মুহাম্মাদ শাওন মাহমুদ

মানবসভ্যতার শুরুর দিকে পৃথিবী ছিল অপার বিস্ময় ও রহস্যের স্থান। সে পৃথিবীকে মানুষ হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে বিজ্ঞানচর্চার মাধ্যমে। প্রাচীনকালে জীবনযাপনের একপর্যায়ে মানুষ পাথরে পাথর ঘষে আগুন আবিষ্কার এবং পশুশিকারের জন্য অস্ত্র হিসেবে গাছের ডাল ও পাথর ব্যবহার করতে শেখে। তখন থেকেই শুরু হয় বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা। তার পর থেকে মানুষ বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আবিষ্কারের নেশায় মত্ত হয়ে উঠতে থাকে। আর এই নেশার মূলে ছিল ভৌত ও বাস্তব বিশ্বের সমস্যা সমাধান। ধাপে ধাপে এই বিজ্ঞানই হয়ে ওঠে ‘গ্লোবাল কোলাবোরেশন’, ক্ষমতা এবং বিশ্বে টিকে থাকা তথা নিরাপত্তার মূলসূত্র। বিজ্ঞানশিক্ষা কেন জরুরি, এই প্রসঙ্গে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা যাক—
গ্লোবাল কোলাবোরেশন ও নিরাপত্তা
‘মাইক্রোচিপ’ শব্দটির সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। প্রথম মাইক্রোচিপ ব্যবহার করে কম্পিউটার তৈরি করা হয়েছিল উনিশ শ ষাটের দশকে। তারপর অসংখ্য প্রযুক্তি কোম্পানি মাইক্রোচিপের ব্যবহার শুরু করলেও এক যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটায় ‘ইনটেল’। ১৯৭১ সালে তারা মাইক্রোচিপকে মাইক্রোপ্রসেসর আকারে প্রথম বাজারে নিয়ে আসে। তার পর থেকেই মানুষ বুঝতে পারে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের ক্ষমতা কতটুকু। ইনটেলের সেই প্রথম মাইক্রোপ্রসেসরটি ছিল Intel 4004, যা ব্যবহার করে মানুষ প্রথমবার চাঁদে পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। এর জনক আমেরিকান হলেও ধীরে ধীরে মাইক্রোপ্রসেসর উৎপাদন এশিয়া মহাদেশে চলে আসে। বর্তমানে বিশ্বের ৭৫ ভাগ রেগুলার মাইক্রোপ্রসেসর এবং ৯২ ভাগ ‘হাই-ইন্ড’ মাইক্রোপ্রসেসর (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ন্যাশনাল সিকিউরিটি, ফাইটার জেটে ব্যবহৃত মাইক্রোপ্রসেসর) তৈরি করছে তাইওয়ান (টিএসএমসি)। বাকি বাজার ধরে রেখেছে নোকিয়া, এনভিডিয়া, ইনটেল ইত্যাদি। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, তাইওয়ানের মাইক্রোচিপ ব্যবহার করে যেমন অন্যান্য দেশের ইলেকট্রনিকস উৎপাদন শিল্প টিকে আছে, ঠিক তেমনি এই পণ্যগুলো উৎপাদন করে তাইওয়ান নিজেও পুরো বিশ্বে নিজের অস্তিত্বকে নিরাপদ রেখেছে। যত দিন তাইওয়ান তার এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অটল থাকবে, তত দিন সে বহির্বিশ্বের আক্রমণ থেকে মুক্ত। চাঁদে নিয়ে যাওয়া সেই মাইক্রোপ্রসেসর Intel 4004
ভেবে দেখুন, একটা রাষ্ট্র বহিঃআক্রমণ থেকে কতটুকু নিরাপদ থাকবে, বহির্বিশ্বের সঙ্গে তার কতটুকু কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় থাকবে, তা নির্ভর করছে দেশটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে কতটুকু স্বশিক্ষিত। হাই-ইন্ড মাইক্রোপ্রসেসর থেকে ম্যাসিভ স্পেস ইনস্ট্রুমেন্ট যখন বাংলাদেশে তৈরি হবে, তখনই বাংলাদেশ শীর্ষ রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে পারবে। আর সে জন্য প্রয়োজন যথাযথ বিজ্ঞানশিক্ষা।
জীবনমান উন্নয়নে জ্ঞানের অগ্রগতি
ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস কেন হয়, ভূমিকম্প কীভাবে হয়, নদীর জল কোথা থেকে কোথায় গড়াবে—এ ধরনের প্রাকৃতিক চরিত্র সম্পর্কে যেমন বিজ্ঞানই আমাদের শেখায়, তেমনি প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে বাঁচার রাস্তাটিও সেই বিজ্ঞানই বাতলে দেয়। বিজ্ঞানের আশীর্বাদে উপ-পারমাণবিক কণা থেকে জল-স্থল পেরিয়ে জয় করেছে অন্তরিক্ষ! শিখেছে কীভাবে মহাশূন্যে টিকে থাকা যায়। শিখেছে দেহের ভেতর প্রয়োজনে ন্যানো-রোবট পাঠিয়ে কীভাবে ক্যানসার কোষ খুঁজে বের করা যায়। বিজ্ঞান গবেষণা এবং ছোট-বড় আবিষ্কার প্রতিনিয়ত আমাদের ধারণা দিচ্ছে। একটি ন্যাচারাল ঘটনা কীভাবে সামলাতে হয় অর্থাৎ একটি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে জীবনযাত্রার মান কী করে আরও সমৃদ্ধ করা যায়। এ ব্যাপারে যাঁদের বিজ্ঞানের প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান নেই, তাঁদের সাহায্য করতে পারে পপুলার বিজ্ঞানের সংগঠন ‘বিজ্ঞানপ্রিয়’ (facebook.com/bigyanpriyo)।
বাস্তবমুখী সমস্যার সমাধান
বিশ্বে প্রতিবছর প্রতি ছয়টি মৃত্যুর একটি হয় ক্যানসারের কারণে। ক্যানসারের বহু চিকিৎসা প্রচলিত আছে, কিন্তু চ্যালেঞ্জ হলো দেহের ঠিক কোথায় ক্যানসার কোষ রয়েছে, খুঁজে বের করা। বিজ্ঞানের ঘাড়ে বসেই প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পদ্ধতির তালাশ করছি আমরা। বাস্তবমুখী সমস্যাগুলোর সমাধান কেবল বিজ্ঞানই দিতে পারে। যেমন, একদা গুটিবসন্তে আক্রান্ত হলেই মানুষ মারা যেত। এখন তা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত। একসময় কেবল মাটিতেই ফসল চাষ হতো, ভূমিস্বল্পতায় এখন উদ্ভাবিত হয়েছে হাইড্রোপনিক পদ্ধতি। এককথায়, নানা সম্পাদ্যের সমাধান করে মানবসভ্যতাকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করেছে বিজ্ঞান।
কুসংস্কারের গতি আলোর চেয়েও বেশি
জন্ডিস রোগটির তেমন কোনো চিকিৎসা নেই। আপনা-আপনি হয়ে আপনা-আপনিই ভালো হয়ে যায়। চিকিৎসকেরাও তেমন কোনো ওষুধ দেন না। অথচ এই সুযোগের অপব্যবহার করে ‘হাত-ধোয়া’ নামের চিকিৎসার ডালা নিয়ে বসে আছেন অসংখ্য ফকির-কবিরাজ। আজ বিজ্ঞান যদি ওপরের তথ্যটি না জানাত, তবে এই ঠগবাজ কবিরাজেরাই হতো একমাত্র ভরসা। যুগে যুগে অপবিজ্ঞান, অপসাংস্কৃতিক উত্থাপন, মনের সংকীর্ণতা ও ভ্রান্ত ধারণার অবসান ঘটিয়ে সত্যের সন্ধান দিয়ে এসেছে বিজ্ঞান। একটা সময় পৃথিবীকে মনে করা হতো সমুদয় মহাবিশ্বের কেন্দ্র। এই তথ্যের সত্যতা তুলে ধরতে গিয়ে আজীবন গৃহবন্দী থেকে মৃত্যুবরণ করলেন গ্যালিলিও গ্যালেলি। কিন্তু কোপার্নিকাস প্রচলিত ধারণার বিপরীতে গিয়ে প্রমাণ করে ছাড়লেন, পৃথিবী সৌরজগতের কেন্দ্র নয়, বরং সামান্য একটা হ্যাভিটেবল গ্রহ মাত্র। এভাবেই যাঁরা যুক্তিবাদী ও বিচারবোধসম্পন্ন হয়ে বিজ্ঞানশিক্ষা অর্জন করছেন, তাঁরাই মানুষের অজ্ঞতা দূর করে কোনো ঘটনা বা সমস্যার প্রকৃত কারণ জানতে সচেষ্ট হয়েছেন। কুসংস্কারমুক্ত বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বিজ্ঞানশিক্ষার বিকল্প নেই।
কর্মসংস্থান ও ক্যারিয়ার
যদি প্রশ্ন করা হয়, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান রয়েছে কোন সেক্টরে? উত্তর হবে, কৃষি এবং টেকনিক্যাল সেক্টরগুলোতে। দুটোই বিজ্ঞানের অঙ্গ। বিজ্ঞানকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে ব্যবস্থাপনা, অর্থায়ন, হিসাবব্যবস্থা। মহাকাশ গবেষণা, স্পেসক্র্যাফট, মেডিসিন, কম্পিউটার, চাষাবাদ, ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল, ডিজাইনসহ বিজ্ঞানের অসংখ্য শাখা-প্রশাখা রয়েছে, যেখানে বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থান সুষম হারে তৈরি হচ্ছে। এদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিরাচরিত এই কর্মসংস্থানের জন্য হুমকি হলেও, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিজেই বৃহৎ এক কর্মসংস্থানের ঝুলি নিয়ে হাজির হচ্ছে।
বিজ্ঞানেরও আছে সীমাবদ্ধতা!
বিজ্ঞানেরও আবার ‘লিমিটেশন’ আছে নাকি? হ্যাঁ, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা, নৈতিক বিবেচ্য বিষয়াদি, জ্ঞানের পরিধি, প্রাকৃতিক জটিলতা ইত্যাদি প্যারামিটার বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে। যেমন, প্রযুক্তি ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে; কিন্তু এখনো কিছু প্রশ্ন রয়েছে, যা প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে উত্তর দেওয়া যায় না। আবার, নৈতিক বিবেচনার কারণে একজন বিজ্ঞানী চাইলেই মানুষের দেহ বা অন্য প্রাণীর ওপর পরীক্ষা চালাতে পারেন না। অনুমোদনই নেই। তা ছাড়া প্রাকৃতিক বিশ্ব অবিশ্বাস্যভাবে জটিল। অসংখ্য ফ্যাক্টর রয়েছে, যা একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার ফলকে প্রভাবিত করে ফেলতে পারে। সব ভ্যারিয়েবল নিয়ন্ত্রণ করা এবং নির্দিষ্ট একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো অনেক সময়ই কঠিন হয়ে পড়ে। যার কারণে সফলতার চেয়ে ব্যর্থতার সংখ্যাই বেশি। তবে এই ব্যর্থতার যাত্রাটাও অত্যন্ত উপভোগ্য। বিজ্ঞানে ব্যর্থ হতে গেলেও বিজ্ঞানশিক্ষা জরুরি। বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতাগুলো বুঝতে হলেও, বিজ্ঞানশিক্ষার বিকল্প নেই। জীবনে বিজ্ঞানকে এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। আমরা একদম কিছু না জেনেও বিজ্ঞানের আশীর্বাদগুলো ব্যবহার করতে পারি। আজকের বিজ্ঞান যখন কালকের প্রযুক্তি হয়ে আসবে, আকাশ থেকে পড়ব। বিজ্ঞানশিক্ষা ও গবেষণার প্রতি পর্যাপ্ত গুরুত্ব না দিলে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়িত হবে না। তৃতীয় শিল্পবিপ্লবটি ছিল ডিজিটাল বিপ্লব। এখন অপেক্ষা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের। বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশকে এগিয়ে নিতে হলে এ দেশের বিজ্ঞানশিক্ষায় অধিক পরিমাণ বাজেট বরাদ্দ, জনসচেতনতা, সেই সঙ্গে কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।
মুহাম্মাদ শাওন মাহমুদ, প্রতিষ্ঠাতা, বিজ্ঞানপ্রিয় (জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২২ বিজয়ী)
অনুলিখন: মো. আশিকুর রহমান

মানবসভ্যতার শুরুর দিকে পৃথিবী ছিল অপার বিস্ময় ও রহস্যের স্থান। সে পৃথিবীকে মানুষ হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে বিজ্ঞানচর্চার মাধ্যমে। প্রাচীনকালে জীবনযাপনের একপর্যায়ে মানুষ পাথরে পাথর ঘষে আগুন আবিষ্কার এবং পশুশিকারের জন্য অস্ত্র হিসেবে গাছের ডাল ও পাথর ব্যবহার করতে শেখে। তখন থেকেই শুরু হয় বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা। তার পর থেকে মানুষ বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আবিষ্কারের নেশায় মত্ত হয়ে উঠতে থাকে। আর এই নেশার মূলে ছিল ভৌত ও বাস্তব বিশ্বের সমস্যা সমাধান। ধাপে ধাপে এই বিজ্ঞানই হয়ে ওঠে ‘গ্লোবাল কোলাবোরেশন’, ক্ষমতা এবং বিশ্বে টিকে থাকা তথা নিরাপত্তার মূলসূত্র। বিজ্ঞানশিক্ষা কেন জরুরি, এই প্রসঙ্গে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা যাক—
গ্লোবাল কোলাবোরেশন ও নিরাপত্তা
‘মাইক্রোচিপ’ শব্দটির সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। প্রথম মাইক্রোচিপ ব্যবহার করে কম্পিউটার তৈরি করা হয়েছিল উনিশ শ ষাটের দশকে। তারপর অসংখ্য প্রযুক্তি কোম্পানি মাইক্রোচিপের ব্যবহার শুরু করলেও এক যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটায় ‘ইনটেল’। ১৯৭১ সালে তারা মাইক্রোচিপকে মাইক্রোপ্রসেসর আকারে প্রথম বাজারে নিয়ে আসে। তার পর থেকেই মানুষ বুঝতে পারে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের ক্ষমতা কতটুকু। ইনটেলের সেই প্রথম মাইক্রোপ্রসেসরটি ছিল Intel 4004, যা ব্যবহার করে মানুষ প্রথমবার চাঁদে পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। এর জনক আমেরিকান হলেও ধীরে ধীরে মাইক্রোপ্রসেসর উৎপাদন এশিয়া মহাদেশে চলে আসে। বর্তমানে বিশ্বের ৭৫ ভাগ রেগুলার মাইক্রোপ্রসেসর এবং ৯২ ভাগ ‘হাই-ইন্ড’ মাইক্রোপ্রসেসর (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ন্যাশনাল সিকিউরিটি, ফাইটার জেটে ব্যবহৃত মাইক্রোপ্রসেসর) তৈরি করছে তাইওয়ান (টিএসএমসি)। বাকি বাজার ধরে রেখেছে নোকিয়া, এনভিডিয়া, ইনটেল ইত্যাদি। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, তাইওয়ানের মাইক্রোচিপ ব্যবহার করে যেমন অন্যান্য দেশের ইলেকট্রনিকস উৎপাদন শিল্প টিকে আছে, ঠিক তেমনি এই পণ্যগুলো উৎপাদন করে তাইওয়ান নিজেও পুরো বিশ্বে নিজের অস্তিত্বকে নিরাপদ রেখেছে। যত দিন তাইওয়ান তার এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অটল থাকবে, তত দিন সে বহির্বিশ্বের আক্রমণ থেকে মুক্ত। চাঁদে নিয়ে যাওয়া সেই মাইক্রোপ্রসেসর Intel 4004
ভেবে দেখুন, একটা রাষ্ট্র বহিঃআক্রমণ থেকে কতটুকু নিরাপদ থাকবে, বহির্বিশ্বের সঙ্গে তার কতটুকু কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় থাকবে, তা নির্ভর করছে দেশটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে কতটুকু স্বশিক্ষিত। হাই-ইন্ড মাইক্রোপ্রসেসর থেকে ম্যাসিভ স্পেস ইনস্ট্রুমেন্ট যখন বাংলাদেশে তৈরি হবে, তখনই বাংলাদেশ শীর্ষ রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে পারবে। আর সে জন্য প্রয়োজন যথাযথ বিজ্ঞানশিক্ষা।
জীবনমান উন্নয়নে জ্ঞানের অগ্রগতি
ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস কেন হয়, ভূমিকম্প কীভাবে হয়, নদীর জল কোথা থেকে কোথায় গড়াবে—এ ধরনের প্রাকৃতিক চরিত্র সম্পর্কে যেমন বিজ্ঞানই আমাদের শেখায়, তেমনি প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে বাঁচার রাস্তাটিও সেই বিজ্ঞানই বাতলে দেয়। বিজ্ঞানের আশীর্বাদে উপ-পারমাণবিক কণা থেকে জল-স্থল পেরিয়ে জয় করেছে অন্তরিক্ষ! শিখেছে কীভাবে মহাশূন্যে টিকে থাকা যায়। শিখেছে দেহের ভেতর প্রয়োজনে ন্যানো-রোবট পাঠিয়ে কীভাবে ক্যানসার কোষ খুঁজে বের করা যায়। বিজ্ঞান গবেষণা এবং ছোট-বড় আবিষ্কার প্রতিনিয়ত আমাদের ধারণা দিচ্ছে। একটি ন্যাচারাল ঘটনা কীভাবে সামলাতে হয় অর্থাৎ একটি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে জীবনযাত্রার মান কী করে আরও সমৃদ্ধ করা যায়। এ ব্যাপারে যাঁদের বিজ্ঞানের প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান নেই, তাঁদের সাহায্য করতে পারে পপুলার বিজ্ঞানের সংগঠন ‘বিজ্ঞানপ্রিয়’ (facebook.com/bigyanpriyo)।
বাস্তবমুখী সমস্যার সমাধান
বিশ্বে প্রতিবছর প্রতি ছয়টি মৃত্যুর একটি হয় ক্যানসারের কারণে। ক্যানসারের বহু চিকিৎসা প্রচলিত আছে, কিন্তু চ্যালেঞ্জ হলো দেহের ঠিক কোথায় ক্যানসার কোষ রয়েছে, খুঁজে বের করা। বিজ্ঞানের ঘাড়ে বসেই প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পদ্ধতির তালাশ করছি আমরা। বাস্তবমুখী সমস্যাগুলোর সমাধান কেবল বিজ্ঞানই দিতে পারে। যেমন, একদা গুটিবসন্তে আক্রান্ত হলেই মানুষ মারা যেত। এখন তা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত। একসময় কেবল মাটিতেই ফসল চাষ হতো, ভূমিস্বল্পতায় এখন উদ্ভাবিত হয়েছে হাইড্রোপনিক পদ্ধতি। এককথায়, নানা সম্পাদ্যের সমাধান করে মানবসভ্যতাকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করেছে বিজ্ঞান।
কুসংস্কারের গতি আলোর চেয়েও বেশি
জন্ডিস রোগটির তেমন কোনো চিকিৎসা নেই। আপনা-আপনি হয়ে আপনা-আপনিই ভালো হয়ে যায়। চিকিৎসকেরাও তেমন কোনো ওষুধ দেন না। অথচ এই সুযোগের অপব্যবহার করে ‘হাত-ধোয়া’ নামের চিকিৎসার ডালা নিয়ে বসে আছেন অসংখ্য ফকির-কবিরাজ। আজ বিজ্ঞান যদি ওপরের তথ্যটি না জানাত, তবে এই ঠগবাজ কবিরাজেরাই হতো একমাত্র ভরসা। যুগে যুগে অপবিজ্ঞান, অপসাংস্কৃতিক উত্থাপন, মনের সংকীর্ণতা ও ভ্রান্ত ধারণার অবসান ঘটিয়ে সত্যের সন্ধান দিয়ে এসেছে বিজ্ঞান। একটা সময় পৃথিবীকে মনে করা হতো সমুদয় মহাবিশ্বের কেন্দ্র। এই তথ্যের সত্যতা তুলে ধরতে গিয়ে আজীবন গৃহবন্দী থেকে মৃত্যুবরণ করলেন গ্যালিলিও গ্যালেলি। কিন্তু কোপার্নিকাস প্রচলিত ধারণার বিপরীতে গিয়ে প্রমাণ করে ছাড়লেন, পৃথিবী সৌরজগতের কেন্দ্র নয়, বরং সামান্য একটা হ্যাভিটেবল গ্রহ মাত্র। এভাবেই যাঁরা যুক্তিবাদী ও বিচারবোধসম্পন্ন হয়ে বিজ্ঞানশিক্ষা অর্জন করছেন, তাঁরাই মানুষের অজ্ঞতা দূর করে কোনো ঘটনা বা সমস্যার প্রকৃত কারণ জানতে সচেষ্ট হয়েছেন। কুসংস্কারমুক্ত বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বিজ্ঞানশিক্ষার বিকল্প নেই।
কর্মসংস্থান ও ক্যারিয়ার
যদি প্রশ্ন করা হয়, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান রয়েছে কোন সেক্টরে? উত্তর হবে, কৃষি এবং টেকনিক্যাল সেক্টরগুলোতে। দুটোই বিজ্ঞানের অঙ্গ। বিজ্ঞানকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে ব্যবস্থাপনা, অর্থায়ন, হিসাবব্যবস্থা। মহাকাশ গবেষণা, স্পেসক্র্যাফট, মেডিসিন, কম্পিউটার, চাষাবাদ, ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল, ডিজাইনসহ বিজ্ঞানের অসংখ্য শাখা-প্রশাখা রয়েছে, যেখানে বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থান সুষম হারে তৈরি হচ্ছে। এদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিরাচরিত এই কর্মসংস্থানের জন্য হুমকি হলেও, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিজেই বৃহৎ এক কর্মসংস্থানের ঝুলি নিয়ে হাজির হচ্ছে।
বিজ্ঞানেরও আছে সীমাবদ্ধতা!
বিজ্ঞানেরও আবার ‘লিমিটেশন’ আছে নাকি? হ্যাঁ, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা, নৈতিক বিবেচ্য বিষয়াদি, জ্ঞানের পরিধি, প্রাকৃতিক জটিলতা ইত্যাদি প্যারামিটার বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে। যেমন, প্রযুক্তি ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে; কিন্তু এখনো কিছু প্রশ্ন রয়েছে, যা প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে উত্তর দেওয়া যায় না। আবার, নৈতিক বিবেচনার কারণে একজন বিজ্ঞানী চাইলেই মানুষের দেহ বা অন্য প্রাণীর ওপর পরীক্ষা চালাতে পারেন না। অনুমোদনই নেই। তা ছাড়া প্রাকৃতিক বিশ্ব অবিশ্বাস্যভাবে জটিল। অসংখ্য ফ্যাক্টর রয়েছে, যা একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার ফলকে প্রভাবিত করে ফেলতে পারে। সব ভ্যারিয়েবল নিয়ন্ত্রণ করা এবং নির্দিষ্ট একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো অনেক সময়ই কঠিন হয়ে পড়ে। যার কারণে সফলতার চেয়ে ব্যর্থতার সংখ্যাই বেশি। তবে এই ব্যর্থতার যাত্রাটাও অত্যন্ত উপভোগ্য। বিজ্ঞানে ব্যর্থ হতে গেলেও বিজ্ঞানশিক্ষা জরুরি। বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতাগুলো বুঝতে হলেও, বিজ্ঞানশিক্ষার বিকল্প নেই। জীবনে বিজ্ঞানকে এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। আমরা একদম কিছু না জেনেও বিজ্ঞানের আশীর্বাদগুলো ব্যবহার করতে পারি। আজকের বিজ্ঞান যখন কালকের প্রযুক্তি হয়ে আসবে, আকাশ থেকে পড়ব। বিজ্ঞানশিক্ষা ও গবেষণার প্রতি পর্যাপ্ত গুরুত্ব না দিলে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়িত হবে না। তৃতীয় শিল্পবিপ্লবটি ছিল ডিজিটাল বিপ্লব। এখন অপেক্ষা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের। বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশকে এগিয়ে নিতে হলে এ দেশের বিজ্ঞানশিক্ষায় অধিক পরিমাণ বাজেট বরাদ্দ, জনসচেতনতা, সেই সঙ্গে কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।
মুহাম্মাদ শাওন মাহমুদ, প্রতিষ্ঠাতা, বিজ্ঞানপ্রিয় (জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২২ বিজয়ী)
অনুলিখন: মো. আশিকুর রহমান
মুহাম্মাদ শাওন মাহমুদ

মানবসভ্যতার শুরুর দিকে পৃথিবী ছিল অপার বিস্ময় ও রহস্যের স্থান। সে পৃথিবীকে মানুষ হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে বিজ্ঞানচর্চার মাধ্যমে। প্রাচীনকালে জীবনযাপনের একপর্যায়ে মানুষ পাথরে পাথর ঘষে আগুন আবিষ্কার এবং পশুশিকারের জন্য অস্ত্র হিসেবে গাছের ডাল ও পাথর ব্যবহার করতে শেখে। তখন থেকেই শুরু হয় বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা। তার পর থেকে মানুষ বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আবিষ্কারের নেশায় মত্ত হয়ে উঠতে থাকে। আর এই নেশার মূলে ছিল ভৌত ও বাস্তব বিশ্বের সমস্যা সমাধান। ধাপে ধাপে এই বিজ্ঞানই হয়ে ওঠে ‘গ্লোবাল কোলাবোরেশন’, ক্ষমতা এবং বিশ্বে টিকে থাকা তথা নিরাপত্তার মূলসূত্র। বিজ্ঞানশিক্ষা কেন জরুরি, এই প্রসঙ্গে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা যাক—
গ্লোবাল কোলাবোরেশন ও নিরাপত্তা
‘মাইক্রোচিপ’ শব্দটির সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। প্রথম মাইক্রোচিপ ব্যবহার করে কম্পিউটার তৈরি করা হয়েছিল উনিশ শ ষাটের দশকে। তারপর অসংখ্য প্রযুক্তি কোম্পানি মাইক্রোচিপের ব্যবহার শুরু করলেও এক যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটায় ‘ইনটেল’। ১৯৭১ সালে তারা মাইক্রোচিপকে মাইক্রোপ্রসেসর আকারে প্রথম বাজারে নিয়ে আসে। তার পর থেকেই মানুষ বুঝতে পারে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের ক্ষমতা কতটুকু। ইনটেলের সেই প্রথম মাইক্রোপ্রসেসরটি ছিল Intel 4004, যা ব্যবহার করে মানুষ প্রথমবার চাঁদে পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। এর জনক আমেরিকান হলেও ধীরে ধীরে মাইক্রোপ্রসেসর উৎপাদন এশিয়া মহাদেশে চলে আসে। বর্তমানে বিশ্বের ৭৫ ভাগ রেগুলার মাইক্রোপ্রসেসর এবং ৯২ ভাগ ‘হাই-ইন্ড’ মাইক্রোপ্রসেসর (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ন্যাশনাল সিকিউরিটি, ফাইটার জেটে ব্যবহৃত মাইক্রোপ্রসেসর) তৈরি করছে তাইওয়ান (টিএসএমসি)। বাকি বাজার ধরে রেখেছে নোকিয়া, এনভিডিয়া, ইনটেল ইত্যাদি। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, তাইওয়ানের মাইক্রোচিপ ব্যবহার করে যেমন অন্যান্য দেশের ইলেকট্রনিকস উৎপাদন শিল্প টিকে আছে, ঠিক তেমনি এই পণ্যগুলো উৎপাদন করে তাইওয়ান নিজেও পুরো বিশ্বে নিজের অস্তিত্বকে নিরাপদ রেখেছে। যত দিন তাইওয়ান তার এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অটল থাকবে, তত দিন সে বহির্বিশ্বের আক্রমণ থেকে মুক্ত। চাঁদে নিয়ে যাওয়া সেই মাইক্রোপ্রসেসর Intel 4004
ভেবে দেখুন, একটা রাষ্ট্র বহিঃআক্রমণ থেকে কতটুকু নিরাপদ থাকবে, বহির্বিশ্বের সঙ্গে তার কতটুকু কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় থাকবে, তা নির্ভর করছে দেশটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে কতটুকু স্বশিক্ষিত। হাই-ইন্ড মাইক্রোপ্রসেসর থেকে ম্যাসিভ স্পেস ইনস্ট্রুমেন্ট যখন বাংলাদেশে তৈরি হবে, তখনই বাংলাদেশ শীর্ষ রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে পারবে। আর সে জন্য প্রয়োজন যথাযথ বিজ্ঞানশিক্ষা।
জীবনমান উন্নয়নে জ্ঞানের অগ্রগতি
ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস কেন হয়, ভূমিকম্প কীভাবে হয়, নদীর জল কোথা থেকে কোথায় গড়াবে—এ ধরনের প্রাকৃতিক চরিত্র সম্পর্কে যেমন বিজ্ঞানই আমাদের শেখায়, তেমনি প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে বাঁচার রাস্তাটিও সেই বিজ্ঞানই বাতলে দেয়। বিজ্ঞানের আশীর্বাদে উপ-পারমাণবিক কণা থেকে জল-স্থল পেরিয়ে জয় করেছে অন্তরিক্ষ! শিখেছে কীভাবে মহাশূন্যে টিকে থাকা যায়। শিখেছে দেহের ভেতর প্রয়োজনে ন্যানো-রোবট পাঠিয়ে কীভাবে ক্যানসার কোষ খুঁজে বের করা যায়। বিজ্ঞান গবেষণা এবং ছোট-বড় আবিষ্কার প্রতিনিয়ত আমাদের ধারণা দিচ্ছে। একটি ন্যাচারাল ঘটনা কীভাবে সামলাতে হয় অর্থাৎ একটি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে জীবনযাত্রার মান কী করে আরও সমৃদ্ধ করা যায়। এ ব্যাপারে যাঁদের বিজ্ঞানের প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান নেই, তাঁদের সাহায্য করতে পারে পপুলার বিজ্ঞানের সংগঠন ‘বিজ্ঞানপ্রিয়’ (facebook.com/bigyanpriyo)।
বাস্তবমুখী সমস্যার সমাধান
বিশ্বে প্রতিবছর প্রতি ছয়টি মৃত্যুর একটি হয় ক্যানসারের কারণে। ক্যানসারের বহু চিকিৎসা প্রচলিত আছে, কিন্তু চ্যালেঞ্জ হলো দেহের ঠিক কোথায় ক্যানসার কোষ রয়েছে, খুঁজে বের করা। বিজ্ঞানের ঘাড়ে বসেই প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পদ্ধতির তালাশ করছি আমরা। বাস্তবমুখী সমস্যাগুলোর সমাধান কেবল বিজ্ঞানই দিতে পারে। যেমন, একদা গুটিবসন্তে আক্রান্ত হলেই মানুষ মারা যেত। এখন তা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত। একসময় কেবল মাটিতেই ফসল চাষ হতো, ভূমিস্বল্পতায় এখন উদ্ভাবিত হয়েছে হাইড্রোপনিক পদ্ধতি। এককথায়, নানা সম্পাদ্যের সমাধান করে মানবসভ্যতাকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করেছে বিজ্ঞান।
কুসংস্কারের গতি আলোর চেয়েও বেশি
জন্ডিস রোগটির তেমন কোনো চিকিৎসা নেই। আপনা-আপনি হয়ে আপনা-আপনিই ভালো হয়ে যায়। চিকিৎসকেরাও তেমন কোনো ওষুধ দেন না। অথচ এই সুযোগের অপব্যবহার করে ‘হাত-ধোয়া’ নামের চিকিৎসার ডালা নিয়ে বসে আছেন অসংখ্য ফকির-কবিরাজ। আজ বিজ্ঞান যদি ওপরের তথ্যটি না জানাত, তবে এই ঠগবাজ কবিরাজেরাই হতো একমাত্র ভরসা। যুগে যুগে অপবিজ্ঞান, অপসাংস্কৃতিক উত্থাপন, মনের সংকীর্ণতা ও ভ্রান্ত ধারণার অবসান ঘটিয়ে সত্যের সন্ধান দিয়ে এসেছে বিজ্ঞান। একটা সময় পৃথিবীকে মনে করা হতো সমুদয় মহাবিশ্বের কেন্দ্র। এই তথ্যের সত্যতা তুলে ধরতে গিয়ে আজীবন গৃহবন্দী থেকে মৃত্যুবরণ করলেন গ্যালিলিও গ্যালেলি। কিন্তু কোপার্নিকাস প্রচলিত ধারণার বিপরীতে গিয়ে প্রমাণ করে ছাড়লেন, পৃথিবী সৌরজগতের কেন্দ্র নয়, বরং সামান্য একটা হ্যাভিটেবল গ্রহ মাত্র। এভাবেই যাঁরা যুক্তিবাদী ও বিচারবোধসম্পন্ন হয়ে বিজ্ঞানশিক্ষা অর্জন করছেন, তাঁরাই মানুষের অজ্ঞতা দূর করে কোনো ঘটনা বা সমস্যার প্রকৃত কারণ জানতে সচেষ্ট হয়েছেন। কুসংস্কারমুক্ত বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বিজ্ঞানশিক্ষার বিকল্প নেই।
কর্মসংস্থান ও ক্যারিয়ার
যদি প্রশ্ন করা হয়, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান রয়েছে কোন সেক্টরে? উত্তর হবে, কৃষি এবং টেকনিক্যাল সেক্টরগুলোতে। দুটোই বিজ্ঞানের অঙ্গ। বিজ্ঞানকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে ব্যবস্থাপনা, অর্থায়ন, হিসাবব্যবস্থা। মহাকাশ গবেষণা, স্পেসক্র্যাফট, মেডিসিন, কম্পিউটার, চাষাবাদ, ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল, ডিজাইনসহ বিজ্ঞানের অসংখ্য শাখা-প্রশাখা রয়েছে, যেখানে বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থান সুষম হারে তৈরি হচ্ছে। এদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিরাচরিত এই কর্মসংস্থানের জন্য হুমকি হলেও, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিজেই বৃহৎ এক কর্মসংস্থানের ঝুলি নিয়ে হাজির হচ্ছে।
বিজ্ঞানেরও আছে সীমাবদ্ধতা!
বিজ্ঞানেরও আবার ‘লিমিটেশন’ আছে নাকি? হ্যাঁ, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা, নৈতিক বিবেচ্য বিষয়াদি, জ্ঞানের পরিধি, প্রাকৃতিক জটিলতা ইত্যাদি প্যারামিটার বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে। যেমন, প্রযুক্তি ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে; কিন্তু এখনো কিছু প্রশ্ন রয়েছে, যা প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে উত্তর দেওয়া যায় না। আবার, নৈতিক বিবেচনার কারণে একজন বিজ্ঞানী চাইলেই মানুষের দেহ বা অন্য প্রাণীর ওপর পরীক্ষা চালাতে পারেন না। অনুমোদনই নেই। তা ছাড়া প্রাকৃতিক বিশ্ব অবিশ্বাস্যভাবে জটিল। অসংখ্য ফ্যাক্টর রয়েছে, যা একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার ফলকে প্রভাবিত করে ফেলতে পারে। সব ভ্যারিয়েবল নিয়ন্ত্রণ করা এবং নির্দিষ্ট একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো অনেক সময়ই কঠিন হয়ে পড়ে। যার কারণে সফলতার চেয়ে ব্যর্থতার সংখ্যাই বেশি। তবে এই ব্যর্থতার যাত্রাটাও অত্যন্ত উপভোগ্য। বিজ্ঞানে ব্যর্থ হতে গেলেও বিজ্ঞানশিক্ষা জরুরি। বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতাগুলো বুঝতে হলেও, বিজ্ঞানশিক্ষার বিকল্প নেই। জীবনে বিজ্ঞানকে এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। আমরা একদম কিছু না জেনেও বিজ্ঞানের আশীর্বাদগুলো ব্যবহার করতে পারি। আজকের বিজ্ঞান যখন কালকের প্রযুক্তি হয়ে আসবে, আকাশ থেকে পড়ব। বিজ্ঞানশিক্ষা ও গবেষণার প্রতি পর্যাপ্ত গুরুত্ব না দিলে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়িত হবে না। তৃতীয় শিল্পবিপ্লবটি ছিল ডিজিটাল বিপ্লব। এখন অপেক্ষা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের। বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশকে এগিয়ে নিতে হলে এ দেশের বিজ্ঞানশিক্ষায় অধিক পরিমাণ বাজেট বরাদ্দ, জনসচেতনতা, সেই সঙ্গে কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।
মুহাম্মাদ শাওন মাহমুদ, প্রতিষ্ঠাতা, বিজ্ঞানপ্রিয় (জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২২ বিজয়ী)
অনুলিখন: মো. আশিকুর রহমান

মানবসভ্যতার শুরুর দিকে পৃথিবী ছিল অপার বিস্ময় ও রহস্যের স্থান। সে পৃথিবীকে মানুষ হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে বিজ্ঞানচর্চার মাধ্যমে। প্রাচীনকালে জীবনযাপনের একপর্যায়ে মানুষ পাথরে পাথর ঘষে আগুন আবিষ্কার এবং পশুশিকারের জন্য অস্ত্র হিসেবে গাছের ডাল ও পাথর ব্যবহার করতে শেখে। তখন থেকেই শুরু হয় বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা। তার পর থেকে মানুষ বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আবিষ্কারের নেশায় মত্ত হয়ে উঠতে থাকে। আর এই নেশার মূলে ছিল ভৌত ও বাস্তব বিশ্বের সমস্যা সমাধান। ধাপে ধাপে এই বিজ্ঞানই হয়ে ওঠে ‘গ্লোবাল কোলাবোরেশন’, ক্ষমতা এবং বিশ্বে টিকে থাকা তথা নিরাপত্তার মূলসূত্র। বিজ্ঞানশিক্ষা কেন জরুরি, এই প্রসঙ্গে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা যাক—
গ্লোবাল কোলাবোরেশন ও নিরাপত্তা
‘মাইক্রোচিপ’ শব্দটির সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। প্রথম মাইক্রোচিপ ব্যবহার করে কম্পিউটার তৈরি করা হয়েছিল উনিশ শ ষাটের দশকে। তারপর অসংখ্য প্রযুক্তি কোম্পানি মাইক্রোচিপের ব্যবহার শুরু করলেও এক যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটায় ‘ইনটেল’। ১৯৭১ সালে তারা মাইক্রোচিপকে মাইক্রোপ্রসেসর আকারে প্রথম বাজারে নিয়ে আসে। তার পর থেকেই মানুষ বুঝতে পারে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের ক্ষমতা কতটুকু। ইনটেলের সেই প্রথম মাইক্রোপ্রসেসরটি ছিল Intel 4004, যা ব্যবহার করে মানুষ প্রথমবার চাঁদে পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। এর জনক আমেরিকান হলেও ধীরে ধীরে মাইক্রোপ্রসেসর উৎপাদন এশিয়া মহাদেশে চলে আসে। বর্তমানে বিশ্বের ৭৫ ভাগ রেগুলার মাইক্রোপ্রসেসর এবং ৯২ ভাগ ‘হাই-ইন্ড’ মাইক্রোপ্রসেসর (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ন্যাশনাল সিকিউরিটি, ফাইটার জেটে ব্যবহৃত মাইক্রোপ্রসেসর) তৈরি করছে তাইওয়ান (টিএসএমসি)। বাকি বাজার ধরে রেখেছে নোকিয়া, এনভিডিয়া, ইনটেল ইত্যাদি। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, তাইওয়ানের মাইক্রোচিপ ব্যবহার করে যেমন অন্যান্য দেশের ইলেকট্রনিকস উৎপাদন শিল্প টিকে আছে, ঠিক তেমনি এই পণ্যগুলো উৎপাদন করে তাইওয়ান নিজেও পুরো বিশ্বে নিজের অস্তিত্বকে নিরাপদ রেখেছে। যত দিন তাইওয়ান তার এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অটল থাকবে, তত দিন সে বহির্বিশ্বের আক্রমণ থেকে মুক্ত। চাঁদে নিয়ে যাওয়া সেই মাইক্রোপ্রসেসর Intel 4004
ভেবে দেখুন, একটা রাষ্ট্র বহিঃআক্রমণ থেকে কতটুকু নিরাপদ থাকবে, বহির্বিশ্বের সঙ্গে তার কতটুকু কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় থাকবে, তা নির্ভর করছে দেশটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে কতটুকু স্বশিক্ষিত। হাই-ইন্ড মাইক্রোপ্রসেসর থেকে ম্যাসিভ স্পেস ইনস্ট্রুমেন্ট যখন বাংলাদেশে তৈরি হবে, তখনই বাংলাদেশ শীর্ষ রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে পারবে। আর সে জন্য প্রয়োজন যথাযথ বিজ্ঞানশিক্ষা।
জীবনমান উন্নয়নে জ্ঞানের অগ্রগতি
ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস কেন হয়, ভূমিকম্প কীভাবে হয়, নদীর জল কোথা থেকে কোথায় গড়াবে—এ ধরনের প্রাকৃতিক চরিত্র সম্পর্কে যেমন বিজ্ঞানই আমাদের শেখায়, তেমনি প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে বাঁচার রাস্তাটিও সেই বিজ্ঞানই বাতলে দেয়। বিজ্ঞানের আশীর্বাদে উপ-পারমাণবিক কণা থেকে জল-স্থল পেরিয়ে জয় করেছে অন্তরিক্ষ! শিখেছে কীভাবে মহাশূন্যে টিকে থাকা যায়। শিখেছে দেহের ভেতর প্রয়োজনে ন্যানো-রোবট পাঠিয়ে কীভাবে ক্যানসার কোষ খুঁজে বের করা যায়। বিজ্ঞান গবেষণা এবং ছোট-বড় আবিষ্কার প্রতিনিয়ত আমাদের ধারণা দিচ্ছে। একটি ন্যাচারাল ঘটনা কীভাবে সামলাতে হয় অর্থাৎ একটি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে জীবনযাত্রার মান কী করে আরও সমৃদ্ধ করা যায়। এ ব্যাপারে যাঁদের বিজ্ঞানের প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান নেই, তাঁদের সাহায্য করতে পারে পপুলার বিজ্ঞানের সংগঠন ‘বিজ্ঞানপ্রিয়’ (facebook.com/bigyanpriyo)।
বাস্তবমুখী সমস্যার সমাধান
বিশ্বে প্রতিবছর প্রতি ছয়টি মৃত্যুর একটি হয় ক্যানসারের কারণে। ক্যানসারের বহু চিকিৎসা প্রচলিত আছে, কিন্তু চ্যালেঞ্জ হলো দেহের ঠিক কোথায় ক্যানসার কোষ রয়েছে, খুঁজে বের করা। বিজ্ঞানের ঘাড়ে বসেই প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পদ্ধতির তালাশ করছি আমরা। বাস্তবমুখী সমস্যাগুলোর সমাধান কেবল বিজ্ঞানই দিতে পারে। যেমন, একদা গুটিবসন্তে আক্রান্ত হলেই মানুষ মারা যেত। এখন তা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত। একসময় কেবল মাটিতেই ফসল চাষ হতো, ভূমিস্বল্পতায় এখন উদ্ভাবিত হয়েছে হাইড্রোপনিক পদ্ধতি। এককথায়, নানা সম্পাদ্যের সমাধান করে মানবসভ্যতাকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করেছে বিজ্ঞান।
কুসংস্কারের গতি আলোর চেয়েও বেশি
জন্ডিস রোগটির তেমন কোনো চিকিৎসা নেই। আপনা-আপনি হয়ে আপনা-আপনিই ভালো হয়ে যায়। চিকিৎসকেরাও তেমন কোনো ওষুধ দেন না। অথচ এই সুযোগের অপব্যবহার করে ‘হাত-ধোয়া’ নামের চিকিৎসার ডালা নিয়ে বসে আছেন অসংখ্য ফকির-কবিরাজ। আজ বিজ্ঞান যদি ওপরের তথ্যটি না জানাত, তবে এই ঠগবাজ কবিরাজেরাই হতো একমাত্র ভরসা। যুগে যুগে অপবিজ্ঞান, অপসাংস্কৃতিক উত্থাপন, মনের সংকীর্ণতা ও ভ্রান্ত ধারণার অবসান ঘটিয়ে সত্যের সন্ধান দিয়ে এসেছে বিজ্ঞান। একটা সময় পৃথিবীকে মনে করা হতো সমুদয় মহাবিশ্বের কেন্দ্র। এই তথ্যের সত্যতা তুলে ধরতে গিয়ে আজীবন গৃহবন্দী থেকে মৃত্যুবরণ করলেন গ্যালিলিও গ্যালেলি। কিন্তু কোপার্নিকাস প্রচলিত ধারণার বিপরীতে গিয়ে প্রমাণ করে ছাড়লেন, পৃথিবী সৌরজগতের কেন্দ্র নয়, বরং সামান্য একটা হ্যাভিটেবল গ্রহ মাত্র। এভাবেই যাঁরা যুক্তিবাদী ও বিচারবোধসম্পন্ন হয়ে বিজ্ঞানশিক্ষা অর্জন করছেন, তাঁরাই মানুষের অজ্ঞতা দূর করে কোনো ঘটনা বা সমস্যার প্রকৃত কারণ জানতে সচেষ্ট হয়েছেন। কুসংস্কারমুক্ত বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বিজ্ঞানশিক্ষার বিকল্প নেই।
কর্মসংস্থান ও ক্যারিয়ার
যদি প্রশ্ন করা হয়, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান রয়েছে কোন সেক্টরে? উত্তর হবে, কৃষি এবং টেকনিক্যাল সেক্টরগুলোতে। দুটোই বিজ্ঞানের অঙ্গ। বিজ্ঞানকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে ব্যবস্থাপনা, অর্থায়ন, হিসাবব্যবস্থা। মহাকাশ গবেষণা, স্পেসক্র্যাফট, মেডিসিন, কম্পিউটার, চাষাবাদ, ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল, ডিজাইনসহ বিজ্ঞানের অসংখ্য শাখা-প্রশাখা রয়েছে, যেখানে বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থান সুষম হারে তৈরি হচ্ছে। এদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিরাচরিত এই কর্মসংস্থানের জন্য হুমকি হলেও, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিজেই বৃহৎ এক কর্মসংস্থানের ঝুলি নিয়ে হাজির হচ্ছে।
বিজ্ঞানেরও আছে সীমাবদ্ধতা!
বিজ্ঞানেরও আবার ‘লিমিটেশন’ আছে নাকি? হ্যাঁ, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা, নৈতিক বিবেচ্য বিষয়াদি, জ্ঞানের পরিধি, প্রাকৃতিক জটিলতা ইত্যাদি প্যারামিটার বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে। যেমন, প্রযুক্তি ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে; কিন্তু এখনো কিছু প্রশ্ন রয়েছে, যা প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে উত্তর দেওয়া যায় না। আবার, নৈতিক বিবেচনার কারণে একজন বিজ্ঞানী চাইলেই মানুষের দেহ বা অন্য প্রাণীর ওপর পরীক্ষা চালাতে পারেন না। অনুমোদনই নেই। তা ছাড়া প্রাকৃতিক বিশ্ব অবিশ্বাস্যভাবে জটিল। অসংখ্য ফ্যাক্টর রয়েছে, যা একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার ফলকে প্রভাবিত করে ফেলতে পারে। সব ভ্যারিয়েবল নিয়ন্ত্রণ করা এবং নির্দিষ্ট একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো অনেক সময়ই কঠিন হয়ে পড়ে। যার কারণে সফলতার চেয়ে ব্যর্থতার সংখ্যাই বেশি। তবে এই ব্যর্থতার যাত্রাটাও অত্যন্ত উপভোগ্য। বিজ্ঞানে ব্যর্থ হতে গেলেও বিজ্ঞানশিক্ষা জরুরি। বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতাগুলো বুঝতে হলেও, বিজ্ঞানশিক্ষার বিকল্প নেই। জীবনে বিজ্ঞানকে এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। আমরা একদম কিছু না জেনেও বিজ্ঞানের আশীর্বাদগুলো ব্যবহার করতে পারি। আজকের বিজ্ঞান যখন কালকের প্রযুক্তি হয়ে আসবে, আকাশ থেকে পড়ব। বিজ্ঞানশিক্ষা ও গবেষণার প্রতি পর্যাপ্ত গুরুত্ব না দিলে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়িত হবে না। তৃতীয় শিল্পবিপ্লবটি ছিল ডিজিটাল বিপ্লব। এখন অপেক্ষা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের। বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশকে এগিয়ে নিতে হলে এ দেশের বিজ্ঞানশিক্ষায় অধিক পরিমাণ বাজেট বরাদ্দ, জনসচেতনতা, সেই সঙ্গে কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।
মুহাম্মাদ শাওন মাহমুদ, প্রতিষ্ঠাতা, বিজ্ঞানপ্রিয় (জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২২ বিজয়ী)
অনুলিখন: মো. আশিকুর রহমান

এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
৭ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান মাপকাঠি আইইএলটিএস পরীক্ষার পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আসছে। এত দিন এই পরীক্ষা কাগজভিত্তিক (পেপার বেসড) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হতো, যেখানে পরীক্ষার্থীরা কাগজে উত্তর লিখে জমা দিতেন।
তবে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারির পর এই পদ্ধতি আর থাকছে না। এর পর থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে নেওয়া হবে।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের (বাংলাদেশ) ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান মাপকাঠি আইইএলটিএস পরীক্ষার পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আসছে। এত দিন এই পরীক্ষা কাগজভিত্তিক (পেপার বেসড) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হতো, যেখানে পরীক্ষার্থীরা কাগজে উত্তর লিখে জমা দিতেন।
তবে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারির পর এই পদ্ধতি আর থাকছে না। এর পর থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে নেওয়া হবে।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের (বাংলাদেশ) ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

মানবসভ্যতার শুরুর দিকে পৃথিবী ছিল অপার বিস্ময় ও রহস্যের স্থান। সে পৃথিবীকে মানুষ হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে বিজ্ঞানচর্চার মাধ্যমে। প্রাচীনকালে জীবনযাপনের একপর্যায়ে মানুষ পাথরে পাথর ঘষে আগুন আবিষ্কার এবং পশুশিকারের জন্য অস্ত্র হিসেবে গাছের ডাল ও পাথর ব্যবহার করতে শেখে
২০ মার্চ ২০২৩
১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
বিজয়ের এই মহান দিনে আজকের পত্রিকার পাঠক ফোরাম পাঠকবন্ধু জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়। পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক খানের নেতৃত্বে বিভিন্ন শাখার বন্ধুরা এতে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক তাহমিদ আল মাহাবুব খান এলিন, তানজিল কাজী এবং সানজিদা জান্নাত পিংকি।
তরুণ প্রজন্মের দায়িত্ব ও আত্মত্যাগের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে এলিন খান বলেন, ‘এ বিজয় অর্জিত হয়েছে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অশেষ ত্যাগ, সাহস এবং একাত্মতার মাধ্যমে। আমাদের দায়িত্ব হলো এই অর্জিত স্বাধীনতাকে সংরক্ষণ করা এবং দেশের উন্নয়নের জন্য নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। যুবসমাজকে সাহসী, দায়িত্ববান এবং ন্যায়পরায়ণ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে, যেন আমরা একটি শক্তিশালী, মানবিক ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।’
তানজিল কাজী বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের মনে করিয়ে দেয়, অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হলে একটি জাতি কীভাবে অসম্ভবকেও সম্ভব করে তুলতে পারে। বিজয়ের মধ্য দিয়েই স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়। আজ বাংলাদেশ অর্থনীতি, শিক্ষা, অবকাঠামো ও প্রযুক্তিতে অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে। তবে বিজয়ের প্রকৃত মর্যাদা তখনই প্রতিষ্ঠিত হবে, যখন এই অগ্রগতি হবে ন্যায়, সাম্য ও মানবিকতার ওপর প্রতিষ্ঠিত।’

সানজিদা জান্নাত পিংকি বলেন, ‘অনেক অপেক্ষা, অনেক ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায়নি। আমাদের এসব প্রতিষ্ঠার লড়াই চালু রাখতে হবে।’
বিভিন্ন শাখার বন্ধুদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ হাসান, তাহমিদ হাসান, সফিক খান, আবিদ আনজুম ত্রিদিব, আফরা রুমালী সুপ্তি, জান্নাতুল লামিশা, হামিম মন্ডল, শরিফুল ইসলাম রিফাত, শিহাব আহসান প্রমুখ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বন্ধুরা একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
বিজয়ের এই মহান দিনে আজকের পত্রিকার পাঠক ফোরাম পাঠকবন্ধু জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়। পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক খানের নেতৃত্বে বিভিন্ন শাখার বন্ধুরা এতে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক তাহমিদ আল মাহাবুব খান এলিন, তানজিল কাজী এবং সানজিদা জান্নাত পিংকি।
তরুণ প্রজন্মের দায়িত্ব ও আত্মত্যাগের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে এলিন খান বলেন, ‘এ বিজয় অর্জিত হয়েছে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অশেষ ত্যাগ, সাহস এবং একাত্মতার মাধ্যমে। আমাদের দায়িত্ব হলো এই অর্জিত স্বাধীনতাকে সংরক্ষণ করা এবং দেশের উন্নয়নের জন্য নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। যুবসমাজকে সাহসী, দায়িত্ববান এবং ন্যায়পরায়ণ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে, যেন আমরা একটি শক্তিশালী, মানবিক ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।’
তানজিল কাজী বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের মনে করিয়ে দেয়, অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হলে একটি জাতি কীভাবে অসম্ভবকেও সম্ভব করে তুলতে পারে। বিজয়ের মধ্য দিয়েই স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়। আজ বাংলাদেশ অর্থনীতি, শিক্ষা, অবকাঠামো ও প্রযুক্তিতে অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে। তবে বিজয়ের প্রকৃত মর্যাদা তখনই প্রতিষ্ঠিত হবে, যখন এই অগ্রগতি হবে ন্যায়, সাম্য ও মানবিকতার ওপর প্রতিষ্ঠিত।’

সানজিদা জান্নাত পিংকি বলেন, ‘অনেক অপেক্ষা, অনেক ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায়নি। আমাদের এসব প্রতিষ্ঠার লড়াই চালু রাখতে হবে।’
বিভিন্ন শাখার বন্ধুদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ হাসান, তাহমিদ হাসান, সফিক খান, আবিদ আনজুম ত্রিদিব, আফরা রুমালী সুপ্তি, জান্নাতুল লামিশা, হামিম মন্ডল, শরিফুল ইসলাম রিফাত, শিহাব আহসান প্রমুখ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বন্ধুরা একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মানবসভ্যতার শুরুর দিকে পৃথিবী ছিল অপার বিস্ময় ও রহস্যের স্থান। সে পৃথিবীকে মানুষ হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে বিজ্ঞানচর্চার মাধ্যমে। প্রাচীনকালে জীবনযাপনের একপর্যায়ে মানুষ পাথরে পাথর ঘষে আগুন আবিষ্কার এবং পশুশিকারের জন্য অস্ত্র হিসেবে গাছের ডাল ও পাথর ব্যবহার করতে শেখে
২০ মার্চ ২০২৩
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
৭ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৩ দিন আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদসমূহের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা–২০২৫-এর ১৭ নম্বর বিধি অনুযায়ী গঠিত অভিযোগ ও নিষ্পত্তি কমিটি সাতজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে রিপোর্ট দিয়েছে। এ ছাড়া একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট-সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃক প্রমাণিত নয় বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এবং অপর একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট রিপোর্ট-সংক্রান্ত জটিলতার মীমাংসা হওয়ায় মোট ৯ জনের প্রার্থিতা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পুনর্বহাল হওয়া প্রার্থীরা হলেন—সহসভাপতি পদপ্রার্থী চন্দন কুমার দাস, সহসাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. শাহিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোসা. উম্মে মাবুদা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তানভীর মাহমুদ (শিহাব), আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস, ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তাসনিমুল হাসান, নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ও মনিরুজ্জামান (মনির), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. ইমরান হোসেন।
উল্লেখ্য, অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে গতকাল রোববার দাবি করেছিলেন ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও চিকিৎসক) ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়ুবিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছেন। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তাঁর ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল। এ বিষয়ে তাঁর স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশিত হয়। সেখানেও বলা হয়, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
এর আগে ১১ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে (জকসু) ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল শিক্ষার্থী সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ ৩৪ পদের বিপরীতে ১৮৯ জন চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন অভিযোগ ও ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) উতরাতে না পারায় চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন ৪২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ৩৮ ও হল শিক্ষার্থী সংসদে চার শিক্ষার্থী ছিলেন। এই ৪২ জনের মধ্যে আজ ৯ শিক্ষার্থী প্রার্থিতা ফিরে পেলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদসমূহের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা–২০২৫-এর ১৭ নম্বর বিধি অনুযায়ী গঠিত অভিযোগ ও নিষ্পত্তি কমিটি সাতজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে রিপোর্ট দিয়েছে। এ ছাড়া একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট-সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃক প্রমাণিত নয় বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এবং অপর একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট রিপোর্ট-সংক্রান্ত জটিলতার মীমাংসা হওয়ায় মোট ৯ জনের প্রার্থিতা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পুনর্বহাল হওয়া প্রার্থীরা হলেন—সহসভাপতি পদপ্রার্থী চন্দন কুমার দাস, সহসাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. শাহিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোসা. উম্মে মাবুদা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তানভীর মাহমুদ (শিহাব), আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস, ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তাসনিমুল হাসান, নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ও মনিরুজ্জামান (মনির), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. ইমরান হোসেন।
উল্লেখ্য, অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে গতকাল রোববার দাবি করেছিলেন ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও চিকিৎসক) ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়ুবিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছেন। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তাঁর ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল। এ বিষয়ে তাঁর স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশিত হয়। সেখানেও বলা হয়, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
এর আগে ১১ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে (জকসু) ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল শিক্ষার্থী সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ ৩৪ পদের বিপরীতে ১৮৯ জন চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন অভিযোগ ও ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) উতরাতে না পারায় চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন ৪২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ৩৮ ও হল শিক্ষার্থী সংসদে চার শিক্ষার্থী ছিলেন। এই ৪২ জনের মধ্যে আজ ৯ শিক্ষার্থী প্রার্থিতা ফিরে পেলেন।

মানবসভ্যতার শুরুর দিকে পৃথিবী ছিল অপার বিস্ময় ও রহস্যের স্থান। সে পৃথিবীকে মানুষ হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে বিজ্ঞানচর্চার মাধ্যমে। প্রাচীনকালে জীবনযাপনের একপর্যায়ে মানুষ পাথরে পাথর ঘষে আগুন আবিষ্কার এবং পশুশিকারের জন্য অস্ত্র হিসেবে গাছের ডাল ও পাথর ব্যবহার করতে শেখে
২০ মার্চ ২০২৩
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
৭ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
১ দিন আগে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৩ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

মানবসভ্যতার শুরুর দিকে পৃথিবী ছিল অপার বিস্ময় ও রহস্যের স্থান। সে পৃথিবীকে মানুষ হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে বিজ্ঞানচর্চার মাধ্যমে। প্রাচীনকালে জীবনযাপনের একপর্যায়ে মানুষ পাথরে পাথর ঘষে আগুন আবিষ্কার এবং পশুশিকারের জন্য অস্ত্র হিসেবে গাছের ডাল ও পাথর ব্যবহার করতে শেখে
২০ মার্চ ২০২৩
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
৭ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে