
ড. এস এম আবদুল আওয়াল পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ষষ্ঠ উপাচার্য। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সম্প্রতি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে তিনি অধ্যাপনা করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। ড. এস এম আবদুল আওয়ালের দেশি-বিদেশি একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি রয়েছে। তিনি পাবিপ্রবিতে নতুন দায়িত্ব গ্রহণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আবদুল্লাহ আল মামুন।
আবদুল্লাহ আল মামুন

দায়িত্ব গ্রহণ করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কী কাজ করেছেন?
নতুন প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর আমরা ইতিমধ্যে অনেক কাজ করেছি। শিক্ষকের সমস্যা কাটানোর জন্য বিভাগগুলোতে অতিথি শিক্ষকের ব্যবস্থা করেছি। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। শিক্ষার্থীদের আচরণবিধি তৈরি করেছি। রাত ৮টা পর্যন্ত মেডিকেল ও লাইব্রেরির সময় বাড়িয়েছি। জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। এ ছাড়া ছাত্র-ছাত্রী হলের সমস্যার সমাধান, ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান বাড়ানোর চেষ্টা, মসজিদে মেয়েদের অজুর জায়গা করে দেওয়া, দেশবরেণ্য স্কলারদের অতিথি করে নবীনবরণের আয়োজন করা এবং জুলাইয়ে শহীদদের স্মরণে ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক ও ক্লাসরুমের সংকট রয়েছে। দুটি আবাসিক হল, একাডেমিক ভবনসহ কয়েকটি নতুন ভবনের কাজ শেষ হলেও সেগুলো চালু করা যাচ্ছে না কেন?
আবাসিক সংকট ও ক্লাসরুমের সংকট কাটানোর জন্য আমাদের কয়েকটি ভবনের কাজ প্রায় শেষ। সেগুলো দ্রুত চালু করার বিষয়ে আমরা আন্তরিক। তবে ভবনগুলো ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত না করে ভবনগুলো খুলে দিতে পারি না। ভবনগুলোর সব ধরনের কাজ সঠিকভাবে শেষ হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি অ্যাসেসমেন্ট কমিটি কাজ করছে। এ কমিটির প্রতিবেদন পেলে বিবেচনা করে ভবনগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারব।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্ররাজনীতিসহ সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ রয়েছে। নির্বাচিত সরকার এলে ক্যাম্পাসে রাজনীতির পরিবেশ কেমন থাকতে পারে?
ক্যাম্পাসে এখন রাজনীতি নিষিদ্ধ রয়েছে। আমি চাই, নির্বাচিত সরকার এলেও এই আদেশ বহাল থাকুক। তা বহাল থাকলে খুব দ্রুত ভালো কিছু হবে। তবে এটা নির্ভর করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার ওপর। আমরা মনে করি, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সব রাজনীতি বন্ধ থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য মঙ্গল। ছাত্ররা আমাদের এখন যেভাবে সহযোগিতা করছে, নির্বাচিত সরকার আসার পরও এমন সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এই ধারা বজায় রাখা সহজ হবে।
বিগত সরকারের সময় ছাত্রলীগের হাতে অনেক শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা সেসব বিষয়ে অভিযোগও দিয়েছেন। ছাত্রলীগের নির্যাতনের বিচারের বিষয়ে প্রশাসন কী ভাবছে?
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে নির্যাতনের শিকার অনেক শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে অভিযোগ দিয়েছে। আমরা তদন্ত কমিটি করেছি, তারা কাজ করছে। তবে বিগত প্রশাসন শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো আচরণবিধি তৈরি করেনি। সে জন্য আমরা আগে আচরণবিধি তৈরি করছি। তারপর সেটি রিজেন্ট বোর্ডে পাস হবে। রিজেন্ট বোর্ডে আচরণবিধি পাস হওয়ার পর যাঁদের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, তাঁদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সমাবর্তন হয়নি। সমাবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হবে কি?
আমরা অবশ্যই সমাবর্তনের উদ্যোগ নেব। যেহেতু সমাবর্তন একটি বড় আয়োজন, তাই সময়টা এ মুহূর্তে নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা এর আয়োজন করতে পারব।
ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছেন?
আপাতত কিছু ভাবছি না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ছাত্র সংসদের বিষয়ে কথা বলা নেই। ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হলে সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে যুক্ত করতে হবে। সময় হলে এটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চিন্তা করবে।
শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন নিয়ে আপনাদের কোনো ভাবনা আছে কি?
নাম পরিবর্তনের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। রিজেন্ট বোর্ড তৈরি হলে এটা রিজেন্ট বোর্ডে তোলা হবে। আশা করি, রিজেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা প্রশস্ত করার বিষয়ে কোনো কাজ করা হচ্ছে কি?
এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যে প্রশাসনের অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে এটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। সে জন্য জায়গার বিষয়ে এখনই নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
জুলাই আন্দোলনের স্পিরিট ধরে রাখার জন্য কী করণীয় বলে মনে করেন?
আমি মনে করি, সহনশীলতা। আমাদের এই প্রজন্ম খারাপ একটা সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে।
এই প্রজন্ম একটা জিনিস খুব তাড়াতাড়ি পেতে চায়। আমাদের এই তাড়াতাড়ি পাওয়ার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমাদের দেশের সম্পদ সীমিত।
তাই আমরা চাইলেই দেশের মানুষকে রাতারাতি সব দিতে পারব না। তাই কোনো ভালো জিনিস পাওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই সময় দিতে হবে। একই সঙ্গে এই আন্দোলনের স্পিরিট ধরে রাখার জন্য শহীদ ও আহতদের স্মৃতি সংরক্ষণ করা জরুরি। পাঠ্যপুস্তক, পত্রিকা এবং আলোচনা অনুষ্ঠানে তাঁদের আত্মত্যাগের গল্পগুলো তুলে ধরতে হবে। তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হবে।
আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনাগুলো কী?
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে আগামী দিনে উচ্চশিক্ষায় ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণামুখী করা আমাদের বড় লক্ষ্য। শিক্ষার্থীরা যেন শিক্ষিত বেকার না হয়, সেই কারণে তাদেরকে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বৃদ্ধির জন্য একটি রিসার্চ সেল তৈরির কাজ চলছে। দেশের এবং বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে গবেষণা বাড়ানোর বিষয়ে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।
দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের বৃত্তির জন্য ‘সেল ফর ন্যাশনাল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল কোলাবরেশন’ খোলা হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য ‘সেল ফর এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট’ খোলা নিয়ে আমাদের আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
দায়িত্ব গ্রহণ করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কী কাজ করেছেন?
নতুন প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর আমরা ইতিমধ্যে অনেক কাজ করেছি। শিক্ষকের সমস্যা কাটানোর জন্য বিভাগগুলোতে অতিথি শিক্ষকের ব্যবস্থা করেছি। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। শিক্ষার্থীদের আচরণবিধি তৈরি করেছি। রাত ৮টা পর্যন্ত মেডিকেল ও লাইব্রেরির সময় বাড়িয়েছি। জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। এ ছাড়া ছাত্র-ছাত্রী হলের সমস্যার সমাধান, ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান বাড়ানোর চেষ্টা, মসজিদে মেয়েদের অজুর জায়গা করে দেওয়া, দেশবরেণ্য স্কলারদের অতিথি করে নবীনবরণের আয়োজন করা এবং জুলাইয়ে শহীদদের স্মরণে ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক ও ক্লাসরুমের সংকট রয়েছে। দুটি আবাসিক হল, একাডেমিক ভবনসহ কয়েকটি নতুন ভবনের কাজ শেষ হলেও সেগুলো চালু করা যাচ্ছে না কেন?
আবাসিক সংকট ও ক্লাসরুমের সংকট কাটানোর জন্য আমাদের কয়েকটি ভবনের কাজ প্রায় শেষ। সেগুলো দ্রুত চালু করার বিষয়ে আমরা আন্তরিক। তবে ভবনগুলো ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত না করে ভবনগুলো খুলে দিতে পারি না। ভবনগুলোর সব ধরনের কাজ সঠিকভাবে শেষ হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি অ্যাসেসমেন্ট কমিটি কাজ করছে। এ কমিটির প্রতিবেদন পেলে বিবেচনা করে ভবনগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারব।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্ররাজনীতিসহ সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ রয়েছে। নির্বাচিত সরকার এলে ক্যাম্পাসে রাজনীতির পরিবেশ কেমন থাকতে পারে?
ক্যাম্পাসে এখন রাজনীতি নিষিদ্ধ রয়েছে। আমি চাই, নির্বাচিত সরকার এলেও এই আদেশ বহাল থাকুক। তা বহাল থাকলে খুব দ্রুত ভালো কিছু হবে। তবে এটা নির্ভর করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার ওপর। আমরা মনে করি, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সব রাজনীতি বন্ধ থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য মঙ্গল। ছাত্ররা আমাদের এখন যেভাবে সহযোগিতা করছে, নির্বাচিত সরকার আসার পরও এমন সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এই ধারা বজায় রাখা সহজ হবে।
বিগত সরকারের সময় ছাত্রলীগের হাতে অনেক শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা সেসব বিষয়ে অভিযোগও দিয়েছেন। ছাত্রলীগের নির্যাতনের বিচারের বিষয়ে প্রশাসন কী ভাবছে?
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে নির্যাতনের শিকার অনেক শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে অভিযোগ দিয়েছে। আমরা তদন্ত কমিটি করেছি, তারা কাজ করছে। তবে বিগত প্রশাসন শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো আচরণবিধি তৈরি করেনি। সে জন্য আমরা আগে আচরণবিধি তৈরি করছি। তারপর সেটি রিজেন্ট বোর্ডে পাস হবে। রিজেন্ট বোর্ডে আচরণবিধি পাস হওয়ার পর যাঁদের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, তাঁদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সমাবর্তন হয়নি। সমাবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হবে কি?
আমরা অবশ্যই সমাবর্তনের উদ্যোগ নেব। যেহেতু সমাবর্তন একটি বড় আয়োজন, তাই সময়টা এ মুহূর্তে নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা এর আয়োজন করতে পারব।
ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছেন?
আপাতত কিছু ভাবছি না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ছাত্র সংসদের বিষয়ে কথা বলা নেই। ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হলে সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে যুক্ত করতে হবে। সময় হলে এটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চিন্তা করবে।
শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন নিয়ে আপনাদের কোনো ভাবনা আছে কি?
নাম পরিবর্তনের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। রিজেন্ট বোর্ড তৈরি হলে এটা রিজেন্ট বোর্ডে তোলা হবে। আশা করি, রিজেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা প্রশস্ত করার বিষয়ে কোনো কাজ করা হচ্ছে কি?
এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যে প্রশাসনের অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে এটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। সে জন্য জায়গার বিষয়ে এখনই নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
জুলাই আন্দোলনের স্পিরিট ধরে রাখার জন্য কী করণীয় বলে মনে করেন?
আমি মনে করি, সহনশীলতা। আমাদের এই প্রজন্ম খারাপ একটা সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে।
এই প্রজন্ম একটা জিনিস খুব তাড়াতাড়ি পেতে চায়। আমাদের এই তাড়াতাড়ি পাওয়ার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমাদের দেশের সম্পদ সীমিত।
তাই আমরা চাইলেই দেশের মানুষকে রাতারাতি সব দিতে পারব না। তাই কোনো ভালো জিনিস পাওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই সময় দিতে হবে। একই সঙ্গে এই আন্দোলনের স্পিরিট ধরে রাখার জন্য শহীদ ও আহতদের স্মৃতি সংরক্ষণ করা জরুরি। পাঠ্যপুস্তক, পত্রিকা এবং আলোচনা অনুষ্ঠানে তাঁদের আত্মত্যাগের গল্পগুলো তুলে ধরতে হবে। তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হবে।
আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনাগুলো কী?
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে আগামী দিনে উচ্চশিক্ষায় ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণামুখী করা আমাদের বড় লক্ষ্য। শিক্ষার্থীরা যেন শিক্ষিত বেকার না হয়, সেই কারণে তাদেরকে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বৃদ্ধির জন্য একটি রিসার্চ সেল তৈরির কাজ চলছে। দেশের এবং বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে গবেষণা বাড়ানোর বিষয়ে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।
দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের বৃত্তির জন্য ‘সেল ফর ন্যাশনাল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল কোলাবরেশন’ খোলা হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য ‘সেল ফর এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট’ খোলা নিয়ে আমাদের আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

ড. এস এম আবদুল আওয়াল পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ষষ্ঠ উপাচার্য। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সম্প্রতি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে তিনি অধ্যাপনা করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। ড. এস এম আবদুল আওয়ালের দেশি-বিদেশি একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি রয়েছে। তিনি পাবিপ্রবিতে নতুন দায়িত্ব গ্রহণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আবদুল্লাহ আল মামুন।
আবদুল্লাহ আল মামুন

দায়িত্ব গ্রহণ করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কী কাজ করেছেন?
নতুন প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর আমরা ইতিমধ্যে অনেক কাজ করেছি। শিক্ষকের সমস্যা কাটানোর জন্য বিভাগগুলোতে অতিথি শিক্ষকের ব্যবস্থা করেছি। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। শিক্ষার্থীদের আচরণবিধি তৈরি করেছি। রাত ৮টা পর্যন্ত মেডিকেল ও লাইব্রেরির সময় বাড়িয়েছি। জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। এ ছাড়া ছাত্র-ছাত্রী হলের সমস্যার সমাধান, ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান বাড়ানোর চেষ্টা, মসজিদে মেয়েদের অজুর জায়গা করে দেওয়া, দেশবরেণ্য স্কলারদের অতিথি করে নবীনবরণের আয়োজন করা এবং জুলাইয়ে শহীদদের স্মরণে ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক ও ক্লাসরুমের সংকট রয়েছে। দুটি আবাসিক হল, একাডেমিক ভবনসহ কয়েকটি নতুন ভবনের কাজ শেষ হলেও সেগুলো চালু করা যাচ্ছে না কেন?
আবাসিক সংকট ও ক্লাসরুমের সংকট কাটানোর জন্য আমাদের কয়েকটি ভবনের কাজ প্রায় শেষ। সেগুলো দ্রুত চালু করার বিষয়ে আমরা আন্তরিক। তবে ভবনগুলো ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত না করে ভবনগুলো খুলে দিতে পারি না। ভবনগুলোর সব ধরনের কাজ সঠিকভাবে শেষ হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি অ্যাসেসমেন্ট কমিটি কাজ করছে। এ কমিটির প্রতিবেদন পেলে বিবেচনা করে ভবনগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারব।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্ররাজনীতিসহ সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ রয়েছে। নির্বাচিত সরকার এলে ক্যাম্পাসে রাজনীতির পরিবেশ কেমন থাকতে পারে?
ক্যাম্পাসে এখন রাজনীতি নিষিদ্ধ রয়েছে। আমি চাই, নির্বাচিত সরকার এলেও এই আদেশ বহাল থাকুক। তা বহাল থাকলে খুব দ্রুত ভালো কিছু হবে। তবে এটা নির্ভর করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার ওপর। আমরা মনে করি, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সব রাজনীতি বন্ধ থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য মঙ্গল। ছাত্ররা আমাদের এখন যেভাবে সহযোগিতা করছে, নির্বাচিত সরকার আসার পরও এমন সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এই ধারা বজায় রাখা সহজ হবে।
বিগত সরকারের সময় ছাত্রলীগের হাতে অনেক শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা সেসব বিষয়ে অভিযোগও দিয়েছেন। ছাত্রলীগের নির্যাতনের বিচারের বিষয়ে প্রশাসন কী ভাবছে?
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে নির্যাতনের শিকার অনেক শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে অভিযোগ দিয়েছে। আমরা তদন্ত কমিটি করেছি, তারা কাজ করছে। তবে বিগত প্রশাসন শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো আচরণবিধি তৈরি করেনি। সে জন্য আমরা আগে আচরণবিধি তৈরি করছি। তারপর সেটি রিজেন্ট বোর্ডে পাস হবে। রিজেন্ট বোর্ডে আচরণবিধি পাস হওয়ার পর যাঁদের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, তাঁদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সমাবর্তন হয়নি। সমাবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হবে কি?
আমরা অবশ্যই সমাবর্তনের উদ্যোগ নেব। যেহেতু সমাবর্তন একটি বড় আয়োজন, তাই সময়টা এ মুহূর্তে নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা এর আয়োজন করতে পারব।
ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছেন?
আপাতত কিছু ভাবছি না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ছাত্র সংসদের বিষয়ে কথা বলা নেই। ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হলে সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে যুক্ত করতে হবে। সময় হলে এটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চিন্তা করবে।
শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন নিয়ে আপনাদের কোনো ভাবনা আছে কি?
নাম পরিবর্তনের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। রিজেন্ট বোর্ড তৈরি হলে এটা রিজেন্ট বোর্ডে তোলা হবে। আশা করি, রিজেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা প্রশস্ত করার বিষয়ে কোনো কাজ করা হচ্ছে কি?
এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যে প্রশাসনের অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে এটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। সে জন্য জায়গার বিষয়ে এখনই নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
জুলাই আন্দোলনের স্পিরিট ধরে রাখার জন্য কী করণীয় বলে মনে করেন?
আমি মনে করি, সহনশীলতা। আমাদের এই প্রজন্ম খারাপ একটা সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে।
এই প্রজন্ম একটা জিনিস খুব তাড়াতাড়ি পেতে চায়। আমাদের এই তাড়াতাড়ি পাওয়ার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমাদের দেশের সম্পদ সীমিত।
তাই আমরা চাইলেই দেশের মানুষকে রাতারাতি সব দিতে পারব না। তাই কোনো ভালো জিনিস পাওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই সময় দিতে হবে। একই সঙ্গে এই আন্দোলনের স্পিরিট ধরে রাখার জন্য শহীদ ও আহতদের স্মৃতি সংরক্ষণ করা জরুরি। পাঠ্যপুস্তক, পত্রিকা এবং আলোচনা অনুষ্ঠানে তাঁদের আত্মত্যাগের গল্পগুলো তুলে ধরতে হবে। তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হবে।
আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনাগুলো কী?
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে আগামী দিনে উচ্চশিক্ষায় ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণামুখী করা আমাদের বড় লক্ষ্য। শিক্ষার্থীরা যেন শিক্ষিত বেকার না হয়, সেই কারণে তাদেরকে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বৃদ্ধির জন্য একটি রিসার্চ সেল তৈরির কাজ চলছে। দেশের এবং বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে গবেষণা বাড়ানোর বিষয়ে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।
দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের বৃত্তির জন্য ‘সেল ফর ন্যাশনাল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল কোলাবরেশন’ খোলা হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য ‘সেল ফর এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট’ খোলা নিয়ে আমাদের আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
দায়িত্ব গ্রহণ করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কী কাজ করেছেন?
নতুন প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর আমরা ইতিমধ্যে অনেক কাজ করেছি। শিক্ষকের সমস্যা কাটানোর জন্য বিভাগগুলোতে অতিথি শিক্ষকের ব্যবস্থা করেছি। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। শিক্ষার্থীদের আচরণবিধি তৈরি করেছি। রাত ৮টা পর্যন্ত মেডিকেল ও লাইব্রেরির সময় বাড়িয়েছি। জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। এ ছাড়া ছাত্র-ছাত্রী হলের সমস্যার সমাধান, ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান বাড়ানোর চেষ্টা, মসজিদে মেয়েদের অজুর জায়গা করে দেওয়া, দেশবরেণ্য স্কলারদের অতিথি করে নবীনবরণের আয়োজন করা এবং জুলাইয়ে শহীদদের স্মরণে ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক ও ক্লাসরুমের সংকট রয়েছে। দুটি আবাসিক হল, একাডেমিক ভবনসহ কয়েকটি নতুন ভবনের কাজ শেষ হলেও সেগুলো চালু করা যাচ্ছে না কেন?
আবাসিক সংকট ও ক্লাসরুমের সংকট কাটানোর জন্য আমাদের কয়েকটি ভবনের কাজ প্রায় শেষ। সেগুলো দ্রুত চালু করার বিষয়ে আমরা আন্তরিক। তবে ভবনগুলো ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত না করে ভবনগুলো খুলে দিতে পারি না। ভবনগুলোর সব ধরনের কাজ সঠিকভাবে শেষ হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি অ্যাসেসমেন্ট কমিটি কাজ করছে। এ কমিটির প্রতিবেদন পেলে বিবেচনা করে ভবনগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারব।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্ররাজনীতিসহ সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ রয়েছে। নির্বাচিত সরকার এলে ক্যাম্পাসে রাজনীতির পরিবেশ কেমন থাকতে পারে?
ক্যাম্পাসে এখন রাজনীতি নিষিদ্ধ রয়েছে। আমি চাই, নির্বাচিত সরকার এলেও এই আদেশ বহাল থাকুক। তা বহাল থাকলে খুব দ্রুত ভালো কিছু হবে। তবে এটা নির্ভর করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার ওপর। আমরা মনে করি, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সব রাজনীতি বন্ধ থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য মঙ্গল। ছাত্ররা আমাদের এখন যেভাবে সহযোগিতা করছে, নির্বাচিত সরকার আসার পরও এমন সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এই ধারা বজায় রাখা সহজ হবে।
বিগত সরকারের সময় ছাত্রলীগের হাতে অনেক শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা সেসব বিষয়ে অভিযোগও দিয়েছেন। ছাত্রলীগের নির্যাতনের বিচারের বিষয়ে প্রশাসন কী ভাবছে?
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে নির্যাতনের শিকার অনেক শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে অভিযোগ দিয়েছে। আমরা তদন্ত কমিটি করেছি, তারা কাজ করছে। তবে বিগত প্রশাসন শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো আচরণবিধি তৈরি করেনি। সে জন্য আমরা আগে আচরণবিধি তৈরি করছি। তারপর সেটি রিজেন্ট বোর্ডে পাস হবে। রিজেন্ট বোর্ডে আচরণবিধি পাস হওয়ার পর যাঁদের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, তাঁদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সমাবর্তন হয়নি। সমাবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হবে কি?
আমরা অবশ্যই সমাবর্তনের উদ্যোগ নেব। যেহেতু সমাবর্তন একটি বড় আয়োজন, তাই সময়টা এ মুহূর্তে নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা এর আয়োজন করতে পারব।
ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছেন?
আপাতত কিছু ভাবছি না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ছাত্র সংসদের বিষয়ে কথা বলা নেই। ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হলে সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে যুক্ত করতে হবে। সময় হলে এটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চিন্তা করবে।
শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন নিয়ে আপনাদের কোনো ভাবনা আছে কি?
নাম পরিবর্তনের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। রিজেন্ট বোর্ড তৈরি হলে এটা রিজেন্ট বোর্ডে তোলা হবে। আশা করি, রিজেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা প্রশস্ত করার বিষয়ে কোনো কাজ করা হচ্ছে কি?
এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যে প্রশাসনের অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে এটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। সে জন্য জায়গার বিষয়ে এখনই নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
জুলাই আন্দোলনের স্পিরিট ধরে রাখার জন্য কী করণীয় বলে মনে করেন?
আমি মনে করি, সহনশীলতা। আমাদের এই প্রজন্ম খারাপ একটা সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে।
এই প্রজন্ম একটা জিনিস খুব তাড়াতাড়ি পেতে চায়। আমাদের এই তাড়াতাড়ি পাওয়ার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমাদের দেশের সম্পদ সীমিত।
তাই আমরা চাইলেই দেশের মানুষকে রাতারাতি সব দিতে পারব না। তাই কোনো ভালো জিনিস পাওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই সময় দিতে হবে। একই সঙ্গে এই আন্দোলনের স্পিরিট ধরে রাখার জন্য শহীদ ও আহতদের স্মৃতি সংরক্ষণ করা জরুরি। পাঠ্যপুস্তক, পত্রিকা এবং আলোচনা অনুষ্ঠানে তাঁদের আত্মত্যাগের গল্পগুলো তুলে ধরতে হবে। তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হবে।
আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনাগুলো কী?
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে আগামী দিনে উচ্চশিক্ষায় ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণামুখী করা আমাদের বড় লক্ষ্য। শিক্ষার্থীরা যেন শিক্ষিত বেকার না হয়, সেই কারণে তাদেরকে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বৃদ্ধির জন্য একটি রিসার্চ সেল তৈরির কাজ চলছে। দেশের এবং বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে গবেষণা বাড়ানোর বিষয়ে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।
দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের বৃত্তির জন্য ‘সেল ফর ন্যাশনাল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল কোলাবরেশন’ খোলা হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য ‘সেল ফর এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট’ খোলা নিয়ে আমাদের আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
৬ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগে
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

ড. এস এম আবদুল আওয়াল পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ষষ্ঠ উপাচার্য। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সম্প্রতি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে তিনি অধ্যাপনা করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। ড. এস এম আবদুল আওয়ালের...
২৩ মার্চ ২০২৫
আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগে
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।
আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।
আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

ড. এস এম আবদুল আওয়াল পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ষষ্ঠ উপাচার্য। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সম্প্রতি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে তিনি অধ্যাপনা করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। ড. এস এম আবদুল আওয়ালের...
২৩ মার্চ ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’
শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।
এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।
এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’
শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।
এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।
এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

ড. এস এম আবদুল আওয়াল পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ষষ্ঠ উপাচার্য। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সম্প্রতি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে তিনি অধ্যাপনা করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। ড. এস এম আবদুল আওয়ালের...
২৩ মার্চ ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
৬ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
১ দিন আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।
শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।
স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’
এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।
শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।
স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’
এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

ড. এস এম আবদুল আওয়াল পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ষষ্ঠ উপাচার্য। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সম্প্রতি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে তিনি অধ্যাপনা করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। ড. এস এম আবদুল আওয়ালের...
২৩ মার্চ ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
৬ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগে
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগে