বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অধ্যায় অপারেশন জ্যাকপট। নৌ কমান্ডোদের চালানো গেরিলা অভিযানের বীরত্বের গল্প নিয়ে তৈরি হচ্ছে সিনেমা ‘অপারেশন জ্যাকপট’। অর্থায়ন করছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। গত আগস্টে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অপারেশন জ্যাকপট সিনেমার ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। অনেকেই সিনেমাটি মুক্তি না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন। এ বিষয়ে জানতে সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অন্তর শোবিজের কর্ণধার স্বপন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানালেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, সরকার পরিবর্তনের ঘটনা অপারেশন জ্যাকপটের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। সব কাজ গুছিয়ে এ বছরই বিজয় দিবস উপলক্ষে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে এফডিসিতে শুরু হয় অপারেশন জ্যাকপটের শুটিং। প্রায় ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি সিনেমার শুটিং। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন অপারেশন জ্যাকপটের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে কি না, এমন প্রসঙ্গে স্বপন চৌধুরী বলেন, ‘গত আগস্টে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর অনেকেই আমাকে বলছিল, আপনার সিনেমাটি তো আলোর মুখ দেখবে না।
প্রশ্নটি একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক ও দুঃখজনক। অনেকেই হয়তো ভেবে নিয়েছে, বিগত সরকারের সময় সিনেমার কাজ শুরু হয়েছে বিধায় এখানে আওয়ামী লীগ থাকবে, বঙ্গবন্ধু থাকবে। আসলে বঙ্গবন্ধু কিংবা আওয়ামী লীগ নয়, অপারেশন জ্যাকপট তৈরি হচ্ছে নৌ কমান্ডোদের একটি অপারেশন নিয়ে। এখানে পলিটিক্যাল কিছুই নেই। আমরা যে বলি, আওয়ামী লীগ সরকার বা বিএনপি সরকার। কিন্তু সরকার আসলে বাংলাদেশের জনগণের। এই সিনেমাও সরকারি একটি কাজ। ’
সিনেমার কাজ শেষ হতে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে স্বপন চৌধুরী বলেন, ‘এখন সবকিছুতে পরিবর্তন চলছে। সরকার এখন সংস্কারে ব্যস্ত। অতি প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোকেই সরকার প্রাধান্য দেবে এখন। সেই জায়গা থেকে সিনেমার কাজ একটু ধীরে চলছে। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের বিষয়টি সিনেমার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।’
শোনা গেছে, অপারেশন জ্যাকপট সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং শেষ হলেও কিছু দৃশ্যের কাজ পছন্দ হয়নি মন্ত্রণালয়ের অনেকের। বেশ কিছু দৃশ্যের নতুন করে শুটিংয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংযোজনের বিষয়টি স্বীকার করলেও তা বড় কিছু নয় বলে জানান স্বপন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘কিছু বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অবজারভেশন আছে। তবে সেটা খুব বড় কিছু নয়। কোথাও কালার কারেকশন, কোথাও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক কারেকশন। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে ও দেশের বাইরে সেগুলোর কাজ চলছে।’
এ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং প্যারিসে হওয়ার কথা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে তার বিকল্প ভাবা হচ্ছে বলে জানান স্বপন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘প্যারিসে অল্প কিছু দৃশ্যের শুটিং করার পরিকল্পনা ছিল। এখনো চেষ্টা করছি দৃশ্যটি দেশের বাইরে করতে। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজটা একটু কঠিন। প্যারিসে যদি যাওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে সেই অংশের শুটিং সিজিতে (কম্পিউটার গ্রাফিকস) করার পরিকল্পনা হচ্ছে। আবার, সময়ের কথাও ভাবতে হচ্ছে। সিনেমার গল্পটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের। তাই আমরা চাইছি বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে সিনেমাটি রিলিজ করতে। আশা করছি, আগামী মাসের মধ্যেই বাকি অংশের কাজ শেষ করতে পারব।’
শুটিং শুরুর আগে থেকেই অপারেশন জ্যাকপটের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিতর্ক। কয়েক বছর আগে অপারেশন জ্যাকপটের ঘটনা নিয়ে সিনেমা বানানোর উদ্যোগ নেয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। চিত্রনাট্য তৈরির দায়িত্ব পান গিয়াস উদ্দিন সেলিম। সিনেমাটি বানাতেও চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দরপত্র আহ্বান করা হলে সেলিমের প্রতিষ্ঠানকে ছাপিয়ে ২১ কোটি টাকা বাজেটে সিনেমাটি তৈরির দায়িত্ব পায় অন্তর শোবিজ। পরিচালনা করছেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু ও ভারতের রাজীব বিশ্বাস। অভিনয়শিল্পী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে সিনেমাটি। এতে অভিনয় করার কথা ছিল জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তারের। তবে শেষ মুহূর্তে বাদ পড়েন জায়েদ। গুঞ্জন আছে, নিপুণের ইচ্ছাতেই এমনটা হয়েছে। এ ছাড়া প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের কথা ও কাজে মিল না থাকার অভিযোগ করে সাইন করার পরেও সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ান বাপ্পী চৌধুরী।
অপারেশন জ্যাকপট সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন অনন্ত জলিল, নিপুণ আক্তার, অমিত হাসান, ওমর সানী, ইমন, নিরব, রোশান, শিপন, সাঞ্জু, জয় চৌধুরী, পল্লব, ইলিয়াস কাঞ্চন, কাজী হায়াৎ, মিশা সওদাগর প্রমুখ।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অধ্যায় অপারেশন জ্যাকপট। নৌ কমান্ডোদের চালানো গেরিলা অভিযানের বীরত্বের গল্প নিয়ে তৈরি হচ্ছে সিনেমা ‘অপারেশন জ্যাকপট’। অর্থায়ন করছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। গত আগস্টে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অপারেশন জ্যাকপট সিনেমার ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। অনেকেই সিনেমাটি মুক্তি না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন। এ বিষয়ে জানতে সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অন্তর শোবিজের কর্ণধার স্বপন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানালেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, সরকার পরিবর্তনের ঘটনা অপারেশন জ্যাকপটের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। সব কাজ গুছিয়ে এ বছরই বিজয় দিবস উপলক্ষে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে এফডিসিতে শুরু হয় অপারেশন জ্যাকপটের শুটিং। প্রায় ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি সিনেমার শুটিং। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন অপারেশন জ্যাকপটের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে কি না, এমন প্রসঙ্গে স্বপন চৌধুরী বলেন, ‘গত আগস্টে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর অনেকেই আমাকে বলছিল, আপনার সিনেমাটি তো আলোর মুখ দেখবে না।
প্রশ্নটি একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক ও দুঃখজনক। অনেকেই হয়তো ভেবে নিয়েছে, বিগত সরকারের সময় সিনেমার কাজ শুরু হয়েছে বিধায় এখানে আওয়ামী লীগ থাকবে, বঙ্গবন্ধু থাকবে। আসলে বঙ্গবন্ধু কিংবা আওয়ামী লীগ নয়, অপারেশন জ্যাকপট তৈরি হচ্ছে নৌ কমান্ডোদের একটি অপারেশন নিয়ে। এখানে পলিটিক্যাল কিছুই নেই। আমরা যে বলি, আওয়ামী লীগ সরকার বা বিএনপি সরকার। কিন্তু সরকার আসলে বাংলাদেশের জনগণের। এই সিনেমাও সরকারি একটি কাজ। ’
সিনেমার কাজ শেষ হতে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে স্বপন চৌধুরী বলেন, ‘এখন সবকিছুতে পরিবর্তন চলছে। সরকার এখন সংস্কারে ব্যস্ত। অতি প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোকেই সরকার প্রাধান্য দেবে এখন। সেই জায়গা থেকে সিনেমার কাজ একটু ধীরে চলছে। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের বিষয়টি সিনেমার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।’
শোনা গেছে, অপারেশন জ্যাকপট সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং শেষ হলেও কিছু দৃশ্যের কাজ পছন্দ হয়নি মন্ত্রণালয়ের অনেকের। বেশ কিছু দৃশ্যের নতুন করে শুটিংয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংযোজনের বিষয়টি স্বীকার করলেও তা বড় কিছু নয় বলে জানান স্বপন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘কিছু বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অবজারভেশন আছে। তবে সেটা খুব বড় কিছু নয়। কোথাও কালার কারেকশন, কোথাও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক কারেকশন। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে ও দেশের বাইরে সেগুলোর কাজ চলছে।’
এ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং প্যারিসে হওয়ার কথা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে তার বিকল্প ভাবা হচ্ছে বলে জানান স্বপন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘প্যারিসে অল্প কিছু দৃশ্যের শুটিং করার পরিকল্পনা ছিল। এখনো চেষ্টা করছি দৃশ্যটি দেশের বাইরে করতে। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজটা একটু কঠিন। প্যারিসে যদি যাওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে সেই অংশের শুটিং সিজিতে (কম্পিউটার গ্রাফিকস) করার পরিকল্পনা হচ্ছে। আবার, সময়ের কথাও ভাবতে হচ্ছে। সিনেমার গল্পটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের। তাই আমরা চাইছি বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে সিনেমাটি রিলিজ করতে। আশা করছি, আগামী মাসের মধ্যেই বাকি অংশের কাজ শেষ করতে পারব।’
শুটিং শুরুর আগে থেকেই অপারেশন জ্যাকপটের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিতর্ক। কয়েক বছর আগে অপারেশন জ্যাকপটের ঘটনা নিয়ে সিনেমা বানানোর উদ্যোগ নেয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। চিত্রনাট্য তৈরির দায়িত্ব পান গিয়াস উদ্দিন সেলিম। সিনেমাটি বানাতেও চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দরপত্র আহ্বান করা হলে সেলিমের প্রতিষ্ঠানকে ছাপিয়ে ২১ কোটি টাকা বাজেটে সিনেমাটি তৈরির দায়িত্ব পায় অন্তর শোবিজ। পরিচালনা করছেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু ও ভারতের রাজীব বিশ্বাস। অভিনয়শিল্পী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে সিনেমাটি। এতে অভিনয় করার কথা ছিল জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তারের। তবে শেষ মুহূর্তে বাদ পড়েন জায়েদ। গুঞ্জন আছে, নিপুণের ইচ্ছাতেই এমনটা হয়েছে। এ ছাড়া প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের কথা ও কাজে মিল না থাকার অভিযোগ করে সাইন করার পরেও সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ান বাপ্পী চৌধুরী।
অপারেশন জ্যাকপট সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন অনন্ত জলিল, নিপুণ আক্তার, অমিত হাসান, ওমর সানী, ইমন, নিরব, রোশান, শিপন, সাঞ্জু, জয় চৌধুরী, পল্লব, ইলিয়াস কাঞ্চন, কাজী হায়াৎ, মিশা সওদাগর প্রমুখ।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৯ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪