
আমাদের জীবনের মৌলিক ও অপরিহার্য উপাদান হলো বায়ু। তবে শ্বাসের মাধ্যমে আমরা যে বাতাস টেনে নিচ্ছি, তা ততটা বিশুদ্ধ নয়। বিশ্বের প্রায় ৯৯ শতাংশ জনসংখ্যা কোনো না কোনো সময় এমন বায়ুর সংস্পর্শে আসে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করে না। বাংলাদেশে, বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য বড় শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা অতিমাত্রায় বেড়েছে, যা এক মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে। এটি শুধু একটি স্থানীয় সমস্যা নয়, বরং একটি বৈশ্বিক সমস্যা। সংস্থাটির মতে, প্রতিবছর ৭ মিলিয়ন মানুষের অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী হলো বায়ুদূষণ। বিশ্বব্যাপী এক অব্যাহত স্বাস্থ্যসংকটের দিকে ইঙ্গিত করে।
বিশ্বের সবচেয়ে ধোঁয়াচ্ছন্ন এবং দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই এশিয়ায় অবস্থিত, যার মধ্যে ঢাকা একটি। এ ছাড়া নিউ দিল্লি, ব্যাংকক ও জাকার্তার বায়ুও অনেক খারাপ। এসব দেশে দূষিত বায়ু থেকে মুক্তি পাওয়া যেন অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে স্মগ (ধোঁয়া) এবং দূষিত বায়ু বারবার ছড়িয়ে পড়ছে, যা মানুষের শারীরিক স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
শিকাগোর এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের তনুশ্রী গাঙ্গুলি বলেন, ‘নীল আকাশ বায়ুর বিশুদ্ধতার নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’ অর্থাৎ বায়ুদূষণের মাত্রা কেবল দৃশ্যমান ধোঁয়াই নয়, নীরব এবং অদৃশ্য অবস্থায়ও হতে পারে।
সাধারণত মানুষ কিছু পোড়ালে বায়ু দূষিত হয়। যেমন: কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, ডিজেল ও পেট্রল। এগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং যানবাহনে ব্যবহৃত হয়। কৃষিকাজের জন্য ফসল বা গাছ পোড়ালে, এমনকি দাবানলের ফলেও বাতাস দূষিত হতে পারে।
শ্বাসনালিতে প্রবেশযোগ্য বাতাসের সূক্ষ্ম কণিকাগুলোকে পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) বলা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র কণিকাগুলো ‘পিএম ২ দশমিক ৫’ নামে পরিচিত। কারণ এগুলোর আকার ২ দশমিক ৫ মাইক্রনের কম। এগুলো মানুষের ফুসফুসে গভীরভাবে প্রবেশ করতে পারে এবং মূলত জ্বালানি পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন হয়। এর কারণে শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা, হৃদ্রোগ, স্ট্রোকসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করে। এই ক্ষুদ্র কণিকাগুলো ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
দিল্লির সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ অনুমিতা রায়চৌধুরী জানান, আরও বিপজ্জনক দূষক গ্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড এবং সালফার ডাইঅক্সাইড। এগুলোও জ্বালানি পোড়ানোর ফলে সৃষ্টি হয়।
বায়ুদূষণের উৎস এবং তার তীব্রতা বিভিন্ন শহর ও মৌসুম অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় পুরোনো মোটরবাইক ও শিল্প বয়লারগুলো খারাপ বায়ুর প্রধান কারণ। আবার থাইল্যান্ড ও ভারতের শহরগুলোতে কৃষিবর্জ্য পোড়ানোই বায়ুদূষণের প্রকোপ বাড়ানোর অন্যতম কারণ। ঢাকা, বাংলাদেশের রাজধানীতে, কয়লা পোড়ানো ইটভাটাগুলো দূষণের মাত্রা বাড়ায়। ব্রাজিল ও উত্তর আমেরিকায় ঋতুভিত্তিক দাবানলও বায়ুদূষণের সমস্যা সৃষ্টি করে।
স্বল্প মেয়াদে দূষিত বায়ু সেবনে শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে যাঁরা বয়স্ক বা ইতিমধ্যে অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। আর দীর্ঘ মেয়াদে দূষিত বায়ু সেবনে গুরুতর হৃদ্রোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা (সিওপিডি) এবং ফুসফুসের সংক্রমণের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ইউনিসেফের একটি সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে জানা গেছে, পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি শিশু অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে এবং এই দূষণ পাঁচ বছরের নিচে প্রতিদিন ১০০ শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত।
ইউনিসেফের পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক জুন কুনুগি বলেছেন, দূষিত বায়ু শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত করে, ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং তাদের মেধাগত সক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বিশ্বের ১১৭টি দেশে বর্তমানে ৬ হাজারেরও বেশি শহরে বায়ুমান পর্যবেক্ষণ করছে এবং অনেক আবহাওয়া মোবাইল অ্যাপেও বায়ুমানের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এই সংখ্যাগুলো দেখে বায়ুর মান কতটা খারাপ তা অনেক সময় বোঝা যায় না।
বায়ুমানের স্তর আরও সঠিকভাবে বুঝতে সাহায্য করার জন্য অনেক দেশ ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ব্যবহার করছে। এটি একটি সংখ্যাসূচক স্কেল, যেখানে বড় সংখ্যা মানে বায়ু আরও দূষিত তা বোঝায়। একিউআই স্কেলের পাশাপাশি বিভিন্ন রংও দেওয়া হয়, যা বায়ুর বিশুদ্ধতা নির্দেশ করে।
তবে, বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বায়ুমানের মানদণ্ড রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের দৈনিক পিএম ২ দশমিক ৫ সীমা থাইল্যান্ডের চেয়ে ১ দশমিক ৫ গুণ বেশি এবং ডব্লিউএইচওর মান থেকে ৪ গুণ বেশি।
এটি বোঝায় যে, বিভিন্ন দেশ নিজেদের বায়ুমান ইনডেক্সের হিসাব আলাদাভাবে করে থাকে এবং তাই এস্ব সংখ্যা একে অপরের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। এ ছাড়া, কখনো কখনো বেসরকারি কোম্পানিগুলোর দেওয়া একিউআই স্কোর জাতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর হিসাব থেকে আলাদা হতে পারে। কারণ তারা আরও কঠোর মানদণ্ড ব্যবহার করে।
এ ছাড়া, মানুষকে মাস্ক পরা, ঘরে থাকা এবং এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে কাজের জন্য মানুষকে ঘর থেকে বের হতেই হয়।
মানুষকে ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণের ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে, যা প্রায়ই সাধারণ গৃহস্থালি কাজ যেমন রান্না বা ধূপের স্তম্ভ জ্বালানোর ফলে তৈরি হতে পারে।
ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণ কমাতে সাহায্য করতে পারে এয়ার পিউরিফায়ার বা বায়ু পরিশোধক। এগুলো ঘরের বায়ু শুষে নিয়ে একটি ফিল্টারের মাধ্যমে দূষকগুলো আটকে রেখে শুদ্ধ বায়ু আবার ঘরেও পাঠায়। তবে এগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এয়ার পিউরিফায়ার সাধারণত ছোট জায়গায় এবং যখন মানুষ কাছে থাকে তখনই সবচেয়ে কার্যকর। যদি বড় রুমে একটি ছোট এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা হয়, তবে এটি কার্যকর হবে না। এ ছাড়া, অনেক উন্নয়নশীল দেশের মানুষের পক্ষে এয়ার পিউরিফায়ার কেনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

আমাদের জীবনের মৌলিক ও অপরিহার্য উপাদান হলো বায়ু। তবে শ্বাসের মাধ্যমে আমরা যে বাতাস টেনে নিচ্ছি, তা ততটা বিশুদ্ধ নয়। বিশ্বের প্রায় ৯৯ শতাংশ জনসংখ্যা কোনো না কোনো সময় এমন বায়ুর সংস্পর্শে আসে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করে না। বাংলাদেশে, বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য বড় শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা অতিমাত্রায় বেড়েছে, যা এক মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে। এটি শুধু একটি স্থানীয় সমস্যা নয়, বরং একটি বৈশ্বিক সমস্যা। সংস্থাটির মতে, প্রতিবছর ৭ মিলিয়ন মানুষের অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী হলো বায়ুদূষণ। বিশ্বব্যাপী এক অব্যাহত স্বাস্থ্যসংকটের দিকে ইঙ্গিত করে।
বিশ্বের সবচেয়ে ধোঁয়াচ্ছন্ন এবং দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই এশিয়ায় অবস্থিত, যার মধ্যে ঢাকা একটি। এ ছাড়া নিউ দিল্লি, ব্যাংকক ও জাকার্তার বায়ুও অনেক খারাপ। এসব দেশে দূষিত বায়ু থেকে মুক্তি পাওয়া যেন অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে স্মগ (ধোঁয়া) এবং দূষিত বায়ু বারবার ছড়িয়ে পড়ছে, যা মানুষের শারীরিক স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
শিকাগোর এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের তনুশ্রী গাঙ্গুলি বলেন, ‘নীল আকাশ বায়ুর বিশুদ্ধতার নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’ অর্থাৎ বায়ুদূষণের মাত্রা কেবল দৃশ্যমান ধোঁয়াই নয়, নীরব এবং অদৃশ্য অবস্থায়ও হতে পারে।
সাধারণত মানুষ কিছু পোড়ালে বায়ু দূষিত হয়। যেমন: কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, ডিজেল ও পেট্রল। এগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং যানবাহনে ব্যবহৃত হয়। কৃষিকাজের জন্য ফসল বা গাছ পোড়ালে, এমনকি দাবানলের ফলেও বাতাস দূষিত হতে পারে।
শ্বাসনালিতে প্রবেশযোগ্য বাতাসের সূক্ষ্ম কণিকাগুলোকে পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) বলা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র কণিকাগুলো ‘পিএম ২ দশমিক ৫’ নামে পরিচিত। কারণ এগুলোর আকার ২ দশমিক ৫ মাইক্রনের কম। এগুলো মানুষের ফুসফুসে গভীরভাবে প্রবেশ করতে পারে এবং মূলত জ্বালানি পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন হয়। এর কারণে শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা, হৃদ্রোগ, স্ট্রোকসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করে। এই ক্ষুদ্র কণিকাগুলো ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
দিল্লির সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ অনুমিতা রায়চৌধুরী জানান, আরও বিপজ্জনক দূষক গ্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড এবং সালফার ডাইঅক্সাইড। এগুলোও জ্বালানি পোড়ানোর ফলে সৃষ্টি হয়।
বায়ুদূষণের উৎস এবং তার তীব্রতা বিভিন্ন শহর ও মৌসুম অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় পুরোনো মোটরবাইক ও শিল্প বয়লারগুলো খারাপ বায়ুর প্রধান কারণ। আবার থাইল্যান্ড ও ভারতের শহরগুলোতে কৃষিবর্জ্য পোড়ানোই বায়ুদূষণের প্রকোপ বাড়ানোর অন্যতম কারণ। ঢাকা, বাংলাদেশের রাজধানীতে, কয়লা পোড়ানো ইটভাটাগুলো দূষণের মাত্রা বাড়ায়। ব্রাজিল ও উত্তর আমেরিকায় ঋতুভিত্তিক দাবানলও বায়ুদূষণের সমস্যা সৃষ্টি করে।
স্বল্প মেয়াদে দূষিত বায়ু সেবনে শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে যাঁরা বয়স্ক বা ইতিমধ্যে অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। আর দীর্ঘ মেয়াদে দূষিত বায়ু সেবনে গুরুতর হৃদ্রোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা (সিওপিডি) এবং ফুসফুসের সংক্রমণের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ইউনিসেফের একটি সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে জানা গেছে, পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি শিশু অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে এবং এই দূষণ পাঁচ বছরের নিচে প্রতিদিন ১০০ শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত।
ইউনিসেফের পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক জুন কুনুগি বলেছেন, দূষিত বায়ু শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত করে, ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং তাদের মেধাগত সক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বিশ্বের ১১৭টি দেশে বর্তমানে ৬ হাজারেরও বেশি শহরে বায়ুমান পর্যবেক্ষণ করছে এবং অনেক আবহাওয়া মোবাইল অ্যাপেও বায়ুমানের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এই সংখ্যাগুলো দেখে বায়ুর মান কতটা খারাপ তা অনেক সময় বোঝা যায় না।
বায়ুমানের স্তর আরও সঠিকভাবে বুঝতে সাহায্য করার জন্য অনেক দেশ ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ব্যবহার করছে। এটি একটি সংখ্যাসূচক স্কেল, যেখানে বড় সংখ্যা মানে বায়ু আরও দূষিত তা বোঝায়। একিউআই স্কেলের পাশাপাশি বিভিন্ন রংও দেওয়া হয়, যা বায়ুর বিশুদ্ধতা নির্দেশ করে।
তবে, বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বায়ুমানের মানদণ্ড রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের দৈনিক পিএম ২ দশমিক ৫ সীমা থাইল্যান্ডের চেয়ে ১ দশমিক ৫ গুণ বেশি এবং ডব্লিউএইচওর মান থেকে ৪ গুণ বেশি।
এটি বোঝায় যে, বিভিন্ন দেশ নিজেদের বায়ুমান ইনডেক্সের হিসাব আলাদাভাবে করে থাকে এবং তাই এস্ব সংখ্যা একে অপরের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। এ ছাড়া, কখনো কখনো বেসরকারি কোম্পানিগুলোর দেওয়া একিউআই স্কোর জাতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর হিসাব থেকে আলাদা হতে পারে। কারণ তারা আরও কঠোর মানদণ্ড ব্যবহার করে।
এ ছাড়া, মানুষকে মাস্ক পরা, ঘরে থাকা এবং এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে কাজের জন্য মানুষকে ঘর থেকে বের হতেই হয়।
মানুষকে ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণের ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে, যা প্রায়ই সাধারণ গৃহস্থালি কাজ যেমন রান্না বা ধূপের স্তম্ভ জ্বালানোর ফলে তৈরি হতে পারে।
ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণ কমাতে সাহায্য করতে পারে এয়ার পিউরিফায়ার বা বায়ু পরিশোধক। এগুলো ঘরের বায়ু শুষে নিয়ে একটি ফিল্টারের মাধ্যমে দূষকগুলো আটকে রেখে শুদ্ধ বায়ু আবার ঘরেও পাঠায়। তবে এগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এয়ার পিউরিফায়ার সাধারণত ছোট জায়গায় এবং যখন মানুষ কাছে থাকে তখনই সবচেয়ে কার্যকর। যদি বড় রুমে একটি ছোট এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা হয়, তবে এটি কার্যকর হবে না। এ ছাড়া, অনেক উন্নয়নশীল দেশের মানুষের পক্ষে এয়ার পিউরিফায়ার কেনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশের ব্যস্ত সড়কের ধারে জবুথবু হয়ে বসে আছেন নাছিমা। কোলে তাঁর ছোট্ট নবজাতক। পাতলা একটি কম্বল আর পুরোনো কাঁথা জোড়া দিয়ে কোনো-রকমে নিজের ও নবজাতকের শরীর ঢেকে রেখেছেন। কনকনে বাতাসে নবজাতকের ঠোঁট নীলচে হয়ে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
২ দিন আগে
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশের ব্যস্ত সড়কের ধারে জবুথবু হয়ে বসে আছেন নাছিমা। কোলে তাঁর ছোট্ট নবজাতক। পাতলা একটি কম্বল আর পুরোনো কাঁথা জোড়া দিয়ে কোনো-রকমে নিজের ও নবজাতকের শরীর ঢেকে রেখেছেন। কনকনে বাতাসে নবজাতকের ঠোঁট নীলচে হয়ে এসেছে।
নাছিমা বলেন, ‘শীতটা খুব কষ্ট দিতাছে। কাল থেইকা রাতে ঠিকমতো ঘুমাইতে পারি না। বাচ্চাডারে নিয়া বেশি ভয় লাগতাছে। ঠান্ডা লাগলে কী করুম, সেই চিন্তাই মাথায় ঘোরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদ দপ্তর জানাচ্ছে, আগামী কয়েক দিন সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।
হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। কাজের সুযোগ কমে যাওয়ার পাশাপাশি বেড়েছে অসুস্থতার ঝুঁকি। অনেকে বলছেন, জ্বর-কাশি, শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তাঁরা।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার (৫ দিন) পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, আগামী কয়েক দিন সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা; পাশাপাশি থাকবে কুয়াশার প্রকোপ।
ফেরি চলাচল বন্ধ
রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশা বাড়তে থাকে। সোয়া ৭টার সময় নদী পথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হবে।’
জনজীবন বিপর্যস্ত
পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, উত্তরাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে পঞ্চগড়ের সড়ক ও জনপথ। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় স্বাভাবিক যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
গতকাল সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, উত্তরের জেলা গাইবান্ধা ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের শিশুচিকিৎসক সোহেল বলেন, ‘শীতের মধ্যে বাড়ির শিশু ও বৃদ্ধদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। ঠান্ডা ও বাসি খাবার পরিহার করতে হবে।’
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তঘেঁষা জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, গতকাল সকাল ৯টায় জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। টানা কয়েক দিন ধরে এই জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে; যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।
জেলার বড় বাজারের মুদিদোকানি সুমন আলী বলেন, ‘সকাল সকাল দোকান খুলে বসে থাকি, কিন্তু কাস্টমারের দেখা নেই। মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ঠান্ডায় দোকানের ভেতর বসে থাকাই এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, শীতার্ত মানুষের সহায়তায় জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে।
যশোর প্রতিনিধি জানান, জেলায় চলতি মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা এদিনের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও কয়েক দিন ধরে কুয়াশা ও উত্তরের বাতাসে বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের অনুভূতি।
যশোর শহরের রায়পাড়া এলাকার রিকশাচালক জোহর আলী বলেন, ‘শীতে রিকশা চালাতে গিয়ে হাত-পা জমে যাচ্ছে। ব্রেকও ঠিকমতো ধরা যাচ্ছে না। বাসায় মনে হচ্ছে, গায়ে সুই ফোটাচ্ছে।’

রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশের ব্যস্ত সড়কের ধারে জবুথবু হয়ে বসে আছেন নাছিমা। কোলে তাঁর ছোট্ট নবজাতক। পাতলা একটি কম্বল আর পুরোনো কাঁথা জোড়া দিয়ে কোনো-রকমে নিজের ও নবজাতকের শরীর ঢেকে রেখেছেন। কনকনে বাতাসে নবজাতকের ঠোঁট নীলচে হয়ে এসেছে।
নাছিমা বলেন, ‘শীতটা খুব কষ্ট দিতাছে। কাল থেইকা রাতে ঠিকমতো ঘুমাইতে পারি না। বাচ্চাডারে নিয়া বেশি ভয় লাগতাছে। ঠান্ডা লাগলে কী করুম, সেই চিন্তাই মাথায় ঘোরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদ দপ্তর জানাচ্ছে, আগামী কয়েক দিন সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।
হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। কাজের সুযোগ কমে যাওয়ার পাশাপাশি বেড়েছে অসুস্থতার ঝুঁকি। অনেকে বলছেন, জ্বর-কাশি, শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তাঁরা।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার (৫ দিন) পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, আগামী কয়েক দিন সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা; পাশাপাশি থাকবে কুয়াশার প্রকোপ।
ফেরি চলাচল বন্ধ
রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশা বাড়তে থাকে। সোয়া ৭টার সময় নদী পথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হবে।’
জনজীবন বিপর্যস্ত
পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, উত্তরাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে পঞ্চগড়ের সড়ক ও জনপথ। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় স্বাভাবিক যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
গতকাল সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, উত্তরের জেলা গাইবান্ধা ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের শিশুচিকিৎসক সোহেল বলেন, ‘শীতের মধ্যে বাড়ির শিশু ও বৃদ্ধদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। ঠান্ডা ও বাসি খাবার পরিহার করতে হবে।’
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তঘেঁষা জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, গতকাল সকাল ৯টায় জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। টানা কয়েক দিন ধরে এই জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে; যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।
জেলার বড় বাজারের মুদিদোকানি সুমন আলী বলেন, ‘সকাল সকাল দোকান খুলে বসে থাকি, কিন্তু কাস্টমারের দেখা নেই। মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ঠান্ডায় দোকানের ভেতর বসে থাকাই এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, শীতার্ত মানুষের সহায়তায় জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে।
যশোর প্রতিনিধি জানান, জেলায় চলতি মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা এদিনের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও কয়েক দিন ধরে কুয়াশা ও উত্তরের বাতাসে বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের অনুভূতি।
যশোর শহরের রায়পাড়া এলাকার রিকশাচালক জোহর আলী বলেন, ‘শীতে রিকশা চালাতে গিয়ে হাত-পা জমে যাচ্ছে। ব্রেকও ঠিকমতো ধরা যাচ্ছে না। বাসায় মনে হচ্ছে, গায়ে সুই ফোটাচ্ছে।’

আমাদের জীবনের মৌলিক ও অপরিহার্য উপাদান হলো বায়ু। তবে শ্বাসের মাধ্যমে আমরা যে বাতাস টেনে নিচ্ছি, তা ততটা বিশুদ্ধ নয়। বিশ্বের প্রায় ৯৯ শতাংশ জনসংখ্যা কোনো না কোনো সময় এমন বায়ুর সংস্পর্শে আসে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করে না। বাংলাদেশে, বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম...
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
২ দিন আগে
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
শৈত্যপ্রবাহের কবলে সাত জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি দেশের কোথাও কোথাও আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় দিনের বেলায়ও হাড়কাঁপানো ঠান্ডার অনুভূতি বজায় থাকবে।
ঘন কুয়াশার সতর্কতা পূর্বাভাস অনুযায়ী, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোনো কোনো এলাকায় এই কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তাপমাত্রা ও বৃষ্টির সম্ভাবনায় আগামী কয়েক দিন সারা দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে ২৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিভাগীয় শহরগুলোর তাপমাত্রা গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি, চট্টগ্রামে ১৫ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৪, রংপুরে ১১ দশমিক ২, খুলনায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি, বরিশালে ১২ দশমিক ৪ এবং সিলেটে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানান, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আগামী পাঁচ দিন আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।

দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
শৈত্যপ্রবাহের কবলে সাত জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি দেশের কোথাও কোথাও আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় দিনের বেলায়ও হাড়কাঁপানো ঠান্ডার অনুভূতি বজায় থাকবে।
ঘন কুয়াশার সতর্কতা পূর্বাভাস অনুযায়ী, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোনো কোনো এলাকায় এই কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তাপমাত্রা ও বৃষ্টির সম্ভাবনায় আগামী কয়েক দিন সারা দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে ২৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিভাগীয় শহরগুলোর তাপমাত্রা গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি, চট্টগ্রামে ১৫ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৪, রংপুরে ১১ দশমিক ২, খুলনায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি, বরিশালে ১২ দশমিক ৪ এবং সিলেটে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানান, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আগামী পাঁচ দিন আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।

আমাদের জীবনের মৌলিক ও অপরিহার্য উপাদান হলো বায়ু। তবে শ্বাসের মাধ্যমে আমরা যে বাতাস টেনে নিচ্ছি, তা ততটা বিশুদ্ধ নয়। বিশ্বের প্রায় ৯৯ শতাংশ জনসংখ্যা কোনো না কোনো সময় এমন বায়ুর সংস্পর্শে আসে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করে না। বাংলাদেশে, বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম...
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশের ব্যস্ত সড়কের ধারে জবুথবু হয়ে বসে আছেন নাছিমা। কোলে তাঁর ছোট্ট নবজাতক। পাতলা একটি কম্বল আর পুরোনো কাঁথা জোড়া দিয়ে কোনো-রকমে নিজের ও নবজাতকের শরীর ঢেকে রেখেছেন। কনকনে বাতাসে নবজাতকের ঠোঁট নীলচে হয়ে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
২ দিন আগে
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২২৫। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা খুব অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (২৮৩), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬০), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৫১), কল্যাণপুর (২৫০) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২২২)।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা (২২৫, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি (১৯১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (১৯০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে কুয়েতের কুয়েত সিটি (১৮০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২২৫। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা খুব অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (২৮৩), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬০), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৫১), কল্যাণপুর (২৫০) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২২২)।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা (২২৫, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি (১৯১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (১৯০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে কুয়েতের কুয়েত সিটি (১৮০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

আমাদের জীবনের মৌলিক ও অপরিহার্য উপাদান হলো বায়ু। তবে শ্বাসের মাধ্যমে আমরা যে বাতাস টেনে নিচ্ছি, তা ততটা বিশুদ্ধ নয়। বিশ্বের প্রায় ৯৯ শতাংশ জনসংখ্যা কোনো না কোনো সময় এমন বায়ুর সংস্পর্শে আসে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করে না। বাংলাদেশে, বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম...
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশের ব্যস্ত সড়কের ধারে জবুথবু হয়ে বসে আছেন নাছিমা। কোলে তাঁর ছোট্ট নবজাতক। পাতলা একটি কম্বল আর পুরোনো কাঁথা জোড়া দিয়ে কোনো-রকমে নিজের ও নবজাতকের শরীর ঢেকে রেখেছেন। কনকনে বাতাসে নবজাতকের ঠোঁট নীলচে হয়ে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানা যায়, আজ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।
এছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
এদিকে গতকাল বুধবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানা যায়, আজ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।
এছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
এদিকে গতকাল বুধবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আমাদের জীবনের মৌলিক ও অপরিহার্য উপাদান হলো বায়ু। তবে শ্বাসের মাধ্যমে আমরা যে বাতাস টেনে নিচ্ছি, তা ততটা বিশুদ্ধ নয়। বিশ্বের প্রায় ৯৯ শতাংশ জনসংখ্যা কোনো না কোনো সময় এমন বায়ুর সংস্পর্শে আসে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করে না। বাংলাদেশে, বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম...
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশের ব্যস্ত সড়কের ধারে জবুথবু হয়ে বসে আছেন নাছিমা। কোলে তাঁর ছোট্ট নবজাতক। পাতলা একটি কম্বল আর পুরোনো কাঁথা জোড়া দিয়ে কোনো-রকমে নিজের ও নবজাতকের শরীর ঢেকে রেখেছেন। কনকনে বাতাসে নবজাতকের ঠোঁট নীলচে হয়ে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
২ দিন আগে