
আফজাল হোসেন একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী। নিয়মিত না হলেও এখনো বিভিন্ন নাটক-সিরিজে দেখা যায় তাঁর অভিনয়নৈপুণ্য। সম্প্রতি প্রকাশিত হলো তাঁর অভিনীত দুটি ওয়েব সিরিজ। সিনেমায়ও অভিনয় করছেন তিনি। বাংলাদেশের ওটিটি ও সিনেমা নিয়ে আফজাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা।
এম এস রানা

ওটিটিতে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া আপনার অভিনীত ‘২ষ’ সিরিজের ‘অন্তরা’ পর্বটি সম্পর্কে বলুন।
এটি প্রথম সিজনের ‘মিষ্টি কিছু’ পর্বের সিকুয়েল। মিষ্টি কিছু যেখানে শেষ হয়েছিল, তার পর থেকে অন্তরা শুরু। পর্বটির প্রেক্ষাপট বেশ সিরিয়াস। আমার কাজ করতে অনেক ভালো লেগেছে।
আপনি নিয়মিত অভিনয় করেন না। কিন্তু নুহাশ হুমায়ূনের ‘ষ’-এর দুই সিজনেই কাজ করলেন। বিশেষ কোনো কারণ আছে?
নুহাশকে আমার ভালো লাগে। তার ভাবনাগুলো আলাদা। নতুন ভাবনা যাঁরা ভাবতে পারেন, তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারা মানে নিজের কিছুটা আয়ু বৃদ্ধি করা, ভাবনাকে সমৃদ্ধ করা। দুটি চিত্রনাট্য পড়েই আমার মনে হয়েছে, ও খুব আলাদা করে ভাবে।
কেমন রেসপন্স পাচ্ছেন?
রেসপন্স নিয়ে আমি ভাবি না। ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে যা বিশেষ, যা আলাদা কিংবা ভিন্ন এবং সবার আগ্রহ সৃষ্টি করে, তার সঙ্গে আমি জড়িত আছি। তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যাঁরা দেখছেন, তাঁরা এই ‘আলাদা কিছু’কে সম্মানিত করছেন। পেট কাটা ষ যখন প্রথম এল, তখন দেখলাম প্রতিটি গল্প আলাদা। একজন লেখক বা নির্মাতার গল্প এত ভিন্ন হতে পারে, এটি কিন্তু চমকে যাওয়ার মতো ঘটনা। আরও ভালো লেগেছিল, তরুণ প্রজন্মের যারা টেলিভিশন বা ছোট পর্দা নিয়ে আগ্রহ দেখায় না, তাদের ভেতর একটা আগ্রহ তৈরি করতে পেরেছে। যাঁরা ছোট পর্দার কাজ নিয়ে কোনো দিন কথা বলেননি, তাঁরাও অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সঙ্গে প্রশংসা করেছেন।
এর আগেই ‘মেসমেট’ সিরিজে আপনার অভিনয় দেখা গেল...
এর নির্মাতাও একজন তরুণ। মেসমেট করেও ভীষণ ভালো লেগেছে। গল্পটা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠবে তা নয়, কিন্তু একটা আলাদা আকর্ষণ রয়েছে।
ওটিটিতে কি তাহলে নিয়মিত হচ্ছেন?
তেমনটা নয়। অভিনয় আমার দুর্বলতা। ১৯৭৫ সাল থেকে অভিনয় করছি। যদি পর্যালোচনা করা হয়, তাহলে বোঝা যাবে আমি কখনোই অভিনয়ের সঙ্গে খুব বেশি জড়িয়ে থাকতে চাইনি। একসময় একটাই টেলিভিশন ছিল। তখন যাঁরাই কাজ করেছেন, ভালোবেসে করেছেন। পরবর্তীকালে এটার পরিধিটা অনেক বেড়ে গেল। তাই কাউকে কাউকে ভাবতে হয়েছে, এটা পেশা হয়ে উঠুক। অল্পসংখ্যক মানুষ ভেবেছে, এটা পেশা না হোক। ভালো লাগার ও ভালোবাসার জায়গায় থাকুক। আমার কাছে অভিনয়টা ভালো লাগার জায়গা, ভালোবাসার জায়গা। শুধু দর্শকের সামনে থাকার জন্য কিংবা করার জন্য করা, এটা ব্যক্তিগতভাবে আমার ভালো লাগে না।
যতটা আশা করা হয়েছিল, আমাদের ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো ততটা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারছে না। এই বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
কেন শক্তিশালী হয়ে উঠছে না, সেটার উত্তর আমার জানা নেই। তবে আমি চাই প্ল্যাটফর্মগুলো টিকে থাকুক। আমরা দেশের বাইরের অনেক ধারাবাহিক বা সিনেমা দেখছি। কিন্তু আমাদের বেলায় এমন হয়ে ওঠেনি। ওটিটি আসার পর এই পথটা উন্মুক্ত হয়েছে। এখন আমাদের কাজ বাইরের দেশের মানুষ দেখার সুযোগ পাচ্ছে, ভবিষ্যতে আরও পাবে। তাই আশা করব, এই মাধ্যমটা ভালোভাবে টিকে থাকুক।
ইউটিউবে প্রকাশিত নাটকের অনেক ভিউ দেখা যায়। কিন্তু ওটিটির কনটেন্টগুলো এখনো মানুষের মাঝে সেভাবে পৌঁছাতে পারছে না। এ বিষয়ে কী করা উচিত বলে মনে করেন?
আমরা যদি কোনো বিশেষ মাধ্যমকে বলি, এই মাধ্যমে অসংখ্য দর্শক আছে এবং সেই বিশেষ দর্শকশ্রেণি যদি বিচারক হয়, তাহলে আমাদের কাজের যে উচ্চতা, সেটি সঠিক হবে কি না, সেটা বিবেচনার বিষয়। এখন বেশির ভাগ সময়ে বাংলাদেশে সবকিছু সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা করা হয়। একটি গান কতবার শুনল, একটা নাটক কতজনে দেখল, একজন অভিনয়শিল্পীকে কত মানুষ পছন্দ করল। যখন আমাদের একটা রেডিও এবং একটা টেলিভিশন ছিল, মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ কম ছিল। তাই বলে কি চট্টগ্রামের একটি ব্যান্ড সোলস যখন নতুন ধারার গান করল, সেই গানগুলো কি সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছায়নি? পৌঁছেছে নতুনত্বের কারণে। একটা বিশেষ শ্রেণি পছন্দ করেছে, আরেকটি শ্রেণি করেনি, এমনটা হয়নি। একটা সময় টেলিভিশনের মাধ্যমে কিছু গায়কের উত্থান হয়েছে। আজম খান, ফেরদৌস ওয়াহিদ, ফিরোজ সাঁই, ফকির আলমগীর, পিলু মমতাজসহ অনেকে। তাঁরা একেকজন একেক ধরনের গান করেন। সমস্ত শ্রোতা বলল, তাঁদের গান ভালো। তার মানে, ভালোকে ভালো বলার বিশেষ ক্ষমতাটা মানুষের মাঝে ছিল। পরবর্তীকালে আইয়ুব বাচ্চু, জেমস এলেন। তাঁরাও তো ভিন্ন ঘরানার গান ও গায়কি নিয়ে সফল হলেন। যে আলাদা, যে ভিন্ন, তাকে সব শ্রেণি পছন্দ করবে। আমরা এখন আলাদা কি না, সেটাই ভাবার বিষয়। আমি যদি কোনো শ্রেণির হয়ে কিছু করতে চাই, তাহলে সেটা এগিয়ে যাওয়া হবে না, হবে থমকে যাওয়া। যাঁদের কথা বললাম, তাঁরা কেউ জনপ্রিয়তার পেছনে ছোটেননি, ভালোর পেছনে ছুটেছেন। জনপ্রিয় হওয়ার বাসনাটা শুরুতেই মানুষকে পরাজিত করছে।
কী করলে আমাদের কনটেন্টগুলো আরও ভালো হতে পারে বলে মনে হয়?
আমাদের কনটেন্টগুলোতে বিষয়বৈচিত্র্য খুব একটা নেই। মাঝে মাঝে কিছু আলাদা বিষয় নিয়ে কাজ হয়। সাধারণের মাঝেও অসাধারণ কোনো বিষয় থাকে। কিন্তু সেটা বড় করে বলা হয় না। আমরা রোজ বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আয়নার সামনে দাঁড়াই। নিজেকেই কোনো দিন ভালো লাগে, আবার কোনো দিন লাগে না। নিজেই নিজের মধ্যে বৈচিত্র্য চাই। সুতরাং আমরা যা উপভোগ করি, তার মধ্যেও বৈচিত্র্য থাকাটা জরুরি। আমাদের দেশে যাঁরা লেখেন, যাঁরা নির্মাণ করেন, অভিনয়শিল্পী বা কলাকুশলী যাঁরা আছেন, প্রত্যেকেই খুব দক্ষ এবং প্রতিভাবান। কিন্তু আমাদের যে আলাদা ভাবনা আছে, মনমানসিকতা আছে, সেগুলো আমাদের কাজে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। অন্য দেশের দর্শক তাদেরটা বাদ দিয়ে কেন আমাদের দেখবেন, সেটা ভাবতে হবে। আমাদের কাজে আমাদের নিজস্বতা থাকতে হবে। তবেই আমাদের কাজের আকর্ষণ বাড়বে।
বাংলাদেশে স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাণ বেড়েছে। বিদেশেও প্রশংসিত হচ্ছে। স্বল্পদৈর্ঘ্য নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
ভালো কাজ ও নতুন চিন্তা আমাদের দেশে প্রশ্রয় পায় না। আশার কথা হচ্ছে, যাঁরা বাইরে যোগাযোগ করতে পারেন, তাঁরা নতুন ভাবনা বা কাজের ব্যাপারে সহায়তা পান। এখন সারা বিশ্বের নির্মাতাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ আছে। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণেই অনেক সিনেমা তৈরি হয়ে বাইরে যাচ্ছে।
আমাদের দেশে পৃষ্ঠপোষক তৈরি হচ্ছে না কেন?
পৃথিবীতে শিল্পমনস্কতা শিল্পচর্চা বাঁচিয়ে দেয়। হাজার বছর আগেও শিল্পীরা ছবি এঁকেছেন। সেই ছবি এঁকে তো শিল্পীর পেটে ভাত জোটেনি। কিন্তু ছবি আঁকার যে স্পৃহা, আবেগ বা তাগিদ, সেটা তো কেউ না কেউ বাঁচিয়ে রেখেছেন। শিল্পী একা বাঁচিয়ে রাখেননি, তাঁর সঙ্গে মানুষ ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে। অতীতেও আমাদের দেশে যাঁরা বড় পরিবারের ছিলেন, সেটা রাজা হোক কিংবা জমিদার, তাঁরা অতিথিশালা নির্মাণ করেছেন, বিদ্যাপীঠ, প্রার্থনাশালা, রাস্তাঘাট নির্মাণ করেছেন। নিজের কাছে থাকা জিনিস কাজে লাগিয়েছেন মানুষের প্রয়োজনে। কেন? কারণ মানুষের সাহায্য হবে। আমার মনে হয়, সেই যুগ পৃথিবীতে এখনো শেষ হয়ে যায়নি। সেদিন শুনলাম, আমেরিকাতে কয়েকজন অভিনেতা মিলে একটা অতিথিশালা নির্মাণ করেছেন। কারণ হলো, চিকিৎসার জন্য যাঁদের দীর্ঘকাল হাসপাতালে থাকতে হবে, তাঁদের সঙ্গে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের থাকার যেন সমস্যা না হয়। এই যে প্রক্রিয়াটা, এটা মানুষ, মানবতা, আবেগ এগুলোকে বাঁচিয়ে রাখে। আমাদের দেশে শুনি, অসংখ্য অর্থবান মানুষ আছেন কিন্তু সামাজিক উন্নয়নে সেই অর্থবান মানুষের ভূমিকা খুব কম দেখতে পাই। আমরা দেখেছি, সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার প্রযোজক আর ডি বনশল। ভিন্ন ভাষার একজন হয়েও তিনি মনে করেননি, এটি আমার ভাষার সিনেমা নয়, এখানে বিনিয়োগ করা যাবে না। আমাদের দেশে সে বিষয়টি হয়ে ওঠেনি। আমাদের দেশের নির্মাতা-কলাকুশলীদের যদি সাপোর্ট করা যেত, তাহলে আমরা আরও উঁচু জায়গায় যেতে পারতাম।
আমাদের দেশেও সিনেমার সোনালি সময় ছিল। এখন সেটা নেই কেন?
আমি কিন্তু সিনেমার পোকা ছিলাম। সপ্তাহে তিন-চারটি সিনেমা তো দেখতামই। অনেক ধরনের সিনেমা হয়েছে আমাদের দেশে। পোশাকি সিনেমা, সামাজিক, রাজনৈতিক সিনেমা যেমন হয়েছে, আবার প্রেমের সিনেমাও হয়েছে। তার পরে, আমাদের মাথা খেয়ে ফেলল বাণিজ্য। এই সিনেমা দেখতে হবে আর দেখাতে হবে—এই দুটি কারণে সিনেমার রূপ এমনভাবে পাল্টে ফেললাম যে বৃহৎসংখ্যক মানুষ সিনেমা দেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলল। মুখ থুবড়ে পড়ল সিনেমা। যখন একজন তাঁর সমস্ত বিশ্বাস, আদর্শ, যোগ্যতা দিয়ে একটা সিনেমা নির্মাণ করেন, আমরা সেটাকে বড় করে দেখি না। কারণ, সেটার মধ্যে বাণিজ্য নেই। যারা নতুন ভাবনা নিয়ে আসছে, তাদের কাজগুলো সবার সামনে তুলে ধরা দরকার। নির্মাতারা তাঁদের কাজটি করলেও বাকিরা তাদের করণীয়টা করছে না। সিনেমাটা তো দর্শকদের দেখতে হবে। সেই বন্দোবস্তটাই করা হচ্ছে না।
বাণিজ্যিক সিনেমাই কি আমাদের অন্তরায়?
বাণিজ্যিক ছবির সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। বাণিজ্যিক ছবি বানানো অত্যন্ত যোগ্যতার ব্যাপার। আমি বলতে চাইছি, বাণিজ্যিক ঘরানার পাশাপাশি নতুন ভাবনার সিনেমা তৈরি হলে তার প্রতি মানুষকে আগ্রহী করে তোলার ভূমিকা সবার থাকা দরকার। সেটা আমাদের দেশে নেই। তাই এমন সিনেমার নির্মাতারা কত দিন কষ্ট করে টিকে থাকতে পারবেন, সেটা বড় প্রশ্ন। কিন্তু আস্থার কথা হলো, এসবের মধ্যেও বহু সিনেমা হচ্ছে, যে সিনেমাগুলো খুব চমৎকার ও অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে নির্মিত হয়েছে।
ওটিটিতে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া আপনার অভিনীত ‘২ষ’ সিরিজের ‘অন্তরা’ পর্বটি সম্পর্কে বলুন।
এটি প্রথম সিজনের ‘মিষ্টি কিছু’ পর্বের সিকুয়েল। মিষ্টি কিছু যেখানে শেষ হয়েছিল, তার পর থেকে অন্তরা শুরু। পর্বটির প্রেক্ষাপট বেশ সিরিয়াস। আমার কাজ করতে অনেক ভালো লেগেছে।
আপনি নিয়মিত অভিনয় করেন না। কিন্তু নুহাশ হুমায়ূনের ‘ষ’-এর দুই সিজনেই কাজ করলেন। বিশেষ কোনো কারণ আছে?
নুহাশকে আমার ভালো লাগে। তার ভাবনাগুলো আলাদা। নতুন ভাবনা যাঁরা ভাবতে পারেন, তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারা মানে নিজের কিছুটা আয়ু বৃদ্ধি করা, ভাবনাকে সমৃদ্ধ করা। দুটি চিত্রনাট্য পড়েই আমার মনে হয়েছে, ও খুব আলাদা করে ভাবে।
কেমন রেসপন্স পাচ্ছেন?
রেসপন্স নিয়ে আমি ভাবি না। ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে যা বিশেষ, যা আলাদা কিংবা ভিন্ন এবং সবার আগ্রহ সৃষ্টি করে, তার সঙ্গে আমি জড়িত আছি। তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যাঁরা দেখছেন, তাঁরা এই ‘আলাদা কিছু’কে সম্মানিত করছেন। পেট কাটা ষ যখন প্রথম এল, তখন দেখলাম প্রতিটি গল্প আলাদা। একজন লেখক বা নির্মাতার গল্প এত ভিন্ন হতে পারে, এটি কিন্তু চমকে যাওয়ার মতো ঘটনা। আরও ভালো লেগেছিল, তরুণ প্রজন্মের যারা টেলিভিশন বা ছোট পর্দা নিয়ে আগ্রহ দেখায় না, তাদের ভেতর একটা আগ্রহ তৈরি করতে পেরেছে। যাঁরা ছোট পর্দার কাজ নিয়ে কোনো দিন কথা বলেননি, তাঁরাও অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সঙ্গে প্রশংসা করেছেন।
এর আগেই ‘মেসমেট’ সিরিজে আপনার অভিনয় দেখা গেল...
এর নির্মাতাও একজন তরুণ। মেসমেট করেও ভীষণ ভালো লেগেছে। গল্পটা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠবে তা নয়, কিন্তু একটা আলাদা আকর্ষণ রয়েছে।
ওটিটিতে কি তাহলে নিয়মিত হচ্ছেন?
তেমনটা নয়। অভিনয় আমার দুর্বলতা। ১৯৭৫ সাল থেকে অভিনয় করছি। যদি পর্যালোচনা করা হয়, তাহলে বোঝা যাবে আমি কখনোই অভিনয়ের সঙ্গে খুব বেশি জড়িয়ে থাকতে চাইনি। একসময় একটাই টেলিভিশন ছিল। তখন যাঁরাই কাজ করেছেন, ভালোবেসে করেছেন। পরবর্তীকালে এটার পরিধিটা অনেক বেড়ে গেল। তাই কাউকে কাউকে ভাবতে হয়েছে, এটা পেশা হয়ে উঠুক। অল্পসংখ্যক মানুষ ভেবেছে, এটা পেশা না হোক। ভালো লাগার ও ভালোবাসার জায়গায় থাকুক। আমার কাছে অভিনয়টা ভালো লাগার জায়গা, ভালোবাসার জায়গা। শুধু দর্শকের সামনে থাকার জন্য কিংবা করার জন্য করা, এটা ব্যক্তিগতভাবে আমার ভালো লাগে না।
যতটা আশা করা হয়েছিল, আমাদের ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো ততটা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারছে না। এই বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
কেন শক্তিশালী হয়ে উঠছে না, সেটার উত্তর আমার জানা নেই। তবে আমি চাই প্ল্যাটফর্মগুলো টিকে থাকুক। আমরা দেশের বাইরের অনেক ধারাবাহিক বা সিনেমা দেখছি। কিন্তু আমাদের বেলায় এমন হয়ে ওঠেনি। ওটিটি আসার পর এই পথটা উন্মুক্ত হয়েছে। এখন আমাদের কাজ বাইরের দেশের মানুষ দেখার সুযোগ পাচ্ছে, ভবিষ্যতে আরও পাবে। তাই আশা করব, এই মাধ্যমটা ভালোভাবে টিকে থাকুক।
ইউটিউবে প্রকাশিত নাটকের অনেক ভিউ দেখা যায়। কিন্তু ওটিটির কনটেন্টগুলো এখনো মানুষের মাঝে সেভাবে পৌঁছাতে পারছে না। এ বিষয়ে কী করা উচিত বলে মনে করেন?
আমরা যদি কোনো বিশেষ মাধ্যমকে বলি, এই মাধ্যমে অসংখ্য দর্শক আছে এবং সেই বিশেষ দর্শকশ্রেণি যদি বিচারক হয়, তাহলে আমাদের কাজের যে উচ্চতা, সেটি সঠিক হবে কি না, সেটা বিবেচনার বিষয়। এখন বেশির ভাগ সময়ে বাংলাদেশে সবকিছু সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা করা হয়। একটি গান কতবার শুনল, একটা নাটক কতজনে দেখল, একজন অভিনয়শিল্পীকে কত মানুষ পছন্দ করল। যখন আমাদের একটা রেডিও এবং একটা টেলিভিশন ছিল, মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ কম ছিল। তাই বলে কি চট্টগ্রামের একটি ব্যান্ড সোলস যখন নতুন ধারার গান করল, সেই গানগুলো কি সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছায়নি? পৌঁছেছে নতুনত্বের কারণে। একটা বিশেষ শ্রেণি পছন্দ করেছে, আরেকটি শ্রেণি করেনি, এমনটা হয়নি। একটা সময় টেলিভিশনের মাধ্যমে কিছু গায়কের উত্থান হয়েছে। আজম খান, ফেরদৌস ওয়াহিদ, ফিরোজ সাঁই, ফকির আলমগীর, পিলু মমতাজসহ অনেকে। তাঁরা একেকজন একেক ধরনের গান করেন। সমস্ত শ্রোতা বলল, তাঁদের গান ভালো। তার মানে, ভালোকে ভালো বলার বিশেষ ক্ষমতাটা মানুষের মাঝে ছিল। পরবর্তীকালে আইয়ুব বাচ্চু, জেমস এলেন। তাঁরাও তো ভিন্ন ঘরানার গান ও গায়কি নিয়ে সফল হলেন। যে আলাদা, যে ভিন্ন, তাকে সব শ্রেণি পছন্দ করবে। আমরা এখন আলাদা কি না, সেটাই ভাবার বিষয়। আমি যদি কোনো শ্রেণির হয়ে কিছু করতে চাই, তাহলে সেটা এগিয়ে যাওয়া হবে না, হবে থমকে যাওয়া। যাঁদের কথা বললাম, তাঁরা কেউ জনপ্রিয়তার পেছনে ছোটেননি, ভালোর পেছনে ছুটেছেন। জনপ্রিয় হওয়ার বাসনাটা শুরুতেই মানুষকে পরাজিত করছে।
কী করলে আমাদের কনটেন্টগুলো আরও ভালো হতে পারে বলে মনে হয়?
আমাদের কনটেন্টগুলোতে বিষয়বৈচিত্র্য খুব একটা নেই। মাঝে মাঝে কিছু আলাদা বিষয় নিয়ে কাজ হয়। সাধারণের মাঝেও অসাধারণ কোনো বিষয় থাকে। কিন্তু সেটা বড় করে বলা হয় না। আমরা রোজ বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আয়নার সামনে দাঁড়াই। নিজেকেই কোনো দিন ভালো লাগে, আবার কোনো দিন লাগে না। নিজেই নিজের মধ্যে বৈচিত্র্য চাই। সুতরাং আমরা যা উপভোগ করি, তার মধ্যেও বৈচিত্র্য থাকাটা জরুরি। আমাদের দেশে যাঁরা লেখেন, যাঁরা নির্মাণ করেন, অভিনয়শিল্পী বা কলাকুশলী যাঁরা আছেন, প্রত্যেকেই খুব দক্ষ এবং প্রতিভাবান। কিন্তু আমাদের যে আলাদা ভাবনা আছে, মনমানসিকতা আছে, সেগুলো আমাদের কাজে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। অন্য দেশের দর্শক তাদেরটা বাদ দিয়ে কেন আমাদের দেখবেন, সেটা ভাবতে হবে। আমাদের কাজে আমাদের নিজস্বতা থাকতে হবে। তবেই আমাদের কাজের আকর্ষণ বাড়বে।
বাংলাদেশে স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাণ বেড়েছে। বিদেশেও প্রশংসিত হচ্ছে। স্বল্পদৈর্ঘ্য নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
ভালো কাজ ও নতুন চিন্তা আমাদের দেশে প্রশ্রয় পায় না। আশার কথা হচ্ছে, যাঁরা বাইরে যোগাযোগ করতে পারেন, তাঁরা নতুন ভাবনা বা কাজের ব্যাপারে সহায়তা পান। এখন সারা বিশ্বের নির্মাতাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ আছে। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণেই অনেক সিনেমা তৈরি হয়ে বাইরে যাচ্ছে।
আমাদের দেশে পৃষ্ঠপোষক তৈরি হচ্ছে না কেন?
পৃথিবীতে শিল্পমনস্কতা শিল্পচর্চা বাঁচিয়ে দেয়। হাজার বছর আগেও শিল্পীরা ছবি এঁকেছেন। সেই ছবি এঁকে তো শিল্পীর পেটে ভাত জোটেনি। কিন্তু ছবি আঁকার যে স্পৃহা, আবেগ বা তাগিদ, সেটা তো কেউ না কেউ বাঁচিয়ে রেখেছেন। শিল্পী একা বাঁচিয়ে রাখেননি, তাঁর সঙ্গে মানুষ ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে। অতীতেও আমাদের দেশে যাঁরা বড় পরিবারের ছিলেন, সেটা রাজা হোক কিংবা জমিদার, তাঁরা অতিথিশালা নির্মাণ করেছেন, বিদ্যাপীঠ, প্রার্থনাশালা, রাস্তাঘাট নির্মাণ করেছেন। নিজের কাছে থাকা জিনিস কাজে লাগিয়েছেন মানুষের প্রয়োজনে। কেন? কারণ মানুষের সাহায্য হবে। আমার মনে হয়, সেই যুগ পৃথিবীতে এখনো শেষ হয়ে যায়নি। সেদিন শুনলাম, আমেরিকাতে কয়েকজন অভিনেতা মিলে একটা অতিথিশালা নির্মাণ করেছেন। কারণ হলো, চিকিৎসার জন্য যাঁদের দীর্ঘকাল হাসপাতালে থাকতে হবে, তাঁদের সঙ্গে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের থাকার যেন সমস্যা না হয়। এই যে প্রক্রিয়াটা, এটা মানুষ, মানবতা, আবেগ এগুলোকে বাঁচিয়ে রাখে। আমাদের দেশে শুনি, অসংখ্য অর্থবান মানুষ আছেন কিন্তু সামাজিক উন্নয়নে সেই অর্থবান মানুষের ভূমিকা খুব কম দেখতে পাই। আমরা দেখেছি, সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার প্রযোজক আর ডি বনশল। ভিন্ন ভাষার একজন হয়েও তিনি মনে করেননি, এটি আমার ভাষার সিনেমা নয়, এখানে বিনিয়োগ করা যাবে না। আমাদের দেশে সে বিষয়টি হয়ে ওঠেনি। আমাদের দেশের নির্মাতা-কলাকুশলীদের যদি সাপোর্ট করা যেত, তাহলে আমরা আরও উঁচু জায়গায় যেতে পারতাম।
আমাদের দেশেও সিনেমার সোনালি সময় ছিল। এখন সেটা নেই কেন?
আমি কিন্তু সিনেমার পোকা ছিলাম। সপ্তাহে তিন-চারটি সিনেমা তো দেখতামই। অনেক ধরনের সিনেমা হয়েছে আমাদের দেশে। পোশাকি সিনেমা, সামাজিক, রাজনৈতিক সিনেমা যেমন হয়েছে, আবার প্রেমের সিনেমাও হয়েছে। তার পরে, আমাদের মাথা খেয়ে ফেলল বাণিজ্য। এই সিনেমা দেখতে হবে আর দেখাতে হবে—এই দুটি কারণে সিনেমার রূপ এমনভাবে পাল্টে ফেললাম যে বৃহৎসংখ্যক মানুষ সিনেমা দেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলল। মুখ থুবড়ে পড়ল সিনেমা। যখন একজন তাঁর সমস্ত বিশ্বাস, আদর্শ, যোগ্যতা দিয়ে একটা সিনেমা নির্মাণ করেন, আমরা সেটাকে বড় করে দেখি না। কারণ, সেটার মধ্যে বাণিজ্য নেই। যারা নতুন ভাবনা নিয়ে আসছে, তাদের কাজগুলো সবার সামনে তুলে ধরা দরকার। নির্মাতারা তাঁদের কাজটি করলেও বাকিরা তাদের করণীয়টা করছে না। সিনেমাটা তো দর্শকদের দেখতে হবে। সেই বন্দোবস্তটাই করা হচ্ছে না।
বাণিজ্যিক সিনেমাই কি আমাদের অন্তরায়?
বাণিজ্যিক ছবির সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। বাণিজ্যিক ছবি বানানো অত্যন্ত যোগ্যতার ব্যাপার। আমি বলতে চাইছি, বাণিজ্যিক ঘরানার পাশাপাশি নতুন ভাবনার সিনেমা তৈরি হলে তার প্রতি মানুষকে আগ্রহী করে তোলার ভূমিকা সবার থাকা দরকার। সেটা আমাদের দেশে নেই। তাই এমন সিনেমার নির্মাতারা কত দিন কষ্ট করে টিকে থাকতে পারবেন, সেটা বড় প্রশ্ন। কিন্তু আস্থার কথা হলো, এসবের মধ্যেও বহু সিনেমা হচ্ছে, যে সিনেমাগুলো খুব চমৎকার ও অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে নির্মিত হয়েছে।

গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
১৯ ঘণ্টা আগে
বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
২০ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
২০ ঘণ্টা আগে
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
২ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে বিনা কর্তনে ছাড়পত্র পেয়েছে ময়নার চর। সবকিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারিতে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ‘ময়নার চর মুক্তি নিয়ে সিনেমার প্রযোজক-অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা চাইছি জাতীয় নির্বাচনের আগে সিনেমাটি মুক্তি দিতে। কারণ এরপর রোজা শুরু হবে। আর ঈদের সময় সিনেমা মুক্তির হিড়িক দেখা যায়। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৬ জানুয়ারি মুক্তির সম্ভাব্য তারিখ পরিকল্পনা করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হবে।’
সিনেমার গল্প নিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘চর এলাকার মানুষের জীবনের নানা রকম টানাপোড়েন নিয়ে সিনেমার গল্প। একটি খুনের ঘটনা নিয়ে এগিয়ে চলে গল্প। পর্দায় গল্পটি সঠিকভাবে তুলে ধরতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুটিং করা হয়েছে। সব কলাকুশলী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আশা করছি দর্শক সেটা পর্দায় দেখতে পারবে।’
অভিনেতা মামনুন ইমন এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে এই সিনেমার মুক্তির খবর শুনে দারুণ খুশি তিনি। জানালেন, ময়নার চরের জন্য অভিনেতা হিসেবে নতুন করে এক্সপেরিমেন্ট করেছেন তিনি।
ইমন বলেন, ‘সিনেমায় আমার অভিনীত চরিত্রের নাম কাশেম। একেবারে প্রত্যন্ত চরে শীতের মধ্যে শুটিং করেছিলাম। সরকারি অনুদানের স্ক্রিপ্টে সর্বোচ্চ মার্কস পাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্যে ময়নার চর একটি। এত কষ্টের কাজটি যেহেতু কোনো ধরনের আপত্তি বা কর্তন ছাড়াই চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে অনুমতি পেয়েছে, খবরটি শুনে নিজের মধ্যে অনেক শান্তি লাগছে।’
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে ইমন বলেন, ‘এই সিনেমার গল্পটি আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের। শুটিংও হয়েছে ওই রকম এলাকায়। ছবির মতোই সুন্দর লোকেশন। চারপাশে নদী। এর মধ্যে চর পড়ছে। অল্প কিছু মানুষের বসতি, বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও সেখানকার মানুষের জীবনযাপন আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
ময়নার চর সিনেমায় ইমনের বিপরীতে রয়েছেন সুস্মি রহমান। সহপ্রযোজনায় রয়েছেন সুমন পারভেজ।

গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে বিনা কর্তনে ছাড়পত্র পেয়েছে ময়নার চর। সবকিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারিতে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ‘ময়নার চর মুক্তি নিয়ে সিনেমার প্রযোজক-অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা চাইছি জাতীয় নির্বাচনের আগে সিনেমাটি মুক্তি দিতে। কারণ এরপর রোজা শুরু হবে। আর ঈদের সময় সিনেমা মুক্তির হিড়িক দেখা যায়। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৬ জানুয়ারি মুক্তির সম্ভাব্য তারিখ পরিকল্পনা করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হবে।’
সিনেমার গল্প নিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘চর এলাকার মানুষের জীবনের নানা রকম টানাপোড়েন নিয়ে সিনেমার গল্প। একটি খুনের ঘটনা নিয়ে এগিয়ে চলে গল্প। পর্দায় গল্পটি সঠিকভাবে তুলে ধরতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুটিং করা হয়েছে। সব কলাকুশলী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আশা করছি দর্শক সেটা পর্দায় দেখতে পারবে।’
অভিনেতা মামনুন ইমন এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে এই সিনেমার মুক্তির খবর শুনে দারুণ খুশি তিনি। জানালেন, ময়নার চরের জন্য অভিনেতা হিসেবে নতুন করে এক্সপেরিমেন্ট করেছেন তিনি।
ইমন বলেন, ‘সিনেমায় আমার অভিনীত চরিত্রের নাম কাশেম। একেবারে প্রত্যন্ত চরে শীতের মধ্যে শুটিং করেছিলাম। সরকারি অনুদানের স্ক্রিপ্টে সর্বোচ্চ মার্কস পাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্যে ময়নার চর একটি। এত কষ্টের কাজটি যেহেতু কোনো ধরনের আপত্তি বা কর্তন ছাড়াই চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে অনুমতি পেয়েছে, খবরটি শুনে নিজের মধ্যে অনেক শান্তি লাগছে।’
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে ইমন বলেন, ‘এই সিনেমার গল্পটি আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের। শুটিংও হয়েছে ওই রকম এলাকায়। ছবির মতোই সুন্দর লোকেশন। চারপাশে নদী। এর মধ্যে চর পড়ছে। অল্প কিছু মানুষের বসতি, বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও সেখানকার মানুষের জীবনযাপন আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
ময়নার চর সিনেমায় ইমনের বিপরীতে রয়েছেন সুস্মি রহমান। সহপ্রযোজনায় রয়েছেন সুমন পারভেজ।

আফজাল হোসেন একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী। নিয়মিত না হলেও এখনো বিভিন্ন নাটক-সিরিজে দেখা যায় তাঁর অভিনয়নৈপুণ্য। সম্প্রতি প্রকাশিত হলো তাঁর অভিনীত দুটি ওয়েব সিরিজ। সিনেমায়ও অভিনয় করছেন তিনি।
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
২০ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
২০ ঘণ্টা আগে
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
২ দিন আগেএ সপ্তাহের সিনেমা
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
অ্যানাকোন্ডা
১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া অ্যাকশন অ্যাডভেঞ্চার হরর সিনেমা ‘অ্যানাকোন্ডা’ বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছিল। বক্স অফিসে সাফল্য পায় ভয়ঙ্কর সাপের এই সিনেমা। ২০০৪ সালে এর সিক্যুয়েল ‘অ্যানাকোন্ডাস: দ্য হান্ট ফর দ্য ব্লাড অর্কিড’ মুক্তি পায়। পরবর্তী সময়ে আরও দুটি সিনেমা মুক্তি পায়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে রিবুট তৈরির ঘোষণা দেয় সনি পিকচার্স। সে অনুযায়ী নির্মিত হয় অ্যাকশন কমেডি সিনেমা ‘অ্যানাকোন্ডা’।
গতকাল ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। ১৯৯৭ সালের অ্যানাকোন্ডা সিনেমার মেটা-রিবুট এটি। তবে মূল সিনেমার সরাসরি রিমেক নয়, মেটা-রিবুট কমেডি-থ্রিলার হিসেবে তৈরি হয়েছে। গল্পের মূল চরিত্র ডগ এবং গ্রিফ তাদের জীবনের মিডলাইফ ক্রাইসিস কাটিয়ে উঠতে চায়। সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের শৈশবের প্রিয় সিনেমা অ্যানাকোন্ডা রিমেক করার। ছোট বাজেটের একটি সিনেমা বানাতে আমাজন জঙ্গলে যাত্রা শুরু করে তারা। কিন্তু শুটিং শুরু হওয়ার পর তাদের সামনে আসে নানা রকম সংকট। আবহাওয়া এবং পরিবেশগত সমস্যার সঙ্গে লড়াই তো আছেই, সেই সঙ্গে বাড়তি বিপদ হিসেবে তারা সত্যিই মুখোমুখি হয় বিশাল এক অ্যানাকোন্ডার। টম গোর্মিকানের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন পল রুড, জ্যাক ব্ল্যাক, স্টিভ জ্যান, থান্ডিওয়ে নিউটন, ড্যানিয়েলা মেলচিওর, সেলটন মেলো প্রমুখ।
দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস
দ্য স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস সিরিজের নতুন সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমা। গতকাল থেকে দেখা যাচ্ছে দেশের হলে।
দ্য স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস একটি জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড সিরিজ ও চরিত্র, যা একটি হলুদ স্পঞ্জসদৃশ প্রাণীর মজার কাণ্ডকারখানা নিয়ে তৈরি। সে বিকিনি বটম শহরে তার পোষা শামুক গ্যারির সঙ্গে একটি আনারসের মধ্যে থাকে এবং ক্রাস্টি ক্র্যাবে কাজ করে। এই সিনেমায় সে ফ্লাইং ডাচম্যানের মুখোমুখি হয় এবং সমুদ্রের গভীরে অ্যাডভেঞ্চার করে। স্পঞ্জববকে তার হারিয়ে যাওয়া পোষা প্রাণী গ্যারির সন্ধানে সমুদ্রের গভীরে এক মহাকাশযানে যেতে হয়, যেখানে সে ফ্লাইং ডাসম্যানের মতো ভিলেনদের মোকাবিলা করে। মুক্তির পর দর্শকদের ভালো সাড়া পেয়েছে সিনেমাটি। বক্স অফিসে সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে সিনেমাটি।

বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
অ্যানাকোন্ডা
১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া অ্যাকশন অ্যাডভেঞ্চার হরর সিনেমা ‘অ্যানাকোন্ডা’ বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছিল। বক্স অফিসে সাফল্য পায় ভয়ঙ্কর সাপের এই সিনেমা। ২০০৪ সালে এর সিক্যুয়েল ‘অ্যানাকোন্ডাস: দ্য হান্ট ফর দ্য ব্লাড অর্কিড’ মুক্তি পায়। পরবর্তী সময়ে আরও দুটি সিনেমা মুক্তি পায়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে রিবুট তৈরির ঘোষণা দেয় সনি পিকচার্স। সে অনুযায়ী নির্মিত হয় অ্যাকশন কমেডি সিনেমা ‘অ্যানাকোন্ডা’।
গতকাল ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। ১৯৯৭ সালের অ্যানাকোন্ডা সিনেমার মেটা-রিবুট এটি। তবে মূল সিনেমার সরাসরি রিমেক নয়, মেটা-রিবুট কমেডি-থ্রিলার হিসেবে তৈরি হয়েছে। গল্পের মূল চরিত্র ডগ এবং গ্রিফ তাদের জীবনের মিডলাইফ ক্রাইসিস কাটিয়ে উঠতে চায়। সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের শৈশবের প্রিয় সিনেমা অ্যানাকোন্ডা রিমেক করার। ছোট বাজেটের একটি সিনেমা বানাতে আমাজন জঙ্গলে যাত্রা শুরু করে তারা। কিন্তু শুটিং শুরু হওয়ার পর তাদের সামনে আসে নানা রকম সংকট। আবহাওয়া এবং পরিবেশগত সমস্যার সঙ্গে লড়াই তো আছেই, সেই সঙ্গে বাড়তি বিপদ হিসেবে তারা সত্যিই মুখোমুখি হয় বিশাল এক অ্যানাকোন্ডার। টম গোর্মিকানের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন পল রুড, জ্যাক ব্ল্যাক, স্টিভ জ্যান, থান্ডিওয়ে নিউটন, ড্যানিয়েলা মেলচিওর, সেলটন মেলো প্রমুখ।
দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস
দ্য স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস সিরিজের নতুন সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমা। গতকাল থেকে দেখা যাচ্ছে দেশের হলে।
দ্য স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস একটি জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড সিরিজ ও চরিত্র, যা একটি হলুদ স্পঞ্জসদৃশ প্রাণীর মজার কাণ্ডকারখানা নিয়ে তৈরি। সে বিকিনি বটম শহরে তার পোষা শামুক গ্যারির সঙ্গে একটি আনারসের মধ্যে থাকে এবং ক্রাস্টি ক্র্যাবে কাজ করে। এই সিনেমায় সে ফ্লাইং ডাচম্যানের মুখোমুখি হয় এবং সমুদ্রের গভীরে অ্যাডভেঞ্চার করে। স্পঞ্জববকে তার হারিয়ে যাওয়া পোষা প্রাণী গ্যারির সন্ধানে সমুদ্রের গভীরে এক মহাকাশযানে যেতে হয়, যেখানে সে ফ্লাইং ডাসম্যানের মতো ভিলেনদের মোকাবিলা করে। মুক্তির পর দর্শকদের ভালো সাড়া পেয়েছে সিনেমাটি। বক্স অফিসে সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে সিনেমাটি।

আফজাল হোসেন একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী। নিয়মিত না হলেও এখনো বিভিন্ন নাটক-সিরিজে দেখা যায় তাঁর অভিনয়নৈপুণ্য। সম্প্রতি প্রকাশিত হলো তাঁর অভিনীত দুটি ওয়েব সিরিজ। সিনেমায়ও অভিনয় করছেন তিনি।
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
১৯ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
২০ ঘণ্টা আগে
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
২ দিন আগেএ সপ্তাহের ওটিটি
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
বিনোদন ডেস্ক, ঢাকা

ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি: রয়েল বেঙ্গল রহস্য (বাংলা সিরিজ)
রিভলবার রিতা (তামিল সিনেমা)
স্ট্রেঞ্জার থিংস: সিজন ৫ ভলিউম ২ (ইংরেজি সিরিজ)
নোবডি ২ (ইংরেজি সিনেমা)
এক দিওয়ানে কি দিওয়ানিয়ত (হিন্দি সিনেমা)

ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি: রয়েল বেঙ্গল রহস্য (বাংলা সিরিজ)
রিভলবার রিতা (তামিল সিনেমা)
স্ট্রেঞ্জার থিংস: সিজন ৫ ভলিউম ২ (ইংরেজি সিরিজ)
নোবডি ২ (ইংরেজি সিনেমা)
এক দিওয়ানে কি দিওয়ানিয়ত (হিন্দি সিনেমা)

আফজাল হোসেন একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী। নিয়মিত না হলেও এখনো বিভিন্ন নাটক-সিরিজে দেখা যায় তাঁর অভিনয়নৈপুণ্য। সম্প্রতি প্রকাশিত হলো তাঁর অভিনীত দুটি ওয়েব সিরিজ। সিনেমায়ও অভিনয় করছেন তিনি।
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
১৯ ঘণ্টা আগে
বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
২০ ঘণ্টা আগে
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
২ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
উৎসবটি আয়োজন করেছে আজব কারখানা। সঞ্জীব চৌধুরীর অমর সৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে উৎসবটি প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ পরিক্রমায় এটি দেশের সংগীতপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এবারের আয়োজনে গাইবেন জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, সভ্যতা, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, ফারাহ্দীবা তাসনীম, রাজেশ মজুমদার, রিহান রিজুয়ান প্রমুখ। আয়োজন তত্ত্বাবধানে রয়েছে সঞ্জীব উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ। সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি।
আয়োজক ও সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা সঞ্জীবদার গান শুনে বড় হয়েছি। তাঁর গান শুধু বিনোদন নয়, সঞ্জীবদার একটা দর্শন ছিল। আমরা যারা সিংগার-সংরাইটার হিসেবে সেই দর্শনকে ধারণ করি, এটা তাদেরই সম্মিলিত আয়োজন। যাতে সঞ্জীবদার গান-দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে যায়।’
সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিক। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পা মজুমদার মিলে গড়ে তুলেছিলেন দলছুট ব্যান্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে কাজের পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত ও সাহিত্যের চর্চা। ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রঙ্গিলা’, ‘সমুদ্রসন্তান’, ‘জোছনাবিহার’, ‘তোমার ভাঁজ খোল’, ‘চাঁদের জন্য গান’, ‘স্বপ্নবাজি’, ‘বায়োস্কোপ’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সঞ্জীব চৌধুরী।

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
উৎসবটি আয়োজন করেছে আজব কারখানা। সঞ্জীব চৌধুরীর অমর সৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে উৎসবটি প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ পরিক্রমায় এটি দেশের সংগীতপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এবারের আয়োজনে গাইবেন জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, সভ্যতা, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, ফারাহ্দীবা তাসনীম, রাজেশ মজুমদার, রিহান রিজুয়ান প্রমুখ। আয়োজন তত্ত্বাবধানে রয়েছে সঞ্জীব উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ। সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি।
আয়োজক ও সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা সঞ্জীবদার গান শুনে বড় হয়েছি। তাঁর গান শুধু বিনোদন নয়, সঞ্জীবদার একটা দর্শন ছিল। আমরা যারা সিংগার-সংরাইটার হিসেবে সেই দর্শনকে ধারণ করি, এটা তাদেরই সম্মিলিত আয়োজন। যাতে সঞ্জীবদার গান-দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে যায়।’
সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিক। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পা মজুমদার মিলে গড়ে তুলেছিলেন দলছুট ব্যান্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে কাজের পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত ও সাহিত্যের চর্চা। ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রঙ্গিলা’, ‘সমুদ্রসন্তান’, ‘জোছনাবিহার’, ‘তোমার ভাঁজ খোল’, ‘চাঁদের জন্য গান’, ‘স্বপ্নবাজি’, ‘বায়োস্কোপ’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সঞ্জীব চৌধুরী।

আফজাল হোসেন একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী। নিয়মিত না হলেও এখনো বিভিন্ন নাটক-সিরিজে দেখা যায় তাঁর অভিনয়নৈপুণ্য। সম্প্রতি প্রকাশিত হলো তাঁর অভিনীত দুটি ওয়েব সিরিজ। সিনেমায়ও অভিনয় করছেন তিনি।
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
১৯ ঘণ্টা আগে
বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
২০ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
২০ ঘণ্টা আগে