Ajker Patrika

সৌদিতে সিনেমার উৎসবে ঐশ্বরিয়া

বিনোদন ডেস্ক
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৫২
ঐশ্বরিয়া রাই। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ঐশ্বরিয়া রাই। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

কয়েক বছর ধরে সৌদি আরব হয়ে উঠেছে বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। এ ক্ষেত্রে সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। ১০ দিনের এই উৎসবে ৫০টির বেশি দেশের ১০০টির বেশি সিনেমা প্রদর্শিত হবে।

প্রতিবছর রেড সি ফেস্টিভ্যালে হলিউড, বলিউডসহ আরববিশ্বের নামকরা অভিনয়শিল্পী-নির্মাতারা হাজির থাকেন। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে উৎসবের রেড কার্পেট হয়ে উঠেছিল তারকাময়। হাজির ছিলেন অ্যাড্রিয়েন ব্রডি, ঐশ্বরিয়া রাই, কার্স্টেন ডানস্ট, ভিন ডিজেল, জেসিকা আলবা, কুইন লতিফা, ডাকোটা জনসন, আনা ডি আরমাস, রিজ আহমেদ, নাওমি হ্যারিস, উমা থারম্যান, কৃতি শ্যানন প্রমুখ। সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত করা হয় জুলিয়েট বিনোচে, স্যার মাইকেল কেইন, স্ট্যানলি টংয়ের মতো কিংবদন্তি শিল্পীদের।

উৎসবের প্রথম দিন এক ঘণ্টার বিশেষ সেমিনারে যোগ দেন ঐশ্বরিয়া রাই। সেখানে নিজের ক্যারিয়ারের নানা পর্যায় নিয়ে আলাপ করেন অভিনেত্রী। দর্শকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। এই দীর্ঘ ক্যারিয়ারে যেসব সিনেমার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন, যেসব সিনেমার কলাকুশলীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ঐশ্বরিয়া জানান, জীবনের সব পরিস্থিতিতে কখনোই সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেননি তিনি। অন্যরা কী বলবে, এ চিন্তা না করে নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। তিনি বলেন, ‘কখনো অনিরাপদ বোধ করি না; যে কারণে আজকের এই অবস্থানে আসতে পেরেছি। চারপাশের নানা মানুষের নানা মত অনেক সময় মানুষের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। কিন্তু আমি সেটা হতে দিইনি।’

জীবনকে সব সময় একজন শিক্ষার্থীর দৃষ্টিতে দেখেছেন ঐশ্বরিয়া। নানা পরিস্থিতি থেকে প্রতিনিয়ত শেখার চেষ্টা করেছেন। অভিনেত্রী বলেন, ‘ডাক্তার হতে চেয়েছিলাম। আমি সায়েন্সের ছাত্রী ছিলাম। স্থাপত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছি। পরে ভাগ্য আমাকে শোবিজে নিয়ে এসেছে। এখনো জীবনের প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গি একজন শিক্ষার্থীর মতো; যা কিছু ঘটেছে, শেখার চেষ্টা করেছি।’

বড় আয়োজন কিংবা বড় বাজেটের সিনেমা নয়, ঐশ্বরিয়া সব সময় চেষ্টা করেছেন ভালো কাজের সঙ্গী হতে। সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘দেবদাস’-এর মতো বড় প্রজেক্টে অভিনয়ের পর যুক্ত হয়েছিলেন কম বাজেটের বাংলা সিনেমায়। ঐশ্বরিয়া বলেন, ‘আমার মনে আছে, দেবদাসের পর সবাই ভাবছিল, এরপর আমার বড় প্রজেক্ট কী হবে? তখন আমি ঋতুপর্ণ ঘোষের “চোখের বালি” করেছি। কারণ, এমন সুন্দর গল্পেই আমি সব সময় কাজ করতে চেয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...