ফিচার ডেস্ক

আজ রাজধানী ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসি কনফারেন্স রুমে ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ প্রকল্পের শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পের শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা: বাংলাদেশে একটি সমন্বিত বয়স-সংবেদনশীল সহায়ক প্যালিয়েটিভ কেয়ার মডেল গঠন’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে প্রকল্পের প্রভাব ও ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) প্রোগ্রাম, আয়াত এডুকেশন এবং বিএসএমএমইউ-এর সহযোগিতায় এই শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভাটি আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. রিজওয়ানুর রহমান। এনসিডিসি-ডিজিএইচএস প্রোগ্রাম ম্যানেজার-১ ডা. মো. নুরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে এনসিডিসি-ডিজিএইচএস এর ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. সজিব রায় অতিথিদের স্বাগত জানান। প্রকল্পের অর্জন, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে উপস্থাপনা করেন বিএসএমএমইউ-এর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোস্তফা কামাল চৌধুরী (আদিল) এবং আয়াত এডুকেশনের ডিরেক্টর প্রোগ্রামস লায়লা করিম। এ সময় ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জের পথচলা’ শীর্ষক একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়, যেখানে কমিউনিটি পর্যায়ে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেবা সংযুক্ত করার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

প্রফেসর ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ বাংলাদেশে প্যালিয়েটিভ কেয়ারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বিএসএমএমইউ প্যালিয়েটিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এ. কে. এম. মতিউর রহমান ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এ.এফ.এম. মুশিউর রহমান, আয়াত এডুকেশনের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইমরান চৌধুরী, বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফাহিম আরিফ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেডিকেল অফিসার ডা. নাফিয়া ইসলাম এবং অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, নীতিনির্ধারক ও স্টেকহোল্ডারদের অবশ্যই প্যালিয়েটিভ কেয়ার সংক্রান্ত নীতিমালা, জাতীয় কৌশল এবং নির্দেশিকা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে। একটি সুসংগঠিত নীতিমালার কাঠামো ছাড়া প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেবার প্রাপ্যতা, গ্রহণযোগ্যতা ও মান নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। জাতীয় কৌশল প্রণয়নের মাধ্যমে প্যালিয়েটিভ কেয়ারকে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করা যাবে। এতে স্বাস্থ্যকর্মী, সেবাদানকারী ও কমিউনিটি সদস্যরা যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সহায়তা পাবেন। সুস্পষ্ট নির্দেশিকা থাকলে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি কাঠামোগত, মানসম্মত ও সুসংগঠিত ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এই মৌলিক উপাদানগুলো ছাড়া প্যালিয়েটিভ কেয়ারের জন্য টেকসই ও সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই সকলের জন্য মর্যাদাপূর্ণ ও সহানুভূতিপূর্ণ প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিশ্চিত করতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
অনুষ্ঠানের শেষে সভাপতি ডা. মো. নুরুল ইসলাম প্যালিয়েটিভ কেয়ারে অংশীদারত্ব ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

আজ রাজধানী ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসি কনফারেন্স রুমে ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ প্রকল্পের শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পের শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা: বাংলাদেশে একটি সমন্বিত বয়স-সংবেদনশীল সহায়ক প্যালিয়েটিভ কেয়ার মডেল গঠন’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে প্রকল্পের প্রভাব ও ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) প্রোগ্রাম, আয়াত এডুকেশন এবং বিএসএমএমইউ-এর সহযোগিতায় এই শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভাটি আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. রিজওয়ানুর রহমান। এনসিডিসি-ডিজিএইচএস প্রোগ্রাম ম্যানেজার-১ ডা. মো. নুরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে এনসিডিসি-ডিজিএইচএস এর ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. সজিব রায় অতিথিদের স্বাগত জানান। প্রকল্পের অর্জন, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে উপস্থাপনা করেন বিএসএমএমইউ-এর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোস্তফা কামাল চৌধুরী (আদিল) এবং আয়াত এডুকেশনের ডিরেক্টর প্রোগ্রামস লায়লা করিম। এ সময় ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জের পথচলা’ শীর্ষক একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়, যেখানে কমিউনিটি পর্যায়ে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেবা সংযুক্ত করার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

প্রফেসর ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ বাংলাদেশে প্যালিয়েটিভ কেয়ারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বিএসএমএমইউ প্যালিয়েটিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এ. কে. এম. মতিউর রহমান ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এ.এফ.এম. মুশিউর রহমান, আয়াত এডুকেশনের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইমরান চৌধুরী, বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফাহিম আরিফ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেডিকেল অফিসার ডা. নাফিয়া ইসলাম এবং অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, নীতিনির্ধারক ও স্টেকহোল্ডারদের অবশ্যই প্যালিয়েটিভ কেয়ার সংক্রান্ত নীতিমালা, জাতীয় কৌশল এবং নির্দেশিকা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে। একটি সুসংগঠিত নীতিমালার কাঠামো ছাড়া প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেবার প্রাপ্যতা, গ্রহণযোগ্যতা ও মান নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। জাতীয় কৌশল প্রণয়নের মাধ্যমে প্যালিয়েটিভ কেয়ারকে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করা যাবে। এতে স্বাস্থ্যকর্মী, সেবাদানকারী ও কমিউনিটি সদস্যরা যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সহায়তা পাবেন। সুস্পষ্ট নির্দেশিকা থাকলে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি কাঠামোগত, মানসম্মত ও সুসংগঠিত ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এই মৌলিক উপাদানগুলো ছাড়া প্যালিয়েটিভ কেয়ারের জন্য টেকসই ও সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই সকলের জন্য মর্যাদাপূর্ণ ও সহানুভূতিপূর্ণ প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিশ্চিত করতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
অনুষ্ঠানের শেষে সভাপতি ডা. মো. নুরুল ইসলাম প্যালিয়েটিভ কেয়ারে অংশীদারত্ব ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
ফিচার ডেস্ক

আজ রাজধানী ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসি কনফারেন্স রুমে ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ প্রকল্পের শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পের শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা: বাংলাদেশে একটি সমন্বিত বয়স-সংবেদনশীল সহায়ক প্যালিয়েটিভ কেয়ার মডেল গঠন’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে প্রকল্পের প্রভাব ও ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) প্রোগ্রাম, আয়াত এডুকেশন এবং বিএসএমএমইউ-এর সহযোগিতায় এই শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভাটি আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. রিজওয়ানুর রহমান। এনসিডিসি-ডিজিএইচএস প্রোগ্রাম ম্যানেজার-১ ডা. মো. নুরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে এনসিডিসি-ডিজিএইচএস এর ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. সজিব রায় অতিথিদের স্বাগত জানান। প্রকল্পের অর্জন, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে উপস্থাপনা করেন বিএসএমএমইউ-এর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোস্তফা কামাল চৌধুরী (আদিল) এবং আয়াত এডুকেশনের ডিরেক্টর প্রোগ্রামস লায়লা করিম। এ সময় ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জের পথচলা’ শীর্ষক একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়, যেখানে কমিউনিটি পর্যায়ে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেবা সংযুক্ত করার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

প্রফেসর ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ বাংলাদেশে প্যালিয়েটিভ কেয়ারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বিএসএমএমইউ প্যালিয়েটিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এ. কে. এম. মতিউর রহমান ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এ.এফ.এম. মুশিউর রহমান, আয়াত এডুকেশনের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইমরান চৌধুরী, বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফাহিম আরিফ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেডিকেল অফিসার ডা. নাফিয়া ইসলাম এবং অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, নীতিনির্ধারক ও স্টেকহোল্ডারদের অবশ্যই প্যালিয়েটিভ কেয়ার সংক্রান্ত নীতিমালা, জাতীয় কৌশল এবং নির্দেশিকা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে। একটি সুসংগঠিত নীতিমালার কাঠামো ছাড়া প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেবার প্রাপ্যতা, গ্রহণযোগ্যতা ও মান নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। জাতীয় কৌশল প্রণয়নের মাধ্যমে প্যালিয়েটিভ কেয়ারকে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করা যাবে। এতে স্বাস্থ্যকর্মী, সেবাদানকারী ও কমিউনিটি সদস্যরা যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সহায়তা পাবেন। সুস্পষ্ট নির্দেশিকা থাকলে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি কাঠামোগত, মানসম্মত ও সুসংগঠিত ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এই মৌলিক উপাদানগুলো ছাড়া প্যালিয়েটিভ কেয়ারের জন্য টেকসই ও সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই সকলের জন্য মর্যাদাপূর্ণ ও সহানুভূতিপূর্ণ প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিশ্চিত করতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
অনুষ্ঠানের শেষে সভাপতি ডা. মো. নুরুল ইসলাম প্যালিয়েটিভ কেয়ারে অংশীদারত্ব ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

আজ রাজধানী ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসি কনফারেন্স রুমে ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ প্রকল্পের শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পের শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা: বাংলাদেশে একটি সমন্বিত বয়স-সংবেদনশীল সহায়ক প্যালিয়েটিভ কেয়ার মডেল গঠন’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে প্রকল্পের প্রভাব ও ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) প্রোগ্রাম, আয়াত এডুকেশন এবং বিএসএমএমইউ-এর সহযোগিতায় এই শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভাটি আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. রিজওয়ানুর রহমান। এনসিডিসি-ডিজিএইচএস প্রোগ্রাম ম্যানেজার-১ ডা. মো. নুরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে এনসিডিসি-ডিজিএইচএস এর ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. সজিব রায় অতিথিদের স্বাগত জানান। প্রকল্পের অর্জন, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে উপস্থাপনা করেন বিএসএমএমইউ-এর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোস্তফা কামাল চৌধুরী (আদিল) এবং আয়াত এডুকেশনের ডিরেক্টর প্রোগ্রামস লায়লা করিম। এ সময় ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জের পথচলা’ শীর্ষক একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়, যেখানে কমিউনিটি পর্যায়ে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেবা সংযুক্ত করার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

প্রফেসর ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ বাংলাদেশে প্যালিয়েটিভ কেয়ারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বিএসএমএমইউ প্যালিয়েটিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এ. কে. এম. মতিউর রহমান ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এ.এফ.এম. মুশিউর রহমান, আয়াত এডুকেশনের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইমরান চৌধুরী, বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফাহিম আরিফ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেডিকেল অফিসার ডা. নাফিয়া ইসলাম এবং অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, নীতিনির্ধারক ও স্টেকহোল্ডারদের অবশ্যই প্যালিয়েটিভ কেয়ার সংক্রান্ত নীতিমালা, জাতীয় কৌশল এবং নির্দেশিকা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে। একটি সুসংগঠিত নীতিমালার কাঠামো ছাড়া প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেবার প্রাপ্যতা, গ্রহণযোগ্যতা ও মান নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। জাতীয় কৌশল প্রণয়নের মাধ্যমে প্যালিয়েটিভ কেয়ারকে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করা যাবে। এতে স্বাস্থ্যকর্মী, সেবাদানকারী ও কমিউনিটি সদস্যরা যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সহায়তা পাবেন। সুস্পষ্ট নির্দেশিকা থাকলে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি কাঠামোগত, মানসম্মত ও সুসংগঠিত ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এই মৌলিক উপাদানগুলো ছাড়া প্যালিয়েটিভ কেয়ারের জন্য টেকসই ও সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই সকলের জন্য মর্যাদাপূর্ণ ও সহানুভূতিপূর্ণ প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিশ্চিত করতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
অনুষ্ঠানের শেষে সভাপতি ডা. মো. নুরুল ইসলাম প্যালিয়েটিভ কেয়ারে অংশীদারত্ব ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগে
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার অর্থ হলো আপনার প্রিয় খাবার ত্যাগ করা কিংবা কঠোর নিয়ম মেনে চলা নয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ও ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার একজন মানুষের শরীরকে শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। এই চারটি মূল উপাদান শরীরে সঠিক মাত্রায় থাকলে আপনি একটি সুস্থ ও কর্মময় জীবন...
১ দিন আগেমো. ইকবাল হোসেন

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) প্রোগ্রাম, আয়াত এডুকেশন এবং বিএসএমএমইউ-এর সহযোগিতায় এই শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভাটি আয়োজন করা হয়।
১১ মার্চ ২০২৫
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগে
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার অর্থ হলো আপনার প্রিয় খাবার ত্যাগ করা কিংবা কঠোর নিয়ম মেনে চলা নয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ও ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার একজন মানুষের শরীরকে শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। এই চারটি মূল উপাদান শরীরে সঠিক মাত্রায় থাকলে আপনি একটি সুস্থ ও কর্মময় জীবন...
১ দিন আগেডা. অবন্তি ঘোষ

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) প্রোগ্রাম, আয়াত এডুকেশন এবং বিএসএমএমইউ-এর সহযোগিতায় এই শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভাটি আয়োজন করা হয়।
১১ মার্চ ২০২৫
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগে
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার অর্থ হলো আপনার প্রিয় খাবার ত্যাগ করা কিংবা কঠোর নিয়ম মেনে চলা নয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ও ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার একজন মানুষের শরীরকে শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। এই চারটি মূল উপাদান শরীরে সঠিক মাত্রায় থাকলে আপনি একটি সুস্থ ও কর্মময় জীবন...
১ দিন আগেডা. কাকলী হালদার

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) প্রোগ্রাম, আয়াত এডুকেশন এবং বিএসএমএমইউ-এর সহযোগিতায় এই শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভাটি আয়োজন করা হয়।
১১ মার্চ ২০২৫
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার অর্থ হলো আপনার প্রিয় খাবার ত্যাগ করা কিংবা কঠোর নিয়ম মেনে চলা নয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ও ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার একজন মানুষের শরীরকে শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। এই চারটি মূল উপাদান শরীরে সঠিক মাত্রায় থাকলে আপনি একটি সুস্থ ও কর্মময় জীবন...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার অর্থ হলো আপনার প্রিয় খাবার ত্যাগ করা কিংবা কঠোর নিয়ম মেনে চলা নয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ও ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার একজন মানুষের শরীরকে শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। এই চারটি মূল উপাদান শরীরে সঠিক মাত্রায় থাকলে আপনি একটি সুস্থ ও কর্মময় জীবন যাপন করতে পারবেন। এখানে কার্বোহাইড্রেট দ্রুত শক্তি জোগায়। প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হজমের গতি কমিয়ে রক্তে শর্করা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রোধ করে। ফাইবার হজম শক্তি ভালো করে, হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে এবং পেট ভরা অনুভব করায়। এই চারটি উপাদান একসঙ্গে থাকলে আপনি দীর্ঘ সময় ধরে পূর্ণ এবং সন্তুষ্টি বোধ করবেন। এই সমন্বয় রক্তে শর্করাকে ধীরে ধীরে বাড়তে সাহায্য করে এবং আপনার শক্তিকে স্থির রাখে।
উপাদানগুলো কীভাবে পাতে রাখবেন
কার্বোহাইড্রেটের জন্য ভাত, রুটি, আলু, ওটস, কুইনোয়া খেতে হবে। প্রোটিনের জন্য খেতে হবে মুরগি, মাছ, ডিম, টোফু, ডাল বা শিম। আমাদের সবার জানা, শাকসবজিতে প্রচুর ফাইবার থাকে। এ ছাড়া ফল ও শস্য খেতে হবে। স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের জন্য খাওয়া যেতে পারে পনির, বীজ, বাদাম, জলপাই তেল।
সংযোজনের ওপর জোর দিন, বর্জন নয়
সব সময় যে খাদ্যতালিকা থেকে খাবার বাদ দেবেন, এমন নয়; বরং খাদ্যতালিকায় পছন্দের খাবার যোগ করুন। তবে সে ক্ষেত্রে ধরনটা হবে ভিন্ন। আপনি যদি ভাত-ডাল খেতে ভালোবাসেন, তবে তার সঙ্গে অতিরিক্ত সবজি যোগ করুন। সকালের খাবারের সঙ্গে ডিম রাখুন। শীতকালীন সবজি হিসেবে টমেটো যোগ করুন। ধরুন, পাস্তা আপনার পছন্দ। সেটির সঙ্গে অতিরিক্ত সবজি এবং লিন প্রোটিন যোগ করুন। ফল খাওয়ার সময় সঙ্গে বাদাম মিশিয়ে নিতে পারেন। এই ছোট ছোট সংযোজন আপনার প্রিয় স্বাদের পরিবর্তন না করে রক্তে শর্করা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে।
স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস
বিকেলের ক্লান্তি কিংবা গভীর রাতের ক্ষুধা এড়াতে স্ন্যাকসেও একই নীতি মেনে চলুন। এ সময় চারটির মধ্যে কমপক্ষে দুটি মূল উপাদান রাখুন। কার্ব শক্তি দেবে, আর প্রোটিন বা ফ্যাট হজমপ্রক্রিয়া ধীর করবে। যেমন কোনো ফল দিয়ে টক দই কিংবা পিনাট বাটার দিয়ে কলা খেতে পারেন। টক দইয়ের সঙ্গে ফল খেলে তা প্রোটিন ও ফাইবারের চাহিদা পূরণ করবে। আর পিনাট বাটার ও কলার মাধ্যমে কার্ব, ফ্যাট ও প্রোটিন শরীরে প্রবেশ করবে। এ ছাড়া বাদাম, বীজ ও ড্রাই ফ্রুটস খেতে পারেন; যা ফ্যাট, ফাইবার ও কার্বসমৃদ্ধ একটি নাশতা হয়।
কৌতূহলী হোন, বিচারক নয়
যদি কোনো খাবারের পর আপনার রক্তে শর্করা বেড়ে যায়, তবে এটিকে ব্যর্থতা না ভেবে তথ্য হিসেবে গ্রহণ করুন। সঠিক ব্যালেন্স পেতে চাইলে খাবারে ফাইবার যোগ করে দেখুন। অথবা খাবারের সময় পরিবর্তন করে দেখুন। কিংবা একসঙ্গে বিভিন্ন খাবার খেয়ে দেখতে পারেন। মনে রাখবেন, মানসিক চাপ, ঘুম, হরমোন এবং আরও অনেক কিছু রক্তে শর্করার মাত্রা প্রভাবিত করতে পারে। তাই একক সংখ্যার পরিবর্তে প্যাটার্ন বোঝার চেষ্টা করুন। যদি সবকিছু অতিরিক্ত মনে হয়, তাহলে শুধু একটি ছোট পদক্ষেপ নিন। প্রথমে শুধু ফাইবার যোগ করা শুরু করতে পারেন। আপনার নিয়মিত খাবারের সঙ্গে সবজি যোগ করুন। রাতারাতি সব খাবারে পরিবর্তন আনার দরকার নেই। রক্তে শর্করা এবং মানসিক শান্তি—উভয়ের জন্য ছোট ও ধারাবাহিক পরিবর্তনগুলোই সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে।
সূত্র: হেলথ লাইন

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার অর্থ হলো আপনার প্রিয় খাবার ত্যাগ করা কিংবা কঠোর নিয়ম মেনে চলা নয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ও ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার একজন মানুষের শরীরকে শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। এই চারটি মূল উপাদান শরীরে সঠিক মাত্রায় থাকলে আপনি একটি সুস্থ ও কর্মময় জীবন যাপন করতে পারবেন। এখানে কার্বোহাইড্রেট দ্রুত শক্তি জোগায়। প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হজমের গতি কমিয়ে রক্তে শর্করা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রোধ করে। ফাইবার হজম শক্তি ভালো করে, হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে এবং পেট ভরা অনুভব করায়। এই চারটি উপাদান একসঙ্গে থাকলে আপনি দীর্ঘ সময় ধরে পূর্ণ এবং সন্তুষ্টি বোধ করবেন। এই সমন্বয় রক্তে শর্করাকে ধীরে ধীরে বাড়তে সাহায্য করে এবং আপনার শক্তিকে স্থির রাখে।
উপাদানগুলো কীভাবে পাতে রাখবেন
কার্বোহাইড্রেটের জন্য ভাত, রুটি, আলু, ওটস, কুইনোয়া খেতে হবে। প্রোটিনের জন্য খেতে হবে মুরগি, মাছ, ডিম, টোফু, ডাল বা শিম। আমাদের সবার জানা, শাকসবজিতে প্রচুর ফাইবার থাকে। এ ছাড়া ফল ও শস্য খেতে হবে। স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের জন্য খাওয়া যেতে পারে পনির, বীজ, বাদাম, জলপাই তেল।
সংযোজনের ওপর জোর দিন, বর্জন নয়
সব সময় যে খাদ্যতালিকা থেকে খাবার বাদ দেবেন, এমন নয়; বরং খাদ্যতালিকায় পছন্দের খাবার যোগ করুন। তবে সে ক্ষেত্রে ধরনটা হবে ভিন্ন। আপনি যদি ভাত-ডাল খেতে ভালোবাসেন, তবে তার সঙ্গে অতিরিক্ত সবজি যোগ করুন। সকালের খাবারের সঙ্গে ডিম রাখুন। শীতকালীন সবজি হিসেবে টমেটো যোগ করুন। ধরুন, পাস্তা আপনার পছন্দ। সেটির সঙ্গে অতিরিক্ত সবজি এবং লিন প্রোটিন যোগ করুন। ফল খাওয়ার সময় সঙ্গে বাদাম মিশিয়ে নিতে পারেন। এই ছোট ছোট সংযোজন আপনার প্রিয় স্বাদের পরিবর্তন না করে রক্তে শর্করা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে।
স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস
বিকেলের ক্লান্তি কিংবা গভীর রাতের ক্ষুধা এড়াতে স্ন্যাকসেও একই নীতি মেনে চলুন। এ সময় চারটির মধ্যে কমপক্ষে দুটি মূল উপাদান রাখুন। কার্ব শক্তি দেবে, আর প্রোটিন বা ফ্যাট হজমপ্রক্রিয়া ধীর করবে। যেমন কোনো ফল দিয়ে টক দই কিংবা পিনাট বাটার দিয়ে কলা খেতে পারেন। টক দইয়ের সঙ্গে ফল খেলে তা প্রোটিন ও ফাইবারের চাহিদা পূরণ করবে। আর পিনাট বাটার ও কলার মাধ্যমে কার্ব, ফ্যাট ও প্রোটিন শরীরে প্রবেশ করবে। এ ছাড়া বাদাম, বীজ ও ড্রাই ফ্রুটস খেতে পারেন; যা ফ্যাট, ফাইবার ও কার্বসমৃদ্ধ একটি নাশতা হয়।
কৌতূহলী হোন, বিচারক নয়
যদি কোনো খাবারের পর আপনার রক্তে শর্করা বেড়ে যায়, তবে এটিকে ব্যর্থতা না ভেবে তথ্য হিসেবে গ্রহণ করুন। সঠিক ব্যালেন্স পেতে চাইলে খাবারে ফাইবার যোগ করে দেখুন। অথবা খাবারের সময় পরিবর্তন করে দেখুন। কিংবা একসঙ্গে বিভিন্ন খাবার খেয়ে দেখতে পারেন। মনে রাখবেন, মানসিক চাপ, ঘুম, হরমোন এবং আরও অনেক কিছু রক্তে শর্করার মাত্রা প্রভাবিত করতে পারে। তাই একক সংখ্যার পরিবর্তে প্যাটার্ন বোঝার চেষ্টা করুন। যদি সবকিছু অতিরিক্ত মনে হয়, তাহলে শুধু একটি ছোট পদক্ষেপ নিন। প্রথমে শুধু ফাইবার যোগ করা শুরু করতে পারেন। আপনার নিয়মিত খাবারের সঙ্গে সবজি যোগ করুন। রাতারাতি সব খাবারে পরিবর্তন আনার দরকার নেই। রক্তে শর্করা এবং মানসিক শান্তি—উভয়ের জন্য ছোট ও ধারাবাহিক পরিবর্তনগুলোই সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে।
সূত্র: হেলথ লাইন

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) প্রোগ্রাম, আয়াত এডুকেশন এবং বিএসএমএমইউ-এর সহযোগিতায় এই শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভাটি আয়োজন করা হয়।
১১ মার্চ ২০২৫
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগে