
আমাদের জীবনের মৌলিক ও অপরিহার্য উপাদান হলো বায়ু। তবে শ্বাসের মাধ্যমে আমরা যে বাতাস টেনে নিচ্ছি, তা ততটা বিশুদ্ধ নয়। বিশ্বের প্রায় ৯৯ শতাংশ জনসংখ্যা কোনো না কোনো সময় এমন বায়ুর সংস্পর্শে আসে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করে না। বাংলাদেশে, বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য বড় শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা অতিমাত্রায় বেড়েছে, যা এক মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে। এটি শুধু একটি স্থানীয় সমস্যা নয়, বরং একটি বৈশ্বিক সমস্যা। সংস্থাটির মতে, প্রতিবছর ৭ মিলিয়ন মানুষের অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী হলো বায়ুদূষণ। বিশ্বব্যাপী এক অব্যাহত স্বাস্থ্যসংকটের দিকে ইঙ্গিত করে।
বিশ্বের সবচেয়ে ধোঁয়াচ্ছন্ন এবং দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই এশিয়ায় অবস্থিত, যার মধ্যে ঢাকা একটি। এ ছাড়া নিউ দিল্লি, ব্যাংকক ও জাকার্তার বায়ুও অনেক খারাপ। এসব দেশে দূষিত বায়ু থেকে মুক্তি পাওয়া যেন অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে স্মগ (ধোঁয়া) এবং দূষিত বায়ু বারবার ছড়িয়ে পড়ছে, যা মানুষের শারীরিক স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
শিকাগোর এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের তনুশ্রী গাঙ্গুলি বলেন, ‘নীল আকাশ বায়ুর বিশুদ্ধতার নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’ অর্থাৎ বায়ুদূষণের মাত্রা কেবল দৃশ্যমান ধোঁয়াই নয়, নীরব এবং অদৃশ্য অবস্থায়ও হতে পারে।
সাধারণত মানুষ কিছু পোড়ালে বায়ু দূষিত হয়। যেমন: কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, ডিজেল ও পেট্রল। এগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং যানবাহনে ব্যবহৃত হয়। কৃষিকাজের জন্য ফসল বা গাছ পোড়ালে, এমনকি দাবানলের ফলেও বাতাস দূষিত হতে পারে।
শ্বাসনালিতে প্রবেশযোগ্য বাতাসের সূক্ষ্ম কণিকাগুলোকে পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) বলা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র কণিকাগুলো ‘পিএম ২ দশমিক ৫’ নামে পরিচিত। কারণ এগুলোর আকার ২ দশমিক ৫ মাইক্রনের কম। এগুলো মানুষের ফুসফুসে গভীরভাবে প্রবেশ করতে পারে এবং মূলত জ্বালানি পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন হয়। এর কারণে শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা, হৃদ্রোগ, স্ট্রোকসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করে। এই ক্ষুদ্র কণিকাগুলো ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
দিল্লির সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ অনুমিতা রায়চৌধুরী জানান, আরও বিপজ্জনক দূষক গ্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড এবং সালফার ডাইঅক্সাইড। এগুলোও জ্বালানি পোড়ানোর ফলে সৃষ্টি হয়।
বায়ুদূষণের উৎস এবং তার তীব্রতা বিভিন্ন শহর ও মৌসুম অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় পুরোনো মোটরবাইক ও শিল্প বয়লারগুলো খারাপ বায়ুর প্রধান কারণ। আবার থাইল্যান্ড ও ভারতের শহরগুলোতে কৃষিবর্জ্য পোড়ানোই বায়ুদূষণের প্রকোপ বাড়ানোর অন্যতম কারণ। ঢাকা, বাংলাদেশের রাজধানীতে, কয়লা পোড়ানো ইটভাটাগুলো দূষণের মাত্রা বাড়ায়। ব্রাজিল ও উত্তর আমেরিকায় ঋতুভিত্তিক দাবানলও বায়ুদূষণের সমস্যা সৃষ্টি করে।
স্বল্প মেয়াদে দূষিত বায়ু সেবনে শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে যাঁরা বয়স্ক বা ইতিমধ্যে অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। আর দীর্ঘ মেয়াদে দূষিত বায়ু সেবনে গুরুতর হৃদ্রোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা (সিওপিডি) এবং ফুসফুসের সংক্রমণের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ইউনিসেফের একটি সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে জানা গেছে, পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি শিশু অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে এবং এই দূষণ পাঁচ বছরের নিচে প্রতিদিন ১০০ শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত।
ইউনিসেফের পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক জুন কুনুগি বলেছেন, দূষিত বায়ু শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত করে, ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং তাদের মেধাগত সক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বিশ্বের ১১৭টি দেশে বর্তমানে ৬ হাজারেরও বেশি শহরে বায়ুমান পর্যবেক্ষণ করছে এবং অনেক আবহাওয়া মোবাইল অ্যাপেও বায়ুমানের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এই সংখ্যাগুলো দেখে বায়ুর মান কতটা খারাপ তা অনেক সময় বোঝা যায় না।
বায়ুমানের স্তর আরও সঠিকভাবে বুঝতে সাহায্য করার জন্য অনেক দেশ ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ব্যবহার করছে। এটি একটি সংখ্যাসূচক স্কেল, যেখানে বড় সংখ্যা মানে বায়ু আরও দূষিত তা বোঝায়। একিউআই স্কেলের পাশাপাশি বিভিন্ন রংও দেওয়া হয়, যা বায়ুর বিশুদ্ধতা নির্দেশ করে।
তবে, বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বায়ুমানের মানদণ্ড রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের দৈনিক পিএম ২ দশমিক ৫ সীমা থাইল্যান্ডের চেয়ে ১ দশমিক ৫ গুণ বেশি এবং ডব্লিউএইচওর মান থেকে ৪ গুণ বেশি।
এটি বোঝায় যে, বিভিন্ন দেশ নিজেদের বায়ুমান ইনডেক্সের হিসাব আলাদাভাবে করে থাকে এবং তাই এস্ব সংখ্যা একে অপরের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। এ ছাড়া, কখনো কখনো বেসরকারি কোম্পানিগুলোর দেওয়া একিউআই স্কোর জাতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর হিসাব থেকে আলাদা হতে পারে। কারণ তারা আরও কঠোর মানদণ্ড ব্যবহার করে।
এ ছাড়া, মানুষকে মাস্ক পরা, ঘরে থাকা এবং এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে কাজের জন্য মানুষকে ঘর থেকে বের হতেই হয়।
মানুষকে ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণের ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে, যা প্রায়ই সাধারণ গৃহস্থালি কাজ যেমন রান্না বা ধূপের স্তম্ভ জ্বালানোর ফলে তৈরি হতে পারে।
ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণ কমাতে সাহায্য করতে পারে এয়ার পিউরিফায়ার বা বায়ু পরিশোধক। এগুলো ঘরের বায়ু শুষে নিয়ে একটি ফিল্টারের মাধ্যমে দূষকগুলো আটকে রেখে শুদ্ধ বায়ু আবার ঘরেও পাঠায়। তবে এগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এয়ার পিউরিফায়ার সাধারণত ছোট জায়গায় এবং যখন মানুষ কাছে থাকে তখনই সবচেয়ে কার্যকর। যদি বড় রুমে একটি ছোট এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা হয়, তবে এটি কার্যকর হবে না। এ ছাড়া, অনেক উন্নয়নশীল দেশের মানুষের পক্ষে এয়ার পিউরিফায়ার কেনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

আমাদের জীবনের মৌলিক ও অপরিহার্য উপাদান হলো বায়ু। তবে শ্বাসের মাধ্যমে আমরা যে বাতাস টেনে নিচ্ছি, তা ততটা বিশুদ্ধ নয়। বিশ্বের প্রায় ৯৯ শতাংশ জনসংখ্যা কোনো না কোনো সময় এমন বায়ুর সংস্পর্শে আসে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করে না। বাংলাদেশে, বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য বড় শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা অতিমাত্রায় বেড়েছে, যা এক মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে। এটি শুধু একটি স্থানীয় সমস্যা নয়, বরং একটি বৈশ্বিক সমস্যা। সংস্থাটির মতে, প্রতিবছর ৭ মিলিয়ন মানুষের অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী হলো বায়ুদূষণ। বিশ্বব্যাপী এক অব্যাহত স্বাস্থ্যসংকটের দিকে ইঙ্গিত করে।
বিশ্বের সবচেয়ে ধোঁয়াচ্ছন্ন এবং দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই এশিয়ায় অবস্থিত, যার মধ্যে ঢাকা একটি। এ ছাড়া নিউ দিল্লি, ব্যাংকক ও জাকার্তার বায়ুও অনেক খারাপ। এসব দেশে দূষিত বায়ু থেকে মুক্তি পাওয়া যেন অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে স্মগ (ধোঁয়া) এবং দূষিত বায়ু বারবার ছড়িয়ে পড়ছে, যা মানুষের শারীরিক স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
শিকাগোর এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের তনুশ্রী গাঙ্গুলি বলেন, ‘নীল আকাশ বায়ুর বিশুদ্ধতার নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’ অর্থাৎ বায়ুদূষণের মাত্রা কেবল দৃশ্যমান ধোঁয়াই নয়, নীরব এবং অদৃশ্য অবস্থায়ও হতে পারে।
সাধারণত মানুষ কিছু পোড়ালে বায়ু দূষিত হয়। যেমন: কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, ডিজেল ও পেট্রল। এগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং যানবাহনে ব্যবহৃত হয়। কৃষিকাজের জন্য ফসল বা গাছ পোড়ালে, এমনকি দাবানলের ফলেও বাতাস দূষিত হতে পারে।
শ্বাসনালিতে প্রবেশযোগ্য বাতাসের সূক্ষ্ম কণিকাগুলোকে পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) বলা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র কণিকাগুলো ‘পিএম ২ দশমিক ৫’ নামে পরিচিত। কারণ এগুলোর আকার ২ দশমিক ৫ মাইক্রনের কম। এগুলো মানুষের ফুসফুসে গভীরভাবে প্রবেশ করতে পারে এবং মূলত জ্বালানি পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন হয়। এর কারণে শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা, হৃদ্রোগ, স্ট্রোকসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করে। এই ক্ষুদ্র কণিকাগুলো ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
দিল্লির সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ অনুমিতা রায়চৌধুরী জানান, আরও বিপজ্জনক দূষক গ্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড এবং সালফার ডাইঅক্সাইড। এগুলোও জ্বালানি পোড়ানোর ফলে সৃষ্টি হয়।
বায়ুদূষণের উৎস এবং তার তীব্রতা বিভিন্ন শহর ও মৌসুম অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় পুরোনো মোটরবাইক ও শিল্প বয়লারগুলো খারাপ বায়ুর প্রধান কারণ। আবার থাইল্যান্ড ও ভারতের শহরগুলোতে কৃষিবর্জ্য পোড়ানোই বায়ুদূষণের প্রকোপ বাড়ানোর অন্যতম কারণ। ঢাকা, বাংলাদেশের রাজধানীতে, কয়লা পোড়ানো ইটভাটাগুলো দূষণের মাত্রা বাড়ায়। ব্রাজিল ও উত্তর আমেরিকায় ঋতুভিত্তিক দাবানলও বায়ুদূষণের সমস্যা সৃষ্টি করে।
স্বল্প মেয়াদে দূষিত বায়ু সেবনে শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে যাঁরা বয়স্ক বা ইতিমধ্যে অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। আর দীর্ঘ মেয়াদে দূষিত বায়ু সেবনে গুরুতর হৃদ্রোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা (সিওপিডি) এবং ফুসফুসের সংক্রমণের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ইউনিসেফের একটি সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে জানা গেছে, পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি শিশু অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে এবং এই দূষণ পাঁচ বছরের নিচে প্রতিদিন ১০০ শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত।
ইউনিসেফের পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক জুন কুনুগি বলেছেন, দূষিত বায়ু শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত করে, ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং তাদের মেধাগত সক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বিশ্বের ১১৭টি দেশে বর্তমানে ৬ হাজারেরও বেশি শহরে বায়ুমান পর্যবেক্ষণ করছে এবং অনেক আবহাওয়া মোবাইল অ্যাপেও বায়ুমানের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এই সংখ্যাগুলো দেখে বায়ুর মান কতটা খারাপ তা অনেক সময় বোঝা যায় না।
বায়ুমানের স্তর আরও সঠিকভাবে বুঝতে সাহায্য করার জন্য অনেক দেশ ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ব্যবহার করছে। এটি একটি সংখ্যাসূচক স্কেল, যেখানে বড় সংখ্যা মানে বায়ু আরও দূষিত তা বোঝায়। একিউআই স্কেলের পাশাপাশি বিভিন্ন রংও দেওয়া হয়, যা বায়ুর বিশুদ্ধতা নির্দেশ করে।
তবে, বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বায়ুমানের মানদণ্ড রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের দৈনিক পিএম ২ দশমিক ৫ সীমা থাইল্যান্ডের চেয়ে ১ দশমিক ৫ গুণ বেশি এবং ডব্লিউএইচওর মান থেকে ৪ গুণ বেশি।
এটি বোঝায় যে, বিভিন্ন দেশ নিজেদের বায়ুমান ইনডেক্সের হিসাব আলাদাভাবে করে থাকে এবং তাই এস্ব সংখ্যা একে অপরের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। এ ছাড়া, কখনো কখনো বেসরকারি কোম্পানিগুলোর দেওয়া একিউআই স্কোর জাতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর হিসাব থেকে আলাদা হতে পারে। কারণ তারা আরও কঠোর মানদণ্ড ব্যবহার করে।
এ ছাড়া, মানুষকে মাস্ক পরা, ঘরে থাকা এবং এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে কাজের জন্য মানুষকে ঘর থেকে বের হতেই হয়।
মানুষকে ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণের ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে, যা প্রায়ই সাধারণ গৃহস্থালি কাজ যেমন রান্না বা ধূপের স্তম্ভ জ্বালানোর ফলে তৈরি হতে পারে।
ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণ কমাতে সাহায্য করতে পারে এয়ার পিউরিফায়ার বা বায়ু পরিশোধক। এগুলো ঘরের বায়ু শুষে নিয়ে একটি ফিল্টারের মাধ্যমে দূষকগুলো আটকে রেখে শুদ্ধ বায়ু আবার ঘরেও পাঠায়। তবে এগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এয়ার পিউরিফায়ার সাধারণত ছোট জায়গায় এবং যখন মানুষ কাছে থাকে তখনই সবচেয়ে কার্যকর। যদি বড় রুমে একটি ছোট এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা হয়, তবে এটি কার্যকর হবে না। এ ছাড়া, অনেক উন্নয়নশীল দেশের মানুষের পক্ষে এয়ার পিউরিফায়ার কেনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

আমাদের জীবনের মৌলিক ও অপরিহার্য উপাদান হলো বায়ু। তবে শ্বাসের মাধ্যমে আমরা যে বাতাস টেনে নিচ্ছি, তা ততটা বিশুদ্ধ নয়। বিশ্বের প্রায় ৯৯ শতাংশ জনসংখ্যা কোনো না কোনো সময় এমন বায়ুর সংস্পর্শে আসে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করে না। বাংলাদেশে, বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য বড় শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা অতিমাত্রায় বেড়েছে, যা এক মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে। এটি শুধু একটি স্থানীয় সমস্যা নয়, বরং একটি বৈশ্বিক সমস্যা। সংস্থাটির মতে, প্রতিবছর ৭ মিলিয়ন মানুষের অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী হলো বায়ুদূষণ। বিশ্বব্যাপী এক অব্যাহত স্বাস্থ্যসংকটের দিকে ইঙ্গিত করে।
বিশ্বের সবচেয়ে ধোঁয়াচ্ছন্ন এবং দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই এশিয়ায় অবস্থিত, যার মধ্যে ঢাকা একটি। এ ছাড়া নিউ দিল্লি, ব্যাংকক ও জাকার্তার বায়ুও অনেক খারাপ। এসব দেশে দূষিত বায়ু থেকে মুক্তি পাওয়া যেন অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে স্মগ (ধোঁয়া) এবং দূষিত বায়ু বারবার ছড়িয়ে পড়ছে, যা মানুষের শারীরিক স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
শিকাগোর এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের তনুশ্রী গাঙ্গুলি বলেন, ‘নীল আকাশ বায়ুর বিশুদ্ধতার নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’ অর্থাৎ বায়ুদূষণের মাত্রা কেবল দৃশ্যমান ধোঁয়াই নয়, নীরব এবং অদৃশ্য অবস্থায়ও হতে পারে।
সাধারণত মানুষ কিছু পোড়ালে বায়ু দূষিত হয়। যেমন: কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, ডিজেল ও পেট্রল। এগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং যানবাহনে ব্যবহৃত হয়। কৃষিকাজের জন্য ফসল বা গাছ পোড়ালে, এমনকি দাবানলের ফলেও বাতাস দূষিত হতে পারে।
শ্বাসনালিতে প্রবেশযোগ্য বাতাসের সূক্ষ্ম কণিকাগুলোকে পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) বলা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র কণিকাগুলো ‘পিএম ২ দশমিক ৫’ নামে পরিচিত। কারণ এগুলোর আকার ২ দশমিক ৫ মাইক্রনের কম। এগুলো মানুষের ফুসফুসে গভীরভাবে প্রবেশ করতে পারে এবং মূলত জ্বালানি পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন হয়। এর কারণে শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা, হৃদ্রোগ, স্ট্রোকসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করে। এই ক্ষুদ্র কণিকাগুলো ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
দিল্লির সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ অনুমিতা রায়চৌধুরী জানান, আরও বিপজ্জনক দূষক গ্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড এবং সালফার ডাইঅক্সাইড। এগুলোও জ্বালানি পোড়ানোর ফলে সৃষ্টি হয়।
বায়ুদূষণের উৎস এবং তার তীব্রতা বিভিন্ন শহর ও মৌসুম অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় পুরোনো মোটরবাইক ও শিল্প বয়লারগুলো খারাপ বায়ুর প্রধান কারণ। আবার থাইল্যান্ড ও ভারতের শহরগুলোতে কৃষিবর্জ্য পোড়ানোই বায়ুদূষণের প্রকোপ বাড়ানোর অন্যতম কারণ। ঢাকা, বাংলাদেশের রাজধানীতে, কয়লা পোড়ানো ইটভাটাগুলো দূষণের মাত্রা বাড়ায়। ব্রাজিল ও উত্তর আমেরিকায় ঋতুভিত্তিক দাবানলও বায়ুদূষণের সমস্যা সৃষ্টি করে।
স্বল্প মেয়াদে দূষিত বায়ু সেবনে শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে যাঁরা বয়স্ক বা ইতিমধ্যে অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। আর দীর্ঘ মেয়াদে দূষিত বায়ু সেবনে গুরুতর হৃদ্রোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা (সিওপিডি) এবং ফুসফুসের সংক্রমণের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ইউনিসেফের একটি সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে জানা গেছে, পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি শিশু অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে এবং এই দূষণ পাঁচ বছরের নিচে প্রতিদিন ১০০ শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত।
ইউনিসেফের পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক জুন কুনুগি বলেছেন, দূষিত বায়ু শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত করে, ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং তাদের মেধাগত সক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বিশ্বের ১১৭টি দেশে বর্তমানে ৬ হাজারেরও বেশি শহরে বায়ুমান পর্যবেক্ষণ করছে এবং অনেক আবহাওয়া মোবাইল অ্যাপেও বায়ুমানের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এই সংখ্যাগুলো দেখে বায়ুর মান কতটা খারাপ তা অনেক সময় বোঝা যায় না।
বায়ুমানের স্তর আরও সঠিকভাবে বুঝতে সাহায্য করার জন্য অনেক দেশ ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ব্যবহার করছে। এটি একটি সংখ্যাসূচক স্কেল, যেখানে বড় সংখ্যা মানে বায়ু আরও দূষিত তা বোঝায়। একিউআই স্কেলের পাশাপাশি বিভিন্ন রংও দেওয়া হয়, যা বায়ুর বিশুদ্ধতা নির্দেশ করে।
তবে, বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বায়ুমানের মানদণ্ড রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের দৈনিক পিএম ২ দশমিক ৫ সীমা থাইল্যান্ডের চেয়ে ১ দশমিক ৫ গুণ বেশি এবং ডব্লিউএইচওর মান থেকে ৪ গুণ বেশি।
এটি বোঝায় যে, বিভিন্ন দেশ নিজেদের বায়ুমান ইনডেক্সের হিসাব আলাদাভাবে করে থাকে এবং তাই এস্ব সংখ্যা একে অপরের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। এ ছাড়া, কখনো কখনো বেসরকারি কোম্পানিগুলোর দেওয়া একিউআই স্কোর জাতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর হিসাব থেকে আলাদা হতে পারে। কারণ তারা আরও কঠোর মানদণ্ড ব্যবহার করে।
এ ছাড়া, মানুষকে মাস্ক পরা, ঘরে থাকা এবং এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে কাজের জন্য মানুষকে ঘর থেকে বের হতেই হয়।
মানুষকে ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণের ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে, যা প্রায়ই সাধারণ গৃহস্থালি কাজ যেমন রান্না বা ধূপের স্তম্ভ জ্বালানোর ফলে তৈরি হতে পারে।
ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণ কমাতে সাহায্য করতে পারে এয়ার পিউরিফায়ার বা বায়ু পরিশোধক। এগুলো ঘরের বায়ু শুষে নিয়ে একটি ফিল্টারের মাধ্যমে দূষকগুলো আটকে রেখে শুদ্ধ বায়ু আবার ঘরেও পাঠায়। তবে এগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এয়ার পিউরিফায়ার সাধারণত ছোট জায়গায় এবং যখন মানুষ কাছে থাকে তখনই সবচেয়ে কার্যকর। যদি বড় রুমে একটি ছোট এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা হয়, তবে এটি কার্যকর হবে না। এ ছাড়া, অনেক উন্নয়নশীল দেশের মানুষের পক্ষে এয়ার পিউরিফায়ার কেনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

আমাদের জীবনের মৌলিক ও অপরিহার্য উপাদান হলো বায়ু। তবে শ্বাসের মাধ্যমে আমরা যে বাতাস টেনে নিচ্ছি, তা ততটা বিশুদ্ধ নয়। বিশ্বের প্রায় ৯৯ শতাংশ জনসংখ্যা কোনো না কোনো সময় এমন বায়ুর সংস্পর্শে আসে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করে না। বাংলাদেশে, বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য বড় শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা অতিমাত্রায় বেড়েছে, যা এক মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে। এটি শুধু একটি স্থানীয় সমস্যা নয়, বরং একটি বৈশ্বিক সমস্যা। সংস্থাটির মতে, প্রতিবছর ৭ মিলিয়ন মানুষের অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী হলো বায়ুদূষণ। বিশ্বব্যাপী এক অব্যাহত স্বাস্থ্যসংকটের দিকে ইঙ্গিত করে।
বিশ্বের সবচেয়ে ধোঁয়াচ্ছন্ন এবং দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই এশিয়ায় অবস্থিত, যার মধ্যে ঢাকা একটি। এ ছাড়া নিউ দিল্লি, ব্যাংকক ও জাকার্তার বায়ুও অনেক খারাপ। এসব দেশে দূষিত বায়ু থেকে মুক্তি পাওয়া যেন অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে স্মগ (ধোঁয়া) এবং দূষিত বায়ু বারবার ছড়িয়ে পড়ছে, যা মানুষের শারীরিক স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
শিকাগোর এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের তনুশ্রী গাঙ্গুলি বলেন, ‘নীল আকাশ বায়ুর বিশুদ্ধতার নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’ অর্থাৎ বায়ুদূষণের মাত্রা কেবল দৃশ্যমান ধোঁয়াই নয়, নীরব এবং অদৃশ্য অবস্থায়ও হতে পারে।
সাধারণত মানুষ কিছু পোড়ালে বায়ু দূষিত হয়। যেমন: কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, ডিজেল ও পেট্রল। এগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং যানবাহনে ব্যবহৃত হয়। কৃষিকাজের জন্য ফসল বা গাছ পোড়ালে, এমনকি দাবানলের ফলেও বাতাস দূষিত হতে পারে।
শ্বাসনালিতে প্রবেশযোগ্য বাতাসের সূক্ষ্ম কণিকাগুলোকে পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) বলা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র কণিকাগুলো ‘পিএম ২ দশমিক ৫’ নামে পরিচিত। কারণ এগুলোর আকার ২ দশমিক ৫ মাইক্রনের কম। এগুলো মানুষের ফুসফুসে গভীরভাবে প্রবেশ করতে পারে এবং মূলত জ্বালানি পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন হয়। এর কারণে শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা, হৃদ্রোগ, স্ট্রোকসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করে। এই ক্ষুদ্র কণিকাগুলো ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
দিল্লির সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ অনুমিতা রায়চৌধুরী জানান, আরও বিপজ্জনক দূষক গ্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড এবং সালফার ডাইঅক্সাইড। এগুলোও জ্বালানি পোড়ানোর ফলে সৃষ্টি হয়।
বায়ুদূষণের উৎস এবং তার তীব্রতা বিভিন্ন শহর ও মৌসুম অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় পুরোনো মোটরবাইক ও শিল্প বয়লারগুলো খারাপ বায়ুর প্রধান কারণ। আবার থাইল্যান্ড ও ভারতের শহরগুলোতে কৃষিবর্জ্য পোড়ানোই বায়ুদূষণের প্রকোপ বাড়ানোর অন্যতম কারণ। ঢাকা, বাংলাদেশের রাজধানীতে, কয়লা পোড়ানো ইটভাটাগুলো দূষণের মাত্রা বাড়ায়। ব্রাজিল ও উত্তর আমেরিকায় ঋতুভিত্তিক দাবানলও বায়ুদূষণের সমস্যা সৃষ্টি করে।
স্বল্প মেয়াদে দূষিত বায়ু সেবনে শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে যাঁরা বয়স্ক বা ইতিমধ্যে অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। আর দীর্ঘ মেয়াদে দূষিত বায়ু সেবনে গুরুতর হৃদ্রোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা (সিওপিডি) এবং ফুসফুসের সংক্রমণের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ইউনিসেফের একটি সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে জানা গেছে, পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি শিশু অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে এবং এই দূষণ পাঁচ বছরের নিচে প্রতিদিন ১০০ শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত।
ইউনিসেফের পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক জুন কুনুগি বলেছেন, দূষিত বায়ু শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত করে, ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং তাদের মেধাগত সক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বিশ্বের ১১৭টি দেশে বর্তমানে ৬ হাজারেরও বেশি শহরে বায়ুমান পর্যবেক্ষণ করছে এবং অনেক আবহাওয়া মোবাইল অ্যাপেও বায়ুমানের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এই সংখ্যাগুলো দেখে বায়ুর মান কতটা খারাপ তা অনেক সময় বোঝা যায় না।
বায়ুমানের স্তর আরও সঠিকভাবে বুঝতে সাহায্য করার জন্য অনেক দেশ ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ব্যবহার করছে। এটি একটি সংখ্যাসূচক স্কেল, যেখানে বড় সংখ্যা মানে বায়ু আরও দূষিত তা বোঝায়। একিউআই স্কেলের পাশাপাশি বিভিন্ন রংও দেওয়া হয়, যা বায়ুর বিশুদ্ধতা নির্দেশ করে।
তবে, বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বায়ুমানের মানদণ্ড রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের দৈনিক পিএম ২ দশমিক ৫ সীমা থাইল্যান্ডের চেয়ে ১ দশমিক ৫ গুণ বেশি এবং ডব্লিউএইচওর মান থেকে ৪ গুণ বেশি।
এটি বোঝায় যে, বিভিন্ন দেশ নিজেদের বায়ুমান ইনডেক্সের হিসাব আলাদাভাবে করে থাকে এবং তাই এস্ব সংখ্যা একে অপরের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। এ ছাড়া, কখনো কখনো বেসরকারি কোম্পানিগুলোর দেওয়া একিউআই স্কোর জাতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর হিসাব থেকে আলাদা হতে পারে। কারণ তারা আরও কঠোর মানদণ্ড ব্যবহার করে।
এ ছাড়া, মানুষকে মাস্ক পরা, ঘরে থাকা এবং এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে কাজের জন্য মানুষকে ঘর থেকে বের হতেই হয়।
মানুষকে ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণের ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে, যা প্রায়ই সাধারণ গৃহস্থালি কাজ যেমন রান্না বা ধূপের স্তম্ভ জ্বালানোর ফলে তৈরি হতে পারে।
ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণ কমাতে সাহায্য করতে পারে এয়ার পিউরিফায়ার বা বায়ু পরিশোধক। এগুলো ঘরের বায়ু শুষে নিয়ে একটি ফিল্টারের মাধ্যমে দূষকগুলো আটকে রেখে শুদ্ধ বায়ু আবার ঘরেও পাঠায়। তবে এগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এয়ার পিউরিফায়ার সাধারণত ছোট জায়গায় এবং যখন মানুষ কাছে থাকে তখনই সবচেয়ে কার্যকর। যদি বড় রুমে একটি ছোট এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা হয়, তবে এটি কার্যকর হবে না। এ ছাড়া, অনেক উন্নয়নশীল দেশের মানুষের পক্ষে এয়ার পিউরিফায়ার কেনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১ দিন আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

আমাদের জীবনের মৌলিক ও অপরিহার্য উপাদান হলো বায়ু। তবে শ্বাসের মাধ্যমে আমরা যে বাতাস টেনে নিচ্ছি, তা ততটা বিশুদ্ধ নয়। বিশ্বের প্রায় ৯৯ শতাংশ জনসংখ্যা কোনো না কোনো সময় এমন বায়ুর সংস্পর্শে আসে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করে না। বাংলাদেশে, বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম...
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১ দিন আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।
গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।
দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।
প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।
গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।
দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।
প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

আমাদের জীবনের মৌলিক ও অপরিহার্য উপাদান হলো বায়ু। তবে শ্বাসের মাধ্যমে আমরা যে বাতাস টেনে নিচ্ছি, তা ততটা বিশুদ্ধ নয়। বিশ্বের প্রায় ৯৯ শতাংশ জনসংখ্যা কোনো না কোনো সময় এমন বায়ুর সংস্পর্শে আসে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করে না। বাংলাদেশে, বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম...
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৯০। যা নির্দেশ করে ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশ কিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— কল্যাণপুর (২৬০), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৬), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (১৯৬), গোড়ান (১৯৬) ও বেচারাম দেউরি (১৯০)।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। শহরটির একিউআই স্কোর ৩১০। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৭০, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারাজেভ (২২৭, খুব অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো (১৯৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৯০। যা নির্দেশ করে ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশ কিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— কল্যাণপুর (২৬০), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৬), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (১৯৬), গোড়ান (১৯৬) ও বেচারাম দেউরি (১৯০)।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। শহরটির একিউআই স্কোর ৩১০। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৭০, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারাজেভ (২২৭, খুব অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো (১৯৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

আমাদের জীবনের মৌলিক ও অপরিহার্য উপাদান হলো বায়ু। তবে শ্বাসের মাধ্যমে আমরা যে বাতাস টেনে নিচ্ছি, তা ততটা বিশুদ্ধ নয়। বিশ্বের প্রায় ৯৯ শতাংশ জনসংখ্যা কোনো না কোনো সময় এমন বায়ুর সংস্পর্শে আসে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করে না। বাংলাদেশে, বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম...
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৌষ মাসের তৃতীয় দিন আজ। শীতের মৌসুম চলে এলেও রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়া বুলেটিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

পৌষ মাসের তৃতীয় দিন আজ। শীতের মৌসুম চলে এলেও রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়া বুলেটিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

আমাদের জীবনের মৌলিক ও অপরিহার্য উপাদান হলো বায়ু। তবে শ্বাসের মাধ্যমে আমরা যে বাতাস টেনে নিচ্ছি, তা ততটা বিশুদ্ধ নয়। বিশ্বের প্রায় ৯৯ শতাংশ জনসংখ্যা কোনো না কোনো সময় এমন বায়ুর সংস্পর্শে আসে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করে না। বাংলাদেশে, বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম...
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১ দিন আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
২ দিন আগে