
যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ, এয়ার ফোর্স জেনারেল সি. কিউ. ব্রাউনকে গতকাল শুক্রবার বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পেন্টাগনের শীর্ষস্থানীয় পাঁচজন অ্যাডমিরাল ও জেনারেলকেও সরিয়ে দিয়েছেন দিয়েছেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নেতৃত্বে অভূতপূর্ব পরিবর্তন।
ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে জানান, তিনি ব্রাউনের স্থলাভিষিক্ত করবেন সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল ড্যান ‘রাজিন’ কেইনকে।
এটি ঐতিহ্য ভঙ্গ করা একটা সিদ্ধান্ত, কারণ কেইনকে অবসর থেকে ফিরিয়ে এনে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পদে বসানো হচ্ছে।
পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রাম্প নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রাঞ্চেটিকেও সরিয়ে দিচ্ছেন। তিনি প্রথম নারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া, এয়ার ফোর্সের ভাইস চিফ অব স্টাফ এবং আর্মি, নেভি ও এয়ার ফোর্সের জজ অ্যাডভোকেট জেনারেলদেরও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই পদগুলো সামরিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত পেন্টাগনে একটি অস্থির সময়ের সূচনা করল, যেখানে ইতিমধ্যেই বেসামরিক কর্মীদের ব্যাপক বরখাস্ত, বাজেটে বড় ধরনের পরিবর্তন এবং ট্রাম্পের নতুন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বৈদেশিক নীতির অধীনে সামরিক বাহিনী ব্যাপক পরিবর্তনের প্রস্তুতি চলছে।
বেসামরিক নেতৃত্বে পরিবর্তন এলেও সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ইউনিফর্মধারী সদস্যদের রাজনীতিমুক্ত রাখা হয়। ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান উভয় প্রশাসনের নীতিই পেন্টাগন বাস্তবায়ন করে।
জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ ব্রাউন হলেন দ্বিতীয় আফ্রিকান–আমেরিকান, যিনি প্রেসিডেন্টের শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা হয়েছিলেন। ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর চাকরির মেয়াদ ছিল। একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, সিনেটে তাঁর উত্তরসূরি নিশ্চিত হওয়ার আগেই হঠাৎ করে সরিয়ে দেওয়া হলো।
গত নভেম্বরে বার্তা সংস্থা রয়টার্স প্রথম ট্রাম্প প্রশাসন শীর্ষ সামরিক নেতৃত্বে ব্যাপক পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেই প্রতিবেদনে ব্রাউনের বরখাস্তের কথাও ছিল।
ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। রোড আইল্যান্ডের সিনেটর জ্যাক রিড, যিনি সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট, তিনি বলেছেন, ‘সামরিক নেতৃত্বের রাজনৈতিক আনুগত্য পরীক্ষা অথবা বর্ণ ভেদে বৈচিত্র্য ও লৈঙ্গিক পরিচয়ের কারণে বরখাস্ত করা, কোনোভাবেই কর্মদক্ষতার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের সৈন্যদের আস্থা এবং পেশাদারিকে ক্ষুণ্ন করে।’
ম্যাসাচুসেটসের ডেমোক্র্যাট রিপ্রেজেনটেটিভ সেথ মোল্টন বলেন, ‘এ ধরনের বরখাস্ত “অ–আমেরিকা সুলভ, অ–দেশপ্রেমিক এবং আমাদের সৈন্যদের ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। এটি আমাদের সামরিক বাহিনীকে রাজনীতিকরণ।’
গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ওক’ (সামাজিক নানা ইস্যুতে সোচ্চার লোকদের ব্যঙ্গ করে বলা হয়) জেনারেল এবং ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে ‘আপত্তিকরভাবে প্রত্যাহারের জন্য দায়ী’ ব্যক্তিদের বরখাস্ত করার কথা বলেছিলেন। তবে গতকাল শুক্রবার প্রেসিডেন্ট জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ ব্রাউনকে সরিয়ে দেওয়ার কোনো ব্যাখ্যা দেননি। ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি জেনারেল চার্লস সি. কিউ. ব্রাউনকে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে দেশের সেবা করা, বিশেষ করে বর্তমানে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ হিসেবে তাঁর সেবার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। তিনি একজন সৎ ভদ্রলোক এবং অসাধারণ নেতা। আমি তাঁর ও তাঁর পরিবারের জন্য একটি দারুণ ভবিষ্যৎ কামনা করি।’
এদিকে পেন্টাগনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ অবশ্য ব্রাউনের যোগ্যতা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। সামরিক বাহিনীতে বৈচিত্র্য, সমতা এবং অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ বাতিল করার মতো একটি বিস্তৃত এজেন্ডা নিয়ে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁর সর্বশেষ বইতে হেগসেথ প্রশ্ন তোলেন, ব্রাউন যদি কালো না হতেন, তাহলে কি এই চাকরি পেতেন?
হেগসেথ লিখেছেন, ‘এটা কি তাঁর ত্বকের রঙের কারণে? নাকি তাঁর দক্ষতার কারণে? আমরা কখনই জানব না, কিন্তু সব সময় সন্দেহ থাকবে—যা সি. কিউ.–এর প্রতি অবিচার বলে মনে হয়। কিন্তু যেহেতু তিনি জাতিগত কার্ড তাঁর অন্যতম প্রধান পরিচয় হিসেবে ব্যবহার করেছেন, তাই এটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নয়।’
ব্রাউন সাবেক ফাইটার পাইলট। তিনি মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ায় কমান্ড করেছেন। ২০২০ সালে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর একটি আবেগপূর্ণ ভিডিওতে সামরিক বাহিনীতে বৈষম্যের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন। ট্রাম্প বরখাস্তের আদেশ দেওয়ার সময় ব্রাউন সরকারি সফরে ছিলেন।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম দিনই অ্যাডমিরাল লিন্ডা ফাগানকে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ডের প্রধান থেকে বরখাস্ত করেন। লিন্ডা ছিলেন প্রথম নারী কমান্ডিং অফিসার। গত মাসে, ট্রাম্প প্রশাসন সাবেক আর্মি জেনারেল এবং জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ মার্ক মিলির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দল এবং নিরাপত্তা প্রটোকল বাতিল করেন। এ ছাড়া, পেন্টাগনের দেয়াল থেকে তাঁর প্রতিকৃতি সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কিছু সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন মিলি। ২০২৩ সালে বাইডেন প্রশাসনের সময় চার–তারকা জেনারেল হিসেবে অবসর নেওয়ার পর ট্রাম্পের অন্যতম সমালোচক হয়ে ওঠেন। মৃত্যুর হুমকিও পান।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন কাকে আর্মি, নেভি এবং এয়ার ফোর্সের নতুন জজ অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসেবে বেছে নেবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। ২০২৪ সালে প্রকাশিত বইতে হেগসেথ সামরিক আইনজীবীদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, খারাপ লোকদের শাস্তি দেওয়ার চেয়ে তাঁরা আমাদের সৈন্যদের বিচারের জন্য বেশি সময় ব্যয় করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ, এয়ার ফোর্স জেনারেল সি. কিউ. ব্রাউনকে গতকাল শুক্রবার বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পেন্টাগনের শীর্ষস্থানীয় পাঁচজন অ্যাডমিরাল ও জেনারেলকেও সরিয়ে দিয়েছেন দিয়েছেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নেতৃত্বে অভূতপূর্ব পরিবর্তন।
ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে জানান, তিনি ব্রাউনের স্থলাভিষিক্ত করবেন সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল ড্যান ‘রাজিন’ কেইনকে।
এটি ঐতিহ্য ভঙ্গ করা একটা সিদ্ধান্ত, কারণ কেইনকে অবসর থেকে ফিরিয়ে এনে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পদে বসানো হচ্ছে।
পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রাম্প নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রাঞ্চেটিকেও সরিয়ে দিচ্ছেন। তিনি প্রথম নারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া, এয়ার ফোর্সের ভাইস চিফ অব স্টাফ এবং আর্মি, নেভি ও এয়ার ফোর্সের জজ অ্যাডভোকেট জেনারেলদেরও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই পদগুলো সামরিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত পেন্টাগনে একটি অস্থির সময়ের সূচনা করল, যেখানে ইতিমধ্যেই বেসামরিক কর্মীদের ব্যাপক বরখাস্ত, বাজেটে বড় ধরনের পরিবর্তন এবং ট্রাম্পের নতুন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বৈদেশিক নীতির অধীনে সামরিক বাহিনী ব্যাপক পরিবর্তনের প্রস্তুতি চলছে।
বেসামরিক নেতৃত্বে পরিবর্তন এলেও সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ইউনিফর্মধারী সদস্যদের রাজনীতিমুক্ত রাখা হয়। ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান উভয় প্রশাসনের নীতিই পেন্টাগন বাস্তবায়ন করে।
জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ ব্রাউন হলেন দ্বিতীয় আফ্রিকান–আমেরিকান, যিনি প্রেসিডেন্টের শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা হয়েছিলেন। ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর চাকরির মেয়াদ ছিল। একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, সিনেটে তাঁর উত্তরসূরি নিশ্চিত হওয়ার আগেই হঠাৎ করে সরিয়ে দেওয়া হলো।
গত নভেম্বরে বার্তা সংস্থা রয়টার্স প্রথম ট্রাম্প প্রশাসন শীর্ষ সামরিক নেতৃত্বে ব্যাপক পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেই প্রতিবেদনে ব্রাউনের বরখাস্তের কথাও ছিল।
ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। রোড আইল্যান্ডের সিনেটর জ্যাক রিড, যিনি সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট, তিনি বলেছেন, ‘সামরিক নেতৃত্বের রাজনৈতিক আনুগত্য পরীক্ষা অথবা বর্ণ ভেদে বৈচিত্র্য ও লৈঙ্গিক পরিচয়ের কারণে বরখাস্ত করা, কোনোভাবেই কর্মদক্ষতার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের সৈন্যদের আস্থা এবং পেশাদারিকে ক্ষুণ্ন করে।’
ম্যাসাচুসেটসের ডেমোক্র্যাট রিপ্রেজেনটেটিভ সেথ মোল্টন বলেন, ‘এ ধরনের বরখাস্ত “অ–আমেরিকা সুলভ, অ–দেশপ্রেমিক এবং আমাদের সৈন্যদের ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। এটি আমাদের সামরিক বাহিনীকে রাজনীতিকরণ।’
গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ওক’ (সামাজিক নানা ইস্যুতে সোচ্চার লোকদের ব্যঙ্গ করে বলা হয়) জেনারেল এবং ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে ‘আপত্তিকরভাবে প্রত্যাহারের জন্য দায়ী’ ব্যক্তিদের বরখাস্ত করার কথা বলেছিলেন। তবে গতকাল শুক্রবার প্রেসিডেন্ট জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ ব্রাউনকে সরিয়ে দেওয়ার কোনো ব্যাখ্যা দেননি। ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি জেনারেল চার্লস সি. কিউ. ব্রাউনকে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে দেশের সেবা করা, বিশেষ করে বর্তমানে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ হিসেবে তাঁর সেবার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। তিনি একজন সৎ ভদ্রলোক এবং অসাধারণ নেতা। আমি তাঁর ও তাঁর পরিবারের জন্য একটি দারুণ ভবিষ্যৎ কামনা করি।’
এদিকে পেন্টাগনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ অবশ্য ব্রাউনের যোগ্যতা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। সামরিক বাহিনীতে বৈচিত্র্য, সমতা এবং অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ বাতিল করার মতো একটি বিস্তৃত এজেন্ডা নিয়ে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁর সর্বশেষ বইতে হেগসেথ প্রশ্ন তোলেন, ব্রাউন যদি কালো না হতেন, তাহলে কি এই চাকরি পেতেন?
হেগসেথ লিখেছেন, ‘এটা কি তাঁর ত্বকের রঙের কারণে? নাকি তাঁর দক্ষতার কারণে? আমরা কখনই জানব না, কিন্তু সব সময় সন্দেহ থাকবে—যা সি. কিউ.–এর প্রতি অবিচার বলে মনে হয়। কিন্তু যেহেতু তিনি জাতিগত কার্ড তাঁর অন্যতম প্রধান পরিচয় হিসেবে ব্যবহার করেছেন, তাই এটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নয়।’
ব্রাউন সাবেক ফাইটার পাইলট। তিনি মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ায় কমান্ড করেছেন। ২০২০ সালে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর একটি আবেগপূর্ণ ভিডিওতে সামরিক বাহিনীতে বৈষম্যের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন। ট্রাম্প বরখাস্তের আদেশ দেওয়ার সময় ব্রাউন সরকারি সফরে ছিলেন।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম দিনই অ্যাডমিরাল লিন্ডা ফাগানকে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ডের প্রধান থেকে বরখাস্ত করেন। লিন্ডা ছিলেন প্রথম নারী কমান্ডিং অফিসার। গত মাসে, ট্রাম্প প্রশাসন সাবেক আর্মি জেনারেল এবং জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ মার্ক মিলির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দল এবং নিরাপত্তা প্রটোকল বাতিল করেন। এ ছাড়া, পেন্টাগনের দেয়াল থেকে তাঁর প্রতিকৃতি সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কিছু সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন মিলি। ২০২৩ সালে বাইডেন প্রশাসনের সময় চার–তারকা জেনারেল হিসেবে অবসর নেওয়ার পর ট্রাম্পের অন্যতম সমালোচক হয়ে ওঠেন। মৃত্যুর হুমকিও পান।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন কাকে আর্মি, নেভি এবং এয়ার ফোর্সের নতুন জজ অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসেবে বেছে নেবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। ২০২৪ সালে প্রকাশিত বইতে হেগসেথ সামরিক আইনজীবীদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, খারাপ লোকদের শাস্তি দেওয়ার চেয়ে তাঁরা আমাদের সৈন্যদের বিচারের জন্য বেশি সময় ব্যয় করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ, এয়ার ফোর্স জেনারেল সি. কিউ. ব্রাউনকে গতকাল শুক্রবার বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পেন্টাগনের শীর্ষস্থানীয় পাঁচজন অ্যাডমিরাল ও জেনারেলকেও সরিয়ে দিয়েছেন দিয়েছেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নেতৃত্বে অভূতপূর্ব পরিবর্তন।
ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে জানান, তিনি ব্রাউনের স্থলাভিষিক্ত করবেন সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল ড্যান ‘রাজিন’ কেইনকে।
এটি ঐতিহ্য ভঙ্গ করা একটা সিদ্ধান্ত, কারণ কেইনকে অবসর থেকে ফিরিয়ে এনে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পদে বসানো হচ্ছে।
পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রাম্প নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রাঞ্চেটিকেও সরিয়ে দিচ্ছেন। তিনি প্রথম নারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া, এয়ার ফোর্সের ভাইস চিফ অব স্টাফ এবং আর্মি, নেভি ও এয়ার ফোর্সের জজ অ্যাডভোকেট জেনারেলদেরও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই পদগুলো সামরিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত পেন্টাগনে একটি অস্থির সময়ের সূচনা করল, যেখানে ইতিমধ্যেই বেসামরিক কর্মীদের ব্যাপক বরখাস্ত, বাজেটে বড় ধরনের পরিবর্তন এবং ট্রাম্পের নতুন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বৈদেশিক নীতির অধীনে সামরিক বাহিনী ব্যাপক পরিবর্তনের প্রস্তুতি চলছে।
বেসামরিক নেতৃত্বে পরিবর্তন এলেও সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ইউনিফর্মধারী সদস্যদের রাজনীতিমুক্ত রাখা হয়। ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান উভয় প্রশাসনের নীতিই পেন্টাগন বাস্তবায়ন করে।
জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ ব্রাউন হলেন দ্বিতীয় আফ্রিকান–আমেরিকান, যিনি প্রেসিডেন্টের শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা হয়েছিলেন। ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর চাকরির মেয়াদ ছিল। একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, সিনেটে তাঁর উত্তরসূরি নিশ্চিত হওয়ার আগেই হঠাৎ করে সরিয়ে দেওয়া হলো।
গত নভেম্বরে বার্তা সংস্থা রয়টার্স প্রথম ট্রাম্প প্রশাসন শীর্ষ সামরিক নেতৃত্বে ব্যাপক পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেই প্রতিবেদনে ব্রাউনের বরখাস্তের কথাও ছিল।
ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। রোড আইল্যান্ডের সিনেটর জ্যাক রিড, যিনি সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট, তিনি বলেছেন, ‘সামরিক নেতৃত্বের রাজনৈতিক আনুগত্য পরীক্ষা অথবা বর্ণ ভেদে বৈচিত্র্য ও লৈঙ্গিক পরিচয়ের কারণে বরখাস্ত করা, কোনোভাবেই কর্মদক্ষতার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের সৈন্যদের আস্থা এবং পেশাদারিকে ক্ষুণ্ন করে।’
ম্যাসাচুসেটসের ডেমোক্র্যাট রিপ্রেজেনটেটিভ সেথ মোল্টন বলেন, ‘এ ধরনের বরখাস্ত “অ–আমেরিকা সুলভ, অ–দেশপ্রেমিক এবং আমাদের সৈন্যদের ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। এটি আমাদের সামরিক বাহিনীকে রাজনীতিকরণ।’
গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ওক’ (সামাজিক নানা ইস্যুতে সোচ্চার লোকদের ব্যঙ্গ করে বলা হয়) জেনারেল এবং ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে ‘আপত্তিকরভাবে প্রত্যাহারের জন্য দায়ী’ ব্যক্তিদের বরখাস্ত করার কথা বলেছিলেন। তবে গতকাল শুক্রবার প্রেসিডেন্ট জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ ব্রাউনকে সরিয়ে দেওয়ার কোনো ব্যাখ্যা দেননি। ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি জেনারেল চার্লস সি. কিউ. ব্রাউনকে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে দেশের সেবা করা, বিশেষ করে বর্তমানে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ হিসেবে তাঁর সেবার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। তিনি একজন সৎ ভদ্রলোক এবং অসাধারণ নেতা। আমি তাঁর ও তাঁর পরিবারের জন্য একটি দারুণ ভবিষ্যৎ কামনা করি।’
এদিকে পেন্টাগনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ অবশ্য ব্রাউনের যোগ্যতা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। সামরিক বাহিনীতে বৈচিত্র্য, সমতা এবং অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ বাতিল করার মতো একটি বিস্তৃত এজেন্ডা নিয়ে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁর সর্বশেষ বইতে হেগসেথ প্রশ্ন তোলেন, ব্রাউন যদি কালো না হতেন, তাহলে কি এই চাকরি পেতেন?
হেগসেথ লিখেছেন, ‘এটা কি তাঁর ত্বকের রঙের কারণে? নাকি তাঁর দক্ষতার কারণে? আমরা কখনই জানব না, কিন্তু সব সময় সন্দেহ থাকবে—যা সি. কিউ.–এর প্রতি অবিচার বলে মনে হয়। কিন্তু যেহেতু তিনি জাতিগত কার্ড তাঁর অন্যতম প্রধান পরিচয় হিসেবে ব্যবহার করেছেন, তাই এটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নয়।’
ব্রাউন সাবেক ফাইটার পাইলট। তিনি মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ায় কমান্ড করেছেন। ২০২০ সালে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর একটি আবেগপূর্ণ ভিডিওতে সামরিক বাহিনীতে বৈষম্যের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন। ট্রাম্প বরখাস্তের আদেশ দেওয়ার সময় ব্রাউন সরকারি সফরে ছিলেন।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম দিনই অ্যাডমিরাল লিন্ডা ফাগানকে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ডের প্রধান থেকে বরখাস্ত করেন। লিন্ডা ছিলেন প্রথম নারী কমান্ডিং অফিসার। গত মাসে, ট্রাম্প প্রশাসন সাবেক আর্মি জেনারেল এবং জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ মার্ক মিলির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দল এবং নিরাপত্তা প্রটোকল বাতিল করেন। এ ছাড়া, পেন্টাগনের দেয়াল থেকে তাঁর প্রতিকৃতি সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কিছু সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন মিলি। ২০২৩ সালে বাইডেন প্রশাসনের সময় চার–তারকা জেনারেল হিসেবে অবসর নেওয়ার পর ট্রাম্পের অন্যতম সমালোচক হয়ে ওঠেন। মৃত্যুর হুমকিও পান।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন কাকে আর্মি, নেভি এবং এয়ার ফোর্সের নতুন জজ অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসেবে বেছে নেবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। ২০২৪ সালে প্রকাশিত বইতে হেগসেথ সামরিক আইনজীবীদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, খারাপ লোকদের শাস্তি দেওয়ার চেয়ে তাঁরা আমাদের সৈন্যদের বিচারের জন্য বেশি সময় ব্যয় করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ, এয়ার ফোর্স জেনারেল সি. কিউ. ব্রাউনকে গতকাল শুক্রবার বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পেন্টাগনের শীর্ষস্থানীয় পাঁচজন অ্যাডমিরাল ও জেনারেলকেও সরিয়ে দিয়েছেন দিয়েছেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নেতৃত্বে অভূতপূর্ব পরিবর্তন।
ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে জানান, তিনি ব্রাউনের স্থলাভিষিক্ত করবেন সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল ড্যান ‘রাজিন’ কেইনকে।
এটি ঐতিহ্য ভঙ্গ করা একটা সিদ্ধান্ত, কারণ কেইনকে অবসর থেকে ফিরিয়ে এনে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পদে বসানো হচ্ছে।
পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রাম্প নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রাঞ্চেটিকেও সরিয়ে দিচ্ছেন। তিনি প্রথম নারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া, এয়ার ফোর্সের ভাইস চিফ অব স্টাফ এবং আর্মি, নেভি ও এয়ার ফোর্সের জজ অ্যাডভোকেট জেনারেলদেরও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই পদগুলো সামরিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত পেন্টাগনে একটি অস্থির সময়ের সূচনা করল, যেখানে ইতিমধ্যেই বেসামরিক কর্মীদের ব্যাপক বরখাস্ত, বাজেটে বড় ধরনের পরিবর্তন এবং ট্রাম্পের নতুন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বৈদেশিক নীতির অধীনে সামরিক বাহিনী ব্যাপক পরিবর্তনের প্রস্তুতি চলছে।
বেসামরিক নেতৃত্বে পরিবর্তন এলেও সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ইউনিফর্মধারী সদস্যদের রাজনীতিমুক্ত রাখা হয়। ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান উভয় প্রশাসনের নীতিই পেন্টাগন বাস্তবায়ন করে।
জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ ব্রাউন হলেন দ্বিতীয় আফ্রিকান–আমেরিকান, যিনি প্রেসিডেন্টের শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা হয়েছিলেন। ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর চাকরির মেয়াদ ছিল। একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, সিনেটে তাঁর উত্তরসূরি নিশ্চিত হওয়ার আগেই হঠাৎ করে সরিয়ে দেওয়া হলো।
গত নভেম্বরে বার্তা সংস্থা রয়টার্স প্রথম ট্রাম্প প্রশাসন শীর্ষ সামরিক নেতৃত্বে ব্যাপক পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেই প্রতিবেদনে ব্রাউনের বরখাস্তের কথাও ছিল।
ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। রোড আইল্যান্ডের সিনেটর জ্যাক রিড, যিনি সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট, তিনি বলেছেন, ‘সামরিক নেতৃত্বের রাজনৈতিক আনুগত্য পরীক্ষা অথবা বর্ণ ভেদে বৈচিত্র্য ও লৈঙ্গিক পরিচয়ের কারণে বরখাস্ত করা, কোনোভাবেই কর্মদক্ষতার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের সৈন্যদের আস্থা এবং পেশাদারিকে ক্ষুণ্ন করে।’
ম্যাসাচুসেটসের ডেমোক্র্যাট রিপ্রেজেনটেটিভ সেথ মোল্টন বলেন, ‘এ ধরনের বরখাস্ত “অ–আমেরিকা সুলভ, অ–দেশপ্রেমিক এবং আমাদের সৈন্যদের ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। এটি আমাদের সামরিক বাহিনীকে রাজনীতিকরণ।’
গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ওক’ (সামাজিক নানা ইস্যুতে সোচ্চার লোকদের ব্যঙ্গ করে বলা হয়) জেনারেল এবং ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে ‘আপত্তিকরভাবে প্রত্যাহারের জন্য দায়ী’ ব্যক্তিদের বরখাস্ত করার কথা বলেছিলেন। তবে গতকাল শুক্রবার প্রেসিডেন্ট জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ ব্রাউনকে সরিয়ে দেওয়ার কোনো ব্যাখ্যা দেননি। ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি জেনারেল চার্লস সি. কিউ. ব্রাউনকে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে দেশের সেবা করা, বিশেষ করে বর্তমানে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ হিসেবে তাঁর সেবার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। তিনি একজন সৎ ভদ্রলোক এবং অসাধারণ নেতা। আমি তাঁর ও তাঁর পরিবারের জন্য একটি দারুণ ভবিষ্যৎ কামনা করি।’
এদিকে পেন্টাগনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ অবশ্য ব্রাউনের যোগ্যতা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। সামরিক বাহিনীতে বৈচিত্র্য, সমতা এবং অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ বাতিল করার মতো একটি বিস্তৃত এজেন্ডা নিয়ে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁর সর্বশেষ বইতে হেগসেথ প্রশ্ন তোলেন, ব্রাউন যদি কালো না হতেন, তাহলে কি এই চাকরি পেতেন?
হেগসেথ লিখেছেন, ‘এটা কি তাঁর ত্বকের রঙের কারণে? নাকি তাঁর দক্ষতার কারণে? আমরা কখনই জানব না, কিন্তু সব সময় সন্দেহ থাকবে—যা সি. কিউ.–এর প্রতি অবিচার বলে মনে হয়। কিন্তু যেহেতু তিনি জাতিগত কার্ড তাঁর অন্যতম প্রধান পরিচয় হিসেবে ব্যবহার করেছেন, তাই এটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নয়।’
ব্রাউন সাবেক ফাইটার পাইলট। তিনি মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ায় কমান্ড করেছেন। ২০২০ সালে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর একটি আবেগপূর্ণ ভিডিওতে সামরিক বাহিনীতে বৈষম্যের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন। ট্রাম্প বরখাস্তের আদেশ দেওয়ার সময় ব্রাউন সরকারি সফরে ছিলেন।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম দিনই অ্যাডমিরাল লিন্ডা ফাগানকে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ডের প্রধান থেকে বরখাস্ত করেন। লিন্ডা ছিলেন প্রথম নারী কমান্ডিং অফিসার। গত মাসে, ট্রাম্প প্রশাসন সাবেক আর্মি জেনারেল এবং জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ মার্ক মিলির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দল এবং নিরাপত্তা প্রটোকল বাতিল করেন। এ ছাড়া, পেন্টাগনের দেয়াল থেকে তাঁর প্রতিকৃতি সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কিছু সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন মিলি। ২০২৩ সালে বাইডেন প্রশাসনের সময় চার–তারকা জেনারেল হিসেবে অবসর নেওয়ার পর ট্রাম্পের অন্যতম সমালোচক হয়ে ওঠেন। মৃত্যুর হুমকিও পান।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন কাকে আর্মি, নেভি এবং এয়ার ফোর্সের নতুন জজ অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসেবে বেছে নেবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। ২০২৪ সালে প্রকাশিত বইতে হেগসেথ সামরিক আইনজীবীদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, খারাপ লোকদের শাস্তি দেওয়ার চেয়ে তাঁরা আমাদের সৈন্যদের বিচারের জন্য বেশি সময় ব্যয় করেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
২৮ মিনিট আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ ব্রাউন হলেন দ্বিতীয় আফ্রিকান–আমেরিকান, যিনি প্রেসিডেন্টের শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা হয়েছিলেন। ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর চাকরির মেয়াদ ছিল। একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, সিনেটে তাঁর উত্তরসূরি নিশ্চিত হওয়ার আগেই হঠাৎ করে সরিয়ে দেওয়া হলো।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ ব্রাউন হলেন দ্বিতীয় আফ্রিকান–আমেরিকান, যিনি প্রেসিডেন্টের শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা হয়েছিলেন। ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর চাকরির মেয়াদ ছিল। একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, সিনেটে তাঁর উত্তরসূরি নিশ্চিত হওয়ার আগেই হঠাৎ করে সরিয়ে দেওয়া হলো।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
২৮ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ ব্রাউন হলেন দ্বিতীয় আফ্রিকান–আমেরিকান, যিনি প্রেসিডেন্টের শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা হয়েছিলেন। ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর চাকরির মেয়াদ ছিল। একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, সিনেটে তাঁর উত্তরসূরি নিশ্চিত হওয়ার আগেই হঠাৎ করে সরিয়ে দেওয়া হলো।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
২৮ মিনিট আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন একটি পদ্ধতিগত নীতিতে পরিণত হয়েছে।
সম্মুখ সমরের অজ্ঞাত একটি অবস্থান থেকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিরিয়াইভ জানান, তারা নিয়মিত এমন রেডিও ও যোগাযোগ বার্তা ধরতে পারছেন, যেখানে রুশ সামরিক নেতৃত্ব সরাসরি আত্মসমর্পণকারী সেনাদের হত্যা করার নির্দেশ দিচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, এই প্রথা গত দেড় বছরে একটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ ভয়াবহভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরাও। রুশ সেনা বা ইউক্রেনীয় ড্রোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, আত্মসমর্পণের পর নিরস্ত্র সৈন্যদের সারিবদ্ধ করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। ১৯ নভেম্বর পোকারোভস্কের কাছে ধারণ করা একটি ড্রোন ভিডিওতে দেখা যায়, এক রুশ সৈন্য মাটিতে উপুড় হয়ে থাকা চারজন নিরস্ত্র ইউক্রেনীয়কে গুলি করে হত্যা করে এবং পালানোর চেষ্টা করা আরেকজনের দিকেও অস্ত্র তাক করে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউশন সার্ভিস জানিয়েছে, ২০২২ সালে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত ১৪৭ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে চলতি বছরেই ১২৭ জন। ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তরের যুদ্ধাপরাধ বিভাগের প্রধান ইউরি বেলাউসভ বলেন, ‘এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি নীতির স্পষ্ট লক্ষণ।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষকেরাও মধ্য নভেম্বরের পর থেকে রুশ বাহিনীর যুদ্ধাপরাধ বৃদ্ধির তথ্য নথিভুক্ত করেছে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, বিশেষ করে তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, যুদ্ধবন্দীদের হত্যা স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ।
এদিকে, যুদ্ধে সম্মুখ সমরে রুশ বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি ইউক্রেনের তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শিরিয়াইভ। ইউক্রেনের ২২৫ তম পৃথক অ্যাসল্ট ব্যাটালিয়নের এই কমান্ডার বলেন—শান্তি আলোচনা চললেও রাশিয়া কৌশলগত সুবিধা দেখাতে তাদের হাজার হাজার সৈন্যকে সামান্য ভূমি দখলের জন্য মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। শিরিয়াইভের দাবি, যুদ্ধে ইউক্রেনের ১টি সেনার বিপরীতে রুশ বাহিনী অন্তত ১০টি সেনা হারাচ্ছে।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বরাবরই দাবি করে আসছেন, রুশ বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন মেনেই যুদ্ধবন্দীদের সঙ্গে আচরণ করে। অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও রুশ বন্দী হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই সংখ্যাটি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
শান্তি আলোচনার অগ্রগতির কথা বললেও শিরিয়াইভ সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেন যদি অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে রুশ আগ্রাসন ইউরোপের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন একটি পদ্ধতিগত নীতিতে পরিণত হয়েছে।
সম্মুখ সমরের অজ্ঞাত একটি অবস্থান থেকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিরিয়াইভ জানান, তারা নিয়মিত এমন রেডিও ও যোগাযোগ বার্তা ধরতে পারছেন, যেখানে রুশ সামরিক নেতৃত্ব সরাসরি আত্মসমর্পণকারী সেনাদের হত্যা করার নির্দেশ দিচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, এই প্রথা গত দেড় বছরে একটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ ভয়াবহভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরাও। রুশ সেনা বা ইউক্রেনীয় ড্রোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, আত্মসমর্পণের পর নিরস্ত্র সৈন্যদের সারিবদ্ধ করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। ১৯ নভেম্বর পোকারোভস্কের কাছে ধারণ করা একটি ড্রোন ভিডিওতে দেখা যায়, এক রুশ সৈন্য মাটিতে উপুড় হয়ে থাকা চারজন নিরস্ত্র ইউক্রেনীয়কে গুলি করে হত্যা করে এবং পালানোর চেষ্টা করা আরেকজনের দিকেও অস্ত্র তাক করে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউশন সার্ভিস জানিয়েছে, ২০২২ সালে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত ১৪৭ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে চলতি বছরেই ১২৭ জন। ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তরের যুদ্ধাপরাধ বিভাগের প্রধান ইউরি বেলাউসভ বলেন, ‘এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি নীতির স্পষ্ট লক্ষণ।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষকেরাও মধ্য নভেম্বরের পর থেকে রুশ বাহিনীর যুদ্ধাপরাধ বৃদ্ধির তথ্য নথিভুক্ত করেছে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, বিশেষ করে তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, যুদ্ধবন্দীদের হত্যা স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ।
এদিকে, যুদ্ধে সম্মুখ সমরে রুশ বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি ইউক্রেনের তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শিরিয়াইভ। ইউক্রেনের ২২৫ তম পৃথক অ্যাসল্ট ব্যাটালিয়নের এই কমান্ডার বলেন—শান্তি আলোচনা চললেও রাশিয়া কৌশলগত সুবিধা দেখাতে তাদের হাজার হাজার সৈন্যকে সামান্য ভূমি দখলের জন্য মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। শিরিয়াইভের দাবি, যুদ্ধে ইউক্রেনের ১টি সেনার বিপরীতে রুশ বাহিনী অন্তত ১০টি সেনা হারাচ্ছে।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বরাবরই দাবি করে আসছেন, রুশ বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন মেনেই যুদ্ধবন্দীদের সঙ্গে আচরণ করে। অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও রুশ বন্দী হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই সংখ্যাটি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
শান্তি আলোচনার অগ্রগতির কথা বললেও শিরিয়াইভ সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেন যদি অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে রুশ আগ্রাসন ইউরোপের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ ব্রাউন হলেন দ্বিতীয় আফ্রিকান–আমেরিকান, যিনি প্রেসিডেন্টের শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা হয়েছিলেন। ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর চাকরির মেয়াদ ছিল। একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, সিনেটে তাঁর উত্তরসূরি নিশ্চিত হওয়ার আগেই হঠাৎ করে সরিয়ে দেওয়া হলো।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
২৮ মিনিট আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৩ ঘণ্টা আগে