Ajker Patrika

হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে এখনই ভাবছে না ভারত, বন্যা নিয়ন্ত্রণে ঢাকার প্রস্তাব বিবেচনা করবে

আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০০: ১৩
হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে এখনই ভাবছে না ভারত, বন্যা নিয়ন্ত্রণে ঢাকার প্রস্তাব বিবেচনা করবে

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জুলাই–আগস্ট সহিংসতা কেন্দ্রিক বেশ কয়েকটি হত্যা মামলার আসামি হয়েছেন শেখ হাসিনা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি উঠেছে। অন্তর্বর্তী সরাকরের পক্ষ থেকেও এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। 

তবে আজ শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। দুই দেশের মধ্যে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকলেও শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার দাবির বিষয়টি এখনো ধারণার পর্যায়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। 

তবে তিনি স্বীকার করেছেন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে ভারতের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ থমকে গেছে। 

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। দেশে কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করা হলেও তিনি এখনো সেখানে আছেন এবং পাসপোর্টের মেয়াদ আগামী মাসেই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু তাঁর অবস্থানের ব্যাপারে ভারত এখনো প্রকাশ্যে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। 

বাংলাদেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ভারতের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে। 

আজ নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চাওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (ইএএম) মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এটি এমন একটি বিষয় যা ‘নিছক অনুমান মূলক’। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তার কারণে খুব অল্প সময়ের নোটিশে ভারতে এসেছেন। এ বিষয়ে আমাদের আর কিছু যোগ করার নেই।’ 

মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশে দ্বিপক্ষীয় প্রকল্পগুলো সেখানকার অস্থিরতার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে কিছু প্রকল্পের কাজ থমকে আছে। একবার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে গেলে এবং স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে এলে, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে কাজগুলো শুরু হব এবং কীভাবে প্রকল্পগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, আমরা তাঁদের সঙ্গে বোঝাপড়ার মাধ্যমে কীভাবে সেটি করতে পারি তা দেখব। 

জয়সওয়াল বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অশান্তির পরে যে নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিরাজ করছে সব দেশের জন্যই সেটি সমস্যা। ঢাকার ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। যদিও বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ‘তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে’। ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ঢাকার হাইকমিশন থেকে সমস্ত কম দরকারি কর্মী এবং তাঁদের পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার। 

বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএনের একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করে জয়সওয়াল বলেন, ‘তাদের বর্ণনাটি বিভ্রান্তিকর এবং এতে মনে হয় যে, বন্যার জন্য ভারত কোনো না কোনোভাবে দায়ী। এটি সঠিক নয় এবং এতে স্পষ্ট করে যে, তারা ভারত সরকারের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত তথ্য উপেক্ষা করা হয়েছে।’ 

মুখপাত্র পুনর্ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশে বন্যা অবিরাম এবং অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে হয়েছে, ভারতের পক্ষ থেকে আন্ত নদীর বাঁধ খোলার কারণে নয়। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, বন্যার জন্য ভারত দায়ী এমন কোনো ইঙ্গিত ‘বিভ্রান্তিকর’। 

তিনি বলেন, সিএনএনের প্রতিবেদনে এই সত্যটিকে উপেক্ষা করা হয়েছে যে, পানি ব্যবস্থাপনার জন্য বিদ্যমান যৌথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ‘নিয়মিত এবং সময়োপযোগী তথ্য ও পর্যালোচনা মূলক তথ্য বিনিময়’ হচ্ছে। 

বন্যা মোকাবিলায় একটি নতুন দ্বিপক্ষীয় ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ড. ইউনূসের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জয়সওয়াল বলেন, দুই দেশ ইতিমধ্যে বন্যা ও পানি ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া স্থাপন করেছে। উভয় পক্ষ ৫৪টি নদীর পানি ভাগ করে এবং এই প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সময়মতো এবং নিয়মিত ভিত্তিতে তথ্য বিনিময় করে আসছে। 

প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণে বা...মোকাবিলায় আরও সহায়তা করতে পারে এমন কোনো নতুন ব্যবস্থা থাকলে, সেটি আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে এগিয়ে নিতে পারি, যোগ করেন জয়সওয়াল। 

এদিকে ঢাকায় ভারতীয় দূত এবং ড. ইউনূসের মধ্যকার সাম্প্রতিক বৈঠকে সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের জন্য জনগণের যৌথ আকাঙ্ক্ষা পূরণে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে দিল্লি। 

রণধীর জয়সওয়াল বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে সীমিত ভিসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। ভিসা শুধু জরুরি বা চিকিৎসার জন্য দেওয়া হচ্ছে। আইন–শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার এবং স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে এলেই সব ভিসা পরিষেবা চালু করা যেতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে গেল ডিবি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হিজাব ছাড়াই ম্যারাথনে দৌড়ালেন নারীরা—ইরানে ২ আয়োজক গ্রেপ্তার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া নারীদের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া নারীদের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

ইরানে দৌড় প্রতিযোগিতায় হিজাব ছাড়া নারীরা অংশ নেওয়ায় দুই ম্যারাথন আয়োজককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার ইরানের কিশ দ্বীপে অনুষ্ঠিত ওই প্রতিযোগিতার অনলাইনে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, কয়েকজন নারী হিজাববিহীন অবস্থায় দৌড়াচ্ছেন। এই ঘটনায় ইরানের বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে একটি ফৌজদারি মামলা হয়েছে।

ইরানের মিজান নিউজ ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতার দুই প্রধান আয়োজককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন কিশ ফ্রি জোনের কর্মকর্তা এবং অন্যজন দৌড়ের আয়োজন করা একটি প্রাইভেট কোম্পানির কর্মী।

মামলার বিষয়ে স্থানীয় প্রসিকিউটর বলেছেন, ‘দেশের বর্তমান আইন, ধর্মীয় এবং প্রথাগত নিয়মাবলি মানার বিষয়ে পূর্বে সতর্কতা দেওয়ার পরও প্রতিযোগিতাটি জনসাধারণের মর্যাদা লঙ্ঘন করে আয়োজন করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

কিশ দ্বীপে অনুষ্ঠিত ওই দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রায় ৫ হাজার প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন। দেশটির রক্ষণশীল সংবাদমাধ্যম তাসনিম ও ফার্স ইতিমধ্যে এই ম্যারাথনকে অসভ্য এবং ইসলামি আইন লঙ্ঘনে অভিযুক্ত করেছে।

ইসলামি বিপ্লবের পর ১৯৭৯ সাল থেকে ইরানে নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। তবে ২০২২ সালে মাহসা আমিনির মৃত্যুর জের ধরে আন্দোলনের পর থেকে দেশটিতে ‘হিজাব পরার নীতি’ অনেকখানি দুর্বল হয়ে গেছে। একই সঙ্গে নারীদের পোশাক বিধি পূর্বের অবস্থানে নিয়ে যেতে সরকারি চাপও বৃদ্ধি পেয়েছে।

সম্প্রতি ইরানের সংসদের বেশির ভাগ সদস্য বিচার বিভাগের ওপর হিজাব আইন যথাযথভাবে কার্যকর না করার অভিযোগ তুলেছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় দেশটির প্রধান বিচারপতি গোলামহোসেইন মোসেনি এজেই তাৎক্ষণিকভাবে এই আইন কঠোরভাবে প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে গেল ডিবি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চীনের বিরুদ্ধে জাপানের গুরুতর নিরাপত্তা অভিযোগ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
চীনা নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরী লিয়াওনিং থেকে উড্ডয়ন করছে একটি জে-১৫ যুদ্ধবিমান। ছবি: রয়টার্স
চীনা নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরী লিয়াওনিং থেকে উড্ডয়ন করছে একটি জে-১৫ যুদ্ধবিমান। ছবি: রয়টার্স

জাপানের অভিযোগ, দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘটনায় তাদের সামরিক বিমানের দিকে রাডার তাক করেছে চীনের যুদ্ধবিমান। এই ঘটনাটি শনিবার ওকিনাওয়া দ্বীপপুঞ্জের কাছে ঘটেছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি সাংবাদিকদের বলেন—

রাডার তাক করা এমন এক ধরনের বিপজ্জনক কার্যকলাপ যা বিমানের নিরাপদ যাত্রায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে। জাপান ইতিমধ্যেই চীনের কাছে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে।

জাপান জানিয়েছে, তাদের আত্মরক্ষামূলক এফ-১৫ বিমানে রাডার তাক করা যুদ্ধবিমান দুটি মূলত চীনের তৈরি জে-১৫ মডেলের। এগুলো চীনা নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরী লিয়াওনিং থেকে উড্ডয়ন করেছিল। এর আগে ২০১৩ এবং ২০১৬ সালে উভয় দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে রাডার তাক করার অভিযোগ করেছিল।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি বলেছেন, ‘আমরা দৃঢ় ও শান্তভাবে চীনের আচরণের মোকাবিলা করব, যাতে আঞ্চলিক শান্তি বজায় থাকে।’ তবে চীনা নৌবাহিনী এক প্রতিরোধমূলক মন্তব্যে জানিয়েছে, জাপানের ওই বিমানগুলো বারবার তাদের কাছাকাছি গিয়ে বিব্রত করেছে।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, চীন ও জাপান

উভয় দেশই দাবি করে এমন দ্বীপপুঞ্জের কাছে এই ঘটনাটিকে দেশ দুটির সামরিক সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুতর সংঘর্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সম্প্রতি জাপানের প্রধান মন্ত্রী তাকাইচি এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছিলেন, চীনের সম্ভাব্য সামরিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে তাইওয়ানকে রক্ষা করতে পারে জাপান। এর পর থেকে চীনের সঙ্গে দেশটির উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

কোনো বিমানের দিকে রাডার তাক করা মানে সম্ভাব্য আক্রমণের ইঙ্গিত দেওয়া। এমন পরিস্থিতিতে ওই বিমানটিকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করতে পারে। অভিযোগের বিষয়ে চীনা নৌবাহিনীর মুখপাত্র ওয়াং শুয়েমেং বলেছেন, ‘জাপানের বিবৃতি ভুল এবং তাদের কার্যকলাপ বিমান চলাচলের নিরাপত্তাকে গুরুতরভাবে বিপন্ন করেছে। আমরা দাবি করছি, জাপান অবিলম্বে এ রকম বিবৃতি বন্ধ করবে এবং কার্যকলাপে সংযম দেখাবে।’

এদিকে চীনের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস জাপানের সঙ্গে সমন্বয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। টোকিওতে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকের পর তিনি বলেছেন, ‘আমরা চীনের গত ২৪ ঘণ্টার কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বিগ্ন। আমরা জাপানের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব এবং নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা রক্ষায় জাপানের পাশে দাঁড়াব।’

চীন-তাইওয়ান উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেইজিং তাদের নাগরিকদের জাপান ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে গেল ডিবি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইউক্রেনের ওপর থেকে মার্কিন সমর্থন তুলে নেওয়ার ইঙ্গিত ট্রাম্পপুত্রের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। ছবি: এএফপি
ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে সরে আসতে পারেন—মধ্যপ্রাচ্যের এক সম্মেলনে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। ইউক্রেন ইস্যুতে দীর্ঘ সমালোচনায় ট্রাম্প জুনিয়র বলেন—তাঁদের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কোনো অর্থ নেই। ইউক্রেনের ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ ধনীরা ইতিমধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। ফলে যুদ্ধের দায়িত্ব চাপছে তাঁদের তথাকথিত ‘কৃষক শ্রেণির’ ওপর।

ট্রাম্প প্রশাসনে তাঁর ছেলের কোনো আনুষ্ঠানিক পদ নেই। তিনি মাগা (MAGA) আন্দোলনের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি। তবে তাঁর মন্তব্য ট্রাম্প প্রশাসনের ইউক্রেনবিরোধী মনোভাবের প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে এমন সময়ে, যখন ট্রাম্পের আলোচক দল কিয়েভকে ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে চাপ দিচ্ছে।

ট্রাম্প জুনিয়র দাবি করেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছেন। কারণ, যুদ্ধ শেষ হলে তিনি কখনোই নির্বাচনে জিততে পারবেন না। তিনি বলেন, পশ্চিমা উদারনৈতিক মহলে জেলেনস্কি প্রায় দেবতার মতো সম্মান পেলেও ইউক্রেন বাস্তবে রাশিয়ার চেয়েও বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত।

তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান কাইজা কালাসেরও সমালোচনা করেন। তাঁর মতে, ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়নি, কারণ, এতে তেলের মূল্য বেড়েছে আর সেই আয়ে রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারছে। তাঁর ভাষায়, রাশিয়া দেউলিয়া হয়ে যাবে—এটাই যদি পরিকল্পনা হয়, তবে এটা কোনো পরিকল্পনা নয়।

ট্রাম্প জুনিয়র দাবি করেন, ২০২২ সালের নির্বাচনী প্রচারে তিনি মাত্র তিনজন ভোটার পেয়েছিলেন, যাঁরা ইউক্রেন যুদ্ধকে শীর্ষ ১০ ইস্যুর মধ্যে রেখেছেন। তাঁর মতে, ভেনেজুয়েলা থেকে নৌকায় করে ফেন্টানিল মাদক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ঝুঁকি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের চেয়ে অনেক বড় হুমকি।

ট্রাম্প জুনিয়র আরও দাবি করেন, চলতি বছরের গ্রীষ্মে মোনাকোতে বুগাটি ও ফেরারির মতো অনেকগুলো সুপারকার দেখেছেন। এর মধ্যে ‘৫০ শতাংশেই ইউক্রেনের নম্বরপ্লেট’ ছিল। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘তাদের যদি অর্থই নেই, তাহলে এগুলো কোথা থেকে আসে?’ তবে তিনি তাঁর এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।

ট্রাম্প জুনিয়র বলেন, ‘আমরা যখন দেখি মোনাকোর প্রতিটি গাড়ির নম্বরপ্লেট ইউক্রেনের, তখন বুঝতে পারি, ধনীরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তাঁরা জনগণকে রেখে গেছেন যুদ্ধ করার জন্য। যতক্ষণ অর্থ আসছিল, তাঁরা চুরি করেছেন—কেউ কিছু যাচাই করেনি, ফলে শান্তি চাওয়ার প্রশ্নই ওঠেনি।’

তাহলে ট্রাম্প কি ইউক্রেনের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেবেন

মঞ্চ থেকে প্রশ্ন করা হয়, ‘আপনার বাবা দাবি করেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় এলে ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনবেন। কিন্তু এখন তিনি ইউক্রেনের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিতে পারেন কি না!’ এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প জুনিয়র বলেন—হতে পারে। তিনি আরও বলেন, তাঁর বাবা মার্কিন রাজনীতির ‘আনপ্রেডিকটেবল’ ব্যক্তি অর্থাৎ তাঁর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আগে থেকে কোনো কিছুই অনুমান করা যায় না।

ট্রাম্প জুনিয়র আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আর কারও জন্য বোকার মতো চেকবই খুলে বসে থাকবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে গেল ডিবি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বেনিনে সামরিক অভ্যুত্থান ঠেকিয়ে দিল সরকার অনুগত সেনারা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মিলিটারি কমিটি ফর রিফাউন্ডেশন নামের সেনাবাহিনীর একটি অংশ প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস ট্যালনকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণা দেয়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
মিলিটারি কমিটি ফর রিফাউন্ডেশন নামের সেনাবাহিনীর একটি অংশ প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস ট্যালনকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণা দেয়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনে একটি অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলাসান সাইদু। আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় ভোরে দেশটির সেনাবাহিনীর একটি অংশ রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালানোর পর এ ঘোষণা আসে। এর আগে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পাসকাল টিগরির নেতৃত্বে একদল সৈন্য রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে হাজির হয়ে জানিয়েছিল, তারা প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস ট্যালনকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে এবং সংবিধান স্থগিত করেছে।

ওই ঘটনার পর কোটোনুতে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কাছে গুলিবর্ষণের খবর দেয় দেশটিতে অবস্থিত ফরাসি দূতাবাস। প্রত্যক্ষদর্শীরাও গুলির শব্দ শোনার কথা জানান। এমনকি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমের কয়েকজন সাংবাদিককে জিম্মি করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। পরে প্রেসিডেন্টের এক উপদেষ্টা বিবিসিকে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্যালন নিরাপদ আছেন এবং বর্তমানে ফরাসি দূতাবাসে অবস্থান করছেন।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলাসান সাইদু বলেন, আজ ভোরের দিকে সৈন্যদের একটি ছোট দল রাষ্ট্র ও এর প্রতিষ্ঠানগুলোকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে একটি বিদ্রোহ শুরু করে। তবে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব ও অনুগত সদস্যরা শপথের প্রতি অটল থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। তাঁদের দ্রুত পদক্ষেপের কারণেই এই অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

সরকার জনগণকে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে কোটোনু শহরের আকাশে হেলিকপ্টার টহল দেখা গেছে। নগরের বিভিন্ন সড়ক সামরিক বাহিনী অবরুদ্ধ করে রাখে এবং গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ভারী অস্ত্রসজ্জিত সেনা মোতায়েন করা হয়।

ফরাসি উপনিবেশ বেনিনকে পশ্চিম আফ্রিকার তুলনামূলক স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দেখা হয়। দেশটি আফ্রিকার অন্যতম বড় তুলা উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি। তবে এটি এখনো বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর একটি।

অভ্যুত্থানের চেষ্টার পর ফরাসি ও রুশ দূতাবাস তাদের নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জনগণকে কোটোনুর প্রেসিডেন্ট কম্পাউন্ড এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে।

কেন অভ্যুত্থানের চেষ্টা

মিলিটারি কমিটি ফর রিফাউন্ডেশন নামের বিদ্রোহী সেনারা প্রেসিডেন্ট ট্যালনের শাসনব্যবস্থার সমালোচনা করে অভ্যুত্থানের যৌক্তিকতা তুলে ধরে। এক বিবৃতিতে তারা বলে, ভ্রাতৃত্ব, ন্যায়বিচার ও কাজের মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বেনিনের জনগণকে একটি নতুন যুগের আশা দিতে সেনাবাহিনী দৃঢ় অঙ্গীকার করছে।

প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস ট্যালন পশ্চিমা দেশগুলোর ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি আগামী বছর দ্বিতীয় মেয়াদ শেষে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। এপ্রিল মাসে নির্বাচনের নির্ধারিত সময় রয়েছে। তুলা ব্যবসায় ‘কিং অব কটন’ নামে পরিচিত ট্যালন ২০১৬ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসেন। তিনি তৃতীয় মেয়াদে না যাওয়ার কথা বলেছেন এবং উত্তরসূরি হিসেবে অর্থমন্ত্রী রোমুয়াল্ড ওয়াদাগনিকে সমর্থন দিচ্ছেন।

তবে তাঁর সরকার বিভিন্ন অভিযোগে সমালোচিত। গত অক্টোবর মাসে নির্বাচন কমিশন দেশটির প্রধান বিরোধী প্রার্থীকে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকার অজুহাতে নির্বাচন থেকে বাদ দেয়। গত মাসে সংসদ কয়েকটি সাংবিধানিক সংশোধনী পাস করেছে, যার মধ্যে দ্বিতীয় সংসদীয় কক্ষ সিনেট গঠনের বিষয়টি রয়েছে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে সাত বছর করা হলেও প্রেসিডেন্টের দুই মেয়াদসীমা বহাল রাখা হয়েছে।

এ ঘটনার ঠিক আগে গত ২৮ নভেম্বর পার্শ্ববর্তী গিনি বিসাউতে প্রেসিডেন্ট উমারু সিসোকো এমবালো ক্ষমতাচ্যুত হন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বুরকিনা ফাসো, গিনি, মালি ও নাইজারে একের পর এক অভ্যুত্থান ঘটেছে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তাসংকট বাড়িয়েছে।

এদিকে, রাশিয়া এই সাহেল অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে। মালি, নাইজার ও বুরকিনা ফাসো ইকোওয়াস ছেড়ে অ্যালায়েন্স অব সাহেল স্টেটস নামে নতুন জোট গঠন করেছে।

বিবিসি মনিটরিং জানিয়েছে, বেনিনের অভ্যুত্থানচেষ্টার খবর রুশপন্থী কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট থেকে ঢাকঢোল পিটিয়ে শেয়ার করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেনিনে জঙ্গি তৎপরতাও বেড়েছে। ইসলামিক স্টেট ও আল কায়েদা সংযুক্ত গোষ্ঠীগুলোর প্রভাব দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের দিকে বিস্তৃত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে গেল ডিবি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত