এম এস রানা

চলে যাওয়া মানেই প্রস্থান নয়। ইহজগতের মায় ত্যাগ করে দিলীপ কুমার ঠাঁই নিলেন ইতিহাসের পাতায়। কিংবদন্তির জন্ম আছে মৃত্যু নেই। ভক্তদের হৃদয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন আজীবন। গতকাল সকাল ৮টার কিছু সময় পরে হিন্দুজা হাসপাতাল থেকে যখন নিশ্চিত করা হলো কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমারের মৃত্যুসংবাদ, শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ল বলিউড ইন্ডাস্ট্রি। পুরো ভারতে নেমে এল শোকের ছায়া।
১৯৪৪ সালে ‘জোয়ারভাটা’ ছবির মাধ্যমে দিলীপ কুমারের চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু। পেশওয়ারের ছেলে দিলীপ কুমারের আসল নাম ইউসুফ সারোয়ার খান। বাবার নাম মোহাম্মদ সারোয়ার খান। তিনি ছিলেন একজন ফল ব্যবসায়ী। কৈশোরে মুম্বাই থেকে পুনে গিয়ে ব্রিটিশ সৈন্যদের জন্য পরিচালিত একটি ক্যান্টিনে কাজ নেন ইউসুফ খান। কিছুদিন পর আবারো মুম্বাইয়ে ফিরে বাবার সাথে ফলের ব্যবসায় যোগ দেন। ব্যবসায়িক কারণে মুম্বাই যেতেন তিনি। একসময় পরিচয় হয় সাইকোলজিস্ট ডা. মাসানির সঙ্গে। তিনিই ইউসুফকে পরিচয় করিয়ে দেন 'বোম্বে টকিজ'–এর সঙ্গে। ১৯৪৩ সালে 'বোম্বে টকিজ'-এ চাকরি খুঁজতে গেলে সেখানকার স্বত্বাধিকারী অভিনেত্রী দেবিকা রানী তাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। দেবিকা রাণীই মনে করেছিলেন ইউসুফ খান নামটি রোমান্টিক হিরোর জন্য মানানসই নয়। তার অনুরোধেই হিন্দি কবি নরেন্দ্র শর্মা তিনটি নাম প্রস্তাব করেন- জাহাঙ্গীর, বাসুদেব ও দিলীপ কুমার। এর মধ্যে দিলীপ কুমার নামটিই নিজের জন্য পছন্দ করেন ইউসুফ খান। নাম পরিবর্তনের আরেকটি বড় কারণ ছিলো রক্ষণশীল বাবা যেন ইউসুফের নতুন পেশার কথা জানতে না পারেন। সেই থেকে মুসলিম পরিবারের ইউসূফ হয়ে উঠলেন দিলীপ কুমার। যদিও সারাজীবনে মাত্র একবার মুসলিম চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সেটি হলো ‘মুঘল-ই-আযম’। প্রথম দিকের ছবিগুলো খুব একটা ব্যবসাসফল ছিল না। তবে ১৯৬০ সালে ভারতের ইতিহাসের অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা 'মুঘল-ই-আজম' দিলীপ কুমারের ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
অভিনয় স্টাইল
দিলীপ কুমার তাঁর ছয় দশকের ক্যারিয়ারে মাত্র ৬৩টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। হিন্দি সিনেমায় অভিনয় শিল্পকে দিয়েছেন নতুন রূপ। দিলীপ কুমার যখন ফিল্ম ক্যারিয়ার শুরু করেন তখনকার বেশিরভাগ অভিনেতা উচ্চস্বরে একের পর এক সংলাপ বলে যেতেন। এ ধরনের অভিনয়কে বলা হতো ‘লাউড অ্যাক্টিং’। এটি এসেছিলো মূলত পার্সি থিয়েটারের প্রভাবে। অথচ, দিলীপ কুমার ছিলেন অনেকটাই ধীর স্থির আর শান্ত অথচ বলিষ্ঠ। দিলীপ নিচু স্বরে অভিজাত ও দৃঢ়তার সাথে এমনভাবে সংলাপ ছুড়ে দিতেন যা দর্শকের ভক্তি কুড়িয়েছে। খ্যাতিমান লেখক সেলিম খান বলেছিলেন, ‘দিলীপ কুমার যেসব চরিত্রে অভিনয় করতেন তার সূক্ষ্ম বিষয়গুলো পর্দায় ফুটিয়ে তুলতেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে নীরব হয়ে যেতেন অথচ সেটাও দর্শকের ওপর গভীর ছাপ রেখে যেত।’
ট্রাজেডি কিং
দিলীপ কুমার অভিনীত অনেক ছবিই রয়েছে যার চরিত্রগুলো ট্রাজিক। মারা গেছেন এমন অনেক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। একটা সময় প্রতি দুটি ছবির একটিতে তিনি এমন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই চরিত্রগুলোতে তাঁর অভিনয় দর্শকের চোখ ঘোলা করেছে, বুক ভাড়ি করেছে অবিরাম। এসব ছবি তাঁকে ট্রাজেডি কিং পরিচিতি এনেছিল। অভিনয়ে দিলীপ এতটাই বাস্তবিক ছিলেন যে এক সময় মৃত্যুর দৃশ্য করতে করতে ‘ডিপ্রেসড’ হয়ে পড়েছিলেন। পরে লন্ডন থেকে বিষণ্ণতার চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দেশে ফিরে ‘কোহিনুর’, ‘আজাদ’, ‘রাম অর শ্যাম’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন যেগুলোতে কিছুটা কমিক উপাদান ছিলো।’
চরিত্রের প্রয়োজনে
দীর্ঘ ক্যারিয়ারের প্রতিটি চরিত্রকেই তিনি সুচারুভাবে ফুটিয়ে তুলতে চাইতেন। চরিত্রের প্রয়োজনেই ওস্তাদ আব্দুল হালিম জাফর খানের কাছে বেশ কয়েক বছর সেতার শিখেছেন ‘কোহিনূর’ ছবির জন্য। লতা মুঙ্গেশকরের সঙ্গে সলিল চৌধুরীর লেখা একটি দ্বৈত গান গেয়েছিলেন হৃষিকেষ মুখার্জির ‘মুসাফির’ ছবির জন্য। ঘোড়ার গাড়ি চালানো শিখেছিলেন ‘নয়াদৌড়’ সিনেমার জন্য। নির্মাতা সত্যজিৎ রায় তাই দিলীপ কুমারকে বলেছিলেন ‘মেথড অ্যাক্টর’।
স্টাইল আইকন
মূলত ‘মুঘল-ই-আজম’-এর পর ব্যাপক পরিচিতি পান দিলীপ কুমার। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন সবোর ফ্যাশন আইকন। কপালে ভি-শেপে একগুচ্ছ চুল আছড়ে পড়া তখন যেন জাতীয় ক্রেজে পরিণত হয়েছিল। ব্যক্তিগত জীবনে দিলীপ কুমার সাদা রং পছন্দ করতেন। প্রায়ই সাদা জামা ও কিছুটা ঢোলা সাদা প্যান্ট পড়তেন। উর্দু সাহিত্যে ব্যাপক আগ্রহ ছিলো তাঁর। তিনি একই সাথে হিন্দি, উর্দু, ইংরেজি, পাঞ্জাবী ও পশতু ভাষা জানতেন। এমনকি মারাঠি, ভোজপুরি ও ফরাসিও বুঝতেন, বলতে পারতেন।
মধুবালার সঙ্গে প্রেম, সায়রা বানুকে বিয়ে
অভিনেত্রী নার্গিসের সঙ্গে ৭টি ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন দিলীপ। কোনো একক অভিনেত্রীর সাথে এটাই তাঁর সবচেয়ে বেশি জুটি বাঁধা। তবে মধুবালার সঙ্গে তাঁর জুটি বেশি জনপ্রিয় হয়েছিলো। এমনকি মধুবালার প্রেমেও পড়েছিলেন দিলীপ। মধুবালার বাবার কারণে এই প্রেমের গল্প বেশিদূর এগোয়নি। মধুবালার বাবা মনে করতেন দিলীপ কুমারের বয়স মধুবালার চেয়ে অনেক বেশি। তার উপরে বি আর চোপড়ার ‘নয়া দৌড়’ সিনেমা নিয়ে আইনগত সমস্যার উদ্ভব হলে মুধবালার বাবা ও দিলীপ কুমারের মধ্যে তিক্ততা তৈরি হয়। যা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এরপর বিয়ের প্রস্তাব দিলে দিলীপকে মধুবালা বলেন, ‘আমি তোমাকে বিয়ে করব কিন্তু তার আগে তোমাকে বাবার কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।’ দিলীপ তাতে রাজি হননি। তাই ভেঙে যায় দু’জনের সম্পর্ক। তাদের সম্পর্ক এতোটাই বৈরি হয়ে ওঠে যে ‘মুঘল ই আযম’ সিনেমায় অভিনয়ের সময় তাঁরা একে অপরের সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলতেন না। পরে ১৯৬৬ সালে অভিনেত্রী সায়রা বানুকে বিয়ে করেন দিলীপ কুমার।
আগে থেকেই দিলীপ কুমারের প্রেমে পাগল ছিলেন অভিনেত্রী সায়রা বানু।। ‘ঝুক গ্যায়া আসমান’ ছবির সেটে যখন দিলীপ কুমার তাঁকে প্রোপোজ করেন, তৎক্ষণাত ‘হ্যাঁ’ বলে দিয়েছিলেন তিনি। নিজের চেয়ে ২২ বছরের ছোট সায়রাকে বিয়ে করে সংসার বাঁধেন দিলীপ। ১৬ বছর সংসার করার পর তাঁকে ত্যাগ করে দ্বিতীয় বিয়ে করেন আসমা রেহমানকে। পরে নিজেই স্বীকার করেন এটা তার ভূল সিদ্ধান্ত ছিল। আবারো ফিরে গিয়েছিলেন সায়রা কাছে। মৃত্যুর দিন পর্যন্ত দিলীপকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছিলেন সায়রা। হিন্দুজা হাসপাতালে ডাঃ জালিল পারেকার সর্ব প্রথম সায়রাকে দিলীপের মৃত্যু সংবাদ দিলে তিনি আর্তনাদ করে ওঠেন, ‘ভগবান আমার বেঁচে থাকার কারণটাই কেড়ে নিল…।’
শেষ দিন পর্যন্ত সায়রা বানু যেভাবে দিলীপকে আগলে রেখেছিলেন তার প্রশংসা করছেন সবাই। তবে সায়রা বানু বলেছিলেন, দায়িত্ব ভেবে নয় দিলীপ কুমারকে ভালোবাসেন বলেই এভাবেই আগলে রেখেছেন।
শেষ বিদায়ের বেলায়
মৃত্যুকালে দিলীপ কুমারের বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই তিঁনি অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ৬জুন শ্বাসকষ্ট হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১১জুন তিনি বাড়ি ফিরে যান। ৩০ জুন অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হিন্দুজা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ৫ জুন তার স্ত্রী সায়রা বানু এক টুইটে জানান, অভিনেতার অবস্থা এখন ভালোর দিকে। ৭ জুন সকাল ৮টার কিছু সময় পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেন দিলীপ কুমার মারা গেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিনি প্রোস্টেট ক্যানসারে ভূগছিলেন যা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছিল। গত ৩-৪ মাস ধরে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তিনি কিডনির সমস্যায় ভূগিছিলেন এবং ফুসফুসে পানি এসে গিয়েছিল।

চলে যাওয়া মানেই প্রস্থান নয়। ইহজগতের মায় ত্যাগ করে দিলীপ কুমার ঠাঁই নিলেন ইতিহাসের পাতায়। কিংবদন্তির জন্ম আছে মৃত্যু নেই। ভক্তদের হৃদয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন আজীবন। গতকাল সকাল ৮টার কিছু সময় পরে হিন্দুজা হাসপাতাল থেকে যখন নিশ্চিত করা হলো কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমারের মৃত্যুসংবাদ, শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ল বলিউড ইন্ডাস্ট্রি। পুরো ভারতে নেমে এল শোকের ছায়া।
১৯৪৪ সালে ‘জোয়ারভাটা’ ছবির মাধ্যমে দিলীপ কুমারের চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু। পেশওয়ারের ছেলে দিলীপ কুমারের আসল নাম ইউসুফ সারোয়ার খান। বাবার নাম মোহাম্মদ সারোয়ার খান। তিনি ছিলেন একজন ফল ব্যবসায়ী। কৈশোরে মুম্বাই থেকে পুনে গিয়ে ব্রিটিশ সৈন্যদের জন্য পরিচালিত একটি ক্যান্টিনে কাজ নেন ইউসুফ খান। কিছুদিন পর আবারো মুম্বাইয়ে ফিরে বাবার সাথে ফলের ব্যবসায় যোগ দেন। ব্যবসায়িক কারণে মুম্বাই যেতেন তিনি। একসময় পরিচয় হয় সাইকোলজিস্ট ডা. মাসানির সঙ্গে। তিনিই ইউসুফকে পরিচয় করিয়ে দেন 'বোম্বে টকিজ'–এর সঙ্গে। ১৯৪৩ সালে 'বোম্বে টকিজ'-এ চাকরি খুঁজতে গেলে সেখানকার স্বত্বাধিকারী অভিনেত্রী দেবিকা রানী তাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। দেবিকা রাণীই মনে করেছিলেন ইউসুফ খান নামটি রোমান্টিক হিরোর জন্য মানানসই নয়। তার অনুরোধেই হিন্দি কবি নরেন্দ্র শর্মা তিনটি নাম প্রস্তাব করেন- জাহাঙ্গীর, বাসুদেব ও দিলীপ কুমার। এর মধ্যে দিলীপ কুমার নামটিই নিজের জন্য পছন্দ করেন ইউসুফ খান। নাম পরিবর্তনের আরেকটি বড় কারণ ছিলো রক্ষণশীল বাবা যেন ইউসুফের নতুন পেশার কথা জানতে না পারেন। সেই থেকে মুসলিম পরিবারের ইউসূফ হয়ে উঠলেন দিলীপ কুমার। যদিও সারাজীবনে মাত্র একবার মুসলিম চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সেটি হলো ‘মুঘল-ই-আযম’। প্রথম দিকের ছবিগুলো খুব একটা ব্যবসাসফল ছিল না। তবে ১৯৬০ সালে ভারতের ইতিহাসের অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা 'মুঘল-ই-আজম' দিলীপ কুমারের ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
অভিনয় স্টাইল
দিলীপ কুমার তাঁর ছয় দশকের ক্যারিয়ারে মাত্র ৬৩টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। হিন্দি সিনেমায় অভিনয় শিল্পকে দিয়েছেন নতুন রূপ। দিলীপ কুমার যখন ফিল্ম ক্যারিয়ার শুরু করেন তখনকার বেশিরভাগ অভিনেতা উচ্চস্বরে একের পর এক সংলাপ বলে যেতেন। এ ধরনের অভিনয়কে বলা হতো ‘লাউড অ্যাক্টিং’। এটি এসেছিলো মূলত পার্সি থিয়েটারের প্রভাবে। অথচ, দিলীপ কুমার ছিলেন অনেকটাই ধীর স্থির আর শান্ত অথচ বলিষ্ঠ। দিলীপ নিচু স্বরে অভিজাত ও দৃঢ়তার সাথে এমনভাবে সংলাপ ছুড়ে দিতেন যা দর্শকের ভক্তি কুড়িয়েছে। খ্যাতিমান লেখক সেলিম খান বলেছিলেন, ‘দিলীপ কুমার যেসব চরিত্রে অভিনয় করতেন তার সূক্ষ্ম বিষয়গুলো পর্দায় ফুটিয়ে তুলতেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে নীরব হয়ে যেতেন অথচ সেটাও দর্শকের ওপর গভীর ছাপ রেখে যেত।’
ট্রাজেডি কিং
দিলীপ কুমার অভিনীত অনেক ছবিই রয়েছে যার চরিত্রগুলো ট্রাজিক। মারা গেছেন এমন অনেক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। একটা সময় প্রতি দুটি ছবির একটিতে তিনি এমন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই চরিত্রগুলোতে তাঁর অভিনয় দর্শকের চোখ ঘোলা করেছে, বুক ভাড়ি করেছে অবিরাম। এসব ছবি তাঁকে ট্রাজেডি কিং পরিচিতি এনেছিল। অভিনয়ে দিলীপ এতটাই বাস্তবিক ছিলেন যে এক সময় মৃত্যুর দৃশ্য করতে করতে ‘ডিপ্রেসড’ হয়ে পড়েছিলেন। পরে লন্ডন থেকে বিষণ্ণতার চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দেশে ফিরে ‘কোহিনুর’, ‘আজাদ’, ‘রাম অর শ্যাম’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন যেগুলোতে কিছুটা কমিক উপাদান ছিলো।’
চরিত্রের প্রয়োজনে
দীর্ঘ ক্যারিয়ারের প্রতিটি চরিত্রকেই তিনি সুচারুভাবে ফুটিয়ে তুলতে চাইতেন। চরিত্রের প্রয়োজনেই ওস্তাদ আব্দুল হালিম জাফর খানের কাছে বেশ কয়েক বছর সেতার শিখেছেন ‘কোহিনূর’ ছবির জন্য। লতা মুঙ্গেশকরের সঙ্গে সলিল চৌধুরীর লেখা একটি দ্বৈত গান গেয়েছিলেন হৃষিকেষ মুখার্জির ‘মুসাফির’ ছবির জন্য। ঘোড়ার গাড়ি চালানো শিখেছিলেন ‘নয়াদৌড়’ সিনেমার জন্য। নির্মাতা সত্যজিৎ রায় তাই দিলীপ কুমারকে বলেছিলেন ‘মেথড অ্যাক্টর’।
স্টাইল আইকন
মূলত ‘মুঘল-ই-আজম’-এর পর ব্যাপক পরিচিতি পান দিলীপ কুমার। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন সবোর ফ্যাশন আইকন। কপালে ভি-শেপে একগুচ্ছ চুল আছড়ে পড়া তখন যেন জাতীয় ক্রেজে পরিণত হয়েছিল। ব্যক্তিগত জীবনে দিলীপ কুমার সাদা রং পছন্দ করতেন। প্রায়ই সাদা জামা ও কিছুটা ঢোলা সাদা প্যান্ট পড়তেন। উর্দু সাহিত্যে ব্যাপক আগ্রহ ছিলো তাঁর। তিনি একই সাথে হিন্দি, উর্দু, ইংরেজি, পাঞ্জাবী ও পশতু ভাষা জানতেন। এমনকি মারাঠি, ভোজপুরি ও ফরাসিও বুঝতেন, বলতে পারতেন।
মধুবালার সঙ্গে প্রেম, সায়রা বানুকে বিয়ে
অভিনেত্রী নার্গিসের সঙ্গে ৭টি ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন দিলীপ। কোনো একক অভিনেত্রীর সাথে এটাই তাঁর সবচেয়ে বেশি জুটি বাঁধা। তবে মধুবালার সঙ্গে তাঁর জুটি বেশি জনপ্রিয় হয়েছিলো। এমনকি মধুবালার প্রেমেও পড়েছিলেন দিলীপ। মধুবালার বাবার কারণে এই প্রেমের গল্প বেশিদূর এগোয়নি। মধুবালার বাবা মনে করতেন দিলীপ কুমারের বয়স মধুবালার চেয়ে অনেক বেশি। তার উপরে বি আর চোপড়ার ‘নয়া দৌড়’ সিনেমা নিয়ে আইনগত সমস্যার উদ্ভব হলে মুধবালার বাবা ও দিলীপ কুমারের মধ্যে তিক্ততা তৈরি হয়। যা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এরপর বিয়ের প্রস্তাব দিলে দিলীপকে মধুবালা বলেন, ‘আমি তোমাকে বিয়ে করব কিন্তু তার আগে তোমাকে বাবার কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।’ দিলীপ তাতে রাজি হননি। তাই ভেঙে যায় দু’জনের সম্পর্ক। তাদের সম্পর্ক এতোটাই বৈরি হয়ে ওঠে যে ‘মুঘল ই আযম’ সিনেমায় অভিনয়ের সময় তাঁরা একে অপরের সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলতেন না। পরে ১৯৬৬ সালে অভিনেত্রী সায়রা বানুকে বিয়ে করেন দিলীপ কুমার।
আগে থেকেই দিলীপ কুমারের প্রেমে পাগল ছিলেন অভিনেত্রী সায়রা বানু।। ‘ঝুক গ্যায়া আসমান’ ছবির সেটে যখন দিলীপ কুমার তাঁকে প্রোপোজ করেন, তৎক্ষণাত ‘হ্যাঁ’ বলে দিয়েছিলেন তিনি। নিজের চেয়ে ২২ বছরের ছোট সায়রাকে বিয়ে করে সংসার বাঁধেন দিলীপ। ১৬ বছর সংসার করার পর তাঁকে ত্যাগ করে দ্বিতীয় বিয়ে করেন আসমা রেহমানকে। পরে নিজেই স্বীকার করেন এটা তার ভূল সিদ্ধান্ত ছিল। আবারো ফিরে গিয়েছিলেন সায়রা কাছে। মৃত্যুর দিন পর্যন্ত দিলীপকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছিলেন সায়রা। হিন্দুজা হাসপাতালে ডাঃ জালিল পারেকার সর্ব প্রথম সায়রাকে দিলীপের মৃত্যু সংবাদ দিলে তিনি আর্তনাদ করে ওঠেন, ‘ভগবান আমার বেঁচে থাকার কারণটাই কেড়ে নিল…।’
শেষ দিন পর্যন্ত সায়রা বানু যেভাবে দিলীপকে আগলে রেখেছিলেন তার প্রশংসা করছেন সবাই। তবে সায়রা বানু বলেছিলেন, দায়িত্ব ভেবে নয় দিলীপ কুমারকে ভালোবাসেন বলেই এভাবেই আগলে রেখেছেন।
শেষ বিদায়ের বেলায়
মৃত্যুকালে দিলীপ কুমারের বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই তিঁনি অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ৬জুন শ্বাসকষ্ট হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১১জুন তিনি বাড়ি ফিরে যান। ৩০ জুন অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হিন্দুজা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ৫ জুন তার স্ত্রী সায়রা বানু এক টুইটে জানান, অভিনেতার অবস্থা এখন ভালোর দিকে। ৭ জুন সকাল ৮টার কিছু সময় পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেন দিলীপ কুমার মারা গেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিনি প্রোস্টেট ক্যানসারে ভূগছিলেন যা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছিল। গত ৩-৪ মাস ধরে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তিনি কিডনির সমস্যায় ভূগিছিলেন এবং ফুসফুসে পানি এসে গিয়েছিল।

আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো।
৭ ঘণ্টা আগে
মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার...
১৩ ঘণ্টা আগে
এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো। উৎসবে ছয়জন নাট্যব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে নাট্যবন্ধু সম্মাননা।
উৎসব শুরু হবে আজ সন্ধ্যা ৬টায়। উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদ। সভাপতিত্ব করবেন নাট্যতীর্থের দলপ্রধান ও নাট্যমেলার আহ্বায়ক তপন হাফিজ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হবে তীরন্দাজ রেপার্টারির প্রযোজনা দীপক সুমনের নির্দেশিত ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’।
আগামীকাল শনিবার মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। এদিন অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন সামিনা লুৎফা নিত্রা। সম্মাননা পদক দেওয়া হবে অধ্যাপক আবদুস সেলিমকে।
২১ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে বাতিঘরের প্রযোজনা ‘প্যারাবোলা’, নির্দেশনায় মুক্তনীল। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন আফজাল হোসেন ও সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন শাহীন খান।
২২ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে বহুবচনের প্রযোজনা আরহাম আলো নির্দেশিত ‘অনিকেত সন্ধ্যা’। এদিন সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন সামিউন জাহান দোলা।
২৩ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে নাট্যতীর্থের প্রযোজনা ‘জুলিয়াস সিজার’, নির্দেশনায় তপন হাফিজ। সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন বাপ্পাদিত্য চৌধুরী। ২৪ ডিসেম্বর প্রদর্শিত হবে ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের প্রযোজনা গোলাম সরোয়ার নির্দেশিত ‘ঘর জামাই’। সম্মাননা দেওয়া হবে খন্দকার সাইফুল ইসলাম নিপুকে।
২৫ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) প্রযোজনা ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’। নির্দেশনা সুদীপ চক্রবর্তী। সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন মাহফুজা হিলালী। নাটক প্রদর্শনীর আগে এদিন বিকেল ৪টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে ‘প্রবীণের ঐতিহ্যালোকে নবীনের শিল্পযাত্রা’ শীর্ষক সেমিনার।
২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে নাট্যমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে নাট্যতীর্থের কর্মীদের মধ্য নির্বাচিত নাট্যকর্মীকে দেওয়া হবে ‘নাট্যতীর্থ সর্বোচ্চ উপস্থিতি সম্মাননা পদক’। সমাপনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হবে আবদুল্লাহ আল-মামুন নির্দেশিত থিয়েটার প্রযোজনা ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো। উৎসবে ছয়জন নাট্যব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে নাট্যবন্ধু সম্মাননা।
উৎসব শুরু হবে আজ সন্ধ্যা ৬টায়। উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদ। সভাপতিত্ব করবেন নাট্যতীর্থের দলপ্রধান ও নাট্যমেলার আহ্বায়ক তপন হাফিজ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হবে তীরন্দাজ রেপার্টারির প্রযোজনা দীপক সুমনের নির্দেশিত ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’।
আগামীকাল শনিবার মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। এদিন অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন সামিনা লুৎফা নিত্রা। সম্মাননা পদক দেওয়া হবে অধ্যাপক আবদুস সেলিমকে।
২১ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে বাতিঘরের প্রযোজনা ‘প্যারাবোলা’, নির্দেশনায় মুক্তনীল। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন আফজাল হোসেন ও সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন শাহীন খান।
২২ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে বহুবচনের প্রযোজনা আরহাম আলো নির্দেশিত ‘অনিকেত সন্ধ্যা’। এদিন সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন সামিউন জাহান দোলা।
২৩ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে নাট্যতীর্থের প্রযোজনা ‘জুলিয়াস সিজার’, নির্দেশনায় তপন হাফিজ। সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন বাপ্পাদিত্য চৌধুরী। ২৪ ডিসেম্বর প্রদর্শিত হবে ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের প্রযোজনা গোলাম সরোয়ার নির্দেশিত ‘ঘর জামাই’। সম্মাননা দেওয়া হবে খন্দকার সাইফুল ইসলাম নিপুকে।
২৫ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) প্রযোজনা ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’। নির্দেশনা সুদীপ চক্রবর্তী। সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন মাহফুজা হিলালী। নাটক প্রদর্শনীর আগে এদিন বিকেল ৪টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে ‘প্রবীণের ঐতিহ্যালোকে নবীনের শিল্পযাত্রা’ শীর্ষক সেমিনার।
২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে নাট্যমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে নাট্যতীর্থের কর্মীদের মধ্য নির্বাচিত নাট্যকর্মীকে দেওয়া হবে ‘নাট্যতীর্থ সর্বোচ্চ উপস্থিতি সম্মাননা পদক’। সমাপনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হবে আবদুল্লাহ আল-মামুন নির্দেশিত থিয়েটার প্রযোজনা ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

চলে যাওয়া মানই প্রস্থান নয়। ইহজগতের মায় ত্যাগ করে দিলীপ কুমার ঠাঁই নিলেন ইতিহাসের পাতায়। কিংবদন্তীর জন্ম আছে মৃত্যু নেই, ভক্তদের হৃদয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন আজীবন।
০৮ জুলাই ২০২১
মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার...
১৩ ঘণ্টা আগে
এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময় উপস্থিত হলেন নায়িকা। জানালেন রাক্ষসের গল্পই তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাক্ষস সিনেমায় যুক্ত হওয়ার কারণ জানিয়ে সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নির্মাতা হৃদয়ের কাছ থেকে গল্পটা শুনে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। গল্পের জন্যই এ সিনেমায় যুক্ত হওয়া। কারণ এই গল্পে নায়িকার অনেক কিছু করার আছে। চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে নিজের ২০০ ভাগ দিয়ে চেষ্টা করব।’
প্রথমবার ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি ভীষণ এক্সাইটেড, এই প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছি, সিনেমায় অভিনয় করছি। এই দিনটা আমার কাছে ভীষণ স্পেশাল। অনেকবার সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। ভালো একটি টিমের সঙ্গে প্রথমবার বাংলাদেশি সিনেমায় অভিনয় করতে চলেছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।’
ঢাকাই সিনেমায় কাজ করাটা চ্যালেঞ্জিং মনে করলেও সবার সহায়তায় সেই চ্যালেঞ্জকে জয় করতে চান সুস্মিতা। পেতে চান বাংলাদেশের দর্শকদের ভালোবাসা। সুস্মিতা বলেন, ‘যখন সিনেমায় নাম লেখাই তখন কলকাতার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কাউকেও চিনতাম না। অডিশন দিয়ে অনেক কষ্ট করে সিনেমায় এসেছি। ওটাও যেমন আমার জন্য কঠিন ছিল, তেমনি এই দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতেও প্রথম কাজটা চ্যালেঞ্জিং হবে। কিন্তু এখানে এসে টিমের সবাইকে দেখে মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জটা উতরে যেতে পারব। তাঁরা একবারের জন্য আমাকে মনে করতে দিচ্ছে না যে আমি অন্য দেশ থেকে এসেছি। আমি এ দেশের দর্শকদের ভালোবাসা নিতে এসেছি, আশা করছি অনেক ভালোবাসা পাব।’
ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হতে চেয়েছেন সুস্মিতা। পড়াশোনায়ও ছিলেন খুব ভালো। তাই পরিবারের চাওয়া ছিল আগে পড়াশোনা শেষ হবে, তারপর অন্য কাজ। মা-বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন সুস্মিতা। পড়াশোনা শেষে বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরিও পেয়েছিলেন। কিন্তু চাকরিটা করা হয়নি। তিনি হেঁটেছেন ছোটবেলার স্বপ্নের দিকে, অভিনেত্রী হতে।
২০২১ সালে ‘প্রেম টেম’ সিনেমা দিয়ে টালিউডে অভিষেক হয় সুস্মিতার। এরপর কাজ করেছেন ‘চেঙ্গিজ’, ‘মানুষ’সহ একাধিক সিনেমায়। এবার নাম লেখালেন ঢাকাই সিনেমায়। রুপালি পর্দায় নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সুস্মিতা বলেন, ‘প্রেম টেম সিনেমার সুস্মিতা আর রাক্ষসের সুস্মিতার মধ্যে অনেক পার্থক্য। চার বছর হয়ে গেছে প্রেম টেম সিনেমার। এই সময়ে অনেক ম্যাচিউরিটি এসেছে আমার কাজে, ব্যক্তিত্বে। আশা করছি পর্দায় সেটা বুঝতে পারবেন সবাই।’
রাক্ষস সিনেমায় সুস্মিতার বিপরীতে আছেন সিয়াম আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয় সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার। ১ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে ভয়ংকর এক সিয়ামকে দেখা গেল। ফ্লোরের চারদিকে রক্তের ছোপ, রক্তমাখা সাদা স্যুট পরা সিয়ামের এক হাতে চায়নিজ কুড়াল অন্য হাতে পিস্তল। কামড়ে ধরে আছেন একটি গোলাপ। হাতের অস্ত্র উঁচিয়ে বাথটাবে পড়ে থাকা একটি মৃত বাঘের দিকে গুলি ছুড়লেন।
টিজার দেখে বোঝাই যাচ্ছে বরবাদ সিনেমার মতো রাক্ষসেও ভরপুর অ্যাকশন, ভায়োলেন্স দেখাবেন নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয়। নির্মাতা জানালেন, এ সিনেমায় একটি প্রেমের গল্প আছে, যে প্রেমের কারণে সিয়াম অভিনীত চরিত্রটি রাক্ষস হয়ে ওঠে। এতে আরও অভিনয় করছেন বাপ্পারাজ, আলীরাজ প্রমুখ। সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রিয়েল অ্যানার্জি প্রোডাকশনের ব্যানারে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে শুটিং। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের রোজার ঈদে মুক্তি পাবে রাক্ষস।

মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময় উপস্থিত হলেন নায়িকা। জানালেন রাক্ষসের গল্পই তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাক্ষস সিনেমায় যুক্ত হওয়ার কারণ জানিয়ে সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নির্মাতা হৃদয়ের কাছ থেকে গল্পটা শুনে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। গল্পের জন্যই এ সিনেমায় যুক্ত হওয়া। কারণ এই গল্পে নায়িকার অনেক কিছু করার আছে। চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে নিজের ২০০ ভাগ দিয়ে চেষ্টা করব।’
প্রথমবার ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি ভীষণ এক্সাইটেড, এই প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছি, সিনেমায় অভিনয় করছি। এই দিনটা আমার কাছে ভীষণ স্পেশাল। অনেকবার সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। ভালো একটি টিমের সঙ্গে প্রথমবার বাংলাদেশি সিনেমায় অভিনয় করতে চলেছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।’
ঢাকাই সিনেমায় কাজ করাটা চ্যালেঞ্জিং মনে করলেও সবার সহায়তায় সেই চ্যালেঞ্জকে জয় করতে চান সুস্মিতা। পেতে চান বাংলাদেশের দর্শকদের ভালোবাসা। সুস্মিতা বলেন, ‘যখন সিনেমায় নাম লেখাই তখন কলকাতার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কাউকেও চিনতাম না। অডিশন দিয়ে অনেক কষ্ট করে সিনেমায় এসেছি। ওটাও যেমন আমার জন্য কঠিন ছিল, তেমনি এই দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতেও প্রথম কাজটা চ্যালেঞ্জিং হবে। কিন্তু এখানে এসে টিমের সবাইকে দেখে মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জটা উতরে যেতে পারব। তাঁরা একবারের জন্য আমাকে মনে করতে দিচ্ছে না যে আমি অন্য দেশ থেকে এসেছি। আমি এ দেশের দর্শকদের ভালোবাসা নিতে এসেছি, আশা করছি অনেক ভালোবাসা পাব।’
ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হতে চেয়েছেন সুস্মিতা। পড়াশোনায়ও ছিলেন খুব ভালো। তাই পরিবারের চাওয়া ছিল আগে পড়াশোনা শেষ হবে, তারপর অন্য কাজ। মা-বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন সুস্মিতা। পড়াশোনা শেষে বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরিও পেয়েছিলেন। কিন্তু চাকরিটা করা হয়নি। তিনি হেঁটেছেন ছোটবেলার স্বপ্নের দিকে, অভিনেত্রী হতে।
২০২১ সালে ‘প্রেম টেম’ সিনেমা দিয়ে টালিউডে অভিষেক হয় সুস্মিতার। এরপর কাজ করেছেন ‘চেঙ্গিজ’, ‘মানুষ’সহ একাধিক সিনেমায়। এবার নাম লেখালেন ঢাকাই সিনেমায়। রুপালি পর্দায় নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সুস্মিতা বলেন, ‘প্রেম টেম সিনেমার সুস্মিতা আর রাক্ষসের সুস্মিতার মধ্যে অনেক পার্থক্য। চার বছর হয়ে গেছে প্রেম টেম সিনেমার। এই সময়ে অনেক ম্যাচিউরিটি এসেছে আমার কাজে, ব্যক্তিত্বে। আশা করছি পর্দায় সেটা বুঝতে পারবেন সবাই।’
রাক্ষস সিনেমায় সুস্মিতার বিপরীতে আছেন সিয়াম আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয় সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার। ১ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে ভয়ংকর এক সিয়ামকে দেখা গেল। ফ্লোরের চারদিকে রক্তের ছোপ, রক্তমাখা সাদা স্যুট পরা সিয়ামের এক হাতে চায়নিজ কুড়াল অন্য হাতে পিস্তল। কামড়ে ধরে আছেন একটি গোলাপ। হাতের অস্ত্র উঁচিয়ে বাথটাবে পড়ে থাকা একটি মৃত বাঘের দিকে গুলি ছুড়লেন।
টিজার দেখে বোঝাই যাচ্ছে বরবাদ সিনেমার মতো রাক্ষসেও ভরপুর অ্যাকশন, ভায়োলেন্স দেখাবেন নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয়। নির্মাতা জানালেন, এ সিনেমায় একটি প্রেমের গল্প আছে, যে প্রেমের কারণে সিয়াম অভিনীত চরিত্রটি রাক্ষস হয়ে ওঠে। এতে আরও অভিনয় করছেন বাপ্পারাজ, আলীরাজ প্রমুখ। সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রিয়েল অ্যানার্জি প্রোডাকশনের ব্যানারে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে শুটিং। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের রোজার ঈদে মুক্তি পাবে রাক্ষস।

চলে যাওয়া মানই প্রস্থান নয়। ইহজগতের মায় ত্যাগ করে দিলীপ কুমার ঠাঁই নিলেন ইতিহাসের পাতায়। কিংবদন্তীর জন্ম আছে মৃত্যু নেই, ভক্তদের হৃদয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন আজীবন।
০৮ জুলাই ২০২১
আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো।
৭ ঘণ্টা আগে
এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয় সেই কনসার্ট। তবে কনসার্ট বাতিল হলেও ঢাকায় এসেছেন আতিফ আসলাম। একের পর এক প্রাইভেট কনসার্টে গান শোনাচ্ছেন তিনি।
গতকাল আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) আয়োজিত ‘মিউজিক বিয়ন্ড বাউন্ডারিজ’ শীর্ষক কনসার্টে গান শোনান আতিফ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত এ কনসার্টে প্রবেশের সুযোগ ছিল শুধু এআইইউবির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের। বহিরাগতদের প্রবেশে ছিল কড়াকড়ি।
আতিফের কনসার্ট ঘিরে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছিল এআইইউবিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, কনসার্ট দেখতে মাঠে প্রবেশ করতে ছিল দীর্ঘ লাইন। বেলা ২টায় অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারিত হলেও সকাল থেকেই কনসার্টের স্থলে ভিড় করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তিল ধরার জায়গা ছিল না মাঠে। আতিফও নিরাশ করেননি তাঁদের। গেয়ে শোনান তাঁর জনপ্রিয় গানগুলো। আতিফের আগে এই কনসার্টে গান শোনান দেশের সংগীতশিল্পী মিনার রহমান।
এর আগে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে ‘দ্য ফাইনাল নোট’ শিরোনামের আরেকটি কনসার্টে গান শোনান আতিফ আসলাম। ওই কনসার্টে শুধু গুলশান ক্লাবের সদস্যরাই আমন্ত্রিত ছিলেন। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ঢাকায় আতিফের ঘুরে বেড়ানোর ভিডিও। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ক্রিকেট খেলায় মেতেছেন তিনি।
এর আগে পাকিস্তানের আলী আজমত ও ব্যান্ড কাভিশের কনসার্ট বাতিল হলেও তাঁরাও বাংলাদেশে এসেছিলেন। শোনা গেছে, তাঁরাও ঢাকায় একাধিক প্রাইভেট কনসার্টে পারফর্ম করেছিলেন।

এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয় সেই কনসার্ট। তবে কনসার্ট বাতিল হলেও ঢাকায় এসেছেন আতিফ আসলাম। একের পর এক প্রাইভেট কনসার্টে গান শোনাচ্ছেন তিনি।
গতকাল আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) আয়োজিত ‘মিউজিক বিয়ন্ড বাউন্ডারিজ’ শীর্ষক কনসার্টে গান শোনান আতিফ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত এ কনসার্টে প্রবেশের সুযোগ ছিল শুধু এআইইউবির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের। বহিরাগতদের প্রবেশে ছিল কড়াকড়ি।
আতিফের কনসার্ট ঘিরে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছিল এআইইউবিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, কনসার্ট দেখতে মাঠে প্রবেশ করতে ছিল দীর্ঘ লাইন। বেলা ২টায় অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারিত হলেও সকাল থেকেই কনসার্টের স্থলে ভিড় করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তিল ধরার জায়গা ছিল না মাঠে। আতিফও নিরাশ করেননি তাঁদের। গেয়ে শোনান তাঁর জনপ্রিয় গানগুলো। আতিফের আগে এই কনসার্টে গান শোনান দেশের সংগীতশিল্পী মিনার রহমান।
এর আগে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে ‘দ্য ফাইনাল নোট’ শিরোনামের আরেকটি কনসার্টে গান শোনান আতিফ আসলাম। ওই কনসার্টে শুধু গুলশান ক্লাবের সদস্যরাই আমন্ত্রিত ছিলেন। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ঢাকায় আতিফের ঘুরে বেড়ানোর ভিডিও। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ক্রিকেট খেলায় মেতেছেন তিনি।
এর আগে পাকিস্তানের আলী আজমত ও ব্যান্ড কাভিশের কনসার্ট বাতিল হলেও তাঁরাও বাংলাদেশে এসেছিলেন। শোনা গেছে, তাঁরাও ঢাকায় একাধিক প্রাইভেট কনসার্টে পারফর্ম করেছিলেন।

চলে যাওয়া মানই প্রস্থান নয়। ইহজগতের মায় ত্যাগ করে দিলীপ কুমার ঠাঁই নিলেন ইতিহাসের পাতায়। কিংবদন্তীর জন্ম আছে মৃত্যু নেই, ভক্তদের হৃদয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন আজীবন।
০৮ জুলাই ২০২১
আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো।
৭ ঘণ্টা আগে
মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার...
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
বিনোদন ডেস্ক

সাবা (বাংলা সিনেমা)
রাত আকেলি হ্যায়: দ্য বানসাল মার্ডারস (হিন্দি সিনেমা)
মিসেস দেশপান্ডে (হিন্দি সিরিজ)
এমিলি ইন প্যারিস সিজন ৫ (ইংরেজি সিরিজ)
থাম্মা (হিন্দি সিনেমা)

সাবা (বাংলা সিনেমা)
রাত আকেলি হ্যায়: দ্য বানসাল মার্ডারস (হিন্দি সিনেমা)
মিসেস দেশপান্ডে (হিন্দি সিরিজ)
এমিলি ইন প্যারিস সিজন ৫ (ইংরেজি সিরিজ)
থাম্মা (হিন্দি সিনেমা)

চলে যাওয়া মানই প্রস্থান নয়। ইহজগতের মায় ত্যাগ করে দিলীপ কুমার ঠাঁই নিলেন ইতিহাসের পাতায়। কিংবদন্তীর জন্ম আছে মৃত্যু নেই, ভক্তদের হৃদয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন আজীবন।
০৮ জুলাই ২০২১
আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো।
৭ ঘণ্টা আগে
মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার...
১৩ ঘণ্টা আগে
এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা।
১৩ ঘণ্টা আগে