Ajker Patrika

অবৈধভাবে দীর্ঘদিন কাজ করে সামান্য জরিমানা দিয়ে চলে যান বিদেশিরা, সে সুযোগ থাকছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০: ৩৭
অবৈধভাবে দীর্ঘদিন কাজ করে সামান্য জরিমানা দিয়ে চলে যান বিদেশিরা, সে সুযোগ থাকছে না

অনুমতি ছাড়া বিদেশি নাগরিকের কাজ করার সুযোগ থাকবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের (বিডা) কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত ‘কর্মানুমতি ব্যতীত বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কর্মী/নাগরিকগণের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে’ অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। 

সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আয়কর ফাঁকি দিয়ে অনেক বিদেশি নাগরিক এ–থ্রি ভিসা, বি–ভিসা কিংবা টুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে এসে কাজ করছেন। অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা এক প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজে এসে অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে যাচ্ছেন, ২০০৬ সালে প্রণীত ভিসা নীতিমালায় কাজের অনুমতি গ্রহণের শর্ত না থাকায় অনেকে আবার অনুমতি না নিয়ে কিংবা ভিসার মেয়াদ না থাকায় বা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বছরের পর বছর কাজ করে মাত্র ৩০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে দেশ ত্যাগ করেন। 

এ ক্ষেত্রে সরকার দৈনিক ও বর্ধিত হারে জরিমানার বিধান আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে কর্মানুমতি থাকা সাপেক্ষে বিদেশি নাগরিকেরা যদি অন্য প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে চান, তাহলে নির্ধারিত ফি দিয়ে সেই প্রতিষ্ঠানে যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে তাঁর নিজ দেশে গিয়ে পুনরায় ভিসা করার দরকার পড়বে না। 

মুখ্যসচিব আরও বলেন, ‘অনেকে টুরিস্ট বা বিজনেস ভিসায় এসে কর্মানুমতি প্রাপ্তির কাগজপত্র প্রসেসিংয়ের জন্য ৩ মাস এবং অনুমোদনের জন্য ৩ মাস সময় পেয়ে থাকেন, আমরা আজকের সভায় সেটিকে উভয় ক্ষেত্রে এক মাসের মধ্যে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’ 

তিনি জানান, কর্মানুমতিসহ ভিসা জটিলতা দূর করার জন্য, বিদেশি নাগরিকেরা বিভিন্ন দেশ থেকে ভিসার আবেদন করতে পারবেন, বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতেরা অনলাইনের মাধ্যমে সে ভিসার আবেদন স্পেশাল ব্রাঞ্চে পাঠাবেন। স্পেশাল ব্রাঞ্চ সাত দিনের মধ্য ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করবে। 

দেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব বলেন, ‘যোগ্যতা সম্পন্ন জনবল বাংলাদেশেই রয়েছে, তাঁদের রিপ্লেসমেন্টে যেন বিদেশি কর্মীদের না আনা হয়।’ 

মুখ্যসচিব বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও অনেক বিদেশি নাগরিক অবাধভাবে অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন। সেটি দূর করার জন্য, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য প্রাপ্তি সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুরক্ষা সেবা বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিডা, বেপজা, বেজা, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো, এনএসআই, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রবেশ যোগ্যতা সম্পন্ন একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন ইন্টার–অপারেবল ডেটা সেন্টার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে এক প্রতিষ্ঠানের তথ্য অন্য প্রতিষ্ঠান সহজেই অ্যাকসেস করতে পারে। এর ফলে বিদেশি নাগরিকদের যাবতীয় তথ্য সহজেই পাওয়া সম্ভব হবে। যার ফলে বাংলাদেশ অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের যাবতীয় তথ্য রেগুলারাইজড হবে, সেই সঙ্গে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ওপর সহজেই নজরদারি করা যাবে।’ 

বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং সুরক্ষা সেবা বিভাগের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থানরত বৈধ বিদেশি নাগরিকদের সংখ্যা ১ লাখ ৭ হাজার ১৬৭ জন। এর মধ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত ভিসায় রয়েছেন ১০ হাজার ৪৮৫, এমপ্লয়ি ভিসায় ১৪ হাজার ৩৯৯, স্টাডি ভিসায় ৬ হাজার ৮২৭ এবং টুরিস্ট ভিসায় রয়েছেন ৭৫ হাজার ৪৫৬ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছেন ভারতীয় নাগরিক—৩৭ হাজার ৪৬৪ জন, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন—১১ হাজার ৪০৪ জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ