Ajker Patrika

হ্যাপী আখান্দ্‌: বাংলা গানের খসে পড়া নক্ষত্র

গুঞ্জন রহমান
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ২৮
হ্যাপী আখান্দ্‌: বাংলা গানের খসে পড়া নক্ষত্র

হ্যাপী আখান্দ্‌ (জিয়া হাসান আখন্দ্‌ হ্যাপী, ১২ অক্টোবর ১৯৬০-২৮ ডিসেম্বর ১৯৮৭) নামটা আমি প্রথম শুনি ফিডব্যাকের ‘মেলা’ অ্যালবামে। সেই অ্যালবামে পালকি শিরোনামে একটা গান আছে, যেটা আসলে হ্যাপী আখান্দ্‌কে নিয়ে লেখা। গানের শুরুতে ছোট্ট একটি সংলাপ আছে, যা থেকে জানা যায়, হ্যাপী আখান্দের অকালপ্রয়াণের কষ্ট থেকেই তাঁর সহকর্মী, গুণমুগ্ধ বন্ধুরা এই গান করছেন তাঁকে উৎসর্গ করে। ‘...শিল্পীর মৃত্যু নেই। আমাদের বিশ্বাস হ্যাপী আখান্দের মৃত্যু নেই। অন্য সুরের ভুবনে বর বেশে এ যেন হ্যাপীর পালকি চড়ে মহাপ্রস্থান! কানে এখনো বাজে, তার শেষ যাওয়ার সুর...’—এভাবে হ্যাপীর কথা বলেছিলেন ফিডব্যাক ব্যান্ডে তাঁর সহকর্মী বন্ধুরা। 

নামটা দেরিতে শুনলেও তাঁর গান অনেক আগেই শোনা হয়ে গিয়েছিল সিনেমার বদৌলতে। আমার আব্বু-আম্মু সিনেমাপাগল মানুষ ছিলেন। নতুন সিনেমা এলেই সিনেমা হলে গিয়ে দেখতেন তাঁরা। ছোটকালে বাবা-মায়ের সঙ্গে আমিও সাথ ধরতাম। তখনই প্রথম ‘ঘুড্ডি’ ছবিতে শুনি ‘কে বাঁশি বাজায় রে’। কিন্তু, সেই সময়ের যা রীতি, নায়ক-নায়িকা আর প্রধান চরিত্রগুলো ছাড়া বাকি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের খোঁজ কে রাখে? তাই নায়িকার ভাইয়ের চরিত্র রূপায়ণকারী, যে গিটার বাজিয়ে বোনকে গান শোনাতে শোনাতে গেয়ে ফেলে এক কালজয়ী গানের মুখটুকু, ওই শিল্পীই যে তুমুল আলোচিত হ্যাপী আখান্দ্‌, তা তখন কীভাবে জানব? খুব সম্ভবত তখনো আমি সেভাবে পড়তে শিখিনি। তাই সিনেমার স্ক্রিনে হ্যাপী আখান্দের নাম পড়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। আর সিনেমায় দেখারও আগে, ওই সিনেমারই আরেক সুপার হিট গান ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ পিকনিক সং হিসেবে সবচেয়ে বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিল। তখন ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ ছাড়া বন্ধুদের আড্ডা অকল্পনীয়। ‘কে বাঁশি বাজায় রে’ হ্যাপীর নিজেরই লেখা ও সুর করা। ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ অবশ্য তাঁর লেখা বা সুর করা নয়, এর গীতিকার এস এম হেদায়েত এবং সুরকার লাকী আখান্দ। কিন্তু গানটা নির্মিত হয় হ্যাপী আখান্দের সংগীতায়োজনে। গাওয়ার সময় হ্যাপী ও লাকী দুই ভাই-ই গেয়েছেন একসঙ্গে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ১৯৭৫ সালে এই গান তাঁর সংগীত পরিচালনায় পরিবেশিত হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনে। বিটিভির তৎকালীন প্রযোজক ও পরবর্তীতে পরিচালক সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকি সেই পরিবেশনা শুনে মুগ্ধ হন। তাই যখন তিনি ‘ঘুড্ডি’ ছবিটি তৈরি করতে শুরু করেন, ছবির সংগীত পরিচালনার দায়িত্ব দেন লাকী আখান্দকে; অবশ্যই ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ গানটিসহ। 

হ্যাপীর রেকর্ড করা গানের সংখ্যা কিন্তু খুব বেশি নয়। মাত্র ২৭ বছরের ক্যারিয়ারে পাঁচ-ছয়টি গানের বেশি রেকর্ড তিনি করতে পারেননি। পারার কথাও নয়। এখনকার মতো তখন গান প্রকাশের এত মাধ্যম যেমন ছিল না, তেমনি ছিল না রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থাও। হাতে গোনা অল্প কয়েকটি স্টুডিও, যেখানে সিনেমা, টিভি, রেডিও, রেকর্ড—সব মাধ্যমের জন্য রেকর্ডিং চলছে অবিরাম। এত এত গুণী মিউজিশিয়ানের মাঝে সময় বের করে নিজেদের একটা শিফট নিতে পারা চাট্টিখানি কথা নয়। এই ভিড় ঠেলে কোনো শিল্পীরই পর্যাপ্ত গান তখন রেকর্ড করা যেত না। 

লাকী আখান্দবড় ভাই লাকী তখন পুরোদস্তুর সংগীত পরিচালক। তিনি বিটিভির নিয়মিত তালিকাভুক্ত শিল্পী ও সংগীত পরিচালক, সিনেমাতেও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, রেডিও তো আছেই। নিজের গান করার চেয়ে লাকী বরং অন্য শিল্পীদের জন্যই গান করেন বেশি। বড় ভাইকে দেখে সেই চর্চাতেই অভ্যস্ত হয়ে গেলেন হ্যাপী। তিনিও নিজে গাওয়ার চেয়ে অন্যদের গান কম্পোজ করতেই বেশি মনোযোগী হলেন। তাঁর সংগীতায়োজনে সবচেয়ে বেশি গান করেছেন ফিরোজ সাঁই। সাঁইজির বিখ্যাত মাইজভান্ডারি ক্ল্যাসিক গান—‘ইশকুল খুইলাছে রে মওলা’র সংগীতায়োজন হ্যাপীর করা। ফেরদৌস ওয়াহিদের বিখ্যাত ‘এমন একটা মা দে না’ গানেরও সংগীত পরিচালক হ্যাপী আখান্দ। এভাবে অনেক শিল্পীর অনেক বিখ্যাত গান তিনি করেছেন। আরেকটি গানের কথা মনে পড়ছে, সোলস ব্যান্ডের তৎকালীন লিড ভোকালিস্ট কুমার বিশ্বজিতের জন্য তিনি কম্পোজ করেছিলেন ‘তোকে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’ গানটি। পরে অবশ্য বিশ্বজিৎ সেই গানটি তাঁর নিজের সলো অ্যালবামে প্রকাশ করেন। সোলসও বহুদিন গানটি স্টেজে পারফর্ম করেছে। 

হ্যাপীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছিলেন তাঁর সমবয়সী ব্যান্ড তারকা মাকসুদুল হক, যিনি শুরুতে বলা পালকি গানটি সৃষ্টি করেছিলেন হ্যাপীর স্মৃতির উদ্দেশে। ইউটিউব আবিষ্কারেরও অনেক আগে একটি ভিডিও দেখেছিলাম এক সাইটে, এখন সেটি আর খুঁজে পেলাম না কোথাও। সেই ভিডিওতে মাকসুদ হ্যাপীর ইন্টারকনে পিয়ানো বাজানোর ঘটনা স্মরণ করেন। হোটেল ইন্টারকনের অধুনালুপ্ত চাম্বেলি হাউসে একটি গ্র্যান্ড পিয়ানো ছিল, যা সাধারণত ইন্টারকনের কমিশন্ড মিউজিশিয়ান এবং বিদেশি অতিথিদের কেউ বাজাতে পারতেন, সর্বসাধারণের সেই পিয়ানো বাজানোর অনুমতি নেই। 

ফিডব্যাক তখন ইন্টারকনের রেসিডেন্ট ব্যান্ড হিসেবে নিয়মিত বাজায়। হ্যাপীর প্রতিষ্ঠা করা মাইলস ব্যান্ডও এনলিস্ট হয়েছে। তাই বলে সেই হাইলি ডিস্টিংগুইশড গ্র্যান্ড পিয়ানোতে হাত দেওয়ার অনুমতি এঁদের কারও নেই। কিন্তু সেটা মানতে পারতেন না সদ্য কৈশোর পেরোনো হ্যাপী। প্রায়ই তিনি বলতেন, একদিন আমি ওই পিয়ানো বাজাবই। এবং সত্যিই তিনি একদিন বসে গেলেন কাছেপিঠে কেউ নেই দেখে। মাকসুদ বলছেন, ‘আমি তাকে বাধা দেওয়ার আগেই সে এগিয়ে গেল এবং বসে পড়ল পিয়ানোর সামনে। স্ট্যান্ডে একটা খাতা ছিল, স্টাফ নোটেশন লেখা। সেটা খুলেই হ্যাপী বাজাতে শুরু করল।’ এর পর যা হলো, তা অভাবনীয়। প্রথম কিছুক্ষণ কেউ খেয়াল করল না, কে বাজাচ্ছে, কারণ এতটাই নিখুঁত ছিল সে বাজনা যে, কারও সন্দেহ হয়নি যে, নিয়মিত পিয়ানো বাদকের বাইরে অন্য কেউ বাজাচ্ছে। কিন্তু একটু পরই যখন বাজনা শুনে লোকজন জড়ো হতে শুরু করল, তখন কর্তৃপক্ষের টনক নড়ল। কিন্তু তারা কেউ হ্যাপীকে থামাতে গেলেন না। কারণ, ততক্ষণে সমঝদার শ্রোতারা তন্ময় হয়ে গেছেন হ্যাপির বাদনে। বয়স্ক এক বিদেশি ভদ্রলোক মাকসুদের কাছে জানতে চাইলেন, ‘যে ছেলেটি বাজাচ্ছে, তুমি কি তাকে চেনো?’ মাকসুদ ‘হ্যাঁ’ বলতেই, তিনি বললেন, ‘অনেক বছরের সাধনা ছাড়া গ্র্যান্ড পিয়ানোর রিডে এভাবে আঙুল চালানো যায় না।’ মাকসুদ তাঁকে বললেন যে, ‘ওর নাম হ্যাপী এবং ও আজই প্রথম গ্র্যান্ড পিয়ানোতে হাত দিল। এর আগে সে কিবোর্ড বাজিয়েছে। কিন্তু অরিজিনাল পিয়ানো বলতে যা বোঝায়, মানে এখন যেটা বাজাচ্ছে, সেটাতে হাত দেওয়ার সুযোগ তার কোনো দিন হয়নি!’ বলাই বাহুল্য, সেই বিদেশি বিশ্বাস করলেন না। কারণ, স্টাফ নোটেশন দেখে দেখে হ্যাপী তাঁর সুনিপুণ হাতে বাজাচ্ছিলেন কোনো কালজয়ী শিল্পীর অমর সৃষ্টি (মাকসুদ বলেছিলেন সেটি কোনো বিখ্যাত সুরস্রষ্টার সৃষ্টিকর্ম, এত দিন পর আমার এখন তা মনে পড়ছে না)। 

বাংলা গানের অসামান্য এই আখান্দ ভ্রাতৃদ্বয়ের কাছ থেকে পাওয়ার কথা ছিল আরও অনেক কিছুহ্যাপী মাত্র ১২ বছর বয়সে যোগ দেন ‘উইন্ডি সাইড অব কেয়ার’ নামক বাংলাদেশের প্রথম ব্যান্ডে। এই ব্যান্ড সৃষ্টি হয়েছিল পাকিস্তান আমলে, পাকিস্তানিদেরই হাতে। ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে সেই ব্যান্ডের বাংলাদেশি সদস্যদের সঙ্গে যোগ দিয়ে তাকে আবারও গড়ে তোলেন হ্যাপী। সেই সময়ে বড় ভাই লাকীর সঙ্গে কলকাতার এইচএমভি স্টুডিওতে রেকর্ডিংয়ে অংশ নেন হ্যাপী। মাত্র ১২ বছর বয়সে। তিনি সেখানে তবলা বাজিয়েছিলেন। তবলার শুধু বাঁয়া বা ডুগি ব্যবহার করে তিনি ড্রামবিট দিচ্ছিলেন, যার অভিনব কায়দায় অবাক হয়ে রেকর্ডিং চলার সময়েই রেকর্ডিং রুমে ঢুকে পড়েছিলেন বিখ্যাত সংগীত পরিচালক কলিম শরাফিও। রেকর্ডিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি ঠায় দাঁড়িয়ে শুনেছিলেন তাঁর বাজানো। এর কিছুদিন পর লাকী আবারও কলকাতা গেলে হ্যাপীর কণ্ঠে রেকর্ড করা এবং তাঁর সংগীতায়োজনে ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ গানটির রেকর্ড নিয়ে যান। সেই রেকর্ড বাজানো হয় বিখ্যাত শিল্পী বনশ্রী সেনগুপ্তার বাসায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত শিল্পী মান্না দে এবং সংগীত পরিচালক আর ডি বর্মণ। তাঁরা মুগ্ধ হন এইটুকু ছেলের এত পরিণত সৃষ্টিকর্ম শুনে। তাঁরা আমন্ত্রণ জানান হ্যাপীকে কলকাতায় বাজানোর জন্য। হ্যাপী কলকাতা যান ১৯৭৫ সালে, বীরভূমের দুর্গাপুরে কনসার্টে অংশ নেন, যে কনসার্টের মূল আকর্ষণ ছিলেন আশা ভোসলে এবং আর ডি বর্মণ। তাঁদের উপস্থিতিতে মঞ্চে উঠে হ্যাপী গেয়ে শোনান টানা ১১টি গান। আশা ভোসলের গান শুনতে আসা দর্শক বিমোহিত হয়ে শোনেন হ্যাপীর গান। পরে স্টেজে উঠে আশা ও আর ডি বর্মণ আশীর্বাদ করেন ছোট্ট হ্যাপীকে। আর হ্যাপী পেয়ে যান তাঁর এক অন্ধ ভক্তকে, যিনি পরে বিখ্যাত হন অনেক সাড়া জাগানো সব অ্যালবামের সংগীতায়োজন করে; নাম মধু মুখোপাধ্যায়। হ্যাপী আখন্দের এই ছাত্রের কম্পোজিশনেই প্রকাশ পায় সুমন চট্টোপাধ্যায় ও নচিকেতার প্রথম দিককার সব অ্যালবাম। 

বাংলাদেশের পপ-রক ঘরানার পাশ্চাত্য সংগীতের সবচেয়ে প্রতিভাবান শিল্পী ছিলেন হ্যাপী আখান্দ্‌। তাঁর বড় ভাই লাকী আখান্দ শুধু নয়, সমসাময়িক সব শিল্পীই দাবি করেন, তিনি আসলে সংগীতের একজন প্রডিজি ছিলেন। সময়ের অনেক আগে জন্মে যাওয়া অসামান্য এক প্রতিভা, যার বিকাশের উপযুক্ত সময়টা আসার আগেই তাঁকে চলে যেতে হয় অন্য সুরের ভুবনে। হ্যাপীর অকালমৃত্যু মেনে নিতে পারেননি লাকী। দিনের পর দিন তিনি সেই শোকে মুহ্যমান থেকেছেন, দূরে থেকেছেন সংগীত থেকে। এও আমাদের বাংলা গানের আরেক ক্ষতি। হ্যাপীর চলে যাওয়ায় আমরা হ্যাপীর সৃষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়েছি যেমন, তেমনি বঞ্চিত হয়েছি লাকীর সৃষ্টি থেকেও। বাংলা গানের অসামান্য এই আখান্দ ভ্রাতৃদ্বয় যদি পূর্ণ আয়ুষ্কালের শেষ পর্যন্ত একসঙ্গে কাজ করে যেতে পারতেন, নিঃসন্দেহে আমাদের গান আরও অনেক অনেক সমৃদ্ধ হতো। 

আজ ২৮ ডিসেম্বর হ্যাপী আখান্দের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। যেখানেই থাকুন তিনি, ভালো থাকুন, শান্তিতে থাকুন। তাঁর সুরেলা স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দিলেন এহসানুল হুদা

বেনজীরের ফ্ল্যাট থেকে জব্দ ২৪৬ ধরনের মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে

খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তরুণী আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তিন বছর পর বিচ্ছেদের খবর দিলেন বিন্দু

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৮
বিন্দু। ছবি: সংগৃহীত
বিন্দু। ছবি: সংগৃহীত

২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর। তবে বিচ্ছেদ নিয়ে তখন কোনো কথা বলেননি বিন্দু কিংবা তাঁর স্বামী। অবশেষে নিজের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিন্দু জানান, ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর।

২০২২ সালে বিচ্ছেদ হলেও ২০১৭ সাল থেকেই স্বামীর সঙ্গে সেপারেশনে ছিলেন বিন্দু। পাঁচ বছর পর তাঁরা চূড়ান্তভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। বিন্দু বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, আমি এখনো বিবাহিত। কিন্তু না, আমার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আমার সংসারের জার্নিটা অনেক ছোট ছিল।’

বিচ্ছেদের কারণ জানিয়ে বিন্দু বলেন, ‘আলাদা হওয়ার জন্য অনেক সময় বড় কারণ থাকে, বড় ঘটনা ঘটে। অনেক সময় আবার তেমন কোনো কারণও দরকার হয় না। আমার এই জার্নিতে আরও একজন মানুষ জড়িত। তারও ব্যক্তিগত জীবন আছে। বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চাই না।’

২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু হয় বিন্দুর। অল্প দিনেই হয়ে ওঠেন মিডিয়ার নিয়মিত মুখ। অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার আগে ২০১৪ সালের শুধু কোরবানির ঈদেই প্রচারিত হয় তাঁর অভিনীত ৫২টি নাটক। ছোট পর্দার পাশাপাশি বিন্দু অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও।

ক্যারিয়ারের শুরুতে আরিফিন শুভর সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। পর্দায় তাঁদের জুটি অনেক জনপ্রিয় ছিল। অনস্ক্রিন কেমেস্ট্রির প্রভাব পড়েছিল দুজনের বাস্তব জীবনেও। একসময় শুভর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান বিন্দু। সেই প্রেমের কথা স্বীকারও করেছেন অভিনেত্রী। কেন তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল? বিন্দুর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘এর উত্তর আমার কাছে নেই। দুটি মানুষের জার্নি যে একসঙ্গে একই গন্তব্যে শেষ হবে, এমন তো কোনো কথা নেই।’

প্রায় এক দশকের বিরতি কাটিয়ে ২০২৩ সালে ‘উনিশ ২০’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে অভিনয়ে ফেরেন বিন্দু। মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় এতে বিন্দুর বিপরীতে ছিলেন সেই আরিফিন শুভই। তবে এরপর আর কোনো কাজে দেখা যায়নি বিন্দুকে। তবে তিনি নিয়মিত অভিনয় করতে চান। বিন্দু বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত। এখন আমাকে নিয়ে কাজ করার চিন্তা, আমার পেছনে ইনভেস্ট করার বিষয়গুলো ভাবতে হবে। এমন ধরনের কাজ করতে চাই, যেগুলো এখনো করিনি। আমি চাই, নির্মাতারা আমাকে নিয়ে এমনভাবে ভাবুক, যেমনটা আগে ভাবা হয়নি।’

অভিনয় ছেড়ে দিয়ে বছর পাঁচেক আগে ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়েছেন বিন্দু। গুলশানে রয়েছে তাঁর একটি বুটিক হাউস। ‘আফসান বিন্দু ডিজাইনার স্টুডিও’ নামের এ ব্র্যান্ডের পোশাক বিন্দু নিজেই ডিজাইন করেন। ২০২০ সালে যখন প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন বিন্দু, তখন তাঁর কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র একজন। তবে এখন তাঁর সঙ্গে ১৫ জন কাজ করেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দিলেন এহসানুল হুদা

বেনজীরের ফ্ল্যাট থেকে জব্দ ২৪৬ ধরনের মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে

খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তরুণী আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘ইত্যাদি’র নতুন পর্ব এবার চুয়াডাঙ্গায়

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র দৃশ্য
ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র দৃশ্য

নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।

এবারের ইত্যাদির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি শতাধিক বছরের প্রাচীন হাজারদুয়ারি নামে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্কুল নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এবারের পর্বে গান রয়েছে দুটি। একটি গান গেয়েছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি ও পান্থ কানাই। গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়াডাঙ্গার কৃষ্টিকথা ও ইতিহাসগাথা নিয়ে রয়েছে শাহ আলম সনির কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। পরিবেশন করেছেন স্থানীয় নৃত্যশিল্পীরা। এ ছাড়া ইত্যাদির নতুন পর্বে থাকছে চুয়াডাঙ্গা নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন। রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান-স্থাপনার ওপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।

ইত্যাদির নিয়মিত আয়োজন চিঠিপত্র পর্বে উঠে এসেছে চুয়াডাঙ্গার একজন ব্যতিক্রমী ছড়াকারের গল্প। আরও রয়েছে সামাজিক অসংগতি ও সমসাময়িক প্রসঙ্গনির্ভর নাটিকা। দানের নামে ফটোসেশন, সংসারের ভারে স্বপ্নভঙ্গ, মিষ্টি নিয়ে অনাসৃষ্টি, ইংরেজির দাপটে অসহায় বাংলা ভাষা, বোঝা না বোঝার বোঝা, স্টাইলিশ আইকনের বিপত্তি, লোম বাছতে কম্বল উজাড়সহ কয়েকটি নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন সোলায়মান খোকা, সুভাশিষ ভৌমিক, আবদুল্লাহ রানা, আমিন আজাদ, কাজী আসাদ, মুকিত জাকারিয়া, আনোয়ার শাহী, শাহেদ আলী, জামিল হোসেন, আনন্দ খালেদ, তারিক স্বপন, আবু হেনা রনি প্রমুখ।

ইত্যাদির এই পর্ব দেখা যাবে ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দিলেন এহসানুল হুদা

বেনজীরের ফ্ল্যাট থেকে জব্দ ২৪৬ ধরনের মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে

খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তরুণী আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের চার দিনে সাত প্রদর্শনী

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের দৃশ্য
‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের দৃশ্য

গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর। ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর টানা চার দিন দেখা যাবে নাটকের সাতটি প্রদর্শনী।

কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের লেখা একই শিরোনামের গল্প অবলম্বনে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন লেখক নিজে। নির্দেশনায় সাইফ সুমন। ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেখা যাবে মহাশূন্যে সাইকেল। ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর প্রতিদিন বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মঞ্চস্থ হবে আরও ছয়টি প্রদর্শনী।

নাট্যকার শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কিছু কথা অনেকের সঙ্গে বলি, কিছু কথা নির্দিষ্ট মানুষের সঙ্গে বলি আর কিছু কথা শুধু নিজের সঙ্গে বলি। যেকোনো ক্রান্তির সময় নিজের সঙ্গে এই বোঝাপড়ার মাত্রা এবং ব্যাপ্তি সম্ভবত বেড়ে যায়। মহাশূন্যে সাইকেলের মূল ভাবনাটা এ রকম। গত বছর এই গল্পের নাট্যরূপ দিই। একজন ব্যক্তি নিজেকে দুই ভাগ করে তার এই দুই সত্তার সঙ্গে মঞ্চে কথোপকথন করছে। দর্শক হিসেবে একজন ব্যক্তির এই একান্ত বিভক্ত সত্তার ভেতরে এই কথোপকথন দেখার ভেতরে একটা গোপন কৌতূহল হয়তো আছে। কিংবা নিজের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়ার আনন্দ আছে।’

নির্দেশক সাইফ সুমন বলেন, ‘ভোগবাদিতা আর ব্যক্তিস্বার্থের কারণে মানুষ এখন প্রতিনিয়তই পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। পরিবার, বন্ধু, সমাজ থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হচ্ছি আমরা। কখনো কখনো মানুষের মধ্যে বাস্তবের চেয়ে কল্পনা বা অলৌকিক জগৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিবারের সঙ্গে থেকেও একা অনুভব করে। সেই কথাই বলার চেষ্টা হয়েছে নাটকে।’

মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ বারী, এস আর সম্পদ, প্রশান্ত হালদার, নুরুজ্জামান সরকার, রীমা প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দিলেন এহসানুল হুদা

বেনজীরের ফ্ল্যাট থেকে জব্দ ২৪৬ ধরনের মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে

খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তরুণী আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নতুন লুকে চমকে দিলেন কিয়ারা আদভানি

বিনোদন ডেস্ক
কিয়ারা আদভানি। ছবি: সংগৃহীত
কিয়ারা আদভানি। ছবি: সংগৃহীত

‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি। টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রের নাম নাদিয়া। গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে এ সিনেমায় কিয়ারার চরিত্রের লুক।

শোবিজে কিয়ারার এক যুগ হতে চলেছে। ২০১৪ সালে ‘ফুগলি’ দিয়ে যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত ২০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। প্রতিটিতেই দেখা দিয়েছেন বৈচিত্র্যময় চরিত্রে। তবে টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রটি যে একেবারেই আলাদা হতে চলেছে, সে আভাস পাওয়া গেল সদ্য মুক্তি পাওয়া ফার্স্ট লুক পোস্টারে। এতে তাঁকে দেখা যাবে একজন সার্কাসশিল্পী হিসেবে।

ফার্স্ট লুক পোস্টারে আলো ঝলমলে সার্কাসের সেটে অফ-শোল্ডার ভেলভেট গাউন পরে দাঁড়িয়ে আছে কিয়ারা অভিনীত নাদিয়া চরিত্রটি। চোখে-মুখে বিষণ্নতা, ক্লান্তির ছাপ। সার্কাসের মঞ্চে জাঁকজমক আবহে নৃত্যরত যে শিল্পীকে দেখা যায় দর্শকের সামনে, তার মনের ভেতরে অনেক সময় চলে দুঃখের দোলাচল। ভেতরে জমাট কষ্ট নিয়েই হাসিমুখে দর্শকের সামনে পারফর্ম করে তারা। টক্সিকের পোস্টারে তেমনটাই ধরা পড়েছে। এমনই এক জটিল চরিত্র নিয়ে দর্শকের সামনে আসবেন কিয়ারা।

ভিএন প্রোডাকশন এবং মনস্টার মাইন্ড ক্রিয়েশনসের ব্যানারে নির্মিত বিগ-বাজেট সিনেমা টক্সিক মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ। দক্ষিণি মেগাস্টার যশ ও কিয়ারার এই নতুন রসায়ন বড় পর্দায় দেখার জন্য এখন থেকেই অপেক্ষায় অনুরাগীরা। এতে আরও অভিনয় করেছেন নয়নতারা, তারা সুতারিয়া, হুমা কুরেশি, অক্ষয় ওবেরয় প্রমুখ।

ইংরেজি ও কন্নড়—দুই ভাষাতেই টক্সিক সিনেমার শুটিং করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দি, তেলুগু, তামিল, মালয়ালমসহ বিভিন্ন ভাষায় ডাব করা হবে। এতে কিয়ারার পারফরম্যান্স নিয়ে নির্মাতা গিতু মোহনদাস বলেন, ‘কিছু পারফরম্যান্স শুধু পর্দায় নয়, প্রভাব ফেলে শিল্পীর জীবনেও। টক্সিক সিনেমায় কিয়ারা যা করেছে, তার কোনো তুলনা হয় না। সিনেমাটি নিয়ে আমাদের প্রথম আলাপের মুহূর্ত থেকেই তিনি চরিত্রটির প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করেছেন। তিনি শুধু নাদিয়া চরিত্রে অভিনয় করেননি, নিজেও চরিত্রটির মতো করেই যাপন করেছেন।’

প্রসঙ্গত, বলিউডের তারকা দম্পতি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সংসারে নতুন সদস্য এসেছে গত ১৫ জুলাই। এখন সন্তানকে নিয়েই পুরো সময়টা কাটছে অভিনেত্রীর। আর একটু একটু করে নিচ্ছেন আবার শোবিজে ফেরার প্রস্তুতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দিলেন এহসানুল হুদা

বেনজীরের ফ্ল্যাট থেকে জব্দ ২৪৬ ধরনের মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে

খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তরুণী আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত