Ajker Patrika

পরামর্শ: ৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি: ইংরেজি

মো. মুহিবুর রহমান
পরামর্শ: ৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি: ইংরেজি

বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করতে হলে কৌশল করে পড়তে হবে। নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়ার অভ্যাস থাকতে হবে। সম্পাদকীয় কলামের পাশাপাশি পত্রিকার অন্যান্য পাতাও পড়া উচিত। মৌলিক গ্রামার ও ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিংইয়ে ভালো দখল থাকলে প্রস্তুতি অনেকটা সহজ হয়ে যায়। ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ইংরেজির পরামর্শ তুলে ধরা হলো। পর্ব-৩  
 
পার্ট-এ: ১০০ নম্বর
  • comprehension-এর Answer the following questions-এ সাধারণত সাম্প্রতিক বিষয় বা গুরুত্বপূর্ণ অন্য কোনো বিষয়ে একটি প্যাসেজ দেওয়া থাকে। প্রথমে প্যাসেজ না পড়ে প্রশ্নগুলো আগে পড়ে ফেলা উচিত। প্রশ্নে জানতে চাওয়া বিষয়টি প্যাসেজ পড়ে খুঁজে বের করতে হবে। কখনোই Comprehension থেকে কপি করে লেখা যাবে না। Comprehension ভালো করে পড়ে নিজের ভাষায় প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। চেষ্টা করুন ৩ নম্বরের প্রতিটি উত্তর যেন ৩-৪ বাক্যে হয়। ■ Grammar usage-এর ওপর প্রশ্ন আসবে। ব্যাকরণ অংশে নতুন কিছু নেই। যা আপনি প্রিলিতে পড়েছেন, তা-ই। একবার চোখ বুলিয়ে নেবেন। Word Formation, parts of speech changing, sentence making, meaning of words, antonym, punctuation, run-on sentences, clause, joining sentences ইত্যাদি থেকেই প্রশ্ন আসবে। কয়েকটি বই থেকে প্রচুর অনুশীলন করুন। প্যাসেজের শব্দগুলোর contextual meaning সব সময় গুরুত্বপূর্ণ। 
  • Summary মাত্র ১০০ শব্দে লিখতে হবে। তাই কম্প্রিহেনশনটির মূল কথা দাগিয়ে ফেলুন। পুরো প্যাসেজটাকে ৩-৪টি ভাগে ভাগ করুন। এরপর প্রতিটি ভাগের কয়েকটি বাক্যকে একটি করে বাক্যে লিখুন। Summary করার সময় উদাহরণ, statical data, quotation, Bracket-এ দেওয়া elaborations, Apposition বাদ দিতে হবে। এই অংশের জন্য নিয়মিত পেপারের সম্পাদকীয় আর আর্টিকেলগুলোকে সামারাইজ করার চেষ্টা করুন। 
  • Letter to the Editor অংশের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নিয়মিত পত্রিকার লেটার টু দ্য এডিটর অংশটি পড়ুন, সঙ্গে কিছু গাইড বই। লেটার অংশে নিয়মকানুনের ওপর মার্ক বরাদ্দ থাকে। লেটারের ভাষা হবে খুব ফরমাল। একটা ইংরেজি পত্রিকার সঠিক ঠিকানা শিখে রাখা ভালো। প্রশ্নে শিরোনাম উল্লেখ থাকলে তাই ব্যবহার করতে হবে। উল্লেখ না থাকলে thematic issue অনুযায়ী টাইটেল দিতে হবে। নিয়মকানুন মেনে লেখকের মতামত, নিজের মতামত, পরামর্শ, শেষ কথা ইত্যাদি ভালোভাবে লিখতে হবে। 
পার্ট-বি: ১০০ নম্বর
  • Essay Writing অংশে নির্দিষ্ট শব্দসংখ্যার মধ্যে একটি রচনা লিখতে হবে। বিগত কয়েক বিসিএসের রচনার টপিকগুলোতে সাম্প্রতিক ইস্যু বাদ যায়নি। সাম্প্রতিক ইস্যু এবং সমাজঘনিষ্ঠ বিষয়াদি সম্পর্কে নোট করে রাখলে তা কাজে আসবে। বাংলাদেশ সংবিধানের ব্যাখ্যা, বিভিন্ন সংস্থার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট, উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া, ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টাল, কিছু আন্তর্জাতিক পত্রিকা ইত্যাদি সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর রাখুন। প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় বিভিন্ন লেখকের রচনা, পত্রিকার কলাম ও সম্পাদকীয়, ইন্টারনেট, বিভিন্ন সংস্থার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট, সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারা, বিভিন্ন রেফারেন্স থেকে উদ্ধৃতি দিলে মার্ক বাড়বে। এই অংশগুলো লিখিত নীল কালি ব্যবহার করলে সহজে পরীক্ষকের চোখে পড়বে। কোটেশন ছাড়া রচনা লেখার চিন্তাও মাথায় আনবেন না। নিজের মতো করে সহজ ভাষায় বিভিন্ন টপিক নিয়ে ননস্টপ লেখার অনুশীলন করুন। পেপারের এডিটোরিয়াল আর বিভিন্ন আর্টিকেল নিজের ভাষায় সহজ করে লেখার চেষ্টা করুন।
  • Translation-এর জন্য অর্থনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্য গুরুত্বপূর্ণ টপিকের Keywords (যেমন Cogenial Academic Atmosphere-শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ, peaceful demonstration-শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ, Economic recession-অর্থনৈতিক মন্দা) শিখে ফেলুন। পাশাপাশি পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ টপিক অনুশীলন করুন। আক্ষরিক অর্থ না করে বাক্যের মাধুর্য বজায় রেখে ভাবানুবাদ করুন। আক্ষরিক অনুবাদে প্রতিটি শব্দের, প্রতিটি বাক্যের হুবহু অনুবাদ করা হয়, কিন্তু ভাবানুবাদে মূলভাবটি বজায় রেখে নতুনভাবে বাক্য গঠন করা হয়। তবে ভাবানুবাদ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, রচনার মূল বক্তব্য যেন বদলে না যায়। যেমন ‘Rain, rain, go away Come again some other day’ এই বাক্যের অনুবাদ করতে গিয়ে যদি লেখেন ‘বৃষ্টি, বৃষ্টি দূরে চলে যাও, অন্যদিন আবার এসো’, এটা কেমন হাস্যকর লাগে। কিন্তু এর অনুবাদে যদি লেখেন, ‘লেবুর পাতা করমচা, যাহ বৃষ্টি ঝরে যা’ এটাই ভাবানুবাদ। আবার ‘আজকে আমার মন ভালো নেই’ এই বাক্যের ইংরেজি অনুবাদে ‘my mood is off today’ না লিখে যদি লেখেন ‘Today, I am in low spirit’, তবে কোনটা ভালো শোনা যায়? ভালো অনুবাদ জ্ঞান আপনাকে অন্যদের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে দিতে পারে। এ জন্য নিয়মিত অনুশীলনের বিকল্প নেই।
 
মো. মুহিবুর রহমান,পুলিশ ক্যাডার, ৪১তম বিসিএস।  
 
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‎জকসু নির্বাচনে প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৪ দফা দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৫৪
জকসু নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
জকসু নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা। ‎

‎এ বিষয়ে ছাত্রশিবির সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী আব্দুল আলিম আরিফ ‎বলেন, ‘আমরা প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জকসু নির্বাচনকে ঘিরে সম্মিলিতভাবে চার দফা মৌখিক দাবি জানিয়েছি। প্রশাসন থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে সবগুলো পূরণ করতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।’ ‎

‎সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘আমরা যে দাবি জানিয়েছি, তা অবশ্যই পূরণ করা লাগবে—এটা আমাদের অধিকার।’ ‎

এর আগে সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পরপরই ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টা ধরে উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন চালান তাঁরা। ‎

‎শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে আবারও সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়। সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ ‎

‎চার দফা দাবি হলো—জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন আগামী ৬ জানুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত করতে হবে। নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো সদস্য পদত্যাগ করতে পারবেন না। নির্বাচন শেষে যেসব সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাদের পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচন স্থগিতের পেছনে কোনো দলীয় বা রাজনৈতিক চাপ ছিল কি না, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: জকসু নির্বাচন পিছিয়ে ৬ জানুয়ারি

জবি প্রতিনিধি‎
জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

‎‎আজ ‎মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎

‎তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে আজ সকালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেন উপাচার্য ড. মো. রেজাউল করিম। এতে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা উপাচার্য ভবন ঘেরাও করেন। বিক্ষোভকারীরা তফসিল অনুযায়ী আজই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।

‎শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সিন্ডিকেটের জরুরি সভা ডাকা হয়।

সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: বুধবারের বৃত্তি পরীক্ষা স্থগিত, হবে ৫ জানুয়ারি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫০
খালেদা জিয়ার মৃত্যু: বুধবারের বৃত্তি পরীক্ষা স্থগিত, হবে ৫ জানুয়ারি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ও বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় এ দিন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জুনিয়র বৃত্তির বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরীক্ষাটি আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় শোক এবং বুধবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বুধবারের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ওই পরীক্ষা আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।’

পরীক্ষা স্থগিত ও নতুন তারিখ ঘোষণা দিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলো বিজ্ঞপ্তি জারি করছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ভিত্তিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।

বাংলা, ইংরেজি, গণিত বিষয়ে আলাদা আলাদা পরীক্ষা হলে বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে একসঙ্গে।

বৃত্তি পরীক্ষার মোট নম্বর হবে ৪০০। বাংলায় ১০০, ইংরেজিতে ১০০, গণিতে ১০০, বিজ্ঞানে ৫০ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রতিটি পরীক্ষা হবে ৩ ঘণ্টা সময়ে।

এ পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ‘ট্যালেন্টপুল’ কোটায় ও ‘সাধারণ’ কোটায় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‎জকসু নির্বাচন স্থগিত, ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

‎আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও আশপাশের এলাকায় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। এদিন সকাল থেকেই ভোট দেওয়ার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। তবে ভোটের অনিশ্চয়তায় ক্যাম্পাস ছাড়ছেন তাঁরা।

‎গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান সোহাগ বলেন, জীবনের প্রথম ভোট দিতে ক্যাম্পাসে এসেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কারণে সেই সুযোগ আর হলো না। জানি না কবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এজন্যই বাসায় ফিরে যাচ্ছি।

‎সমাজকর্ম বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মায়িশা ফাহমিদা বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে এক ধরনের ভিন্ন অনুভূতি কাজ করছিল। কিন্তু যা প্রশাসন করল, তা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। ভোট যেহেতু হবে না, তাই ক্যাম্পাসে থাকার আর কোনো মনমানসিকতা নেই এ কারণেই চলে যাচ্ছি। ‎

‎এর আগে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় জকসু নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। আজ সকাল সোয়া ৯টায় নির্বাচন স্থগিতের এ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে।

‎‎তবে এ ঘোষণার পর ভিসি ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেন প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভিসি ভবন ঘেরাও করে নির্বাচন আদায়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত