Ajker Patrika

টানা ১২ বছর পদে থাকতে পারবেন ব্যাংক পরিচালকরা, সংসদে বিল পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
টানা ১২ বছর পদে থাকতে পারবেন ব্যাংক পরিচালকরা, সংসদে বিল পাস

বর্তমান আইনে একাদিক্রমে ৯ বছর ব্যাংকের পরিচালক পদে থাকা যাবে। কিন্তু নতুন আইনে ১২ বছর পর্যন্ত থাকতে পারবেন তাঁরা। তবে মেয়াদ বাড়ানোর সংশোধনী প্রস্তাবের প্রবল আপত্তি তুলেছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা।

তাঁরা বলেছেন, ব্যাংক লুটপাটের মূল হোতা পরিচালকেরা। তাঁদের সুবিধা দেওয়ার জন্য আইন সংশোধন করা হচ্ছে। এর চেয়ে পরিচালকদের মেয়াদ আজীবন করে দেওয়া হোক। পরে পরিচালক পদের মেয়াদ ১২ বছর করে বিল পাসের প্রতিবাদে সংসদ থেকে ওয়াক আউট করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা।

গত ৮ জুন ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) বিল–২০২৩ জাতীয় সংসদে তুলেছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সংশোধনীর মূল প্রস্তাবে পরিচালক পদের মেয়াদ বাড়ানো–কমানোর বিষয়ে কোনো প্রস্তাব ছিল না। পরে সেটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল। কমিটিও পরিচালক পদের মেয়াদ নিয়ে কোনো সংশোধনী আনেনি।

আজ বুধবার বিলটি পাসের আগে সংশোধনীর প্রস্তাব দেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি পরিচালক পদের মেয়াদ একাদিক্রমে ১২ বছর করার প্রস্তাব করেন। তবে এ প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া দেখায় জাতীয় পার্টি। বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন এভাবে বিলে সংশোধনী আনা যায় কিনা। এ বিষয়ে তারা স্পিকারের ব্যাখ্যা দাবি করেন।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, পরিচালক পদের মেয়াদ ১২ বছর করার জন্য সরকারি দলের একজন সদস্য সংশোধনী প্রস্তাব দিয়েছেন। এটা বিল উত্থাপনের সময় ছিল না। যেহেতু সরকারি দলের সংসদ সদস্য এই প্রস্তাব দিয়েছেন তাই মনে হচ্ছে এটা গ্রহণ করা হবে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, যে বিষয়টি সংসদে উত্থাপনই হয়নি সেটা চাওয়া হয় কী করে?

তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর হাত থেকে মুক্ত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে ব্যাংক মালিকদের অনুদান দেওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে দলটির আরেক সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, তাঁরা এই টাকা দিয়ে একমাত্র পর্যন্ত প্রথম ও শেষ পাতায় বড় বড় ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপন-প্রধানমন্ত্রীর হাতে দিচ্ছেন। আরও তাঁরাতো এক বস্তা খালেদা জিয়ার হাতে দিয়েছেন। সেটাতো প্রকাশ করেন না। এদের চরিত্র একই। এরা আপনার হাতের কলকি খেয়ে চলে যাচ্ছে। আপনাদের হাতে গন্ধটা থেকে যাচ্ছে। এখনো সাবধান হন। এদের আইনের আওতায় নিয়ে আসেন।

ব্যাংক মালিকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য আইনটি আনা হয়েছে বলে সংসদে অভিযোগ করেন ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেন, তাঁরা জনগণের টাকা অপব্যবহার করে। সর্দিকাশি হলেই তাঁরা ব্যাংকের টাকায় সিঙ্গাপুর চলে যান।

স্বতন্ত্র পরিচালক কারা এই প্রশ্ন রেখে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘আমরা তার লিস্ট চাই। আমরা এই ভাগ্যবানদের সংসদে দেখতে চাই। সমস্ত দলীয় কর্মী ও আত্মীয়স্বজনকে স্বতন্ত্র পরিচালক করা হয়। তারা ব্যাংকে যায় শুধু লোন দেওয়ার জন্য। ১০ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে দুই কোটি নিজে নিয়ে নিল। একদিনে ধনী হয়ে গেল। যেন আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ। এখানে হরিলুট চলছে। আমরা কমানোর প্রস্তাব করছি না। এদের মেয়াদ আজীবন করে দেন। আমি এখন প্রস্তাব আনলাম। এই পরিচালকরা আজীবন থাকবে। আল্লাহ যত দিন হায়াত রাখছেন আপনারা খাইতে থাকেন। আমরা দেখতে থাকি।’

কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, এই আইনে সংশোধন আনা হচ্ছে শুধুমাত্র ব্যাংক মালিকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য। বেসরকারি ব্যাংকগুলো এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর খবরদারি করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর কে হবেন, ডেপুটি গভর্নর কে হবেন—এগুলো তাঁরা নির্ধারণ করে দেয়। ব্যাংকারদের কাছে সরকার জিম্মি হয়ে গেছে।

দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক বলেন, পরিচালকরা হচ্ছেন ব্যাংক লুটপাটের মূল হোতা। কোনো পরিচালক সুপারিশ না করলে আমার মতো লোক গেলে ব্যাংক ঋণ মিলবে না। চেয়ারম্যান-পরিচালকের কারণে ন্যাশনাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক শেষ। যে আইনের কোন ধারা অর্থমন্ত্রী সংশোধনীতে আনেননি। যে সেকশন সংশোধনের জন্য সংশোধনী কমিটি কোন সুপারিশ করেনি, সেখানে একজন সরকারি দলের সদস্য কোন আইনে এই সংশোধনী আনলেন। তিনি এটা পারেন কিনা? এটা জানা খুবই দরকার। অভিভাবক হিসেবে স্পিকার এটা বলবেন বলে আশা করি।

তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে অর্থমন্ত্রীকে কনভিন্স করে সরকারি দল করেন এমন অনেক ব্যাংকের পরিচালকদের সুপারিশে এটা আনা হয়েছে। পাস করার জন্য। সেটা হলে আমরা আমাদের সব সংশোধনী প্রত্যাহার করলাম। কারণ এর থেকে বড় অন্যায় আর হতে পারে না। যেখানে ব্যাংক লুটপাট করা হচ্ছে। বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক বসে বসে তামাক খায়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান-পরিচালক হাজার কোটি টাকা নিয়ে বিদেশে চলে যায়। আপনারা দেখছেন না। আপনারা আছেন কাউকে ফেবার করার জন্য। পরিচালকের মেয়াদ ১২ বছর করার এই প্রস্তাবকে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

সরকারি দলের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম তাঁর সংশোধনী প্রস্তাব তুলতে গেলে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা হইচই করেন। তখন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আগে সংসদ সদস্যকে সংশোধনী প্রস্তাব তুলতে দেন। এরপর বিষয়টির ব্যাখ্যা দেওয়া হবে।

আহসানুল ইসলাম সংশোধনী প্রস্তাব তোলার পর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এ বিষয়ে রুলিং দেন। সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির সংশ্লিষ্ট বিধি উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, মূল সংশোধনীতে বিলের ১০ দফায় সংশোধনীর প্রস্তাব ছিল। আর আহসানুল ইসলাম যে সংশোধনী প্রস্তাব এনেছেন সেটিও এই দফার একটি উপদফা। এখানে বিলে কোন নতুন ধারা যুক্ত করা হয়নি। বা এমন কোন নতুন দফাও যুক্ত করা হয়নি। এটি অপ্রাসঙ্গিক নয়।

স্পিকারের বক্তব্যের পর বিরোধী দলের সদস্য ফখরুল ইমাম কথা বলতে চাইলে স্পিকার মাইক না দিয়ে বলেন, ‘মাননীয় সংসদ সদস্য এটা আমার রুলিং। আপনি এ বিষয়ে আর আপনার কিছু বলার নেই।’

স্পিকারের রুলিংয়ের পর অর্থমন্ত্রীকে ফ্লোর দেন। এ সময় মাইক ছাড়াই বিরোধী দলের সদস্য চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। পরে স্পিকার অর্থমন্ত্রীকে থামিয়ে দিয়ে বিরোধী দলের সদস্যদের বলেন, ‘আমরা বিধির বাইরে কিছু করব না।’

তবে বিরোধী দলের চিৎকার চেঁচামেচি অব্যাহত থাকে। বিরোধী দলের চেঁচামেচির সময় ফ্লোর নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, তিনি আহসানুল ইসলামের সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করছেন।

এটি বলার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা হইচই শুরু করেন। মাইক ছাড়াই কথা বলতে থাকেন মুজিবুল হক। তার পাশাপাশি কাজী ফিরোজ রশীদও দাঁড়িয়ে কথা বলতে শুরু করেন। একপর্যায়ে ফিরোজ রশীদকে মাইক দেওয়া হয়। তিনি অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমরা যে আজীবনের কথা বললাম আপনি কী সেটা গ্রহণ করলেন? এই একজন পরিচালক আমৃত্যু থাকবে। সেটা গ্রহণ করছেন? না ১২ বছর করছেন? কোনটা সেটা আমাদের স্পষ্ট বলতে হবে।’

পরে স্পিকার অর্থমন্ত্রীকে আবারও মাইক দেন। তবে তিনি কথা বলেননি। এ পর্যায় স্পিকার সংশোধনী ভোটে দেন। দফা ভিত্তিক সব সংশোধনী ভোটে দেওয়া হয়। এ সময় জাতীয় পার্টি ওয়াকআউট করে সংসদ কক্ষ থেকে বেরিয়ে যায়। মাগরিবের নামাজের বিরতির পরে তাঁরা আবারও সংসদে যোগ দেয়।

ওয়াকআউটের বিষয়ে মুজিবুল হক চুন্নু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ব্যাংক পরিচালকদের মেয়াদ ৯ বছর থেকে ১২ বছর করার প্রতিবাদে আমরা ওয়াকআউট করেছি।’

এদিকে পরে বিলটি পাসের জন্য স্পিকার ভোটে দিলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভাড়াটে চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন স্ত্রী, বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যা: পুলিশ

দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের দায়িত্ব নিল সরকার

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালদের ৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইবিএলের ‘এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল ফার্স্টট্রিপ

বিজ্ঞপ্তি
ইবিএলের ‘এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল ফার্স্টট্রিপ

দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস জিতল ফার্স্টট্রিপ। ইস্টার্ন ব্যাংকের গত এক বছরে প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তর-যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘এক্সিলেন্স ইন অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি’ পুরস্কার অর্জন করে ফার্স্টট্রিপ।

এক্সিলেন্স ইন বিজনেস ইমার্জিং ক্যাটাগরিতে অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফার্স্টট্রিপের অগ্রগতি ও উদ্ভাবনের স্বীকৃতি হিসেবেই এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে তাদের শীর্ষ পার্টনার ও মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মাননা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম ফার্স্টট্রিপ সব সময় চায় গ্রাহকদের ভ্রমণ হোক সাশ্রয়ী, সহজ ও আনন্দদায়ক। ফার্স্টট্রিপ ইতিমধ্যে নিজেদের একটা রিলায়েবল মডার্ন আর ফিউচার রেডি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।

ফার্স্টট্রিপের হেড অব অপারেশন (বি-টু-সি) মীর তাজমুল হোসেনের হাতে ইবিএল আয়োজিত ‘স্কাইস্ফিয়ার: ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেন ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রেজা ইফতেখার।

ফার্স্টট্রিপের জন্য এই স্বীকৃতি একটি বড় মাইলস্টোন। ইনোভেশন এবং সঠিক পার্টনারশিপের মাধ্যমে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল খাতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। এই পুরস্কারের পেছনে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে ফার্স্টট্রিপের শক্তিশালী পার্টনারশিপের বড় ভূমিকা রয়েছে। দুই প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টায় ফার্স্টট্রিপ গ্রাহকদের জন্য পেমেন্ট সলিউশনকে করে তুলেছে স্মার্ট ও সহজ।

ফার্স্টট্রিপের প্রতিনিধিরা এই অর্জনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই সাফল্য পুরো টিম এবং পার্টনারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। বিশেষ করে ইবিএলের সহযোগিতা আমাদের ডিজিটাল যাত্রাকে আরও মসৃণ করেছে। ইনোভেশন ও গ্রাহকের আস্থাকে পুঁজি করে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিতে আরও বড় লক্ষ্য অর্জন করতে চায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভাড়াটে চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন স্ত্রী, বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যা: পুলিশ

দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের দায়িত্ব নিল সরকার

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালদের ৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পিএসটিসি স্টুয়ার্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন ড. নূর মোহাম্মদ

বিজ্ঞপ্তি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের (পিএসটিসি) নির্বাহী পরিচালক ড. নূর মোহাম্মদকে সংস্থার পিএসটিসি স্টুয়ার্ডশিপ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়েছে। সংস্থার অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অধিকারভিত্তিক কর্মসূচি এগিয়ে নেওয়া, দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং দৃঢ় স্টুয়ার্ডশিপের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।

গত শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার আফতাবনগরে অবস্থিত পিএসটিসি ভবনে অনুষ্ঠিত সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) উপলক্ষে পিএসটিসি গভর্নিং বডির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। সভায় গভর্নিং বডির সদস্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

গভর্নিং বডি জানায়, ড. নূর মোহাম্মদের নেতৃত্বে পিএসটিসি প্রাতিষ্ঠানিক টেকসই ও উৎকর্ষতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সেবার পরিসর ও কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তাঁর দূরদর্শী দিকনির্দেশনা ও কৌশলগত নেতৃত্বে সংস্থাটি জাতীয় পর্যায়ে সুদৃঢ় অবস্থান তৈরি করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

গভর্নিং বডির মতে, ড. নূর মোহাম্মদের অবদান পিএসটিসিকে একটি শক্তিশালী, বিশ্বাসযোগ্য ও ভবিষ্যৎমুখী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করেছে, যা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি স্থায়ী ও অনুকরণীয় কর্ম হিসেবে বিবেচিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভাড়াটে চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন স্ত্রী, বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যা: পুলিশ

দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের দায়িত্ব নিল সরকার

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালদের ৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইবিএল ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস পেল ফুডি

বিজ্ঞপ্তি
: গত রোববার রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফুডির সিওও মো. শাহনেওয়াজ মান্নানের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ইস্টার্ন ব্যাংকের সিইও আলী রেজা ইফতেখার।
: গত রোববার রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফুডির সিওও মো. শাহনেওয়াজ মান্নানের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ইস্টার্ন ব্যাংকের সিইও আলী রেজা ইফতেখার।

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির (ইবিএল) গত এক বছরের ডিজিটাল রূপান্তর ও প্রবৃদ্ধি যাত্রায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘ইবিএল ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’ অর্জন করেছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় কিউ-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেড (Foodi)। ‘এক্সিলেন্স ইন কিউ-কমার্স (ইমার্জি)’ ক্যাটাগরিতে এই সম্মাননা পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মো. শাহনেওয়াজ মান্নানের হাতে এই সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আলী রেজা ইফতেখার।

ডিজিটাল মার্কেটিং, উদ্ভাবনী অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এবং ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রাহকসেবায় বৈচিত্র্য আনায় বিশেষ অবদানের জন্য ফুডি এক্সপ্রেসকে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় এ সংস্করণে ইবিএল মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে (এনাবলার, এক্সিলেন্স এবং পার্টনার্স ইন প্রোগ্রেস) ৪০টি পার্টনার ও মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করে।

সম্মাননা প্রাপ্তির পর এক প্রতিক্রিয়ায় ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেডের সিওও মো. শাহনেওয়াজ মান্নান বলেন, ‘ইস্টার্ন ব্যাংকের মতো একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এই স্বীকৃতি পাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। এই অর্জন আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে নতুন সব উদ্ভাবনী ফিচার ও উন্নত সেবা নিয়ে আসার জন্য। আমরা বিশ্বাস করি, ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে এই অংশীদারত্ব দেশের কিউ-কমার্স (Q-commerce) খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভাড়াটে চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন স্ত্রী, বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যা: পুলিশ

দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের দায়িত্ব নিল সরকার

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালদের ৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

একনেকে ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১০
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২২ প্রকল্পের ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৩০ হাজার ৪৮২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা ৬১ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৪ হাজার ২৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প ১৪টি ও সংশোধিত প্রকল্প পাঁচটি এবং মেয়াদ বৃদ্ধি প্রকল্প তিনটি।

সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘কর্ণফুলী টানেল (আনোয়ারা) থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের গাছবাড়িয়া পর্যন্ত সংযোগ সড়ক (জেড-১০৪০) উন্নয়ন’ প্রকল্প, ‘দিনাজপুর সড়ক বিভাগাধীন হিলি (স্থলবন্দর)-ডুগডুগি ঘোড়াঘাট জাতীয় মহাসড়ক (এন-৫২১) যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিদ্যমান সরু/জরাজীর্ণ কালভার্টসমূহ পুনর্নির্মাণ এবং বাজার অংশে রিজিড পেভমেন্ট ও ড্রেন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প: সাপোর্ট টু ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নারায়ণগঞ্জের আলীগঞ্জে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আটটি ১৫তলা ভবনে ৬৭২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা ওয়াসা প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা একাডেমি স্থাপন’ প্রকল্প, ‘সিলেট সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প, ‘জলবায়ু সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন বা ক্লাইমেট রেজলিয়েন্ট অ্যান্ড লাইভলিহুড ইনহ্যান্সমেন্ট প্রোজেক্ট (সিআরএএলইপি)’ প্রকল্প, ‘পটুয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটির মধ্যে মোংলা কমান্ডার ফ্লোটিলা ওয়েস্টের (কমফ্লোট ওয়েস্ট) অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প এবং সাভারে আর্মি ইনস্টিটিউট অব ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ প্রকল্প।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘Modernization and Expansion of Eastern Refinery Limited (ERL) প্রকল্প।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র পুনর্নির্মাণ কোনাবাড়ী, গাজীপুর (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘Education and Research Capacity Building of National Institute of Advanced Nursing Education and Research (NIANER) প্রকল্প।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উন্নয়ন (তৃতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কর্ণফুলী এবং সংযুক্ত নদীসমূহের (কাচালং, রাইখিয়ং ও শলক নদী) টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’, ‘গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্বাসন’ প্রকল্প, ‘সুরমা-কুশিয়ারা নদী অববাহিকার উন্নয়ন এবং বন্যা ও সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (প্রথম পর্যায়)’ এবং ‘Disaster Risk Management Enhancement Project (Component-1, BWDB Part) (proposed 2nd Revision) প্রকল্প’।

এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দারুল আরকাম ইসলামি শিক্ষা পরিচালনা ও সুসংহতকরণ (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।

সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ; পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন; খাদ্য এবং ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার; সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ; স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; শিল্প, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভাড়াটে চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন স্ত্রী, বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যা: পুলিশ

দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের দায়িত্ব নিল সরকার

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালদের ৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত