
যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত শীর্ষ বিলিয়নিয়ার জয় চৌধুরী। ২০১৮ সালে ৩৪০ কোটি ডলার থেকে ২০২১ সালে তার সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারে। ফোর্বস জানিয়েছে, ২০২২ সালে স্টক মার্কেটের বিপর্যয়ের কারণে তাঁর মোট সম্পদ ৮৩০ কোটি ডলারে নেমে গিয়েছিল।
ফোর্বস এ রকম বেশ কয়েকজন মার্কিন ধনকুবেরের তালিকা প্রকাশ করেছে, যাঁরা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এখানে দেওয়া হলো শীর্ষ ১০ ধনকুবেরের পরিচিতি।
১. জয় চৌধুরী (মোট সম্পদ ১১৩০ কোটি ডলার)
জেডস্ক্যালারের সিইও জয় চৌধুরী হিমাচল প্রদেশের ছোট শহর পানোহতে জন্ম গ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে শীর্ষ ধনকুবের। হিমালয়ের প্রত্যন্ত শহর থেকে ওয়াল স্ট্রিটে তাঁর উত্থান একটি প্রেরণামূলক গল্প। চৌধুরী সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়ার সাইবার সিকিউরিটি শিল্পের অন্যতম সফল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী।
আইবিএমের মতো কোম্পানিতে বিক্রয় এবং বিপণনের ভূমিকায় সংক্ষিপ্ত কর্মজীবনের পর তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার সান জোসেতে সাইবার ঝুঁকির সম্মুখীন ব্যবসাগুলোর জন্য একটি ভার্চুয়াল নিরাপত্তা চেকপয়েন্ট জেডস্ক্যালার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। তাঁর দাবি, তাঁর সাফল্যের পেছনে অর্থের প্রতি মোহ খুব একটা কাজ করেনি।
২. বিনোদ খোসলা (মোট সম্পদ ৬৭০ কোটি ডলার)
বিনোদ খোসলার মোট সম্পদ ২০২০ সালে ২৩০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ২০২২ সালে হয়েছে ৫৩০ কোটি ডলার। ফোর্বস অনুসারে, সান মাইক্রোসিস্টেমের সাবেক এই সহপ্রতিষ্ঠাতা বর্তমানে দ্বিতীয় শীর্ষ ভারতীয় আমেরিকান ধনকুবের। নয়াদিল্লির মাউন্ট সেন্ট মেরি স্কুল থেকে স্নাতক হওয়ার পর কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেসে ভর্তির আগে তিনি আইআইটি দিল্লিতে পড়াশোনা করেছেন।
৩. রাকেশ গাংওয়াল (মোট সম্পদ ৫৩০ কোটি ডলার)
রাকেশ গাংওয়ালের জন্ম কলকাতায়। এখন তিনি ফ্লোরিডার মিয়ামিতে বাস করেন। গাংওয়ালের মোট সম্পত্তি ৪০০ কোটি ডলারেরও বেশি। ভারতের বৃহত্তম কম খরচের এয়ারলাইন ইন্ডিগোর সহপ্রতিষ্ঠাতা। মহামারির কারণে বিমান শিল্পে লোকসান দেখা দিলে গাংওয়ালের সম্পদের পরিমাণেও তার প্রভাব পড়েছিল।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আইআইএম লক্ষ্ণৌয়ের এই প্রাক্তন ছাত্র পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্টন স্কুলে এমবিএ পড়েছেন। ১৯৮৪ সালে ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের জন্য কৌশলগত পরিকল্পনার কাজ করার পর ইউএস এয়ারওয়েজ গ্রুপের চেয়ারম্যান হন তিনি। অভ্যন্তরীণ বাজার শেয়ারের ওপর ভিত্তি করে, ইন্ডিগো এখন ভারতের বৃহত্তম কম খরচের এয়ারলাইনস।
৪. রমেশ টি ওয়াধওয়ানি (মোট সম্পদ ৫১০ কোটি ডলার)
১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় রমেশ টি ওয়াধওয়ানির পরিবার পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসে। আজ ওয়াধওয়ানি আমেরিকার সবচেয়ে ধনী গুজরাটি। সিম্ফনি টেকনোলজি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ওয়াধওয়ানি একজন স্বনির্মিত উদ্যোক্তা। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ওয়াধওয়ানি ফোর্বসের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত তৃতীয় শীর্ষ ধনকুবের। তাঁর মোট সম্পদ ২০২০ সালে ৩.৪ বিলিয়ন থেকে ৫.১ বিলিয়ন হয়েছে। ২০২০ সালে ৩৪০ কোটি ডলার থেকে ২০২২ সালে তাঁর সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ৫১০ কোটি ডলারে।
ওয়াধওয়ানি একজন জনহিতৈষী হিসেবে পরিচিত। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আইআইটি বম্বের এই প্রাক্তন ছাত্র কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি ভারতের মতো দেশে আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য জাতীয় উদ্যোক্তা নেটওয়ার্কসহ বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়ে ওয়াধওয়ানি ফাউন্ডেশন স্থাপন করেছেন।
৫. জয়শ্রী উল্লাল (মোট সম্পদ ৩৪০ কোটি ডলার)
জয়শ্রী উল্লাল ফোর্বস বিলিয়নিয়ার ক্লাবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত একমাত্র নারী। কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং কোম্পানি আরিস্তা নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। জয়শ্রীর বাবা সুদারঞ্জন বেদান্থম একজন পদার্থবিজ্ঞানী।
জয়শ্রী তাঁর জীবনের প্রথম দিকে পাঁচ বছর লন্ডনে কাটিয়েছেন এবং পরে ভারতে স্থানান্তরিত হন। নয়াদিল্লির কভেন্ট অব জেসাস অ্যান্ড ম্যারি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ১৬ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সান ফ্রান্সিসকো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে বৈদ্যুতিক প্রকৌশল ডিগ্রি অর্জন করেন। সিসকো সিস্টেমস ক্রেসেন্ডো কমিউনিকেশনসকে অধিগ্রহণ করার পর জয়শ্রীকে ডেটা সেন্টার অ্যান্ড সুইচিংয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে উন্নীত করে।
৬. অনিল ভুসরি (মোট সম্পদ ৩১০ কোটি ডলার)
ওয়ার্কডে ইনকরপোরশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও অনিল ভুসরি ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন শীর্ষ ধনকুবের। তিনি ব্রাউন ইউনিভার্সিটি থেকে বৈদ্যুতিক প্রকৌশলে বিজ্ঞানের স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেস থেকে এমবিএ করেছেন। স্ট্যানফোর্ড থেকে এমবিএ করার পর মরগান স্ট্যানলিতে করপোরেট ফিন্যান্স অ্যানালিস্ট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি।
অনিল ভুসরি ইন্টেলের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। এ ছাড়া তিনি গ্রেলকের অংশীদার হিসেবে ফেসবুক, এয়ারবিএনবির মতো সুপরিচিত ব্র্যান্ডে বিনিয়োগ করেছে। ২০১৮ সালে ১৮৫ কোটি ডলার থেকে ২০২০ সালে সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ২৩০ কোটি ডলার। তিনি বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে অবস্থান করছেন।
৭. নিরাজ শাহ (মোট সম্পদ ২৮০ কোটি ডলার)
ভারতীয় অভিবাসী মা-বাবার সন্তান শাহ। তিনি ১৯৯৫ সালে কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং বর্তমানে মার্কিন ই-কমার্স কোম্পানি ওয়েলফেয়ারের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০২ সালে তিনি সহপ্রতিষ্ঠিত গৃহস্থালি জিনিসপত্র অনলাইনে লেনদেন করা প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা নিরাজ শাহ। তাঁর দাদা ভারতে স্টিল ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যবসা করতেন। বোস্টনে বাস করেন নিরাজ শাহ।
জিল শাহকে বিয়ে করেছেন নিরাজ। তাঁদের দুটি সন্তান আছে। নিরাজ শাহ ২০১৭ সালে জিলের সঙ্গে শাহ ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই ফাউন্ডেশন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করে। (ফোর্বসের ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী)
৮. কবিতার্ক রাম শ্রীরাম (মোট সম্পদ ২৭০ কোটি ডলার)
ভারতের চেন্নাইতে জন্মগ্রহণকারী কবিতার্ক রাম শ্রীরাম ক্যালিফোর্নিয়ায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর মোট সম্পদের মূল্য ২৩০ কোটি ডলার। গুগলের মূল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তিনি একজন। কবিতার্ক চেন্নাইয়ের লয়োলা কলেজ থেকে গণিতে ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
গুগলে আড়াই লাখ ডলার বিনিয়োগের আগে তিনি আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা, সিইও এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি জেফ বেজোসের সঙ্গে কাজ করেছেন। ২০০০ সালে প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের জন্য একটি ভেঞ্চার ফাইনান্সিং কোম্পানি হিসেবে শেরপালো প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
৯. ব্রায়ান শেঠ (মোট সম্পদ ২৩০ কোটি ডলার)
টেক্সাসভিত্তিক প্রাইভেট ইকুইটি ফার্ম ভিস্তা ইকুইটি পার্টনারের প্রেসিডেন্ট এবং সাবেক সিইও ব্রায়ান এন শেঠ। তাঁর বাবা ছিলেন ভারত থেকে আসা একজন অভিবাসী এবং মা ছিলেন আইরিশ-ক্যাথলিক। মা একজন বিমা বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করতেন।
ফোর্বসের ২০১৯ সালের ৪০০ ধনী আমেরিকানদের তালিকায় তিনি সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় আমেরিকান ধনকুবের। তিনি একজন সংরক্ষণবাদী এবং পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্টন স্কুলের স্নাতক। শেঠ পরিবেশ ও প্রাণী রক্ষায় নিবেদিত দল গ্লোবাল ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশনের সহসভাপতি। নিজের ব্যবসা শুরু করার আগে শেঠ বেইন ক্যাপিটাল, ডয়েচে মরগান গ্রেনফেল এবং গোল্ডম্যান শ্যাক্সের বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
১০. ভরত দেসাই (১৬০ কোটি ডলার)
ভরত দেসাই কেনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ভারতের আহমেদাবাদে বেড়ে ওঠেন। তিনি আইআইটি বোম্বে থেকে বৈদ্যুতিক প্রকৌশল ডিগ্রি অর্জন করেন এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিফেন এম রস স্কুল অব বিজনেস থেকে ফাইনান্সে এমবিএ সম্পন্ন করেন। তিনি সিনটেলের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং ২০১৮ সালে ১০তম ধনী ভারতীয় আমেরিকান ধনকুবের হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
দেসাই দুই হাজার ডলার দিয়ে সিন্টেল শুরু করেন এবং শুরুতে তার মিশিগানের অ্যাপার্টমেন্ট থেকেই কাজ চালান। তিনি এখন ফ্লোরিডায় অবস্থান করছেন। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি জন এফ কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্টসহ বেশ কয়েকটি সংস্থার বোর্ডের পদে আছেন তিনি।
সূত্র: ফোর্বস, এপ্রিল ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত শীর্ষ বিলিয়নিয়ার জয় চৌধুরী। ২০১৮ সালে ৩৪০ কোটি ডলার থেকে ২০২১ সালে তার সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারে। ফোর্বস জানিয়েছে, ২০২২ সালে স্টক মার্কেটের বিপর্যয়ের কারণে তাঁর মোট সম্পদ ৮৩০ কোটি ডলারে নেমে গিয়েছিল।
ফোর্বস এ রকম বেশ কয়েকজন মার্কিন ধনকুবেরের তালিকা প্রকাশ করেছে, যাঁরা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এখানে দেওয়া হলো শীর্ষ ১০ ধনকুবেরের পরিচিতি।
১. জয় চৌধুরী (মোট সম্পদ ১১৩০ কোটি ডলার)
জেডস্ক্যালারের সিইও জয় চৌধুরী হিমাচল প্রদেশের ছোট শহর পানোহতে জন্ম গ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে শীর্ষ ধনকুবের। হিমালয়ের প্রত্যন্ত শহর থেকে ওয়াল স্ট্রিটে তাঁর উত্থান একটি প্রেরণামূলক গল্প। চৌধুরী সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়ার সাইবার সিকিউরিটি শিল্পের অন্যতম সফল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী।
আইবিএমের মতো কোম্পানিতে বিক্রয় এবং বিপণনের ভূমিকায় সংক্ষিপ্ত কর্মজীবনের পর তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার সান জোসেতে সাইবার ঝুঁকির সম্মুখীন ব্যবসাগুলোর জন্য একটি ভার্চুয়াল নিরাপত্তা চেকপয়েন্ট জেডস্ক্যালার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। তাঁর দাবি, তাঁর সাফল্যের পেছনে অর্থের প্রতি মোহ খুব একটা কাজ করেনি।
২. বিনোদ খোসলা (মোট সম্পদ ৬৭০ কোটি ডলার)
বিনোদ খোসলার মোট সম্পদ ২০২০ সালে ২৩০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ২০২২ সালে হয়েছে ৫৩০ কোটি ডলার। ফোর্বস অনুসারে, সান মাইক্রোসিস্টেমের সাবেক এই সহপ্রতিষ্ঠাতা বর্তমানে দ্বিতীয় শীর্ষ ভারতীয় আমেরিকান ধনকুবের। নয়াদিল্লির মাউন্ট সেন্ট মেরি স্কুল থেকে স্নাতক হওয়ার পর কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেসে ভর্তির আগে তিনি আইআইটি দিল্লিতে পড়াশোনা করেছেন।
৩. রাকেশ গাংওয়াল (মোট সম্পদ ৫৩০ কোটি ডলার)
রাকেশ গাংওয়ালের জন্ম কলকাতায়। এখন তিনি ফ্লোরিডার মিয়ামিতে বাস করেন। গাংওয়ালের মোট সম্পত্তি ৪০০ কোটি ডলারেরও বেশি। ভারতের বৃহত্তম কম খরচের এয়ারলাইন ইন্ডিগোর সহপ্রতিষ্ঠাতা। মহামারির কারণে বিমান শিল্পে লোকসান দেখা দিলে গাংওয়ালের সম্পদের পরিমাণেও তার প্রভাব পড়েছিল।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আইআইএম লক্ষ্ণৌয়ের এই প্রাক্তন ছাত্র পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্টন স্কুলে এমবিএ পড়েছেন। ১৯৮৪ সালে ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের জন্য কৌশলগত পরিকল্পনার কাজ করার পর ইউএস এয়ারওয়েজ গ্রুপের চেয়ারম্যান হন তিনি। অভ্যন্তরীণ বাজার শেয়ারের ওপর ভিত্তি করে, ইন্ডিগো এখন ভারতের বৃহত্তম কম খরচের এয়ারলাইনস।
৪. রমেশ টি ওয়াধওয়ানি (মোট সম্পদ ৫১০ কোটি ডলার)
১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় রমেশ টি ওয়াধওয়ানির পরিবার পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসে। আজ ওয়াধওয়ানি আমেরিকার সবচেয়ে ধনী গুজরাটি। সিম্ফনি টেকনোলজি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ওয়াধওয়ানি একজন স্বনির্মিত উদ্যোক্তা। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ওয়াধওয়ানি ফোর্বসের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত তৃতীয় শীর্ষ ধনকুবের। তাঁর মোট সম্পদ ২০২০ সালে ৩.৪ বিলিয়ন থেকে ৫.১ বিলিয়ন হয়েছে। ২০২০ সালে ৩৪০ কোটি ডলার থেকে ২০২২ সালে তাঁর সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ৫১০ কোটি ডলারে।
ওয়াধওয়ানি একজন জনহিতৈষী হিসেবে পরিচিত। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আইআইটি বম্বের এই প্রাক্তন ছাত্র কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি ভারতের মতো দেশে আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য জাতীয় উদ্যোক্তা নেটওয়ার্কসহ বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়ে ওয়াধওয়ানি ফাউন্ডেশন স্থাপন করেছেন।
৫. জয়শ্রী উল্লাল (মোট সম্পদ ৩৪০ কোটি ডলার)
জয়শ্রী উল্লাল ফোর্বস বিলিয়নিয়ার ক্লাবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত একমাত্র নারী। কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং কোম্পানি আরিস্তা নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। জয়শ্রীর বাবা সুদারঞ্জন বেদান্থম একজন পদার্থবিজ্ঞানী।
জয়শ্রী তাঁর জীবনের প্রথম দিকে পাঁচ বছর লন্ডনে কাটিয়েছেন এবং পরে ভারতে স্থানান্তরিত হন। নয়াদিল্লির কভেন্ট অব জেসাস অ্যান্ড ম্যারি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ১৬ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সান ফ্রান্সিসকো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে বৈদ্যুতিক প্রকৌশল ডিগ্রি অর্জন করেন। সিসকো সিস্টেমস ক্রেসেন্ডো কমিউনিকেশনসকে অধিগ্রহণ করার পর জয়শ্রীকে ডেটা সেন্টার অ্যান্ড সুইচিংয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে উন্নীত করে।
৬. অনিল ভুসরি (মোট সম্পদ ৩১০ কোটি ডলার)
ওয়ার্কডে ইনকরপোরশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও অনিল ভুসরি ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন শীর্ষ ধনকুবের। তিনি ব্রাউন ইউনিভার্সিটি থেকে বৈদ্যুতিক প্রকৌশলে বিজ্ঞানের স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেস থেকে এমবিএ করেছেন। স্ট্যানফোর্ড থেকে এমবিএ করার পর মরগান স্ট্যানলিতে করপোরেট ফিন্যান্স অ্যানালিস্ট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি।
অনিল ভুসরি ইন্টেলের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। এ ছাড়া তিনি গ্রেলকের অংশীদার হিসেবে ফেসবুক, এয়ারবিএনবির মতো সুপরিচিত ব্র্যান্ডে বিনিয়োগ করেছে। ২০১৮ সালে ১৮৫ কোটি ডলার থেকে ২০২০ সালে সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ২৩০ কোটি ডলার। তিনি বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে অবস্থান করছেন।
৭. নিরাজ শাহ (মোট সম্পদ ২৮০ কোটি ডলার)
ভারতীয় অভিবাসী মা-বাবার সন্তান শাহ। তিনি ১৯৯৫ সালে কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং বর্তমানে মার্কিন ই-কমার্স কোম্পানি ওয়েলফেয়ারের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০২ সালে তিনি সহপ্রতিষ্ঠিত গৃহস্থালি জিনিসপত্র অনলাইনে লেনদেন করা প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা নিরাজ শাহ। তাঁর দাদা ভারতে স্টিল ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যবসা করতেন। বোস্টনে বাস করেন নিরাজ শাহ।
জিল শাহকে বিয়ে করেছেন নিরাজ। তাঁদের দুটি সন্তান আছে। নিরাজ শাহ ২০১৭ সালে জিলের সঙ্গে শাহ ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই ফাউন্ডেশন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করে। (ফোর্বসের ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী)
৮. কবিতার্ক রাম শ্রীরাম (মোট সম্পদ ২৭০ কোটি ডলার)
ভারতের চেন্নাইতে জন্মগ্রহণকারী কবিতার্ক রাম শ্রীরাম ক্যালিফোর্নিয়ায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর মোট সম্পদের মূল্য ২৩০ কোটি ডলার। গুগলের মূল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তিনি একজন। কবিতার্ক চেন্নাইয়ের লয়োলা কলেজ থেকে গণিতে ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
গুগলে আড়াই লাখ ডলার বিনিয়োগের আগে তিনি আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা, সিইও এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি জেফ বেজোসের সঙ্গে কাজ করেছেন। ২০০০ সালে প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের জন্য একটি ভেঞ্চার ফাইনান্সিং কোম্পানি হিসেবে শেরপালো প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
৯. ব্রায়ান শেঠ (মোট সম্পদ ২৩০ কোটি ডলার)
টেক্সাসভিত্তিক প্রাইভেট ইকুইটি ফার্ম ভিস্তা ইকুইটি পার্টনারের প্রেসিডেন্ট এবং সাবেক সিইও ব্রায়ান এন শেঠ। তাঁর বাবা ছিলেন ভারত থেকে আসা একজন অভিবাসী এবং মা ছিলেন আইরিশ-ক্যাথলিক। মা একজন বিমা বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করতেন।
ফোর্বসের ২০১৯ সালের ৪০০ ধনী আমেরিকানদের তালিকায় তিনি সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় আমেরিকান ধনকুবের। তিনি একজন সংরক্ষণবাদী এবং পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্টন স্কুলের স্নাতক। শেঠ পরিবেশ ও প্রাণী রক্ষায় নিবেদিত দল গ্লোবাল ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশনের সহসভাপতি। নিজের ব্যবসা শুরু করার আগে শেঠ বেইন ক্যাপিটাল, ডয়েচে মরগান গ্রেনফেল এবং গোল্ডম্যান শ্যাক্সের বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
১০. ভরত দেসাই (১৬০ কোটি ডলার)
ভরত দেসাই কেনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ভারতের আহমেদাবাদে বেড়ে ওঠেন। তিনি আইআইটি বোম্বে থেকে বৈদ্যুতিক প্রকৌশল ডিগ্রি অর্জন করেন এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিফেন এম রস স্কুল অব বিজনেস থেকে ফাইনান্সে এমবিএ সম্পন্ন করেন। তিনি সিনটেলের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং ২০১৮ সালে ১০তম ধনী ভারতীয় আমেরিকান ধনকুবের হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
দেসাই দুই হাজার ডলার দিয়ে সিন্টেল শুরু করেন এবং শুরুতে তার মিশিগানের অ্যাপার্টমেন্ট থেকেই কাজ চালান। তিনি এখন ফ্লোরিডায় অবস্থান করছেন। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি জন এফ কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্টসহ বেশ কয়েকটি সংস্থার বোর্ডের পদে আছেন তিনি।
সূত্র: ফোর্বস, এপ্রিল ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত শীর্ষ বিলিয়নিয়ার জয় চৌধুরী। ২০১৮ সালে ৩৪০ কোটি ডলার থেকে ২০২১ সালে তার সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারে। ফোর্বস জানিয়েছে, ২০২২ সালে স্টক মার্কেটের বিপর্যয়ের কারণে তাঁর মোট সম্পদ ৮৩০ কোটি ডলারে নেমে গিয়েছিল।
ফোর্বস এ রকম বেশ কয়েকজন মার্কিন ধনকুবেরের তালিকা প্রকাশ করেছে, যাঁরা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এখানে দেওয়া হলো শীর্ষ ১০ ধনকুবেরের পরিচিতি।
১. জয় চৌধুরী (মোট সম্পদ ১১৩০ কোটি ডলার)
জেডস্ক্যালারের সিইও জয় চৌধুরী হিমাচল প্রদেশের ছোট শহর পানোহতে জন্ম গ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে শীর্ষ ধনকুবের। হিমালয়ের প্রত্যন্ত শহর থেকে ওয়াল স্ট্রিটে তাঁর উত্থান একটি প্রেরণামূলক গল্প। চৌধুরী সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়ার সাইবার সিকিউরিটি শিল্পের অন্যতম সফল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী।
আইবিএমের মতো কোম্পানিতে বিক্রয় এবং বিপণনের ভূমিকায় সংক্ষিপ্ত কর্মজীবনের পর তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার সান জোসেতে সাইবার ঝুঁকির সম্মুখীন ব্যবসাগুলোর জন্য একটি ভার্চুয়াল নিরাপত্তা চেকপয়েন্ট জেডস্ক্যালার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। তাঁর দাবি, তাঁর সাফল্যের পেছনে অর্থের প্রতি মোহ খুব একটা কাজ করেনি।
২. বিনোদ খোসলা (মোট সম্পদ ৬৭০ কোটি ডলার)
বিনোদ খোসলার মোট সম্পদ ২০২০ সালে ২৩০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ২০২২ সালে হয়েছে ৫৩০ কোটি ডলার। ফোর্বস অনুসারে, সান মাইক্রোসিস্টেমের সাবেক এই সহপ্রতিষ্ঠাতা বর্তমানে দ্বিতীয় শীর্ষ ভারতীয় আমেরিকান ধনকুবের। নয়াদিল্লির মাউন্ট সেন্ট মেরি স্কুল থেকে স্নাতক হওয়ার পর কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেসে ভর্তির আগে তিনি আইআইটি দিল্লিতে পড়াশোনা করেছেন।
৩. রাকেশ গাংওয়াল (মোট সম্পদ ৫৩০ কোটি ডলার)
রাকেশ গাংওয়ালের জন্ম কলকাতায়। এখন তিনি ফ্লোরিডার মিয়ামিতে বাস করেন। গাংওয়ালের মোট সম্পত্তি ৪০০ কোটি ডলারেরও বেশি। ভারতের বৃহত্তম কম খরচের এয়ারলাইন ইন্ডিগোর সহপ্রতিষ্ঠাতা। মহামারির কারণে বিমান শিল্পে লোকসান দেখা দিলে গাংওয়ালের সম্পদের পরিমাণেও তার প্রভাব পড়েছিল।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আইআইএম লক্ষ্ণৌয়ের এই প্রাক্তন ছাত্র পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্টন স্কুলে এমবিএ পড়েছেন। ১৯৮৪ সালে ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের জন্য কৌশলগত পরিকল্পনার কাজ করার পর ইউএস এয়ারওয়েজ গ্রুপের চেয়ারম্যান হন তিনি। অভ্যন্তরীণ বাজার শেয়ারের ওপর ভিত্তি করে, ইন্ডিগো এখন ভারতের বৃহত্তম কম খরচের এয়ারলাইনস।
৪. রমেশ টি ওয়াধওয়ানি (মোট সম্পদ ৫১০ কোটি ডলার)
১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় রমেশ টি ওয়াধওয়ানির পরিবার পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসে। আজ ওয়াধওয়ানি আমেরিকার সবচেয়ে ধনী গুজরাটি। সিম্ফনি টেকনোলজি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ওয়াধওয়ানি একজন স্বনির্মিত উদ্যোক্তা। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ওয়াধওয়ানি ফোর্বসের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত তৃতীয় শীর্ষ ধনকুবের। তাঁর মোট সম্পদ ২০২০ সালে ৩.৪ বিলিয়ন থেকে ৫.১ বিলিয়ন হয়েছে। ২০২০ সালে ৩৪০ কোটি ডলার থেকে ২০২২ সালে তাঁর সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ৫১০ কোটি ডলারে।
ওয়াধওয়ানি একজন জনহিতৈষী হিসেবে পরিচিত। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আইআইটি বম্বের এই প্রাক্তন ছাত্র কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি ভারতের মতো দেশে আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য জাতীয় উদ্যোক্তা নেটওয়ার্কসহ বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়ে ওয়াধওয়ানি ফাউন্ডেশন স্থাপন করেছেন।
৫. জয়শ্রী উল্লাল (মোট সম্পদ ৩৪০ কোটি ডলার)
জয়শ্রী উল্লাল ফোর্বস বিলিয়নিয়ার ক্লাবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত একমাত্র নারী। কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং কোম্পানি আরিস্তা নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। জয়শ্রীর বাবা সুদারঞ্জন বেদান্থম একজন পদার্থবিজ্ঞানী।
জয়শ্রী তাঁর জীবনের প্রথম দিকে পাঁচ বছর লন্ডনে কাটিয়েছেন এবং পরে ভারতে স্থানান্তরিত হন। নয়াদিল্লির কভেন্ট অব জেসাস অ্যান্ড ম্যারি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ১৬ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সান ফ্রান্সিসকো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে বৈদ্যুতিক প্রকৌশল ডিগ্রি অর্জন করেন। সিসকো সিস্টেমস ক্রেসেন্ডো কমিউনিকেশনসকে অধিগ্রহণ করার পর জয়শ্রীকে ডেটা সেন্টার অ্যান্ড সুইচিংয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে উন্নীত করে।
৬. অনিল ভুসরি (মোট সম্পদ ৩১০ কোটি ডলার)
ওয়ার্কডে ইনকরপোরশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও অনিল ভুসরি ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন শীর্ষ ধনকুবের। তিনি ব্রাউন ইউনিভার্সিটি থেকে বৈদ্যুতিক প্রকৌশলে বিজ্ঞানের স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেস থেকে এমবিএ করেছেন। স্ট্যানফোর্ড থেকে এমবিএ করার পর মরগান স্ট্যানলিতে করপোরেট ফিন্যান্স অ্যানালিস্ট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি।
অনিল ভুসরি ইন্টেলের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। এ ছাড়া তিনি গ্রেলকের অংশীদার হিসেবে ফেসবুক, এয়ারবিএনবির মতো সুপরিচিত ব্র্যান্ডে বিনিয়োগ করেছে। ২০১৮ সালে ১৮৫ কোটি ডলার থেকে ২০২০ সালে সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ২৩০ কোটি ডলার। তিনি বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে অবস্থান করছেন।
৭. নিরাজ শাহ (মোট সম্পদ ২৮০ কোটি ডলার)
ভারতীয় অভিবাসী মা-বাবার সন্তান শাহ। তিনি ১৯৯৫ সালে কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং বর্তমানে মার্কিন ই-কমার্স কোম্পানি ওয়েলফেয়ারের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০২ সালে তিনি সহপ্রতিষ্ঠিত গৃহস্থালি জিনিসপত্র অনলাইনে লেনদেন করা প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা নিরাজ শাহ। তাঁর দাদা ভারতে স্টিল ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যবসা করতেন। বোস্টনে বাস করেন নিরাজ শাহ।
জিল শাহকে বিয়ে করেছেন নিরাজ। তাঁদের দুটি সন্তান আছে। নিরাজ শাহ ২০১৭ সালে জিলের সঙ্গে শাহ ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই ফাউন্ডেশন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করে। (ফোর্বসের ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী)
৮. কবিতার্ক রাম শ্রীরাম (মোট সম্পদ ২৭০ কোটি ডলার)
ভারতের চেন্নাইতে জন্মগ্রহণকারী কবিতার্ক রাম শ্রীরাম ক্যালিফোর্নিয়ায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর মোট সম্পদের মূল্য ২৩০ কোটি ডলার। গুগলের মূল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তিনি একজন। কবিতার্ক চেন্নাইয়ের লয়োলা কলেজ থেকে গণিতে ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
গুগলে আড়াই লাখ ডলার বিনিয়োগের আগে তিনি আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা, সিইও এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি জেফ বেজোসের সঙ্গে কাজ করেছেন। ২০০০ সালে প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের জন্য একটি ভেঞ্চার ফাইনান্সিং কোম্পানি হিসেবে শেরপালো প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
৯. ব্রায়ান শেঠ (মোট সম্পদ ২৩০ কোটি ডলার)
টেক্সাসভিত্তিক প্রাইভেট ইকুইটি ফার্ম ভিস্তা ইকুইটি পার্টনারের প্রেসিডেন্ট এবং সাবেক সিইও ব্রায়ান এন শেঠ। তাঁর বাবা ছিলেন ভারত থেকে আসা একজন অভিবাসী এবং মা ছিলেন আইরিশ-ক্যাথলিক। মা একজন বিমা বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করতেন।
ফোর্বসের ২০১৯ সালের ৪০০ ধনী আমেরিকানদের তালিকায় তিনি সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় আমেরিকান ধনকুবের। তিনি একজন সংরক্ষণবাদী এবং পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্টন স্কুলের স্নাতক। শেঠ পরিবেশ ও প্রাণী রক্ষায় নিবেদিত দল গ্লোবাল ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশনের সহসভাপতি। নিজের ব্যবসা শুরু করার আগে শেঠ বেইন ক্যাপিটাল, ডয়েচে মরগান গ্রেনফেল এবং গোল্ডম্যান শ্যাক্সের বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
১০. ভরত দেসাই (১৬০ কোটি ডলার)
ভরত দেসাই কেনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ভারতের আহমেদাবাদে বেড়ে ওঠেন। তিনি আইআইটি বোম্বে থেকে বৈদ্যুতিক প্রকৌশল ডিগ্রি অর্জন করেন এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিফেন এম রস স্কুল অব বিজনেস থেকে ফাইনান্সে এমবিএ সম্পন্ন করেন। তিনি সিনটেলের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং ২০১৮ সালে ১০তম ধনী ভারতীয় আমেরিকান ধনকুবের হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
দেসাই দুই হাজার ডলার দিয়ে সিন্টেল শুরু করেন এবং শুরুতে তার মিশিগানের অ্যাপার্টমেন্ট থেকেই কাজ চালান। তিনি এখন ফ্লোরিডায় অবস্থান করছেন। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি জন এফ কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্টসহ বেশ কয়েকটি সংস্থার বোর্ডের পদে আছেন তিনি।
সূত্র: ফোর্বস, এপ্রিল ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত শীর্ষ বিলিয়নিয়ার জয় চৌধুরী। ২০১৮ সালে ৩৪০ কোটি ডলার থেকে ২০২১ সালে তার সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারে। ফোর্বস জানিয়েছে, ২০২২ সালে স্টক মার্কেটের বিপর্যয়ের কারণে তাঁর মোট সম্পদ ৮৩০ কোটি ডলারে নেমে গিয়েছিল।
ফোর্বস এ রকম বেশ কয়েকজন মার্কিন ধনকুবেরের তালিকা প্রকাশ করেছে, যাঁরা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এখানে দেওয়া হলো শীর্ষ ১০ ধনকুবেরের পরিচিতি।
১. জয় চৌধুরী (মোট সম্পদ ১১৩০ কোটি ডলার)
জেডস্ক্যালারের সিইও জয় চৌধুরী হিমাচল প্রদেশের ছোট শহর পানোহতে জন্ম গ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে শীর্ষ ধনকুবের। হিমালয়ের প্রত্যন্ত শহর থেকে ওয়াল স্ট্রিটে তাঁর উত্থান একটি প্রেরণামূলক গল্প। চৌধুরী সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়ার সাইবার সিকিউরিটি শিল্পের অন্যতম সফল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী।
আইবিএমের মতো কোম্পানিতে বিক্রয় এবং বিপণনের ভূমিকায় সংক্ষিপ্ত কর্মজীবনের পর তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার সান জোসেতে সাইবার ঝুঁকির সম্মুখীন ব্যবসাগুলোর জন্য একটি ভার্চুয়াল নিরাপত্তা চেকপয়েন্ট জেডস্ক্যালার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। তাঁর দাবি, তাঁর সাফল্যের পেছনে অর্থের প্রতি মোহ খুব একটা কাজ করেনি।
২. বিনোদ খোসলা (মোট সম্পদ ৬৭০ কোটি ডলার)
বিনোদ খোসলার মোট সম্পদ ২০২০ সালে ২৩০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ২০২২ সালে হয়েছে ৫৩০ কোটি ডলার। ফোর্বস অনুসারে, সান মাইক্রোসিস্টেমের সাবেক এই সহপ্রতিষ্ঠাতা বর্তমানে দ্বিতীয় শীর্ষ ভারতীয় আমেরিকান ধনকুবের। নয়াদিল্লির মাউন্ট সেন্ট মেরি স্কুল থেকে স্নাতক হওয়ার পর কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেসে ভর্তির আগে তিনি আইআইটি দিল্লিতে পড়াশোনা করেছেন।
৩. রাকেশ গাংওয়াল (মোট সম্পদ ৫৩০ কোটি ডলার)
রাকেশ গাংওয়ালের জন্ম কলকাতায়। এখন তিনি ফ্লোরিডার মিয়ামিতে বাস করেন। গাংওয়ালের মোট সম্পত্তি ৪০০ কোটি ডলারেরও বেশি। ভারতের বৃহত্তম কম খরচের এয়ারলাইন ইন্ডিগোর সহপ্রতিষ্ঠাতা। মহামারির কারণে বিমান শিল্পে লোকসান দেখা দিলে গাংওয়ালের সম্পদের পরিমাণেও তার প্রভাব পড়েছিল।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আইআইএম লক্ষ্ণৌয়ের এই প্রাক্তন ছাত্র পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্টন স্কুলে এমবিএ পড়েছেন। ১৯৮৪ সালে ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের জন্য কৌশলগত পরিকল্পনার কাজ করার পর ইউএস এয়ারওয়েজ গ্রুপের চেয়ারম্যান হন তিনি। অভ্যন্তরীণ বাজার শেয়ারের ওপর ভিত্তি করে, ইন্ডিগো এখন ভারতের বৃহত্তম কম খরচের এয়ারলাইনস।
৪. রমেশ টি ওয়াধওয়ানি (মোট সম্পদ ৫১০ কোটি ডলার)
১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় রমেশ টি ওয়াধওয়ানির পরিবার পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসে। আজ ওয়াধওয়ানি আমেরিকার সবচেয়ে ধনী গুজরাটি। সিম্ফনি টেকনোলজি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ওয়াধওয়ানি একজন স্বনির্মিত উদ্যোক্তা। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ওয়াধওয়ানি ফোর্বসের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত তৃতীয় শীর্ষ ধনকুবের। তাঁর মোট সম্পদ ২০২০ সালে ৩.৪ বিলিয়ন থেকে ৫.১ বিলিয়ন হয়েছে। ২০২০ সালে ৩৪০ কোটি ডলার থেকে ২০২২ সালে তাঁর সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ৫১০ কোটি ডলারে।
ওয়াধওয়ানি একজন জনহিতৈষী হিসেবে পরিচিত। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আইআইটি বম্বের এই প্রাক্তন ছাত্র কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি ভারতের মতো দেশে আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য জাতীয় উদ্যোক্তা নেটওয়ার্কসহ বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়ে ওয়াধওয়ানি ফাউন্ডেশন স্থাপন করেছেন।
৫. জয়শ্রী উল্লাল (মোট সম্পদ ৩৪০ কোটি ডলার)
জয়শ্রী উল্লাল ফোর্বস বিলিয়নিয়ার ক্লাবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত একমাত্র নারী। কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং কোম্পানি আরিস্তা নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। জয়শ্রীর বাবা সুদারঞ্জন বেদান্থম একজন পদার্থবিজ্ঞানী।
জয়শ্রী তাঁর জীবনের প্রথম দিকে পাঁচ বছর লন্ডনে কাটিয়েছেন এবং পরে ভারতে স্থানান্তরিত হন। নয়াদিল্লির কভেন্ট অব জেসাস অ্যান্ড ম্যারি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ১৬ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সান ফ্রান্সিসকো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে বৈদ্যুতিক প্রকৌশল ডিগ্রি অর্জন করেন। সিসকো সিস্টেমস ক্রেসেন্ডো কমিউনিকেশনসকে অধিগ্রহণ করার পর জয়শ্রীকে ডেটা সেন্টার অ্যান্ড সুইচিংয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে উন্নীত করে।
৬. অনিল ভুসরি (মোট সম্পদ ৩১০ কোটি ডলার)
ওয়ার্কডে ইনকরপোরশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও অনিল ভুসরি ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন শীর্ষ ধনকুবের। তিনি ব্রাউন ইউনিভার্সিটি থেকে বৈদ্যুতিক প্রকৌশলে বিজ্ঞানের স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেস থেকে এমবিএ করেছেন। স্ট্যানফোর্ড থেকে এমবিএ করার পর মরগান স্ট্যানলিতে করপোরেট ফিন্যান্স অ্যানালিস্ট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি।
অনিল ভুসরি ইন্টেলের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। এ ছাড়া তিনি গ্রেলকের অংশীদার হিসেবে ফেসবুক, এয়ারবিএনবির মতো সুপরিচিত ব্র্যান্ডে বিনিয়োগ করেছে। ২০১৮ সালে ১৮৫ কোটি ডলার থেকে ২০২০ সালে সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ২৩০ কোটি ডলার। তিনি বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে অবস্থান করছেন।
৭. নিরাজ শাহ (মোট সম্পদ ২৮০ কোটি ডলার)
ভারতীয় অভিবাসী মা-বাবার সন্তান শাহ। তিনি ১৯৯৫ সালে কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং বর্তমানে মার্কিন ই-কমার্স কোম্পানি ওয়েলফেয়ারের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০২ সালে তিনি সহপ্রতিষ্ঠিত গৃহস্থালি জিনিসপত্র অনলাইনে লেনদেন করা প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা নিরাজ শাহ। তাঁর দাদা ভারতে স্টিল ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যবসা করতেন। বোস্টনে বাস করেন নিরাজ শাহ।
জিল শাহকে বিয়ে করেছেন নিরাজ। তাঁদের দুটি সন্তান আছে। নিরাজ শাহ ২০১৭ সালে জিলের সঙ্গে শাহ ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই ফাউন্ডেশন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করে। (ফোর্বসের ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী)
৮. কবিতার্ক রাম শ্রীরাম (মোট সম্পদ ২৭০ কোটি ডলার)
ভারতের চেন্নাইতে জন্মগ্রহণকারী কবিতার্ক রাম শ্রীরাম ক্যালিফোর্নিয়ায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর মোট সম্পদের মূল্য ২৩০ কোটি ডলার। গুগলের মূল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তিনি একজন। কবিতার্ক চেন্নাইয়ের লয়োলা কলেজ থেকে গণিতে ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
গুগলে আড়াই লাখ ডলার বিনিয়োগের আগে তিনি আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা, সিইও এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি জেফ বেজোসের সঙ্গে কাজ করেছেন। ২০০০ সালে প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের জন্য একটি ভেঞ্চার ফাইনান্সিং কোম্পানি হিসেবে শেরপালো প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
৯. ব্রায়ান শেঠ (মোট সম্পদ ২৩০ কোটি ডলার)
টেক্সাসভিত্তিক প্রাইভেট ইকুইটি ফার্ম ভিস্তা ইকুইটি পার্টনারের প্রেসিডেন্ট এবং সাবেক সিইও ব্রায়ান এন শেঠ। তাঁর বাবা ছিলেন ভারত থেকে আসা একজন অভিবাসী এবং মা ছিলেন আইরিশ-ক্যাথলিক। মা একজন বিমা বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করতেন।
ফোর্বসের ২০১৯ সালের ৪০০ ধনী আমেরিকানদের তালিকায় তিনি সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় আমেরিকান ধনকুবের। তিনি একজন সংরক্ষণবাদী এবং পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্টন স্কুলের স্নাতক। শেঠ পরিবেশ ও প্রাণী রক্ষায় নিবেদিত দল গ্লোবাল ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশনের সহসভাপতি। নিজের ব্যবসা শুরু করার আগে শেঠ বেইন ক্যাপিটাল, ডয়েচে মরগান গ্রেনফেল এবং গোল্ডম্যান শ্যাক্সের বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
১০. ভরত দেসাই (১৬০ কোটি ডলার)
ভরত দেসাই কেনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ভারতের আহমেদাবাদে বেড়ে ওঠেন। তিনি আইআইটি বোম্বে থেকে বৈদ্যুতিক প্রকৌশল ডিগ্রি অর্জন করেন এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিফেন এম রস স্কুল অব বিজনেস থেকে ফাইনান্সে এমবিএ সম্পন্ন করেন। তিনি সিনটেলের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং ২০১৮ সালে ১০তম ধনী ভারতীয় আমেরিকান ধনকুবের হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
দেসাই দুই হাজার ডলার দিয়ে সিন্টেল শুরু করেন এবং শুরুতে তার মিশিগানের অ্যাপার্টমেন্ট থেকেই কাজ চালান। তিনি এখন ফ্লোরিডায় অবস্থান করছেন। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি জন এফ কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্টসহ বেশ কয়েকটি সংস্থার বোর্ডের পদে আছেন তিনি।
সূত্র: ফোর্বস, এপ্রিল ২০২৪

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
২ ঘণ্টা আগে
কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন...
৫ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত শীর্ষ বিলিয়নিয়ার জয় চৌধুরী। ২০১৮ সালে ৩৪০ কোটি ডলার থেকে ২০২১ সালে তাঁর সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারে। ফোর্বস জানিয়েছে, ২০২২ সালে স্টক মার্কেটের বিপর্যয়ের কারণে তাঁর মোট সম্পদ ৮৩০ কোটি ডলারে নেমে গিয়েছিল। ফোর্বস এ রকম বেশ কয়েকজন মার্কিন ধনকুবেরের তালিকা প্রক
১৯ এপ্রিল ২০২৪
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
২ ঘণ্টা আগে
কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন...
৫ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ডকে একটি ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আবদিরহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি (সিরো) এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে সই করেন।
তবে ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ঐতিহাসিক মাইলফলককে ‘আব্রাহাম চুক্তি’র অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এর মাধ্যমে দুই দেশ পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে একে অপরের রাজধানীতে দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করবে। কৃষি, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইসরায়েল সোমালিল্যান্ডকে সরাসরি সহায়তা দেবে।
সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরায়েলের এই ধৃষ্টতা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। এটি আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।
সোমালিয়ার অভিযোগ, ইসরায়েল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পুনর্বাসিত করার জন্য এই স্বীকৃতির চাল চেলেছে। ফিলিস্তিন সরকারও এই আশঙ্কায় সংহতি প্রকাশ করে একে একটি ‘বিপজ্জনক সীমা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
সোমালিয়া সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সোমালিল্যান্ড তাদের ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এর অখণ্ডতা রক্ষায় তারা যেকোনো কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ নেবে।
ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তে বিশ্ব রাজনীতিতেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ইস্যুতে নেতানিয়াহু থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। তিনি নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, ‘আমি এখনই এই পথে হাঁটব না।’
এদিকে আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদ আলি ইউসুফ সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার যেকোনো উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এতে বিপজ্জনক নজির তৈরি হবে, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে। আফ্রিকান ইউনিয়ন ১৯৬৪ সালের একটি নীতির কথা উল্লেখ করে, যেখানে স্বাধীনতার সময় উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সীমান্ত অক্ষুণ্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইতও ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি একে একটি আরব ও আফ্রিকান রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ওপর উসকানিমূলক আক্রমণ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মধ্যেও শুক্রবার হারগেইসার রাস্তায় হাজারো মানুষ নেমে আসে উদ্যাপনে। অনেকের কাছে এটি ছিল ৩০ বছরের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার অবসান। দেশটির জাতীয় জাদুঘরে ইসরায়েলের পতাকা টানানো হয় এবং বাসিন্দারা এই স্বীকৃতিকে স্বাগত জানান।
ঐতিহাসিকভাবে সোমালিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে টানাপোড়েন আছে। এর পেছনে রয়েছে সোমালিয়ার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইথিওপিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। স্নায়ুযুদ্ধের সময় ইসরায়েল ইথিওপিয়াকে সামরিক প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা সহায়তা ও অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। অন্যদিকে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ সোমালিয়া ১৯৭৭ সালের ওগাডেন যুদ্ধে পরাজিত হয়, যা পরবর্তী কয়েক দশকের গৃহবিবাদকে উসকে দেয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন নেতা মোহাম্মদ সিয়াদ বারের শাসনামলে নিপীড়নের পর সোমালিল্যান্ড স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিয়া কখনোই অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। জাতিসংঘের কোনো সদস্যরাষ্ট্রও অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে সোমালিল্যান্ড নিজেদের আলাদা মুদ্রা, পতাকা ও সংসদ গঠন করেছে।
হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চলে বাবেল মান্দেব প্রণালির কাছে কৌশলগত অবস্থানের কারণে এই অঞ্চল ভূরাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারেন হাসকেল জানান, হুথির প্রভাব নিয়ে যৌথ উদ্বেগের বিষয়ে সোমালিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। তবে সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর এই দাবি অস্বীকার করে বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং ইসরায়েলি নীতির বিষয়ে সোমালিয়ার অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ডকে একটি ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আবদিরহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি (সিরো) এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে সই করেন।
তবে ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ঐতিহাসিক মাইলফলককে ‘আব্রাহাম চুক্তি’র অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এর মাধ্যমে দুই দেশ পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে একে অপরের রাজধানীতে দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করবে। কৃষি, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইসরায়েল সোমালিল্যান্ডকে সরাসরি সহায়তা দেবে।
সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরায়েলের এই ধৃষ্টতা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। এটি আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।
সোমালিয়ার অভিযোগ, ইসরায়েল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পুনর্বাসিত করার জন্য এই স্বীকৃতির চাল চেলেছে। ফিলিস্তিন সরকারও এই আশঙ্কায় সংহতি প্রকাশ করে একে একটি ‘বিপজ্জনক সীমা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
সোমালিয়া সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সোমালিল্যান্ড তাদের ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এর অখণ্ডতা রক্ষায় তারা যেকোনো কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ নেবে।
ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তে বিশ্ব রাজনীতিতেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ইস্যুতে নেতানিয়াহু থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। তিনি নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, ‘আমি এখনই এই পথে হাঁটব না।’
এদিকে আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদ আলি ইউসুফ সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার যেকোনো উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এতে বিপজ্জনক নজির তৈরি হবে, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে। আফ্রিকান ইউনিয়ন ১৯৬৪ সালের একটি নীতির কথা উল্লেখ করে, যেখানে স্বাধীনতার সময় উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সীমান্ত অক্ষুণ্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইতও ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি একে একটি আরব ও আফ্রিকান রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ওপর উসকানিমূলক আক্রমণ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মধ্যেও শুক্রবার হারগেইসার রাস্তায় হাজারো মানুষ নেমে আসে উদ্যাপনে। অনেকের কাছে এটি ছিল ৩০ বছরের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার অবসান। দেশটির জাতীয় জাদুঘরে ইসরায়েলের পতাকা টানানো হয় এবং বাসিন্দারা এই স্বীকৃতিকে স্বাগত জানান।
ঐতিহাসিকভাবে সোমালিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে টানাপোড়েন আছে। এর পেছনে রয়েছে সোমালিয়ার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইথিওপিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। স্নায়ুযুদ্ধের সময় ইসরায়েল ইথিওপিয়াকে সামরিক প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা সহায়তা ও অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। অন্যদিকে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ সোমালিয়া ১৯৭৭ সালের ওগাডেন যুদ্ধে পরাজিত হয়, যা পরবর্তী কয়েক দশকের গৃহবিবাদকে উসকে দেয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন নেতা মোহাম্মদ সিয়াদ বারের শাসনামলে নিপীড়নের পর সোমালিল্যান্ড স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিয়া কখনোই অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। জাতিসংঘের কোনো সদস্যরাষ্ট্রও অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে সোমালিল্যান্ড নিজেদের আলাদা মুদ্রা, পতাকা ও সংসদ গঠন করেছে।
হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চলে বাবেল মান্দেব প্রণালির কাছে কৌশলগত অবস্থানের কারণে এই অঞ্চল ভূরাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারেন হাসকেল জানান, হুথির প্রভাব নিয়ে যৌথ উদ্বেগের বিষয়ে সোমালিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। তবে সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর এই দাবি অস্বীকার করে বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং ইসরায়েলি নীতির বিষয়ে সোমালিয়ার অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত শীর্ষ বিলিয়নিয়ার জয় চৌধুরী। ২০১৮ সালে ৩৪০ কোটি ডলার থেকে ২০২১ সালে তাঁর সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারে। ফোর্বস জানিয়েছে, ২০২২ সালে স্টক মার্কেটের বিপর্যয়ের কারণে তাঁর মোট সম্পদ ৮৩০ কোটি ডলারে নেমে গিয়েছিল। ফোর্বস এ রকম বেশ কয়েকজন মার্কিন ধনকুবেরের তালিকা প্রক
১৯ এপ্রিল ২০২৪
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন...
৫ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন বাগ্যুদ্ধ। বিরোধীদের দাবি, উত্তর ভারতের বিতর্কিত ‘বুলডোজার রাজ’ এখন কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারও অনুসরণ করছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর (সোমবার) ভোর ৪টার সময় বেঙ্গালুরুর কোগিলু গ্রামের ফকির কলোনি ও ওয়াসিম লেআউটে এই অভিযান চালায় বেঙ্গালুরু সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। ৪টি জেসিবি (এক্সকাভেটর) এবং ১৫০ জনের বেশি পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে এই উচ্ছেদ চালানো হয়।

বেঙ্গালুরুতে যখন বছরের সবচেয়ে বেশি শীত বিরাজ করছে, ঠিক তখনই এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের দাবি, কোনো আগাম নোটিশ ছাড়াই পুলিশ তাদের জোরপূর্বক বের করে দিয়েছে। অনেক পরিবার তাদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র এবং আসবাব সরিয়ে নেওয়ারও সময় পায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তারা প্রায় ২৫ বছর ধরে ওই এলাকায় বসবাস করছে। তাদের প্রত্যেকের কাছে বৈধ আধার কার্ড এবং ভোটার আইডি রয়েছে।
উচ্ছেদ হওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশই শ্রমজীবী ও অভিবাসী। বর্তমানে কয়েক শ মানুষ তীব্র শীতের মধ্যে রাস্তার ওপর অস্থায়ী তাঁবু বা খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সবচেয়ে সোচ্চার হয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন। তিনি কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুবিরোধী রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘দুঃখজনক, কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারের অধীনে এখন সংখ্যালঘুবিরোধী রাজনীতি বাস্তবায়িত হচ্ছে। যখন কোনো সরকার ভয় এবং পাশবিক শক্তির মাধ্যমে শাসন করে, তখন সাংবিধানিক মূল্যবোধ ও মানবিক মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হয়।’
কেরালার আরেক মন্ত্রী ভি শিবনকুট্টি এই ঘটনাকে ১৯৭৫ সালের ‘জরুরি অবস্থা’র ক্রূরতার সঙ্গে তুলনা করেছেন। সিপিআইয়ের (এম) একটি প্রতিনিধিদল উচ্ছেদস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় একটি ‘উচ্ছেদবিরোধী কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
সমালোচনার মুখে কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার তাঁর সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তিনি বলেছেন, এলাকাটি মূলত একটি আবর্জনা ফেলার ভাগাড় ছিল এবং ভূমি মাফিয়ারা এটিকে বস্তিতে রূপান্তরের চেষ্টা করছিল।
শিবকুমার দাবি করেন, তাঁরা কাউকে কষ্ট দিতে চান না, বরং সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে চান। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বুলডোজার সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না। পিনরাই বিজয়নের মতো প্রবীণ নেতাদের মাঠের বাস্তবতা না জেনে মন্তব্য করা উচিত নয়।’
তবে অনেকেই বলছেন, ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ক্ষমতায় আসা কংগ্রেস সরকারের এমন ‘বুলডোজার’ নীতি তাদের ভাবমূর্তিকে সংকটে ফেলতে পারে, বিশেষ করে যখন বন্ধুপ্রতিম দলগুলোই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন বাগ্যুদ্ধ। বিরোধীদের দাবি, উত্তর ভারতের বিতর্কিত ‘বুলডোজার রাজ’ এখন কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারও অনুসরণ করছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর (সোমবার) ভোর ৪টার সময় বেঙ্গালুরুর কোগিলু গ্রামের ফকির কলোনি ও ওয়াসিম লেআউটে এই অভিযান চালায় বেঙ্গালুরু সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। ৪টি জেসিবি (এক্সকাভেটর) এবং ১৫০ জনের বেশি পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে এই উচ্ছেদ চালানো হয়।

বেঙ্গালুরুতে যখন বছরের সবচেয়ে বেশি শীত বিরাজ করছে, ঠিক তখনই এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের দাবি, কোনো আগাম নোটিশ ছাড়াই পুলিশ তাদের জোরপূর্বক বের করে দিয়েছে। অনেক পরিবার তাদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র এবং আসবাব সরিয়ে নেওয়ারও সময় পায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তারা প্রায় ২৫ বছর ধরে ওই এলাকায় বসবাস করছে। তাদের প্রত্যেকের কাছে বৈধ আধার কার্ড এবং ভোটার আইডি রয়েছে।
উচ্ছেদ হওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশই শ্রমজীবী ও অভিবাসী। বর্তমানে কয়েক শ মানুষ তীব্র শীতের মধ্যে রাস্তার ওপর অস্থায়ী তাঁবু বা খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সবচেয়ে সোচ্চার হয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন। তিনি কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুবিরোধী রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘দুঃখজনক, কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারের অধীনে এখন সংখ্যালঘুবিরোধী রাজনীতি বাস্তবায়িত হচ্ছে। যখন কোনো সরকার ভয় এবং পাশবিক শক্তির মাধ্যমে শাসন করে, তখন সাংবিধানিক মূল্যবোধ ও মানবিক মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হয়।’
কেরালার আরেক মন্ত্রী ভি শিবনকুট্টি এই ঘটনাকে ১৯৭৫ সালের ‘জরুরি অবস্থা’র ক্রূরতার সঙ্গে তুলনা করেছেন। সিপিআইয়ের (এম) একটি প্রতিনিধিদল উচ্ছেদস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় একটি ‘উচ্ছেদবিরোধী কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
সমালোচনার মুখে কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার তাঁর সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তিনি বলেছেন, এলাকাটি মূলত একটি আবর্জনা ফেলার ভাগাড় ছিল এবং ভূমি মাফিয়ারা এটিকে বস্তিতে রূপান্তরের চেষ্টা করছিল।
শিবকুমার দাবি করেন, তাঁরা কাউকে কষ্ট দিতে চান না, বরং সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে চান। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বুলডোজার সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না। পিনরাই বিজয়নের মতো প্রবীণ নেতাদের মাঠের বাস্তবতা না জেনে মন্তব্য করা উচিত নয়।’
তবে অনেকেই বলছেন, ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ক্ষমতায় আসা কংগ্রেস সরকারের এমন ‘বুলডোজার’ নীতি তাদের ভাবমূর্তিকে সংকটে ফেলতে পারে, বিশেষ করে যখন বন্ধুপ্রতিম দলগুলোই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত শীর্ষ বিলিয়নিয়ার জয় চৌধুরী। ২০১৮ সালে ৩৪০ কোটি ডলার থেকে ২০২১ সালে তাঁর সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারে। ফোর্বস জানিয়েছে, ২০২২ সালে স্টক মার্কেটের বিপর্যয়ের কারণে তাঁর মোট সম্পদ ৮৩০ কোটি ডলারে নেমে গিয়েছিল। ফোর্বস এ রকম বেশ কয়েকজন মার্কিন ধনকুবেরের তালিকা প্রক
১৯ এপ্রিল ২০২৪
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
২ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলাকে সন্ত্রাসীদের জন্য ‘বড়দিনের উপহার’ হিসেবে অভিহিত করলেও স্থানীয়রা বলছেন, তাঁর এলাকায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) বা কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর নাম-গন্ধও নেই। তাঁরা কখনো আইএস দেখেননি।
সোকোটো রাজ্যের তাম্বুওয়াল জেলার মুসলিমপ্রধান কৃষিভিত্তিক জনপদ জাবোর বাসিন্দা সুলেমান কাগারা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তিনি একটি বিকট শব্দ শোনেন এবং মাথার ওপর দিয়ে আগুনের গোলার মতো কিছু একটা উড়ে যেতে দেখেন। মুহূর্তের মধ্যেই সেটি সশব্দে মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ভয়ে গ্রামবাসীরা দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে পালাতে শুরু করেন।
কাগারা বলেন, ‘আমরা কাল সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। আমাদের জীবনে আমরা এমন ভয়াবহ দৃশ্য কখনো দেখিনি।’
এদিকে হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী অভিযান চালিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এই জঙ্গিরা বছরের পর বছর ধরে নিরীহ খ্রিষ্টানদের হত্যা করছে। তবে ট্রাম্পের এই বক্তব্যে জাবোর মানুষ আকাশ থেকে পড়েছে।
সুলেমান কাগারা জানান, জাবো গ্রামে মুসলিমদের পাশাপাশি খ্রিষ্টানরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে। তাদের মধ্যে কোনো ধর্মীয় সংঘাত নেই। সোকোটো রাজ্যের তাম্বুওয়াল থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বাশার ইসাহ জাবো বলেন, ‘এটি একটি শান্ত এলাকা। এখানে আইএস, লাকুরাওয়া বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কার্যক্রমের কোনো ইতিহাস নেই।’
বাশার ইসাহ আরও বলেন, মিসাইলটি গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটি খোলা মাঠে আঘাত হানে। এতে কেউ হতাহত না হলেও পুরো জনপদে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
নাইজেরিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয় পরে এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও নাইজেরিয়া যৌথভাবে সোকোটোর তানগাজা জেলার জঙ্গলে আইএসের আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে তারা স্বীকার করেছে, অভিযানের সময় ব্যবহৃত গোলার ধ্বংসাবশেষ বা ‘ডেব্রিস’ জাবো গ্রাম এবং উত্তর-কেন্দ্রীয় কওয়ারা রাজ্যের কিছু এলাকায় গিয়ে পড়েছে। তারা এটাও দাবি করেছে, এতে কোনো বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়নি।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা নামদি ওবাসি মনে করেন, এই বিমান হামলা হয়তো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে কিছুটা দুর্বল করবে, কিন্তু নাইজেরিয়ার বহুমাত্রিক সহিংসতা শুধু সামরিক শক্তি দিয়ে বন্ধ করা সম্ভব নয়। তাঁর মতে, সুশাসনের অভাব, চারণভূমি ও পানির দখল নিয়ে কৃষক-পশুপালকদের জাতিগত দাঙ্গা এবং গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বই এই অস্থিরতার মূল কারণ।
নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউসুফ তুগার সিএনএনকে জানিয়েছেন, হামলার আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু এই অভিযানের অনুমতি দিয়েছেন। তবে নাইজেরিয়ার সাধারণ মানুষ মনে করছে, সন্ত্রাস দমনের নামে সাধারণ জনপদে এ ধরনের হামলা তাদের জীবনকে আরও অনিরাপদ করে তুলছে।

নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলাকে সন্ত্রাসীদের জন্য ‘বড়দিনের উপহার’ হিসেবে অভিহিত করলেও স্থানীয়রা বলছেন, তাঁর এলাকায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) বা কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর নাম-গন্ধও নেই। তাঁরা কখনো আইএস দেখেননি।
সোকোটো রাজ্যের তাম্বুওয়াল জেলার মুসলিমপ্রধান কৃষিভিত্তিক জনপদ জাবোর বাসিন্দা সুলেমান কাগারা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তিনি একটি বিকট শব্দ শোনেন এবং মাথার ওপর দিয়ে আগুনের গোলার মতো কিছু একটা উড়ে যেতে দেখেন। মুহূর্তের মধ্যেই সেটি সশব্দে মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ভয়ে গ্রামবাসীরা দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে পালাতে শুরু করেন।
কাগারা বলেন, ‘আমরা কাল সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। আমাদের জীবনে আমরা এমন ভয়াবহ দৃশ্য কখনো দেখিনি।’
এদিকে হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী অভিযান চালিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এই জঙ্গিরা বছরের পর বছর ধরে নিরীহ খ্রিষ্টানদের হত্যা করছে। তবে ট্রাম্পের এই বক্তব্যে জাবোর মানুষ আকাশ থেকে পড়েছে।
সুলেমান কাগারা জানান, জাবো গ্রামে মুসলিমদের পাশাপাশি খ্রিষ্টানরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে। তাদের মধ্যে কোনো ধর্মীয় সংঘাত নেই। সোকোটো রাজ্যের তাম্বুওয়াল থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বাশার ইসাহ জাবো বলেন, ‘এটি একটি শান্ত এলাকা। এখানে আইএস, লাকুরাওয়া বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কার্যক্রমের কোনো ইতিহাস নেই।’
বাশার ইসাহ আরও বলেন, মিসাইলটি গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটি খোলা মাঠে আঘাত হানে। এতে কেউ হতাহত না হলেও পুরো জনপদে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
নাইজেরিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয় পরে এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও নাইজেরিয়া যৌথভাবে সোকোটোর তানগাজা জেলার জঙ্গলে আইএসের আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে তারা স্বীকার করেছে, অভিযানের সময় ব্যবহৃত গোলার ধ্বংসাবশেষ বা ‘ডেব্রিস’ জাবো গ্রাম এবং উত্তর-কেন্দ্রীয় কওয়ারা রাজ্যের কিছু এলাকায় গিয়ে পড়েছে। তারা এটাও দাবি করেছে, এতে কোনো বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়নি।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা নামদি ওবাসি মনে করেন, এই বিমান হামলা হয়তো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে কিছুটা দুর্বল করবে, কিন্তু নাইজেরিয়ার বহুমাত্রিক সহিংসতা শুধু সামরিক শক্তি দিয়ে বন্ধ করা সম্ভব নয়। তাঁর মতে, সুশাসনের অভাব, চারণভূমি ও পানির দখল নিয়ে কৃষক-পশুপালকদের জাতিগত দাঙ্গা এবং গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বই এই অস্থিরতার মূল কারণ।
নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউসুফ তুগার সিএনএনকে জানিয়েছেন, হামলার আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু এই অভিযানের অনুমতি দিয়েছেন। তবে নাইজেরিয়ার সাধারণ মানুষ মনে করছে, সন্ত্রাস দমনের নামে সাধারণ জনপদে এ ধরনের হামলা তাদের জীবনকে আরও অনিরাপদ করে তুলছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত শীর্ষ বিলিয়নিয়ার জয় চৌধুরী। ২০১৮ সালে ৩৪০ কোটি ডলার থেকে ২০২১ সালে তাঁর সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারে। ফোর্বস জানিয়েছে, ২০২২ সালে স্টক মার্কেটের বিপর্যয়ের কারণে তাঁর মোট সম্পদ ৮৩০ কোটি ডলারে নেমে গিয়েছিল। ফোর্বস এ রকম বেশ কয়েকজন মার্কিন ধনকুবেরের তালিকা প্রক
১৯ এপ্রিল ২০২৪
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
২ ঘণ্টা আগে
কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন...
৫ ঘণ্টা আগে