস-বিরোধী রুশ প্রভাব; চেচনিয়া, দাগেস্তান, ইঙ্গুশেটিয়া ও কাবারদিনো-বালকারিয়ায় মুসলিম নিপীড়নসহ—যেমনটা দাবি করে আইএস—নানা কারণেই আসলে রাশিয়ায় এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে আইএস। তবে, এ বিষয়ে রাশিয়ার ভাষ্য এখনো জানা যায়নি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স ও এবিসি অস্ট্রেলিয়া

রাশিয়ার মস্কোর উপকণ্ঠের শহরে অবস্থিত ক্রাসনোগরস্কের ক্রোকাস সিটি হলে সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, তারা আগেই রাশিয়াকে এ ধরনের হামলা ব্যাপারে সতর্ক করেছিল। মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যও বলছে, এই হামলার পেছনে আইএসের মধ্য এশিয়া অঞ্চলের শাখা ইসলামিক স্টেট-খোরাসান বা আইএসকে জড়িত।
গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সংঘটিত ওই হামলায় এখন পর্যন্ত ৬০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১১৫ জন।
আইএস-কে মূলত প্রাচীন খোরাসান অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে। খোরাসান অঞ্চলটি আজকের ইরান, তুর্কমিনিস্তান ও আফগানিস্তানের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত। ২০১৪ সালের আফগানিস্তানে হামলার মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে আইএস-কে। শুরু থেকেই এই গোষ্ঠী নির্মমতার জন্য বেশ কুখ্যাতি অর্জন করেছে।
আফগানিস্তানকে কেন্দ্র করে কার্যক্রম চালানো এই গোষ্ঠী ২০১৮ সাল পর্যন্ত ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু তারপর থেকে দেশটিতে মার্কিন সেনাবাহিনী ও তালেবানদের আক্রমণের মুখে পড়ে গোষ্ঠীটি ক্রমেই শক্তিহীন হয়ে পড়তে থাকে। তবে আইএসই রাশিয়ায় হামলা চালিয়েছে কি না, সে বিষয়টি এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।
তবে আইএস-কে তাদের সংবাদ সংস্থা ‘আমাক’ নিউজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক ভিডিওতে দাবি করেছে, মস্কোর ক্রাসনোগরস্কে হামলার পেছনে তারা দায়ী। মার্কিন গোয়েন্দারাও বিষয়টিকে সমর্থন করছে। আমাক নিউজের ওই ভিডিওতে বলা হয়েছে, তাদের ‘যোদ্ধারা’ মস্কোর উপকণ্ঠে হামলা চালিয়েছে। ভিডিওতে তারা আরও দাবি করেছে, তাদের হামলায় কয়েক শ হতাহতেরে ঘটনা ঘটেছে এবং হামলাকারীরা নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরেছে।
রাশিয়ার হামলা চালানোর পেছনে আইএসের মোটিফ কী?
রাশিয়ার আইএসের হামলার পেছনে সম্ভাব্য কিছু কারণের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্যে একটি হলো—বিগত কয়েক বছর ধরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধিতা করছে আইএস। এ বিষয়ে ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সওফান সেন্টারের কলিন ক্লার্ক বলেছেন, ‘আইএস-কে বিগত দুই বছর ধরেই রাশিয়ার পেছনে লেগে আছে এবং তাদের প্রোপাগান্ডায় পুতিনের বিরোধিতা করছে।’
ওয়াশিংটনভিত্তিক অপর একটি থিংকট্যাংক উইলসন সেন্টারের মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, আইএস-কে রাশিয়াকে এমন সব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে বিবেচনা করে, যা আসলে নিয়মিতভাবে মুসলিমদের নিপীড়ন করছে। এ ছাড়া এশিয়ার মধ্যাঞ্চলে অনেক আইএস সদস্যের অভিযোগ, রাশিয়ার কারণে তাদের জীবন কঠিন হয়ে গেছে।
এ ছাড়া ২০১৫ সালের দিকে ইসলামিক স্টেট যখন সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়ছিল, সেখানে হস্তক্ষেপ করে রাশিয়া। সেই সময় পুতিন বাশারের পক্ষ নিয়ে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে লড়াই মূলত দ্বিপক্ষীয় নয়, ত্রিপক্ষীয় ছিল। বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে ‘গণতন্ত্রপন্থীরা’ সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে ২০১১ সালে।
বাশারকে সে সময় দুই ফ্রন্টের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছিল বিধায় ২০১৩ সাল নাগাদ আইএস সিরিয়া ও ইরাকের একটি বড় অংশ দখল করে নেয়। একপর্যায়ে ইসলামিক স্টেট সিরিয়ার এক-তৃতীয়াংশ ও ইরাকের মোট আয়তনের ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ শুরু করে। কিন্তু ২০১৭ সাল নাগাদ তাদের দখলে থাকা ৯৫ শতাংশ ভূখণ্ডই হারিয়ে ফেলে।
এ ছাড়া, আইএস খোরাসান ছাড়াও আইএস-এর ককেশাস শাখাও আছে। এই শাখাটি রাশিয়ার উত্তর ককেশাস অঞ্চলের মুসলিম এলাকায় কার্যক্রম চালায়। বিশেষ করে, চেচনিয়া, দাগেস্তান, ইঙ্গুশেটিয়া ও কাবারদিনো-বালকারিয়া এলাকায় আইএস-ককেশাসের কার্যক্রম।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের দীর্ঘ ইতিহাস আছে চেচনিয়ার। ২০০৭ থেকে ২০১৭ সাল সময়ের মধ্যে কট্টর ইসলামপন্থীদের উত্থানের ফলে রাশিয়ার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া, রাশিয়া এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত বিভিন্ন দেশ থেকে ‘যোদ্ধা’ নিয়োগ দেওয়ার ইতিহাস আছে আইএসের।
সব মিলিয়ে আইএসের চিন্তা, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে আইএস-বিরোধী রুশ প্রভাব; চেচনিয়া, দাগেস্তান, ইঙ্গুশেটিয়া ও কাবারদিনো-বালকারিয়ায় মুসলিম নিপীড়নসহ—যেমনটা দাবি করে আইএস—নানা কারণেই আসলে রাশিয়ায় এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে আইএস। তবে, এ বিষয়ে রাশিয়ার ভাষ্য এখনো জানা যায়নি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স ও এবিসি অস্ট্রেলিয়া

রাশিয়ার মস্কোর উপকণ্ঠের শহরে অবস্থিত ক্রাসনোগরস্কের ক্রোকাস সিটি হলে সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, তারা আগেই রাশিয়াকে এ ধরনের হামলা ব্যাপারে সতর্ক করেছিল। মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যও বলছে, এই হামলার পেছনে আইএসের মধ্য এশিয়া অঞ্চলের শাখা ইসলামিক স্টেট-খোরাসান বা আইএসকে জড়িত।
গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সংঘটিত ওই হামলায় এখন পর্যন্ত ৬০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১১৫ জন।
আইএস-কে মূলত প্রাচীন খোরাসান অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে। খোরাসান অঞ্চলটি আজকের ইরান, তুর্কমিনিস্তান ও আফগানিস্তানের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত। ২০১৪ সালের আফগানিস্তানে হামলার মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে আইএস-কে। শুরু থেকেই এই গোষ্ঠী নির্মমতার জন্য বেশ কুখ্যাতি অর্জন করেছে।
আফগানিস্তানকে কেন্দ্র করে কার্যক্রম চালানো এই গোষ্ঠী ২০১৮ সাল পর্যন্ত ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু তারপর থেকে দেশটিতে মার্কিন সেনাবাহিনী ও তালেবানদের আক্রমণের মুখে পড়ে গোষ্ঠীটি ক্রমেই শক্তিহীন হয়ে পড়তে থাকে। তবে আইএসই রাশিয়ায় হামলা চালিয়েছে কি না, সে বিষয়টি এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।
তবে আইএস-কে তাদের সংবাদ সংস্থা ‘আমাক’ নিউজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক ভিডিওতে দাবি করেছে, মস্কোর ক্রাসনোগরস্কে হামলার পেছনে তারা দায়ী। মার্কিন গোয়েন্দারাও বিষয়টিকে সমর্থন করছে। আমাক নিউজের ওই ভিডিওতে বলা হয়েছে, তাদের ‘যোদ্ধারা’ মস্কোর উপকণ্ঠে হামলা চালিয়েছে। ভিডিওতে তারা আরও দাবি করেছে, তাদের হামলায় কয়েক শ হতাহতেরে ঘটনা ঘটেছে এবং হামলাকারীরা নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরেছে।
রাশিয়ার হামলা চালানোর পেছনে আইএসের মোটিফ কী?
রাশিয়ার আইএসের হামলার পেছনে সম্ভাব্য কিছু কারণের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্যে একটি হলো—বিগত কয়েক বছর ধরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধিতা করছে আইএস। এ বিষয়ে ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সওফান সেন্টারের কলিন ক্লার্ক বলেছেন, ‘আইএস-কে বিগত দুই বছর ধরেই রাশিয়ার পেছনে লেগে আছে এবং তাদের প্রোপাগান্ডায় পুতিনের বিরোধিতা করছে।’
ওয়াশিংটনভিত্তিক অপর একটি থিংকট্যাংক উইলসন সেন্টারের মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, আইএস-কে রাশিয়াকে এমন সব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে বিবেচনা করে, যা আসলে নিয়মিতভাবে মুসলিমদের নিপীড়ন করছে। এ ছাড়া এশিয়ার মধ্যাঞ্চলে অনেক আইএস সদস্যের অভিযোগ, রাশিয়ার কারণে তাদের জীবন কঠিন হয়ে গেছে।
এ ছাড়া ২০১৫ সালের দিকে ইসলামিক স্টেট যখন সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়ছিল, সেখানে হস্তক্ষেপ করে রাশিয়া। সেই সময় পুতিন বাশারের পক্ষ নিয়ে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে লড়াই মূলত দ্বিপক্ষীয় নয়, ত্রিপক্ষীয় ছিল। বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে ‘গণতন্ত্রপন্থীরা’ সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে ২০১১ সালে।
বাশারকে সে সময় দুই ফ্রন্টের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছিল বিধায় ২০১৩ সাল নাগাদ আইএস সিরিয়া ও ইরাকের একটি বড় অংশ দখল করে নেয়। একপর্যায়ে ইসলামিক স্টেট সিরিয়ার এক-তৃতীয়াংশ ও ইরাকের মোট আয়তনের ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ শুরু করে। কিন্তু ২০১৭ সাল নাগাদ তাদের দখলে থাকা ৯৫ শতাংশ ভূখণ্ডই হারিয়ে ফেলে।
এ ছাড়া, আইএস খোরাসান ছাড়াও আইএস-এর ককেশাস শাখাও আছে। এই শাখাটি রাশিয়ার উত্তর ককেশাস অঞ্চলের মুসলিম এলাকায় কার্যক্রম চালায়। বিশেষ করে, চেচনিয়া, দাগেস্তান, ইঙ্গুশেটিয়া ও কাবারদিনো-বালকারিয়া এলাকায় আইএস-ককেশাসের কার্যক্রম।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের দীর্ঘ ইতিহাস আছে চেচনিয়ার। ২০০৭ থেকে ২০১৭ সাল সময়ের মধ্যে কট্টর ইসলামপন্থীদের উত্থানের ফলে রাশিয়ার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া, রাশিয়া এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত বিভিন্ন দেশ থেকে ‘যোদ্ধা’ নিয়োগ দেওয়ার ইতিহাস আছে আইএসের।
সব মিলিয়ে আইএসের চিন্তা, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে আইএস-বিরোধী রুশ প্রভাব; চেচনিয়া, দাগেস্তান, ইঙ্গুশেটিয়া ও কাবারদিনো-বালকারিয়ায় মুসলিম নিপীড়নসহ—যেমনটা দাবি করে আইএস—নানা কারণেই আসলে রাশিয়ায় এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে আইএস। তবে, এ বিষয়ে রাশিয়ার ভাষ্য এখনো জানা যায়নি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স ও এবিসি অস্ট্রেলিয়া

রাশিয়ার মস্কোর উপকণ্ঠের শহরে অবস্থিত ক্রাসনোগরস্কের ক্রোকাস সিটি হলে সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, তারা আগেই রাশিয়াকে এ ধরনের হামলা ব্যাপারে সতর্ক করেছিল। মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যও বলছে, এই হামলার পেছনে আইএসের মধ্য এশিয়া অঞ্চলের শাখা ইসলামিক স্টেট-খোরাসান বা আইএসকে জড়িত।
গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সংঘটিত ওই হামলায় এখন পর্যন্ত ৬০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১১৫ জন।
আইএস-কে মূলত প্রাচীন খোরাসান অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে। খোরাসান অঞ্চলটি আজকের ইরান, তুর্কমিনিস্তান ও আফগানিস্তানের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত। ২০১৪ সালের আফগানিস্তানে হামলার মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে আইএস-কে। শুরু থেকেই এই গোষ্ঠী নির্মমতার জন্য বেশ কুখ্যাতি অর্জন করেছে।
আফগানিস্তানকে কেন্দ্র করে কার্যক্রম চালানো এই গোষ্ঠী ২০১৮ সাল পর্যন্ত ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু তারপর থেকে দেশটিতে মার্কিন সেনাবাহিনী ও তালেবানদের আক্রমণের মুখে পড়ে গোষ্ঠীটি ক্রমেই শক্তিহীন হয়ে পড়তে থাকে। তবে আইএসই রাশিয়ায় হামলা চালিয়েছে কি না, সে বিষয়টি এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।
তবে আইএস-কে তাদের সংবাদ সংস্থা ‘আমাক’ নিউজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক ভিডিওতে দাবি করেছে, মস্কোর ক্রাসনোগরস্কে হামলার পেছনে তারা দায়ী। মার্কিন গোয়েন্দারাও বিষয়টিকে সমর্থন করছে। আমাক নিউজের ওই ভিডিওতে বলা হয়েছে, তাদের ‘যোদ্ধারা’ মস্কোর উপকণ্ঠে হামলা চালিয়েছে। ভিডিওতে তারা আরও দাবি করেছে, তাদের হামলায় কয়েক শ হতাহতেরে ঘটনা ঘটেছে এবং হামলাকারীরা নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরেছে।
রাশিয়ার হামলা চালানোর পেছনে আইএসের মোটিফ কী?
রাশিয়ার আইএসের হামলার পেছনে সম্ভাব্য কিছু কারণের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্যে একটি হলো—বিগত কয়েক বছর ধরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধিতা করছে আইএস। এ বিষয়ে ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সওফান সেন্টারের কলিন ক্লার্ক বলেছেন, ‘আইএস-কে বিগত দুই বছর ধরেই রাশিয়ার পেছনে লেগে আছে এবং তাদের প্রোপাগান্ডায় পুতিনের বিরোধিতা করছে।’
ওয়াশিংটনভিত্তিক অপর একটি থিংকট্যাংক উইলসন সেন্টারের মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, আইএস-কে রাশিয়াকে এমন সব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে বিবেচনা করে, যা আসলে নিয়মিতভাবে মুসলিমদের নিপীড়ন করছে। এ ছাড়া এশিয়ার মধ্যাঞ্চলে অনেক আইএস সদস্যের অভিযোগ, রাশিয়ার কারণে তাদের জীবন কঠিন হয়ে গেছে।
এ ছাড়া ২০১৫ সালের দিকে ইসলামিক স্টেট যখন সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়ছিল, সেখানে হস্তক্ষেপ করে রাশিয়া। সেই সময় পুতিন বাশারের পক্ষ নিয়ে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে লড়াই মূলত দ্বিপক্ষীয় নয়, ত্রিপক্ষীয় ছিল। বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে ‘গণতন্ত্রপন্থীরা’ সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে ২০১১ সালে।
বাশারকে সে সময় দুই ফ্রন্টের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছিল বিধায় ২০১৩ সাল নাগাদ আইএস সিরিয়া ও ইরাকের একটি বড় অংশ দখল করে নেয়। একপর্যায়ে ইসলামিক স্টেট সিরিয়ার এক-তৃতীয়াংশ ও ইরাকের মোট আয়তনের ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ শুরু করে। কিন্তু ২০১৭ সাল নাগাদ তাদের দখলে থাকা ৯৫ শতাংশ ভূখণ্ডই হারিয়ে ফেলে।
এ ছাড়া, আইএস খোরাসান ছাড়াও আইএস-এর ককেশাস শাখাও আছে। এই শাখাটি রাশিয়ার উত্তর ককেশাস অঞ্চলের মুসলিম এলাকায় কার্যক্রম চালায়। বিশেষ করে, চেচনিয়া, দাগেস্তান, ইঙ্গুশেটিয়া ও কাবারদিনো-বালকারিয়া এলাকায় আইএস-ককেশাসের কার্যক্রম।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের দীর্ঘ ইতিহাস আছে চেচনিয়ার। ২০০৭ থেকে ২০১৭ সাল সময়ের মধ্যে কট্টর ইসলামপন্থীদের উত্থানের ফলে রাশিয়ার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া, রাশিয়া এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত বিভিন্ন দেশ থেকে ‘যোদ্ধা’ নিয়োগ দেওয়ার ইতিহাস আছে আইএসের।
সব মিলিয়ে আইএসের চিন্তা, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে আইএস-বিরোধী রুশ প্রভাব; চেচনিয়া, দাগেস্তান, ইঙ্গুশেটিয়া ও কাবারদিনো-বালকারিয়ায় মুসলিম নিপীড়নসহ—যেমনটা দাবি করে আইএস—নানা কারণেই আসলে রাশিয়ায় এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে আইএস। তবে, এ বিষয়ে রাশিয়ার ভাষ্য এখনো জানা যায়নি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স ও এবিসি অস্ট্রেলিয়া

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
২ ঘণ্টা আগে
একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো...
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া
৫ ঘণ্টা আগে
রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

রাশিয়ার মস্কোর উপকণ্ঠের শহরে অবস্থিত ক্রাসনোগরস্কের ক্রোকাস সিটি হলে সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, তারা আগেই রাশিয়াকে এ ধরনের হামলা ব্যাপারে সতর্ক করেছিল। মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যও বলছে, এই হামলার পেছনে আইএস-এর মধ্য এশিয়া অঞ্চলের শাখা ইসলা
২৩ মার্চ ২০২৪
একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো...
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া
৫ ঘণ্টা আগে
রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক ও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো থেকে সরে যাচ্ছেন। টানা ১২ মাস চলা এই ভ্রমণ বর্জন থামার কোনো লক্ষণ এখনো নেই।
দীর্ঘদিন ধরে কানাডা ছিল যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সবচেয়ে বড় উৎস। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসা বিদেশি পর্যটকদের ২৮ শতাংশই ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেই সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (ইউএসটিএ) জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ২৩ শতাংশ কমেছে। ফলে আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার (৩০০ কোটি পাউন্ড) আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
তবে কানাডিয়ানরা ভ্রমণ কমাননি। তাহলে প্রশ্ন হলো, তাঁরা যাচ্ছেন কোথায়?
অনেকে নিজের দেশেই ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভ্রমণবিষয়ক লেখক ও কনটেন্ট নির্মাতা এমিলি ব্রিয়োঁ জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে কানাডিয়ানরা যুক্তরাষ্ট্র বাদ দিয়ে দেশের ভেতরেই ঘুরতে শুরু করেছেন। এমিলি ব্রিয়োঁ বলেন, ‘আমি আগে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র দুটো দেশেই রোড ট্রিপ কভার করতাম। কিন্তু গত মার্চে সিদ্ধান্ত নিই, শুধু কানাডাকেই কেন্দ্র করব। আমি ২০২৫ সালের এপ্রিলে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে যাওয়ার পারিবারিক ভ্রমণ বাতিল করে সেই বাজেট কানাডায় ঘুরে ব্যয় করেছি।’
টরন্টোভিত্তিক জনসংযোগকর্মী ট্রেসি লামুরি আরও কড়া অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আর কখনো সীমান্ত পার হব না। ভ্রমণের জন্য ইউরোপ বেছে নিয়েছি, আর কাজের জন্য জুমই যথেষ্ট। ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ আর মানবাধিকার পরিস্থিতির কারণে আগেও যুক্তরাষ্ট্র নিরাপদ মনে হতো না, এখন তো পুরোপুরি ‘নো-গো’ তালিকায়।
এই মনোভাব শুধু কানাডিয়ানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ইউএসটিএর হিসাব অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক পর্যটকেরা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ কমিয়ে দিলে মোট ক্ষতি ৫.৭ বিলিয়ন ডলার (৪.২৮ বিলিয়ন পাউন্ড) হতে পারে।
কানাডার জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা জানায়, ২০২৫ সালে দেশের ভেতরে ভ্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। পাশাপাশি কানাডিয়ানদের ভ্রমণ বেড়েছে মেক্সিকো, পর্তুগাল, বাহামাস ও বেলিজে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, মেক্সিকোর শহরগুলোতে কানাডিয়ান পর্যটক প্রায় ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে বুয়েনস আইরেস, ওসাকা, কোপেনহেগেন ও কুরাসাওয়ের মতো গন্তব্যে কানাডিয়ানদের খরচ ২০২৪ সালের তুলনায় ১০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

অন্যদিকে, কানাডিয়ান পর্যটকের ওপর নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অঞ্চল ক্ষতির মুখে পড়েছে। জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা ভারমন্টে কানাডা থেকে আসা পর্যটক কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। লাস ভেগাসে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৮ শতাংশ কানাডিয়ানের ভ্রমণ কমেছে। ফোর্ট লডারডেল, আপস্টেট নিউইয়র্কসহ অনেক এলাকাতেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
এদিকে ইউরোপ ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট বাড়ানোয় যুক্তরাষ্ট্র এড়িয়ে যাওয়া কানাডিয়ানদের জন্য বিকল্প আরও সহজ হয়েছে। এয়ার কানাডার নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্ক গালার্ডো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বার্লিন, পন্তা দেলগাদা, নঁত ও ব্রাসেলসের মতো ইউরোপীয় শহরে নতুন নন-স্টপ রুট চালু করছি, যাতে ভ্রমণ সহজ হয় এবং পর্যটন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হয়।’
৪ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এয়ার কানাডা ক্যারিবীয়, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় ১৩টি নতুন রুট চালু করছে; যা মূলত শীতকালে ফ্লোরিডা বা ক্যালিফোর্নিয়ার ওপর নির্ভর করা কানাডিয়ান ‘স্নোবার্ড’দের লক্ষ্য করেই।
এই প্রবণতা কত দিন চলবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে এমিলি ব্রিয়োঁ মনে করেন, এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। তিনি বলেন, ‘এটা কানাডিয়ানদের জন্য নিজের দেশের কম পরিচিত অঞ্চল ঘুরে দেখার সুযোগ। যেমন ব্যানফের বদলে কুটেনে। আমার মনে হচ্ছে না এটা স্বল্পমেয়াদি বিষয়; বরং কানাডিয়ানদের ভ্রমণ পছন্দে একটি স্থায়ী পরিবর্তনের সূচনা হচ্ছে।’

একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক ও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো থেকে সরে যাচ্ছেন। টানা ১২ মাস চলা এই ভ্রমণ বর্জন থামার কোনো লক্ষণ এখনো নেই।
দীর্ঘদিন ধরে কানাডা ছিল যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সবচেয়ে বড় উৎস। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসা বিদেশি পর্যটকদের ২৮ শতাংশই ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেই সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (ইউএসটিএ) জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ২৩ শতাংশ কমেছে। ফলে আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার (৩০০ কোটি পাউন্ড) আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
তবে কানাডিয়ানরা ভ্রমণ কমাননি। তাহলে প্রশ্ন হলো, তাঁরা যাচ্ছেন কোথায়?
অনেকে নিজের দেশেই ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভ্রমণবিষয়ক লেখক ও কনটেন্ট নির্মাতা এমিলি ব্রিয়োঁ জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে কানাডিয়ানরা যুক্তরাষ্ট্র বাদ দিয়ে দেশের ভেতরেই ঘুরতে শুরু করেছেন। এমিলি ব্রিয়োঁ বলেন, ‘আমি আগে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র দুটো দেশেই রোড ট্রিপ কভার করতাম। কিন্তু গত মার্চে সিদ্ধান্ত নিই, শুধু কানাডাকেই কেন্দ্র করব। আমি ২০২৫ সালের এপ্রিলে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে যাওয়ার পারিবারিক ভ্রমণ বাতিল করে সেই বাজেট কানাডায় ঘুরে ব্যয় করেছি।’
টরন্টোভিত্তিক জনসংযোগকর্মী ট্রেসি লামুরি আরও কড়া অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আর কখনো সীমান্ত পার হব না। ভ্রমণের জন্য ইউরোপ বেছে নিয়েছি, আর কাজের জন্য জুমই যথেষ্ট। ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ আর মানবাধিকার পরিস্থিতির কারণে আগেও যুক্তরাষ্ট্র নিরাপদ মনে হতো না, এখন তো পুরোপুরি ‘নো-গো’ তালিকায়।
এই মনোভাব শুধু কানাডিয়ানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ইউএসটিএর হিসাব অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক পর্যটকেরা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ কমিয়ে দিলে মোট ক্ষতি ৫.৭ বিলিয়ন ডলার (৪.২৮ বিলিয়ন পাউন্ড) হতে পারে।
কানাডার জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা জানায়, ২০২৫ সালে দেশের ভেতরে ভ্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। পাশাপাশি কানাডিয়ানদের ভ্রমণ বেড়েছে মেক্সিকো, পর্তুগাল, বাহামাস ও বেলিজে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, মেক্সিকোর শহরগুলোতে কানাডিয়ান পর্যটক প্রায় ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে বুয়েনস আইরেস, ওসাকা, কোপেনহেগেন ও কুরাসাওয়ের মতো গন্তব্যে কানাডিয়ানদের খরচ ২০২৪ সালের তুলনায় ১০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

অন্যদিকে, কানাডিয়ান পর্যটকের ওপর নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অঞ্চল ক্ষতির মুখে পড়েছে। জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা ভারমন্টে কানাডা থেকে আসা পর্যটক কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। লাস ভেগাসে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৮ শতাংশ কানাডিয়ানের ভ্রমণ কমেছে। ফোর্ট লডারডেল, আপস্টেট নিউইয়র্কসহ অনেক এলাকাতেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
এদিকে ইউরোপ ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট বাড়ানোয় যুক্তরাষ্ট্র এড়িয়ে যাওয়া কানাডিয়ানদের জন্য বিকল্প আরও সহজ হয়েছে। এয়ার কানাডার নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্ক গালার্ডো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বার্লিন, পন্তা দেলগাদা, নঁত ও ব্রাসেলসের মতো ইউরোপীয় শহরে নতুন নন-স্টপ রুট চালু করছি, যাতে ভ্রমণ সহজ হয় এবং পর্যটন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হয়।’
৪ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এয়ার কানাডা ক্যারিবীয়, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় ১৩টি নতুন রুট চালু করছে; যা মূলত শীতকালে ফ্লোরিডা বা ক্যালিফোর্নিয়ার ওপর নির্ভর করা কানাডিয়ান ‘স্নোবার্ড’দের লক্ষ্য করেই।
এই প্রবণতা কত দিন চলবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে এমিলি ব্রিয়োঁ মনে করেন, এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। তিনি বলেন, ‘এটা কানাডিয়ানদের জন্য নিজের দেশের কম পরিচিত অঞ্চল ঘুরে দেখার সুযোগ। যেমন ব্যানফের বদলে কুটেনে। আমার মনে হচ্ছে না এটা স্বল্পমেয়াদি বিষয়; বরং কানাডিয়ানদের ভ্রমণ পছন্দে একটি স্থায়ী পরিবর্তনের সূচনা হচ্ছে।’

রাশিয়ার মস্কোর উপকণ্ঠের শহরে অবস্থিত ক্রাসনোগরস্কের ক্রোকাস সিটি হলে সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, তারা আগেই রাশিয়াকে এ ধরনের হামলা ব্যাপারে সতর্ক করেছিল। মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যও বলছে, এই হামলার পেছনে আইএস-এর মধ্য এশিয়া অঞ্চলের শাখা ইসলা
২৩ মার্চ ২০২৪
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া
৫ ঘণ্টা আগে
রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দী মুক্তির বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার মিত্রদেশ বেলারুশের ওপর আরোপিত কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সার উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পটাশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা। পটাশ বেলারুশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য।
১২৩ বন্দী মুক্তির পর জন কোয়াল বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে পর্যায়ক্রমে আরও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।’ বেলারুশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পটাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিকভাবে তুলে নেওয়া হবে।
২০২০ সাল থেকে কারাবন্দী বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা দীর্ঘ সময় একাকী বন্দিত্বে ছিলেন। মুক্তির পর তাঁর বোন তাতিয়ানা খোমিচ ভিডিও কলে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন এবং বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খোমিচ বলেন, ‘সে মুক্ত। তাকে ভালো ও সুস্থই দেখাচ্ছে। তাকে জড়িয়ে ধরার অপেক্ষায় আছি।’ তিনি আরও জানান, কোলেসনিকোভা প্রথমেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আলোচনায় অংশ নেওয়া বেলারুশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, বেলারুশের একটি আদালত ২০২৩ সালের মার্চে শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী অ্যালেস বিলিয়াতস্কিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। সে সময় দেশটির আদালত চোরাচালান ও জনজীবনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কর্মকাণ্ডে অর্থায়নে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
৬৩ বছর বিলিয়াতস্কি ২০২২ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী তিনজনের একজন। ২০২১ সালে বেলারুশের বিতর্কিত নির্বাচনের পর বিক্ষোভে জড়িয়ে পড়লে বিলিয়াতস্কিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধী দলকে সহযোগিতার জন্য অবৈধভাবে বাইরে থেকে বেলারুশে অর্থ আনার অভিযোগে আনা হয়।
মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েকজনকে শিগগিরই লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বাইরে লোকজন জড়ো হচ্ছেন।
এই সমঝোতাকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর জন্য বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই তাঁকে বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। পাঁচ বছর আগে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনের পর ব্যাপক বিক্ষোভ নিরাপত্তা বাহিনী কঠোরভাবে দমন করে। সে সময় শত শত মানুষ গ্রেপ্তার হন, তাঁদের মধ্যেই ছিলেন কোলেসনিকোভা।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর বেলারুশের বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরও কড়া হয়। কারণ, দেশটির ভূখণ্ড ব্যবহার করেই রুশ সেনা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত কোয়াল জানান, আলোচনায় তিনি লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও কথা বলেছেন এবং সম্ভাব্য শান্তি আলোচনায় মিনস্ক কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়েও মতবিনিময় হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, মিনস্কের সঙ্গে ওয়াশিংটনের এই সম্পৃক্ততা যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত, যা ইউরোপের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইউরোপ যেখানে এখনো বেলারুশকে বিচ্ছিন্ন ও নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে চাপে রাখতে চায়, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে এগোচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দী মুক্তির বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার মিত্রদেশ বেলারুশের ওপর আরোপিত কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সার উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পটাশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা। পটাশ বেলারুশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য।
১২৩ বন্দী মুক্তির পর জন কোয়াল বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে পর্যায়ক্রমে আরও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।’ বেলারুশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পটাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিকভাবে তুলে নেওয়া হবে।
২০২০ সাল থেকে কারাবন্দী বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা দীর্ঘ সময় একাকী বন্দিত্বে ছিলেন। মুক্তির পর তাঁর বোন তাতিয়ানা খোমিচ ভিডিও কলে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন এবং বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খোমিচ বলেন, ‘সে মুক্ত। তাকে ভালো ও সুস্থই দেখাচ্ছে। তাকে জড়িয়ে ধরার অপেক্ষায় আছি।’ তিনি আরও জানান, কোলেসনিকোভা প্রথমেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আলোচনায় অংশ নেওয়া বেলারুশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, বেলারুশের একটি আদালত ২০২৩ সালের মার্চে শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী অ্যালেস বিলিয়াতস্কিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। সে সময় দেশটির আদালত চোরাচালান ও জনজীবনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কর্মকাণ্ডে অর্থায়নে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
৬৩ বছর বিলিয়াতস্কি ২০২২ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী তিনজনের একজন। ২০২১ সালে বেলারুশের বিতর্কিত নির্বাচনের পর বিক্ষোভে জড়িয়ে পড়লে বিলিয়াতস্কিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধী দলকে সহযোগিতার জন্য অবৈধভাবে বাইরে থেকে বেলারুশে অর্থ আনার অভিযোগে আনা হয়।
মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েকজনকে শিগগিরই লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বাইরে লোকজন জড়ো হচ্ছেন।
এই সমঝোতাকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর জন্য বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই তাঁকে বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। পাঁচ বছর আগে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনের পর ব্যাপক বিক্ষোভ নিরাপত্তা বাহিনী কঠোরভাবে দমন করে। সে সময় শত শত মানুষ গ্রেপ্তার হন, তাঁদের মধ্যেই ছিলেন কোলেসনিকোভা।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর বেলারুশের বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরও কড়া হয়। কারণ, দেশটির ভূখণ্ড ব্যবহার করেই রুশ সেনা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত কোয়াল জানান, আলোচনায় তিনি লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও কথা বলেছেন এবং সম্ভাব্য শান্তি আলোচনায় মিনস্ক কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়েও মতবিনিময় হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, মিনস্কের সঙ্গে ওয়াশিংটনের এই সম্পৃক্ততা যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত, যা ইউরোপের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইউরোপ যেখানে এখনো বেলারুশকে বিচ্ছিন্ন ও নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে চাপে রাখতে চায়, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে এগোচ্ছে।

রাশিয়ার মস্কোর উপকণ্ঠের শহরে অবস্থিত ক্রাসনোগরস্কের ক্রোকাস সিটি হলে সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, তারা আগেই রাশিয়াকে এ ধরনের হামলা ব্যাপারে সতর্ক করেছিল। মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যও বলছে, এই হামলার পেছনে আইএস-এর মধ্য এশিয়া অঞ্চলের শাখা ইসলা
২৩ মার্চ ২০২৪
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
২ ঘণ্টা আগে
একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো...
৩ ঘণ্টা আগে
রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেঙ্কোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রাতভর চালানো এসব হামলায় দেশের পাঁচটি অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। এতে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আগুন নেভানো এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো রাশিয়ার হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে। তবে শীতকাল ঘনিয়ে আসায় সাম্প্রতিক সময়ে এসব হামলার মাত্রা আরও বেড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জার্মানি সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আলোচনা করবেন। বার্লিনে প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তির সর্বশেষ খসড়া নিয়েই মূলত আলোচনা হবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, রাতভর হামলায় রাশিয়া ৪৫০টির বেশি ড্রোন ও ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লাইমেঙ্কো জানান, হামলার শিকার অঞ্চলগুলো হলো—দনিপ্রোপেত্রোভস্ক, কিরোভোহরাদ, মাইকোলাইভ, ওডেসা ও চেরনিহিভ।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে, এসব হামলায় তারা কিনঝাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মাঝপথে দিক পরিবর্তন করতে পারে, ফলে এগুলো শনাক্ত করা কঠিন।
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, ইউক্রেনের জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংযোগ সারা রাত বিচ্ছিন্ন ছিল। হামলার কারণে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে আবার বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। রুশ নিয়ন্ত্রণাধীন এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বর্তমানে চালু নেই, তবে রিঅ্যাক্টর ঠান্ডা রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রয়োজন।
এদিকে রাশিয়ার সারাতোভ অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় একটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর রোমান বুসারগিন।

রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেঙ্কোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রাতভর চালানো এসব হামলায় দেশের পাঁচটি অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। এতে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আগুন নেভানো এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো রাশিয়ার হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে। তবে শীতকাল ঘনিয়ে আসায় সাম্প্রতিক সময়ে এসব হামলার মাত্রা আরও বেড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জার্মানি সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আলোচনা করবেন। বার্লিনে প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তির সর্বশেষ খসড়া নিয়েই মূলত আলোচনা হবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, রাতভর হামলায় রাশিয়া ৪৫০টির বেশি ড্রোন ও ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লাইমেঙ্কো জানান, হামলার শিকার অঞ্চলগুলো হলো—দনিপ্রোপেত্রোভস্ক, কিরোভোহরাদ, মাইকোলাইভ, ওডেসা ও চেরনিহিভ।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে, এসব হামলায় তারা কিনঝাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মাঝপথে দিক পরিবর্তন করতে পারে, ফলে এগুলো শনাক্ত করা কঠিন।
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, ইউক্রেনের জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংযোগ সারা রাত বিচ্ছিন্ন ছিল। হামলার কারণে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে আবার বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। রুশ নিয়ন্ত্রণাধীন এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বর্তমানে চালু নেই, তবে রিঅ্যাক্টর ঠান্ডা রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রয়োজন।
এদিকে রাশিয়ার সারাতোভ অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় একটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর রোমান বুসারগিন।

রাশিয়ার মস্কোর উপকণ্ঠের শহরে অবস্থিত ক্রাসনোগরস্কের ক্রোকাস সিটি হলে সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, তারা আগেই রাশিয়াকে এ ধরনের হামলা ব্যাপারে সতর্ক করেছিল। মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যও বলছে, এই হামলার পেছনে আইএস-এর মধ্য এশিয়া অঞ্চলের শাখা ইসলা
২৩ মার্চ ২০২৪
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
২ ঘণ্টা আগে
একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো...
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া
৫ ঘণ্টা আগে