Ajker Patrika

জিম্যাট: ডেটা ইনসাইটস সেকশনের প্রস্তুতি পর্ব-৫

মুসাররাত আবির
জিম্যাট: ডেটা ইনসাইটস সেকশনের প্রস্তুতি পর্ব-৫

আগের পর্বগুলোতে আমরা জিম্যাটের কোয়ান্টিটিভ ও ভার্বাল রিজনিং সেকশন সম্পর্কে জেনেছি। আজ জানব জিম্যাটের শেষ সেকশন, ডেটা ইনসাইটস সম্পর্কে।

ডেটা ইনসাইটস কী
২০২৪ সালের জিম্যাটের নতুন সংযোজন এই ডেটা ইনসাইটস সেকশন। এর মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের ডেটা বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা এবং বাস্তবজীবনের পরিস্থিতিতে তথ্যকে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, তা যাচাই করা হয়। কারণ, ব্যবসায়িক জগতে আজকাল সিদ্ধান্ত নিতে গেলে বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করতে হয়। এ সেকশনটি পরীক্ষার্থীরা এমন পরিস্থিতির জন্য কেমন প্রস্তুত, তা নির্ণয় করতে সাহায্য করে।

ডেটা ইনসাইটসে মূলত পাঁচ ধরনের প্রশ্ন অন্তর্ভুক্ত থাকে: ডেটা সাফিসিয়েন্সি, মাল্টি-সোর্স রিজনিং, টেবিল অ্যানালাইসিস, গ্রাফিকস ইন্টারপ্রিটেশন এবং টু-পার্ট অ্যানালাইসিস।

প্রশ্নের ধরন
এই সেকশনে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে, যা সমাধান করতে ৪৫ মিনিট সময় পাবেন।

ডেটা সাফিসিয়েন্সি: এখানে আপনাকে প্রশ্নের সমাধান করতে হবে না, বরং সমস্যার সমাধানের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য আছে কি না, তা যাচাই করতে হবে। এখানে একটি গাণিতিক সমস্যা এবং দুটি পৃথক বিবৃতি দেওয়া থাকবে। প্রশ্ন পড়ে বুঝতে হবে এই প্রশ্ন সমাধানের উপায় এখানে দেওয়া আছে কি না। কোনো কোনো প্রশ্নের সমাধান বের করার জন্য একাধিক তথ্যের দরকার হতে পারে, তাই প্রশ্ন খুব মনোযোগ দিয়ে পড়া জরুরি। এর মাধ্যমে বোঝা যাবে যে আপনি ‘যথেষ্ট’ ও ‘অপ্রতুল’ ডেটার ধারণা বুঝতে পারেন কি না।

মাল্টি-সোর্স রিজনিং: এখানে বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রশ্নগুলো টেক্সট, টেবিল, গ্রাফ, ডায়াগ্রাম ইত্যাদি রূপে আসতে পারে। উত্তর প্রশ্নের মধ্যে পেয়ে যাবেন। আপনার কাজ হলো, এসব তথ্য একত্র করে যুক্তিসংগত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো। কখনো কখনো তথ্যগুলোর মধ্যে বৈপরীত্য থাকতে পারে, তাই ভালোভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে।

টেবিল অ্যানালাইসিস: এই অংশে একটি টেবিল থেকে তথ্য বিশ্লেষণ করে আপনাকে সঠিক উত্তর খুঁজতে হবে। প্রতিটি উত্তর বিচার করতে হবে শর্ত অনুযায়ী, যেমন ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’, ‘সত্য’ বা ‘মিথ্যা’ ইত্যাদি। যেসব শর্ত দেওয়া থাকবে, সেগুলোর ভিত্তিতে প্রতিটি সম্ভাব্য উত্তর যাচাই করতে হবে। এখানে টেবিল ছাড়াও গ্রাফ বা চার্টের মাধ্যমে তথ্য দেওয়া হতে পারে। আপনাকে প্রথমে ভালোভাবে স্কেল, একক এবং লেবেলগুলো পড়ে এরপর বিশ্লেষণ করতে হবে। গ্রাফের সঙ্গে সংযুক্ত লেখাতেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে, তাই দুটো মিলিয়েই বুঝে নিতে হবে।

গ্রাফিকস ইন্টারপ্রিটেশন: এখানে গ্রাফ (যেমন স্ক্যাটার প্লট, এক্স-ওয়াই গ্রাফ, বার গ্রাফ বা পাই চার্ট) বা ডায়াগ্রামে থাকা তথ্য বিশ্লেষণ করতে হবে। এর জন্য আপনাকে ধীরে ধীরে গ্রাফের স্কেল, অ্যাক্সিস এবং অন্যান্য লেবেলের সঙ্গে পরিচিত হতে হবে। এটি ভিজ্যুয়াল ডেটা থেকে প্রাসঙ্গিক তথ্য বের করা, সম্পর্ক ও প্যাটার্ন চিহ্নিত করা এবং সে অনুযায়ী উত্তর দেওয়ার দক্ষতা যাচাই করে।

টু-পার্ট অ্যানালাইসিস: এই প্রশ্নগুলোতে আপনাকে একটি সমস্যার দুটি সম্পর্কিত অংশ দেওয়া হয়। অর্থাৎ এখানে তথ্য বিশ্লেষণ করে আপনাকে দুটি অংশে সঠিক উত্তর খুঁজে নিতে হবে। আপনার কাজ হলো, প্রতিটি অংশের জন্য সঠিক উত্তর খুঁজে বের করা এবং মনে রাখতে হবে যে উত্তরগুলো একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। প্রশ্নগুলোর ফরম্যাট গাণিতিক বা মৌখিক হতে পারে, যেখানে লজিক্যাল রিজনিং, টেক্সট অ্যানালাইসিস বা কোয়ান্টিটিভ সমস্যা সমাধানের দক্ষতা প্রয়োজন।

ডেটা ইনসাইটস সেকশনের ২০-৩০ শতাংশ নম্বর গ্রাফিকস ইন্টারপ্রিটেশন এবং মাল্টি-সোর্স রিজনিং বহন করে। বাকি নম্বরের একটা বড় অংশ আসে ডেটা সাফিসিয়েন্সি থেকে। টু-পার্ট অ্যানালাইসিস থেকে মূলত খুব কম প্রশ্ন এসে থাকে।

এই সেকশনে ভালো করার কৌশল
প্রথমেই কিছু মক টেস্ট দিয়ে নিজের অবস্থান যাচাই করুন এবং নিজের স্কোরের পার্সেন্টাইল বুঝে নিন। এটি আপনার প্রাথমিক দক্ষতার ভিত্তি নির্ধারণ করবে। এরপর পড়ার রুটিন তৈরি করে নিন। শুরুতে পূর্ণ স্কোরের লক্ষ্য না নিয়ে ছোট ছোট টার্গেট নির্ধারণ করুন। আগে ৩০তম পার্সেন্টাইলের নিচে থাকা টপিকগুলো সমাধানের চেষ্টা করুন। টেবিল অ্যানালাইসিস এবং গ্রাফিকস ইন্টারপ্রিটেশন দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করতে পারেন। তারপর টু-পার্ট অ্যানালাইসিস এবং মাল্টি-সোর্স রিজনিংয়ের দিকে অগ্রসর হোন।

প্রতিটি অংশ শেষ করার পর আপনার দক্ষতা দৃঢ় করার দিকে মনোযোগ দিন। যদি আপনার লক্ষ্য ৭০তম পার্সেন্টাইল হয়, তবে কঠিন প্রশ্নে ৫৫ শতাংশ নির্ভুলতা অর্জন করুন। ৯০তম পার্সেন্টাইলের লক্ষ্য থাকলে, ৭০ শতাংশ নির্ভুলতার জন্য চেষ্টা করুন।

প্রতিদিন মক টেস্ট দেওয়ার মাধ্যমে নিজের দুর্বল জায়গাগুলো খুঁজে বের করুন এবং রিভিউ করতে থাকুন। এই কৌশলগুলো জিম্যাটের ডেটা ইনসাইটস সেকশনে আপনার স্কোর বাড়াতে সহায়ক হবে।

সূত্র: জিম্যাট ক্লাব, ই-জিম্যাট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যে কারণে সন্তানদের ‘আবৃত্তি’ শেখাবেন

শাহ বিলিয়া জুলফিকার
যে কারণে সন্তানদের ‘আবৃত্তি’ শেখাবেন

আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। শুদ্ধ উচ্চারণের অনুশীলন, আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা এবং ভাষার প্রতি গভীর অনুরাগ সৃষ্টির মাধ্যমে আবৃত্তি শিশুদের সার্বিক ব্যক্তিত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আবৃত্তির এই প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের প্রিন্সিপাল ডেমোনস্ট্রেটর আরিফ হাসান। গ্রন্থনা করেছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার

আবৃত্তির মূল ভিত্তি হলো শুদ্ধ ও প্রমিত উচ্চারণ। একটি কবিতার সঠিক ভাব ও ছন্দ বজায় রেখে পাঠ করতে হলে স্বর, বর্ণ ও শব্দের যথাযথ উচ্চারণ অপরিহার্য। ছোটবেলা থেকে আবৃত্তিচর্চা করলে শিশুরা ধীরে ধীরে আঞ্চলিকতার প্রভাব কাটিয়ে প্রমিত বাচনভঙ্গির অধিকারী হয়। এটি কেবল বাংলা ভাষার ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য ভাষা শেখার ক্ষেত্রেও সহায়ক এবং শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবনে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে।

আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি ও জড়তা দূরীকরণ

জনসমক্ষে নির্ভয়ে ও সুন্দরভাবে কথা বলার সক্ষমতা একজন সফল মানুষের অন্যতম প্রধান গুণ। আবৃত্তি শিশুদের মনের ভেতরের ভয় ও জড়তা কাটাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। মঞ্চে বা সবার সামনে আবৃত্তি পরিবেশন করার মাধ্যমে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। নিজেদের ভাব প্রকাশের এই চর্চা লাজুকতা দূর করে এবং ব্যক্তিত্বকে করে তোলে আরও দৃঢ় ও সাবলীল।

শব্দভান্ডার সমৃদ্ধি

কবিতা বা ছড়া আবৃত্তির মাধ্যমে শিশুরা নতুন নতুন শব্দ, বাক্যগঠন ও সাহিত্যের বৈচিত্র্যময় দিক সম্পর্কে জানতে পারে। এর ফলে তাদের শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হয় এবং ভাষার প্রতি জন্ম নেয় গভীর অনুরাগ। কবিতার ভাব, ছন্দ ও অলংকার অনুধাবনের মধ্য দিয়ে তাদের সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।

স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগের বিকাশ

একটি কবিতা মুখস্থ করে তা যথাযথ আবেগ ও ভাবসহ উপস্থাপন করা স্মৃতিশক্তির জন্য একটি কার্যকর অনুশীলন। আবৃত্তিচর্চার জন্য কবিতার বিষয়বস্তু মনোযোগ দিয়ে বুঝতে হয়, যা শিশুদের একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই অনুশীলন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং শেখার ক্ষমতা জোরদার করে।

মানবিক মূল্যবোধের চর্চা

সাহিত্য; বিশেষ করে কবিতা—মানবজীবন, দেশপ্রেম, মানবতা ও প্রকৃতিপ্রেমের গভীর বার্তা বহন করে। আবৃত্তির মাধ্যমে শিশুরা এসব মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে পরিচিত হয় এবং সেগুলোর প্রতি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। ভালো কবিতার ভাবধারা শিশুদের কোমল মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং নৈতিক বিকাশে সহায়তা করে।

আবৃত্তি ও মেডিকেল সায়েন্স

স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা আবৃত্তিকে একধরনের থেরাপি হিসেবেও উল্লেখ করেন। তাঁদের মতে, আবৃত্তি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ বৃদ্ধি

আবৃত্তির জন্য কবিতা বোঝা, মনে রাখা এবং সঠিক আবেগসহ উপস্থাপন করা প্রয়োজন হয়। এ প্রক্রিয়ায় মস্তিষ্কের ভাষা প্রক্রিয়াকরণ ও স্মৃতিসংশ্লিষ্ট অংশ সক্রিয় হয়। ফলে স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং সামগ্রিক সংজ্ঞানাত্মক দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

স্নায়বিক সংযোগ শক্তিশালীকরণ

নিয়মিত কবিতা মুখস্থ করা ও আবৃত্তি করার ফলে মস্তিষ্কের স্নায়বিক সংযোগ আরও দৃঢ় হয়, যা তথ্য প্রক্রিয়াকরণের গতি বাড়াতে সাহায্য করে।

ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমার্সের ঝুঁকি হ্রাস

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মুখস্থ করার অনুশীলন যেমন কবিতা বা ধর্মীয় স্তোত্র আবৃত্তি মস্তিষ্কের সক্ষমতা বাড়ায় এবং বার্ধক্যের স্মৃতিভ্রম বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে।

স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমায়

আবৃত্তির সময় সুর, ছন্দ ও শ্বাসপ্রশ্বাসের একটি নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার হয়, যা ধ্যান বা মেডিটেশনের মতো প্রভাব ফেলে। এতে প্যারাসিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম সক্রিয় হয় এবং স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোলের মাত্রা কমতে সাহায্য করে।

কবিতা মানুষের গভীর অনুভূতি ও আবেগকে প্রকাশ করে। আবৃত্তির মাধ্যমে সেই আবেগ প্রকাশ বা অনুভব করার সুযোগ তৈরি হয়, যা মানসিক চাপ কমিয়ে স্থিতিশীলতা বাড়ায়। মনোরোগ চিকিৎসায় ‘পোয়েট্রি থেরাপি’ বা ‘গ্রন্থ চিকিৎসা’ একটি সহায়ক পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আবৃত্তির সময় মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন ও সেরোটোনিনের মতো ‘সুখের হরমোন’ নিঃসৃত হতে পারে, যা মন ভালো রাখতে সহায়তা করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: কাল ভোট, নিরাপত্তা জোরদার

  • ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ।
  • ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি।
  • মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন।
  • কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে প্রার্থী ১৮৭।
সোহানুর রহমান, জবি
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৫০
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।

সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে জগন্নাথ কলেজে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৭৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৭০ জন। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থী ১৮৭ জন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩৯ কেন্দ্রের ১৭৮ বুথে ভোট গ্রহণ হবে। ব্যালট পেপার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলাকালে প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ টিম দায়িত্ব পালন করবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিকভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আইনশৃঙ্খলাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাহিনী আজ থেকে ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সক্রিয় থাকবে। কমিশন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, যেকোনো সমস্যা সমাধানে নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোর অবস্থানে থাকবে।’

নির্বাচনকে ঘিরে গতকাল শেষ দিনের মতো প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। দিনভর ক্যাম্পাসে প্রার্থীদের গণসংযোগ, মতবিনিময় ও ভোটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ লক্ষ করা গেছে।

ছাত্রশিবির-সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি ফেয়ার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোট গণনায় যেন বিলম্ব না হয়, সেই দাবিও থাকবে। সব মিলিয়ে আশা করি, শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ক্যাম্পাসে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে।’

ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করেছি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও এই ধারা অব্যাহত থাকত। এখন আমাদের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। আশা করি, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থেকে এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে।’

জাতীয় ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমরা হতাশ। তাদের প্রতিটি কার্যক্রম বিতর্কিত, তাই কোনো আশা রাখছি না। তবে শিক্ষার্থীদের থেকে আমাদের একটাই আশা, ক্যাম্পাসের জন্য যারা কাজ করবে, সে রকম প্রতিনিধি বাছাই করতে তারা ভোটকেন্দ্রে এসে নিরাপদে ভোট দিতে পারুক।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট-সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘প্রচারণার মধ্য দিয়ে আমরা অনেক ভালো সাড়া পেয়েছি এবং শিক্ষার্থীদের থেকে আশাবাদী। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কিছু সংশয় আছে। সব মিলিয়ে আমরা আশা করছি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’

লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লাবণী আক্তার কবিতা বলেন, ‘আশা করি, নির্বাচিত প্রার্থীরা দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।’

নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে প্রবেশসংক্রান্ত বিষয়ে তিনি জানান, ‘কেবল অনুমোদিত ব্যক্তি, ভোটার, শিক্ষক এবং নির্বাচনের কাজে বিশেষভাবে অনুমোদিত ব্যক্তিরাই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। এ জন্য নির্ধারিত পরিচয়পত্র বহন বাধ্যতামূলক। পরিচয়পত্র সংগ্রহের বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পর বুটেক্সে প্রথম সমাবর্তন

শেফাক মাহমুদ, বুটেক্স
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

সমাবর্তনে মোট ৪,১২৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৬০ জন মাস্টার্স, ১৯৪ জন এমবিএ এবং বুটেক্স অধিভুক্ত কলেজসমূহ থেকে ১,২৫০ জন গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ৪১ জন শিক্ষার্থীকে গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, "আজকের এই সমাবর্তন শুধু বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নয়, দেশের বস্ত্রশিল্পের গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রেও একটি যুগান্তকারী অর্জন। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পরিপক্কতার সাক্ষী হচ্ছি, যা অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলছে। এটি কেবল শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়; বরং ভবিষ্যতের আরও অসংখ্য তরুণকে অনুপ্রাণিত করবে।"

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, "আমাদের বৈদেশিক আয়ের বড় অংশ আসে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল পণ্য থেকে। এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ সরবরাহে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। তাই মনে রাখতে হবে—দেশ ও জাতি আজ তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। চলার পথ সহজ নয়; সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তবে মনে রেখো, তোমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও কাজের প্রভাব শুধু নিজেই নয়, পরিবার, সমাজ এবং দেশের ওপরও পড়বে।"

হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং বলেন, “প্রাচীনকাল থেকে এশীয় এই উপমহাদেশ বস্ত্রশিল্পে বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। ঢাকার মসলিন ছিল বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট তুলা বস্ত্র—যার কোমলতা ও মান আজও অতুলনীয়। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাত বিশ্ববাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। দেশের ৫০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলের প্রতি আগ্রহ ও নিষ্ঠা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে এবং দেশসেবার সুযোগ তৈরি করবে। এই সমাবর্তন শুধু একটি ডিগ্রি অর্জনের অনুষ্ঠান নয়—এটি আরও বড় একটি উত্তরাধিকার বহনের আনুষ্ঠানিক সূচনা।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, "মোট ৪,১২৬ জন গ্র্যাজুয়েট আজ তাদের ডিগ্রি গ্রহণ করছেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সকল গ্র্যাজুয়েট দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। আমাদের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের টেক্সটাইল শিল্পে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে অবদান রেখে আসছে। এর পাশাপাশি ২৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখেছেন। আজকের এই সমাবর্তন শুধু একটি অর্জন নয়, বরং দায়িত্ব ও অঙ্গীকারের সূচনা। সততা, অধ্যবসায় এবং শিক্ষার ধারাবাহিক চর্চাকে জীবন ও কর্মের মূলমন্ত্র হিসেবে ধারণ করে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে সমাজ, দেশ ও মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।"

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মধ্য জানুয়ারির আগেই শিক্ষার্থীদের হাতে শতভাগ বই পৌঁছাবে: শিক্ষা উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত অনুষ্ঠান। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত অনুষ্ঠান। ছবি: আজকের পত্রিকা

আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।

রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত ‘নতুন পাঠ্যবইয়ের সফট কপি অনলাইনে আপলোডকরণ উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন বা পিডিএফ কপি প্রকাশ করা হয়।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। তার আগেই অলমোস্ট হান্ড্রেড পার্সেন্ট (প্রায় শতভাগ) বই পৌঁছে যাবে।

আগামী বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের সবাই সব বিষয়ের নতুন পাঠ্যবই হাতে পাবে না বলে সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়।

এর সমালোচনা করে সি আর আবরার বলেন, ‘এখানে পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে রিপোর্ট (প্রতিবেদন) হয়েছে, যথার্থ রিপোর্ট হয়েছে। আবার কিছু কিছু রিপোর্ট আমি বলব, সেগুলো খুব যে একটা সৎ উদ্দেশ্যে হয়েছিল, সেটা না।’

নতুন বই নিয়ে অভিযোগের জবাব শিক্ষা প্রশাসন কাজের মাধ্যমে দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’

বই ছাপানোর সময় বেশি লাগার কারণও অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা করেন সি আর আবরার।

বিভিন্ন প্রেসে অভিযান চালিয়ে ‘মানহীন’ বই ধ্বংস করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্যে যেন কোনো ভুল না থাকে, এ জন্য রিটেন্ডার করতে হয়েছে। বিভিন্ন রকমের চিন্তাভাবনা ছিল, সেগুলো আমাদের নিরসন করতে হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানাসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির কর্মকর্তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত